User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Shakil Ahamed

      10 Sep 2022 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন চরিত্রগুলো।

      By Arojit deb

      29 Jun 2022 04:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Ebnurhasan VEVO

      12 Jun 2022 11:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      very good

      By konok chandro mohanto

      11 Jun 2022 05:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By FahimS Mahmud

      08 May 2022 12:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ?

      By Niloy Karmakar

      25 Apr 2022 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ । পড়লেই পাঠক বুজবে। আর কিছু বলার নাই

      By Mon Debnath

      16 Mar 2022 12:02 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ মানেই বৈচিত্র্যতার ছিটা। বই দুইটি অসাধারণ ছিল। আমার প্রিয়তমাকে গিফট করেছি। অনেক খুশি হয়েছে সে?

      By Sujan Das

      10 Mar 2022 08:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Most favourite book.

      By Kawsar Ahmed

      05 Mar 2022 09:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Perfect

      By Md. Zahid Anwar Joney

      20 Feb 2022 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book. everyone should read this book

      By Istiaq Ahmed

      16 Feb 2022 10:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি এর আগেও পরসি । হারায় যাওয়ার পরে অনেক খুজসি কিন্তু পাই নি কোথাও। তারপর রকমারি থেকে কিনলাম। হুমায়ুন আহমেদ এর অনবদ্য এক লেখনি। শেষ করার সময় অনেক খারাপ লাগে। যতই পরি ততই মনে হয় নতুন ভাবে আবিষ্কার করি।

      By Fatima Akter

      12 Feb 2022 11:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Bijan Baidya

      12 Feb 2022 11:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice book.

      By ANAMUL HAQUE

      10 Feb 2022 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️

      By Mizanur Rahman

      07 Aug 2023 09:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইগুলো সম্পর্কে নতুন করে কিছু লিখতে হবেনা,,,যা বইয়ে আছে তা অন্য কোথাও পাওয়া যাবেনা।

      By BM Ali Ashraf

      04 Feb 2022 09:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Nasif Abdullah

      03 Feb 2022 07:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার

      By Rashed Mahamud

      28 Jan 2022 02:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Great

      By Ashiqur Rahman

      27 Jan 2022 04:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রতিটি বই অনেক যত্ন সহকারে পেয়ে ভালো লাগে, শুভ কামনা রইল

      By sohel ibn moin

      19 Jan 2022 06:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার অশ্রু জলের কারণ

      By Sadik Khan

      16 Jan 2022 02:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নিজেকে হারিয়ে ফেলা লেখার ভিতর অন্য রকম অনুভূতি

      By Rifatur Rahman

      26 Dec 2021 05:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️❤️

      By khandoker fayzul hoque Rifat

      16 Dec 2021 01:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Alhamdulillah.

      By Mohammad Romjan

      29 Dec 2021 11:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর

      By Miftahul Jannat

      10 Dec 2021 03:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      oshombhob shundor akti boi,oshadharon,,,,,,,,onk koshter akti boi,boi ti pore amar khub koshto hoyeche..........................shobai pore dekhben ,onk onk onk shundor akti boi

      By Atik

      04 Dec 2021 05:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ, অনবদ্য ও সৃষ্টিশীল রচনা

      By Mamtaj Alam

      22 Nov 2021 10:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদ স্যার বেস্ট বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।

    • Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ এক বই।

      By Anika Akter Tuhin

      15 Nov 2021 08:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ ?

      By puja

      13 Nov 2021 04:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Oshadharon

      By Raihan Chowdhury

      01 Nov 2021 01:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Very nice print.

      By Rafid Ahsan

      06 Oct 2021 05:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      যেভাবে লেখক ঘটনা গুলোকে উপস্থাপন করেছেন তা অসাধারণ । একটা বই পরেও যে মন খুলে হাসা যায়,চোখ কান্নায় ভরে উঠে এই বই তার উদাহারন । # Highly recommended book

      By Faysal Abidhin

      06 Oct 2021 07:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By রায়হান রিফাত

      05 Oct 2021 12:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By রায়হান রিফাত

      05 Oct 2021 12:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      থ্রিলার বই এ শুধু থ্রিল থাকেনা, সামাজিক উপন্যাসের পরদে পরদে ও থ্রিল উত্তেজনা বিদ্যমান|| সাসপেন্স এই বই এর অনবদ্য একটা অংশ| কি হয় কি হয় করতে করতে শেষ হয়ে গেলো কিন্তু লোক টা সমাধান দিলোনা :| লোক টা হয়ত কালজয়ী উপন্যাস তেমন একটা লিখে যান নি কিন্তু পাঠক কে বই পড়া শিখিয়েছেন,বই শেষ করতে বাধ্য করেছেন|| অনেকেই মাঝে মাঝে রিডিং ব্লকে চলে যান তাদের জন্য হুমায়ন আহমেদ এর বই দুইবেলা করে দুইদিন নিলেই রিডিং ব্লক কেটে যাবে :3 অপেক্ষা-২ নামে এই বই এর দ্বিতীয় অংশ কেন লিখেন নি উনি এইজন্য উনার নামে মামলা করতাম বেচে থাকলে!! পড়ে ফেলেন সাধারণ একটি গল্পের অসাধারণ উপস্থাপন !!

      By Samiul Alam Rafi

      29 Sep 2021 07:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      onk valo

      By mahfuz

      23 Sep 2021 03:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব ভালো

      By Abdullah Al Noman

      23 Sep 2021 08:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যি বলবে বইটা শেষ হলেও গল্পটা অপুর্নই রয়ে গেলো :')

      By HT Ayan

      22 Sep 2021 10:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good Books ??

      By Apon Hassan

      19 Sep 2021 01:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ok

      By Tasrifur Rahman

      19 Sep 2021 11:39 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় দারুণ একটা বই।

      By Md Ibrahim

      17 Sep 2021 09:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই।

      By jannati begum

      09 Sep 2021 12:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      onak sundor 1ta boi

      By Rayhana Akhtar

      06 Sep 2021 08:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার

      By SB Marjuk

      23 Aug 2021 01:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লাগেনি তেমন

      By Khaled Anas

      20 Aug 2021 04:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এককথায় অসাধারণ ?✨

      By md masum

      18 Aug 2021 09:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good book

      By Mariya Jahan

      09 Aug 2021 07:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      pore valo laglo thanks to Rokomari❤️❤️

      By Mehedi Majed

      08 Aug 2021 07:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      About this book, expectation was high. Not bad

      By rajaulkorim

      06 Aug 2021 03:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষার সময় তীব্র তীব্রতর হয়, সুপ্রভার জন্য অনেক কষ্ট লেগেছে, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, মিতুর ইমন দরকার,,

      By Akash das

      30 Jul 2021 05:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইগুলো সত্যিই অসাধারণ

      By MD, Saidur Rahman Shemanto

      29 Jul 2021 07:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      My nephew liked this one

      By Ariful Ovi

      24 Jul 2021 03:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অন্যতম একটা পছন্দের বই।

      By Ratri Rafia

      22 Jul 2021 06:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ***বই রিভিউ*** ***বইয়ের নাম---অপেক্ষা*** ***লেখক--- হুমায়ূন আহমেদ*** "অপেক্ষা" নন্দিত কথা-সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি বিখ্যাত জীবনধর্মী উপন্যাস।অপেক্ষা ভালোবাসার শুদ্ধতার প্রতীক...অপেক্ষা এমন একটি শব্দ যার সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের হাজারো রকমের মিশ্র অনুভূতি। উপন্যাসটিতে আমরা একটি মধ্যবিত্ত সুখি পরিবারের চিত্র দেখতে পাই। গম্ভীর প্রকৃতির স্বামী হাসানুজ্জামান, বৃদ্ধা শাশুড়ি আকলিমা বেগম,বেকার দেবর ফিরোজ আর ছয় বছরের পুত্র ইমনকে নিয়ে বেশ কাটছিল সুরাইয়ার সংসার। স্বামীকে সে ভালবাসে।তাকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অফিসের নাম্বারে কল করে কথা বলতে তার ভালো লাগে।ছেলে ইমন সম্পর্কে সব সময় চিন্তিত সে,শাশুড়ির গ্রাম্য আচরণে বিরক্ত, তবুও মুখে কিছু বলতে পারেনা।আর ফিরোজ?সে এম এ পরীক্ষা বাতিল করে বন্ধুদের মধ্যে পক্সের জীবাণু ছড়াতে ব্যাস্ত! এরূপ সাংসারিক খুঁটিনাটির মধ্যে সুরাইয়া জানতে পারে,,,নতুন কোনো অতিথী আসতে চলেছে তাদের পরিবারে,এই পৃথিবীতে!! কিন্তু এই আনন্দের খবরটি ইমনের বাবাকে আর জানানো হলো না।হটাৎ করেই হারিয়ে গেলেন মানুষটা!! পরিবারের প্রধান মানুষটির অনুপস্থিতিতে পাল্টে যায় সব কিছু।ফিরোজ হন্যে হয়ে রাত দিন খুঁজে বেড়ায় তার ভাইকে।ক্রমেই সুরাইয়ার কাছে জাগতিক এই পৃথিবী অসহ্য হয়ে ওঠে।ইমনকে আর আগের মতো কাছে নিয়ে আদর করে না...চোখের সামনে দেখলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়!!মায়ের এই আকস্মিক পরিবর্তন ছোট্ট ইমনকে তার বাবার মতোই গম্ভীর করে তোলে ধীরে ধীরে। ইমনের বাবার নিখোঁজ হবার কয়েক মাস পর জন্ম হয় সুপ্রভার।আর্থিক ভাবে দ্রুতই ভেঙে পড়ে পরিবারটি।বিনা কারণে সুরাইয়া ফিরোজকে তার শত্রু মনে করে..পুত্র কন্যা নিয়ে চলে আসে তার ভাই জামিলুর রহমানের বাড়িতে। শুরু হয় ইমন সুপ্রভার জীবনের নতুন অধ্যায়।মামাতো দুই ভাই শোভন-টোকন আর সমবয়সী মামাতো বোন মিতুর সাথে বেড়ে উঠতে থাকে ইমন,খানিকটা অবহেলায়,খানিকটা অনাদরে... গল্প এগিয়ে চলে... বড় হয় ইমন..মিতু..সুপ্রভা। ধীরে ধীরে পাল্টে যায় সবকিছু, কিন্তু সুরাইয়া আগের মতোই আছেন। এখনও জেগে থাকেন,রাত জেগে ইমনের বাবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।তিনি বিশ্বাস করেন,ইমনের বিয়ের রাতে ফিরে আসবে তার বাবা!! আমাদের ছোট্ট ইমন এখন ভার্সিটি পড়ুয়া ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র। একটা টিউশনিও করে সে।নবনী নামের এক মেয়েকে সপ্তাহে তিনদিন অংক শেখায়। সেই নবনীর স্বভাব চরিত্র কিন্তু মোটেও সুবিধের নয়...স্যারের সাথে প্রেম প্রেম খেলায় মেতে ওঠে সে.... মিতু মেয়েটার স্বভাব চরিত্রও কেমন যেনো অদ্ভুত।ইমনকে সে বেনামি চিঠি পাঠায়, সাধারন চিঠি না...রীতিমত প্রেমপত্র!!!শুরু হয় ইমন-মিতুর অদ্ভুতুড়ে রহস্যময় প্রেম পর্ব.... বড হয় সুপ্রভাও। এ বাড়িতে তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে তার মামা হাসানুজ্জামান। ছোট্ট মেয়েটি হয়তো কখনো কল্পনাই করতে পারবে না পৃথিবীর বুকে তার জন্য কতখানি ভালোবাসা জমা হয়ে আছে,,,ছিল.... কি হয় শেষে?? ইমন মিতুর অদ্ভুতুড়ে প্রেমের কি পরিণতি আছে কোনো? কার সাথে বিয়ে হয় ইমনের?তার বিয়ের রাতে কি সত্যি ফিরে আসে তার বাবা??সুরাইয়ার এত বছরের অপেক্ষার কি শেষ আছে? **অব্যক্ত কথাগুলো** গল্পটি আমাদের আশেপাশের মানুষদেরই জীবন কাহিনী।বাবার নিখোঁজ হওয়া একটি সন্তানের জন্য,একটি পরিবারের জন্য কতো টুকু বিষাদের,টা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসটিতে। মায়ের অনাদর সন্তানের আচরণে কিভাবে প্রভাব ফেলে,পিতা ও সন্তানদের মধ্যকার দুরত্ব কিভাবে সেই সন্তানদের বিপথগামী করে তোলে, তারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় শোভন টোকনের দৌরাত্ম্যে। ***পাঠ প্রতিক্রিয়া*** উপন্যাসটি অসম্ভব সুন্দর।তবুও এর প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে বিষাদমাখা ভালো লাগা,আছে কষ্ট,হয়তো নিজের জন্য,,হয়তো বা ইমন সুপ্রভার জন্য। মাঝে মাঝে খুব হিংসে হয়েছে।ইমনের প্রতি তার ছোট চাচার ভালোবাসা দেখে বা সুপ্রভা আর তার মামার মধ্যকার মধুর মামা-ভাগ্নি সম্পর্কের কাহিনী পড়ে। আমার মতে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লিখা বেস্ট বই এটি। ***প্রিয় চরিত্র - সুপ্রভা। রেটিং ১০/১০ ***প্রিয় উক্তি*** ১.স্নেহ,মমতা,ভালোবাসা-এই ব্যাপার গুলো আসলেই অদ্ভুদ।কোনো জাগতিক নিয়ম কানুনের ভিতর এদের ফেলা যায় না। ২. মৃত মানুষের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না।আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য। ৩.পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলোর জন্য কিন্তু টাকা লাগে না,বিনামূল্যেই পাওয়া যায়।যেমন - জোছনা,বর্ষার দিনের বৃষ্টি,মানুষের ভালোবাসা।

      By asmatasmim

      16 Jul 2021 05:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      lovely....

      By Jouhura Akter

      14 Jul 2021 05:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই পড়ার অভ্যাসটা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখাই যায় না। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো এমন যে পড়লে অন্যরকম একটা ভালোলাগার তৈরি হয়। ইমনের বয়স যখন ৫ বছর ৩ মাস মাত্র তখন তার বাবা নিখোঁজ হয়ে যায় এবং ইমনের মা অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে যে একদিন ইমনের বাবা ঠিকই ফিরে আসবে। এভাবেই শুরু হয় গল্পের। সত্যি ই অসাধারণ একটি বই

      By Jahid jJ

      12 Jul 2021 04:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️

      By Rizvanur Rahman

      12 Jul 2021 09:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Great service

      By farhad gazi

      11 Jul 2021 10:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good experience

      By MD ISMAIL HOSSAIN FORAJE

      11 Jul 2021 05:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনিন্দ্য সুন্দর একটি বই।?

      By SHARIF AHAMMED

      07 Jul 2021 08:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It is great.

      By Foysal Ahmed

      30 Jun 2021 04:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ধন্যবাদ...অপেক্ষা ভালো ছিলো

      By himel shipu

      24 Jun 2021 10:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      one of the best book by humayun ahmed

      By M.A. Shafayeen Chowdhury

      10 Jun 2021 01:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Osthir boi

      By Delower Hossan

      10 Jun 2021 04:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুরাইয়া বেগমের পারিবারিক আখ্যান, সারাজীবনের অপেক্ষা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

      By Adnan Hasan Bappi

      04 Jun 2021 11:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন লেখা

      By Koushik Ahmmed

      03 Jun 2021 03:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Fantastic book

      By Akm Rashidur Rahman

      29 May 2021 01:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা উন্যাসটির ১ টি কপি সরবরাচহ করা যায়? প্লিজ।

      By emon

      28 May 2021 05:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ক এক দিন অন্য ভুবনে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

      By Tanjeem Samir Khan

      23 May 2021 06:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি শেষ করেছি কিছু দিন আগে। আহারে, এতো ভালো ছিলো!

      By MR.KR

      22 May 2021 12:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      So nice book. But so sorrowful.

      By Joy saha

      22 May 2021 11:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব কম সময়ে পাওয়াতে ভালো লাগলো

      By শুয়াইব হাসান

      21 May 2021 11:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের শেষ দিকে অনেকগুলো পৃষ্ঠা ছিল না। তআই সেগুলো পিডিএফ পড়ে নিতে হয়েছে। ব্যাপারটা আমার কাছে ভোগান্তিকর মনে হয়েছে। সামনে এই ব্যাপারে খেয়াল রাখার অনুরোধ করছি।

      By Md israil prodhan

      12 May 2021 08:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Homayun ahmed manei osadharon..

      By ibrahim shohan

      11 May 2021 06:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই

      By Salmanur Rahman Liman

      07 May 2021 08:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জামিলুর এর চরিত্র খুব অসহায়

      By Suranjan

      02 May 2021 03:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মনমূগ্ধ কর উপন্যাস।

      By Raihan Kobir

      27 Apr 2021 02:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      thanks

      By Abu Bakar Siddik (Emon)

      16 Apr 2021 02:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Khub valo lagse

      By Tamim

      15 Apr 2021 08:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ এর বই নিয়ে ত আর বেশী কিছু বলতে হবে নাহ

      By Shahriar

      14 Apr 2021 04:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই

      By Mohammad Maruf Ali

      13 Apr 2021 06:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ অপেক্ষা লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনীঃ আফসার ব্রাদার্স মানুষের জীবন খুবই অদ্ভুত। সেই অদ্ভুত জীবনের মাঝেই কখনো হাসি কখনো কান্না। এমনই হাসি কান্নার সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর "অপেক্ষা"। কিসের অপেক্ষা? মানুষ সারাটি জীবন অপেক্ষা করে, কিসের অপেক্ষা করে তা সে নিজেও জানেন না! গল্পের প্রতিটি চরিত্রই ভালো লেগেছে, সুপ্রভার জন্য অবশ্যই আফসোস থাকবে। একদম বাস্তব জীবনের মতোই সাজানো হয়েছে প্রত্যেকটি ঘটনা। হুমায়ুন স্যার এর বই আর রহস্য থাকবেনা, তা তো হয়না। এই গল্পের শেষেও লুকিয়ে আছে রহস্য। ব্যাক্তিগত অভিমতঃ ৯/১০

      By Tanvir Ibn kalam

      11 Apr 2021 07:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Sei ❤️

      By Nazim Rahman

      10 Apr 2021 01:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয় একজনের দেয়া বই, এই বই পড়েই লেখক হুমায়ন আহমেদ কে এত ভাল লাগা

      By Shariful Islam

      01 Apr 2021 08:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আজকেই রকমারি থেকে প্রথম অর্ডার করলাম।আশা করি ভালো কিছু পেতে যাচ্ছি......??

      By Al Walid

      24 Mar 2021 04:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By সত্যের বানী

      21 Mar 2021 11:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      valo

      By Mahdia Ruza

      21 Mar 2021 11:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী একটি বই । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসাহ থাকে বইটি পড়ে শেষ করার ।হুমায়ন আহমেদ এর বই পড়ে খারাপ লাগবে না করো কখনো । ঠিক তেমনই একটি বই এটা ।

      By Nafiul Alam Rafin

      16 Mar 2021 09:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Just wow!!!

      By HaFsa IsLam

      07 Mar 2021 09:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদের অপেক্ষা বইটা অসাধারন।

      By Siam Haque

      21 Feb 2021 02:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই ভালো

      By Habibur Mejbah

      13 Feb 2021 06:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া স্যার এর ২য় শ্রেষ্ঠ বই। অসাধারণ লেগেছে এক কথায়। রকমারি থেকেই নিয়েছিলাম?

      By Sumona

      03 Feb 2021 11:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Much better

      By Alif Ahammad

      02 Feb 2021 07:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Amazing book.

      By Sanjida Tasneem Shammi

      19 Jan 2021 10:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব পছন্দের! পড়া শেষে একটা হাহাকার থেকেই যায়

      By Jony

      28 Dec 2020 09:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা। লেখকের সেরা বই। খুব ভালো লেগেছে।

      By Anika

      22 Dec 2020 12:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা বইটা খুবই সুন্দর। বইটা পড়ার সময় আমি নিজেও যেন একটা অপেক্ষার সাগরে ডুবে গিয়ছিলাম। মনে হচ্ছিল এই বুঝি ইমনের বাবা আসল,সুরাইয়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। কিন্তু পড়তে পড়তে বইটি ঠিকই শেষ হলো কিন্তু প্রশ্ন রয়েই গেল ইমনের বাবা কি আদৌ এসেছিল। অপেক্ষার প্রহর কি শেষ হয়েছিল? হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইটা পড়েও আমি মন্ত্রমুগ্ধ।

      By Abu Yousuf Akash

      15 Dec 2020 03:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস। এজন্য আমার লজ্জাবোধ করা উচিত কারণ জীবনে ১০০ এর বেশি বই পড়েছি কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বই পড়া হয়নি। তবে ২১ সালে হূমায়ুনের বইগুলো শেষ করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ। ইতিমধ্যে মিসির চলি সংগ্রহ করেছি। অপেক্ষা উপন্যাস হুমায়ুন আহমেদের এক অনন্য সৃষ্টি। তার সেরা দশ উপন্যাসের মধ্যে অপেক্ষা একটি। যাদের বই পড়ার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই তারা অন্তত এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন। ইনশাআল্লাহ অপেক্ষা পড়ার পরে বইয়ের প্রতি আপনার আকর্ষন তৈরি হবে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে অপেক্ষা নামের ব্যাপারটির খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক। কিন্তু মৃত মানুষের জন্য কেউ অপেক্ষা করে না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য। "ঘর খুলিয়া বাইর হইয়া জোছনা ধরতে যাই আমার হাত ভর্তি চাঁদের আলো ধরতে গেলেই নাই ।। " হ্যাপি রিডিং #আকাশ

      By Robiul Hossain

      02 Dec 2020 08:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম?অনেক কিছু শিখার আছে এর মধ্য থেকে কয়েকটি উক্তি আমার অনেকবেশি ভালো লাগছে ১-মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না, আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে। ২-মানুষের জীবন কি চক্রের মতো? চক্রের কোনো শুরু আছে, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় এক চক্রের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই। কিসের অপেক্ষা? ৩-পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বৃষ্টি, মানুষের ভালোবাসা। ৪-কেউ কারো মতো হতে পারে না, সবাই হয় তার নিজের মতো। সব মানুষই আলাদা।

      By Shahedul Islam Tasrif

      01 Dec 2020 09:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      All those books are so much good to read . I am very happy after reading those books . Thank you very much rokomari . I am very glad to have a nice relationship with you

      By Sumaya

      14 Nov 2020 04:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ghure fire sei ek ee daam. 25% char deyar age o 200ghore ee cilo er price. faltu.

      By Sajjad Shah

      14 Nov 2020 01:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Shohorab

      10 Oct 2020 12:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ- অপেক্ষা লেখকঃ- হুমায়ুন আহমেদ অপেক্ষা বইটি পড়তে না চেয়েও পড়েছি। একটু বেশি সময় নিয়েই পড়েছি। বন্ধুর থেকে বইটি গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে আনলেও প্রায় ৭-৮মাস পর বইটি পড়ে শেষ করি এ-সময় তার কাছে আমার হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা কিছুক্ষণ বইটি ছিলো। আচ্ছা যাই হোক গল্পে আসি। বইটির মূল আকর্ষন অপেক্ষায় আপনি হয়তো একসময় অধৈর্য হয়ে যাবেন অপেক্ষার গল্প পড়তে পড়তে। কিন্তু একটা লেখক যে এই অপেক্ষার বিষয়টি এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলবে তা অবাক করার বিষয়। ইমন হলো গল্পের অন্যতম পার্ট, তার সাথে তার বোন সুপ্রভা ছিলো গল্পের আকর্ষণ। যার চলে যাওয়ার বিষটি আমাকে ব্যাধিত করে। তবে একটা বিষয় কি এখানে লেখক খুব সুন্দর করে একটা বিষয় বুজিয়ে দিলো যে আমরা মরে যাওয়া মানুষকে ভুলে যাই,কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করি। অপেক্ষা গল্প পুরোটা অপেক্ষা অপেক্ষাতেই শেষ হয়। আমিতো অপেক্ষায় ছিলাম হয়তো একটা সময় ইমনের বাবা ফিরে আসবে এসে দেখবে ইমন অনেক বড় হয়ে গেছে, সুপ্রভা নামে তার একটা মেয়ে হয়েছে। ইমনের বিয়ের দিন পর্যন্ত এ অপেক্ষা তেই গল্প পড়ছিলাম। কিন্তু বইটি যে হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা উনি পাঠকের মন মতো নয় গল্পের মতোই গল্প লেখে ঠিক যেমনটা হয়েছিলো বাকের ভাই কাহিনি নিয়ে। এখানে এর ব্যাতিক্রম হয়নি লেখক তার গল্পকে গল্পের মতোই এগিয়ে নিয়েছে যা পাঠকের মন মতো না হলেও পরবর্তীতে পাঠকের হৃদয় ঠিকই গল্পটি স্থান করে নিয়েছে। তবে আবার বলছি সুপ্রভা না মরলে ভালো হতো।

      By Turzo Halder

      07 Oct 2020 09:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Imotional হয়ে গেছিলাম।(সুপ্রভা এর মৃত্যর পর)

      By arafat

      04 Oct 2020 06:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বলার ভাষা নেই।

      By NEPUR

      27 Sep 2020 10:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awesome book

      By Mehedi Hasan Nabil

      27 Sep 2020 07:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোটামুটি ভালই লেগেছে । গল্পটা সুন্দর 3

    • Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন স্যার এর সেরা সৃষ্টি এই বইটি। স্যারকে এই একটি বই দিয়েই বিশেষায়িত করলেই যথেষ্ট হবে তিনি কি তা কাউকে বোঝানো। সমসাময়িক বিষয়নিয়ে, একটি পরিবার নিয়ে, জীবনের কঠিন বাস্তবতা , জীবনের সার্থকতা, ভালোবাসার সঙ্গা যেনো সবকিছুর একটা সুন্দর যৌগ এই উপন্যাস। আমি মনে করি প্রতিটি ছেলে মেয়ে কে বিয়ের বা কাউকে ভালোবাসার আগে এটি পড়া উচিত।

      By shakibul hosen

      06 Sep 2020 08:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব ভালো একটি বই । তবে হুমায়ুন স‌্যার হেপি ইনডিং দিলে আরো ভালো লাগতো।

      By syed ashraful alam

      04 Sep 2020 02:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      joss

      By Mustafijur Rahman

      30 Aug 2020 06:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা সৃষ্টি ... আমি বলব বাঙলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাস ...

      By Sumaya Khatun Mukta

      25 Jul 2020 11:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসের শেষেও আগ্রহ থেকেই যায়। ইমনের বাবা কি ফিরে আসল তাহলে?? কিন্তু পরিষ্কার ভাবে লেখা নেই

      By Abdullah Al Mahmud

      16 Jun 2020 07:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ন আহমেদ এর বইগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বই অপেক্ষা ❤️

      By Mohtamim Joy

      31 May 2020 07:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসটি শেষ না করে উঠতে পারলাম না। একরকম নেশার ঘোরে ঢুকে গিয়েছিলাম। সত্যিই অসাধারণ।

      By Abu bokor

      03 May 2020 01:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পড়তে পড়তে কখন যে চোখ দিয়ে পানি আসলো বুঝতেই পারলাম না। মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামক ব্যাপারটা খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে বেঁচে থাকার টনিক

      By snigdha Tabassum

      25 Mar 2020 05:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যিই অসাধারন একটা বই।অপেক্ষার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেক কিছু,,,,,,,,,

      By Sharmin Akter

      04 Mar 2020 10:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পছন্দের বইয়ের মধ্যে একটি। পড়লে নিরাশ হবেন না।

      By Md Nazrul Islam Baki

      03 Mar 2020 02:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Sob Miliye Valo Selo.

      By Mehedi Muhammad

      01 Mar 2020 08:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক মস্তিষ্ক বিকৃত মহিলার আত্মকাহিনী। উচিত ছিল, গল্পের মাঝখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া, তা না করে সাসপেন্স জমিয়ে গল্প টেনে নিয়ে গেছে। অনেক ঘটনা আর চরিত্র মনে হইছে অতিরঞ্জিত! তবে মিতু মেয়েটা বেশ ছিল। বাসর রাতে তুই-তুমি নিয়ে দ্বিধা উপভোগ্য লেগেছে। জানি, প্রথমবার পড়লে নিজের ভেতরে চাপা উত্তেজনা কাজ করে। তবে আমি অন্তত ৫ বার পড়েছি। এরপর যা বুঝলাম, Rating- 6/10 ?

      By শরীফুল কাদের

      26 Feb 2020 03:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস মানেই বিষণ্ণতা। হাসতে হাসতে বিষণ্ণতা, কাঁদতে কাঁদতে বিষণ্ণতা। অপেক্ষাও বিষণ্ণতার গল্প। কাহিনীঃ ৪/৫ বর্ণনাঃ ৫/৫

      By Redoan Sakib

      22 Feb 2020 02:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      One of the best of Humayun Ahmed sir ever!

      By Maruf Ahmed

      18 Feb 2020 09:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুরাইয়া ও হাসানুজ্জামানের পুত্র ইমনের বয়স ৫ বছর তিন মাস। হাসানুজ্জামান একদিন অফিস থেকে আর বাসায় ফেরে না। সে কোথায় আছে, কি হয়েছে কেউ জানে না। সুরাইয়া দিন দিন মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে। এর ভেতর আবার সুপ্রভাও জন্ম নেয়। ইমন তার চাচার কাছেই বেশি মজা পায়। তার সাথে থাকতেই ভালো লাগে। মাকে ভালো লাগে না কারন মা সবসময় বকে। ইমনরা তার মামার বাসায় থাকে। সেখানে তার মামাতো বোন মিতুর সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। ফাইনাল এক্সামে তিন সাবজেক্ট ফেল করার জন্য মায়ের নির্দেশমতো সুপ্রভা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সুরাইয়া আগের বাসায় ভাড়ায় থাকে ইমনকে নিয়ে। ইমন এখন বড়, দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শেষমেষ মিতু ইমনকে বিয়ে করে। সুরাইয়ার বিশ্বাস আজ রাত্রেই হাসান ফেরত আসবে। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠল,তার উঠার মতো শক্তি নেই। "জগতের কোনো দুঃখই কম না।ছোট দুঃখ,বড় দুঃখ সব দুঃখই সমান।" "জন্মের পর থেকে মানুষ মৃত্যুর অপেক্ষা করে কিন্তু কখনো তা বুঝতে পারে না।"

      By Adil Khan

      14 Feb 2020 03:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া স্যারের অন্যতম উপন্যাস

      By Joynob Binte Hossain

      10 Feb 2020 01:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।

      By juwel rana

      09 Feb 2020 07:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      amar porar moddhe best boi cilo a t

      By Rubayet Ferdous Alvi

      09 Feb 2020 10:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

      By অল্প

      06 Feb 2020 01:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Such a beautiful read. One of my favourite quotes from the book is "Life is a circle. There is no end to it. We all wait for something. Some wait for people to come back. Others for death."  The story revolves around a family that is torn apart when the father disappears, leaving behind a son and a pregnant wife. Thus begins their life of uncertainty. For the children to survive, for the mother an endless journey of waiting for her husband, who she believes with all her heart will come back one day.  It is a very "Humayun Ahmed-ish" novel, with the signature female characters who talk in mysterious manners, the man who doesn't speak much and the endless pursuit of happiness. © Redwan Orittro

      By Md Shahnewaz

      05 Feb 2020 09:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ???

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      28 Jan 2020 11:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আশা করি যে কোনো পাঠকের ভালো লাগবে বইটি পড়তে। হুমায়ুন আহমেদ স্যার এত প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছেন যে আপনি বই ছেড়ে উঠতেই পারবেন না। পড়ে দেখতে পারেন।

      By Marjiya

      07 Oct 2021 05:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা উপন্যাস

      By Deb Mridha

      14 Jan 2020 10:02 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন স্যারের বই গুলোর মধ্যে লাস্ট পরছিলাম এই বই, সত্যিই অপেক্ষা নাহ থাকলে বেঁচেথাকার মধ্যে কোনো আনন্দ থাকতো নাহ।

      By Sowaib Simanto

      18 Dec 2023 10:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর একটি উপন্যাস?

      By Md. Masum

      08 Jan 2020 03:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ-অপেক্ষা লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ ক্যাটাগরিঃউপন্যাস ---------------------------------- মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটা খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে বেঁচে থাকার টনিক।হোক সে অপেক্ষা কোন মানুষের জন্য হোক কিছু পাওয়ার জন্য,ঠিক তেমনি একটি অপেক্ষার হাত ধরে এ উপন্যাসের এগিয়ে চলা।

      By Ahsan ANik

      29 Dec 2019 04:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      “অপেক্ষা” শব্দটিই অনেক কষ্টের! প্রতিটি মানুষের মাঝে খুব সুন্দর করে বাঁচতে ইচ্ছে জাগে- কেননা সে কোন না কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করে! স্যারের লেখা বই গুলির সেরা ১০টি বই এর মধ্যে ‘অপেক্ষা’ একটি!! .... মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ইমন, হঠাৎ করে একদিন ইমনের বাবা নিখোঁজ হন, ইমনের মা সুরাইয়া বেগম তার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইমনের বিয়ের রাতে তার বাবা ফিরে আসবে! ইমন ও তার ছোটবোন কে নিয়ে জীবন যাপন দু:বিসহ হয়ে পড়ে বলে তারা মামার বাড়িতে চলে যায়!! ... ... ... গল্পের নায়কা ‘মিতু’ যে ছোট বেলায় ইমনকে অনেক ভাবে অপমান করে—“ঠিক বিশ বছর পর সে মেয়েটি বাবার ঘরে ঢুকে শান্ত ভঙ্গিতে বলবে—‘বাবা আমি ইমন কে বিয়ে করতে চাই!!’ ... গল্পে সুরাইয়া ইমনের বাবার জন্য অপেক্ষা করেন! মিতু ইমনের জন্য! সবাই কোন না কোন কিছুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন! গল্পের মতো করে পাঠক গনও কোন না কোন কিছুর অপেক্ষা করে যাচ্ছেন!! বইপ্রেমীদের বলছি, আপনি যদি সত্যিই কোনকিছু বা কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকেন, অবশ্যই বইটি আপনার পড়া উচিত! কথা দিচ্ছি নিরাশ হবে না!!♥️

      By Rayhan Ahmad

      25 Dec 2019 07:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কেউ যদি বলে সে হুমায়ূন আহমেদ অনেক পড়ে, তাকে জিজ্ঞেস করবেন অপেক্ষা পড়েছে কিনা। যদি বলে, পড়েছে। তাহলে ধরে নিবেন অবশ্যই সে হুমায়ূন আহমেদ পড়েছে। আর যদি তার উত্তর হয় না। তাহলে ধরে নিবেন সে হুমায়ূন আহমেদ কিছুই পড়েনি। এক কথায় অসাধারণ একটি বই অপেক্ষা। যেখানে বারবার ঘুরেফিরে দেখানো হয়েছে, মানুষ বেঁচে থাকে অপেক্ষা করে। যার কোনো অপেক্ষা নেই সে বেঁচে থাকার কোনো কারণ খুঁজে পায় না। জড়া তাকে গ্রাস করতে থাকে। আর অপেক্ষাহীন মানুষ তা গ্রহণ করে নেয়। একটা পাঁচ বছরের ছেলেকে (ইমন) নিয়ে শুরু এ উপন্যাস। শেষও হয় তাকে দিয়েই। ইমনের মা সুরাইয়া তার হারিয়ে যাওয়া স্বামীর জন্য অপেক্ষায় কাটিয়ে দেন তার সারা জীবন। দমনের বড়ো মামা তার ভাগ্নির জন্যে অপেক্ষায় থাকতেন। তার ভাগ্নি সুপ্রভা মারা যাওয়ার পর তিনি বদলে যান। নানান রোগ তাকে গ্রাস করে। এক কথায় অসাধারণ একটি বইয়ের নাম অপেক্ষা। হুমায়ুন সাহিত্যে এ-র চেয়ে ভালো বই খুব কমই আছে বলে আমি মনে করি...

      By Mehedi Manik

      19 Dec 2019 02:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা হুমায়ূন আহমেদের বহুল পঠিত ও জনপ্রিয় উপন্যাসের একটি। এই উপন্যাসটি বিখ্যাত হয়েছে মূলত এর মূল-বিষয়বস্তুর জন্য। কি সেই বিষয়বস্তু? হ্যাঁ, সেটা - অপেক্ষা। লেখকের ভাষায়- আমরা কখনোই মৃত মানুষের জন্য অপেক্ষা করি না। আমাদের সকল অপেক্ষা জীবিত মানুষের জন্য। যার মৃত্যুর নিশ্চয়তা আমরা পেয়েছি তার জন্যও কেউ অপেক্ষা করবে না সেটাও আমরা জেনে গেছি? কিন্তু যে মানুষ আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে কিন্তু আমরা জানিনা সে জীবিত নাকি মৃত। এমন অবস্থায় আমাদের কি অপেক্ষা করতে হবে নাকি ধরে নিতে হবে সে মৃত? মৃত ধরে নেওয়াটা খুব নেতিবাদীতা হয়ে যায়। আমরা তাদের জন্য অপেক্ষাই করি। কিন্তু যে লোক আসবে তার জন্য অপেক্ষা আর যে আসবে কিনা নিশ্চয়তা নেই তার জন্য কি করবো? তার জন্যও অপেক্ষাই করবো। আর সেই অপেক্ষা হবে দুঃসহ উত্তেজক। স্নায়ু নিপীড়ক। ইমনের বাবা হাসানুজ্জামান এক দিন ঘর থেকে বেরিয়ে আর ফিরেন নি। কিন্তু তার স্ত্রী সুরাইয়া প্রতিনিয়ত অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে- এই বুঝি এলো! তাদের ছেলে ইমন, মেয়ে সুপ্রভা বড় হতে থাকে। একদিন এক পীর সুরাইয়াকে বলেছিল যেদিন ইমনের বিয়ে হবে সেদিনই ফিরে আসবে হাসানুজ্জামান। কিন্তু ইমনের বিয়ে কি হলো? বা কার সঙ্গে? আর যদি হয়েও থাকে সেদিন আদৌ কি হাসানুজ্জামান কি ফিরেছে? সুরাইয়া কি তার দীর্ঘকালের অপেক্ষার শিকল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে? জানতে হলে পড়তে হবে বইয়ের শেষ লাইন অবধি এবং পড়া শেষ করেও চোখ বন্ধ করে এক ধ্যানে ভাবতে হবে- কি হলো?

      By Tanmoy Debnath

      08 Dec 2019 11:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ন স্যার মানেই , অন্যরকম কিছু । নিরন্তর মনে পরবে তাকে

      By Zannat Mim

      02 Dec 2019 10:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক প্রিয় একটি বই।বিষাদ মাখানো বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইটিতে।একজন স্ত্রী,,সুরাইয়া বেগমের বছরের পর বছর অপেক্ষা তার স্বামীর জন্য।হঠাৎ একদিন ভদ্রলোক আর বাড়ি ফেরেনি। তার বিশ্বাস তার স্বামী তার ছেলের বিয়ের দিন ফিরে আসবে।হঠাৎ তার ছেলে ইমনের বিয়ের রাতে বেজে ওঠে কলিংবেল!

      By Pinky Dey

      02 Dec 2019 01:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মনের ভাব প্রকাশের যে কতটা প্রয়োজন তা বোঝানোর একটা অসাধারণ উপন্যাস । আমরা নিজেরাই আমাদের চারিদিকে মনের অজান্তেই অদৃশ্য দেওয়াল তুলে রেখে সেখানে কাউকে প্রবেশাধিকার না দিয়ে বরং নিজে নিজেই কষ্ট পাই।

      By মেহেদী হাসান

      20 Nov 2019 01:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ আসলেই একজন অসাধারন প্রতিভাবান লেখক।তার প্রতিটি বই আসলেই খুব ভালো লাগে! আমার দেখা সেরা লেখক! অপেক্ষা বইটাও খুব অসাধারন সৃষ্টি! খুব ভালো লেগছে!

      By MARIA ALAM

      19 Nov 2019 07:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সবার পড়ার মত উপযোগী এই বইটি।সকল বয়সী পাঠক এই বই টী পড়ে বুঝতে পারবেন। এই বইতে ব্যাবহৃত হয়েছে অপূর্ব ভাষাশৈলী। যা পাঠক এর মন নিমিষেই জয় করে নিবে। এই লেখকের অন্যতম সেরা বই এটি ।তাই সকলের এই বইটী পড়া উচিত।

      By Riajul Islam Rakib

      12 Nov 2019 08:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি পড়ার সময় প্রথমদিকে মনে হচ্ছিলো ঠোটে হাসির রোল পড়েছে..... যত পড়তে থাকি ততই হৃদয় স্পর্শ করতে থাকে।

      By raimahassan

      12 Nov 2019 01:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      just awesome. প্রথম বার ভাবলাম এত বড় উপন্যাস কিভাবে পড়বো। কিন্তু যখন পড়া শুরু করলাম শেষ না করে উঠতে পারলাম না ।

      By Rakib ul Hafiz

      11 Nov 2019 11:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জীবনের কয়েকটি ধাপের মিশ্র অনুভূতি ! !

      By Fahmida Nasrin

      10 Nov 2019 11:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ssc exam er por ei boita pori. Tokhon je onuvuti ta chilo;ajo ek e onuvuti hoy porar shomoy...oshadharon ekta boi ..ekmatro Humayun Ahmed er pokkhei shomvob eivabe manush ke kadano

      By Nh Nahid

      05 Nov 2019 09:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের অপেক্ষা বইটি মূলত পারিবারিক চক্রে আবদ্ধ একটি পরিবারের গল্প। যেখানে পরিবার প্রধান বাবার জন্যে অপেক্ষায় থাকে মা,যেখানে ইমন ও তার বোন সুপ্রভার কাহিনী উঠে আসে। সুপ্রভার জন্মের কিছুদিন আগে-ই ইমন ও সুপ্রভার বাবা বেমালুম গায়েব হয়ে যায়। পরিবারের উপর থেকে ছায়া সরে যাওয়ায় ছন্নছাড়া হয়ে উঠে তাদের জীবন। ইমনের মায়ের বিশ্বাস অব্যশই একদিন তার স্বামী ফিরে আসবেন।

      By তাসনিয়া আফরিন

      27 Oct 2019 10:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে

      By Md.Reduan Islam Ratul

      26 Oct 2019 07:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা শেষ হবার পর প্রথমেই যে কথা মনে হল এত তাড়াতাড়ি শেষ হল কেন।বইটি আমায় নিয়ে গিয়েছিল অন্য এক জগতে যেখানে কেবলই অপেক্ষা।সেই অপেক্ষার কোনো ইতি নেই। সুরাইয়া বেগমের তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা,আছে ইমনের তার ছোট চাচার জন্য অপেক্ষা। আশা করি সবাই বইটি পড়বেন।

      By Shakib Shahriar

      22 Oct 2019 02:10 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা জিনিসটা সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টের, কিংবা আনন্দেরও হতে পারে। যদি অপেক্ষার পরে আপনার মন তার গন্তব্যের দেখা পায়। টানাটানির এক সংসারের নির্মম বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেনে হুমায়ুন আহমেদ তাঁর এই বইটিতে। ইমনের মা অপেক্ষায় থাকে কবে তাঁর স্বামী ফিরবে। সে ফিরলে তাদের এই দিনগুলি আর থাকবেনা। স্বপ্নে মোড়ানো পৃথিবীতে তারা থাকবে সেদিন। কবে এই অপেক্ষা শেষ হবে তার? তখন ইমন কি অনেক বড় হবে? কেমন হবে সে? বাবার মতন? অদ্ভুত এক অনুভূতির সাগরে ডুব দিতে পড়ুন এই বইটি।

      By Fazlul Milon

      19 Oct 2019 11:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষার তো কোন মানে নেই তবুও নেই মানে জেনেও অপেক্ষা করতে হয় অপেক্ষায় থাকতে হয় । কেউ কেউ অপেক্ষায় রাখে । হুমায়ূন আহমেন এই অপেক্ষাকে গল্পে এঁকেছে একটি পরিবারের মধ্যে । গল্পের শুরু ইমনদের ফ্যামিলি মধ্যবিত্ত দিন গুলো দিয়ে । ইমন,ইমনের মা , ইমনের দাদী,ইমনের ছোট কাকা , ইমনের মামা আর ইমনের ছোট বোনের চরিত্র দিয়ে গল্প এগুতে থাকে । এভাবে গল্পের মাঝে এক সময় ইমনের ছোট বোন আত্মহত্যা করে । তারপর ইমনের কাজিনের সাথে প্রেম প্রেমে তাদের বিয়ে হয় । তাদের বিয়ের রাতে ইমনের মায়ের তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করা মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অপেক্ষা উপন্যাসের কিন্তু অপেক্ষার শেষ হয় কিনা তা স্পস্ট নয় ।

      By halfsa humiara

      19 Oct 2019 01:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      it is my one of the favourite novel.it says about life.it is a real life based novel.by rading this novel eveyone can understand the hardest reality of life.they will also understand about human behaviour.

      By Sinthiya

      16 Oct 2019 02:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি জানতাম আমাদের জীবনের ঘটনাগুলো পুনরাবৃত্তি হয়।চক্রাকারে চলতে থাকে।এই যেমন আমার মায়ের সাথে ছোটবেলায় যে ঘটনা গুলো ঘটেছিল আমি দেখতে পাই আমার সাথেও অনেক ক্ষেত্রে তাই হয়।আমার আব্বু ছোট বেলায় যে কান্ড কারখানা গুলো করত আমার ভাই ও নাকি তাই করে। এই যে পুনরাবৃত্তির ঘটনাটা এটা আমি মিলিয়েও মিলাতে পারতাম না।কেন হয় এমন!আসলে প্রকৃতি এমনই।হুমায়ূন স্যার এর বই পড়ে অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমে।কিন্তু আসলে সে পানি কেন আসে বুঝি না।ঘটনাগুলো আমার সাথে মিলে যায় বলে নাকি ভবিষ্যতে আমার সাথে এমন হতে পারে ভেবে নাকি উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে আবেগে। মৃতদের জন্য আমাদের কোন অপেক্ষা নেই আমাদের সকল অপেক্ষা তো কেবল জীবিতদের জন্যে।আসলেই আমরা মৃতদের জন্য অপেক্ষা করি না।একটা সময় হয়তো তাদের ভুলেও যাই।কিন্তু জীবিতরা আমাদের অপেক্ষা করিয়ে যায় বরাবরের মতো।আর তারাই আমাদের মরতে মরতেও বেঁচে থাকা শিখায়। আমার ভাইটাও ইমনের মতো কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে,এর শেষ কোথায় হবে আমি জানিনা।

      By তাসিন আহমেদ

      05 Oct 2019 04:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই রিভিউ : বই: অপেক্ষা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী : আফসার ব্রাদার্স ক্যাটাগরি : উপন্যাস পৃষ্ঠা: ২২০ মূল্য: ২৫৫ রিভিউ: আমাদের জীবনের বড় অংশ জুড়ে অপেক্ষা। সবারই কিছু না কিছু অপেক্ষা থাকে। কারো অর্থের অপেক্ষা, কারো বা ভালো সময়ের অপেক্ষা, সুখের অপেক্ষা, কারো ফিরে আসার অপেক্ষা। শুধু মৃত মানুষের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। করি জীবিত মানুষের জন্য। সুরাইয়া অপেক্ষা করছেন হাসানুজ্জামানের জন্য। ইমন তখন পাঁচ বছরের বাচ্চা ছেলে। সুরাইয়ার ভেতর আরেকটি অস্তিত্ব মাত্রই বড় হয়ে উঠছে। এসময় হঠাৎ হারিয়ে যান হাসানুজ্জামান। শুরু হয় সুরাইয়া অপেক্ষা করা। তার বিশ্বাস হাসানুজ্জামান বেঁচে আছে। ইমনের যেদিন বিয়ে হবে সে রাতেই ফিরে আসবে হাসানুজ্জামান। সুরাইয়ার অপেক্ষা বাড়তে থাকে। যেন অনন্তকালের অপেক্ষা। ইমন ও সুপ্রভা বড় হয়। সুরাইয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আচরণ করে। এর প্রভাব পরে ইমন ও সুপ্রভার উপর। সুরাইয়ার এই অপেক্ষার পরিণতিই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনের। মানুষের জীবন চক্র নিজের মতো ঘুরে। আশেপাশেন মানুষগুলো কখনো একটু পরিবর্তন হয় বা কখনো বা সম্পূর্ণই বদলে যায়। ইমনের বিয়ের রাতে ফিরে এসেছিলেন কি হাসানুজ্জামান? সুরাইয়া কলিংবেলের তীব্র আওয়াজ শুনছেন। কিন্তু কে এসেছে? জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের - "অপেক্ষা"। পাঠ প্রতিক্রিয়া : অসাধারণ একটি বই। পড়ার সময় কখনো ঠোটের কোণায় হাসি ফুটে উঠে, কখনা বা চোখের কোণায় জল। পড়ে দেখুন অনেক ভালো লাগবে। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.২/৫

      By Md. Mojnu Miah

      28 Sep 2019 09:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য একটা বইয়ে যা থাকা দরকার লেখক তার লিখুনীতে সেটা করতে পেরেছেন বলেই, বইটি শেষ না করে উঠতে পারলাম না । পড়ার সময় বারবার মনে হয়েছিল, আর একটু পড়ি- দেখি তো ইমনের বাবা ফিরে আসে কী'না? কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকাটা যে কত বেদনার, সুরাইয়া চরিত্রের মাধ্যমে লেখক সেই চিত্রটি তুলে ধরেছেন । অপেক্ষার মুহুর্তগুলো দীর্ঘ হয়। কষ্ট হয় আরো তীব্র। সুরাইয়ার অপেক্ষাও তীব্রতর। বইটির কিছু লাইন যা আমার অনেক ভাল লেগেছে- "পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না । যেমন ধর জোছনা, বৃষ্টি, মানুষের ভালবাসা ।" "মানুষ খুব অদ্ভুদ প্রাণী, কখন কোন নেশা ধরে যায় বলা কঠিন ।" "মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে অপেক্ষা নামের ব্যাপারটি খুব প্রয়োজন । অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক ।" "প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজার করেই দেয় । যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না । ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল ভয়ংকর ।" "স্নেহ-মমতা-ভালবাসা এই ব্যাপারগুলি আসলেই খুব অদ্ভূদ । কোনো জাগতিক নিয়মকানুনের ভেতর এদের ফেলা যায় না ।" "পেনসিলে আঁকা ছবি পছন্দ না হলে রাবার দিয়ে ঘসে তুলে ফেলা যায় । অপছন্দের কথা মুছে ফেলার কোন ব্যবস্থা নেই ।" "সব মানুষের মধ্যেই কিছু কিছু পাগলামী আছে ।" "প্রচন্ড শারীরিক যন্ত্রণার সময় কোন প্রিয়জনকে ডাকতে ইচ্ছা করে ।" "কেউ কারো মত হতে পারে না । সবাই হয় তার নিজের মত ।" "যে যেমন তার সাথে সে রকমই আচরণই করতে হয় ।" "বোকা ছেলেরাই কাঁদে" "মানুষেরও মাঝে মাঝে কচ্ছপের মত অবস্থা হয় ।" "দশ হাজার টাকা হারিয়ে গেলে কুড়ি বছর পরেও সেই টাকার শোকে মানুষ কাতর হয় । মানুষ হারিয়ে গেলে কুড়ি দিন পরই আমরা মোতামুটিভাবে তাকে ভুলে যাবার চেষ্টা করি ।" "জগতের কোন দুঃখই কম না । ছোট দুঃখ, বড় দুঃখ, সব দুঃখই সমান ।" "বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোন বিশ্বাস নাই ।" "কোন কোন দিন মন খারাপ হবার মত ব্যাপার ঘটলেও মন খারাপ হয় না বরং মন ভাল হয়ে যায় ।" "ফেরেশতার মত মানুষ কখনো ইন্টারেস্টিং হয় না ।" "মানবজীবন কি চক্রের মত? চক্রের তো কোনো শুরু নেই, শেষও নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন কি ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ ও নেই।চক্র ঘুরছে তো ঘুরছে ই ।"

      By Maimuna Tasnim

      08 Sep 2019 08:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছোট ছেলে ইমন খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়ে যেতে দেখে। একদিন বাবা অফিসে গিয়ে আর আসে না। পরিবারে থেকে যায় ইমন, মা, তার দাদী আর আর তার ছোট চাচা। দাদী আর তার মায়ের সম্পর্ক টা খুব একটা মধুর ও না। একসময় ইমনের একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় ছোট চাচা। তাদের সম্পর্কের খুনসুটি নানা ভাবে পাঠক কে আকৃষ্ট করে...... কিন্তু না না কারণে তার আর সেইখানে থাকা হয় না তাদের। সদ্যজাত জন্ম নেয়া বোন সুপ্রভা কে নিয়ে তাদের যেতে হয় মামার বাসায়। ইমনের ছোট জীবন আস্তে আস্তে জটিল হতে থাকে....... এক অনবদ্য জীবন দর্শন এর দেখা পাওয়া যায় যা পাঠকে কাঁদতে বাধ্য করে। সর্বোপরি জীবনে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষাই স্থায়ী থাকে।

      By Abdullah Bhuiyan

      14 Sep 2019 11:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা সবসময় কিছু মুহূর্তের জন্য মানুষের মনের গভীরে একটা উন্মাদনা তৈরি করে। কিন্তু সময়টা দীর্ঘ হতে থাকলে নদীর পাড়ের মতো আশাও ভাংগতে থাকে। অন্তহীন অপেক্ষা রূপ নেয় বিভীষিকায়। মানুষ তখন ক্রমশ সেই বিভীষিকায় ডুবতে থাকে। জানে এই অপেক্ষার কোন মানেই হয় না। তবুও অপেক্ষা করাটাই নিঃশ্বাসের মতোই অভ্যাসে পরিণত হয়। জীবন থেমে থাকে না। থেমে যায় মনটা। হারিয়ে যায় মিলিয়ে যায় মনের চাওয়া পাওয়া। মুগ্ধ হতে ভুলে যায় সে। পরজীবী হয়েই যেন নিজের দেহে বাস করে সে। কিন্তু পিছুটান থেকে নিজেকে সরাতেও পারেনা। যখন সে দুই সন্তানের মা। ছেলে মেয়েকে নিয়েই জীবনের হিসাব চালিয়ে যেতে হয়। পৃথিবীর প্রতি জন্মে এক জনমের বিতৃষ্ণা। একটা মেয়ের স্বামী হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে সেই মেয়ের জীবন কতোখানি জীবন থাকে আর কতোখানি যাতনায় ভরা থাকে তা সুরাইয়াকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে সুরাইয়া যখন ভাইয়ের সংসারে আশ্রয় নেয় তখন কতোখানি অসহায় আর নিরিহ লেগেছে ওকে তা বলার কিছু নেই। যার যায় সেই তা জানে। সব সময়ই হেরে যাওয়া এক মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দেখেছি। এতোকিছুর মাঝেও যেন কি একটা আশা রয়ে যায়। কেউ একজন ফেরার আশা। মামা ভাগনীর সম্পর্ক যে কতোটা ভালবাসার স্নেহের আবদারের তা সুপ্রভা আর রশিদ সাহেব কে দেখে বুঝা যায়। সুপ্রভা হুটহাট মামার অফিসে এসে পেপসি খেতে চায় বলে ভাগ্নির জন্য একটা ফ্রিজই কিনে ফেললো। ফ্রিজ ভর্তি থাকতো পেপসিতে। যেন সুপ্রভা পেপসি খেতে চাইলেই দিতে পারে। সুপ্রভা পেপসি খাওয়ার সময় রশিদ সাহেব চোখ মুখ বিকৃত করে বলতো- কি সব খাস এগুলো। দেখি গ্লাসে একটু ঢেলে দে। বলছিলাম হুমায়ূন আহমেদ এর অপেক্ষা বইয়ের কথা। পড়েছি প্রায় বছর তিনেক আগে। কিছুদিন ধরেই সেই বইয়ের কথা খুব করে মনে পরছে। তাই স্মৃতি হাতরে লিখার চেষ্টা। চরিত্র গুলোর নামও হয়তো গুলিয়ে ফেলতে পারি। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকলো।

      By Anik Hassan

      10 May 2019 09:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "মানবজীবন কি চক্রের মত? চক্রের তো কোনো শুরু নেই, শেষও নেই।মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন কি ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ ও নেই।চক্র ঘুরছে তো ঘুরছে ই।" হ্যাঁ,কথাগুলো বলেছেন স্যার হুমায়ুন আহমেদ তার অসাধারণ "অপেক্ষা' উপন্যাসে।কথাগুলো উপন্যাসের কোথায় আছে তা আমি বলছি না।তবে এ কথাগুলোকে পুরো উপন্যাসটির প্লট বলা যেতে পারে।কারণ এ বাস্তবতার উপর ভিত্তি করেই ইমন, ইমনের মা সুরাইয়া,বোন সুপ্রভা,ছোট চাচা ফিরোজ, বড় মামা জামিলুর রহমান, মামাতো বোন মিতুর জীবনকাহিনী।স্যার হুমায়ুন আহমেদ তার এই উপন্যাসে খুব সূক্ষ্মভাবে তাদের জীবন কাহিনী খুব দক্ষতার সাথে সুখ আর দুঃখের সংমিশ্রণের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ইমনের পাঁচ বছর বয়স থেকে বিববাহ করা পর্যন্ত এই উপন্যাসের বিস্তৃতি। উপন্যাসটি একটি সমকালীন উপন্যাস।উপন্যাসের প্রতিটি ঘটনাই পাঠকের মনকে ভারাক্রান্ত করবে,সৃষ্টি করবে এমন এক অদ্ভুত অনুভূতি যা অন্য সব অনুভূতিকে হার মানাবে।না, এ অনুভূতি আনন্দের নয়,এ অনুভূতি কষ্টের আর বেদনার যা আপনার হৃদয়কে দুঃখে ভারাক্রান্ত করে তুলবে,নাড়া দিবে আপনার আত্মাকে। উপন্যাসটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ইমন।পাঁচ বছরের ছোট্ট ইমন শৈশব থেকেই মুখোমুখি হয় জীবনের কঠিন বাস্তবতার।তার প্রভাব হয়তো তাকে সেই সময় অর্থাৎ শৈশবে গ্রাস করেনি,কিন্তু বড় হওয়ার পর ঠিকই সেই প্রভাব তাকে গ্রাস করে।তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ তার ছোট চাচা।ছোট চাচা ফিরোজ খুবই মজার একজন মানুষ।তিনিই ছিলেন ইমনের কঠিন সময়ের একমাত্র সাথী।আর তার মা? ইমনের বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রভাকে জন্ম দিয়েই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং অসুস্থ হয়ে যান।তখন তিনি তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে তার বড় ভাই জামিলুর রহমান এর বাসায় উঠেন।তার দুই ছেলে শোভন আর টোকন এবং এক মেয়ে মিতু।মিতু ইমনের সমবয়সী এবং অসম্ভব রূপবতী।মামার বাসাতেই ইমন ও সুপ্রভার বেড়ে ওঠা।এবং এখানেই ইমনের জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।অত্যন্ত মেধাবী ইমন একসময় পরীক্ষা ড্রপ দেয় এবং জগতের নিষিদ্ধ বস্তু, কাজে জড়িয়ে পড়ে।ঠিক সেই সময় ইমনের মামাতো বোন মিতু চরম দুর্দশায় ইমনের পাশে এসে দাঁড়ায়। এখন প্রশ্ন,উপন্যাসের নাম 'অপেক্ষা' কেন? একটা জায়গায় লেখক কিছু কথা বলেছেন, "মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটির খুব প্রয়োজন।অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার মূল ভিত্তি।" ইমনের মা মনে করেন একদিন ইমনের বাবা ফিরে আসবেন।এই অপেক্ষায় তিনি তার গোটা জীবন কাটিয়ে দেন।কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তিনি আসেন? জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অসাধারণ উপন্যাস "অপেক্ষা"। বই:অপেক্ষা লেখক:হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশক:আফসার ব্রাদার্স ধরন:সমকালীন উপন্যাস মূল্য:২৫৫/= মাত্র

      By Mithila Arman

      23 Apr 2019 04:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "অপেক্ষা" শব্দটি অনেক কিছুই প্রকাশ করে। দীর্ঘ দিন কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকার পর তাকে ফিরে পাওয়া বুঝিয়ে দিয়েছে কখনো বিশ্বাস হারাতে নেই।সবাইকে বলবো বইটি পরে দেখুন আাশা করি ভালো লাগবে সবার

      By Nayem Hasan Showrab

      03 Apr 2019 10:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কষ্ট মেশানো ভালোবাসার গল্প । দীর্ঘ সময় অপেক্ষা একজন এর আসায় ।

      By md aashiq

      31 Mar 2019 12:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুরাইয়া সে তার ছেলেকে নিয়ে চিন্তায় আছে।সেও তার বাবার মতো হয়ে যাচ্ছে রোবট মানব।কোনো কিছুতেই আগ্রহ নেই।সুরাইয়া মনে মনে আজকে অনেক খুশি।এর কারন হলো সে ইমন এর বাবাকে(তারই স্বামী) সারপ্রাইজ দিবে।ঘরে নতুন অতিথি আসবে সে এইখবর সরাসরি দিতে চায় কারন সে দেখতে চায় এই খবরটা শুনে তার অনুভূতিটা কেমন হয়।কিন্তু সেরাতে ইমনয়ের বাবা আসে না।সেদিন কেনো কোনো দিনই আসে না।সুরাইয়ারা গিয়ে উঠে তার বড় ভাই জামিলুর রহমান এর বাসায়।সেখানে ইমন একা না,আছে তার দুই মামাতো ভাই শোভন এবং টোকন,মামাতো বোন মিতু।ইমনকে দেখতে প্রায় তার ছোট চাচা আসে।যেদিন আসে সেদিন ইমনের অনেক ভালো লাগে।ইমন ছোট চাচা অনেক পছন্দ করেন।সুরাইয়া দিন দিন কেমন যেন হতে থাকলো।কাউকে সহ্য করতে পারে না।ইমনের একটা ছোট বোন হয়।যার নাম সুপ্রভা।সুপ্রভা ইমনের বিপরীত।ইমন অনেক ভালো ছাএ।অথচ সুপ্রভা পড়ালেখাই করে না।তবে সবার সাথে তার ভালো খাতির।জামিলুর রহমানও সুপ্রভাকে অনেক পছন্দ করেন কিন্তু সে তা প্রকাশ করে না।ইমন প্রতিবারই ১ম অথবা ২য় হয়।ইমন একটা টিউশনি করায়।মেয়েটির নাম নবনী।অনেক বড় লোকের বড়।নবনী ইমনকে অনেক ভালোবাসে করে।জন্মদিনেে উপহার দিতে চায়,কোথায় যাবে সেখানে যাওয়ার জন্য গাড়ি দিতে চায় ইত্যাদি।মিতু নবনীকে পড়ানোর কথা জানতে পেরে খুবই রাগ করে।সে নিজেও জানে না সে কেন এই কথা শুনার পর রাগ করবে?ইমন নিজের পড়ালেখার খরচয়ের জন্য তা করতেই পারে।ইমনের মামাতো ভাইদের ঘর থেকে তার মামা বের করে দেন।ফলে তারা খারাপ পথে চলে যায়।যদিও তাদের সাথে ইমনের যোগাযোগ রয়েছে।একদিন সুরাইয়া তার ছেলে-মেয়ের উপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।মিতু আর ইমন বের হয় তাকে খুজতে।মিতুর ধারণা সুরাইয়া কমলাপুর রেলস্টেশনে আছেন।সিএনজিতে উঠে মিতু তার আর ইমনের বিয়ে প্রসঙ্গ তুলে।ইমন খুব রাগ করার চেষ্টা করলেও সে কেন যেন রাগ করতে পারে না।তার মনে হয় তার মনে হয় সে তার বাকি জীবনে এই মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে।সুপ্রভা পরীক্ষায় ফেল করায় সুরাইয়া তাকে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মরে যেতে বলে।সে সত্যি সত্যি লাফ দেয় এবং মারাও যায়।সুপ্রভা মারা যাওয়ার পর সুরাইয়া আলাদা বাসা নেয়।সেখানে সে আর ইমন থাকে।ইমন এখন কেমন যেন হয়ে গেছে।পড়ালেখা করে না,সিগারেট খায় ইত্যাদি।তার একজন পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না। নতুন বাসায় সুরাইয়ার সাথে পরিচয় হয় মুন্নী নামের এক মেয়ের সাথে।সুরাইয়ার ইচ্ছা মুন্নীর সাথে ইমনয়ের বিয়ে দিতে।মুন্নী আরেকটু ফর্সা হলে সে সরাসরিই বিয়ের কথা বলতো।পরে যদি নাতি-নাতনি গুলো কালো হলে তাদের বিয়ের সমস্যা হবে ভেবে এখনো কিছু বলেনা মুন্নীকে।মিতুর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। ইমনও মিতুকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করে না।শোভন ভাইকে পুলিশে ধরে।শোভন তার পিস্তল ইমনয়ের কাছে রেখেছে।ইমন মাঝেমধ্যে সে জিনিস নিয়ে বের হয়।তখন পুরো পৃথিবিকে তার পায়ের নিচে মনে হয়।সুরাইয়া ইমনয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।এক পীর বলেছিল যেদিন ইমনের বিয়ে হবে সেদিন ইমনের বাবা নাকি ফিরবেন।সুরাইয়ার এতো দিন এই কথা বিশ্বাস হলেও বিয়ের দিন কেন যেনো মনে হয় আর আসবে না।এমন সময় এই রাতের বেলা কে যেন কলিংবেল টিপলো।কে এসেছে কে? এই বইটি আমার দেখা যতজন কিনেছে সবারই খুব প্রিয় একটা বই এইটা।আমার নিজেরই খুব প্রিয় একটা বই এইটা।এই বইটি কারো ভালো লাগবে না এটা হতেই পারে না।লেখক খুব সহজ ও সুন্দর সাবলিল ভাষায় লিখেছেন তাই এতো সুন্দর হয়েছে বইটি।সুপ্রভা,নবনী,মুন্নী,ফিরোজ(ইমনের ছোট চাচা) এদের কাহিনি অল্প হলেও এদের কাহিনীও ভালো লাগবে।তবে এই বইয়ের শেষ অংশটা লেখক খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে যা বইটিকে আরো সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করেছে।লেখক এই বইয়ের শেষ পর্যন্ত আগ্রহ রাখতে পেরেছেন যা অন্য বইগুলোতে তেমন একটা দেখা যায় না।গেলেও সে ধরনের বই মোটামোটি কম।বইটি সবার পড়ার উপযোগী।বইটি সবার ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস।

      By Akash Mamon

      24 Mar 2019 08:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনের উত্থান, জীবনের নানা ঘাত-অভিঘাত পেরিয়ে এগিয়ে গেছে উপন্যাসের কাহিনী পরম্পরা। একজোড়া জমজ বোনের জন্ম থেকে বেড়ে উঠা এবং মাতৃহীন বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করার অভিজ্ঞতা-তাদের স্পর্শকাতর অনুভূতির এবং তাদের চোখেই চারপাশ দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা উঠে এসেছে। গল্পের প্রয়োজনে অপর কিছু চরিত্র, বাবা-মা, ছোট বোন, ভাড়াটিয়া চাচা, বন্ধু, স্কুল শিক্ষক, অনুরাগী বয়সী বন্ধু ও আরও কিছু পার্শ চরিত্র। বয়সন্ধিকালে যাবার আগেই দুই বোন নীলু-বিলু ও তিন বছরের আরও এক ছোট বোন একদিন শুনতে পায় তাদের মা বাবার প্রেসের কর্মচারী ও পারিবারিক বন্ধুর সাথে পালিয়ে গেছেন-আর ফিরবেন না। তাদের বাবা মেয়েদের বড় করে তুলতে চেষ্টা করেন। তবে শেষের দিকে ভেঙ্গে পড়েন-মদ্যপ হয়ে যান এবং প্রেসের ব্যবসা বেচে দেন। ভাড়াটিয়া ও পারিবারিক বন্ধু চাচা তাদের বাবাকে আবার বিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজি হন না তিনি। এত অভিঘাতেও বিলু এসএসসিত ভাল ফল করে ঢাকার কলেজে চলে যায়। নয় মিনিটের বড় নীলুর পড়ালেখায় মন নেই-শেষ অব্দি সেও কলেজে যায়। ছোট মেয়েটা গান শিখে প্রেসিডেন্ট জিয়ার কাছ থেকে পুরস্কার নেয়। সেই বিচারে গল্পের অাখ্যান সত্তরের দশকের। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নীলুর প্রতি অনুরক্ত। মাঝে মাঝেই সে জমজ দু জনকে গুলিয়ে ফেলে বিব্রত হয়। লেখক ময়মনসিংহ শহরের সেই সময়ে নারীদেরকে স্বাধীন সত্ত্বা হিসেবেই দেখিয়েছেন যদিও বড়রা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিঘ্ন থেকেছেন। একদল ছেলের সাথে তিন বোনের সন্ধ্যা গড়িয়েও নির্বঘ্নে গল্প করিয়েছেন এবং বাড়ী অব্দি তাদেরকে পৌঁছে দিয়েছে। এতে লেখকের নারী স্বাধীনতা, সাম্য ও বঞ্চনাহীন সমাজের স্বপ্নই প্রকাশ পায়। আমি সচেতন ভাবেই কয়েক জায়গায় গল্প বলেছি-উপন্যাসের ব্যপ্তির সঙগা অনুযায়ী কোন ভাবেই একে উপন্যাস বলা যায় না। (ফ্লাইট ধরতে না পেরে পরবর্তী ফ্লাইটের অপেক্ষায় এয়ারপোর্টে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই পিডিএফ পড়ে শেষ করি।) মায়ের হঠাৎ বোস বাবুর সঙ্গে চলে যাবার কোন পূর্ব সংকেত রাখেননি। যদিও দেখিয়েছেন বোস বাবুর গানের খুব ভক্ত, এবং বড় মেয়ে নীলু তাকে পছন্দ করতো না। অাখ্যানের বিস্তার ঘটাতে সহজেই একটা দুটো অধ্যায় বাড়ানো যেত এসব ঘটনার পূর্ব ইঙ্গিত দিতে। সবশেষে নাম করণ নিয়ে হতাশ হবেন পাঠক। অবশ্য ১৯৯২ খ্রীস্টাব্দে লেখক নিজেই বলেছেন সম্ভব হলে তিনি নাম পরিবর্ত করতেন। পাঠক দ্বিধান্বিত হবেন বলে সেটা পরবর্তী সংকলনে আর করেননি।

      By Tanjina Tania

      25 Dec 2018 07:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ১১ . বইয়ের নাম: অপেক্ষা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের ধরণ: সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনা: আফসার ব্রাদার্স প্রথম প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৯৯৭ আইএসবিএন : 984-70166-0017-3 পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২২০ মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫ অনলাইন পরিবেশক :রকমারি.কম . লেখক_পরিচিতি : হুমায়ূন আহমেদ কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। তবুও বলছি, হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার দীর্ঘ লিখালিখির জীবনে অনেক বই রচনা করেছেন। বিখ্যাত "হিমু" ও "মিসির আলী" চরিত্রের স্রষ্ঠা তিনি। তিনি সাহিত্য রচনার পাশাপাশি গান, চলচ্চিত্র ও নাটকও নির্মান করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি নন্দিত কথাসাহিত্যিক নামে পরিচিত। কাহিনী_সংক্ষেপ : বাঙালি কোন নারী যদি একবার কােন পুরুষকে মন থেকে ভালোবাসে, তাহলে সে ভালোবাসা এত সহজে ভুলতে পারে না। বিশেষ করে কোন বাঙালি স্ত্রীদের মনে যদি তাদের স্বামীরা একবার খাঁটিভাবে ঢুকে যায়, তবে সেই স্বামীরা চাইলেও বোধ হয় অার বের হতে পারে না। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অপেক্ষা উপন্যাসে সুরাইয়ার মনের ভিতর ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল তার স্বামী হাসানুজ্জামান। উপন্যাসের শুরুর দিকেই অফিসে থাকা স্বামীর সাথে তার দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে চাওয়ার অাকাঙ্খাই প্রমান করে দেয় যে, সুরাইয়ার তার স্বামীর প্রতি কি তীব্র টান! সুরাইয়া বাসায় ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাই ফোনে জানিয়ে দিতে চায় হাসানুজ্জামানকে। স্বামী বাড়ি ফিরে অাসা অব্দি অপেক্ষা করার ধৈর্য নেই তার। কিন্তু, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে মানুষটার জন্য সামান্যতম অপেক্ষা করতেও সুরাইয়ার ধৈর্যে বাঁধতো, সেই স্বামী একদিন হঠাৎ করেই তার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়ে তাকে অনন্ত অপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে দেয়। একদিন হুট করেই অফিস থেকে অার বাড়ি ফিরে অাসে না হাসানুজ্জামান। সেদিন থেকেই স্বামীর নিগূঢ় ভালোবাসার জালে কঠিনভাবে আবদ্ধ সুরাইয়ার অপেক্ষার দিন শুরু হয়। বারান্দায় বালতি থেকে পানি ঢালার শব্দ শুনে সে চমকে উঠে। ভাবে তার স্বামী এসেছে বুঝি। কিন্তু বারান্দায় গিয়ে নিজের দেবর ফিরোজকে দেখে সে আশাহত হয়। হাসানুজ্জামান হারিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একমাত্র সন্তান ইমনের বয়স ছিলো পাঁচ বছর তিন মাস। তখন ইমনের সবে একটা দাঁত পড়েছে। স্বামী হারানোর পর পরই সুরাইয়া তার ভিতরে অারেকটি অস্তিত্বের উপস্থিতি টের পায়। নির্দিষ্ট সময় পরে সুরাইয়ার কোলে অাসে তার দ্বিতীয় সন্তান, মেয়ে সুপ্রভা। ইমন যখন তার মায়ের পেটে ছিলো, তখন হাসানুজ্জামান বলেছিলো, মেয়ে হলে নাম রাখবে সুপ্রভা। সুরাইয়া স্বামীর সেই কথা মনে রেখে স্বামীর অনুপস্থিতিতেই মেয়েটির নাম সুপ্রভা রাখে। নিজের স্বামী হারানোর পর থেকেই অদ্ভুতভাবে বদলে যেতে থাকে সুরাইয়ার আচার-আচরণ। তার মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। সন্তান, দেবর, শ্বাশুড়ী; সকলের সাথেই শুরু করে খিটখিটে ব্যবহার। উপন্যাসের অারেকটি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ফিরোজ, হাসানুজ্জামানের ছোট ভাই। ফিরোজ ইমনকে সন্তানের মতই স্নেহ করে অার ভালোবাসে। ইমনকে বলা তার ব্যাঙের গল্পগুলো চমৎকার ছিলো। ইমনও যেমন তার ছোট চাচ্চুকে প্রচুর ভালোবাসে, তেমনি ছোট চাচ্চুও তাকে ভালোবাসে। ফিরোজ ইমনকে হার্ড নাট বলে ডাকে। একজন পাঠক হিসেবে অামি উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে প্রথমেই কষ্ট পেয়েছি যখন সুরাইয়া তার সন্তানদের নিয়ে নিজের বড় ভাইয়ের বাসায় চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ইমন-ফিরোজের অালাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে ভীষণ ব্যথিত করেছে। কষ্ট লেগেছে বাচ্চা মেয়ে সুপ্রভার প্রতি তার মায়ের অবহেলা, এমনকি মেয়েকে পালক দিয়ে দেবার মত সিদ্ধান্ত। সুরাইয়া তার ভাইয়ের বাসায় থাকাকালীন ফিরোজ মাঝে মাঝে শুক্রবারে তাদের দেখতে যেতো। এতে করে ইমন ভীষণ আনন্দিত হতো কিন্তু ফিরোজ এলে সুরাইয়া অবজ্ঞার স্বরেই কথা বলতো। সুরাইয়ার শ্বাশুড়ী অসুস্থ অবস্থায় সুরাইয়াকে দেখতে চাইলে, সুরাইয়া কোনকিছু না ভেবেই দেখতে যেতে অস্বীকার করে। ইমনকেও ফিরোজের সাথে যেতে দিতে চায় না সে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুরাইয়ার খিটখিটে মেজাজ দেখানো যখন একজন পাঠক হিসেবে আমাকে ভীষণ বিরক্ত করে তোলছিলো, তখনই হঠাৎ সুরাইয়ার ইমনকে ফিরোজের সাথে গ্রামের বাড়ি যেতে দেবার অনুমতি সুরাইয়ার প্রতি অামার মনোভাব ইতিবাচক করে তুলেছিলো। . ইমনের বড় মামার দুই ছেলে এক মেয়ে। তার বড় মামার ছেলে শোভন, টোকন ছেলে হিসেবে ভদ্র নয়। তারা বাবার সাথে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। মামা জামিলুর রহমানও ভীষণ রাগী মানুষ, তিনিও চান না ছেলেরা বাড়ি ফিরে আসুক। বিদেশ থেকে ইমনকে পাঠানো ফিরোজের দ্বিতীয় চিঠিটা অামার চোখে জল এনে দিয়েছিলো। উপন্যাসের মাঝামাঝি সময় মামাতো বোন মিতু পরিচয় গোপন করে অদ্ভুত এক চিঠি দেয় ইমনকে। চিঠিটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। ইমনের ছাত্রী নবনী ফোন দেওয়ায় মিতু হিংসা অনুভব করে। জামিলুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা একদিন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে সুরাইয়া অার সুপ্রভাকে। সুরাইয়া রাগ করে চলে যায় বাড়ি থেকে। কমলাপুর রেলষ্টেশনে যাওয়ার পথেও সুরাইয়া কল্পনা করে ষ্টেশনে গিয়ে দেখবে হাসানুজ্জামান ট্রেন থেকে নেমেছে। উপন্যাসের এক পর্যায়ে শোভন ও টোকনের নামে ওয়ারেন্ট বের হওয়ায় পুলিশের সাথে জামিলুর রহমানের কথোপকথন অামাদের দেশের দুর্নীতিপরায়ন পুলিশের প্রকৃত স্বরুপ প্রমান করে। উপন্যাসে জামিলুর রহমানকে একজন রাগী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাবাদের মন যে সন্তানের প্রতি নমনীয় থাকে সেটার প্রমান মেলে শেষমেষ সন্তান বাঁচাতে জামিলুর রহমানের পুলিশকে দেয়া ঘুষের মাধ্যমে। জামিলুর রহমান রাগী হলেও তিনি সুপ্রভাকে বেশ অাদর করতেন। সুপ্রভার হাসির জন্য তিনি সব করতেন। সেই সুপ্রভার হঠাৎই খেয়ালের বশে করা অাত্নহত্যার ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেলো। সুপ্রভার মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে যদি লেখক সবার কষ্টটা অারেকটু ভালোভাবে বর্ননা করতো তবে পাঠকরা অারেকটু অাবেগাপ্লুত হতো নিশ্চয়ই। তবে সুপ্রভার মৃত্যুর পর একশো ছেচল্লিশ পৃষ্ঠার শেষ কয়টা লাইন কলিজায় লাগার মতো ছিলো। বাকী উপন্যাসে সুপ্রভার নাম অার অাসবে না ভাবতেই নিজের কাছে খারাপ লাগছিলো। সুপ্রভার মৃত্যুর পর কাজের বুয়াদের সুপ্রভাকে দেখতে পাওয়া, ফাতেমার সুপ্রভাকে দেখতে পাওয়া, জামিলুর রহমানের সুপ্রভাকে ছাদে দেখতে পাওয়া এবং সবশেষে সুরাইয়ার নিজের মৃত মেয়েকে বিছানায় দেখতে পাওয়া কেমন যেন অতিপ্রাকৃত লাগলো। সুপ্রভার মৃত্যুর পর সুরাইয়া ছেলে ইমনকে নিয়ে নিজের ভাইয়ের বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠে। সেখানে গিয়ে তিনি ইমনের সাথে, মুন্নীর সাথে নিজের স্বামীর গল্প করে। স্বামীকে নিয়ে সবার সাথে গল্প করতে ভালোবাসে সে। স্বামী হারানোর এত বছর পরও সে বিশ্বাস করে যে, তার স্বামী ফিরবে। কোন এক পীড় তাকে বলেছে যে, ইমনের বিয়ের দিন হাসানুজ্জামান ফিরবে। উপন্যাসে তিনটি নারীর ইমনের প্রতি টান অাছে বুঝানো হয়েছে। সেই নারী তিনজন হচ্ছে, মিতু, নবনী ও মুন্নী। শেষমেষ কোন নারীর জায়গা হয়েছিলো ইমনের কাছে, জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস অপেক্ষা। মুন্নীর সাথে গল্প করে সুরাইয়া বেশ মজা পান। সেজন্য তিনি মনে মনে মুন্নীকে ইমনকে বিয়ে করানোর কথা ভাবে। কিন্তু, পরক্ষনই মুন্নী কালো বলে সেই চিন্তা বাদ দেয় মাথা থেকে। এখানে লেখক আমাদের সমাজের কালো মেয়েদের প্রতি লোকের মনোভাব অতি অল্প বর্ননায় সুন্দরভাবে তোলে ধরেছেন। উপন্যাসের আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে মিতুর ই এস পি পাওয়ার। মিতুর ধারণা, তার ই এস পি পাওয়ার অাছে। এই ই এস পি পাওয়ারের বদৌলতে সে ফোনে কথা বলার সময় ওপাশে মানুষটি কি কালার ড্রেস পড়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি বলে দিতে পারে। নামকরণ: উপন্যাসের শুরুতে হাসানুজ্জামানের জন্য সুরাইয়ার অপেক্ষার দিকটার থেকে উপন্যাসের সব চরিত্রগুলোর জীবনের নানান দিক বর্ননা দেখে উপন্যাসের নামকরণ স্বার্থক হয় নি বলে মনে হচ্ছিলো; কিন্তু শেষের দিকে এসে সুরাইয়ার অপেক্ষার তীব্রতা অামার ভুল ভেঙে দেয়। সুরাইয়ার অপেক্ষার কী অবসান ঘটেছিলো? ইমনের বিয়ের দিন কী ফিরে এসেছিলো হাসানুজ্জামান? জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস অপেক্ষা। পাঠ_প্রতিক্রিয়া : এটি এমন একটি উপন্যাস, যে উপন্যাসটি পড়ে অামার চোখে বার বার একটা কর্তা ছাড়া পরিবারের অসহায়ত্ব ফুঁটে উঠেছে। স্বামী হারা এক নারীর মনের অবস্থা, বাবা হারা এক ছেলের মায়ের থেকে পাওয়া খারাপ ব্যবহার অামাকে কষ্ট দিয়েছে। বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো, ঘটনাগুলো অামার চোখের সামনে ঘটছে। উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ ভালো লেগেছে কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের ইতি টানেন নি লেখক। সেজন্য সামান্য অতৃপ্তি এসেছে। লেখক একজন মানুষের অারেকজনের জন্য অপেক্ষার অাদলে কিংবা অপেক্ষার মাঝখানের সময়টুকুতে জীবনের নানানকিছু খুব সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তোলেছেন। শেষে গিয়ে শোভন অার টোকনের পরিণতি সম্পর্কে কিছু বলেন নি লেখক। সুস্পষ্ট ইতি টানেন নি উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ফিরোজেরও। ব্যক্তিগত রেটিং ৪/৫। . রিভিউ লেখক : তানজিনা তানিয়া

      By Shariar Rahman Anik

      17 Dec 2018 07:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই । মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই । চক্র ঘুরছে ।" 'অপেক্ষা' উপন্যাসে এ কথাগুলো কোথায় আছে তা আমি বলছি না । তবে এ কথাগুলোকে পুরো উপন্যাসের প্লট বলা যেতে পারে । কারণ এ বাস্তবতার উপর ভিত্তি করেই ইমন, ইমনের মা সুরাইয়া, বোন সুপ্রভা, ছোট চাচা ফিরোজ, বড় মামা জামিলুর রহমান, মামাতো বোন মিতুর জীবনকাহিনী । ইমনের পাঁচ বছর বয়স থেকে বিয়ে হওয়া পর্যন্ত এই উপন্যাসের বয়স । উপন্যাসটি একটি সমকালীন উপন্যাস । উপন্যাসের প্রতিটি ঘটনাই পাঠকের মনকে ভারাক্রান্ত করবে; সৃষ্টি করবে এমন অনুভূতি যা অন্য সব অনুভূতিকে হার মানাবে । না, এ অনুভূতি আনন্দের নয় । এ অনুভূতি কষ্টের যা আপনার হৃদয়ে স্থায়ীভাবে বসে যাবে । এবার কাহিনী নিয়ে কিছু বলি । পাঁচ বছরের ছোট্ট ইমন শৈশব থেকেই মুখোমুখি হয় জীবনের কঠিন বাস্তবতার । তার প্রভাব হয়তো সেই সময় পড়েনি, কিন্তু বড় হওয়ার পর ঠিকই প্রভাব ফেলে । তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ তার ছোট চাচা । ছোট চাচা ফিরোজ খুবই মজার একজন মানুষ । তিনিই ছিলেন ইমনের কঠিন সময়ের একমাত্র সাথী । আর তার মা? ইমনের বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রভাকে জন্ম দিয়েই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যান । তখন তিনি তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে তার বড় ভাই জামিলুর রহমান এর বাসায় উঠেন । তার দুই ছেলে শোভন-টোকন এবং এক মেয়ে মিতু । মিতু ইমনের সমবয়সী এবং অসম্ভব রূপবতী । মামার বাসাতেই ইমন ও সুপ্রভার বেড়ে ওঠা । এবং এখানেই ইমনের জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে । অত্যন্ত মেধাবী ইমন একসময় পরীক্ষা ড্রপ দেয় । এবং জগতের নিষিদ্ধ বস্তু, কাজে জড়িয়ে পড়ে। এবং তার চরম দুর্দশায় মিতু ওর পাশে দাড়াঁয় । এখন উপন্যাসের নাম 'অপেক্ষা' কেন? একটা জায়গায় লেখক কিছু কথা বলেছেন, "মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটির খুব প্রয়োজন । অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।" ইমনের মা সুরাইয়া মনে করেন একদিন ইমনের বাবা ফিরে আসবেন । এই অপেক্ষায় তিনি তার গোটা জীবন কাটিয়ে দেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তিনি আসেন? জানতে হলে পড়তে হবে এই অসাধারণ বইটি । আমার বইটি অনেক পছন্দের এবং আমার কাছে অন্যতম সেরা বইগুলোর একটি । বইটি পড়ে ভালো লাগবে না তা হতেই পারে না । বই : অপেক্ষা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক : আফসার ব্রাদার্স প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২২০ মূল্য : ৩০০

      By Md. Saiful Islam Sohel

      29 Jul 2018 12:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ তৃতীয় পর্বঃ ১ বইয়ের নামঃ অপেক্ষা লেখকঃ হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনীঃ অাফসার ব্রাদার্স পৃষ্ঠাঃ ২২০ মূল্যঃ মুদ্রিত মূল্য ৩০০ . #লেখক_পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। তবুও বলছি, হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার দীর্ঘ লিখালিখির জীবনে অনেক বই রচনা করেছেন। বিখ্যাত "হিমু" ও "মিসির আলী" চরিত্রের স্রষ্ঠা তিনি। তিনি সাহিত্য রচনার পাশাপাশি গান, চলচ্চিত্র ও নাটকও নির্মান করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি নন্দিত কথাসাহিত্যিক নামে পরিচিত। #কাহিনী_সংক্ষেপ: বাঙালি কোন নারী যদি একবার কােন পুরুষকে মন থেকে ভালোবাসে, তাহলে সে ভালোবাসা এত সহজে ভুলতে পারে না। বিশেষ করে কোন বাঙালি স্ত্রীদের মনে যদি তাদের স্বামীরা একবার খাঁটিভাবে ঢুকে যায়, তবে সেই স্বামীরা চাইলেও বোধ হয় অার বের হতে পারে না। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অপেক্ষা উপন্যাসে সুরাইয়ার মনের ভিতর ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল তার স্বামী হাসানুজ্জামান। উপন্যাসের শুরুর দিকেই অফিসে থাকা স্বামীর সাথে তার দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে চাওয়ার অাকাঙ্খাই প্রমান করে দেয় যে, সুরাইয়ার তার স্বামীর প্রতি কি তীব্র টান! সুরাইয়া বাসায় ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাই ফোনে জানিয়ে দিতে চায় হাসানুজ্জামানকে। স্বামী বাড়ি ফিরে অাসা অব্দি অপেক্ষা করার ধৈর্য নেই তার। কিন্তু, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে মানুষটার জন্য সামান্যতম অপেক্ষা করতেও সুরাইয়ার ধৈর্যে বাঁধতো, সেই স্বামী একদিন হঠাৎ করেই তার জীবন থেকে হারিয়ে গিয়ে তাকে অনন্ত অপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে দেয়। একদিন হুট করেই অফিস থেকে অার বাড়ি ফিরে অাসে না হাসানুজ্জামান। সেদিন থেকেই স্বামীর নিগূঢ় ভালোবাসার জালে কঠিনভাবে আবদ্ধ সুরাইয়ার অপেক্ষার দিন শুরু হয়। বারান্দায় বালতি থেকে পানি ঢালার শব্দ শুনে সে চমকে উঠে। ভাবে তার স্বামী এসেছে বুঝি। কিন্তু বারান্দায় গিয়ে নিজের দেবর ফিরোজকে দেখে সে আশাহত হয়। হাসানুজ্জামান হারিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একমাত্র সন্তান ইমনের বয়স ছিলো পাঁচ বছর তিন মাস। তখন ইমনের সবে একটা দাঁত পড়েছে। স্বামী হারানোর পর পরই সুরাইয়া তার ভিতরে অারেকটি অস্তিত্বের উপস্থিতি টের পায়। নির্দিষ্ট সময় পরে সুরাইয়ার কোলে অাসে তার দ্বিতীয় সন্তান, মেয়ে সুপ্রভা। ইমন যখন তার মায়ের পেটে ছিলো, তখন হাসানুজ্জামান বলেছিলো, মেয়ে হলে নাম রাখবে সুপ্রভা। সুরাইয়া স্বামীর সেই কথা মনে রেখে স্বামীর অনুপস্থিতিতেই মেয়েটির নাম সুপ্রভা রাখে। নিজের স্বামী হারানোর পর থেকেই অদ্ভুতভাবে বদলে যেতে থাকে সুরাইয়ার আচার-আচরণ। তার মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। সন্তান, দেবর, শ্বাশুড়ী; সকলের সাথেই শুরু করে খিটখিটে ব্যবহার। উপন্যাসের অারেকটি গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ফিরোজ, হাসানুজ্জামানের ছোট ভাই। ফিরোজ ইমনকে সন্তানের মতই স্নেহ করে অার ভালোবাসে। ইমনকে বলা তার ব্যাঙের গল্পগুলো চমৎকার ছিলো। ইমনও যেমন তার ছোট চাচ্চুকে প্রচুর ভালোবাসে, তেমনি ছোট চাচ্চুও তাকে ভালোবাসে। ফিরোজ ইমনকে হার্ড নাট বলে ডাকে। একজন পাঠক হিসেবে অামি উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে প্রথমেই কষ্ট পেয়েছি যখন সুরাইয়া তার সন্তানদের নিয়ে নিজের বড় ভাইয়ের বাসায় চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ইমন-ফিরোজের অালাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে ভীষণ ব্যথিত করেছে। কষ্ট লেগেছে বাচ্চা মেয়ে সুপ্রভার প্রতি তার মায়ের অবহেলা, এমনকি মেয়েকে পালক দিয়ে দেবার মত সিদ্ধান্ত। সুরাইয়া তার ভাইয়ের বাসায় থাকাকালীন ফিরোজ মাঝে মাঝে শুক্রবারে তাদের দেখতে যেতো। এতে করে ইমন ভীষণ আনন্দিত হতো কিন্তু ফিরোজ এলে সুরাইয়া অবজ্ঞার স্বরেই কথা বলতো। সুরাইয়ার শ্বাশুড়ী অসুস্থ অবস্থায় সুরাইয়াকে দেখতে চাইলে, সুরাইয়া কোনকিছু না ভেবেই দেখতে যেতে অস্বীকার করে। ইমনকেও ফিরোজের সাথে যেতে দিতে চায় না সে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুরাইয়ার খিটখিটে মেজাজ দেখানো যখন একজন পাঠক হিসেবে আমাকে ভীষণ বিরক্ত করে তোলছিলো, তখনই হঠাৎ সুরাইয়ার ইমনকে ফিরোজের সাথে গ্রামের বাড়ি যেতে দেবার অনুমতি সুরাইয়ার প্রতি অামার মনোভাব ইতিবাচক করে তোলেছিলো। . ইমনের বড় মামার দুই ছেলে এক মেয়ে। তার বড় মামার ছেলে শোভন, টোকন ছেলে হিসেবে ভদ্র নয়। তারা বাবার সাথে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। মামা জামিলুর রহমানও ভীষণ রাগী মানুষ, তিনিও চান না ছেলেরা বাড়ি ফিরে আসুক। বিদেশ থেকে ইমনকে পাঠানো ফিরোজের দ্বিতীয় চিঠিটা অামার চোখে জল এনে দিয়েছিলো। উপন্যাসের মাঝামাঝি সময় মামাতো বোন মিতু পরিচয় গোপন করে অদ্ভুত এক চিঠি দেয় ইমনকে। চিঠিটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। ইমনের ছাত্রী নবনী ফোন দেওয়ায় মিতু হিংসা অনুভব করে। জামিলুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা একদিন অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে সুরাইয়া অার সুপ্রভাকে। সুরাইয়া রাগ করে চলে যায় বাড়ি থেকে। কমলাপুর রেলষ্টেশনে যাওয়ার পথেও সুরাইয়া কল্পনা করে ষ্টেশনে গিয়ে দেখবে হাসানুজ্জামান ট্রেন থেকে নেমেছে। উপন্যাসের এক পর্যায়ে শোভন ও টোকনের নামে ওয়ারেন্ট বের হওয়ায় পুলিশের সাথে জামিলুর রহমানের কথোপকথন অামাদের দেশের দুর্নীতিপরায়ন পুলিশের প্রকৃত স্বরুপ প্রমান করে। উপন্যাসে জামিলুর রহমানকে একজন রাগী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাবাদের মন যে সন্তানের প্রতি নমনীয় থাকে সেটার প্রমান মেলে শেষমেষ সন্তান বাঁচাতে জামিলুর রহমানের পুলিশকে দেয়া ঘুষের মাধ্যমে। জামিলুর রহমান রাগী হলেও তিনি সুপ্রভাকে বেশ অাদর করতেন। সুপ্রভার হাসির জন্য তিনি সব করতেন। সেই সুপ্রভার হঠাৎই খেয়ালের বশে করা অাত্নহত্যার ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেলো। সুপ্রভার মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে যদি লেখক সবার কষ্টটা অারেকটু ভালোভাবে বর্ননা করতো তবে পাঠকরা অারেকটু অাবেগাপ্লুত হতো নিশ্চয়ই। তবে সুপ্রভার মৃত্যুর পর একশো ছেচল্লিশ পৃষ্ঠার শেষ কয়টা লাইন কলিজায় লাগার মতো ছিলো। বাকী উপন্যাসে সুপ্রভার নাম অার অাসবে না ভাবতেই নিজের কাছে খারাপ লাগছিলো। সুপ্রভার মৃত্যুর পর কাজের বুয়াদের সুপ্রভাকে দেখতে পাওয়া, ফাতেমার সুপ্রভাকে দেখতে পাওয়া, জামিলুর রহমানের সুপ্রভাকে ছাদে দেখতে পাওয়া এবং সবশেষে সুরাইয়ার নিজের মৃত মেয়েকে বিছানায় দেখতে পাওয়া কেমন যেন অতিপ্রাকৃত লাগলো। সুপ্রভার মৃত্যুর পর সুরাইয়া ছেলে ইমনকে নিয়ে নিজের ভাইয়ের বাসা ছেড়ে ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠে। সেখানে গিয়ে তিনি ইমনের সাথে, মুন্নীর সাথে নিজের স্বামীর গল্প করে। স্বামীকে নিয়ে সবার সাথে গল্প করতে ভালোবাসে সে। স্বামী হারানোর এত বছর পরও সে বিশ্বাস করে যে, তার স্বামী ফিরবে। কোন এক পীড় তাকে বলেছে যে, ইমনের বিয়ের দিন হাসানুজ্জামান ফিরবে। উপন্যাসে তিনটি নারীর ইমনের প্রতি টান অাছে বুঝানো হয়েছে। সেই নারী তিনজন হচ্ছে, মিতু, নবনী ও মুন্নী। শেষমেষ কোন নারীর জায়গা হয়েছিলো ইমনের কাছে, জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস অপেক্ষা। মুন্নীর সাথে গল্প করে সুরাইয়া বেশ মজা পান। সেজন্য তিনি মনে মনে মুন্নীকে ইমনকে বিয়ে করানোর কথা ভাবে। কিন্তু, পরক্ষনই মুন্নী কালো বলে সেই চিন্তা বাদ দেয় মাথা থেকে। এখানে লেখক আমাদের সমাজের কালো মেয়েদের প্রতি লোকের মনোভাব অতি অল্প বর্ননায় সুন্দরভাবে তোলে ধরেছেন। উপন্যাসের আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে মিতুর ই এস পি পাওয়ার। মিতুর ধারণা, তার ই এস পি পাওয়ার অাছে। এই ই এস পি পাওয়ারের বদৌলতে সে ফোনে কথা বলার সময় ওপাশে মানুষটি কি কালার ড্রেস পড়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি বলে দিতে পারে। উপন্যাসের শুরুতে হাসানুজ্জামানের জন্য সুরাইয়ার অপেক্ষার দিকটার থেকে উপন্যাসের সব চরিত্রগুলোর জীবনের নানান দিক বর্ননা দেখে উপন্যাসের নামকরণ স্বার্থক হয় নি বলে মনে হচ্ছিলো; কিন্তু শেষের দিকে এসে সুরাইয়ার অপেক্ষার তীব্রতা অামার ভুল ভেঙে দেয়। সুরাইয়ার অপেক্ষার কী অবসান ঘটেছিলো? ইমনের বিয়ের দিন কী ফিরে এসেছিলো হাসানুজ্জামান? জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাস অপেক্ষা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: এটি এমন একটি উপন্যাস, যে উপন্যাসটি পড়ে অামার চোখে বার বার একটা কর্তা ছাড়া পরিবারের অসহায়ত্ব ফুঁটে উঠেছে। স্বামী হারা এক নারীর মনের অবস্থা, বাবা হারা এক ছেলের মায়ের থেকে পাওয়া খারাপ ব্যবহার অামাকে কষ্ট দিয়েছে। বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো, ঘটনাগুলো অামার চোখের সামনে ঘটছে। উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ ভালো লেগেছে কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের ইতি টানেন নি লেখক। সেজন্য সামান্য অতৃপ্তি এসেছে। লেখক একজন মানুষের অারেকজনের জন্য অপেক্ষার অাদলে কিংবা অপেক্ষার মাঝখানের সময়টুকুতে জীবনের নানানকিছু খুব সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তোলেছেন। শেষে গিয়ে শোভন অার টোকনের পরিণতি সম্পর্কে কিছু বলেন নি লেখক। সুস্পষ্ট ইতি টানেন নি উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ফিরোজেরও। ব্যক্তিগত রেটিং ৩.৫/৫। . তানজিনা তানিয়া

      By Md. Shahrul Islam sayem

      24 Dec 2018 09:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইঃ অপেক্ষা লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনঃ আফসার ব্রাদার্স প্রকাশকালঃ ডিসেম্বর ১৯৯৭ প্রকাশকঃ আসমা আরা বেগম মুদ্রিত মুল্যঃ ৩০০ টাকা। #ভূমিকাঃ আচ্ছা আপনাকে যদি কারো জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়, তাহলে আপনার পক্ষে কতক্ষণ অপেক্ষা করা সম্ভব? ১ ঘন্টা, ১ দিন, ১ সপ্তাহ, ১ মাস? কিন্তু যদি সেই অপেক্ষাটা হয় দশ বছর? বা বিশ বছর? কিংবা তারও বেশি? অপেক্ষার যন্ত্রণাটা যে কতটা ভয়ংকর, কতটা তীব্র, কতটা যন্ত্রনার সেটা এ বইটি না পড়লে বোঝা সম্ভব না। যার স্বামীর খোঁজ থাকে না,যাদের বাবার খোঁজ থাকে না,যারা বাবার আদর ছাড়াই বড় হয় তাদের জীবনের মুহূর্তগুলো যে কিভাবে কাটে সেটা ফুটে উঠেছে বইটুমিকা #গুরুত্বপূর্ণ_চরিত্রসমূহঃ হাসানুজ্জামান, সুরাইয়া, ইমন, সুপ্রভা, জামিলুর রহমান, মিতু, ফিরোজ, শোভন ও টোকন। #সংক্ষিপ্ত_রিভিউঃ ইমনের( হাসানুজ্জামানের ছেলে) তখন ৫ বছর বয়স। সুরাইয়ার গর্ভে সুপ্রভা(হাসানুজ্জামানের মেয়ে)। তাদের সাথে থাকে ফিরোজ (হাসানুজ্জামানের ভাই)। বেশ ভালোই কাটছিল তাদের দিনগুলো। এক দুপুরবেলায় হাসানুজ্জামানের সাথে কথা হয় সুরাইয়ার(হাসানুজ্জামানের স্ত্রী)। কিন্তু ওইদিন রাতে আর ফেরেন না হাসানুজ্জামান সাহেব। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে ফিরোজ। কিন্তু তার খোঁজ পায় না। এর মাঝে জন্ম নেয় সুপ্রভা। এরপরে থেকে অত্যন্ত খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায় সুরাইয়া। কাউকেই প্রায় সহ্য করতে পারে না। এমনকি শিশু সুপ্রভাকেও সে সহ্য করতে পারে না। এর কিছুদিন পরে সে চলে যায় তার (সুরাইয়ার) ভাই (জামিলুর রহমান) এর বাড়িতে। সেখানে তার ভাই-ভাবি ছাড়াও ছিল তাদের তিন ছেলে মেয়ে (মিতু, শোভন এবং টোকন)। সেখানে বড় হতে থাকে ইমন ও সুপ্রভা। মিতু অত্যন্ত চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল এবং এই চঞ্চল প্রকৃতি বড় হওয়ার পরেও অব্যাহত ছিল। এবং শোভন ও টোকন বড় হতে হতে বখে যায় এবং সন্ত্রাসের সাথে জড়িয়ে যায়। ফলে তাদেরকে জেলও খাটতে হয় কয়েকবার। এর মধ্যে জামিলুর রহমানের বাড়িতে আসত এক পীর। সে বলেছিল ইমনের বিয়ের দিন হাসানুজ্জামানের ফেরার কথা। সেই আশায় ছেলের বিয়ের জন্য অপেক্ষা করে সুরাইয়া। অবশেষে ইমনের বিয়েও হয়ে যায়। কিন্তু ইমনের বাবা কি ফিরেছিলো সেই রাতে?? কার সাথে বিয়ে হয়েছিল ইমনের?? কি হলো শেষ পর্যন্ত সুপ্রভার?? কি হলো শেষ পর্যন্ত ফিরোজের?? এই সবকিছুর উত্তর আছে 'অপেক্ষা' বইটিতে। #ব্যক্তিগত মতামতঃ এটা হূমায়ূন স্যারের পড়া বইগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বই। বইটিতে তার বর্ণনার ধারাবাহিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রতিটা পৃষ্ঠাই সমানভাবে আমাকে আকর্ষণ করেছে। কিছু জায়গা বেশ কয়েকবার পড়েছি, কারণ সেই জায়গাগুলো পড়ে বিশ্বাসই করতে পারিনি। ভেবেছি, সত্যিই কি এমনটা হয় মানুষের জীবনে? আবার কিছু জায়গা পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি।বইটার বেশিরভাগ জায়গা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আর কিছু জায়গা পড়ে খুবই কষ্টও অনুভব করেছি। তবে সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি যে জায়গাটায় সেটা বর্ণনায় দিতে পারিনি। (স্পয়লার হয়ে যায়) ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৬/৫

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই:- অপেক্ষা লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ ঘরানা:- সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনি:- আফসার ব্রাদার্স পৃষ্ঠা:- ২২০ রকমারি মূল্য:- ২৫৫ টাকা মাত্র। রেটিং:- ৪.৬/৫ অপেক্ষা মূলত একটি পররিবারকে কেন্দ্র করে রচিত উপন্যাস। ইমনের মা সুরাইয়া বেগম ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা বলতে পছন্দ করেন। তাদের ঘরে টেলিফোন নেই। বাড়িওলার ঘরে গিয়ে টেলিফোনে তার স্বামীকে জানালেন, "ইমনের দাঁত পরা এবং ইমনের ছোটচাচার এম.এ পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধন্তের কথা। তার ভিতরে আরেকজন মানুষ আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। এই সুসংবাদটি তিনি স্বামীকে দিলেন না। রাতে ইমনের বাবা বাড়ি আসলে জানাবেন। লোকটি খুব গম্ভির। চোখের সামনে অস্বাভাবিক কিছু ঘটলেও হকচকিয়ে যায় না। সুরাইয়া অপেক্ষা করছে স্বামীর জন্য। কিন্তু সেরাতে তার অপেক্ষার ইতি ঘটে না। ইমনের বাবা সেরাতে আর ফিরে আসে নি। তখন থেকেই সুরাইয়া বেগমের অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়। কিছুদিন পরেই ইমনের একটি ফুটফুটে বোন হয়। ইমন পেটে থাকতে ইমনের বাবা বলেছিলেন তাদের মেয়ে হলে নাম হবে সুপ্রভা। ইমনের বাবার পছন্দ মতো মেয়েটির নাম রাখা হলো। সুরাইয়া বেগমের ধারনা এই অলক্ষী মেয়ের জন্যই সব এলোমেলো হয়ে গেছে। অনাদর-অবহেলায় বড় হতে থাকে ওরা ইমন এবং সুপ্রভা। তাদের ছোট চাচা ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু তা কতদিনই বা পারবে??? সে নিজেই একজন বেকার। সুরাইয়া বেগম ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়ি চলে আসে। ইমনের মামা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত সংসারের কোন বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ নেই। সেখানে সংঙ্গী হিসেবে পায় শোভন, টোকন ও মিতুকে। শোভন-টোকন যমজ হলেও তাদের দুজনের স্বভাব দু'রকম। একসাথে বেরে উঠে ওরা। সুরাইয়া প্রতি রাতেই এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষা করেন স্বামীর জন্য। পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- মানুষের জীবনে Reaction cycle এর মতো চক্রাকারে ঘুরতে থাকে "সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা। প্রতিটি মানুষ অপেক্ষা করে জন্ম থেকে। জন্মাবার সাথে সাথে অপেক্ষা শুরু হয়। কেউ এর বাহিরে যায় না, সুরাইয়া বেগমও না। সুপ্রভার প্রতি অদ্ভুত এক মায়া কাজ করেছে। প্রচন্ড ভালোবাসা তৈরি হয়েছে সুপ্রভা এবং মিতুর প্রতি। দুজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ দুই রকম। কয়েকটি যায়গায় নিজের অজান্তেই চোখের কোনে পানি জমে উঠেছে। তবে আমার মনে হয় মিতুর ছিক্সসেন্সের বিষয়টা আরেকটু কম হলে ভালো হতো। একটি কথা তিন/চার বার বলেছে মিতু। শুধু ছিক্সসেন্স কাজে লাগিয়ে সেই কথাটা যদি না বলে। একেবারে উপন্যাসের শেষে "মিতু যখন তার বাবাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে কথাটা বলে তখনই শুধু কথাটা বলা হতো" তাহলে হয়তো হাউমাউ করে কান্না করার ব্যবস্থা হয়ে যেতো। ইমনের সাথে একটা জিনিস আমার ৫০% মিলে গেছে। ইমনের বাবা নেই। আমার মা বাবা কেউই নেই। ইমনের ছোট চাচা ইমনের জন্য চিঠি পাঠায়। টাকা পাঠায়। আমার চাচ্চু দেখা হলেই আমাকে বলে বাবা টাকা পয়সা লাগলে কিন্তু লজ্জ্বা পাইয়ো না। সোজা আমার কাছে জাইবা। যদিও আমি আজ অবদি কোনদিন যাই নি। যাবও না ইনশাআল্লাহ। আমার টাকা চাইনা এমন করে একটা চিঠি যদি আমার চাচ্চু লিখতো তাহলেই হতো। ইমনের ছোট চাচার চিঠি পড়ার সময় চোখের পানি আটকাতে পারি নি। ভাতিজাকে মানুষ এতো ভালোবাসে জানতামই না। ইমন যেমন সুপ্রভাকে চিঠি লিখে আমারও লেখা দরকার। আমিও লিখবো। চিঠি কেউ পড়লো কিনা সেটা ব্যাপার না। আসল ব্যাপার হলো নিজের মন শান্ত করাটা। এটাই শিখলাম ইমনের কাছে। সব মিলিয়ে অসাধারন একটা উপন্যাস যা সকলেরই পড়া উচিৎ।

      By Mahbuba Supti

      16 Oct 2017 10:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসের শুরুতে আছে ইমন নামের এক বাচ্চা ছেলের কথা। ইমনের বাবা হাসানুজ্জামান, মা সুরাইয়া, দাদী আকলিমা বেগম। ও হ্যাঁ ইমনের বেকার ছোট চাচাও তাদের সাথে থাকে। ইমনের চাচা ইমনকে "হার্ড নাট" বলে ডাকে। বেশ ভালোভাবে দিনকাল চলছিলো এই মধ্যবিত্ত পরিবারটার। ঝামেলা বাধঁলো সেদিন যেদিন ইমনের বাবা অফিস থেকে আর বাসায় ফিরে নি। দিনের পর দিন রাতের পর রাত চলে যায় কিন্তু ইমনের বাবা আরর আসে না। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন? আদৌ বেচেঁ আছেন কি না কোন হদিশই বের করা যায় নি। শুরু হয় ইমনের মা সুরাইয়ার অপেক্ষা। তার বিশ্বাস তার স্বামী ফিরে আসবেন। কবে তা জানা নেই তবে আসবেন। ইমনের বাবা যখন নিখোজঁ হন তখন সুরাইয়া দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা। পাচঁ বছরের ইমনকে নিয়ে বড় ভাইয়ের বাসায় চলে আসে সুরাইয়া। তারপর.....? একটা সময় ইমন বড় হয়, ছোট বোন সুপ্রভা বড় হয়ে যায়। মামার বাসায় গিয়ে দেখা হয় মামাতো বোন মিতু, মামাতো ভাই শোভন আর টোকনের সাথে। ইমনের মা মানসিকভাবে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সময় তার মতো বয়ে যায়। কিন্তু অপেক্ষা শেষ হয় না...! সুরাইয়া এখনও বিশ্বাস করে যেদিন ইমনের বিয়ে হবে সেই রাতেই ইমনের বাবা ফিরে আসবেন। অবসান হবে এই দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার। কিন্তু আদৌ কি তিনি ফিরবেন নাকি ফিরবেন না? সুরাইয়ার সেই সুখের সংসার, সুখের জীবন কি আবার ফিরে পাবেন? কি হয় তবে শেষ পর্যন্ত?

      By Ashik

      30 May 2017 11:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসের শুরু আছে। যেসব জিনিসের শুরু আছে, সেসব জিনিসের শেষও আছে। যে পৃথিবীতে বসে আমরা জীবন পাড় করছি, সে পৃথিবীরও একদিন শুরু ছিল একদিন শেষও হয়ে যাবে। তবে এই শুরু এবং শেষ নিয়ে বেঁচে থাকা এই পৃথিবীই এমন এক জিনিস রয়েছে, যার কোন শেষ নেই। সে জিনিসটি নাম "চক্র"। চক্রের কোন শুরু নেই, শেষও নেই। পুরো উপন্যাসটা মূলত এই চক্রকে ঘিরেই লিখা। মানব জীবনের চক্র। হুমায়ূন আহমেদ স্যার যখন উপন্যাসটি লিখতে বসেছিলেন , তখন হয়তো তিনি এ চক্রের ব্যাপারটি নিয়ে বেশ ভেবেছিলেন। যদিও চক্রের কোন শুরু নেই, শেষও নেই, তবু একটি উপন্যাসে মানব জীবনের চক্রের পুরোটা তুলে ধরতে গেলে এক প্রান্ত থেকে শুরু করতেই হবে। সে শুরুটা তিনি করেছিলেন ইমন নামের এক ছেলেকে দিয়ে। উপন্যাসের প্রথম দিকেই ইমন একটি ৫ বছর ৩ মাস বয়সী বাচ্চা। মুখে সামনের একটি দাঁত নেই। তার মা সুরাইয়া বলছিলেন ইমনকে একটু আয়নার সামনে যেয়ে হাসার জন্যে। তাহলে নাকি এক মজার ব্যাপার হবে । ইমন আয়নার সামনে গেল ঠিকই, কিন্তু মুখে খুলে সেভাবে হাসলো না । ফলে তার ফোকলা দাঁতও তার চোখে ধরা পড়লো না। ওইদিকে তার মা অধীর আগ্রহে কান পেতে ছিল। ছেলে হয়তো এক্ষুণি "মা , আমার দাঁত পরে গেছে!" বলে চিৎকার দিয়ে উঠবে। সেরকম কিছুই হয়নি। ইমন সোজা দাদীর ঘরে যেয়ে দাদীর সাথে গল্প গুজব শুরু করে দিলো। ইমনের দাদীর নাম আকলিমা বেগম। প্রথমদিকে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের উপন্যাসটি বেশ ভালভাবেই এগুচ্ছিলো। ঝামেলা হলো তখন , যখন সুরাইয়া ইমনের বাবার অফিসে ফোন করলেন। ইমনের বাবার সাথে কথা হলো। বইটিরে সুরাইয়ার ইমনের বাবার সাথে এই কথপোকথনের পরই গল্প অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে। ইমনের বাবা সে রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেন নি। তার পরের রাতেও আসেন নি। তার পরের রাতেও না। অপেক্ষার শুরু এখান থেকেই... ইমনের বাবার জন্যে অপেক্ষা.. ইমনের বাবা নিখোঁজ হবার পর তার পরিবারের মাথার উপড় থেকে ছাদ সরে যায়। ইমন তখন ৫ বছরের বাচ্চা ছেলে। সুরাইয়াও তখন আরেকটি সন্তান গর্ভে নিয়ে আছে। একটার পর একটা দিন রাত পেড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু অপেক্ষার শেষ নেই। ইমনের বাবা আসছেনা.. অপেক্ষাও ফুরোচ্ছেনা।লোকটি এখন মৃত কিনা সেটিও জানা যাচ্ছেনা। জানলে অপেক্ষার পালা শেষ হতো। আমাদের সকল অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে, মৃতদের জন্যে আমাদের কোন অপেক্ষা নেই... ... বইটির মাঝামাঝিতে এসে অনেক চরিত্রের দেখা মিলবে। সে পৃষ্ঠায় যেতে যেতে ইমন অনেক বড়ও হয়ে যাবে। তখন মিতু নামের একটি মেয়ের দেখাও মিলবে। যে ইমনকে চিঠিও লিখবে। তবে চিঠি লিখছে বলে ইমনকে যে চাইবে সেভাবে সেরকমটিও নয়। কিন্তু নবনী নামের মেয়েটা যখন ফোন দিয়ে ইমনের খোঁজ করবে, তখন আবার তার কিছুটা মন খারাপও হবে। এতকিছুর মাঝেও সুরাইয়া অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে। ইমনের বাবার জন্যে অপেক্ষা। ইমনের বাবার অপেক্ষায় থেকে থেকে মানসিকভাবেও সুরাইয়া অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সে এখনও বিশ্বাস করে, যেদিন ইমনের বিয়ে হবে, সেদিন ইমনের বাবা এসে হাজির হবে। দরজায় কলিংবেল বাজাবে... আর সুরাইয়া গিয়ে দরজা খুলে দেখবেন মানুষটা দাঁড়িয়ে আছে... ততদিনে হয়তো সুরাইয়া বুড়িয়ে যাবেন। মাথার চুলে পাক ধরবে। ইমনের দাদী আকলিমা বেগমের মাথার চুলে যেমন পাক ধরেছে। হয়তো এখান থেকেই শুরু হবে আরো একটি চক্রের... একটি রিভিউতে মানব জীবনের এই পুরো চক্রটি তুলে ধরা সম্ভব নয়, যেমনটি লেখক তুলে ধরেছেন তার ২২০ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসে। কিছু কিছু বই থাকে, যেগুলো এক নিশ্বাঃসে পড়ে ফেলা যায়। "অপেক্ষা" বইটি তেমন একটি বই। আর লিখার দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছিনা । সুরাইয়ার এ অপেক্ষা শেষে কোথায় শেষ হয় সেটি জানতে হলে হাতে নিতে হবে বইটি... অপেক্ষা কি আদৌ শেষ হবে? হয়তোবা হ্যাঁ, হয়তোবা না..... :)

      By Jahidur Rahman

      22 Oct 2016 05:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ কে অনেকেই চেনেন হিমু বা মিসির আলিরস্রষ্টা হিসেবে কিন্তু আসলে উনি এর থেকেও অনেক বেশি কিছু। মধ্যবিও্ব জীবন নিয়েতার অসাধারণ লেখাগুলোর একটি হল অপেক্ষা। অপেক্ষা প্রকাশিত হয় আফসারব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে ১৯৯৭ সালে।বইটির কাহিনী ইমন নামের এক ছোট্ট ছেলে কে ঘিরে। আপনি যদি কোন মধ্যবিও্ব পরিবারের প্রতিনিধি হন তবে এই উপন্যাসআপনাকে কাঁদাতে বাধ্য। কাহিনী শুরু হয় ছোট্ট ইমনের গল্প দিয়ে। ইমন দের খুব সুখিছোট্ট একটা সংসার ছিল। মা-বাবা, দাদী আর ছোট চাচা নিয়ে তাদের পরিবার। গল্পেরশুরুর দিকেই ইমনের বাবা হারিয়ে যায়। সে একদিন অফিস থেকে আর বাসায় ফেরে না।সুন্দর পরিবার টা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়। ইমনের মা তখন সন্তান সম্ভবা। তার পেটেআছে ইমনের বোন। বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর ইমনের মা সুরাইয়া পাগলের মত হয়ে যান। টাকার সমস্যার কারণে ইমন আর ওর বোন কে নিয়ে তার বড় ভাই এর বাসায় আশ্রয়নেন সুরাইয়া। প্রিয় ছোট চাচা, যে একটা কচ্ছপ কিনে দিয়েছিল ছোট্ট ইমনকে, আলাদাহয়ে যায় দাদী কে নিয়ে। কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে আস্তে আস্তে। বড় মামার দুই ছেলে,এক মেয়ে। এই মেয়ে ইমন কে সুযোগ পেলেই খোঁচায়। দুই ছেলে অন্যদিকে বড় হয়ে হয়ভয়াবহ মাস্তান যাদের কাছে খুন কোন ঘটনা না। ইমন এসবের মাঝে থেকেও অসাধারণ প্রতিভাবান এক ছেলে হয়ে বড় হতে থাকে। কাহিনী এগিয়ে যায় আরো। ইমন এবং ওরবোন সুপ্রভার সম্পর্ক বই এ পড়ার পর আপনার যদি বোন না থাকে তবে একবারেরজন্য হলেও বুকের কোনায় একটু শুন্যতা অনুভব করবেন আপনি। বই টির পুরো টি জুড়েই রয়েছে ইমনের পুরো পরিবারের ভয়াবহ চেষ্টা তাদের পরিবার টিআবার এক করার। শেষ পর্যন্ত কি তা হয়? ইমনের বিয়ের দিন রাতে হঠাত করেইকলিংবেল বেজে ওঠে ওদের সেই পুরোনো বাসায়। ওদের পরিবার কি তবে আবার একহবে?এই বইয়ের শুরুতেই আছে হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ চারটি লাইনঃ ঘর হতে বাইর হইয়া জোছনা ধরতে যাই, আমার হাত ভর্তি চাঁদের আলো, ধরতে গেলেই নাই। বইটি জুড়েই সেই না ধরতে পারা চাঁদের আলো ধরার চেষ্টা করছে এক অসাধারণ হয়েওসাধারণ পরিবার।

      By murad

      25 Jun 2016 01:22 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে। এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা? কলিং বেল বেজে উঠল। সুরাইয়ার হাত পা জমে গেল। মানুষটা কি এসেছেন? না- কি তিনি ভুল শুনছেন। এইতো আবার বেল বাজল। এইতো আবার । সুরাইয়া ধরা গলায় ডাকলেন, ইমন ও ইমন। উঠে দাঁড়ানোর শক্তি তাঁর নেই। দরজা খোলার শক্তিও নেই। দরজা খুলে যদি দেখেন- চার দিক ফাঁকা! কলিং বেল বেজে যাচ্ছে। তিনি তাকিয়ে আছেন উঠোনের দিকে। শুক্লপক্ষ বলে উঠোনে এসে পড়েছে। আচ্ছা তাঁর বিয়ের রাতেও কি শুক্লাপক্ষ ছিল? উঠোনে চাঁদের আলো ছিল? তিনি মনে করতে পারছেন না। তাঁর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সর্বনাশা ঘণ্টা বেজেই যাচ্ছে। কে এসেছে ? কে? ছোটচাচা একবার দেশের বাইরে থেকে ইমনকে চিঠি পাঠায়। সাথে ২০০ ডলার। চিঠিটা পড়ার সময় আমার চোখও আর্দ্র হয়েছিল।আপনাদেরও হবে।আরও কিছু কিছু যায়গায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। খুব অসাধারণ একটা সৃষ্টি হুমায়ূন স্যারের। প্রতিটা চরিত্র ছিল অসাধারণ। বইটা এতোটা সুন্দর হবে আশা করিনি।খুব মায়া লাগছিল বইটা শেষ করতে। পুরোটা বই জুরেই হাসি-কান্নার এক ধরনের খেলা চলেছে।কখনো মনেই হয়নি লেখক এইখানে বারতি কথা বলছেন, "প্যাঁচাল" পারছেন।স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে পুরোটা। ছোট চাচা আর ইমনের কথাগুলো এখনো ভুলতে পারছিনা।

      By Rabeya Akter Lima

      09 Oct 2021 10:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটা মানুষ কি পরিমাণ ভালোবাসলে অপেক্ষা করে তার সারাজীবন পার করে দিতে পারে সত্যিই আমার জানা নেই। বেঁচে থাকার টনিক ‘অপেক্ষা’ নিয়ে সুরাইয়া বেঁচে থাকতে পেরেছিলো।নিজের শরীরের এতো অযত্ন, অবহেলা করার পরও তার অপেক্ষা তাকে বাচিয়ে রেখেছিলো

      By BD71 Forad

      16 Sep 2021 04:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Vai boita ekbar pore dekhen onek valo lagbe onek sundor kahini

      By Abdullah Al-Fattah

      15 Nov 2020 09:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ লেখনি। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সংগ্রাম ও প্রেম ভালোবাসার অভিনয়টা যেভাবে উনি ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। পড়তে পড়তে কখন যে আমি ইমন হয়ে গিয়েছিলাম তা বুঝতেও পারি নাই। আমার পড়া প্রিয় বইগুলোর মধ্যে একটি।

      By Shehab Shahreyar

      20 Jul 2020 10:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Recommended

      By Aliul Islam

      13 Jun 2020 05:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউঃ বইয়ের নামঃ অপেক্ষা লেখঃ হুমায়ুন আহমেদ পৃষ্ঠাঃ ২২০ অপেক্ষা হলো ভালবাসার শুদ্ধতার প্রমাণ। সবাই ভালবাসি বলতে পারে কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালবাসার শুদ্ধতার প্রমাণ দিতে পারে না। মানুষ অপেক্ষা করতে পছন্দ করে না, তবুও তাকে অপেক্ষা করতে হয় ভালবাসার জন্য, বেঁচে থাকার জন্য এবং মৃত্যুর জন্য। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর অপেক্ষা উপন্যাস রচিত হয়েছে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রক্ষাপট নিয়ে। এখানে প্রকাশ পেয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের টানপোড়ন ও প্রিয় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা। এই উপন্যাসে মূল গল্পের সাথে সাথে পারশ্ব গল্পগুলোও সমান তালে এগিয়ে চলে। স্বামী হাসানুজ্জামান, ছেলে ইমন, তার শাশুড়ী ও ইমনের চাচা ফিরোজকে নিয়ে তার সুখের সংসার। রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরেন তার স্বামী। রাতে শাশুড়ীর সাথে কথোপকথনের এক পরযায়ে জানতে পারেন তার পরিবারে নতুন অতিথি আসতে চলেছে। সেই সুসংবাদ দেবার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে স্ত্রী সুরাইয়া। রাত দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়। সময় গড়িয়ে ভোর হয় কিন্তু হাসানুজ্জামান ঘরে ফেরেন না। শুরু হয় অপেক্ষার পালা।।।হাসানুজ্জামান ফিরে আসবেন এই অপেক্ষায় দিন কাটাতে থাকেন সুরাইয়া। ধীরে ধীরে তিনি বাস্তব পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে যান। তাদের পরিবারে নতুন অতিথি আসে ও সুরাইয়া তার ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। সুরাইয়ার ভাই আবার বিয়ের জন্য অনেক প্রস্তাব আনলেও তিনি জোরের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ইমনের মামাতো বোন মিতুও বেড়ে উঠতে থাকে। ইমনের প্রতি মিতুর সূক্ষ্ম ভালবাসার কারনে তাদের প্রতিনিয়ত খুনসুটি হয়। গল্পের করুণ ধারার বিপরীতে ইমন ও মিতুর রোমাঞ্চকর দৃশ্য, ইমনকে নামহীন লেখা চিঠি যেকোনো পাঠককে রোমাঞ্চিত করে। যেখানে ভালবাসা সেখানে অধিকারবোধ প্রবল, আর সেই অধিকার বোধ থেকেই অভিমান জন্ম নেয় মিতু যখন জানতে পারে ইমন একটা মেয়েকে টিউশন করাচ্ছে। মিতু এই উপন্যাসের সাহসী চরিত্র। সুরাইয়ার ভাই জামিলুর রহমান পরিবারের প্রতি উদাসীন ও ধ্যান জ্ঞান কেবল ব্যবসা। পরিবারের প্রতি উদাসীন হলে ছেলে পুলে যে বখে যায় তারও নুমনা পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। তিনি তার ভাগ্নি সুপ্রভাকে তার মেয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন কিন্তু তা কখোনও প্রকাশ করেন না। সুপ্রভা তার নিজের মতো করে বেড়ে ওঠে। ইমনের প্রতি চাচা ফিরোজ এর ভালবাসা পাঠককে আবেগ প্রবল করে। পাঠক চাইবে এমন একজন চাচা যেন সকলেই পায়। কেউ মৃত মানুষের জন্য অপেক্ষা করে না। অপেক্ষা করে হারিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য। কিন্তু এত কিছুর পরেও সুরাইয়ার হারিয়ে যাওয়া স্বামীর প্রতি ভালোবাসা কমে না। তিনি অপেক্ষায় থাকেন আর বিশ্বাস করেন যেদিন ইমনের বিয়ে সেই দিনই তার স্বামী ফিরে আসবেন।

      By Shakib hasan

      11 Apr 2020 02:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি তেমন বই পড়তাম না, আমাদের ইংলিশ স্যার একদিন ক্লাসে আমাদের কে বই পড়ার জন্য উৎসাহ দিলো, আর হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই পড়ার কথা বললেন, সেই থেকে আমি স্যারের বই পড়া শুরু করি। সর্ব প্রথম আমি স্যারের "মিসির আলি" বইটা পড়া শুরু করি, মিসির আলি সিরিজ পড়েই আমি স্যারের প্রেমে পড়ে যায়। তারপর স্যারের "অপেক্ষা " বইটা পড়ে আরো বেশি করে প্রেমে পড়ে গেলাম। বইটা আসলে এমন ভাবে লেখা যা বুঝিয়ে দেয় অপেক্ষা টা কি! বইটা আমি সারা রাত পড়ে ছিলাম, বইটা পড়তে পড়তে আমি ঘুমানোর কথাই ভুলে গিয়েছিলাম। ইমনের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা স্যার খুব নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেছে। আবার সুপ্রভার চরিএ টাও নিখুঁত ছিল। খুব কষ্ট লেগেছে সুপ্রভার মৃত্যু টা। ছোট্র সুপ্রভা। তোমার প্রসঙ্গ অপেক্ষা উপন্যাসে আর আসবে না। কারণ তোমার জন্যে কেউ অপেক্ষা করে থাকবে না। মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের

      By Habibur Rahman

      21 Mar 2020 01:26 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভাল লাগলো।?

      By Hasan

      31 Oct 2019 12:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার মতে বইটিকে অসাধারণ বা এ জাতীয় কোন শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব না । এই বই এর মত আর কোন বই আমার হৃদয় ও আবেগকে এত বেশি স্পর্শ করেছে বলেও মনে হয় না । বইটির কভারে লেখা আছেঃ মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে।এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা? হ্যাঁ । বই এর নাম ও কভারের এই লেখাটির সার্থকতা যথার্থ। মুলত ইমনের বাবার হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার মাধ্যমে এই অপেক্ষার সূত্রপাত। তবে এর মাধ্যমে ইমনের মা সুরাইয়ার হাস্যজ্জল সংসার এর কিভাবে পরিবর্তন হওয়া শুরু করে তার স্পষ্ট চিত্রায়ন পাওয়া যাবে । বইটিতে আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্রটি হল সুপ্রভা ( ইমনের ছোট বোন ) । খুব সহজেই যে কেউ তাকে নিজের ছোট বোনের আসনে বসাবে । তবে বই টির ঠিক মাঝে হুমায়ন আহমেদ ( এখান থেকে এই প্যারায় কিছু spoiler আছে) এই আবেগময় চরিত্রটির মৃত্যু টি এমন ভাবে দেখান যা আমাকে ভেতর থেকে কাঁদিয়েছে। এমন কি এই অংশ পড়ে আমার এত অভিমান হয় যে আমি ঠিক করি যে আমি এই বই এর বাকি অংশ পরব না । এরপর দুই দিন আমি শুধু এই পৃষ্ঠা টিই পড়েছি আর ভেবেছি কেন এমনটি ই হওয়ার ছিল ? কেন? কোন বই আমাকে এতটা কাঁদায় নি। যাই হোক বাকি অংশও না পড়ে থাকতে পারিনি। হুমায়ুন আহমেদ ২২০ পৃষ্ঠার এই বই টি এত আবেগ নিয়ে লিখেছে যা না পড়লে বিশ্বাস হবে না। আমার মনে আছে, যখন ছোট্ট ইমনের ছোট বোন টির জন্ম হল তখন ইমনের চাচা ইমনকে বলল, তোর একটা ছোট বোন হয়েছে । ইমন জিজ্ঞেস করল, বোন টার নাম কি? “নাম এখনো রাখা হয়নি ।“ “ নাম রাখা হয় নি কেন? “ ফিরোজ ( ইমনের চাচা) সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলল –আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না । সে বেঞ্চে লম্বা হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তার একটা বোন হয়েছে অথচ তার নাম রাখা হয় নি এই চিন্তাটাই তাকে অভিভূত করে। সবার ই নাম আছে শুধু তার বোনটার কোন নাম নেই।যদি নাম রাখতে ভুলে যায়। যদি কোনদিনই তার নাম না রাখা হয় তাহলে কি হবে? মন খারাপ করে বেচারি ঘুরে বেড়াবে। কেউ তাকে খেলতে ডাকবে না । ডাকবে কি করে মেয়েটারতো নামই নেই।আজ সারাদিন নানা রকম ভয়াবহ সমস্যা ইমন পার করেছে , তার চোখে এক ফোঁটা পানি আসে নি- এখন এই ভোর রাতে বোনটার দুঃখে তার চোখে পানি এসে গেল । সে যতবারই সার্টের হাতায় চোখ মুছে ততবার ই চোখ পানিতে ভরতি হয়ে যায় ।তার একটা বোন হয়েছে সেই বোনটার নাম নেই কেন? তবে ইমনের বাবা হারিয়ে যাওয়ার পর সুরাইয়া ( ইমনের মা) র ভেঙ্গে পড়া আর তার ফলস্বরূপ ইমন ও সুপ্রভার উপর তার মার শাসন পাঠকদের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমি বলব এটি আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের শ্রেষ্ঠ বই।আমি নিশ্চিত এই বইটি পড়ার সময় আপনি বই এর ভুবনে এমনভাবে ঢুকে যাবেন যে বাইরের জগতের সাথে তার কোন সংযোগ থাকবে না।আর হুমায়ুন আহমেদ কেন এত জনপ্রিয় এই বইটাই তা বোঝার জন্য যথেষ্ট।

      By Fahim Tanjim

      24 Oct 2019 10:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এমনটা হুমায়ন আহমেদের পক্ষেই সম্ভব। সার ছলে গেলেন ২০১৬ সালে । তার আগে ২০১৫ সালে তিনি এসেছিলেন পাবনাতে । সারের সাথে দেখা হই নি। ভাবলাম এত বড় লেখক পরে একবার দেখা হবে । কিন্তু হল না। যাই হক। অপেক্ষা বইটি অসাধারণ। না পরলে পরে দেখবেন । রকমারিকে ধন্যবাদ এমন বই দেয়ার জন্য।

      By ফয়সাল আহমেদ

      11 Oct 2019 03:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ অপেক্ষা লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃআফসার ব্রাদার্স মূল্যঃ২৫৫ টাকা মাত্র এমন সুন্দর একটি উপন্যাস পড়ে সত্যিই আমি অভিভূত। । বইটি থেকে আমার প্রিয় একটি উদ্ধৃতি হ'ল "জীবন একটি বৃত্ত। এর কোনও শেষ নেই। আমরা সকলেই কোনও কিছুর জন্য অপেক্ষা করি, কেউ কেউ মানুষ ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করে Others অন্যরা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে।"গল্পটি এমন একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ায় যা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছিল যখন পিতা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তার পিছনে একটি ছেলে এবং একটি গর্ভবতী স্ত্রী রেখে যায়। এভাবেই শুরু হয় তাদের অনিশ্চয়তার জীবন। বাচ্চাদের বেঁচে থাকার জন্য, মায়ের জন্য তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করার অন্তহীন যাত্রা, যিনি তার সমস্ত মন দিয়ে বিশ্বাস করেন তিনি একদিন ফিরে আসবেন।এতে স্বাক্ষরকারী মহিলা চরিত্রগুলি যারা রহস্যময় আচরণের সাথে কথা বলে, যে ব্যক্তি খুব বেশি কথা বলেন না এবং সুখের অন্তহীন সাধনা।সত্যিই বাস্তব ধর্মী একটি অসাধরণ উপন্যাস। আজই পড়ে ফেলুন।

      By Nazmul hossain

      18 Jul 2019 01:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ek kothay ... Oshadaron akta boi...

      By Nasirul Islam Parash

      28 Jun 2020 11:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঘর খুলিয়া বাইর হইয়া জোছনা ধরতে যাই আমার হাত ভর্তি চাঁদের আলো ধরতে গেলেই নাই ।। অপেক্ষা! আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে শব্দটি। কখনো বা মধুর আবার কখনো বা তিক্ত। তবু আমরা অপেক্ষা করতে ভালোবাসি। অপেক্ষা হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর লিখা একটি অসাধারন উপন্যাস। আমাদের চারপাশে ঘটতে থাকা কিছু সাধারন ঘটনা কে স্যার অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটি পড়ার সময় আপনার মনে হবে যেন আপনার চোখের সামনেই ঘটনা গুলো ঘটছে। যেন আপনি নিজেই বই এর একটি চরিত্র। ঘটনার শুরু হয় ইমনের বাবার হটাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া থেকে। তারপর থেকেই শুরু হয় ইমনের মা সুরাইয়া বেগম এর স্বামীর জন্য অপেক্ষা! ইমন আর তার ছোট বোন সুপ্রভার বাবার জন্য অপেক্ষা! ইমন আর তার ছোট বোন সুপ্রভা আস্তে আস্তে বড় হয় ভীষণ কষ্টে। যে কষ্ট আপনার মন কে ও বিষণ্ণ করে তুলবে ক্ষণিকের জন্য। বইটি পড়তে পড়তে আপনি ক্ষণিকের জন্য ফিরে যাবেন আপনার শৈশবে। যেখানে ইমনের ছোট চাচ্চুর ইমনকে করা আদর গুলো কিংবা ইমনের বড় মামার সুপ্রভা কে করা আদর গুলো দেখে আপনার হিংসে হলেও হতে পারে! আছে ইমন-মিতুর অদ্ভুতুড়ে প্রেম! যেখানে আপনি ভাবতেই পারবেন নাহ যে কি করে তাদের মাঝে কি হয়ে গেল! ইমনের মা সুরাইয়া বেগম এর অপেক্ষার পালা যেন শেষ ই হতে চায় নাহ। গল্পের শেষে এসে তিনি স্বপ্নে দেখেন ইমনের বাবা ইমনের বিয়ের রাতে ফিরে আসবেন। ইমনের বিয়ে হয়। কিন্তু কার সাথে? মিতু নাকি অন্য কেউ? সুপ্রভার বা কি হলো ? ইমনের বাবা কি সত্যিই ফিরে এসেছিলেন? শেষ পর্যন্ত কি সুরাইয়া বেগমের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছিল? তবে আর অপেক্ষা কেন? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাইলে এক্ষুনি পড়ে ফেলুন বইটি। একটি অসাধারন বইয়ের সাধ উপভোগ করুন। #হ্যাপি_রিডিং ?

      By Sanjeda Sultana

      15 Feb 2020 05:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা উপন্যাসটি পরে বলতেই হবে হুমায়ূন আহমদের মত লেখক যার কোন আসলে তুলনায় হয় না, তার মানুষকে পড়ার প্রতি আটকে রাখার অসম্ভব জ্ঞ্যান। যা এই উপন্যাস শেষ না হওয়া অবধি আপনাকে উঠতে দিবে না। আপনিও অপেক্ষা করতে থাকবেন শেষ পরিণতি জানার জন্য অধির আগ্রহে। এটি উনার দীর্ঘ একটি উপন্যাস বলে একটু স্লো মনে হতে পারে, আমার কাছে লেগেছে আর কি। আমার ও অপেক্ষাটা ছিল লম্বা। উপন্যাসটি একটি হারিয়া যাওয়া একদম লাপাত্তা একটি মানুষের পরিবারের তার হারিয়ে যাবার পর তাদের কি অবস্থা হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে, কেমন হতে পারে এমন একটি পরিবারের মানুষগুলির জীবন! বলতে হয়, এই উপন্যাসের একটি চরিত্র সুপ্রভার মৃত্যু যেভাবে দৃশিত হয়েছে তা স্পর্শকাতর, যা সবাইকেই একটু হলেও বেদনা দিবেই। এই উপন্যাসের এই দৃশ্যটি ছিল লেখকের একটি শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্মাণ।

      By Toufiq Ahmed

      27 Jan 2020 12:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয়জন হারানোর শোক এবংং তার জন্যে প্রতিক্ষা সে সাথে পরিবারের কর্তার অনুপস্থিতি যে কতটা প্রভাবফেলে একটি পরিবারে তা আমরা অপেক্ষা উপন্যাসের মাধ্যমে জানতে পারবো। সেই সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কগুলোর সুন্দর একটি উপস্থাপন রয়েছে। রয়েছে প্রেম রয়েছে স্নেহ রয়েছে আরো বহু খুনসুটি।তাই বলা যায় পাঠকদের বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগবে।

      By Hasibur Rahman

      18 Nov 2019 07:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা উপন্যাসটি আমার পড়া সবচেয়ে সুন্দর উপন্যাস। এ উপন্যাসে লেখক একটি নিকজ হওয়া পরিবারের অবস্থা তুলে ধরেছেন। তিনি আরো বোঝাতে চেয়েছেন য়ে মানুষের জীবন একটি চক্র আকারে ঘুরতে থাকে । আপনারা এ উপন্যাস পড়ে তা বুঝতে পারবেন। By Md.HR

      By Palash Baroi

      22 Oct 2019 11:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি পড়েছি কয়েকবছর আগে। বইটি অনেক সুন্দর।বইটির এক লাইন পড়লেই পরের লাইনের জন্য অপেক্ষা করি কে কার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বইটি পড়ে আইনস্টাইনের একটি কথা মনে পরে, আইনস্টাইন বলেছিলেন জীবন হলো বাইসাইকেলের মতো,এটা সব সময় চালিয়ে যেতে হয়।ঠিক তেমনি ভাবে, ইমনের মা তার ছেলেকে নিয়ে চালিয়ে গেছেন এবং অপেক্ষা করছেন কখন দরজার কলিং বেল বাঁজবে। ইমনের বাবার জন্য সুরাইয়া অপেক্ষার সমাপ্তি এভাবে-কে এসেছে?কে?

      By Habiba Akter

      10 Sep 2020 08:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বইটি অসাধারণ। রিভিউ লিখলে অনেকটা মুভির স্পয়লার দেয়ার মত হয়ে যায়। নামের মধ্যেই বইটির স্বার্থকতা আছে। কাহিনির সাথে পাঠক কখনও হাসবে কখনও কাঁদবে। সবগুলো চরিত্র হয়ে উঠবে আপন। বইটি যেন রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের মত যেন হইয়াও হইল না শেষ।

      By Bulbul Islam

      23 Oct 2017 11:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষা পড়ার সময় আমার ভাগ্নি রুশি রুবিনা আপুর গর্ভে। ততদিনে প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা জেনে গেছি আমাদের ভাগ্নি পৃথিবীতে আসছে। বইটি পড়ার শুরুতেই সুপ্রভা চরিত্রটি আমার খুব মনে ধরে। সাথে সাথে ঠিক করলাম ভাগ্নির নাম রাখবো সুপ্রভা।কিন্তু উপন্যাসে সুপ্রভার হঠাৎ অনুপস্থিতি আমকে খুবই কষ্ট দেয়। ভাগ্নির নামটা সুপ্রভা রাখতে গিয়েও ভিতর থেকে সায় পেলাম না। এরপর নাম দিলাম রুশি। সেটাও কোন এক উপন্যাস থেকে, সে গল্প অন্যদিন বলবো। অপেক্ষা উপন্যাসটা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছি। শুধুই মনে হচ্ছিল এই বুঝি অপেক্ষার পালা শেষ হলো।

      By Rukaia Liza

      09 May 2014 05:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইমন,তার মা,বাবা ,দাদী ও ছোট চাচা নিয়ে সাজানো সংসার । ইমন তার দাদীর কাছে নানা গ্রাম্য অদ্ভুত সব কথা শিখে ।অদ্ভুত সব কথা কাজ শিশুরা যে সহজেই গ্রহণ করে তাই ফুটে উঠৈ এখানে । ইমনের চাচা বেকার হওয়ায় নানা হাস্যরসাত্মক কাণ্ডকারখানা করে যে কারণে সে ইমনের কাছে প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হয় ।ইমনের বাবা হঠাৎ একদিন অফিস থেকে আর বাসায় ফিরে আসেনা । এদিকে ইমনের বাবা হারিয়ে যাবার কিছুদিন পরেই ইমনের বোন সুপ্রভা হয় ।পরিবারে নেমে আসে নানা অর্থনৈতিক, মানসিক সমস্যা ।এরপর ইমনের মা,বোন সহ তারা তার মামার বাসাই উঠে। ইমনের মামা রোবটিক টাইপ মানুষ । পছন্দ অপছদ্দ বলে কিছু নাই । কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সুপ্রভা মামার কাছে ভালোবাসার পাত্রী হয়ে উঠে । ইমনের খালাতো বোন মিতু ইমনের সাথে নানা দুষ্টামি করতে থাকে । ।দু জনের ভাব জমে । ইমন বড় হতে থাকে । ইমনের মা পূর্ণ আস্থা নিয়ে ইমনের বাবার ফেরা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে । ইমনেরা মামার বাড়ী ছেড়ে নতুন বাসাই উঠে । ইমন একটা ছাত্রীকে পড়াতো যে মাঝেমধ্যে ইমনের সাথে প্রেম টাইপ ন্যকামু করতে থাকে ।এদিকে পাশের একটা মেয়েকে ইমনের মার খুব পছন্দ হয় । ইমনের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য ইমনকে বলে ।ধীরে ধীরে ইমন পরিবর্তন হতে থাকে ....মিতুর বিয়ে আসে ,অন্য একটা ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয় ।মিতু মনে মনে ইমনকে.....কিন্তু.......ইমনের বিয়ের রাতে কলিং বেল বেজে উঠে.....তারপর ....... সুপ্রভা,কিছু চরিত্র ক্ষণিকের মধ্যে সবার মনে ভালাবাসার জায়গা করে নেয়।কিন্তু তার হঠাৎ অনুপস্থিতি পাঠকের মনে যে কেমন নাড়া দিতে পারে তা অত্যন্ত সুনিপুনভাবে ফুটে উঠেছে সুপ্রভার চরিত্রে। বইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন '“মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য” ""বিড়াল আর পুরুষ এই ২ জাতের ওপর কোন বিশ্বান নাই । ২ টাই ছোকছোকানি জাত'' ''পৃথিবীর সব আনন্দময় জিনিস বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোসনা,বৃষ্টি , মানুষের ভালোবাসা । একটি মধ্যবিত্ব পরিবারের আয়ের উৎস বন্ধহলে পরিবারের কি হয় তা উপলব্ধি করতে হলে পড়তে হবে ওই বই ।মানুষের বেচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামক ব্যপারটা খুব প্রয়োজন । এটা টনিক হিসাবে কাজ করে । অপেক্ষা এমন একটা বই যেখানে আপনি একটি পূণাঙ্গ জীবনকাহনী উপভোগ করতে পারবেন । যার পরতে পরতে মিশে আছে একটু অবহেলা,একটু ভালোবাসা ,বেচে থাকার একটু স্বপ্ন,সংগ্রাম,প্রিয় মানুষকে কাছে পাবার জন্য অপেক্ষা ।অসলে জীবনকে পরিপর্ণভাবে উপভোগ করতে একটু একটু করে সব কিছুবেশি প্রয়োজন ।সব পূর্ণ হলে জীবনের প্রতি আকষর্ন থাকেনা। কিছু বই পড়লে ঠোটের কোণে এক চিলতে হাসি আবার কিছু বইয়ে চোখের কোণে এক বিন্দু অশ্রু জমে । কোন বই শেষ করার পর পরিতৃপ্তিতে মনটা কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে যায় অশ্রু আসে চোখে। আর এ সব কিছু উপভোগ করার জন্য আপনাকে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ''''অপেক্ষা ''' তাই দেরি না করে সুযোগ পেলে পড়ে ফেলুন "'আপেক্ষা"' কিছুক্ষণের জন্য ডুবে যান অন্য এক জগতে

      By Imran Topu Sardar

      07 Sep 2015 04:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      শেষ না করে উঠতে পারলাম না। অসম্ভব মেশানো সব ভালো লাগা এবং ভালোবাসা। আমি মন্ত্রমুগ্ধ!!

      By Imam Tuheen

      25 Jan 2019 11:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপেক্ষার মুহুর্তগুলো দীর্ঘ হয়। কষ্ট হয় আরো তীব্র। সুরাইয়ার অপেক্ষা তীব্রতর। সুপ্রভা, খুব কষ্ট পেয়েছি। বইটির কিছু বিশেষ লাইন- *** নরম মেয়েগুলি কঠিন বিপদ সামাল দিতে পারে। শক্ত মেয়েগুলি পারে না। (পৃষ্ঠা- ২৩) *** হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশগুন বেশী সুন্দর লাগে। (পৃষ্ঠা- ৭৮) *** স্নেহ, মমতা, ভালবাসা এই ব্যাপারগুলি আসলেই অদ্ভুত। কোন জাগতিক নিয়মকানুনের ভেতর এদের ফেলা যায় না। (পৃষ্ঠা- ৮৪) *** এতবড় যে পৃথিবী সেও নিয়মের ভিতর দিয়ে চলে- সূর্যের চারদিকে একই পথে ঘুরে। পৃথিবী কি লাফালাফি ঝাঁপাঝাঁপি করে? (পৃষ্ঠা- ৮৪) *** ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল ভয়ংকর। (পৃষ্ঠা- ৯২) *** ছোট্ট সুপ্রভা। তোমার প্রসঙ্গ অপেক্ষা উপন্যাসে আর আসবে না। কারণ তোমার জন্যে কেউ অপেক্ষা করে থাকবে না। মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে। এই চরম সত্যটি না জেনেই তুমি হারিয়ে গেলে। (পৃষ্ঠা- ১৪৬) *** পৃথিবীর সবচে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন ধর জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালবাসা...। (পৃষ্ঠা- ২১০) *** আমাদের এই পৃথিবী কখনো স্থীর হয়ে থাকে না। সারাক্ষণ ঘুরছে। এই জন্যে পৃথিবীর কোন কিছুই ঠিক থাকে না। (পৃষ্ঠা- ২১১)

      By Bayezid Hasan

      20 Oct 2019 10:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্যারের এই বইটি আমার সবচেয়ে পছন্দের বইগুলোর মধ্যে একটি। এখানে হঠাত করে ইমনের বাবার হারিয়ে যাওয়া। সুপ্রভার হঠাত মৃত্যু সহ প্রতিটি পদে পদে মানবজীবনের অনেক ঘটনা খুব সুন্দর ভাবে তিনি তুলে ধরেছেন। একদম মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত গল্প।প্রতিটি অংশে কিছু না কিছু বাস্তবতার গল্প ছিল। স্যার বেঁচে থাকলে হয়ত এমন আরো সুন্দর গল্প পেতাম আমরা। একটা কথা আছে না মৃত মানুষের জন্যে কোন অপেক্ষা থাকে না কিন্তু আমরা তো এখনো স্যারের জন্য অপেক্ষা করি

    • Was this review helpful to you?

      or

      ইমনের বয়স যখন ৫ বছর তিন মাস সেদিন ইমনের দাঁত পরে।দিনটা ওদের জন্য স্মরণীয়। একই দিনে ইমনের ছোটচাচা এম.এ পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।ইমনের মা সুরাইয়া বেগম ইমনের বাবাকে ফোন করে ইমনের দাঁত পরার কথা বলেন।ইমনের ছোটচাচা ফিরোজের এম.এ পরীক্ষা না দেয়ার কথা বলেন।আরেকটা অনেক বড় খবর বলার ছিল।তার ভিতরে আরেকজন মানুষের অস্তিত্ব তিনি অনুভব করছেন।সেটা ইমনের বাবাকে সামনাসামনি বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইমনের বাবা সেরাতে আর ফিরে আসেনি। তারপর থেকেই ইমনের মা সুরাইয়া বেগমের অপেক্ষা শুরু হয় তার স্বামীর জন্য। কিছুদিন পরেই ইমনের বোন হয়। ইমনের মা ওকে অপয়া মনে করে। অনাদরে বেড়ে উঠতে থাকে ওরা। নিজেদের ভাড়াবাড়ি ছেড়ে সুরাইয়া বেগম ইমন এবং ওর বোন সুপ্রভাকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়ি চলে যায়।ওখানে মামাতো দুই যমজ ভাই শোভন টোকন ও মামাতো বোন মিতুর সাথে ওরা বড় হতে থাকে। ইমন এখন ভার্সিটি তে পড়ে। সুপ্রভা ৭ম শ্রেণীতে। ইমনের মা এখনও তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করেন।তার বিশ্বাস ইমনের বিয়ের রাতে তার বাবা ফিরে আসবে। নিজস্ব মতামতঃ মিতুর দুষ্টামিগুলা খুব মজার ছিল। আবার শোভনের বেয়াড়াপনাও আনন্দদায়ক। সব থেকে ভালো লেগেছে ছোটচাচাকে।আমার খালি বার বার মনে হচ্ছিল আমার যদি এমন একটা ছোটচাচা থাকত। যে সকল বিপদে আমাকে সাহস যোগাবে। কোনও কঠিন বিপদের সময় আমাকে বলবে " কিরে বেটা হার্ড নাট এতো অল্পতেই ভেঙ্গে পড়লে চলে?" ছোটচাচা একবার দেশের বাইরে থেকে ইমনকে চিঠি পাঠায়। সাথে ২০০ ডলার। চিঠিটা পড়ার সময় আমার চোখও আর্দ্র হয়েছিল।আপনাদেরও হবে।আরও কিছু কিছু যায়গায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!