User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****566

      23 Nov 2024 12:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই ??, বই এর কোয়ালিটি অনেক ভালো ??

      By Shafin Ahmed Simanto

      02 Sep 2024 05:45 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই । ডেলিভারি দুই দিনের মধ্যে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

      By Ali Nur

      10 Mar 2024 03:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা অনেক ভালো।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ বাড়ির নাম 'নিরিবিলি'। অবশ্য 'র'-এর ফোঁটা সরে গেছে, পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা 'ব'-এর নিচে ফোঁটা বসিয়ে এর নাম করেছে 'নিবিরিলি'। বাড়িটার প্রতিটি সদস্য, তাদের মাঝে হাস্যরস, পাগলামি, তামাশা, ভালোলাগা ভালোবাসা ও চিরচেনা পারিবারিক আমেজ নিয়ে লেখা উপন্যাস 'বহুব্রীহি'। নাটকটা আমার এখনও দেখা হয়ে উঠেনি। ভাবলাম আগে উপন্যাসটা পড়ে তারপর দেখবো। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য নাটকের থেকে এর ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো, এ নাটকের চিত্রনাট্যের পর উপন্যাসটা লেখা হয়েছে। তাই উপন্যাসের কিছু জায়গায় লেখক ভিন্নতা এনেছেন। • শুরুতেই চরিত্র পরিচিতি: • সোবাহান সাহেব: ওকালতি থেকে অবসর নিয়ে এখন অব্যস্ত সময় পার করেন বাড়ির কর্তা। বই পড়ে ও ডায়রি লিখেই সময় কাটান তিনি। মাঝে মাঝেই উদ্ভট কিছু চিন্তা আসে সোবাহান সাহেবের মাথায়। সেসব বিষয়ে লিখে তিনি তা অন্যকে পড়ে শোনান। • মিনু: সোবাহান সাহেবের স্ত্রী। সচারচর বাঙালি পরিবারের কর্তীরা যেমন হয়, মিনু তেমনি একজন চরিত্র। • মিলি ও বিলু: সোবাহান সাহেবের দুই মেয়ে। দুজনেই বেশ শান্ত সভাবের। তবে বিলু একটু বেশিই কোমলমতী। • ফরিদ: সোবাহান সাহেবের শ্যালক। সে কাজকর্ম কিছুই করে না, তবে মাঝে মাঝে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করে। তার কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডে সোবাহান সাহেব বেশ বিরক্ত হন। • মনসুর: ডাক্তার মনসুর অবশ্য নিরিবিলির বাসিন্দা নয়। তবে এ বাড়ির একটা মেয়েকে সে মনে মনে বেশ পছন্দ করে, মুখ ফুটে বলতে পারে না। এ বাড়িতে আসলেই প্রতিবার একটা করে অঘটন ঘটে তার সাথে। • আনিস: বিপত্নীক আনিস তার ছোট ছেলেমেয়ে টগর ও নিশাকে নিয়ে এ বাড়িতে ভাড়া থাকে। তাদেরকে এ বাড়ির সকলেই আপন করে নিয়েছে। বিশেষ করে টগর ও নিশা তাদের চাঞ্চল্য ও শিশুসুলভ আচরণ দিয়ে বাড়ির সবার মন জয় করে নিয়েছে। • রহিমার মা ও কাদের: এ বাড়িতে গৃহকর্মী তারা। তাদের অদ্ভুত অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ডে পাঠকের মনে কৌতুকরসের আবির্ভাব হবে। • এমদাদ ও পুতুল: পুতুল যেমন মায়া ভরা একটা মেয়ে, তার দাদা এমদাদ ঠিক তার বিপরীত। অত্যন্ত চতুর ও মিথ্যুক প্রকৃতির এ লোক তার অল্পবয়সী নাতনিকে নিয়ে একটা বিশেষ কারণে এ বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছেন। • পাঠ প্রতিক্রিয়া: পারিবারিক আমেজে হাস্যরস নিতে যেমন উপন্যাস প্রয়োজন, বহুব্রীহি তার ষোলো আনাই পূর্ণ করে। এতগুলো চরিত্র নিয়েও উপন্যাসটা সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা হয়েছে, কোথাও অসংগতি লাগে নি। তাছাড়া সবগুলো চরিত্রই একজন আরেকজন থেকে ব্যাতিক্রম। সেক্ষেত্রে, উপন্যাসে রোমান্টিকতার প্রকাশও ব্যাতিক্রম বলা যায়। তবে উপন্যাসের শুরুতে কিছু অংশ আমার কাছে মনে হয়েছে নাটকের চিত্রনাট্যের মতো। অবশ্য খুব সূক্ষ্ম ভাবে খেয়াল না করলে বিষয়টা পাঠকের কাছে ধরা পড়বে না। এছাড়া, উপন্যাসের সংলাপগুলো সহজ সাবলীল হলেও বেশ ভালো লেগেছে। এর মধ্যে আমার পছন্দের কিছু বাক্য হলো: • "যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।" • "জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা আমরা পড়ালেখা করে নষ্ট করি।" পরিশেষে বলবো, বহুব্রীহি একটা সুখী পরিবারের প্রতিচ্ছবি, কয়েকটা ভালো অনুভূতির বুনন। সে বুননে নিজেকে জড়িয়ে নিতে পড়ে ফেলতে পারেন উপন্যাসটি। • বই: বহুব্রীহি • লেখক: হুমায়ূন আহমেদ • প্রকাশনী: আফসার ব্রাদার্স • প্রচ্ছদ মূল্য: ৩৫০ টাকা • প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: ফরিদুর রহমান রাজীব • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২০৮ • ব্যাক্তিগত রেটিং: ০৪/০৫ (বি. দ্র: যারা উপন্যাসটি পড়েছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন। লেখক বলেছেন, বহুব্রীহি নামকরণের কারণটা বুদ্ধিমান পাঠকরা খুঁজে বের করতে পারবে। আমার কাছে মনে হয় নামকরণটা কিছুটা ফরিদ কেন্দ্রিক। 'বহুব্রীহি' অর্থ হচ্ছে 'বহু অন্ন/ধান আছে যার'। যেহেতু উপন্যাসের শেষে দেখা যায় ফরিদ অনেক ধন-সম্পদের মালিক, তাই আমার মনে হয় উপন্যাসের 'বহুব্রীহি' নামকরণের সাথে এই কারণটা যায়। আপনাদের কী মনে হয়?) ~ ইয়াসির আল সাইফ

      By Niloy Ahmed

      26 Jun 2023 09:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা পড়ার পর বহুব্রীহি শব্দটার স্বরূপ অনুধাবন করতে সার্থক হয়েছি !বইটার নামকরণ কেবল তাদের পক্ষেই বোধহয় বলা সম্ভব হবে যারা লেখকের রচয়িত ২০ টি গল্পগ্রন্থ অন্তত পড়েছে!!!

      By Shohag

      25 Feb 2023 02:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good Book!

      By tawfima

      29 Jun 2022 04:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      just awesome

      By Mahbuba Aarman

      08 Apr 2022 02:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের খুবই জনপ্রিয় একটি বই'বহুব্রীহি'। অন্যান্য উপন্যাসের ক্ষেত্রে যেমন আগে গল্প লিখে তারপর নাটক বা সিনেমা বানানো হয়েছে, এটা তার উল্টো। আগে টিভি সিরিয়াল বানিয়ে তারপর উপন্যাস লেখা হয়েছে। তবে এখানে টিভি সিরিয়ালের থেকে উপন্যাসে বেশ পার্থক্য রয়েছে। বহুব্রীহি উপন্যাসের সব ক'টা চরিত্রই কিছু বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। গল্পটা শুরু হয় নিরিবিলি নামক একটা বাড়ি থেকে। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দু'বছর হলো ওকালতি থেকে রিটায়ার করেছেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেলে পড়ে আর ছোট মেয়ে মিলি। ইকনোমিক্সে অনার্স করছে। সোবাহান সাহেবের স্ত্রী মিনু একজন সাধারণ গৃহকর্তী। বাড়ির দু'জন কাজের লোক রহিমার মা ও কাদের। এ বাড়িতে এরা ছাড়াও আরেকজন আছে জহির। বিলু ও মিলির মামা। তার কোনো কাজকর্ম নেই। সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার কাজ। এর পাশাপাশি প্রায়ই উদ্ভট কিছু ইচ্ছা জাগে তার। মনসুর ডাক্তারি পাশ করে গ্রীন ফার্মেসী নামক একটি ফার্মেসীতে বসে। সেখানকার মালিক তাকে থাকার ব্যবস্হা করে দিয়েছে। একদিন ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলির সাথে তার পরিচয় হয়। সেই সুত্রে মনসুরও যাতায়াত শুরু করে নিরিবিলিতে। মা মরা দুই শিশু টগর ও নিশা। এদের দুজনের যন্ত্রনায় বাবা আনিস অতিষ্ট। ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস খেলার নাম করে এরা ঘরের বিছানা এবং জানালার পর্দায় আগুন লাগিয়ে দেয়। তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দেন। আনিস বাড়ির খোঁজে আসলে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম তাকে ভাড়া দেয়। হুট করে একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে খোন্দকার এমদাদ সাহেব ও তার নাতনী পুতুল কে নিয়ে এই বাড়িতে উপস্থিত হয়। এমদাদ সাহেব খুবই ধড়িবাজ লোক। তার ইচ্ছা তার নাতনিকে মনসুর নামক ডাক্তারের কাছে গছিয়ে দেওয়া। "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। মোটামোটি একটা হুলোস্থুল ব্যপার! উপন্যাসটা বেশ উপভোগ করেছি। পুরোটা সময় ধরে খুব হেসেছি। মজার ব্যপার হলো এটা আমার তীতৃয়বার পড়া। জহিরের চরিত্রটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সাথে টগর-নিশার কর্মকান্ডগুলোও। এখানে উক্তিগুলো খুবই মজার মজার। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে ব্যপারটা। এখন নাটকটা দেখার পালা।

      By Farhanul Hoque

      16 Mar 2022 11:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ধন্যবাদ

      By Tamim

      13 Jan 2022 04:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️

      By Zihad hasan

      06 Dec 2021 11:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসাধারন।

      By lubaba tasnim

      18 Oct 2021 06:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ??good enough...

      By Muhammed Riaj

      18 Sep 2021 08:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ এর অল্প কয়েকটা বইয়ের শেষটা ভালো হয়। তার মধ্যে 'বহুব্রীহি' একটি। :)

      By Mainul Hoque

      10 May 2021 05:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By SHEPUL BARMAN

      07 May 2021 11:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      That's good

      By Md. Osman Gani Pavel

      05 May 2021 09:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের মজার একটি বই ।

      By Sajid Bhuiyan

      06 Apr 2021 06:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার প্রিয় একটি বই। ??

      By asma sultana

      07 Jan 2021 09:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      One of the best book

      By Tanvir Hasan Zim

      27 Dec 2020 07:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নির্ভেজাল বিনোদন, হুমায়ূন বরাবরের মতই...অনবদ্য

      By Tonmoy Das

      20 Sep 2020 08:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awsome

      By Md. Shazzadur Rahman

      30 Mar 2020 02:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Bohubrihi is Humayun Ahmed’s popular comedy novel. The story of the novel revolved around a family consisted of different astonishing characters. The characters are Bilu, Milu, Anis, Nisha, Togor, Farid, Mr. Sobhan and his wife. The most interesting character is Farid who is an educated unemployed person and tries to make a movie about problems of society. Bohubrihi introduces us to a fantastic comic story that enriched our social problems, love for our liberation war, the role of empathy in human life, etc. At the same time, Bohubrihi was one of the most popular drama serials of Humayun Ahmed. This was aired on Bangladesh Television. The Bangla word Bohubrihi means the multiple aspects of anything and here it means the mysteries of life. The serial was popular for symbolic demonstration of social facts as well as amusing comments from even the most ordinary roles.

      By Arifin joy

      19 Mar 2020 05:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক মজার একটা গল্পের বই..

      By Tariqul Islam Siam

      23 Feb 2020 05:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের লেখা সেরা উপন্যাস গুলোর কথা বলা হলে এটি থাকবে নিঃসন্দেহে।অসাধারন লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে একটি বাড়ির গল্প । বাড়ির নাম “নিরিবিলি” তবে বাড়ির ফটকে নামের মাঝে “র” এর ফোটা উঠে গেছে।এই বাড়ির মালিক সোবহান সাহেব বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করাই তার কাজ।দেশের পরিস্থিতি ,দেশে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, দরিদ্র মানুষের খুদা ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করাই তার প্রধান কাজ এখন। তার বড় মেয়ে বিলু;বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মারামারি হওয়ায় কলেজ এখন বন্ধ ।সোবহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলি ইকোনোমিকসের ছাত্রী;বাড়ির পাশে গ্রীন ফার্মেসির ডাক্তার মনসুর তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।মনসুর ছেলে ভালো তবে উচ্চশ্রেনীর বোকাদের একজন,একবার মিলিদের খাবার ঘরে অনেক ভয়ে ভয়ে মিলিকে প্রেম নিবেদন করে কিন্তু দেখা গেলো সে যাকে প্রেম নিবেদন করে সে মিলি নয় তার বড় বোন বিলু। তাদের বাড়ির উপরের ঘরে ভাড়া থাকে আনিস ও তার দুই ছেলে মেয়ে ।তাদের দেখতে দেব শিশু মনে হলেও ভীষণ দুষ্টু।মানুষকে জ্বালিয়ে মারতে তারা ওস্তাদ। মিলি,বিলুর মামা ফরিদ।নিজেকে খুবই ট্যালেন্টেড ও চালাক মনে করলেও ভীষন বোকা।সিনেমা বানানোর প্রবল ইচ্ছা তার।একবার সিনেমা “হে মাছ” নামের সিনেমা বানানোর চেষ্টা করেছিল নায়ক ছিল ডাক্তার,নদীতে মাছের জাল ফেলতে গিয়ে ডাক্তার নিজেই নৌকা থেকে পড়ে যাওয়ায় আর সিনেমা বানানো হয় নি। প্রতিদিন রাতে কোন না কোন সিনেমা দেখা তার কাজ।তার সিনেমা দেখার সঙ্গী হচ্ছে “সৈয়দ” বংশের কাদের । বাড়ির সমস্ত ফুট-ফরমাশের কাজ তারই করা। ফরিদের খুব ভক্ত।তাদের বাড়িতে এসেছেন এমদাদ সাহেব ও তার নাতী পুতুল।এমদাদ সাহেব খুব সহজেই সাবলীল ভাবে মিথ্যা বলতে পারেন ।তবে পুতুল পুরোই উলটো,দাদার মিথ্যে বলা এসব পছন্দ না ।এমদাদ সাহেবের ইচ্ছা ডাক্তারের সাথে পুতুলের বিবাহ দেয়া। সেই ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে তিনি সাহায্য নেন সোবহান সাহেবের।ডাক্তার কিছু না বুঝেই রাজি হয়ে যায় পুতুলকে বিয়ে করতে। কিন্তু মিলি ও ডাক্তার দুজনের দুজনকে পছন্দ।পুতুল পছন্দ করে আনিসকে। সোবহান সাহেব আনিসকে পাঠিয়েছে বিলুকে বরিশালে কলেজে দিয়ে আসতে। সাধারনত এই দায়িত্ব কাদেরের তবে কাদের ও ফরিদ বাড়ি থেকে চলে গেছে কয়েকদিনের জন্য তাই এই দায়িত্ব তার নিতে হলো।লঞ্চেই আনিস ও বিলু সিদ্ধান্ত নেয় যে লঞ্চ থেকে নেমে তারা একটা কাজ করতে যাচ্ছে যেখানে প্রয়োজন একজন সাক্ষী।উপন্যাসটি শেষ হয় তোতা পাখির মুখে “তুই রাজাকার।তুই রাজাকার” বাক্য দিয়ে!

      By Atik

      19 Feb 2020 06:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বই মনেই অসাধারণ কিছু, 'বহুব্রীহি'ও তার ব্যতিক্রম নয়। সুন্দর বই, যারা উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তাদের পড়ে দেখা উচিত...

      By Rubayet Ferdous Alvi

      09 Feb 2020 10:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

      By Ahsan ANik

      19 Jan 2020 12:03 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      “বহুব্রীহি” হুমায়ূন স্যারে লেখা সেরা উপন্যাসের মাঝে অন্যতম! এই গল্পের একটি ডায়ালগ অসাধারণ ‘তুই রাজাকার’ গল্পটি নানা ঘটনা বহুল... বাড়ির নাম নিরিবিলি, সোবহান সাহেব বাড়ির প্রধান তার দুই মেয়ে বড় মেয়ে বিলু ছোটো মেয়ে মিলি, তরুন গোল্ট মেডেলিস্ট এক ডাক্টারের আগমন ঘটে, সে গ্রিন ফার্মেসিতে বসে! ঘটনা পরিক্রমায় আনিস ও তার দুই ছেলেমেয়ে নিরিবিলি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে আসে! মিলির মামা সে দুনিয়ার নিয়ম থেকে মুক্ত মানুষ! ফরিদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মিউজিক বের করে! সে টিয়া পাখিকে ভাষা প্রতিবাদের শেখায়, তুই রাজাকার! এই নিরিবিলি বাড়িকে ঘিরে নানান মজার ঘটনা আছে! পাঠক রা নিরাস হবে না, কেননা এটা স্যারের লেখা বই!! বইটি পড়ার পর তাকে সালাম জানাতে ইচ্ছে করবে!

      By Zahidul Islam

      16 Jan 2020 10:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভালো একটা বই।

      By Hazrat Ali

      16 Jan 2020 01:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই। বুঝে উঠতে পারিনি তাই দুইবার পড়েছি।

      By ahsan habib

      12 Jan 2020 07:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। তারা সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে।সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার।

      By Maruf Ahmed

      27 Dec 2019 02:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নিরিবিলি বাসার সোবহান সাহেব এবং মিনুর মেয়ে বিলু এবং মিলি। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়ে আর ছোট মেয়ে মিলি ইউনিভার্সিটিতে। তাদের সাথে তাদের ফরিদ মামাও থাকে। মিলির সাথে মনসুর ডাক্তারের পরিচয়ের পর থেকেই দুজনেই দুজনের প্রেমে হাবুডুবু খায় কিন্তু মনসুর সব কিছু গুলিয়ে ফেলে,কোনো কাজ ঠিক মতো করতে পারে না।বিপত্নীক আনিস সাহেব তার দুই বাচ্চা নিয়ে নিরিবিলির চিলেকোঠায় ভাড়ায় উঠে। বিলু কলেজ ছুটিতে বাসায় এসে আনিসের প্রেমে পড়ে যায়। আনিস সাহেব বিলুকে বরিশালে কলেজে রাখতে গিয়ে বিয়ে করে আসে। ইতোমধ্যে এমদাদ সাহেবের নাতনি পুতুলের সাথে ডাক্তারের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন সোবহান সাহেব। পরে অবশ্য সে বিয়ে আর হয় না আর পুতুল আনিস সাহেবকে তার ভালোবাসার কথা বলে ফেলেন। বিলুর মা মিনু আনিস সাহেবের সাথে বিলুর বিয়ে দেবার কথা ভাবেন তখনই মিলু সব কথা বলে দেন। এদিকে পুতুল ফরিদ সাহেবের সাথেই আছে। সব মিলিয়ে নিরিবিলি এখন আর নিরিবিলি নেই। "যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।"

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      01 Dec 2019 10:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকের সাথে উপন্যাসের চরিত্রের মিল থাকলেও কাহিনীর পুরোপুরি মিল নেই। তাই উপন্যাস টি পড়লে যে কোনো পাঠকই আনন্দ লাভ করবে। হুমায়ূন আহমেদ সারের প্রতি ভালোবাসার জন্যই তার বই পড়ি। বহুব্রীহি উপন্যাস তার অমর এক সৃষ্টি।

      By Jahidul Hoq Emon

      25 Nov 2019 12:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বরাবরের মতই অসাধারণ লেখা হুমায়ূন আহমেদ এর। বিভিন্ন মজার চরিত্র যেন "নিরিবিলি" নামক বাড়িটিতে। সোবহান সাহেব,ফরিদ এর মত মানুষজনের মাধ্যমে যেমন লেখক তুলে ধরেছেন সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা , তেমনি মিলি,বিলু,ডাক্তার,আনিস, পুতুল এদের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন খুনসুটি ভালোবাসার দিকগুলো । নিরিবিলি বাসার যদিও সবার মধ্যে মতামতের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে, তবুও সবাই যেন মিলেমিশে একাকার হিসেবে থাকে। হোক সে বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া বা কাজের লোক । সবার মধ্যের এই তিক্ত মধুর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে লেখক তুলে ধরেছেন মানুষের বিভিন্ন স্বপ্ন , ভালোবাসার দিকগুলো।

      By Safikul Islam Jihad

      03 Sep 2019 08:45 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর। উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। বাড়িটির নাম "নিরিবিলি"। পাড়ার কোনো এক দুষ্টু ছেলে "র" এর ফোটা টা "ব" এর নিচে বসিয়ে দিয়েছে। তাই বাড়ির নেইম প্লেটে বাড়ির নাম "নিবিরিলি"। যদিও সেটা হবে " নিরিবিলি"। যাইহোক বাড়ির সদস্যদের সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে। এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট।হেন কোন শয়তানী নাই, যা তারা করে না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাই আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়। আর একটা চরিত্র হলো মনসুর। ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একদিন ঘটনাক্রমে মিলি এই ফার্মেসিতে এসেছিলো। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" আসেন। সাথে তার নাতনী পুতুল। তিনি চান পুতুল কে মনসুর ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে। সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য। বই: বহুব্রীহি; লেখক: হুমায়ূন আহমেদ; ধরন: সমকালীন উপন্যাস; পৃষ্ঠা: ১৯২ টি; প্রকাশক: আফসার ব্রাদার্স

      By Mahmud Akash

      13 Dec 2018 06:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      amr life e pora shera boi gular moddhe ekta

      By Md. Saiful Islam Sohel

      14 Aug 2018 08:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৪ মাসঃ আগস্ট পর্বঃ ৪ বইঃ বহুব্রীহি লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ ঘরানাঃ উপন্যাস প্রকাশনীঃ আফসার ব্রাদার্স পৃষ্ঠাঃ ১৯২ মুদ্রিত মূল্যঃ ২১৩ টাকা প্রথম প্রকাশঃ আগস্ট ১৯৯০ রিভিউ বহুব্রীহি হল কোন একটা কিছুর বিভিন্ন দিক। এই নাম দেয়ার কোন কারন লেখক ব্যাখ্যা না করলেও তিনি বলেছেন এ নামের অর্থ বুদ্ধিমান পাঠক অবশ্যই বের করতে পারবেন। আমার বুদ্ধি নিম্ন শ্রেণীর হলেও আমি আমার নিজের মত করে একটা জোরদার কারন অবশ্যই বের করতে পেরেছি এবার আপনাদের পালা। #বইটি_সম্পর্কে_লেখকের_মন্তব্য এই লেখাটি আমি গভীর আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে লিখেছি। সেই আনন্দের ভগ্নাংশও যদি পাঠক পাঠিকাদের কাছে পৌছাতে পারি তাহলেই আমার সকল শ্রম স্বার্থক হয়েছে ধরে নেব। #লেখক_পরিচিতি হুমায়ুন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮-১৯ জুলাই২০১২) বাংলাদেশের একজন ঐপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পি,এইচ,ডি করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এর অধ্যাপক ছিলেন। হুমায়ুন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর একজন নন্দিত কথাসািত্যিক। তাকে স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি আধুনিক বাংলা বৈঞ্জানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে তার বেশ কিছু বই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার রচিত প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সেই থেকে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প উপন্যাস এর অপ্রতিদ্বন্দী কারিগর। তার সৃষ্ট মিসির আলী, হিমু, শুভ্র প্রায় সকল পাঠকের অন্তরে বাস করে। কবি আল মাহমুদ তার সম্পর্কে বলেন "ঠাকুর ও নজরুল মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের একটা স্বর্ণযুগ শেষ হয়েছে এবং আর একটা শুরু হয়েছে হুমায়ুন আহমেদ এর মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরষ্কার ও একুশে পদক সহ আরো অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। কালজয়ী এ কথাসাহিত্যিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখন তিনি তার নিজের তৈরী নন্দন কানন নুহাশ পল্লীতে সমাধিত আছেন। #কাহিনী_সংক্ষেপ সোবাহান সাহেব বাড়ির কর্তা। সকালটা তার খুব খারাপ যায় কেননা তিনি সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন, সারাদিন কোন কাজ নেই ভেবেই সকাল সকাল তার মেজাজ খারাপ হয়। অকারনে রেগে যায়। তার মেয়ে মিলির ধারনা বাবা ইচ্ছে করে রোজ সকালে কিছু নিয়ে ঝগড়া বাধায়। একটা উদাহরন দেয়া যাক, সে বাবাকে চা দিতে এসে দেখতে পায় সোবাহান সাহেব একটা থ্রিলার বই পড়ছে। মিলি বলে বাবা বইটা চমৎকার না?? এদিকে সোবাহান সাহেব বড় বিরক্ত হয়ে ১ ঘন্টা ধরে বইটির ৩৪ নম্বর পাতা পড়ছেন, কিছুতেই লেখকের ব্যাপারটা মাথায় নিতে পারছে না। মিলির কথায় রেগে গিয়ে সে অবাক কান্ড করল, মিলিকে বলল আমার সামনে বইটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করবি। মিলি বলল বাবা আমি বইটি বান্ধবির থেকে এনেছি, তাতে কোন কাজ হয়না বাবার অযথা রাগের কাছে তাকে হার মেনে নিয়ে বইটি ছিঁড়ে ফেলতে হয়। সোবাহান সাহেবের শ্যালক ফরিদ এ বাড়িতেই থাকে। পড়ালেখা শেষ করে বাড়িতে বসে থাকে কোন কাজকর্ম করেনা। নিজের সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা উচ্চ পর্যায়ের। সে সবাইকে বলে বেড়ায় সক্রেটিস কে তার প্রিয়জন রা বুঝতেন না পাগল বলতেন, আইনস্টাইন কেও তাই। পরে তারা ঠিক ই বুঝেছিল প্রতিভা কি জিনিস। একমাত্র বাড়ির কাজের ছেলে কাদের তার গুনের কদর করে। উপন্যাসের এক পর্যায়ে সোবাহান সাহেব ছেলের জন্য তার শ্বশুরের রেখে যাওয়া সম্পত্তি ফরিদকে দেয়। প্রথমে খুব খুশি হলেও এই টাকাই তাকে বোঝায় যে তার আসলে কোন কিছু হবে না, সে একটা অপদার্থ। সোবাহান সাহেব কোন কাজ না পেয়ে দেশের নানা সমস্যা নিয়ে সারাদিন চিন্তা ভাবনা করেন, এবং তা এতটাই গুরুত্ব দিয়ে করেন যে অবস্থা চরমে পৌছে। দেশের অসংখ্যা লোক যেহেতু ক্ষুধার্থ থাকে তাই তিনি ক্ষুধার স্বরুপ বোঝার জন্য না খেয়ে থাকেন এবং অসুস্থ হন। এতে বাড়িশুদ্ধ লোক চিন্তিত হলেও ফরিদকে দেখা যায় আনন্দিত হতে। সে তার সুপ্ত প্রতিভা কাজে লাগিয়ে দুলাভাইকে নিয়ে "ক্ষুধা হে" নামে একটি ১৫ মিনিটের ছবি বানাতে প্রবল আগ্রহ দেখায়। যে ছবির একটি দৃশ্য হবে এমন, একজোড়া রোগা হাত চাদের দিকে হাত বাড়িয়ে নামিয়ে নিয়ে কুটি কুটি করে খেয়ে ফেলবে। মনসুর নামের একজন ডাক্তার মিলি কে খুব পছন্দ করে। সে এ বাড়িতে আসার জন্য সবসময় সুযোগ খোজে, পেয়েও যায়। এমনিতেই সে সহজ সরল মিলির সামনে পড়লে একেবারে গো বেচারা হয়ে যায় হাত পা কাপে। এ বাড়িতে প্রথম দিন সোবাহান সাহেবের প্রেসার মাপতে এসে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন ও তাই হয়। ধীরে ধীরে বাড়ির সবাই তাকে পছন্দ করে ফেলে। একদিন সাহস করে মিলিকে বলতে গিয়ে তার বড় বোন বিলুকে ভালবাসি বলে ফেলে। এদিকে বিলু তাদের বাড়ির ভাড়াটে আনিস কে মন দিয়ে বসে আসে। যার কিনা দুই সন্তান আছে, স্ত্রী মৃতা। আনিস একজন লেখক। তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হলেও সে ভাল মনের মানুষ। এই উপন্যাসে আনিস ই আমার প্রিয় চরিত্র। কেন সেটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। সোবাহান সাহেব ভুল বসত বাড়ির আশ্রিতা পুতুল নামের একটি মেয়ের সাথে ডাক্তার মনসুর এর বিয়ে ঠিক করে। জানতে পেরে মিলি ডাক্তার দুজনেই হতবম্ভ, বাকশূন্য হয়। পুতুল ও আবার সেই আনিস কেই ভালবাসে তার সাথেই সারাজীবন থাকতে যায়। প্রিয় বইপোকা গণ এই জটিল অবস্থা থেকে মিলি, মনসুর, বিলু, পুতুল, আনিস মুক্তি পেল কি পেল না, পেলেও তা কিভাবে এবং সেই সাথে অন্যান্য চরিত্রের পরিনতি জানতে হলে অবশ্যই পড়ে ফেলুন হুমায়ুন আহমেদ এর "বহুব্রীহি"। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া লেখকের সব বইয়ের মতই এটিও এমন একটি বই যেটা একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায়না। এই বইটিতে লেখক তার অসাধারন ক্ষমতা দ্বারা চরিত্র গুলোকে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রত্যকটা চরিত্র তাদের আলাদা বৈচিত্র্য নিয়ে দন্ডায়মান। বইটি পড়ে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি, কয়েকদিনের একাডেমীক বই পড়ার স্ট্রেস টা একেবারে হাওয়া হয়ে গেছে। #সেরা_উক্তি ১. আল্লাহ্তালা পুলিশ বানাইছে ঘুষ খাওনের জন্যে, দেশ থেকে পুলিশ তুইল্যা দিলে চুরি ডাকাতি অর্ধেক কমে যাবে। ২.স্নেহের অধিকারের চেয়ে বর কোন অধিকার নাই। ৩.ভালবাসা খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার, ঢাক ঢোল পিটিয়ে তার প্রচার করার কোন কারন দেখি না। ৪.ছোটরা কাদলে কারন জিগ্যেস করা যায়, বড়দের না। #উল্লেখ্য_এর_তিনটি_উক্তিই_আনিসের, যিনি একজন লেখক। #ব্যক্তিগত_রেটিং-৪.৫/৫ - সাদিয়া নুর

      By Mahbuba Supti

      27 Dec 2017 10:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাড়ির নাম "নিরিবিলি"। উচুঁ দেয়ালে ঘেরা পুরোনো একটি বাড়ি। বাড়ির সামনে পেছনে জঙ্গলে ঘেরা। তবে বাড়ির নাম কোন এক দুষ্টু ছেলের মাধ্যমে "নিরিবিলি" থেকে এখন "নিবিরিলি" হয়ে গেছে। এই বাড়িকে ঘিরেই "বহুব্রীহি" বইয়ের কাহিনী। গল্পের "নিরিবিলি" নামের বাড়িটার ভিতরের পরিবেশের সাথে বাড়ির নামের দারুণ মিল। কোনধরনের হৈচৈ, চেঁচামেচির শব্দ এ বাড়ি থেকে কখনো পাওয়া যায় না। এই বাড়ির মালিক সোবহান সাহেব। পেশায় একজন উকিল। তবে গত দু'বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। সোবহান সাহেবের স্ত্রী মিনু, বড় মেয়ে বেনু এবং ছোট মেয়ে মিলি। বেনু বরিশাল মেডিকেল কলেজে এবং মিলি ইকনমিক্সে অনার্স করছে। আর সোবহান সাহেবের স্ত্রী গৃহিণী। এদেরকে নিয়ে সোবহান সাহেবের পরিবার। তবে বাসায় আরও দুজন গৃহকর্মী আছেন রহিমার মা এবং কাদের। ও হ্যাঁ আরও একজন সদস্য আছেন। তিনি হলেন বেনু, মিলির মামা। যার কাজ হলো খাওয়া এবং ঘুমানো। তবে ইদানিং তার ছবি তৈরীর ব্যাপারে প্রচন্ড আগ্রহ তৈরী হয়েছে। এই বইয়ে শুধু সোবহান সাহেবের পরিবারই না আছে আনিস নামের এক ভদ্রলোক এবং তার দুই বিচ্ছু ছেলে-মেয়ে টগর এবং নিশার গল্পও। আনিস সাহেবের স্ত্রী রাত্রি মারা গেছেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে এই দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আনিসস সাহেবের জীবন। তবে মা মরা এই সন্তানদের নিয়ে ভীষণ বিপদে আছেন তিনি। দুই ভাই-বোন সারাদিন এমন সব অপকর্ম করে যার সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় আনিস সাহেবকে। ঘটনাক্রমে এই আনিস সাহেব এবং তার ছেলে-মেয়েদের প্রবেশ ঘটে সোবহান সাহেবের "নিরিবিলি"তে। এই গল্পে আছে সদ্য পাশ করা ডাক্তার মনসুরের কথা। "গ্রীণ ফার্মেসী"তে মনসুর নিয়মিত রোগী দেখে। একদিন সোবহান সাহেবের ছোট মেয়ে আসে মনসুরের কাছে। এক দেখাতেই প্রেমে পড়ে মনসুর। এরপর থেকেই শুরু হয় আরেক কাহিনী....! গল্পের চরিত্র কিন্তু আরও আছে। সোবহান সাহেবের গ্রাম থেকে একদিন আগমন ঘটে খন্দকার এমদাদ নামে এক ব্যক্তির। আর তার সাথে তার নাতনি পুতুল। মহা ধড়িবাজ এই লোকটার ইচ্ছা কোনরকমভাবে যদি নাতনিকে এই বাড়িতে রেখে দেয়া যায়....!!!! এতসব চরিত্র নিয়ে এগিয়ে গেছে হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস "বহুব্রীহি" বইয়ের গল্প। এই উপন্যাস নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই বলেছেন, তিনি একটি মজার হাসি-তামাশা, রঙ্গ-রসিকতায় ভরা উপন্যাস লেখার চেষ্টা করেছেন। তিনি সত্যিই স্বার্থক। কারণ উপন্যাসটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাস্যরসে ভরা। অসাধারণ এই মজার উপন্যাস পাঠকের মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। গল্পে হাস্যকর কাহিনী ছাড়াও দেশপ্রেমের বিষয়টাও লেখক তুলে ধরেছেন। দারুণ একটি উপন্যাস "বহুব্রীহি। এখনও এই উপন্যাসটি যাদের পড়া হয়নি পড়ে দেখতে পারেন। বইয়ের রেটিং: ৫/৫।

    • Was this review helpful to you?

      or

      রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- বহুব্রীহি লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ ঘরানা:- সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনি:- আফসার ব্রাদার্স পৃষ্ঠা:- ১৩৬ রকমারি মূল্য-২১৩ টাকা। মূলত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে চরিত বহুব্রীহি উপন্যাসটি। বাড়িটির নাম 'নিরিবিলি'। একটি বাড়ির প্রতিটি সদস্যদের সভাব চরিত্র ভিন্ন রকম। একজনের সাথে অপর জনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা "রিটায়ার্ড উকিল সোবাহান সাহেব"। তার স্ত্রী মিনু। তাদের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেলে পড়ে। ছোট মেয়ে 'মিলি' ইকোনমিক্সে অনার্স পড়ছে। বাড়ির আরেকজন সদস্য হচ্ছেন গৃহকর্তী মিনুর ভাই ফরিদ। তার প্রধান কাজ না সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখা। তিনি এভাবেই জীবন কাঁটাতে চান। ফরিদের আরেকটি ইচ্ছা হলো সিনেমা বানানো। এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন। তার ছেলে টগর এবং মমেয়ে নিশা। দুই ভাই বোনের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট। ওরা এতোটাই দূরন্ত যে মকরম শয়তানও ওদের ভয় পাবে। শয়তানীর এমন কোন শাখা নেই যেখানে ওরা বিচরন করেনি। তাদের দূরন্তপনায় অতিষ্ট হয়ে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিলে, আনিস সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়। এবার আসি ডাক্তার সাহেবের কথায়। মনসুর ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ফার্মিসিতেই মিলির সাথে পরিচয় মনসুরের। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" তার নাতনী পুতুলের বিয়ে দিতে তাকে ননিয়ে আসেন শহরে। এসে ওঠে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে। তিনি চান পুতুলকে ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে। এতোদিন ক্যান যে বইটা পড়িনি। সেটাই মাথায় আসছে না। কি মিসটাই করেছি এতোদিন। অবশেষে একটা কথাই বলবো - "তুই রাজাকার"। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- লেখক এক সসাক্ষাতকারে বলেছেন "বহুব্রীহি" নামে তিনি একটি হাসির উপন্যাস রচনা করতে চেয়েছেন। প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ তার এই চেষ্টায় কতটা সফল হয়েছেন তা না পড়লে বুঝবেন না। আমি যদি বলি তাহলে হয়তো মনে করবেন বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলছি। পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর। সম্পূর্ন বইটি আমাকে এমন ভাবে আকরে ধরেছিলো একটি বারের জন্যও বইটি ছেড়ে উঠতে পারিনি। এমনকি জরুরাতে পর্যন্ত যাইনি। প্রতিটা লাইন মজার। পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো "কোন লাইন যদি বাদ পরে যায় তাহলে হয়তো বড় বড় মজা মিস্ হয়ে যেতে পারে। কিছুটা দেশপ্রমের ছাপও আছে। আমার মনে হয় "বহুব্রীহি" স্যারের একমাত্র বই যা সবার ভালো লাগবে। আমার মন খারাপ হলে আবার পড়বো বইটি। মিলি-বিলু দুই বোন যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে অসাধারন একটা বই। অবশেষে একটি কথাই বলবো- তুই রাজাকার।

      By Mohammad Mohibbullah

      09 Aug 2017 03:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন বই!

      By Afiq Hasan Kabya

      05 Mar 2017 08:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:বহুব্রীহি লেখক:হুমায়ুন আহমেদ ধরণ:সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনী:আফসার ব্রাদার্স পৃষ্ঠা সংখ্যা:১৯২ মুদ্রিত মূল্য:২৫০ টাকা আশির দশকের বহুব্রীহি নাটকের কথা জানেন নিশ্চই।দেশজুড়ে সারা ফেলেছিল নাটকটি।প্রথমে এই নাটক লেখার পর যখন প্রবল জনপ্রিয়তা পেল,তারপর এটিকে উপন্যাস হিসেবে লেখেন হুমায়ুন আহমেদ। কাহিনী সংক্ষেপে:বাড়ির নাম নিরিবিলি,তবে নামের সাথে বাড়ির পরিবেশের মিল নেই একেবারেই।সারাদিন হৈচৈ লেগেই আছে এই বাড়িতে।অবসরপ্রাপ্ত সোবহান।সাহেব,তার স্ত্রী মিনু,দুই কণ্যা বিলু ও মিলি,তাদের মামা ফরিদ এবং সাথে দুই জন কাজের মানুষ রহিমার মা আর কুদ্দুস এই নিয়ে এই বাড়ির কাহিনী।বাড়ির প্রত্যেকেই কিছুটা পাগলাটে,তবে মানুষ তারা মন্দ নয়।হাসি-তামাশায় কাটে তাদের দিন।ধীরে ধীরে তাদের পরিবারে যুক্ত হয় নতুন মুখ।বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে আনিস আসে দুই বাচ্চাকে নিয়ে(টগর এবং নিশা)।আনিসের স্ত্রী মৃত।এরপর বাসায় আসে এমদাদ খন্দকার ও তার নাতনী পুতুল এমদাদ খন্দকার অতি ধুরন্ধর ব্যক্তি নিরিবিলি তে তার আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে তার নাতনী পুতুল এর একটা গতি করা যে সদ্য ফাস্ট ডিভিশন এ মেট্রিক পাশ করেছে।বাড়ির বড় মেয়ে বিলু আনিসের প্রেমে পড়ে যায়। এলাকার ফার্মেসিরর ডাক্তার মনসুর ও বেশ পাগলাটে।সে পছন্দ করে মিলি কে। মিলিও তাকে পছন্দ করে।এমনই নানা রঙিন মানুষের চরিত্র নিয়ে বহুব্রীহি। পাঠ প্রতিক্রিয়া:বহুব্রীহি পড়তে পড়তে যেমন হাসি থামাতে পারবেন না আপনি তেমনি দেশপ্রেম ও খুজে পাবেন এই বইয়ে।হুমায়ুন আহমেদ এর ভক্ত হলে এই লেখা কিছুতেই মিস করা উচিত হবে না আপনার।এই বইয়ের একটি সংলাপ দেশ প্রেম এর প্রতীক হিসেবে আজও জনপ্রিয় "তুই রাজাকার"।আমার রেটিং ৪/৫। রকমারি লিংক: https://www.rokomari.com/book/1211/বহুব্রীহি

      By jami jahan

      31 Jan 2017 11:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-বহুব্রীহি লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-১৩৬ মূল্য-৮০ আফসার ব্রাদার্স .... বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর। উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। তারা সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে। এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট।হেন কোন শয়তানী নাই, যা তারা করে না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাই আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়।আর একটা চরিত্র হলো মনসুর। ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একদিন ঘটনাক্রমে মিলি এই ফার্মেসিতে এসেছিলো। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" আসেন। সাথে তার নাতনী পুতুল। তিনি চান পুতুল কে মনসুর ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে। সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/1211/বহুব্রীহি

      By Sawon Ahmed

      17 Jul 2016 12:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাড়ির নাম নিরিবিলি। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়ে। ছোট মেয়ে মিলি ইকনমিক্সে অনার্স করছে।সোবাহান সাহেবের স্ত্রি মিনু সাধারন গৃহবধূ। এবাড়িতে দুজন কাজের লোক রহিমার মা ও কাদের ছাড়াও আরেকজন থাকেন। তিনি মিলির মামা। তার কোনও কাজকর্ম নাই। সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। তার আরেকটা ইচ্ছা হলো সিনেমা বানানো। আনিসের মা মরা দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট। ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস খেলার নাম করে এরা ঘরের বিছানা এবং জানালার পর্দায় আগুন লাগিয়ে দেয়, পরে আগুন নেভাবে বলে। দর্জি দর্জি খেলার নাম করে এরা বিছানা কাঁথা বালিশ কাচি দিয়ে কেটে ফেলে। আনিসের বাড়িওয়ালা আনিস কে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন। আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়। মনসুর ডাক্তারি পাশ করে গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় ফার্মেসির মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সোবাহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলি একদিন ঘটনাক্রমে তার ফার্মেসিতে আসে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনসুরও নিরিবিলিতে যাতায়াত শুরু করে। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে খোন্দকার এমদাদ সাহেব তার নাতনী পুতুল কে নিয়ে এই বাড়িতে উপস্থিৎ হয়। এমদাদ সাহেব খুবই ধড়িবাজ লোক। তার ইচ্ছা তার নাতনিকে মনসুর ডাক্তারের কাছে গছানোর। "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে নানানরকম মজার মজার ঘটনা। ব্যক্তিগত মতামতঃ আমি কিভাবে এই বইটা এতোদিন মিস করে গেছি সেটা চিন্তা করলেই খারাপ লাগছে। অসাধারন একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। ভালো লাগার। মন খারাপের কোনও বিষয় এখানে নেই। মিলি, বিলু দুই বোনেরই অসাধারন বুদ্ধিমত্তা। দুবোনকেই ভালো লেগেছে। আনিসের জন্য প্রথমে মন খারাপ ছিল, সেটাও পরেরদিকে ভালো লাগাতে বদলে যায়। টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলাও ভালো লেগেছে। বইপোকাদের কথা দিচ্ছি ঠকবেন না বইটি পড়লে।

      By tushi maream

      30 May 2013 08:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের ভূমিকার শেষদিকে লেখক লিখেছেন , 'এই লেখাটি গভীর আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে লিখেছি সেই আনন্দের ভগ্নাংশও যদি পাঠক-পাঠিকাদের কাছে পৌঁছাতে পারি তাহলেই আমার সকল শ্রম সার্থক হয়েছে ধরে নেব' প্রিয় লেখক ,প্রিয় গল্পের জাদুকর দরজার ওপাশ থেকে আপনি এতুটুকু জেনে রাখুন আপনার পরিশ্রম শতভাগ সফল । আপনার প্রতিটি বই পড়ে অপার আনন্দ পাওয়া এই ক্ষুদ্র পাঠকের আনন্দের মাত্রা বাড়াবাড়ি রকমের অতিক্রম করেছে বহুব্রীহি পড়ে । 'নিরিবিলি' নামের কোলাহলপূর্ণ বাড়ির সদস্যদের নিয়ে লেখা 'বহুব্রীহি' , বাড়ির প্রধান কর্তাব্যক্তি সোবহান সাহেব দুই বছর হল ওকালতি থেকে অবসর নিয়েছেন । স্ত্রী মিনু , দুই মেয়ে মিলি আর বিলু আর শ্যালক ফরিদকে নিয়েই তার সংসার । গ্রীণ ফার্মেসির পাগলাটে নতুন ডাক্তার মনসুর , বিপত্মীক আনিস , তার দুই নিষ্পাপ অথচ দুষ্টুর শিরোমনি শিশু সন্তান টগর আর নিশা , ফরিদের সবসময়ের সঙ্গী বাসার কাজের ছেলে কাদেরের মজার কান্ডকারখানা পাঠককে হাসতে বাধ্য করবে । উপন্যাসের এক পর্যায়ে আবির্ভাব হয় ধূর্ত আর স্বার্থপর লোক এমদাদ সাহেব আর তার সহজ সরল নাতনি পুতুলের । বহুব্রীহি পড়লে কখনও হাসতে হাসতে পেটব্যাথা হবে , কখনও দুঃখে চোখে জল আসবে আবার কখনও বা প্রেম সাগরে ডুব দিতে ইচ্ছা হবে । সোবহান সাহেবের পাগলাটে শ্যালক সাত বছর ধরে তার কাছেই থাকে । পাঁচ বছর আগে অনার্স পাশ করলেও তাকে পড়ানোর মত বিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেই এমন ধারণা থেকেই সে এম.এ. করেনি । জীবনের বাকিটা সময় সে আর্ট ফিল্ম দেখে আর আর ঘুমিয়ে পার করে দেওয়ার পরকল্পনা করলেও বার বার পরিকল্পনা বদল করে তাকে অদ্ভূত অদ্ভূত কান্ডকারখানা করেতে দেখা যায় । কখনো সে নিজেই ফিল্ম বানাতে চায় , কখনও বা ভিক্ষুককে দশ হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে চায় । এদিকে পাগলাটে ডাক্তার মনসুর রোগী দেখতে এসে সিঁড়ি দিয়ে ফুটবলের মত গড়িয়ে পড়ে নিজেই রোগী বনে যায় । নিপাট ভদ্রলোক আনিসের মা হারা ছেলেমেয়ে দুটো এক সময় বিলুকে মা ডাকতে শুরু করে । টগর আর নিশার মায়ায় জড়িয়ে নিজের অজান্তেই আনিসকে ভালোবেসে ফেলে বিলু । তার সাথেই মালা বদল করে । আর মিলি ? সে বরণ করে পাগলাটে আত্মভোলা ডাক্তার মনসুরকে । গ্রাম থেকে আসা ধূর্ত এমদাদের সাথে তার নাতনি পুতুলের আদর্শিক পার্থক্য আকাশ পাতাল । উপন্যাসের একেবারে শেষদিকে এসে দেখা যায় ফরিদ তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা , স্বাধীনতা মিউজিয়াম তৈরীতে , চেষ্টা করে যেতে থাকে টিয়া পাখির মুখ থেকে 'তুই রাজাকার' কথাটি বলানোর জন্য । কথা বলা শিখলে এইসব টিয়া পাখি পৌঁছে দেওয়া হবে সেইসব রাজাকারদের কাছে যারা আজ দেশের হর্তা-কর্তাদের একজন হয়ে বসে আছে , এটাই ফরিদের নতুন পরিকল্পনা । এক মঙ্গলবার ভোরে পাগলের মত প্রচন্ড চিৎকার করে নিরিবিলি'র সব নীরবতা ভঙ্গ করে ফরিদ । কারণ ?? একটা টিয়া পাখি পরিষ্কার বলছে - ' তুই রাজাকার , তুই রাজাকার ' প্রথম পাখিটি কাকে দেওয়া যায় ? নাটকের সাথে উপন্যাসের তুলনা করা চলে না কিন্তু তারপরও বলছি বহুব্রীহি নাটকের সাথে বহুব্রীহি উপন্যাসের আবেদন কোন অংশেই কম নয় ।

      By monia jahan

      23 Mar 2024 02:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বেস্ট বই গুলোর একটি❤️

      By Jubayer Ahmed

      03 Aug 2022 05:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই। আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই এটি। আগে থেকেই হুমায়ন আহমেদের নাটক সিনেমার ভক্ত, এবার প্রথম বই পড়েই উনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম। বইটি পড়ে নিঃসন্দেহে অনেক বিনোদন পাবেন। Highly recommended!

      By Ratri Rafia

      25 Jun 2021 04:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "বহুব্রীহি"বিখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত "বহুব্রীহি" নাটকের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ।নিরিবিলি বাড়ির উদ্ভট সব চরিত্রের উদ্ভট সব কাণ্ড কারখানার সংমিশ্রণকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাসটির কাহিনী গড়ে উঠেছে। বাড়ির নাম নিরিবিলি।সাধারণত যে সব বাড়ির নাম নিরিবিলি হয় সেসব বাড়িতে সারাক্ষণই হৈ চৈ হতে থাকে!!!!! এ বাড়ির প্রধান কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর আগে ওকালতি পেশা থেকে রেটায়ার্ড করেছেন। বিরামহীন অবসরে তিনি ক্লান্ত। ফজরের নামাজের পর সারাদিন কিছু করার নেই,,,,এই ভাবনাই সকাল সকাল তার মেজাজ খারাপ করার জন্যে যথেষ্ট।তার স্ত্রী মিনু;নিতান্তই সাধারণ এক গৃহবধূ ,স্নেহময়ী বোন, মমতায়সিক্ত মা। এ বাড়ির দুই মেয়ে;বিলু আর মিলি।বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। ছোট মেয়ে মিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনোমিক্স এ অনার্স করছে।মিলির মামা ফরিদ লেখাপড়া শেষ করে অলস জীবন যাপন করছেন। তার প্রধান কাজ ঘুমানো আর কাজের ছেলে কাদেরের সাথে বসে আর্ট ফিল্ম দেখা!! আর আছে রহিমার মা, এই চরিত্রটিও কাদেরের মতোই কৌতূহোদ্দীপক। এ উপন্যাসের আরেকটি মজার চরিত্র হলো গ্রীন ফার্মেসীর নতুন ডাক্তার মনসুর। সোবাহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলি একদিন ঘটনাক্রমে গ্রীন ফার্মেসীতে এলে মনসুর ডাক্তারের ২৫ বছরের জীবনে এক আশ্চর্য পরিবর্তন আসে।মিলির প্রেমে পড়ে"মানব জীবন বড়ই মধুর"এই কথাটির প্রতি ব্রীতিষ্ণা জাগে তার মনে।নানান অদ্ভুত অজুহাতে নিরিবিলি বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় তার। নিরিবিলি বাড়ির তিনতলার দুটি ঘর ভাড়া নেয় আনিস।পুত্র টগর আর কন্যা নিশার ছেলেমানুষী দুষ্টুমিতে বিপত্নীক আনিস হতাশ!!! মৃতা স্ত্রী রাত্রির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা পাঠক মনকে নাড়িয়ে দেয় ক্ষণে ক্ষণে। একদিন ধুরন্ধর প্রকৃতির এমদাদ খন্দকার তার নাতনি পুতুলকে নিয়ে হাজির হয় নিরিবিলি বাড়িতে।কিশোরী পুতুল হটাৎ করেই আবিষ্কার করে,প্রেমে পড়ে গেছে সে আনিস সাহেবের!!! উপন্যাসটির প্রতিটি চরিত্রই নিজস্ব ধারায় অনন্য। ক্ষুধার স্বরূপ বুঝতে গিয়ে সোবাহান সাহেব দীর্ঘ ১২৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকায় পরিবারের বাকি সবাই যখন দুশ্চিন্তায় কাতর তখন ফরিদ ব্যাস্ত 'ক্ষুধা হে' নামের টেলিফিল্ম বানাতে!!!!আবার পাগলা ডাক্তার মনসুর মিলিকে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই বিলুকে প্রেম নিবেদন করে বসে।ছেলে মেয়ের সাথে রাগ করে আনিস বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রাতের অন্ধকারে!!!কাদেরের নতুন কেনা চশমা দেখে রহিমার মার হিংসায় রাতে ঘুম হয় না।এমনই বিচিত্র সব চরিত্রকে একটি উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে আশ্চর্য দক্ষতায়। ***ব্যাক্তিগত মতামত --- মন খারাপ বিকেলে কিংবা অলস দুপুরে , কারো মন ভালো করতে এই বইটিই যথেষ্ট।যতবার পড়ি ততবারই ভালো লাগে বইটি .....

      By Palash Baroi

      06 Aug 2020 11:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি উপন্যাস ''বহুব্রীহি"।

      By TOBIBUR RAHMAN TUSAR

      22 Jan 2020 07:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহুব্রীহি বইটি (উপন্যাস) হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি জনপ্রিয় বই । বইটিতে লেখক খুব সহজ সরল ভাবে ঘটনাবলি উপস্থাপন করেছেন । বইটির কাহিনি আসাধারন । এই বইটি একটি ব্যতিক্রমী বই কারণ আগে নাটক নির্মাণ করার পর উপন্যাস টি লেখা হয়েছে । আমার কাছে বইটি খুবই ভালো লেগেছে । বইটি পড়ার সময় আমি প্রতিটি মুহূর্তে পুলকিত হয়েছি । হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা বরাবর-ই আমার খুবই ভালো লাগে । এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয় । বইটি পড়তে পারেন ,আমার মনে হয় বইটি পড়ার পর আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে...............।

      By Mostaba Ahmed Rayhan

      24 Oct 2019 12:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর। উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটা বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়ে। তারা সকলেই ভিন্ন প্রকৃতির। কারো সাথে কারো আচরনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। উনার স্ত্রী মিনু। আর তাদের দুই মেয়ে। বড়টা বরিশাল মেডিকেলে পড়ে, নাম বিলু । ছোটটা অনার্স করছে ইকোনমিক্সে, নাম মিলি।আছে দুজন কাজের লোক, রহিমার মা ও কাদের। এছাড়া আরেকজন হল ফরিদ, তিনি মিলির মামা। কোনও কাজ না করে সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। আরেকটা ইচ্ছা আছে তা হলো সিনেমা বানানো। সোবহান সাহেব বাড়ির নাম দিয়েছেন "নিরিবিলি"। কিন্ত কোন একটা কাহিনীতে এটা "নিবিরিলি" হয়ে গেছে। এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট।হেন কোন শয়তানী নাই, যা তারা করে না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাই আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়।আর একটা চরিত্র হলো মনসুর। ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একদিন ঘটনাক্রমে মিলি এই ফার্মেসিতে এসেছিলো। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" আসেন। সাথে তার নাতনী পুতুল। তিনি চান পুতুল কে মনসুর ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে। সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য।

      By sudip paul

      22 Oct 2019 06:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর অংশ হচ্ছে "প্রজেক্ট রাজাকার"! প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ফরিদ সাহেব টিয়া পাখি জোগাড় করে তাদেরকে একটি কথা শেখায়। কথাটা হচ্ছে "তুই রাজাকার!" একাত্তর দেখিনি। কিন্তু "তেরো" এর বাঁধ ভাঙা আবেগ একদম সামনে থেকে দেখেছি! "ক'তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!!" স্লোগানের দিনগুলোতে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হতে পারার জন্য একটু চোরা অহংকার থাকাটা কি খুব দোষের কিছু?! বহুব্রীহি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস নয়। বরং এখানে উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত সংসারের টানাপোড়ন আর গভীর আবেগ-ভালোবাসা। নিরিবিলি নামক বাড়িকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ঘটন-অঘটন কখনও হাসিয়েছে, আবার কখনও বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে। এই গল্পে অতি ভালো মানুষের ভূমিকায় আছে আনিস সাহেব, যে গভীর ভালোবাসায় মৃত বউয়ের স্মৃতি বুকের ভেতর লালন করছে। আবার এই আনিস সাহেবের শিশুপালন বিদ্যায় ঘাটতি রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয়ার মতো। To kill a Mockingbird উপন্যাসের এটিকাস ফিন্সের প্যারেন্টিং এর সাথে তুলনা করলে আনিস সাহেবের বাচ্চাপালন মোটামুটি আনাড়িপনা হিসেবে চালিয়ে দেয়া যাবে। মনসুর ডাক্তারের অতি লাজুকতা প্রায় বিরক্তিকর বলা চলে । অন্যদিকে ফরিদ সাহেবের নির্লোভ দৃষ্টিভঙ্গি মনকে আদ্র করে ফেলে। সৃষ্টির দিক দিয়ে এই উপন্যাসের সবচাইতে পারফেক্ট চরিত্র কাদের আর রহিমার মা। একটু খুঁজলে পরে বাস্তবেও ঝাকেঝাকে ওদের পাওয়া যাবে! এমদাদ খোন্দকারের মতো স্বার্থানেষী আর তৈল্যপ্রধানকারী মানুষও অবশ্য দুনিয়াতে কম নেই। বরং সোবাহান সাহেবের মতো উইয়ার্ড মানুষের দর্শন কেবল বইয়ের পাতাতেই মিলবে। মিলু-বিলুকে লেখক সৃষ্টি করেছেন একদম টিপিক্যাল ঔপন্যাসিক তরুণী হিসেবে যারা হুরমুড় করে যার তার প্রেমে পড়ে। সত্যিকারের তরুণীরা অবশ্য এতো আবেগ দিয়ে চলেনা। এক কথায় বলতে গেলে অতি নাটকীয়তা পূর্ণ একটি উপন্যাস।

      By Sultan

      09 Oct 2019 05:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহুব্রীহি হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম একটি হাসির উপন্যাস।লেখক নিজেই বলেছেন এই নামে তিনি একটা মজার উপন্যাস লিখবার চেষ্টা করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি বলব, এতে তিনি সফল হয়েছেন। এখানে কিছু অন্যধরনের কথা হাসি তামশার মাঝে আছে। কিন্তু কথার নিজস্ব উজ্জলতায় কথা গুলো হাসি তামশার মাঝেও পাঠকের চোখে ধরা পরবে। তা ছাড়া পুরো কাহিনী টা হাস্যরসে ভরপুর। মূলত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে চরিত বহুব্রীহি উপন্যাসটি। বাড়িটির নাম 'নিরিবিলি'। একটি বাড়ির প্রতিটি সদস্যদের সভাব চরিত্র ভিন্ন রকম। একজনের সাথে অপর জনের কোন মিল নেই। বাড়ির কর্তা "রিটায়ার্ড উকিল সোবাহান সাহেব"। তার স্ত্রী মিনু। তাদের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেলে পড়ে। ছোট মেয়ে 'মিলি' ইকোনমিক্সে অনার্স পড়ছে। বাড়ির আরেকজন সদস্য হচ্ছেন গৃহকর্তী মিনুর ভাই ফরিদ। তার প্রধান কাজ সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখা। তিনি এভাবেই জীবন কাঁটাতে চান। ফরিদের আরেকটি ইচ্ছা হলো সিনেমা বানানো। এ বাসার ভাড়াটে হল আনিস। আনিসের স্ত্রী মারা গেছেন। তার ছেলে টগর এবং মমেয়ে নিশা। দুই ভাই বোনের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট। ওরা এতোটাই দূরন্ত যে মকরম শয়তানও ওদের ভয় পাবে। শয়তানীর এমন কোন শাখা নেই যেখানে ওরা বিচরন করেনি। তাদের দূরন্তপনায় অতিষ্ট হয়ে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিলে, আনিস সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়। এবার আসি ডাক্তার সাহেবের কথায়। মনসুর ডাক্তারি পাশ করে এখন গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ফার্মিসিতেই মিলির সাথে পরিচয় মনসুরের। সেই থেকে তাদের জানাশোনা। সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে "খোন্দকার এমদাদ সাহেব" তার নাতনী পুতুলের বিয়ে দিতে তাকে ননিয়ে আসেন শহরে। এসে ওঠে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে। তিনি চান পুতুলকে ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে। সব গুলো চরিত্র নিয়ে "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িতে বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।এবং কাহিনী গুলো পাঠককে আনন্দ দেবে এটা নিশ্চিত। কিছুটা দেশপ্রম ভাব আছে। অসাধারন একটা বই! এমনকি বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। যে পড়েনি সে বড় কিছু মিস করছে। সব থেকে বড় ব্যাপার যেটা তাহলো, স্যার এর লেখায় অন্যরকম একটা বই এই "বহুব্রীহি" যেখানে মন খারাপের কোনও চিহ্ন নেই। চরিত্রের দিকে মিলি, বিলু দুই বোন অসাধারন। এমন কি যথেষ্ট বুদ্ধিমতি। বোন দুটোকেই ভালো লেগেছে। আনিসের ছেলে মেয়ে টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলোও বেশ মজার। বাচ্চা বয়েসের কৌতুহল সবটাই লেখক এদের মাঝে ঢেলে সাজিয়েছেন। সব মিলে বই টা অসাধারন! ভালো লাগাতে বা কিছুক্ষন হাসতে বই টা পাঠকের জন্য।

      By aNik Mahmud

      14 Aug 2019 11:26 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এইটা বেষ্ট❤️❤️❤️

      By Nayem Hasan Showrab

      03 Apr 2019 10:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবি ভালো

      By Ferdusi rumi

      30 Aug 2017 10:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-বহুব্রীহি জনরা- উপন্যাস ঔপন্যাসিক-হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা-১৯২ মূল্য-২৫০ উপন্যাসের চরিত্র গুলোর প্রায় সকলেই নিরিবিলি নামক এক বাড়ির বাসিন্দা। যিনি এই বাড়ির কর্তা সোবহান সাহেব। পেশায় উকিল ছিলেন। তবে এখন অবসরে গিয়েছেন। কর্তী মিনু সোবহান সাহেবের স্ত্রী। পরিবারে সদস্য হিসেবে আছে তাদের দুই মেয়ে, দুজন কাজের লোক আর স্পেশাল একজন। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বিলু, ডাক্তারি পড়াশোনা করে। ছোট মেয়ে মিলি অনার্স করছে অর্থনীতিতে। দুইজন কাজের লোক হলো রহিমার মা ও কাদের। স্পেশাল একজন হলেন মিলির মামা ফরিদ। স্পেশাল একারনে যে, তিনি একমাত্র চরিত্র যার কোন কাজকাম থাকে না। তাই প্রতিদিনের অবসর সময়টা সে শুয়-বসে আর সিনেমা দেখে কাটায়। এতে তার কেন সমস্যা নেই। সে আসলে এমন জীবনেই কামনা করে। তবে সব কিছুর আড়ালে একটা ইচ্ছা সে লালন করে বেড়ায়, তা হলো সিনেমা বানানো । এদের ছাড়া উপন্যাসের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে আছে তার হলো সোবহান সাহেবের ভাড়াটে বিপত্নীক আনিস ও তার ছেলে টগর ও মেয়ে নিশা। টগর ও নিশা দুষ্টের শিরোমনি তাদের দ্বারা সম্ভব নয় এমন কোন কাজ নেই। আনিস এবং বাড়িওয়ালা দুজনেই ত্যক্ত এবং বিরক্ত। তাদের এত সব যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আগের বাড়িওয়ালা তাদের বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে। এই অসময়ে আনিস এসে এই নিরিবিলিতে ঠাই পেয়েছে। নিরিবিলির মানুষ গুলোর সাথে মিশে গন্ডগোল বাধিয়েছে এক ফার্মেসির মনসুর আর সোবহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে আসা খন্দকার এমদাদ সাহেব ও তার মেয়ে পুতুল। তাদের মধ্যকার গন্ডগোলে এগিয়ে যায় উপন্যাসের কাহিনী। সব গুলো চরিত্র মিলে এই বাড়িতে বেশ মজার মজার কান্ড হতে থাকে। ব্যক্তিগত মতামতঃ বহুব্রীহি একটি অন্যধর্মের হাস্যরচিত উপন্যাস। হাসি তামশার মধ্য দিয়ে লেখক কতগুলো সিরিয়াস জিনিসের অবতারনা করেছেন। যা পাঠকগন বুঝতে পারবেন। উপন্যাসের অন্যতম বিষয় হলো দেশপ্রেমের মতো বড় অনুভূতি উপস্থিতি জানান দেওয়া। সবগুলো চরিত্রের মাঝে আলাদা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। বিলু মিলির দুই বোনকে বিশেষ ভালো লাগে। এটা অন্যতম মজার বই। যা পাঠককে বিশেষ আনন্দ দিতে সক্ষম। আনিসের দুই ছেলেমেয়ের কর্মকান্ডও ভালো লাগে। ফরিদ মামাকেও বেশ ভালো লাগে। এই চরিত্রের মাঝে ঔপন্যাসিক একজন ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন। যদিও বাড়ির নাম নিরিবিলি , তা কখনই একটা নিরিবিলি বাড়ি হয়ে পাঠকের কাছে প্রকাশ পাবে না। বরং উল্টোটাই হবে। সব মিলিয়ে বহুব্রীহি একটা অসাধারণ মজার উপন্যাস। https://www.rokomari.com/book/1211/বহুব্রীহি?ref=srbr_pg0_p0

      By Tasfia Promy

      11 May 2017 05:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃবহুব্রীহি লেখকঃহুমায়ুন আহমেদ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ১৯২ মূল্যঃ২৫০ টাকা ক্যাটাগরিঃসমকালীন উপন্যাস প্রকাশনীঃআফসার ব্রাদার্স প্রকাশকালঃ ১৯৯০ কাহিনী সংক্ষেপ: বহুব্রীহি একটি সমাসের নাম, বাংলা ব্যকরণের একটি মোটামুটি বিরক্তিকর জিনিস, আবার বহুব্রীহি শব্দের অর্থ অনেক ধান! আমার ধারনা অনেক রকম মানুষ অনেক চরিত্র এটি বোঝাতেই এই নামকরণ, তবে এইখানে সমাসের ভূমিকা সম্পর্কে আমি অবগত নই। আশির দশকে প্রচার হওয়া বহুব্রীহি নাটকটি বেশ সাড়া ফেলেছিল,নাটকের নামটা আমি পড়ে জেনেছিলাম... “তুই রাজাকার” এই কথাটির জন্যই নাটক তি বেশ সাড়া ফেলে!, যার জনপ্রিয়তা একটুও কমে নি কথা জানেন নিশ্চই। সেসময় দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া জাগায় নাটকটি , নাটকের ব্যাপক লোকপ্রিয়তার পরে এটিকে উপন্যাস হিসেবে রূপ দেন হুমায়ুন আহমেদ। বাড়ির নাম নিরিবিলি কিংবা নিবিরিলি... নামের সাথে মিল থাকা লাগবে এই নিয়ম অবশ্যই নেই, তাই তো সারাদিন হৈচৈ লেগেই আছে এই বাড়িতে। অবসরপ্রাপ্ত উকিল সোবহান সাহেব,তার স্ত্রী মিনু,দুই কন্যা মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া বিলু ও ইকোনমিক্সের ছাত্রী মিলি,তাদের বেকার মামা ফরিদ এবং সাথে দুই জন কাজের মানুষ রহিমার মা আর কুদ্দুস এই নিয়ে এই বাড়ির কাহিনীর শুরু। ধীরে ধীরে গল্পে আসে নতুন মুখ। আসা যাওয়া শুরু হয় নার্ভাস ডাক্তার মনসুরের, এই বাড়িতেই ভাড়াটিয়া হিসেবে লেখক আনিস আসে দুই বাচ্চাকে নিয়ে ,টগর এবং নিশা।আনিসের স্ত্রী রেশমা মৃত। এরপর বাসায় আসে অতি চালবাজ ব্যক্তি এমদাদ খন্দকার ও তার নাতনী পুতুল । এদের নিয়ে গল্প, পথচলা প্রতিক্রিয়াঃ হাসতে হাসতে আমি পড়ে যাচ্ছিলাম প্রথম দিকে, যেহেতু রাতে পড়ছিলাম জোরে হাসলে , আম্মুর ঝাড়ি খাওয়ার ভয় ছিল, তাই খুক খুক করে হেসেছি, পরে, বাসে বসে শেষ করলাম বাকি অংশ!যায় হোক মূল কথা হল, হাস্যরসের মধ্যে নিয়ে লেখক ক্ষুধা-দারিদ্র্য কিংবা মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর সেই ঐতিহ্য যে হারিয়ে গিয়েছে সব তুলে ধরেছেন, আজ থেকে কয়েক যুগ আগের কথা, তখনই তিনি অনেক বাস্তবতা বুঝে লিখেছিলেন, আজকে এসেও প্রতিটি বাক্য সত্য। শেষ দিকে পাখির বলা “তুই রাজাকার” কথাটি শুনে একটা কথা মনে হল। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের একটি পাখি ছিল, “তুই রাজাকার” বলত সেই পাখি, সেটি নাকি মমি আকারে জাহানারা ইমামের বাড়িতে এখনও আছে! বইটা পড়লে সবার মন ভাল হয়ে যাবে, আমি বইয়ের কথা মনে পড়লে হাসছি :P বসে বসে, বাসে যদি আজ আমার পাশের সহযাত্রী পাগল ভাবেন আমার কিছুই করার নাই! রেটিংঃ ৫/৫ রকমারি লিংক: https://www.rokomari.com/book/1211/বহুব্রীহি

      By Sadia Sultana Lopa

      29 May 2014 11:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ হুমায়ূন আহমেদ এর “বহুব্রীহি” একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। উপন্যাসটিতে লেখক বাড়ির নামকরণ করেছেন 'নিরিবিলি' কিন্তু বাড়িটা প্রকৃত অর্থে কখনোই নিরিবিলি থাকে না, সবসময় হৈ চৈ লেগেই থাকে। এই সাধারণ ব্যাপারটিই পাঠককে নিরিবিলি বাড়ি সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি করে। অবসরপ্রাপ্ত সোহাবান সাহেব তার স্ত্রী মিনু, দুই কন্যা বিলু ও মিলি, তাদের মামা ফরিদ এবং সাথে দুইজন কাজের মানুষ রহিমার মা আর কুদ্দুস নিরিবিলি বাড়ির সদস্য। কিন্তু ফরিদকে আমরা একজন খামখেয়ালি ও উদাসীন ব্যক্তি হিসেবে দেখতে পায়। আর তার এই সহজ সরল ও খামখেয়ালি জীবন যাপনের মাঝেই আমরা লেখক হুমায়ূন আহমেদকে খুঁজে পাই। কারণ ফরিদের মাঝেই নিহিত রয়েছে প্রকৃত ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য। ফরিদ বাস্তব পৃথিবীর সকল প্রকার লোভ -লালসা থেকে মুক্ত একজন মানুষ, যদিও সে নিজের প্রতি উদাসীন ছিলেন। অন্যদিকে সোবাহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলি তার জীবনসঙ্গী হিসেবে ডাক্তার মনসুরকে বেছে নেয়, যা মিলির বাবা ও মা মেনে নেয়। এবং তারা আশা করে যে বিলুর বিয়েটা তারা তাদের পছন্দমত ছেলের সাথে দিবে। কিন্তু যখন বিলু তার স্বামী হিসাবে স্ত্রী হারা আনিসকে বেছে নেয়, তখন বিলুর বাবা-মা আপত্তি জানায় না, কারণ সোবাহান সাহেব মনে মনে আনিসকে পছন্দ করতেন। এক্ষেত্রে পাঠকের কাছে বিলুর বিয়ের ব্যাপারটা তার বাবা-মার মেনে নেয়াটা একটু অন্যভাবে দেখেছে, কারণ বিলু ডাক্তারি পড়ছে, তার ভবিষ্যৎ উজ্বল। অন্যদিক আনিস সে অর্থে কোন চাকুরি করেনা এবং বিপত্নীক। তাই, সোবাহান সাহেব আপত্তি জানালে বা মেনে না নিলে, উপন্যাসের কাহিনী অন্যভাবে উপস্থাপন করা যেত। এছাড়া গ্রাম থেকে আসা এমদাদ হোসেনের নাতনী পুতুলকেও আনিসের সাথে বিয়ে দেয়া যেত কারণ পুতুল মনের গহীনে আনিসকে আপন করে পেতে চাইত। এক্ষেত্রে উপন্যাসের শেষে পুতুলের জন্য পাঠকের হৃদয়ে যে করুণা ও সহানুভূতির জন্ম হয়, তা হয়ত হত না। মানুষের জীবন মাত্রই বিচিত্র ও রহস্যময়, আর হাসি-কান্না তাদের চলমান নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই, আনিসের নিষ্পাপ সন্তান টগর ও নিশা পুনরায় ফিরে পায় মাতৃস্নহে । ফরিদের মাঝে দেখা দেয় দেশপ্রেম, এবং রাজাকারদের বরিুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে টিয়াপাখিদের শেখায় 'তুই রাজাকার' কথাটি। সবকিছুই আবার ঠিকভাবে চলতে থাকে নিরিবিলি বাড়িটাতে, শুধু পুতুলের জীবনে দেখা দেয় একাকীত্ব আর নি:সঙ্গতা। এভাবে করে লেখক পুতুল চরিত্রটিকে অন্যসব চরিত্র থেকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোনের মাধ্যমে পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন, যা একমাত্র লেখক হুমায়ুন আহমেদের পক্ষেই সম্ভব।

      By Ajwad Bari

      29 Mar 2021 06:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক দিন মনে গেঁথে থাকার মতো একটি বই। এই বইটি পড়ার অভিজ্ঞতা কখনো ভুলতে পারবো না। দুর্দান্ত একটি বই। হাস্যরসে পরিপূর্ণ বইটির প্রতিটি পাতা। হিউমারের সুনিপুণ প্রয়োগ করা হয়েছে। হুমায়ুন আহমেদের জাদুময়ী লেখনীতে এই দারুণ গল্পটা যতবারই পড়ি মনটা একদম ভালো হয়ে যায়।

      By Tanzila

      01 Jun 2014 11:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অবসরপ্রাপ্ত সোহাবান সাহেব তার স্ত্রী মিনু, দুই কন্যা বিলু ও মিলি, তাদের মামা ফরিদ এবং সাথে দুইজন কাজের মানুষ রহিমার মা আর কুদ্দুস এই নিয়ে একটি বাড়ি এর কাহিনী। নিরিবিলি বাড়ির নাম। কিন্তু বাড়িটি মোট ও নিরিবিলি থাকেনা।এখানে সবাই কিছুটা অদ্ভুত আচরণ করেন। প্রত্যেকের স্বভাবেই রয়েছে কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। কিন্তু মোটের উপর এত সব পাগলামির পরেও সবাই মানুষ হিসাবে অনেক ভালো ও মজার।সোবহান সাহেব দুই বছর হল ওকালতি থেকে অবসর নিয়েছেন । ফরিদ বাস্তব পৃথিবীর সকল প্রকার লোভ -লালসা থেকে মুক্ত একজন মানুষ, যদিও সে নিজের প্রতি উদাসীন ছিলেন। ফরিদের সবসময়ের সঙ্গী বাসার কাজের ছেলে কাদেরের মজার কান্ডকারখানা পাঠককে হাসতে বাধ্য করবে। বিপত্মীক আনিস স্ত্রীকে অসম্ভব ভালবাসত , তার দুই নিষ্পাপ অথচ দুষ্টুর শিরোমনি শিশু সন্তান টগর আর নিশা কে নিয়ে এই বাসায় ভাড়া নেয়। আনিসের মা হারা ছেলেমেয়ে দুটো এক সময় বিলুকে মা ডাকতে শুরু করে । টগর আর নিশার মায়ায় জড়িয়ে একসময় নিজের অজান্তেই আনিসকে ভালোবেসে ফেলে বিলু । বিলু তার স্বামী হিসাবে আনিসকে বেছে নেয়, তখন বিলুর বাবা-মা আপত্তি জানায় না, কারণ সোবাহান সাহেব মনে মনে আনিসকে পছন্দ করতেন।আনিসের নিষ্পাপ সন্তান টগর ও নিশা পুনরায় ফিরে পায় মাতৃস্নহে ।ছোট মেয়ে মিলি তার জীবনসঙ্গী হিসেবে ডাক্তার মনসুরকে বেছে নেয়। গ্রীণ ফার্মেসির পাগলাটে নতুন ডাক্তার মনসুর। হাস্ফযক্রর কাজ ক্দর্রমে যার জুড়ী মেলা ভার। হটাত ফরিদের মাঝে দেখা দেয় দেশপ্রেম, ফরিদ তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দিয়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা , স্বাধীনতা মিউজিয়াম তৈরীতে এবং রাজাকারদের বরিুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে টিয়াপাখিদের শেখায় 'তুই রাজাকার' কথাটি। বহুব্রীহি পড়লে কখনও হাসতে হাসতে পেটব্যাথা হবে , কখনও দুঃখে চোখে জল আসবে আবার একসময় দেশ প্রেম এ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করবে তুই রাজাকার

      By অনির্বাণ মহি

      11 Jan 2020 04:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত হিসেবে বলছি, আমি হুমায়ুন আহমেদের অনেক বই পড়েছি, তার মধ্যে 'বহুব্রীহি' একটা। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে, এই বই টা সব দিক মিমিলিয়ে অনেক ভাল একটা বই। আর আপনি আমার কথা মিলানোর জন্য, 'একটু পড়ে দেখুন' এ ক্লিক করতে পারেন। আর যাচাই করে নিন হুমায়ুন আহমেদের এর ভাল একটা বই 'বহুব্রীহি'। আর বইটা ভাল লাগলে এক্ষুণি অডার করুন 'রকমারি' থেকে।?

    • Was this review helpful to you?

      or

      বাড়ির নাম নিরিবিলি। বাড়ির কর্তা সোবাহান সাহেব দুবছর হলো উকালতি থেকে রিটায়ার্ড করেছেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিলু বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়ে। ছোট মেয়ে মিলি ইকনমিক্সে অনার্স করছে।সোবাহান সাহেবের স্ত্রি মিনু সাধারন গৃহবধূ। এবাড়িতে দুজন কাজের লোক রহিমার মা ও কাদের ছাড়াও আরেকজন থাকেন। তিনি মিলির মামা। তার কোনও কাজকর্ম নাই। সারাদিন শুয়ে বসে সিনেমা দেখে জীবন কাটানোই তার ইচ্ছা। তার আরেকটা ইচ্ছা হলো সিনেমা বানানো। আনিসের মা মরা দুই ছেলে-মেয়ে টগর ও নিশা। এদের যন্ত্রনায় আনিস অতিষ্ট। ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস খেলার নাম করে এরা ঘরের বিছানা এবং জানালার পর্দায় আগুন লাগিয়ে দেয়, পরে আগুন নেভাবে বলে। দর্জি দর্জি খেলার নাম করে এরা বিছানা কাঁথা বালিশ কাচি দিয়ে কেটে ফেলে। আনিসের বাড়িওয়ালা আনিস কে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন। আনিস ঘটনাক্রমে সোবাহান সাহেবের ছাদের দুইটা রুম ভাড়া নেয়। মনসুর ডাক্তারি পাশ করে গ্রিন ফার্মেসি নামে একটা ফার্মেসিতে বসে। ফার্মেসির উপরতলায় ফার্মেসির মালিক তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সোবাহান সাহেবের ছোট মেয়ে মিলি একদিন ঘটনাক্রমে তার ফার্মেসিতে আসে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনসুরও নিরিবিলিতে যাতায়াত শুরু করে। হঠাৎ একদিন সোবাহান সাহেবের গ্রামের বাড়ি থেকে খোন্দকার এমদাদ সাহেব তার নাতনী পুতুল কে নিয়ে এই বাড়িতে উপস্থিৎ হয়। এমদাদ সাহেব খুবই ধড়িবাজ লোক। তার ইচ্ছা তার নাতনিকে মনসুর ডাক্তারের কাছে গছানোর। "নিরিবিলি" নামক এই বাড়িকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে নানানরকম মজার মজার ঘটনা। ব্যক্তিগত মতামতঃ আমি কিভাবে এই বইটা এতোদিন মিস করে গেছি সেটা চিন্তা করলেই খারাপ লাগছে। অসাধারন একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই বইয়ের প্রতিটা লাইন মজার। ভালো লাগার। মন খারাপের কোনও বিষয় এখানে নেই। মিলি, বিলু দুই বোনেরই অসাধারন বুদ্ধিমত্তা। দুবোনকেই ভালো লেগেছে। আনিসের জন্য প্রথমে মন খারাপ ছিল, সেটাও পরেরদিকে ভালো লাগাতে বদলে যায়। টগর ও নিশার দুষ্টুমিগুলাও ভালো লেগেছে। বইপোকাদের কথা দিচ্ছি ঠকবেন না বইটি পড়লে। সতর্কতাঃ যারা "মার্ডার ইন দ্যা ডার্ক" বইটা পড়ার লিস্টে রেখেছেন তারা সেটা শেষ না করে "বহুব্রীহি" পড়বেন না। কারন এই বইয়ে মার্ডার ইন দ্যা ডার্কের স্পয়লার দেয়া আছে। পছন্দের উক্তিঃ তুই রাজাকার।

      By Alshahria Hossain Peash

      29 Oct 2019 09:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় বইগুলোর মাঝে বহুব্রীহি একটি। একটি বাড়িকে ঘিরে বইয়ের ঘটনাগুলো আবর্তিত হয়েছে। বইয়ের সংলাপগুলো খুবই হাস্যরসাত্মক। বাড়ির কর্তা সোবহান সাহেব, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, স্ত্রীর ভাই, দুইটি কাজের লোক সেই সাথে একজন ভাড়াটিয়া আর তার দুইটি ছোট বাচ্চা এবং সোবহান সাহেবের এলাকার দুজন অনাহূত অতিথি আর একজন তরুণ ডাক্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে। মজার বিষয় এই বইয়ের কাহিনী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ একটি নাটক নির্মাণ করেন যেটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয় এবং অনেক জনপ্রিয়ও হয়।

      By Rizal Fathoni Kabir

      01 Jan 2020 09:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের সারাজীবনের অন্যতম সেরা লেখা বলবো আমি এটা। আমি যতবারই পড়েছি, মন ভাল হয়ে গিয়েছে। যেমন লেখনী, তেমনি গল্পের প্লট। রাজাকারবিরোধী একটা আন্দোলনের সূচনা সেই কত বছর আগে হুমায়ূন আহমেদ করে দিয়ে গিয়েছেন এক টিয়াপাখির মুখ দিয়ে, এই উপন্যাসে। এই বইয়ের চরিত্রগুলো ঠিক যেন আমাদের আশেপাশের মানুষেরাই। ডাক্তার, নতুন আগত বিপত্নীক ভাড়াটিয়া আনিস, মিলি, সোবহান সাহেব ইত্যাদি সবাই আমাদের আশেপাশের চেনাজানার মতই। আর এই মানুষগুলোকে নিয়েই অদ্ভুত সুন্দর এক উপন্যাসে জীবন্ত করে ফেললেন লেখক। সেই কত আগে লেখা এই উপন্যাস, তবুও প্রতিটা রসিকতাই যেন এখনো নতুন। কালোত্তীর্ণ লেখা বোধহয় একেই বলে। আনিস সাহেবের কথার গভীরতা, ডাক্তার মনসুরের সরলতা এখনো মনে রাখার মত। পুতুল চরিত্রটি উপন্যাসের একটু পরের দিকে আবির্ভুত হয়, কিন্তু তাকেও কি কোনোভাবেই ছোট করা যাবে? সংগ্রহে রাখার মত বই। অনেক ধন্যবাদ হুমায়ূন আহমেদ।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!