User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Jast শেরা ??
Was this review helpful to you?
or
Just another master piece of Humayun Ahmed. Mind blowing storyline through out the book.
Was this review helpful to you?
or
The book literally 5/5 for me. চমৎকার ঘোরলাগা একটা বই।সাধারণ কতগুলো মানুষের জীবনের ধারাবাহিকতা লেখক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।প্রতিটি চরিত্র ও খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন।বিশেষ করে হাসান আর রীনার চরিত্র। তাদের দুজনের জন্য খারাপ লেগেছে।তাদের চরিত্র গুলো উপলব্ধি করে আমার মনে হয়েছে মানুষ জীবনভর সুখের সন্ধান করে কাটিয়ে দেয়।কেউ সুখের দেখা পায় কেউ পায় না! প্রিয় কিছু লাইন- বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনারা ফিরে আসে না।বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের ওপর চিত্রলেখার দেখা হয় না।
Was this review helpful to you?
or
Masterpiece
Was this review helpful to you?
or
গল্প হয় মূলত কল্পকাহিনী নির্ভর কিন্তু মেঘ বলেছে যাব যাব হুমায়ূন স্যারের এই গল্পটিতে কোন কল্পকাহিনী নয় বরং ভেসে উঠেছে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সত্য কাহিনী যেখানে দেখা গিয়েছে অনেক জীবনের গল্প কোথাও কষ্ট কোথাও সুখ সব কিছু যেন মেঘের মতো। ☁️☁️ পাঠক হিসেবে পড়তে নিয়ে নিজের অজান্তেই কতবার যে চোখে পানি চলে এসেছে নিজেও বুঝতে পারিনি ?
Was this review helpful to you?
or
দারুণ
Was this review helpful to you?
or
আমার দেখা একটি অসাধারণ উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বই: মেঘ বলেছে যাব যাব বইয়ের ধরণ : উপন্যাস লেখক : হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশক: অবসর প্রকাশনী প্রকাশিত: জুন ১৯৯৭ পৃষ্ঠা সংখ্যা :২৪৪ মুল্য: ৩৭৫ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০ "মেঘ বলেছে যাব যাব। আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়? সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়?" খুব ছোটবেলায় হুমায়ূন আহমেদ এর একটা বই পড়েছিলাম, বইটির নাম "আজ আমি কোথাও যাব না"।খুব সুন্দর একটা গল্প,ঠিক যেন বাস্তব!যে গল্পের রেশ মনে গেঁথে যাওয়ার মতো!মূলত ওই বইটি দিয়েই আমার কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্পের প্রেম পড়া শুরু। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ তাই পুরো সময়টা বাসায় থাকতে হচ্ছে! পুরোনো বইপ্রেম আবার মনের মধ্যে জেগে উঠেছে! আমার বইপ্রেমী এক বন্ধুর থেকে জানতে পারলাম এই " মেঘ বলেছে যাব যাব" বইটার কথা। প্রথমেই আলসেমি লাগছিলো, কাজ নেই তাই অনিচ্ছা সত্তেও পড়া শুরু করি। একটা অপরিণিত ভালোবাসার গল্প ! গল্পটা হাসান আর তিতলীর। দুইটা পরিবার নিয়ে লেখক সাজিয়েছেন হাজারও চরিত্রের মিলনমেলা! হাসান পরিবারে ছোট ছেলে।মা -বাবা, ভাই-ভাবী ও তাদের দুই ছেলে আর বোন। আর তিতলীরা তিন বোন আর তাদের মা বাবা।সবারই নিজস্ব জীবন আর জীবনের গল্পগুলো ভিন্ন! শুধু দূরে থেকে দেখে আপনি যেমন ভাববেন বাস্তবে হয়তো সে নিজের জীবনে ভিন্ন কোন মানুষ। আগের ভালোবাসা গুলো ছিলো খুব স্নিগ্ধ,কোমল! বইটির সবচেয়ে যে ব্যাপারটা ভালো লেগেছে সেটা হলো চিঠি লেখা! বইটা পড়লে মনে হবে যেনো চরিত্রগুলোর মধ্যে ঢুকে গিয়েছি। আমি যেন অনুভব করতে পারছিলাম প্রত্যেকটা চরিত্রকে । মানুষের জন্য জীবন মানেই সংগ্রাম। তবে মধ্যবিত্তের সংগ্রামটা বোধ হয় একটু বেশিই থাকে। মধ্যবিত্ত একজন বেকার যুবকের পরিবারের চিন্তা থাকে, চাকরির হাহাকার থাকে, তাঁর ব্যর্থ প্রেমের গল্প থাকে , আরো থাকে ভালো না থেকেও ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয়। গল্পটা অনেক কষ্টের, অনেক বেদনার। গলায় দলা পাকিয়ে যাওয়ার মত ভারী। হৃদয়ের গভীর থেকে বেদনাগুলো ফোঁটা ফোঁটা জলকণা হয়ে চোখ থেকে ঝরে পড়েছে বারবার। গল্পের প্রধান চরিত্র হাসানের সাথে তিতলীর পরিচয়, পরিণয় তাদের বাসায় থাকার সুবাদে। কিন্তু গতানুগতিক ধারায় তাদের এই পরিণয়ে বাধা। তিতলীর বিয়ে হয়ে যাওয়া কিংবা চিত্রলেখার সাথে হাসানের পরিচয়ের নতুন মোড়। গল্পে আবেগ নিয়ে লেখক একপ্রকার লুকুচুরির মতো খেলেছেন। শেষের দিকে বোধহলো একটু স্বস্তি বোধহয় এলো। বুকে জমা ভারী পাথরটা বোধহয় হালকা হতে হতে আবার মিইয়ে গেলো৷ শেষটা খুব সুখকর না হলেও তখন দুঃখের গাঁয়ে একটু প্রলেপ দেয়া সম্ভব হয়েছিল। শেষে হাসানের অসুখ, চিত্রলেখার সাথে বোধহয় সম্পর্কের বিরতি এখানেই। তিতলী ও শওকতের পরিণয়। শেষ অংশের এই লিখাগুলো মনে হলো দুঃখের পরিমাণটা আরেকটু বাড়িয়ে দিলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাত্রায় থাকা সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া, প্রেম-ভালবাসা কিংবা স্বপ্ন সব কিছুর মিশ্রনে রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস - 'মেঘ বলেছে যাব যাব'। এক খন্ড ভালোবাসার মেঘ, যে মেঘ না ছুঁয়েছিল তিতলীকে, হাসানকে আর না ছুঁয়েছিলো চিত্রলেখাকে।ঘন কালো মেঘে ঢাকা পড়েছিলো তিতলী আর তিতলীর বর শওকতের জীবন। গল্পের এই অংশে এসে আমি নিজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি!নিজের প্রিয় মানুষটাকে ফোন করে বলি আমাদের যেনো কখনো এমন বিচ্ছেদ না হয়।সারাটা জীবন যেনো পাশাপাশি থাকতে পারি আমরা।মাঝপথে যেন হাত ছেড়ে না দেয়। শেষে একটা কথাই বলার, এই বইটি সারা জীবন স্মৃতিতে থাকবে আমার।গল্পটাকে কখনোই ভুলতে পারবো না। রিভিউ: তানজিলা তিতলী
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটি অনেক সুন্দর!......উপন্যাসটি পড়ার পর অনেক খারাপ লেগেছে,গল্পের চরিত্রগুলোকে অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে গল্পের জাদুকর হুমায়ুন আহমেদ স্যার।
Was this review helpful to you?
or
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে মূল চরিত্রে রয়েছে হাসান। প্রতিদিন বাসে অফিস যাওয়া আসার সময় অল্প অল্প করে দীর্ঘদিন পড়ার কারণে খুব একটা অসাধারণ কিছু মনে হয় নি। মানে যতটা আলোচিত তাতে ওভাররেটেড মনে হয়েছে। সবার পছন্দতো আবার একরকম না, কারো কাছে হিমু অতি চমৎকার, কারো কাছে কি ফালতু ক্যারেক্টার এর এত জনপ্রিয়তা জাস্ট হুদাই, আমি দ্বিতীয় দলের। হাসান বেকার যুবক, বিত্তশালী হিশামুদ্দিন এর জীবনী লেখার বিনিময়ে ঘন্টা হিসেবে টাকা পেত। হাসানের বয়স্ক বাবা-মা, বড় ভাই, ভাবী, ছোট ভাই রাকিব, ছোট বোন লায়লা, বড় ভাইয়ের দুই ছেলে টগর ও পলাশ এই হলো তার পরিবার। সেখানে রয়েছে সাংসারিক অভাব অনটন টানাপোড়ন। তিতলী নামের একটি মেয়ে সে ভালোবাসে, যার বিয়ে হয়ে যায় অন্য একজন লোকের সাথে। হিশামুদ্দিন সাহেবের মৃত্যুর পরে তার মেয়ে চিত্রলেখার সাথে দেখা হয় হাসানের। মৃত্যুর আগে চিত্রলেখা আর হাসানের পরিচয় করিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চিত্রলেখা এটা বুঝতে পেরেছিল তার বাবা হাসানকে অনেক পছন্দ করে। হাসানের ব্রেন টিউমার ধরা পরে এবং মারা যায়।
Was this review helpful to you?
or
রেটিং দিয়ে এইবই এর তুলনা হয়না। মাথার ভিতরে ঘুরতেছে এখনও বই শেষ করার পর। হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অসাধারণ সৃষ্টি মেঘ বলেছে যাব যাব
Was this review helpful to you?
or
২০১২-১৪ সালের দিকে আমার বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে তাদের স্টকে থাকা বইয়ের মধ্য থেকে এক বসাতেই শেষ করেছিলাম বৃহৎ এই উপন্যাস টি। মধ্যবিত্ত জীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাস টি। শেষের অংশটি খুব খারাপ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Good Experience
Was this review helpful to you?
or
পুরাই সময় নষ্ট। অভাররেটেট । আপনার যদি অনেক টাকা থাকে আর আজাইরা সময় থাকে তাহলে এটা পড়ে একটু মধ্যবিত্ত জীবনের ফিল নিতে পারেন। আহামরি এমন কিছুই নেই এই বইয়ে। সোজা বাংলায় "নামে খেয়ে গেছে"।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে শেষ করার পর মনে হচ্ছে যে অদ্ভুত এক বিষন্নতা আমাকে কেন্দ্র করে চারদিকে ঘুরছে, আমি বিষন্নতায় তলিয়ে যাচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই হুমায়ুন sir বলে কথা
Was this review helpful to you?
or
bangla sahitter pora...amr prothom boi siloh...etaa... jehetu notun pathok silam... ekbareii boi ta ami sesh kortee pari..ni 3 bar eee sesh koresilam...and toto dineee boi pora ovvas ee dariyee gese.... poroborti teh.. boi ta ami roo 4 bar poresi...amr life time eee..... ettoo valo ekta boi...jar tulona hoy na. jodioo porlee monee hobee j "hayree ei ta normal kahini" but trust me or not... apni onno ekta jogot ee cholee jaben...humayun ahmed sir er lekha teh j ki jadu aseh....ta bolaa mushkil.. after all.. humayun ahmed sir kee ek kothay jantee...ei boi ta apni poree dekhteii paren ekbar?.... asha kori...apnar kasee onk beshi ii valo lagbee
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
One of my favorite book
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো বইটা
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
বইটি হুমায়ুন স্যার এর অসাধারণ বইয়ের মধ্যে একটি।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ন আহমেদ এর সেরা কিছু লেখনীর মধ্যে অন্যতম ♥ মাস্ট রিড ♥
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ?
Was this review helpful to you?
or
শুনেছি অনেক সুন্দর একটি বই এটি।
Was this review helpful to you?
or
vlo
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই । অবশ্যই পড়া উচিত ।
Was this review helpful to you?
or
amazing
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি একটি। সকলের বইটি একবার হলেও পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
এটা হুমায়ূন আহমেদ রচিত আমার প্রিয় বই। বইটিতে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের চিত্র খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। তাছাড়া বইটার আরেকটা সুন্দর বিষয় হলো "ট্র্যাজেডি"। ট্র্যাজেডিকে এই বইটায় আসলেই খুব ট্র্যাজেডিকভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। আগে থেকে অনুমান করার কোন সুযোগ নেই। অবশ্যই সকলে একবার বইটি পড়বেন।
Was this review helpful to you?
or
Review dile porar moja kome jbe But sudu Eta boli je It's really amazing ❤️
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার ভালোলাগার মত একটি বই। অসাধারণ!!!
Was this review helpful to you?
or
Onek sundor ekta boi
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি উপন্যাস! মেঘ বলেছে যাব যাব নামকরন সার্থক! ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
A book that make me understand the nature of life..কি সুন্দর মন খারাপ হয়ে গেল।।
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুব ভালো। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আপনারা এই বইটি পড়তে পারেন।আসা করি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে।মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী নিয়ে এই উপন্যাস টি রচিত। এটি পড়লে অনেক বাস্তবিক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আমি আসা করি আপনারা সকলে বইটি পড়বেন।
Was this review helpful to you?
or
মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা, হতাশা, অপারগতা, পাওয়া-নাপাওয়ার গল্পকে ঘিরেই এই বই । শুধু একটি কথাই বলতে চাই, বইয়ের শেষে দিকে আমি নিজের চোখের পানি আড়াল করছিলাম যেনো উপন্যাসের মানুষগুলো না দেখতে পায়।
Was this review helpful to you?
or
আমি এখন হুমায়ূন ভক্ত। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা অনেক উপন্যাস পড়েছি কিন্তু এই উপন্যাসটা আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছি। পড়তে গিয়ে যে কতবার কেঁদেছিলাম তার হিসেব আমার নিজের কাছেও নেই। অসম্ভব সুন্দর একটা বই♥ বইটি আসলে সম্পূর্ণ প্রেমের নাকি বিচ্ছেদের তা জানতে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। হাসান এবং তিতলী শেষ পরিণতি জানতে দেরি না করে এখুনি পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বইটি। সংক্ষেপে বলতে গেলে,হাসান একজন বেকার। তবে পুরো পুরি নয়। কোটিপতি হিশামুদ্দিনের জীবনী সে লিখছে। প্রতি বুধবারে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে এক ঘণ্টা করে জীবনী বলবেন বলে কথা হয়েছিল। প্রতি ঘণ্টা ৬০০ টাকা হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও হিশামুদ্দিন সাহেব কখনো তাকে এক ঘণ্টা সময় দেন না। তবে হিশামুদ্দিন সাহেব হাসানকে অনেক পছন্দ করতেন। একসময় তিতলীদের পাশের বাসায় থাকত হাসানের পরিবার। সেই থেকে তাদের পরিচয়। পরে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে তারা। তবে হাসান বেকার হওয়ায় তিতলীর বাবা মতিন সাহেব ব্যপারটা পছন্দ করত না। হাসানের বড় ভাই তার অফিসের এক বিধবা কলিগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী রীনা তা জানতে পারে। পরে সে তারেককে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তারেকের জীবনে যেন কোনো পরিবর্তন আসে না। সে নিজেকে যেন ভারমুক্ত মনে করতে থাকে। এক পর্যায়ে হিশামুদ্দিন সাহেব মারা যান। তার আগে চিত্রলেখা আর হাসানের পরিচয় করিয়ে দিয়ে যান। চিত্রলেখা জানত তার বাবা হাসানকে অনেক পছন্দ করে। তিতলীদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাদের সংসার চলত তিতলীর ফুফুর দেওয়া টাকায়। একসময় তিতলীর ফুফু তার জন্য সম্বন্ধ নিয়ে আসে এক পর্যায়ে শওকত নামের ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায় তিতলীর। কিন্তু তিতলী সব কিছু ভুলে যায় না সে ভুলতে পারে না হাসানকে। তার স্বামী শওকতের সাথে তার যেন এক স্নায়ু যুদ্ধ চলতে থাকে। কোনো এক কালো মেঘে ঢেকে যায় শওকত আর তিতলীর জীবন। যেটুকু কথা না বললেই নয় শুধু সে টুকু কথা বলে সে শওকতের সাথে। চিত্রলেখা তার বাবার অফিসে বসতে শুরু করে। সেখানেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। একসময় নেপাল বেড়াতে যায় তিতলী আর শওকত। সেখানে এক সকালে নিজেকে শওকতের কাছে বিলিয়ে দেয় তিতলী। অন্যদিকে হাসানের ব্রেন টিউমার ধরা পরে। মধযবিত্ত পরিবার এর এই করুণ পরিণতে। শেষ হয়েও হলনা শেষ
Was this review helpful to you?
or
মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু। গাল বেয়ে পড়া আবেগ শূন্য বাস্তবতার সেই অশ্রু যখন লেখকের কলম হয়ে ছাপা হয়, তখন তা অন্যের অশ্রুর কারণ হয়। বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না। জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখাকে নিয়ে। কোনো এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত। একটানা পড়ে রাত ৪ টায় শেষ করেছি, এই বছরে এখন পর্যন্ত আমার পড়া সেরা উপন্যাস। আশাকরি সবার ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
আহা কি বই!মনে হয় যেন কোন বিক্ষাত সিনেমা দেখছি যা অস্কার পেয়েছে
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসে মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন চাকরিহীন বেকার ছেলের খামখেয়ালিপনা ফুটে উঠেছে, পরিবারে বৃদ্ধ বাবা মায়ের নিত্যদিনের ঝগড়া বিবাদ সব মিলিয়ে একটি সুন্দর গল্প শুরু হয়। শুরু মত শেষ টা সুন্দর হয় না। বড় বউ রিনা অগাধ ভালবাসা আর বড় ছেলে তারেকের পরকিয়ায় জরিয়ে যাওয়া টা অদ্ভুত মন খারাপের পরিবেশ তৈরি করে। প্রতিটি চরিত্র এখানে লেখক অন্য রকম ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।হাসানের শেষ পরিনতি মর্মস্পর্শী নাহলেও পারত। তিতলী রা এই সমাজে বারবার আসে হাসানদের জীবনে আবার তারা সময় মত চলে যেতে বাধ্য হয়। বন্ধুর প্রতি বন্ধু ভালবাসা, ভাইবোনের মমত্ববোধ,স্বামী স্ত্রী দূরত্ব ব্যর্থ প্রেম,পরকিয়া, সব কিছু মিলিয়ে উপন্যাসের শেষটা ছিল চরম হাহাকারের।
Was this review helpful to you?
or
বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবে হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের উপর চিত্রলেখা দেখা হয় না। তবে বাস্তবেও সুন্দর সুন্দর কিছু ব্যাপার ঘটে। যেমন___ লিটনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়। লিটন তার বন্ধু হাসানের পাঠানো দুটি নাম থেকে পাঠানো দুটি নাম থেকে একটি নাম তার মেয়ের জন্যে রাখে। দুটি নামের কোনোটাই তার পছন্দ না__তিতলী, চিত্রলেখা। তারপরেও সে মৃত বন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ের নাম রাখল ___"চিত্রলেখা"। জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখাকে নিয়ে। কোনো এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত।
Was this review helpful to you?
or
Very nice :)
Was this review helpful to you?
or
best!!!!! best !!!!! best!!!!
Was this review helpful to you?
or
Such a good book. Loved it
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর এবং অসাধারণ একটি বই.... মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ, দু:খ, আনন্দ, কষ্ট নিয়ে লেখা একটি বই.. ভালো লাগবে সবারই।
Was this review helpful to you?
or
হাসান মধ্যবিও ঘরের ছেলে।অনেকদিন যাবত চেষ্টা করেও একটা জব যোগাড় করতে পারতেছে না।যদিও একেবারে কিছুই করে না তাও না।হিশামুদ্দীন নামে একজনের কথা শুনে সপ্তাহ একদিন।সে কথা নোট করে।তার কাজই হলো কথা শুনা এবং সেসব কথা নোট করা।সেখানে ঘন্টা হিসেবে টাকা পায়।হাসানরা তিনভাই একবোন।বড় ভাই চাকরি করে।সে বিবাহিত।তার দুইছেলে রয়েছে।টগর,পলাশ।বউয়ের নাম হলো রীনা।হাসানের ছোট ভাই রকিবের সাথে তেমন কারো সাথে যোগাযোগ নেই।হাসান একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসে।মেয়েটির৷ নাম তিতলী।তিতলীও হাসানকে অনেক ভালোবাসে।হাসান চাকরির জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারতেছে না।এদিকে তিতলীও হাসানের চাকরির জন্য অপেক্ষা করে।হাসানের বড় ভাই যেখানে চাকরি করে সেখানের এক কলিগকে তার ভালো লাগে।সে তার প্রেমে পরে যায়।মেয়েটির একটি মেয়েও রয়েছে।স্বামী মারা গেছে।বিভিন্ন কৌশলে রীনা তা বুঝতে পারে।সে তার চাকরির কথা বলে ওই মেয়ের সাথে ঘুরেও এসেছে।অথচ সে রিনাকে বলেছে যে সে অফিসের কাজে যাচ্ছে।তাকে অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে।এদিকে তিতলির ফুপু তার জন্য ছেলে দেখে।একজনের খবর এনেছে যে কিনা লেকচারার। পরিবার ভালো,টাকা পয়সা ভালোই আছে।ছেলের দাদি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে তার ইচ্ছা হলো মারা যাওয়ার আগে নাতবউকে দেখে যাবে।তাই তিতলির বিয়ে খুব হঠাৎ করেই হয়।হাসান এর কিছুদিন পর তাদের বাসায় গেলে তখন এই খবর জানতে পারে।তিতলি বাসায়ই থাকে কিন্তু হাসানের সাথে দেখা করে না।এদিকে রিনা বাসা থেকে চলে যায়।সে গিয়ে উঠে তার এক বন্ধুবির বাসায়।সে চাকরি করা শুরু করে কারন বাচতে হলে টাকা ইনকাম করাই লাগবে কতদিন আর অন্যর টাকাতে চলবে।হিশামুদ্দিন সাহেব মারা যান।তার মারা যাওয়ার পরে তার মেয়ে চিএলেখা তার বাবার সব ব্যবসা ধরে।সেই একমাএ সন্তান তার বাবার।হাসানের সাথে তার দেখা আগেও হয়েছিল।তার বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কথা হয় তাদের।চিএলেখা বুঝার চেষ্টা করে কেন সে হাসানকে এত পছন্দ করতেন।তার কি অন্য কোনো চিন্তা মাথায় ছিল।রিনার কাজে খুশি হয়ে তার বস তাকে তাদের লন্ডনের অফিসে পাঠানোর চিন্তা করে।রিনা তা জানানোর জন্য তার স্বামীর অফিসে যায়।সে অপেক্ষা করে কখন সে বলে যে তোমার যাওয়ার দরকার নেই তুমি আমাদের সাথেই থাকো।কিন্তু সে এরকম কিছুই বলে না।রিনাকে একবার যদি বলতো তাইলেই সে কখনো যেত না।হাসানের বোনের বিয়ে হয় এর মধ্যে। প্রথমে সে এই বিয়ে নিয়ে অনেক অখুশি থাকে কারন যার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়ছে তার আগের ঘরের একটা বাচ্চা আছে কিন্তু পরে সে অনেক খুশিতেই থাকে। এর মধ্যে হাসানের বড় রোগ ধরা পরে।তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তাকে দেখতে চিত্রলেখা হাসপাতালে যায়। গল্পটা এক কথায় অসাধারণ।গল্পটিতে বিভিন্ন চরিএের প্রত্যেকটি কাহিনীই অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে লেখক।হাসান,তিতলি,রিনা,বড় ভাই,চিএলেখা এদের সবার কাহিনিকে লেখক খুব সুন্দর একটার সাথে আরেকটি চরিত্র এমন ভাবে তৈরী করেছেন যে একটি চরিত্র বাদ দিলেই পুরা গল্পের মজাটায় নষ্ট হয়ে যেত।গল্পটা আসলেই অনেক ভালো।সবারই ভালো লাগবে এতে কোন সন্দেহ নেই।তাই সবাই পড়বেন,ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
A nice piece of work by Humayun Sir.
Was this review helpful to you?
or
My favorite book...
Was this review helpful to you?
or
স্বপ্নের কর্মকান্ডের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রন থাকে না। দুঃস্বপ্ন নিয়ে রাগ করারও মানে হয়না। অথচ হাসানের রাগ লাগছে। তার জীবনে উদ্ভট ব্যাপার অবশ্য মাঝেমধ্যেই ঘটে। হিমুর মতোই অদ্ভূত স্বপ্ন ও চিন্তা করতে ভালো লাগে তার। সকালবেলার বিরক্তিকর কর্মকান্ড: দাতঁ ব্রাশ, দাড়ি কামানো স্খগিত রেখেই মোড়ের দোকানে *এককাপ আগুন গরম চায়ের* জন্য ঢুকতেই ছোটখাট ধাক্কার মত খেল হাসান। তার বাবা রিটায়ার্ড ডি. এডুকেশন অফিসার আশরাফুজ্জামান সবজি ও রসগোল্লা দিয়ে পরোটা খাচ্ছেন। স্ত্রী আর ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ায় এড়িয়ে চলতেই পছন্দ তার। হাসান মাস্টার্স পাস বেকার যুবক। কাজ হিসেবে আছে শুধু প্রতি বুধবারে ব্যাবসায়ী হিশামুদ্দিন সাহেবের জীবনি শুনে নোট করে রাখা আর সাকুল্যে ৩টটা ছোটখাট প্রাইভেট টিউশনি। প্রতিঘন্টায় ৬০০টাকা বেতন হলেও ২০-২৫মিনিটের বেশি কখা বলেন না তিনি। হাসান প্রায়ই তিতলীদের বাসার গেটের সামনে কিছুক্ষন দাড়িয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগে। তিতলীর বাবা মতিন সাহেব সারাদিন ঘরে বসে মেজাজ ঝাড়েন আর কাজের মধ্যে করেন সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ফিচার লিখা। যদিও তা কষ্মিনকালেও ছাপার যোগ্য হয়ে ওঠে না। সংসারের হাল তাই তিতলীর ফুপুই নিয়ন্ত্রন করেন। হাসানের আগমনে তিতলীর মা সুরাইয়া বেগমও অসম্ভব খুশী হন। যদিও বেকার হাসানের সাথে তিতলীর ঘনিষ্ঠতা ও বিয়ে নিয়ে তিনিও যথেষ্ট শঙ্কিত। হাসান মুখ ফুটে বললেই চাকুরির ব্যবস্থা করতে পারে। অথচ মৃত্যুপথযাত্রী হিশামুদ্দিন সাহেবের কাছে স্কুল লাইফের বন্ধু সদ্য বিবাহিত লিটনের জন্য চাকুরি প্রার্থনা করে। হাসান ছাড়াও বড় ভাই তারেকের সংসারে আছে লাস্যময়ী ভাবী রীনা। অসম্ভব ভালো মনের মানুষটির সকলের প্রতিই মায়া জাগে। তারেকের দুছেলে টগর ও পলাশ (পদবি- রকেট ও বুলেট)। এছাড়াও আছে কলেজপড়ুয়া ছোটবোন লায়লা। ছোটভাই রাকিব স্টুডেন্ট পলিটিক্সের জালে জড়িয়ে অপরাধ করে বেড়ালেও মা-বাবা যেন নির্ভার। অন্যরকম সাবলীল রোমান্টিকতা খুজে পাবেন উপন্যাসের মধ্যাংশে। জীবনে প্রথমবারের মত বাবাকে কাদঁতে দেখে হতবাক তিতলী ফুফুর পছন্দের ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য হয়। এতে ভীষন মুষড়ে পড়ে হাসান। মড়ার উপর খাড়ার ঘা'র মতই সন্ত্রাসী বন্ধুদের হাতে নিহত রাকিবের ছিন্নভিন্ন লাশ শনাক্ত করতে হয় হাসানকেই। রোদে-বৃষ্টিতে ক্রমাগত ঘুরে ঘুরে দুঃস্বপ্নযাত্রী হাসান ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এদিকে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিতলী স্বামীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বিবাহপূর্ব সম্পর্কের সাতকাহন। তাই হাতটাও ছুয়ে দেবার সাহস হয়নি কখনও নববর শওকতের। শওকত চেয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েই নবপরিনীতা তিতলীর ভুল ভাঙ্গাতে পারবে। পারবে নিজের করে বরন করে নিতে। নেপাল ভ্রমনে গিয়ে স্নিগ্ধ ভোরে হিমালয়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ তিতলী অবশেষে শওকতের বিশ্বাসকে সত্য প্রমানিত করে ধরা দেয় তার বাহুডোরে। বিদেশ ফেরত হিশামুদ্দিন কন্যা চিত্রলেখা হাসানের ব্যক্তিতে মুগ্ধ হয়ে নিজের জন্য কামনা করে। এছাড়াও বোকাসোকা ব্যক্তিতের ভান করে থাকা তারেকের পরকীয়ার খবর পেয়ে রীনা ভাবীর সংসার ত্যাগসহ অসংখ্যবার ট্রাজেডি ও আনন্দধারার রূপায়ন ঘটেছে উপন্যাসটিতে। অতঃপর কি তবে হাসান ও চিত্রলেখা নামক পুষ্পদ্বয়ের মিলন হবে? -সেটা জানতেই ত উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
Humaun ahmed er boi ami sob somoy e like kori. Eitao tar beti korom na
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।।।।
Was this review helpful to you?
or
এই বই সম্পর্কে যত বলবো তা মনে হয় কম হয়ে যাবে। তাই শুধু একটা কথাই বলবো, সকলেরই পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ #মেঘ_বলেছে_যাবো_যাবো লেখক: হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনী : অবসর মূল্য : 400 টাকা হুমায়ুন আহমেদ এর একটি প্রেমের উপন্যাস মেঘ বলেছে যাবো যাবো। কিন্তু বইটা পরে এটাকে প্রেমের উপন্যাস এর চেয়ে কিছু মানুষের ভালোবাসার গল্প হিসেবেই বেশি মনে হলো। যাই হোক আগে বইটার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে নেই । মেঘ বলেছে যাবো যাবো বইটি একটি মদ্ধবিত্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে । বই এর মূল চরিত্র বেকার যুবক হাসান । আরো আছে তার প্রেমিকা তিতলি , হাসানের ভাবি রিনা ,হাসানের ভাই তারেক , কোটিপতি হিসামুদ্দিন ও তার মেয়ে চিত্রলেখা । বইটিতে এদের দৈনিন্দিন জীবন ও তাদের স্বপ্ন এসব তুলে ধরা হয়েছে । #পাঠ_পর্যালোচনা : বইটা শেষ করে খুব কেঁদেছি ।হুমায়ুন আহমেদ এর একটি অসাধারণ বই এটি। বই এর মাঝে কিছু কিছু জায়গা ডুকরে কেঁদে উঠতে মন চায় । বই এর সর্বশেষ পৃষ্ঠা পড়ার পর খুব কষ্ট হবে । আসলেই মানুষের জীবনটা এত সুখের আর সহজ নয়। মানুষের জীবন অনেক কঠিন । বই টির শেষে হুমায়ুন আহমেদ কিছু নিজের কথা বলেছেন । তিনি বইটির শেষে 2 টি এন্ডিং দেখিয়েছেন । একটিতে হাসান ও সকল চরিত্রের সুখের জীবন রয়েছে , অপরটিতে রয়েছে কঠিন বাস্তবতা । গল্পের চরিত্র হাসান কে আমার খুব ভালো লেগেছে । হাসান কে সব চেয়ে শুদ্ধতম মানুষ ও বলা যায় । সে নিজে বেকার হয়েও চাকরি পাইএ দেয় তার বন্ধুকে । সকলকে ভালো রেখেও সে নিজে সুখী হতে পারে না । আর ভালো লেগেছে রিনা ভাবি কে । নিজের মধ্যে অসীম ভালোবাসা ধারণ করে রেখেছেন যিনি। #স্পয়লার_এলার্ট : বাস্তবে হয়তো কখনো হাসান আর চিত্রলেখা বুড়িগঙ্গায় নৌকাভ্রমন এ যাওয়া হয় না ।বাস্তবে কখোনো ফিরে আসে না রীনারা । বাস্তবে কখনো তারেক নিজের ভুল বুঝতে পারে না । কিন্তু বাস্তবে উড়ে যায় আকাশের মেঘেরা।যেতে থাকে বহুদূর । তারা কষ্ট পেলে তা কেঁদে বৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ করে , কিন্তু নিজের কষ্ট কখনো প্রকাশ করতে পারে না হাসানরা। My rating - 10/10
Was this review helpful to you?
or
মেঘ! আবেগ? হুমায়ূন স্যার.....
Was this review helpful to you?
or
আকাশের মেঘেরাও কি কথা বলে?তাদের ও কি কোথাও যাবার ইচ্ছে হয়?তা জানিনা! তবে মধ্যবিত্তের সব জায়গায় যাওয় বারণ,অনেক কিছুই চাওয়া বারণ। 'মেঘ বলেছে যাব যাব' আমাদের মধ্যবিত্তের জীবন কাহিনী, আশার সাথে প্রাপ্তির অমিলের কাহিনী। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হাসান বেকার।তবে ঘন্টায় ৬০০টাকার বিনিময়ে সে কোটিপতি হিসামউদ্দিনের জীবনি লিখছে। তিতলিরা হাসানদের পাশের বাড়িতে থাকে। একসময় দুজন দুজনের মায়ায় পড়ে যায়, ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু কি আর কপাল, হাসান তো বেকার। জীবনের চাওয়াগুলো তাদের না পাওয়াই থেকে যায়, তবু মধ্যবিত্তের সংগ্রাম থামে না।হয়তো কেউ সুখি হয় বা হয় না।তাতে কি বা আসে যায়, তারাতো মধ্যবিত্ত। সবচেয়ে বড় কথা উপন্যাসটির শেষ অংশটা অসাধারণ।শেষ হয়েও যেন আরো পড়ার তৃষ্ণা থেকে গেল। অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "মেঘ বলেছে যাবো যাবো" লেখক হুমায়ুন আহমেদের সব বইয়ের প্রিয় বই মেঘ বলেছে যাব যাব এই অসাধারণ বইটি আমাকে কাঁদিয়েছে হাসিয়েছে। এই বইটি পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্ট কতটা।তাদের ভালোবাসা তাদের থাকে না মধ্যবিত্ত বলে,তাদের চাওয়া তাদের হয় না তারা মধ্যবিত্ত বলে, তাদের কষ্টের সাথী কেউ হয়না তারা মধ্যবিত্ত বলে। বইটি পড়ে আমি বারংবার কষ্ট পেয়েছি কোমল মনের রীনা মেয়েটির জন্য। বইটি আমায় বারংবার কাঁদিয়েছে হাসান নামের অতি সাধারণ যুবকের জন্যে। হুমায়ূন আহমেদর লিখা সব বইয়ের সব চরিত্রের মধ্যে হাসানুজ্জামান ছেলে টা আমার কাছে অসাধারণ। ভয়ংকর ধরনের কষ্ট গুলো বুকে চেপে রাখার অসিম ক্ষমতা আছে ছেলেটির।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
সম্পূর্ণ মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন পরিচালনার উপর ভিত্তি করে লিখেছেন মেঘ বলেছে যাবো যাবো.. যার প্রধান চরিত্রে প্রাধান্য পেয়েছে হাসান.. জীবন চলার পথে বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েও সে নিজেকে একজন সুখী মানুষ মনে করে. তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তার বড় ভাইয়ের বউ মানে তার ভাবির সঙ্গে তার পরিবারের ৮ ৫ টা সদস্যের চেয়েও বেশি সক্ষতা.. ভালোবাসতো তিতলি নামের একটি মেয়েকে.. কিন্তু তার বেকার জীবনে ঠাই দেওয়ার ক্ষমতা ছিলনা তিতলিকে.. যার ফলে তিতলির বিয়ে হয় অন্যত্র..এছাড়াও তার ছোট্ট জীবনে আরেকটি জীবনের অস্তিত্ত ছিল. চিত্রলেখা নামে একটি মেয়ে.. যার সাথে সময় কাটানোটাও তার বেকার জীবনের একটি ভালো লাগার অংশ ছিলো.. কিন্তু এই ভালো লাগা খুব একটা দূরে পৌঁছতে পারেনি.. অসুস্থতা তাকে সরিয়ে নেয় দুনিয়া থেকে.. মধ্যবিত্তের স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটে.. বেঁচে থাকা মানুষ গুলো পূর্বের নিয়মেই হেঁটে চলেছে জীবনের সুখের সন্ধানে..!
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই এর কোন রেটিং হয় না। হুমায়ুন আহমেদ এর মেঘ বলেছে যাবো যাবো এমনই একটি বই , শেষ দুই পৃষ্ঠা যে কতবার পড়েছি তার কোন সঠিক হিসেব কখনো রাখা হয়নি ।
Was this review helpful to you?
or
জীবন মানেই সংগ্রাম। তবে মধ্যবিত্তের সংগ্রামটা বোধ হয় একটু বেশিই থাকে। মধ্যবিত্তের একজন বেকার যুবকের চাকরির হাহাকার থাকে, থাকে তাঁর ব্যর্থ প্রেমের করুণ গল্প, আরো থাকে ভালো না থেকেও ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনযাত্রায় থাকা সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া, প্রেম-ভালবাসা কিংবা স্বপ্ন সব কিছুর মিশ্রনে রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস - 'মেঘ বলেছে যাব যাব'।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের মূল চরিত্র হাসান নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বেকার যুবক । হাসানকে অবশ্য ঠিক বেকার বলা যায়না । সে হিশামুদ্দিন সাহেব নামে একজন ধনী ব্যক্তির কাছে সপ্তাহে একদিন ঘন্টা হিসেবে কাজ করে। কাজ হলো হিশামুদ্দিন সাহেব তার জীবনের গল্প গুলো বলেন আর হাসান তা একটা খাতায় নোট করে। হাসানের পরিবারে বাবা-মা, দুইভাই, ভাবি, ভাইয়ের দুই ছেলে আর ছোট বোন। পরিবারের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং চরিত্র হচ্ছে রীনা ভাবি। রীনা ভাবিই বর্তমানে তাদের সংসারটাকে দুহাতে আগলে রেখেছে। সে হাসি-ঠাট্টা করতে পছন্দ করে। হাসানকে ভীষণ স্নেহ করে ভাবী। তার মতে যদি পৃথিবীতে পাঁচজন ভালো ছেলের তালিকা করা হয় সেখানে হাসানের নাম থাকবে। হাসান প্রায় রাতেই একধরনের দুঃস্বপ্ন দেখে। স্বপ্নে দেখে সে একদল হাঁসের সাথে হেটে বেড়াচ্ছে, কাঁদার মধ্যে খাবার খুঁজছে। শামুক ঝিনুক এসবের ভেতর থেকে কপ কপ করে খাবার খাচ্ছে। কি বিশ্রী ব্যাপার! এই স্বপ্নের কথা সে লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনা, শুধু তিতলীকে বলেছে। এর সমাধান সরূপ তিতলী বলেছে সে একদিন সে হাসানকে হাসের মাংস রান্না করে খাওয়াবে তাবেই হাসানের এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ হবে। কিন্তু তিতলী কি আদৌ তা পেরেছিলো? বাংলা সিনেমার মতো সিড়িতে ধাক্কা খেয়ে দুজনের প্রথম দেখা, এরপর আস্তে আস্তে শুরু হয় প্রেম। তবে হাসান তিতলী কে যতটা ভালোবাসে ততটা প্রকাশ করতে পারেনা, এই নিয়ে তিতলী প্রায়ই মন খারাপ করে। তার ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে দুই-এক লাইনের চিঠি, নানা অজুহাতে তিতলীর বাড়িতে যাওয়া, কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আর মাঝে মাঝে বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘোরা। খা খা রোদের মতো বেকার জীবনের এই একটা জায়গাতেই হাসানের এক পশলা বৃষ্টির মতো করে সুখ মিলতো। কিন্তু সেই সুখও বেশীদিন হাসানের ভাগ্যে ছিলোনা। কারন তার মধ্যবিত্ত জীবনের সাথে যে বেকার নামের একটা সিলমোহর ছিলো যার কারনে শেষমেশ সেই সুখের সুতোতেও একদিন টান পড়ে। হিশামুদ্দিন সাহেবের মেয়ে চিত্রলেখা বিদেশে থেকে ডাক্তারী পড়ছে। সে জীবনে কোনো পরীক্ষায় প্রথম বৈকি দ্বিতীয় হয়নি। বাবাকে দেখতে দেশে আসার পর ঘটনাচক্রে বাবার ব্যবসা দেখার দায়িত্ব পড়ে তার কাঁধে। তার একাকিত্ব জীবনের সারাদিনের ব্যস্ততার পর দিনশেষে হাসানের সাথে কথা বললেই যেন তার সব ক্লান্তি কেটে যায়। কিন্তু হাসান কি আদৌ কখনও পারবে চিত্রলেখার এই একাকিত্ব দূর করতে? বয়স মানুষের মধ্যে কতটা পরিবর্তন নিয়ে আসে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলো হাসানের বাবা । যেই বাবাকে দেখলে তার সন্তানেরা সবাই ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকতো সেই বাবা এখন তার সন্তানদের চোখ লুকিয়ে চলেন, তার মধ্যে কেমন একটা গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে। সংসারে কি হচ্ছে না হচ্ছে কোনো বিষয়ে তার মাথাব্যথা নেই। হাসানের সহজ সরল বড় ভাই তারেক। রীনা ভাবি যাকে অন্ধের মতো ভালোবাসে, কিন্তু সেই ভালাবাসার প্রতি ভ্রুক্ষেপও নেই তারেকের। তার সব চিন্তা এখন লাবনীকে নিয়ে। আসলে আমরা যাদের সহজ ভেবে তাদের সব দোষ-ত্রুটি আড়াল করি, তারাই একসময় জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত টা দেয়। যেমন পেয়েছে রীনা ভাবি। বন্ধু মহলের এমন কেউ নেই হাসান যার উপকার করেনি, এমনি এক বন্ধু হলো সদ্যবিবাহিত লিটন। বেকার জীবনে বিয়ে করে একরকম হতাশায় পড়ে যায়। হাসানের জন্যই এখন সে বউ নিয়ে সিঙ্গাপুর থাকে, হাসানকে সে চিঠি লিখে পাঠায় যাতে তার সন্তানের জন্য কিছু সুন্দর নাম পাঠায়। কিন্তু সে জানতেও পারলোনা কার জন্য আজ তার অবস্থার এই আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া নাদিয়া, শওকত, হিশামুদ্দিন সাহেব, জহিরের দাদি আরও কিছু চরিত্র নিয়েই "মেঘ বলেছে যাবো যাবো" বইয়ের ঘটনা প্রবাহ এগিয়েছে। ছোট থেকেই নাটক সিনেমা দেখে প্রায়ই আমার কাঁদার অভ্যাস আছে। কিন্তু বই পড়ে জীবনের প্রথম কেঁদেছিলাম ক্লাস সেভেন এ পড়ার সময়। পথের পাচালি তে দূর্গার মৃত্যুর অংশটুকু পড়ে। আমার খালি মনে হচ্ছিলো ! আহারে... ছোট অপুটার কি হবে? ও কার সাথে ঘুরবে? কার কাছে আবদার করবে? এরপর অনেক বই পড়েছি। অনেক মন খারাপের বই, কিন্তু কোনো বই পড়ে চোখে পানি আসেনি। এরপর ক্লাস ইলাভেন এ পড়লাম হুমায়ুন আহমেদ এর মেঘ বলেছে যাবো যাবো। বইটা যে আমার কাছে কি আমি কখনোই কাউকে বোঝাতে পারবো না। মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের কিছু মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা, হতাশা, অপারগতা, পাওয়া-নাপাওয়ার গল্পকে ঘিরেই এই বই । মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হাসানকে কেন্দ্র করেই বইয়ের কাহিনী। যখন হাসান শুনলো তিতলি তার জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে। তখন হাসান কাঁদতে পারেনি, কিন্তু আমার চোখ তখন ছলছল করছিলো । তিতলীর এই চলে যাওয়ার কথা লেখক হাসানকে জানানোর আগে আমাদের ( পাঠকদের ) জানিয়ে দিয়েছেন , তবে যখন নাদিয়ার মুখ থেকে আবার শুনলাম তখন আমার বুকের ভেতর টা ভারী হয়ে গেলো। অজান্তেই চোখ ঝাপসা হয়ে এলো । সেই রাতে আর এক লাইনও পড়তে পারিনি। মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশী এই কথার মতো হাসানের চেয়ে হয়তো আমার বেশী খারাপ লেগেছে। বুড়িগঙ্গায় ভাসতে ভাসতে তিতলী হাসান কে কি গান শোনাতে চেয়েছিলো তা হাসানের মনে ছিলো না তবে আমার মনে আছে। কি ছিলো সেই গানে? জগৎ এর কি নিয়ম! সময়ের সাথে সাথে একসময় সব কিছু ঠিক হয়ে যায়, সময় সব ঘা শুকিয়ে দেয় ৷ তবে সবার সব ঘা কি শুকায়? হাসান তো পারেনি তিতলীকে ভুলে যেতে। কিন্তু তিতলী জগতের নিয়ম মেনে নিয়েছে। শওকতের বিশ্বাস মত তিতলীর শান্ত মুখ একদিন কোমল হয়েছে। শওকতের একনিষ্ঠ ভালোবাসায় সে হার মেনেছে। আসলে এমনটা হওয়ারই ছিলো । মানুষ স্বভাবতই ভালোবাসার কাঙ্গাল, যেখানে ভালোবাসা পায় সেখানেই নিজেকে মেলে দেয়। কিন্তু যেই বেচারি হাসানকে মনপ্রাণ দিয়ে এতো ভালোবেসে গেছে এমন করুন অবস্থাতে সে হাসানকে এক নজরও দেখতে পারলোনা, জানতেই পারলোনা যে সে আর কোনোদিন চাইলেও হাসানকে সেই গান শোনাতে পারবে না। তবে তিতলী না এলেও চিত্রলেখা এসেছিলো হাসানের কাছে। কিন্তু কেনো এসেছিলো সে? কিই বা বলতে চেয়েছিলো হাসানকে? সে নিজেকে অহংকারী ভাবে বলেই হয়তো তার মন যা বলছিলো মুখ তা বলতে পারলো না। সত্যিই মেয়েরা অনেক কিছু পারলেও কিছু অনুভূতি আপন মনে পুষে রাখতেই বেশী অভ্যস্থ, যা তারা নিজে থেকে কখনোই প্রকাশ করতে পারেনা যেমন রীনা পারেনি তারেককে দুইলাইনের একটা চিঠি লিখতে তেমনি চিত্রলেখাও পারেনি হাসানকে দেখতে আসার দ্বিতীয় কারন টা হাসানকে জানাতে । তবে শেষদিকে হাসানের জন্য চিত্রলেখার মতো আমারও চোখে জল এসেছিলো কিন্তু আমি কাঁদতে পারিনি। গল্পের সবগুলো চরিত্রই মাথার ভেতর গেঁথে আছে তবে হাসান আর রীনা চরিত্র দুটিকে আমি মাথায় গাঁথতে পারিনি। দুটি চরিত্রই আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। তাদের দুজনের জন্যই আমার শুধু মনে হয়েছে আহারে ! দুজনেই করুন পরিস্থিতির স্বীকার। তাদের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েও কত সহজেই নীরবভাবে ভালোবেসে গেছে। সত্যিই বাস্তব কখনও গল্পের মতো হয়না। তাই আমরা কঠিন বাস্তবকে না ভালোবেসে সুখের গল্পকেই ভালোবাসি, কারন গল্প যে কল্পনারই বহিঃপ্রকাশ। আর আমরা কল্পনায় বাঁচতেই বেশী ভালোবাসি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সব হাসান, তিতলী আর চিত্রলেখা রা..........
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত মানেই কল্পনায় বিরাট আয়োজন। মধ্যবিত্তদের সব জায়গায় যেতে নেই। সব জায়গায় তাদের যাওয়া বারণ। তাই তারা কল্পনায়ই সবচেয়ে বেশী ঘুরাঘুরি করে। মানুষের মনে কত যে শখ, কত যে আহ্লাদ। সবতো আর পূর্ণ হবার নয়। মধ্যবিত্ত হলেতো তা পূর্ণ হবার কোন সুযোগই বলতে গেলে থাকে না। অসাধারণ উপস্থাপনায় হুমায়ূন আহমেদ মধ্যবিত্তদের জীবন তার "মেঘ বলছে যাব যাব" উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বইটির প্লট মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের দৈনন্দিন বিভিন্ন দিক এবং কঠিন বাস্তবতা বলা যায়। বইটির মূল চরিত্র হাসান নামক এক বেকার যুবক।হাসান এর দুই ভাই তারেক, রকিব; বোন লায়লা , ভাবি রীনা , আর মা বাবা নিয়ে মোটামুটি হাস্যোজ্জল একটি পরিবার এর ছবিই বইয়ের শুরুতে চিত্রিত হয়। হাসানের সাথে তিতলির ভালোবাসার দিকটি বইয়ের প্রথম অর্ধেক অংশে পরিলক্ষিত হয়। তিতলির পরিবারের মাধ্যমেই লেখক মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি স্বরূপ তুলে ধরেছেন। তবে বাস্তবতার সবচেয়ে কঠিনতম দিকটিও যেন দেখা মিলবে এই বইটিতে । তিতলির বিয়ে শওকতের সাথে হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, রীনার সপ্ন ও হাস্যোজ্জল সেই সংসার ধংসের মাধ্যমে কিংবা হিশামুদ্দিন সাহেবের বলা জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে । বইটির শেষ পাতাটি কিন্তু আমাদের এই কঠিন বাস্তবতার কথাটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়ঃ “ মানুষের কল্পনার সাথে বাস্তবতার মিল খুব একটা হয় না । কল্পনা করতে ভাল লাগে হাসানের অসুখ সেরে গেছে। সে শুরু করেছে আনন্দময় একটা জীবন। বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘুরতে গিয়েছে। নদীতে খুব ঢেউ উঠেছে। চিত্রলেখা ভয় পেয়ে বলছে, এ কথায় নিয়ে এলে ? আমিতো সাঁতার জানি না। নৌকা এমন দুলছে কেন? নৌকার মাঝি হাসিমুখে বলছে, টাইট হইয়া বহেন আপা আমি আছি কোন চিন্তা নেই। খুব সহজে কল্পনা করা যায়, তারেক ঘর গোছাতে গিয়ে হঠাৎ খুঁজে পেয়েছে রীনার লেখা চিঠি – চিঠিটা খুব ছোট্ট । রীনা লিখেছে, তুমি কোনোদিন জানবে না আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি। চিঠি পরেই তারেক বের হল। যে করেই হোক রাগ ভাঙিয়ে রীনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাস্তব কখনও গল্পের মত হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না।বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না। “ বইটিতে প্রিয় চরিত্র হাসান আর রীনা ভাবি। লেখক হাসানকে এভবেই তুলে ধরেছেন যে সবারই প্রিয় চরিত্রের জায়গা দখল করবে। অনেক সময় আমার মনে হয়েছিল হাসানকে হয়ত একটু বেশিই ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ মনে হয় এত ভাল হয় না। বইটি পরার সময় আমি অন্যরকম কিছু অনুভুতি পেয়েছি। এমন কছু জায়গা আছে যা পড়লে চোখে পানি আসতে চায় কিন্তু অদ্ভূত চোখে কখনো পানি আসে না। বইটি শেষ হওয়ার পর ও অন্য ধরণের একটা অনুভূতি কাজ করে। ২৪৪ পৃষ্ঠার এই বইটি পাঠক হৃদয় কে ভালভাবেই স্পর্শ করবে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ রিভিউটিতে অনেকখানি স্পয়লার ছিল তবে আমি নিশ্চিত এতি এমন একটি বই যাতে স্পয়লার এ কিছুই যায় আসে না। My rating: 4.7/5 বই থেকে কয়েকটি লাইন দিয়ে দিচ্ছিঃ ১. মানুষের বিপদে এখন আর মানুষ এগিয়ে আসে না। এ যুগের নীতি হচ্ছে বিপদ্গ্রস্ত মানুষ এর কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়া। যে যত দূরে যাবে সে তত ভাল থাকবে। ২.না বলতে পারাটা অনেক বড় গুন। বেসিরভাগ মানুষ না বলতে পারে না। এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পরে, অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে। ৩.মানুষের প্রধান সমস্যা হল সে কোন কিছুই খুতিয়ে দেখে না।তার সব দেখা। সব observation ভাসা ভাসা। তুমি একশ টাকার নোট অনেকবার দেখেছ। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে তুমি বলতে পারবে না একশ টাকার নোটের দু পিঠে কি ছবি আছে। ৪. বাস্তব আশার পথ ধরে না- বাস্তব চলে নিরাশার এবড়োখেবড়ো পথে। ৫.দু ধরনের মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না। সবল মনের মানুষ এবং দুর্বল মনের মানুষ। ৬. মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু অর্থ। স্বার্থহীন বন্ধু । যে মানুষের চারদিকে শক্ত দেয়াল হয়ে মানুষকে রক্ষা করে। ৭. সঙ্গপ্রিয় মানুষের নিঃসঙ্গতার শাস্তি – কঠিন শাস্তি। এই শাস্তি মানুষকে বদলে দেয়। ৮. মানুষ ভবিষ্যৎ জানে না। জানে না বলেই মনের আনন্দে বর্তমান পার করতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
Saif Khan মেঘ বলেছে যাবো যাবো বইটি বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ। পারফেক্ট একটা উপন্যাস। কিছু বই আছে না যে বইগুলো শুধু একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা। কিন্তু এই উপন্যাসটি ঠিক সেরকম বই নয়। এ বইয়ের সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ধরতে গেলে মানুষের জীবনের হাসি, কান্না, আনন্দ মুহূর্ত, কষ্টের মুহূর্ত সমস্ত কিছু। হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ একটি লেখা। আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদের ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বইটা অবস্যই পড়া উচিত। এই বইটা আপনাকে মাতিয়ে রাখবে আনন্দের মুহুর্ত গুলি তে। আবার আপনাকে কাঁদিয়েও তুলবে। আপনি যদি উপন্যাসটির ভিতরে ঢুকে পরতে পারেন। তাহলে পড়া শেষ হলে আপনি প্রথম একদিন দুই দিন ওই চরিত্র গুলি থেকে নিজে আলাদা করতে পারবেন না। আমার উপদেশ ওই এক দুই দিনের মধ্যে আপনি নতুন কোন উপন্যাস পড়া শুরু করবেন না। আর ৯০% কিশোর কিশোরীরা এই উপন্যাসটা পড়ার পর বলবে এটা আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
'মেঘ বলেছে যাব যাব' উপন্যাসটি হুমায়ুন আহমেদের লেখা অন্যতম সেরা উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। হুমায়ুন আহমেদ যেসব বিচিত্র বিষয়ের ওপর উপন্যাস রচনা করেছেন, তার মধ্যে প্রেম, ভালোবাসা আর মানবীয় সম্পর্ককে তিনি অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন। আর এই ঘরানায় রচিত তার উপন্যাসগুলোর মধ্যে 'মেঘ বলেছে যাব যাব' হয়তবা সত্যিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তবে কোনটি সবচেয়ে ভাল আর কোনটি সবচেয়ে ভালো নয় এই বিবেচনাটা আপেক্ষিক। অনেকের কাছে হয়ত 'মেঘ বলেছে যাব যাব' অপেক্ষা হুমায়ুন আহমেদের অন্য কোন উপন্যাস বেশি ভাল লেগে থাকতে পারে। তবে একটা বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ, কোন নির্দিষ্ট থিম ব্যতিরেকে (যেমন জোছনা ও জননীর গল্প'র প্রেক্ষাপট ১৯৭১) শুধু মানবিক সম্পর্ককে তুলে ধরা হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস সমূহের মধ্যে আলোচ্য উপন্যাসটির ব্যাপ্তিই সর্বাধিক। হুমায়ুন আহমেদের অধিকাংশ উপন্যাসের পরিধিই হয় ৯০/১০০ পাতার। সেখানে 'মেঘ বলেছে যাব যাব' উপন্যাসের দৈর্ঘ্য ২৪৪। তার ওপর আবার এই বইয়ের ফন্টও বেশ ছোট। আজকালকার দিনে প্রকাশিত বই সমূহের ফন্ট সাইজ যত বড় হয়, সেটা যদি এই বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হত তবে এই বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪০০ এর বেশি হওয়াটা অসম্ভব কিছু ছিল না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, 'মেঘ বলেছে যাব যাব' উপন্যাসের আয়তন কিন্তু 'মধ্যাহ্ন' বা 'জোছনা ও জননীর গল্প' উপন্যাসগুলর চেয়ে খুব একটা কম নয়! এত বিশাল কলেবরে হুমায়ুন আহমেদ খুব বেশি উপন্যাস লেখেন নাই। যাইহোক, এবার আসি এই বইয়ের কাহিনী সংক্রান্ত আলোচনায়। সামাজিক বা জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাসের কাহিনী অল্প কথায় বলা অসম্ভব। কেননা এই ধরণের উপন্যাস থ্রিলার বা গোয়েন্দা কাহিনীর মত একমুখী হয় না। আর আলোচ্য উপন্যাসটিও যেহেতু একটা জীবনঘনিষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস, তাই এই উপন্যাসেরও কাহিনী সংক্ষিপ্ত করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে অল্প কথায় বলতে গেলে, এই উপন্যাসে প্রায় প্রতিটি চরিত্রকেই সম্মান গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি চরিত্রেরই জীবনের গল্প এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে বইয়ের পাতায় তুলে নিয়ে আস্তে চেয়েছেন লেখক। তবে এই সম্পর্ক যে সর্বদা প্রেম ভালভাসার বৃত্তেই বন্দি ছিল তা না। প্রেম ভালোবাসার বাইরেও স্নেহ, মমতা, মায়া, পরকীয়ার মত সম্পর্কের বিচিত্র সব অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে এই উপন্যাসে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান। তার আশেপাশের চেনা মানুষদের জীবন কাহিনীই চিত্রিত হয়েছে। এবং সেই সব কাহিনীতেই হাসানের ছোটখাট ভূমিকা ছিল। পাশাপাশি হাসানের নিজের জীবনের কাহিনীটা গুরুত্ব পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এই অধিক গুরুত্ব প্রদানের ফলে একটা পর্যায়ে লেখক হয়ত হাসান চরিত্রটিকে বাড়াবাড়ি রকমের মহৎ করে তুলেছেন। তবে তারপরও আপাতদৃষ্টিতে হাসানের কাহিনীটাই এই উপন্যাসে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। এবং হাসানের কাহিনীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে একেকটা সেমি স্টোরি। হাসানের কাহিনী প্রধানত তার বেকার জীবন ও তার ব্যর্থ প্রেমের কাহিনী। বেকার এই যুবকের প্রেম ছিল তিতলির সাথে। কিন্তু হঠাৎ একদিন হুট করে বিয়ে হয়ে যায় তিতলির। তিতলির বিয়েটাই বোধ হয় এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। পরবর্তিতে তিতলির সাথে তার স্বামী শওকতের সম্পর্কের বিল্ড-আপও নিখুঁতভাবে দেখিয়েছেন লেখক। এ ছাড়াও এই উপন্যাসে আরও বহু চরিত্রের বহু সম্পর্কের চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। হাসানের ভাই তারেকের সাথে তার স্ত্রী রিনার সম্পর্ক, তারেকের সাথে তার কলিগ লাবণীর অবৈধ সম্পর্ক, হাসানের সাথে তার ভাবি রিনার সম্পর্ক, হিশামুদ্দিনের সাথে হাসানের সম্পর্ক, হিশামুদ্দিনের সাথে তার মেয়ে চিত্রলেখার সম্পর্ক, চিত্রলেখার সাথে হাসানের সম্পর্ক, হাসানের সাথে তার ক্ষুদে ছাত্রী সুমির সম্পর্ক, তিতলির সাথে তার মা সুরাইয়া ও বোন নাবিলার সম্পর্ক, তিতলির বাবার সাথে তার কন্যাদের সম্পর্ক, হাসানের মার সাথে হাসানের বাবার সম্পর্ক ----- এরকম অসংখ্য সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। এবং মধ্যবিত্ত সমাজের এই সম্পর্কের প্রতিটিই যে নারীপুরুষের প্রেম ভালবাসা সম্পর্কিত তা না। মূলত মধ্যবিত্তের জীবনে যতধরণের সম্পর্কের দেখা মেলে, তার সবই উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। সে কারণেই হয়ত অধিকাংশ পাঠক এই উপন্যাসের কোন না কোন চরিত্রের সাথে নিজেদের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে পেরেছে এবং কোন না কোন ঘটনার সাথে নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার যোগসূত্র স্থাপন করেছে। এবং সম্ভবত মধ্যবিত্ত জীবনকে এতটা সুনিপুনভাবে বাস্তবসম্মত করে চিত্রায়িত করা হয়েছে এই উপন্যাসে যে এই উপন্যাসটি অভূতপূর্ব পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক, একটা কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই উপন্যাসে লেখক বেশ সচেতনভাবেই সিনেম্যাটিক টেনশনের দৃশ্যাবলি বর্জন করেছেন। এতে উপন্যাস নাটকীয়তার মেদ মুক্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কখনো কখনো ঘটনাপ্রবাহের সরলতা অবিশ্বাস্যও ঠেকেছে। তবে এ নিয়ে অভিযোগের আসলে কিছু নেই। যারা হুমায়ুন আহমেদের লেখনীর সাথে পরিচিত, তারা সকলেই জানেন তিনি এরকম সাদামাটাভাবেই গল্প বলেন। আরেকটা বিষয়, এই উপন্যাসের ফিনিশিংটা অসাধারণ। একদম হ্যাপি এন্ডিং যদি হত এই উপন্যাসে, তাহলে অধিকাংশ পাঠকই হয়ত সন্তুষ্ট হত কিন্তু উপন্যাসটি এর জাদুময়তা হারাত। কিন্তু তার বদলে লেখক যেভাবে উপন্যাসের শেষে এসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বাস্তবতা আর কল্পনার পার্থক্য চিহ্নিত করে দিয়েছেন, সেটা আরও বেশি করে উপন্যাসটিকে অসাধারণত্বের দিকে নিয়ে গেছে। এবং এই উপন্যাসটি পড়ার পর প্রতিটি পাঠককেই মেনে নিতে হবে যে, উপন্যাসটা আসলেই অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই ! সকলের একবার হলেও পড়া উচিত ❤
Was this review helpful to you?
or
বাস্তব কখনো গল্পের মত হয় না । বাস্তবে রীনা ফিরে আসে না । বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গা জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না । তবে বাস্তবেও কিছু সুন্দর সুন্দর ব্যাপার ঘটে । যেমন - লিটনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয় । লিটন তার বন্ধু হাসানের পাঠানো দুটি নাম থেকে একটি নাম তার মেয়ের জন্যে রাখে । দুটি নামের কোনোটিই তার পছন্দ না -- তিতলি,চিত্রলেখা । তারপরেও সে তার মৃত বন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ের নাম রাখলো ---- "চিত্রলেখা" । জীবন বয়ে চলবে । আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখাকে নিয়ে । কোন এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত । [ফিনিশিং]
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটি কলেবরে অনেক বড়। কিন্তু পূরোটাই সম্পূর্ণ মধ্যবিত্ত জীবনের উপর লেখা। মধবিত্তের স্বপ্ন, প্রেম, ভালোবাসা , চাওয়া পাওয়া, না পাওয়া, সুখ দুখ কষ্ট সব মিলেয়ে উপন্যাসটি লেখক গড়ে তুলেছেন। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসান। হাসান এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মা বাবা বোন ভাই ভাবী সবার সাথে একত্রিত পরিবারে থাকে। বর্তমানে বেকার। উপন্যাসে মূলত এই হাসানের কাহিনী প্রধানত তার বেকার জীবন ও তার ব্যর্থ প্রেমের কাহিনী কেই প্রাধান্য দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। হাসান ভালবাসে তিতলিকে। সেও এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। পরিবারের সবাই প্রথমে হাসান এর সাথে তিতলির মেলামেশা কে প্রাধান্য দিলেও পরবর্তীতে যখন বিয়ের জন্যে বিত্তশালী ছেলে পায় তখন তারা সেই ছেলের কাছেই তিতলির অমত থাকা সত্ত্বেও বিয়ে দেয়। প্রথম থেকেই তিতলি তার স্বামী কে মেনে নিতে পারেনা। এখানে উল্লেখ্যযোগ্য আর একটি নারী চরিত্র হাসান এর ভাবি রিনা। মধ্যবিত্ত পরিবারের নিষ্ঠাশীল কর্তব্য পরায়ণ বউ এর মতোই সে সবার মতোই সংসার ধর্ম পালন করছিল। কিন্তু হাসানের ভাই তারেকের সাথে তার কলিগ লাবণীর অবৈধ সম্পর্ক জানার পর সে অন্যদের মত স্বামীর কাছে পড়ে না থেকে সংসার ছেড়ে দেয়। এবং নিজে চাকরি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ায়। নিজের অস্তবিত্তকে রক্ষা করে। এছাড়া হাসান এর জীবনের আর একটি নারী চরিত্র হল চিত্রলেখা। হিশামুদ্দিনের মেয়ে চিত্রলেখা হিশামুদ্দিন এক বিত্তবান যার কাছে ঘণ্টা প্রতি তার জীবন কাহিনী শুনার জন্যে হাসান যায়। হিসামুদ্দিন গরিব নিম্নবিত্ত কঠিন অবস্থা পার করে এসে বড়লোক হয়েছে। তার মেয়ে চিত্রলেখা এক সময় হাসান এর প্রতি সামান্য কৌতূহল অনুভব করে। কিন্তু চিত্রলেখা এমনি মেয়ে যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। যে কঠোর। নারীত্বের দুরব্লতা কে সে প্রশ্রয় দেয়না। এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় এক সাধারন মধ্যবিত্ত যুবকের মতো হাসান এর মৃত্যু হয়। অন্যদের জন্যে নিজের ত্যাগ এর কারনে। কিন্তু তার মৃত্যু তে কারো জীবন থেমে থাকেনা। সবারি জীবন সবার মতো চলতে থাকে। এমনকি হাসান এর ভালোবাসার মানুষ তিতলির ও। হুমায়ূন আহমেদ খুব চমৎকার ভাবে মানুষের জীবন, মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক ও বাস্তবতাকে তুলে এনেছেন তার এই জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাসে । লেখক যেভাবে উপন্যাসে বাস্তবতা আর কল্পনার পার্থক্য চিহ্নিত করে দিয়েছেন। তাই 'মেঘ বলেছে যাব যাব' উপন্যাসটি হুমায়ুন আহমেদের লেখা অন্যতম সেরা উপন্যাস বলা যায়