User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাসায় ছোট বাচ্চাদের জন্য নির্সন্দেহে বইটি কালেক্ট করতে পারেন। বড়রাও পড়তে পারবে। তবে মূলত, ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বেশি উপযোগী। পড়ে আগ্রহ জন্মে এমন বই বাচ্চাদের কিনে দিলে বইয়ের প্রতি বাচ্চারা আকৃষ্ট হয়। এটাও সে ধরনের বই। এক বসায় বাচ্চারা বইটা শেষ করতে পারবে।☺️
Was this review helpful to you?
or
শিশু কিশোরদের জন্য দারুন মজার বই।
Was this review helpful to you?
or
শিশু কিশোরদের উপযোগি মজার বই।
Was this review helpful to you?
or
Excellent , good delivery.
Was this review helpful to you?
or
ছোটদের জন্য প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের লেখা প্রথম গল্পের বই। বইয়ে লেখা ছিলো, 'পড়ে মজা পাবেন বড়রাও!' কথা সত্য। আমিও মজা পেয়েছি। ? মোট তিনটি ছোট গল্প আছে এই বইয়ে। তিনটি গল্পেরই মূল চরিত্র 'নীলু'। প্রথম গল্প 'নীল হাতী'র নামেই বইয়ের নামকরণ। নীলুর মামার বিদেশ থেকে পাঠানো ছোট্ট নীল হাতী। মিষ্টি এক ভূতের বাচ্চা নিয়ে দ্বিতীয় গল্প 'একটি মামদো ভূতের গল্প'। নীলুর বাবার বন্ধু হেড মাস্টার আজীজ সাহেব, ফুল বাগান আর পরী নিয়ে তৃতীয় গল্প 'আকাশপরী'। জ্যোৎসার ফিনিক, বাহারি ফুলের ঘ্রাণ, গাছের পাতায় পূর্ণিমার চাঁদের আলোর ঝলকানির অদ্ভুত সুন্দর বর্ণনা দিয়ে খুব সহজ আর মায়াবী করে লেখা ছোট্ট মিষ্টি একটা বই। বইয়ের মাঝেমাঝে সাদাকালো আঁকাআঁকিও বেশ মজার ছিলো। পড়তেও বেশ লেগেছে। ? ও আচ্ছা, আমিতো এতোদিন 'হাতী' বানান 'হাতি' লিখতাম। বইয়ে দেখি 'হাতী' লিখা। কোন বানানটি শুদ্ধ?
Was this review helpful to you?
or
wonderful book.
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
মোট তিনটি গল্পের সমন্বয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে। গল্প তিনটি হচ্ছে নীল হাতি, একটি মামদো ভূতের গল্প এবং আকাশপরী। বইটি মূলত ছোটদের জন্য লিখেছেন হুমায়ন আহমেদ। তবে বড়রা যে এই বই পড়তে পারবে না এমনটা নয়। আমি এই বই পড়ে ভালই মজা পেয়েছি। বিশেষ করে মামদো ভুতের গল্প পড়ে একটু বেশিই মজা পেয়েছি বলতে হয়। ছোট্ট মেয়ে নীলুকে ঘিরে বইয়ের তিনটি গল্প ডানা মেলেছে। শুভ হোক আপনার বইয়ের জগতে বিচরণ।
Was this review helpful to you?
or
I really like the book very much.The book does not have any astonishing thing but it is surely "simple er modde gorgeous".I really like last part of the book akashpori .The book is suitable for children but i surely think even adults can enjoy the book
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নীল হাতি লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরিঃ শিশু কিশোর গল্প প্রকাশনীঃ অন্বেষা প্রকাশন পৃষ্ঠাঃ ৫৪ মূল্যঃ ১১৯ টাকা রিভিউঃ নীলের সঞ্জু মামা আমেরিকায় থাকেন। নীলুর জন্মের আগেই গেছেন আর কখনো আসেননি। মেম সাহেব বিয়ে করেছেন। সবার ধারণা তিনি আর আসবেন না। নীলুর খুব ইচ্ছে করে সঞ্জু মামা আর তার মেম বউকে দেখতে। নীলু একদিন তার মামাকে চিঠি লেখে। পাখি, সূর্য আর নদীর ছবি দিয়ে নকশা করে সেই চিঠি। তার মনে হল এইবার তার মামা আসবেন। তিনি এলেন না। কোন উত্তরও দিলেন না। কয়েকদিন পর একটা পিয়ন এসে নীলুকে খুজছে। তার নামে আমেরিকা থেকে কে একজন উপহার পাঠিয়েছে। নীলু নাম লিখে তখনই উপহারের মোড়কটি খুললো। একটা সুন্দর হাতি দেখতে পেলো সে। নীল রঙের হাতি। গলায় রূপোর ঘন্টা। শুড় দোলায় আর ঘন্টা বাজে। মাঝে মাঝে কানও নড়ায়। সবাই খুব পছন্দ করল নীল হাতিটা। তার স্কুলের বন্ধুরা। এমনকি আত্নীয়-স্বজনরাও দেখতে এল। তারাও পছন্দ করল। কিন্তু একদিন হয়েছে কি নীলুর মায়ের এক বান্ধবী এসেছেন। সাথে এসেছে তার ছোট্ট দুষ্ট ছেলে টিটো। টিটোর নীল হাতিটা পছন্দ হয়ে যায়। টিটো নীল হাতিটাকে আর ছাড়তে চায় না। শেষে সে নীল হাতিকে নিয়েই যায়। নীলুর সে কি মন খারাপ। রাতে ঘুমুতে যাবার সময় নীলু বাগানে ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পায়। আচ্ছা এটা কিসের শব্দ? নীল হাতি আসেনি তো? সে কি আর একা আসতে পারে? তাহলে? নীলুর জন্মদিনে নীলুর বাবা নীলুর জন্যে উপহার নিয়ে আসে। সেটা সোনালি মোড়কে মোড়ানো। নীলুকে কিছুই বলেননি কি সেটা। রাতে খোলা হবে। রাতেই নীলুর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নীলুর বাবাও সাথে যান। নীলুর সাথে থাকে নীলুর ছোট চাচা। নীলুর মন খারাপ থাকা সত্বেও ছোট চাচাসহ মোড়ক খুলে দেখতে পায় সুন্দর একটা পুতুল। নীলু তার একটা নামও রাখে। সোনামনি নীলু ছোট চাচার কাছে ভুতের গল্প শুনতে চায়। এমন সময় ফোন আসে। ছোট চাচা গম্ভীর হয়ে যান। নীলুকে ঘুমুতে বলেন। নীলু বুঝতে পারে তার মা আরো বেশি অসুস্থ হয়েছে। সে ঘুমতে যায়। কিন্তু তার ঘুম আসে না। হঠাৎ জানালার পাশে একটা আওয়াজ শুনতে পায়। প্রথমে ভয় পায় সে। পরে ভয় কেটে যায়। একটা মামদো ভূত এসেছে। তার মেয়ে হইয়ুর ইচ্ছে একটা মানুষের বাচ্চার সাথে ভাব করবে। তাই মামদো ভূত তার মেয়েকে নীলুর কাছে নিয়ে এসেছে। নীলুর সাথে কি হইয়ুর ভাব হবে? নীলুর ভয় করবে না তো? মানুষের সাথে কি ভূতের বাচ্চার ভাব হয়? আজিজ চাচা বাবার বন্ধু। তিনি হেডমাস্টার কিন্তু হেডমাস্টারদের মত রাগী নন। বরং অনেক মজার। মজার মজার গল্প বলেন। একদিন তিনি নীলুদের জন্য একটা ফুলের গাছ নিয়ে আসেন। সেটাতে নাকি একশ বছর ফুল ফুটে। শুনে সবার কি হাসি। নীলুর খুব ইচ্ছে একশ বছর পর সেই ফুল দেখবে। আজিজ চাচা যখন ভুতের গল্প বলেন তখন মা, বাবা সবাই শুনে কিন্তু নীলুর শোনা বারণ। নীলু ভয় পাবে তাই। নীলুর খুব ইচ্ছে করে শুনতে। একদিন মা, বাবা বাইরে গেছে। আর নীলুর প্রাইভেট টিউটরও আসেনি। এমন সময় আজিজ চাচা আসে। নীলু আজিজ চাচাকে বন্দী করে ফেলে। সে গল্প শুনতে চায়। আজিজ চাচা তাকে গল্প বলেন। আকাশরীর গল্প। পূর্নিমার রাতে গলায় ফুলের মালা পড়ে ডাকতে হয় আকাশ পরীদের। তারা এসে ফুল ফুটিয়ে দেয় বাগানে? নীলুও পূর্নিমার রাতে গলায় ফুলের মালা পরে ডাকে আকাশ পরীদের। আকাশ পরিরা কি আসবে? নীলুর সাথে কি তারা নাচবে? ফুল ফোটাবে নীলুদের বাগানে? আর একশ বছর পর যে গাছটাতে ফুল ফুটে সেটাতে কি ফুল ফুটবে? এই এত সব প্রশ্ন- এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি জানতে চান তাহলে আপনাকে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা- "নীল হাতি"। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের শিশুতোষ বইগুলো সবসময়ই বেশ ভালো হয়। নীল হাতিও ভালো লেগেছে। নীলু নামের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে তিনটি ছোট ঘটনা। ছোটদের জন্য উপযোগী একখানা বই। বড়রাও পড়তে পারেন। কিন্তু খুব একটা মজা পাবেন না। ছোট ছোটই লাগবে। যেহেতু ছোটদের বই তাই ছোটদের অবশ্যই ভালো লাগবে। নিজেকে নীলু নীলু মনে হবে। সব মিলিয়ে ভালো একটা বই। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.৮/৫
Was this review helpful to you?
or
#গল্প_একটুখানি হুমায়ূন আহমেদ বড়দের সাথে সাথে ছোটদের মহলেও বেশ পরিচিত । অদ্ভুত অদ্ভুত গল্প লিখে শৈশবটাকে তিনি মুহুর্তেই করে দিতে পারেন চাঙ্গা। উনার বেশ বিখ্যাত ছোটদের জন্য লেখা বই #নীল_হাতি। "নীল হাতি" এই বইতে আছে মোট তিনটি গল্প : ★ নীল হাতি ★ একটি মামদো ভূতের গল্প ★ আকাশপরী এই তিন গল্পের প্রধান চরিত্র নীলু নামের ছোট্ট একটি মেয়ে। কাহিনী সংক্ষেপ : প্রথম গল্প: নীলু মেয়েটা তার সঞ্জু মামাকে কখনো দেখে নি। মামা থাকে আমেরিকা। মামাকে নীলু তিন লাইনের একটা চিঠি লিখে জবাবে মামা একটা হাতি উপহার পাঠিয়ে দেয়। মজার ব্যাপার হল হাতিটা নীল রং এর। হাতিটার কোনো সুইচ বা ব্যাটারি মত কিছু নেই, কিন্তু অদ্ভুতভাবে শুড় নাড়তে থাকে। এমন চমৎকার একটা খেলনা পেয়ে নীলু খুব খুশি। কিন্তু একটা বড়সড় অঘটন ঘটে গেল। কি সেটা! বই থেকেই নাহয় জানুন। দ্বিতীয় গল্প: মামদো ভুত। মানুষকে গিলে খেয়ে ফেলে! ছোট চাচুর এই কথা শুনে ভীত নীলু। ঘটনা এই যে আজ তার জন্মদিন। প্রতিবারের মত এই দিনটা তেমন ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে না, কারণ তার মা অসুস্থ । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। বাসায় নীলু আর ছোট চাচু। নীলু একা তার রুমে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় জানালাতে শব্দ। একটা মামদো ভুত এসেছে। ভুতটাকে দেখে নীলু ভয় পেল না বরং মজা পেতে থাকল। জানা গেল ভুতের মেয়ের শখ হয়েছে মানুষের মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করবে। তারপর? তৃতীয় গল্প: আজীজ চাচা, নীলুর হেডমাস্টার আবার নীলুর বাবার বন্ধু। সেই হিসেবে যাতায়াত হয় নীলুদের বাসায়। রসিক গোছের লোকটা একটু ক্ষ্যাপা যেন। একদিন লোকটা একটা অদ্ভুত গাছ দিয়ে গেল যেটা নাকি একশ বছরে একবার ফুল দেয়। বেগুনি নীল মেশানো ফুল। চাচা আরো অনেক ভুতের, শিকারের গল্প বলেন। কিন্তু নীলুর তা শোনা বারণ। কিন্তু একদিন চাচাকে সে একা পেয়ে বসে। চাচা বলে পুর্ণিমার রাতে গলায় মালা দিয়ে একটা কবিতামত শ্লোক পড়তে থাকলে নাকি আকাশপরী আসে। তারা ফুলের বাগান ঘিরে নাচে আর সব ফুল ফোটে যায়। নীলুও পুর্ণিমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকল....তারপর? #বইটার_ভালো_লাগা বইটা পড়ে ছোটবেলার স্বাদ পেয়েছি, যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে। ছোটদের গল্প মানেই রুপকথার মতো করে ফ্যান্টাসি থাকবে, বইটাতে ফ্যান্টাসিটা এতো সুন্দর করে দেখানো হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের বর্ননার ধরন সবারই জানা, সেটা নিয়ে না বলি। এতো সাবলীল অথচ প্রতিটা গল্পই ভিন্ন স্বাদের। মাত্র ৫৪ পেইজে এটাকে প্রকাশ করা আসলেই কেবল উনার দ্বারাই সম্ভব। #বইটার_ভালো_না_লাগা বইটাতে লেখক মাত্র ৩ টা গল্প দিয়েছেন জিনিসটা ভালো লাগেনি। আরো ডজনখানেক দেয়া উচিত ছিল! #প্রতিক্রিয়া___ অনেক তো সিরিয়াস টাইপ বই পড়লাম। এধরনের দুই একটা বই রিফ্রেশমেন্টের জন্য পড়তে হয়। ছোটবেলায় রাক্ষস.. ভুত.. রুপকথা পড়েনি এমন মানুষ কম আছে। সেই বাচ্চাবেলার স্বাদ পেতে বইটা জলদি পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : নীল হাতি
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ শুধু বড়দের জন্যেই বই লিখে যান নি। ছোটদের জন্যও আছে তার কিছু মজার গল্প সংকলন। ছোট ছোট গল্প আর মজার সেসব গল্পের বইগুলোর মাঝে একটি হলো "নীল হাতি"। "নীল হাতি" এই বইতে আছে মোট তিনটি গল্প। ★ নীল হাতি ★ একটি মামদো ভূতের গল্প ★ আকাশপরী এই তিন গল্পের প্রধান চরিত্র নীলু নামের ছোট্ট একটি মেয়ে। প্রথম গল্প: নীলু নামের এই ছোট্ট মেয়েটিকে তার মামা আমেরিকা থেকে একটি নীল হাতি পাঠিয়েছে। সেই মামাকে নীলু কখনও দেখে নি। শুধু জানে তার এক মামা আছেন আমেরিকাতে। সেই মামা যখন নীল হাতি উপহার পাঠালেন নীলুর খুশি দেখে কে..! সারাক্ষণ নীল হাতির সাথে সময় কাটে নীলুর। সুনৃদর সময় কাটতে কাটতেই ঘটে গেলো এক অঘটন। অঘটনটা এই নীল হাতিকে নিয়েই। সেই গল্পই আছে "নীল হাতি"তে। দ্বিতীয় গল্প: প্রতিবার নীলুর জন্মদিনে বাবা-মা উপহার দেয় নীলুকে। রাতে ছাদে বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়া হয়, চা খাওয়া হয় সবাই মিলে। কিন্তু এবার তা হলো না। মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মাকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এরই মাঝে ঘটলো এক মজার কাহিনী। নীলুর দেখা হলো মামদো ভূতের সাথে। তারপর..? বাকি গল্প না হয় বই থেকেই জেনে নিন। তৃতীয় গল্প: পরী বলে কি কিছু আছে? বাবা বলে নেই মাও বলে ওসব ফাকিঁবাজি। কিন্তু বাবার বন্ধু আজিজ চাচ্চু বলে আকাশপরী বলে আছে। পূর্ণিমার দিন তারা নাকি পৃথিবীতে আসে। যখন তারা পৃথিবীতে আসে তখন আশেপাশে অনেক ফুল ফুটে। সেই আজিজ চাচ্চুর কাছেই নীলু শুনলো সেই আকাশপরীদের নিয়ে দারুণ একটি গল্প....!
Was this review helpful to you?
or
তিনটি শিশুতোষ গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘নীল হাতি’ বইটি, আর নামকরণ করা হয়েছে বইয়ের প্রথম গল্প অনুসারে। ছোটদের জন্য চমৎকার একটি বই। আমি প্রতিটি গল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নীল হাতিঃ নীলু কখনো তার সঞ্জুমামাকে দেখেনি, কারণ নীলুর জন্মের আগেই তিনি পাড়ি জমান আমেরিকায়। সেখানে নাকি একজন মেমসাহেবও বিয়ে করে ফেলেছেন। মেমসাহেব মামীকে দেখার খুব ইচ্ছে নীলুর, সেই ইচ্ছের কথা জানিয়ে সঞ্জুমামাকে চিঠি লিখে সে। কিন্তু সেই চিঠির জবাবে মামা-মামীর পরিবর্তে আমেরিকা থেকে নীলুর জন্য এল খুব সুন্দর একটি উপহার, গলায় রূপোর ঘন্টা বাধা নীল রঙয়ের একটি খেলনা হাতি। বাকি সব খেলনা থেকে এই হাতিটাই হয়ে উঠল নীলুর সবচেয়ে প্রিয়। সেই প্রিয় হাতিটা যখন হাতছাড়া হয়ে গেল, তখন ঘঠলো এক অদ্ভূত ঘটনা। একটি মামদো ভূতের গল্পঃ এবারের জন্মদিনটা নীলুর ভীষন খারাপ কাটল। অন্যান্য বারের মত সবাই ছাদে গোল হয়ে বসেনি, মা গান করেনি, নীলু ছড়া বলেনি, এমনকি বাবা তাকে নিজহাতে উপহারও দেয়নি। নিলুর মায়ের আকস্মিক অসুস্থতাই বাড়িতে ডেকে এনেছে এক সুনসান নীরবতা। সবাই মাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেল, বাসায় নীলুর সাথে আছেন শুধু তার ছোটকাকু। কাকুর কাছে মামদো ভুতের গল্প শুনতে না শুনতেই মামদো ভূত এসে হাজির, সাথে তার ছোট্ট মেয়ে হইয়ু। আকাশপরীঃ আজিজ চাচার গল্পের ঝুলিতে দারুন মজার সব ধাঁধার সাথে আছে নানারকমের ভূতের গল্প। তবে ধাঁধা শুনতে পারলেও ভূতের গল্প শোনার সৌভাগ্য কখনো হয়না নীলুর, কারণ সে ছোট। একদিন সেই সুযোগও পেয়ে গেল সে, আজিজ চাচার মুখে শুনলো পুরনো ভাঙ্গা রাজবাড়ির গল্প। যে রাজবাড়িতে পূর্ণিমা রাতে আকাশ থেকে নেমে আসে পরীরা; গান গায়, নাচে। আর তাদের গান শুনে বাগানের সব গাছে ফুটে উঠে রংবেরঙয়ের ফুল। গল্প শুনার পর থেকেই শুরু হল নীলার অপেক্ষার পালা, পূর্ণিমা রাতের অপেক্ষা। কিন্তু গল্প কি আর সত্যি হয়??? কে জানে, হতেও তো পারে ;)
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। ছোটদের জন্যেও তিনি অনেক বই লিখেছেন। তার মধ্যে একটি “নীল হাতি”। এই বইটি মূলত অসাধারণ তিনটি গল্পের সংকলন- নীল হাতি/ এক মামদো ভূতের গল্প/ আকাশপরী। ইমদাদুল হক মিলনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ “নীল হাতি” বইটি স্মৃতি রোমান্থন করতে গিয়ে বলেছেন:----মিলন: ছোটদের জন্য লেখালেখি নিয়ে আপনার ভাবনা কী? প্রথম ছোটদের জন্য কবে থেকে লেখা শুরু করেন?---হুমায়ূন আহমেদ: প্রথম লেখাটা বোধহয় ‘নীল হাতি’৷ কবে বের হয়েছিল সেটা ঠিকঠাক বলতে পারব না৷ অবজারভার গ্রম্নপ বাচ্চাদের জন্য একটা পত্রিকা বের করেছিল৷ পত্রিকাটির নাম বোধহয় ‘কিশোর বাংলা’৷ ওটার প্রথম সংখ্যার জন্য লেখাটা দিলাম৷ ভয়ে ভয়ে ছিলাম, বাচ্চাদের জন্য প্রথম লেখা তোঃ কেমন হয় ? ওটাই আমার প্রথম লেখা বাচ্চাদের জন্য৷ তারপর আমার নিজের বাচ্চারা যখন বড় হলো, তখন ওদের পড়ার জন্য ওদের উপযোগী করে বেশ ক’টি লেখা দাঁড় করাই৷ ওগুলোতে বেশিরভাগ চরিত্রগুলোর নাম ওদের নামেই- নোভা, শীলা, বিপাশা, নুহাশ৷ একটা সময় বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রচুর বাচ্চাদের বই লিখি৷ বাচ্চারা কিন্তু কঠিন পাঠক৷ বাচ্চাদের মা-বাবা আমাকে ধমক দিতে ভয় পায়৷ কিন্তু বাচ্চারা পায় না৷ তারা ধমক দিয়ে আমাকে বলে, কী ব্যাপার, নতুন বই কই? বই নাই কেন? তখন আমি খুব আনন্দ পাই৷ আমি তখন তাদের বলি, আগামী বইমেলায় তোমাদের জন্য নতুন একটা বই থাকবে৷ ওদের মুখের দিকে তাকিয়েই আমাকে কথা রাখতে হয় “
Was this review helpful to you?
or
ছোটদের জন্য লেখা হলেও সব বয়সের পাঠকই এটা পড়ে আনন্দ পাবেন