User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভাল লাগল পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
কুমারের ঠাকুরদাদা মারা গেলো। রেখে যাওয়া জিনিসের মধ্যে ছিলো একটা লোহার সিন্দুক। সেই সিন্দুকে অন্যান্য জিনিসের সাথে পাওয়া গেলো একটা বাক্স। সেই বাক্সের ভিতর একটা পুরোনো দিনের পকেটবুক আর একটা মড়ার খুলি! হ্যা, সত্যি খুলি! কিন্তু একটা মড়ার খুলি লোহার সিন্দুকে যত্ন করে রাখার কি আছে! কেউ তো সেটা ঘরেও রাখতে চায় না। কুমারের পরিবারও চাইলো না। জঞ্জাল ভেবে ফেলে দিলো। এখানেই গল্পটা শেষ হয়ে যেতো যদি সেই খুলির খবর জানতে পেরে রাতে চোরের উৎপাত না হতো। কি আছে এই খুলিতে? আছে কিছু হিজিবিজি সংখ্যা লেখা। সেই সংকেতে গুপ্তধনের সন্ধান। কিন্তু গুপ্তধনের কথা আরও একজন জানে। নাহলে তো আর রাতে মড়ার খুলির জন্য চোর উৎপাত করে না! প্রতিবেশি বড় দাদা বিমল, তার চাকর রামহরি আর নিজের কুকুর বাঘাকে সাথে নিয়ে গুপ্তধনের উদ্দেশ্যে আসামের দুর্গম পাহাড়ের পথে বেরিয়ে পড়লো কুমার। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গল্পটা কুমারের উত্তম পুরুষে লেখা হলেও কেন্দ্রীয় চরিত্র বিমল। যে প্রচন্ড সাহসী ও একরোখা। সাধনার বাঙালির মত ঘরের কোনে পরে থাকা তার কাজ নয়। অপরদিকে কুমার যেন আলালের ঘরের দুলাল। ঘর থেকে বাহিরে পা দিতেও ভয়। হেমেন্দ্রকুমার রায়ের লেখা প্রথম পড়লাম। আমার কাছে মনে হয়েছে বইটা ছোটদের জন্য পারফেক্ট। লেখার ভিতরে গল্প বলার ধরনটা ভালো লেগেছে। সময় কাটানোর জন্য হাতে নিয়ে বসে পড়তে পারেন। দামও খুব বেশি নয়।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম- যকের ধন জনরা-রহস্য উপন্যাস ঔপন্যাসিক-হেমেন্দ্রকুমার রায় পৃষ্ঠা-১১৯ মূল্য-১৮৫ উপন্যাসের চরিত্র কুমার। কুমারের দাদাঠাকুর মারা যাওয়ার পর, তার রেখে যাওয়া লোহার সিন্ধুক ঘাটতে গিয়ে একটা ছোট বাক্স পায়। কুমার ভাবে এটাতে বোধহয় বেশ দামি কিছু আছে। অতি আগ্রহে বাক্স খুলে তার ভেতর একটা মড়ার খুলি আর নোটবুক পেয়ে খুব হতাশ হলো। বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত এর ঠিকানা হলো বাড়ির পাশের ঝোপে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিলো, ঝমেলা বাধলো কিছুদিন পর। কুমারের বাড়িতে চুরি হলো। কিন্তু তার থেকেও অবাক করা কান্ড হলো, চোর আর কিছু নয় শুধুমাত্র ঠাকুরদাদার কাঠের বক্স চুরি গেছে, যেটাতে মড়ার খুলি পেয়েছিল সে। এবার তো ভাববার পালা, চোর এই বাক্সের কথা জানলো কি করে? কেনই বা এই বাক্সটাই চুরি হলো? হিসেব মিলাতে না পেরে ঝোপের থেকে মাথা খুলিটা আবার কুড়িয়ে আনলো কুমার। এবার তো আরো চমকানোর কথা! কেন না ময়লা এই মরার খুলির কিছু জায়গায় অংক ফুটে উঠছে! কাহিনী কি! তখনি মনে পড়লো নোট বুকের কথা। কুমার এবার বোধহয় খাপে খাপ মিলাতে পারলো। দুটোকে একসাথে জোড়া করে দেখে বুঝলো এটা কোন কিছুর সংকেত। কিন্তু কুমারের পক্ষে তা সন্ধান করা সম্ভব হবে না। তাই দারস্থ হলো বন্ধু বিমলের কাছে। কুমার আর বিমল এই সব সাংকেতিক চিহ্ন খুঁজে খুঁজে সন্ধান পেল বিশাল এক রহস্যের। তবে তা খুব বিপদসংকুল। তবুও রহস্যের শেষ দেখবার জন্য এগিয়ে যেতে থাকলো দুজন। তবে তাদের আড়ালে, তাদের পিছু নিলো আরো একজন। কিন্তু সে কে? কি তার উদ্দেশ্য? কিই বা আছে রহস্যের মূলে? ব্যক্তিগত মতামতঃ উপন্যাসের সময়কাল ১৯০৫-০৬। সে সময় বাংলা সাহিত্যে ঠিক কতটা রহস্য উপন্যাসের স্থান ছিলো তা ভাববার বিষয়। কিন্তু এটা সত্য যে হেমেন্দ্রকুমার রায়ের এই কিশোর রহস্য উপন্যাস পরিপূর্ণ ভাবে সফল। কুমার আর বিমলের চরিত্র দুটোই ভালো লেগেছে। সাহসী বিমলকে একটুখানি বেশিই ভালো লেগেছে। সেই সাথে তাদের অভিযানের প্রতিটি পদক্ষেপ বেশ চমকের ছিলো। তাদের এই রোমাঞ্চকর অভিযানে, রহস্যপ্রিয় যে কোন পাঠক সঙ্গী হতে পারেন নিঃসন্দেহে। রোমাঞ্চ প্রিয়দের জন্য অসাধারণ একটা ক্লাসিক উপন্যাস। https://www.rokomari.com/book/121895/যকের-ধন?ref=srbr_pg0_p1
Was this review helpful to you?
or
যকের ধন বাংলা সাহিত্যের প্রথম কিশোর ক্লাসিক। অবশ্য পরবর্তীতে অনেকেই হেমেন্দ্রকুমার রায়ের দেখানো পথে হেটেছেন। কেউ আবার এক কাঠি সরেস, যকের ধনের প্লটটাই মেরে দিয়েছেন। না, এসব আমার কথা না। লেখক নিজেই এসব বলে গেছেন তার বইয়ের ভূমিকায়। এর আগে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর ক্লাসিক, এডভেঞ্চার, থ্রিলার এসব লিখা হয়ে থাকলেও কিশোরদের উপযোগী করে লিখা হয়নি। হেমেন্দ্র কুমার রায় বুঝতে পেরেছিলেন বাংলার ছেলেদের ননীর পুতুল হিসেবে বড় হলে চলবেনা। তারা বড় হবে সাহসী, ডানপিটে ও সত্যিকারের বীরের মত। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি কুমার বিমল সিরিজ লেখা শুরু করেন। আজ আলোচনা করব সিরিজের প্রথম বই যকের ধন নিয়ে। কুমারের ঠাকুরদা মারা যাবার পর তার সিন্দুকে একটা অদ্ভুত জিনিষ পাওয়া যায়। একটা মড়ার মাথার খুলি। তারমধ্যে আবার কি সব অংক করা আছে। কুমারের মা এমন আজগুবি জিনিষ দেখে ছেলেকে ফেলে দিতে বললেন। কুমারও খুলিটা বাড়ির পাশের ঝুপড়িতে ফেলে দেয়। খুলিটার সাথে আরেকটা জিনিষ ছিল। কুমারের ঠাকুরদার হাতে লেখা একটা পকেট নোটবুক। কথায় কথায় ঠাকুরদার বন্ধু করালী মুখুজ্জেকে খুলিটার কথা বলে কুমার। এবং ঠিক সেদিন রাতেই কুমারদের বাড়িতে চোর হানা দেয়। সবকিছু লন্ডভন্ড করে রেখে গেলেও কিছু নিয়ে যায়নি চোর। চোরটা নিশ্চয় কিছু একটা খুঁজছিল। দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে দেরি হয়না কুমারের। ধরতে পেরেছেন? এখনো পারেননি? ঐ মাথার খুলির মধ্যে অংকের মাধ্যমে একটা ম্যাসেজ আছে। সেই ম্যাসেজের রহস্য উদ্ধার করতে পারলে আর কুমারের ঠাকুরদার নোটবুক হাতে পেলেই পাওয়া যাবে এক বিপুল ঐশ্বর্যের সন্ধান। যকের ধন! চাইলেই তো আর পাওয়া যায়না। অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কুমারের বয়স মাত্র ১৭। তাই বলে ভাববেন না যে ও ভয় পাচ্ছে। তবে এতদূর যেহেতু একা যেতে পারবেনা তাই বন্ধু বিমলকে সবকিছু খুলে বলে। বলতে গেলে বিমলের পিড়াপীড়িতেই কুমার রাজি হয় যকের ধন উদ্ধার করতে যেতে। যকের ধন বা যখের ধন মানে কী? যখ জিনিষটা কী আসলে? যখ মানে প্রেতাত্মা বা ভূত যারা অভিশপ্ত ধন বা গুপ্তধন পাহাড়া দেয়। ভয় পেয়ে গেলেন? এটুকুতেই? ওদের সাথে যাবেন কি করে তাহলে? আর এই গুপ্তধন তো বাড়ির পাশের মাঠে পাওয়া যাবেনা ভাই। এরজন্য যেতে হবে অনেক দূর। আসামের এক দুর্গম পাহাড়ের ওপাশে এক পুরনো বৌদ্ধ মন্দির আছে, যার খোঁজ কেউ জানেনা। যাবেন? ভূতের ভয় থাকলে চলবেনা কিন্তু। প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র একটা ব্যাগে ভরে রওনা হয়ে যান ওদের সাথে। কথা দিচ্ছি, এরকম এডেভঞ্চার আর কোথাও পাবেন না। যেহেতু পড়ার আগেই জানতাম এটা একটা কিশোর ক্লাসিক তাই নিজেকে ঐভাবে তৈরি করে নিয়েই পড়তে বসেছিলাম। মানে নিজেকে সেই কিশোর বয়সে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। পুরোপুরিভাবে পারিনি, কিন্তু বইটা শুরু করার পর কোন ফাঁকে যে কৈশোরে চলে গিয়েছি টেরই পাইনি। আমি আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক বই পড়েছি। তাদের বেশিরভাগই এডভেঞ্চার ধাঁচের বই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, যকের ধনের মত এডভেঞ্চার আমি আর কোনোটাতে পাইনি। যদি বলেন ট্রেজার আইল্যান্ড, কিং সলোমনস মাইনের থেকেও এডভেঞ্চারাস এই বই? আমি বলব হ্যাঁ। কারণ এই বই দেশীয় পটভূমিতে লেখা। কুমার আর বিমল যখন যকের ধন উদ্ধার করতে রওনা হয় আমার মনে হচ্ছিল আমার বাড়ির পাশ দিয়েই ওরা যাচ্ছে। সিলেটের কিছু স্থানের বর্ণনা এত সুন্দর করে দেয়া হয়েছে, আপনি যদি সিলটি হন তাহলে বারবার শিহরিত হবেন আপনি। আমার খুব আফসোস ছিল কিশোর বয়সে আমি কেন বইটা পড়তে পারিনি। কালরাতে বইটা পড়ার পর আমার সে আফসোস দূর হয়ে গেছে। এই বয়সেও থ্রিল পেতে আমার কোনো অসুবিদা হয়নি। প্রতিটি পাতায় পাতায় থ্রিল এবং সাসপেন্সে ভর্তি। পড়ার সময় একটা ভাবনাই আপনার মাথায় থাকবে। সেটা হল, 'এরপর না জানি কী হয়'। হ্যাপি রিডিং।