User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
This book is actually good i like humayun ahmed books
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ হুমায়ূন আহমেদ নুহাশের খুব জ্বর, সে বিছানায় শুয়ে আছে। তাকে রেখে তার বাবা-মা অফিসে গেছে, তবে বাসায় বুয়া আছে। তবে হঠাৎ করেই নুহাশের জ্বর বেড়ে গেছে। নুহাশের মা তার স্বামীর খুব রেগে আছে। নুহাশের মা রেগে গিয়ে চেঁচামেচি করতে থাকেন কিন্তু নুহাশের বাবার তেমন গায়ে লাগে না, তিনি কথা শুনে হাসেন আবার মজাও করেন। তিনি প্রকৃতিপ্রেমী, তবে বানিয়ে মিথ্যা বলতে পারেন, সংসারের প্রতি তেমন টান নাই, মানুষের উপকার করতে গিয়ে পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া বাকী পড়ে গেছে। তবে নুহাশ তার বাবাকে খুব ভালোবাসে। তবে তার মা সিন্ধান্ত নিয়েছে তার বাবার থেকে আলাদা থাকবে, ঠিক তাই করলো। নুহাশের মেজোমামা তাকে একটা খেলনা চেরাগ উপহার দেয়, সেটি দুইটি পেন্সিল ব্যাটারি দিয়ে চলে, ঘষলে শব্দ করে কালো ধোঁয়া বের হয়। তবে সেখান থেকেই সত্যিকারের দৈত্য বেড়িয়ে এলো, তার সাথে অনেক কথা হলো। আর বুদ্ধি করে তার মায়ের সাথে আবার সম্পর্ক ঠিক করে দিল। হুমায়ূন আহমেদ মানে মুগ্ধ হতে হবে, গল্পের ভেতর হারিয়ে যেতে হবে, অবাক হয়ে গল্পের পরের অংশ ছটপট করতে হবে! তার লেখার অকৃত্রিম ভালোবাসা♥
Was this review helpful to you?
or
বই: নুহাশ এবং অালাদিনের অাশ্চর্য চেরাগ জনরা: শিশুতোষ উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশক: অাফসার ব্রাদার্স প্রকাশ কাল: ষষ্ঠ সংস্করণ ১৯৯৮ পৃষ্ঠা: ৬৪ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য: ৪০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: নুহাশ নামের একটা ছোট মেয়ে অার তার পরিবারে কাহিনী নিয়ে গল্পটা। মূলত ছোটদের জন্য হলেও গল্পটা বড়দের। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নুহাশ বাবা মায়ের সাথে থাকলেও বাড়িতে প্রায়ই তাকে কাজের বুয়ার সাথে একা থাকতে হয়। বাবা মায়ের কর্পোরেট জীবনে সন্তানের অসুস্থতার সময়ও তার পাশে থাকার মত সুযোগ হয় না। অসুস্থ নুহাশকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা থাকলে অাত্মভোলা বাবা মিনহাজ সাহেব বেমালুম ভুলে গেলেন। বাবা মায়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। ঠিক ঝগড়া না কেননা বাবা কখনো ঝগড়া করতে না শুধু মিটমিট করে হাসত। সংসারের প্রতি উদাসীন, বন্ধুপ্রিয়, জ্যোৎস্না ভালোবাসা মানুষটা অন্য সকলের কাছে পছন্দের হলেও নুহাশের মা রেবেকা তার উদাসীন্যতায় অতিষ্ট হয়ে পড়ে। বাবা ভাড়া বাকি রেখে যে কিনা মাসের পর মাস বন্ধুকে টাকা ধার দেয়, মেয়ের অসুখের কথা ভুলে গিয়ে শালবনে জ্যোৎস্না দেখতে চলে যায়। তাই রেকেবা স্বীদ্ধান্ত নেয় তারা অালাদা হয়ে যাবে। একথা শুনে নুহাসের ব্যাপক মন খারাপ হয়ে যায়। মায়ের এতসব অভিযোগ থাকলেও নুহাশের কাছে তার বাবা অনেক প্রিয়। তার সব অাবদার সে রাখে ঝালমুড়ি থেকে শুরু করে বেলুন কিনে দেয়া সব। রেবেকা বাসা থেকে চলে যাওয়ার জন্য বললে মিনহাজ অনুরোধ করে তবুও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারে না। এদিকে তার কিছুদিন পর বাসা পাল্টানোর কারনে বাবার সাথে তার অনেকদিন দেখাও হয় না। এমনি এক মন খারাপের রাতে মেজোমামার দেয়া উপহার অালাদিনের চেরাগ ঘষতেই এক দৈত্য বের হয়ে অাসে। যদিও মামা বলছিল এটা খেলনা প্রদীপ। তবু তার থেকে এক ভদ্রবেশী শার্ট, প্যান্ট পড়া, চোখে চশমা অার পকেটে বল পয়েন্ট কলম নিয়ে এক দৈত্য হাজির হয়। দৈত্যের বুদ্ধিতেই শেষ পর্যন্ত বাবা মা অাবার একসাথে থাকা শুরু করে। নিজস্ব মতামত: ছোটদের জন্য মজার ছলে লিখলেও এ বইয়ে অনেক বড় একটা ম্যাসেজ লেখক দিয়েছেন। পারিবারিক কলহ বা বিচ্ছেদ শিশু মনের উপর যে কতটা প্রভাব ফেলে তার চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। বইটা পুরনো হলেও নতুনের মত স্বাদ পেয়েছি পড়ে। গুগল করে এর পরবর্তী সংস্করণের ভূমিকা পরে মজা পেয়েছি। কারন বইটা তার বড় ছেলে নুহাশের জন্য লেখা অার তাই প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়ে শুনাত তাকে। কিন্তু সে খুশি হওয়ার পরিবর্তে রাগ করত কেননা গল্পের নুহাশ ছিল মেয়ে।
Was this review helpful to you?
or
‘নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ’ হুমায়ূন আহমেদের লেখা একটি শিশুতোষ উপন্যাস। বইটি নিয়ে একজন হুমায়ুনভক্ত লিখেছেন- “একরাত্রের কথা,আমার বড়ফুফু আমার জন্য খাকি কাগজে মোড়া একটা বই পাঠালেন।নতুন কমিক্স ভেবে খুশি হয়ে গেলাম।প্যাকেট ছিঁড়ে দেখি সবুজ মলাটের একটা বই "নুহাশ এবং আলাদীনের আশ্চর্য চেরাগ",লেখক হুমায়ূন আহমেদ।বিরক্তি লাগল,এইসব আবার কি বই!!!বই বইয়ের জায়গায় থাকল,আমি আমার জায়গায়।সপ্তাহখানেক পরের কথা,আম্মু জানি কোথা থেকে একটা নতুন কবিতা শিখেছে,দুই মিনিট পর পরই যেটা আমাকে না শুনালে তার হচ্ছেনা। /"সাকিব আব্বুটিং,গোলটুং চক্ষুং, /হাসটুং করছিং,করে ফিক ফিকিং" /আম্মুকে বললাম কাহিনী কি?আম্মু বইটা হাতে ধরিয়ে দিল।বইয়ের প্রথম পাতা উল্টালাম,এক নতুন জগতে,হুমায়ূন জগতে পা রাখলাম।বইটাতে নুহাশ একটা আশ্চর্য চেরাগ পায়,যা থেকে শার্ট প্যান্ট পড়া এক আধুনিক ভদ্র দৈত্য বের হয়ে নুহাশের সব সমস্যার সমাধান করে দেয়।আমি তখন ছিলাম হুলুস্থূল টাইপের শুকনা।আমার কোমড়ের কোন প্যান্ট মার্কেটে পাওয়া যেতনা।মানুষজন চেঙ্গিস খান,তালপাতার সেপাই আরো কতো কি বলে খেপাতো!একটু যাতে মোটা লাগে সেজন্য আমি এক প্যান্টের উপর আরেকটা প্যান্ট পড়তাম।যাইহোক,আমার নানু বাসায় কাঁসার পুরানো একটা গ্লাস ছিল,ওটা গেন্জির তলায় লুকিয়ে দোতালায় নিয়ে যেতাম আর এদিক ওদিক তাকিয়ে খসখস করে ঘষতাম।ভাবতাম একবার যদি সেই আধুনিক ভদ্রলোক চেরাগ থেকে বের হয় তাহলে তাকে বলব আমাকে যাতে একটু মোটা বানিয়ে দেয়,আমাকে যেন এই গরমে আর প্যান্টের উপর প্যান্ট পড়ে থাকতে না হয়!এই ছিলো হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমার প্রথম পরিচয়!এরপর বিভিন্ন সময়ে বাকের ভাই,হিমু,মিসির আলি কিংবা শুভ্ররূপে তিনি আমার জীবনে বহুবার দাগ কেটে গেছেন।” হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর।
Was this review helpful to you?
or
‘নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ’ হুমায়ূন আহমেদের লেখা একটি শিশুতোষ উপন্যাস। এই বই পড়ে শিশুরা একটি সুন্দর গল্প পড়ার আনন্দ লাভ করবে। তবে শিশুতোষ উপন্যাস হলেও এখানে লেখক বড়দের জন্যেও একটি বার্তা রেখেছেন। আর তা হল, একটি পরিবারের বাবা-মায়ের মধ্যে সেপারেশনের ফলে শিশু সন্তানের মনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় লেখক সে বিষয়টিকে এই উপন্যাসে পাঠকদের সামনে এনেছেন। নুহাশ ক্লাস ফোরে পড়ে। সে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে। কিন্তু তার বাবা-মা সারাদিনই ঝগড়া করেন। বাবা অবশ্য ঝগড়া করেন না। মা ঝগড়া করেন, আর বাবা মিটিমিটি হাসেন। বাবা সব সময়ই এ রকম। নুহাশ কোনদিন বাবাকে রাগ করতে দেখে নি। নুহাশের বাবার বিরুদ্ধে তার মায়ের অনেক অভিযোগ। নুহাশের বাবা সংসার সম্পর্কে, তার স্ত্রী-সন্তান সম্পর্কে উদাসীন। তিনি সারাদিন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে থাকেন। কখনও হয়তো জোছনা দেখতে গভীর রাতে শালবনে চলে যান। নুহাশের বাবা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। কিন্তু খুব খেয়ালী। তাই নুহাশের মা সিদ্ধান্ত নিলেন, তার সাথে সংসার করা সম্ভব নয়। তিনি নুহাশকে নিয়ে আলাদা একটা ফ্ল্যাটে উঠলেন। নুহাশ এই ঘটনায় খুব কষ্ট পেলো। তাই সে রাতে মায়ের কথা না শুনে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। গভীর রাতে তার ঘুম ভেঙে গেল। তখন নুহাশ তার মেজো মামার দেয়া খেলনা চেরাগে ঘষা দিতেই সেখান থেকে সত্যি সত্যি দৈত্য বেরিয়ে এলো। নুহাশ প্রথমে ভয় পেলো। কিন্তু একটু পরে নুহাশ বুঝলো, এই দৈত্যটি খুবই ভালো। তারপর নুহাশ আর দৈত্য মিলে ভাবতে বসলো, কীভাবে নুহাশের বাবা-মাকে আবার এক করা যায়। শেষ পর্যন্ত দৈত্যের একটা বুদ্ধিতেই আবার নুহাশের বাবা-মা একসাথে থাকা শুরু করলেন। কিন্তু কীভাবে? তা জানতে হলে, পাঠককে এই চমৎকার উপন্যাসটি পড়তে হবে। ছোটদের জন্যে এই উপন্যাসটি লেখা হলেও বইটি পড়তে পড়তে কিছু জায়গায় বড়দের চোখেও পানি এসে যাবে। এখানেই হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর মুনশিয়ানা। এই গল্প পড়ার সময় পাঠক কাহিনীর ও চরিত্রগুলোর সাথে পুরোপুরি একাত্ম হয়ে যাবেন। আর এই গল্পে লেখক আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগের দৈত্যটিকে এত বাস্তবানুগ ভাবে তুলে ধরেছেন যে, গল্পটি পড়ার সময় ছোটরা তো বটেই বড়রাও দৈত্যের উপস্থিতিকে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। এই ব্যাপারটি সম্ভব হয়েছে, শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর প্রচণ্ড শক্তিমত্তার কারণে। সব মিলিয়ে বলতে হয় ছোট পরিসরের এই উপন্যাস পড়ার পর পাঠকেরা আরেকবার হুমায়ূনের সাধারণ গল্পকে অসাধারণ করে তোলার, অবিশ্বাস্য গল্পকে সম্ভব করে তোলার ক্ষমতার পরিচয় পাবেন।