User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
I love this good and thank you rokomari.
Was this review helpful to you?
or
এক বসায় শেষ করার মতো বই। প্রথমে একটু বোরিং লাগতে পারে তবে শেষের দিকে একবারে বইয়ের সাথে লেগে থাকবেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ বই: তোমাদের জন্য ভালোবাসা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অন্বেষা এই অসাধারণ বইটির নাম অনেকেই হয়তো শুনেছেন। 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা' বইটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সায়েন্স ফিকশন বই। হুমায়ূন আহমেদ বইটি 'বিজ্ঞান সাময়িকী' তে ধারাবাহিকভাবে লিখতেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ বই আকারে প্রকাশ পায়। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সায়েন্স ফিকশন - শুনেই বেশ একটা রোমাঞ্চ ফিল হচ্ছে না? কি আছে এই বইতে? এই বইয়ের গল্পটি অসাধারণ। গল্পটি উন্নত পৃথিবীর একটি বিপদজনক সমস্যাকে ঘিরে। মহামান্য বিজ্ঞানীরা তাই আলোচনায় বসেন কি করে এই বিপদ কাটানো যায়। সমস্যাটি হলো একটি গ্রহ 'টাইফা' কে নিয়ে। বিজ্ঞানীদের ধারণা গ্রহটিতে উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন জীবের বসবাস। হঠাৎ একদিন গ্রহটি উধাও হয়ে যায়। জানা যায়, গ্রহটি চতুর্থ মাত্রার একটি গ্রহ, যা ধীরে ধীরে তার বলয়ের মধ্যে থাকা সবকিছুকে গ্রাস করবে এবং পৃথিবীও তার অন্তর্ভুক্ত। এদিকে লী নামের একটি মেয়ের মাধ্যমে ৫০০০ হাজার বছর পুরোনো একটি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। কি লেখা আছে বইটিতে? আর বইটি পৃথিবীর এই সংকটময় সময়ে কি কাজে লাগবে? কি? এখানে কাহিনীটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে না? এরপর বইটি থেকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে আশ্চর্য কিছু রহস্য। আপনি গল্পে এতটাই বুঁদ হয়ে থাকবেন যে আপনার সময় কিভাবে কেটে যাবে আপনি টেরই পাবেন না। এখানেই লেখকের সার্থকতা। হুমায়ূন আহমেদ যখন এই বইটি লিখেছেন তখন তিনি মোটামোটি তরুণ একজন লেখক। কিন্তু তার লেখা পড়ে আপনি চমৎকৃত হবেন। এত অসাধারণ তার লেখনী! এত সহজ ভাষায় সায়েন্স ফিকশনের মতো জনরার বইটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। হুমায়ূন আহমেদ যেন বাংলা সাহিত্যের এইচ.জি. ওয়েলস। মহাবিজ্ঞানী এস মাথুর, বিজ্ঞানী স্রুরা, মহামান্য ফিহা এই চরিত্রগুলো আপনাকে নিশ্চিতভাবেই মুগ্ধ করবে। বইটি সাইজে বেশ ছোট। ৭০ পেইজের একটি বই। তাই এক বসাতেই বইটি পড়ে ফেলা যায়। এবং আমার বিশ্বাস বইটি পড়ে কেউ আশাহত হবেন না। ব্যাক্তিগত রেটিং: ১০/১০
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
ভালো ?
Was this review helpful to you?
or
best book
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা প্রথম সায়েন্স ফিকশন বই এটি। নতুন কোনো ধারা বা জনরার বেলায় হুমায়ুন আহমেদ এর কাজটি ছিল অসাধারণ। পাঠক এক নিমিষেই কোনো জটিলতা ছাড়াই বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন এবং কাহিনি বুঝতে কোনো সমস্যা হবে না। যা একজন লেখকের সার্থকতা, আর হুমায়ুন আহমেদ তার লেখনীর জাদু দেখিয়েছিলেন বইটির দ্বারা।
Was this review helpful to you?
or
বইটি ভালই ছিল। কল্প বিজ্ঞান সম্পৃক্ত একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
রকমারি রিভিউঃ বইঃ তোমাদের জন্য ভালোবাসা । লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ । প্রকাশনীঃ অন্বেষা প্রকাশন । মূল্যঃ ১৩৫ টাকা । পৃষ্ঠাঃ ৭০ । একটা নির্দিষ্ট বলয় ঘিরে সব গ্রহ চতুর্মাত্রিক হয়ে যাচ্ছে । এই বলয়ের মাঝে আছে পৃথিবীও । এবার তাহলে কি পৃথিবীর শেষ? কিন্তু জানা গেল এক আশ্চর্য তথ্য । প্রায় ৫০০০ বছরের পুরোনো এক বইয়ের লেখার সাথে মিলে যাচ্ছে সব ঘটনা । জানা গেল কারা এবং কেন এমন করছে । সেখান থেকে এক মানুষকে পাঠানো হবে পৃথিবীর মহাবিজ্ঞানী ফিহাকে হত্যা করার জন্য । কারণ একমাত্র ফিহায় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে পারে । সেই মানুষ কি রাজি হবে? আর ফিহা কি পৃথিবীকে বাঁচাতে পারবে? আর কারা এমন করছে? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে ।
Was this review helpful to you?
or
হঠা করেই উধাও হয়ে গেল টাইফা গ্রহ। সেই সাথে উধাও হয়ে যাচ্ছে আরও অনেক গ্রহ। কোন বিস্ফরণ ছাড়া এমনি এমনি গায়েব হয়ে যাচ্ছে গ্রহগুলো। জানা গেল যে আগামী একবছরের মধ্যে পৃথিবীও ঠিক এইভাবে গায়েব হতে চলেছে। রক্ষা করার ভার প্রতিবারের মতই বিজ্ঞানীদের উপর এসেছে। কিন্তু কোনভাবেই তারা এর সমাধান করতে পারছে না। হঠাত করেই একটি মেয়ে এসে জানায় তার কাছে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো একটি বই আছে যা বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারবে। যে বিজ্ঞানী এর সমাধান করবে তার প্রাণ ঝুকির মধ্যে আছে। তারা কি বাঁচাতে পারবে পৃথিবী নামক গ্রহটিকে??? অনেক দিন পর হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়লাম। তিনি যে এত্ত সুন্দর সায়েন্স ফিকশন লিখতে পারেন তা জানা ছিল না। পৃথিবী যখনই বড় বড় বিপদে পড়েছে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকে, পৃথিবীর মানুষকে রক্ষা করেছে। তাই তাদের যতই সম্মান দেওয়া হয়না কে তা কম ❤❤❤
Was this review helpful to you?
or
ভলো লেগেছে।যদি মৌলিক হয়ে থাকে,তাহলে স্বীকার করতেই হবে হুমায়ূন অাহমেদ বাংলা সাহিত্যের সায়েন্সফিকশনে অনন্য এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষার প্রথম সায়েন্স ফিকশন হিসেবে এই বইটা অসাধারন।শেষে বিজ্ঞানী ফিহার আত্মত্যাগ ই ছিল বইয়ের মূল বিষয়।
Was this review helpful to you?
or
ভালবাসার এক অসাধারণ বই। না পড়লে বুঝা যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
I don't think that hymayan ahmed after reading the missir ali seried which i think was overratec book but this is surely an exception which is just not focused on only science fiction but also the book connect with you lifestyle.But ,if you are a sciene fiction lover you will surely find the amazing moments that are missing which is a must in this sort of book.Overall, a good book...
Was this review helpful to you?
or
সার্থক কল্পবিজ্ঞান হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যা দরকার, সেরকম সম্পূর্ণ নতুন এবং উদ্ভাবনী কোন ধারণা বা কল্পনা এই বইতে একদমই নেই। বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত কাল্পনিক যেসব ধারণা এসেছে, সেসব সেই সময়ের বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞানে ইতিমধ্যেই প্রচলিত ছিল। তাছাড়া লেখার মধ্যে পরিণতিবোধের অভাব খুব স্পষ্ট। কাহিনীর বিস্তারটা অবশ্য চমৎকার। হুমায়ূন আহমেদ ভালো গল্প বলতে পারেন, তার প্রমাণ এই বইতেও তিনি রেখেছেন। এই বইটির মাধ্যমে তিনি এবং অন্যদিকে প্রায় কাছাকাছি সময়ে ‘কপোট্রনিক সুখদুঃখ’ এর মাধ্যমে তার ভাই জাফর ইকবাল বাংলায় কল্পবিজ্ঞান লেখার একটা দারুণ সূচনা করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের কল্পবিজ্ঞান লেখার চর্চা এই দুইজনের মধ্যেই মূলত সীমাবদ্ধ থেকে গেছে এবং সম্ভবত এখনও আমাদের সাহিত্যে একটা সার্থক কল্পবিজ্ঞানের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
Was this review helpful to you?
or
Very bad book. Have read this. Science fiction is a little okay but print is bad on book cover. Not like the picturr. Some pages got pink color on them and the person who delivered it was rude. very bad . Its the first i am rating something so bad on Rokomari.
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন বই : তোমাদের জন্য ভালোবাসা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: অন্বেষা প্রকাশন ধরন: সায়েন্স ফিকশন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭০ "বিজ্ঞান সবসময়ই কিছু পরিমাণে নিষ্ঠুর"। বিজ্ঞানী মাথুর কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লেখা বই পড়ছেন সেখানেই পেলেন এই উক্তি। এমন এক মুহূর্তে বইটি পড়ছেন যখন পৃথিবী এক মহা সংকটের মুখোমুখি । সৌরজগতের গ্রহ গুলো সব উধাও হয়ে যাওয়া শুরু করল । কোনো বিস্ফোরণ , বিচ্ছুরণ কিছুই না । হুট করেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে । সিডিসি জানালো এক বছর পরে পৃথিবীও এভাবে মিলিয়ে যাবে । কেন হচ্ছে এমন ? তিনি খুঁজছেন পৃথিবীকে রক্ষা করার উপায়। লী নামের একটি মেয়ে তাকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বের এই বই দিয়ে গেছে । মেয়েটি দাবি করছে বইটিতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে । মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি সেই বইতে লিখেছেন তার অতি অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতার কথা । লেখকের সেই অভিজ্ঞতার কথা , যখন কোনো এক নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায় ত্রিমাত্রিক এই পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন চতুর্মাত্রিক জগতে । তাও আবার অনিচ্ছা , বিস্ময় , ভয় নিয়ে , স্বপ্নের ঘোরে , হঠাৎ করে । সেইসকল মানুষরুপী চতুর্মাত্রিক প্রাণীদের মাঝে , যারা সময় নিয়ন্ত্রণ করতে জানে । যারা বিজ্ঞানের সকল বিষয় উদঘাটন করেছে । যাদের কাছে বস্তু , সময় ,কাল বলে কিছুই নেই । তারা জানতো পাঁচ হাজার বছর পর এক ব্যক্তির আগমন ঘটবে পৃথিবীতে যে আবিষ্কার করে ফেলবে চতুর্মাত্রিক জগতের সমীকরণ রহস্য । খামখেয়ালি সেই ব্যক্তিটির নাম ‘ফিহা’ । তা কি করে হয় ? সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী তো টাইফা গ্রহের মানুষেরা । সবুজাভ টাইফা গ্রহের মানুষেরা তাই পৃথিবীকে চতুর্মাত্রিক করার জন্য তৈরি করে এক মহা সংকট । এই মহা সংকট যেন কেউ থামাতে না পারে তাই তারা সেই অজ্ঞাত লেখক কে দিয়েছে এক কঠিন কাজ , কাজটি লেখকের স্বজাতির বিরুদ্ধে । যদি সে কাজটি না করে তাহলে সে কখনোই তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে না । কি ছিলো সেই কাজ ? লেখক কি তার স্বজাতির বিরুদ্ধে যাবে ? নাকি পরিবারের আবেগে পৃথিবী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে ? পৃথিবী কি টিকে থাকবে ? পাঠ প্রতিক্রিয়া: ব্যক্তিগত মতামত থেকেই বলছি । আমি আরো কিছু তথ্য আশা করি বইটা থেকে । কারন পড়ার পর আমার মনে কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছে যেগুলোর উত্তর বইয়ে দেয়া নাই । বিজ্ঞানের নানা বিষয় লেখক একটি বইতে ছোটখাট আকারে প্রকাশ করছেন । চতুর্মাত্রিক জীবের তৈরি মানুষ , মিউটেশন , মহাকাশ , আবেগ সবকিছু আপনি এই এক বইয়েই পাবেন । হুমায়ূন আহমেদ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন টাইম ট্রাভেলের প্যারাডক্স , চতুর্মাত্রিক জগৎ নিয়ে কিছু কথা । বর্তমানে এই বিষয়গুলো মোটামুটি সবাই জানে , ১৯৭২ সালের দিক থেকে বিবেচনা করলে , তখন কজনই বা প্যারাডক্স সম্পর্কে জানত ? উনি গ্রান্ডফাদার (তবে বইয়ে ফাদার প্যারাডক্স আছে) প্যারাডক্স টি বইয়ে লিখে বলেছেন যে মানুষ টাইম ট্রাভেল করতে পারবে না । কারন , আপনি যদি টাইম মেশিনে করে আপনার বাবার ছোটবেলার সময়ে যান আর তাকে খুন করেন তাহলে আপনার বাবার ভবিষ্যতে বেঁচে থাকার কথা না । সেই হিসাবে আপনারও বেঁচে থাকার কথা না । কিন্তু আপনি বেঁচে আছেন । যদি টাইম ট্রাভেল সম্ভব হত তাহলে কিন্তু আপনি আপনার বাবাকে খুন করে বেঁচে থাকতেন না । অথচ টাইফা গ্রহের মানুষ টাইম ট্রাভেল করতে পারে । কেন পারে , কিভাবে পারে ? সেই ব্যাখ্যা নাই । এমনকি তাদের কাছে সময় , বস্তু বলেও কিছুই নাই । যেহেতু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তাই কোনো একটা ব্যাখ্যা দিয়ে দিতে পারতেন । বাংলাদেশের প্রথম দিকের সাইন্স ফিকশন হিসেবে মোটেও খারাপ না । বরং নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিলো এর মাধ্যমে । প্রথমে সাইন্স ফিকশনটি ধারাবাহিক ভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো । বরং নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিলো এর মাধ্যমে । ওনার অন্যান্য লেখার মত এটাও সাবলীল । তবে উনি মিসির আলি বা অন্য লেখার সময় যে আবেগ প্রকাশ করতেন বা উপস্থাপন করতেন এখানে সেভাবে পাই নি । লেখকের শুরুর দিকের লেখা বলেই হয়ত এমন । চরিত্রের কথা বলতে গেলে ওনার উপন্যাসে মূল চরিত্র যেমনটা হয় ঠিক তেমনি । খামখেয়ালি , প্রকৃতি প্রেমী , অন্যদের ভিন্ন । এখানেও ফিহার ক্ষেত্রে সেরকম একটা বৈশিষ্ট খুঁজে পাবেন । রিভিউ লিখতে গিয়ে আবিস্কার করেছি , কয়েক ভাবে এর রিভিউ লেখা যায় । কারন , ছোট হলেও অত্যন্ত ঘটনাবহুল একটা ফিকশন লিখেছেন । তাই বইটি সুখপাঠ্য । টাইফা গ্রহের মানুষরা যেহেতু ভবিষ্যৎ দেখতে পারে এবং অবস্থান করতে পারে । তার মানে তারা সেই ভবিষ্যৎ কে দেখে কোনো ফলাফলও পরিবর্তন করতে পারবে । বইয়ের ভেতরে যে লেখকটি ছিলো তাকে বলা হয়েছিলো পৃথিবীতে গিয়ে ফিহাকে খুন করতে । কারন টাইফা গ্রহের মানুষ পৃথিবীতে যেতে পারে না । ফিহাকে খুন করা হলেও সে এর পূর্বেই সমীকরণ আবিষ্কার করে পৃথিবীকে রক্ষা করে । টাইফা গ্রহের মানুষরা কি জানতো না যে তারা ব্যর্থ হবে ? জানার পরও কেন তারা খুন করার চেষ্টা করলো ? ফিহা যে সমীকরণ আবিষ্কার করবে তারা জানে বলেই তো তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে । এর থেকে আমি ধারণা করছি , হুমায়ূন আহমেদ ভবিষ্যতকে অপরিবর্তনীয় বলে ধরে নিয়েছেন । সব মিলিয়ে চমৎকার একটি বই । আশা করি পড়তে গিয়ে নিরাশ হবেন না । এক ঘন্টার মধ্যেই বইটি শেষ করা সম্ভব । যদি শব্দ নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরেন সেক্ষেত্রে বইয়ের শেষে নির্ঘন্ট রয়েছে । ওখানে অনেক কিওয়ার্ড বর্ননা করা আছে । সব শেষে বলব বই পড়ুন বই নিয়ে বাঁচুন ।
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ: বই: তোমাদের জন্য ভালোবাসা লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অন্বেষা প্রকাশন ক্যাটাগরি : বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পৃষ্ঠ: ৭০ মূল্য: ১১৯ টাকা রিভিউ: বিজ্ঞানবর্তিকা ভারত-পাকিস্তানের সম্ভাব্য নিউক্লিয়ার যুদ্ধ ও সম্ভাব্য পরিণতি রিভিউ বই রিভিউ : তোমাদের জন্য ভালোবাসা – হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম সাইন্স ফিকশন বইয়ের রিভিউ Photo of fahimscirex fahimscirex April 27, 20180 168 3 মিনিট লাগবে পড়তে তোমাদের জন্য ভালোবাসা বই : তোমাদের জন্য ভালোবাসা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশকাল : ১৯৭২ প্রকাশন : অন্বেষা (২০০৯) পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭০ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মূল্য : ১৩৫৳ (রকমারি) আমার রেটিং : ৩.৫ / ৫ কাহিনী সংক্ষেপ বিজ্ঞান সবসময়ই কিছু পরিমাণে নিষ্ঠুর -তোমাদের জন্য ভালোবাসা বিজ্ঞানী মাথুর কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লেখা বই পড়ছেন সেখানেই পেলেন এই উক্তি। এমন এক মুহূর্তে বইটি পড়ছেন যখন পৃথিবী এক মহা সংকটের মুখোমুখি । সৌরজগতের গ্রহ গুলো সব উধাও হয়ে যাওয়া শুরু করল । কোনো বিস্ফোরণ , বিচ্ছুরণ কিছুই না । হুট করেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে । সিডিসি জানালো এক বছর পরে পৃথিবীও এভাবে মিলিয়ে যাবে । কেন হচ্ছে এমন ? তিনি খুঁজছেন পৃথিবীকে রক্ষা করার উপায়। লী নামের একটি মেয়ে তাকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বের এই বই দিয়ে গেছে । মেয়েটি দাবি করছে বইটিতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে । মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি সেই বইতে লিখেছেন তার অতি অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতার কথা । লেখকের সেই অভিজ্ঞতার কথা , যখন কোনো এক নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায় ত্রিমাত্রিক এই পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন চতুর্মাত্রিক জগতে । তাও আবার অনিচ্ছা , বিস্ময় , ভয় নিয়ে , স্বপ্নের ঘোরে , হঠাৎ করে । সেইসকল মানুষরুপী চতুর্মাত্রিক প্রাণীদের মাঝে , যারা সময় নিয়ন্ত্রণ করতে জানে । যারা বিজ্ঞানের সকল বিষয় উদঘাটন করেছে । যাদের কাছে বস্তু , সময় ,কাল বলে কিছুই নেই । তারা জানতো পাঁচ হাজার বছর পর এক ব্যক্তির আগমন ঘটবে পৃথিবীতে যে আবিষ্কার করে ফেলবে চতুর্মাত্রিক জগতের সমীকরণ রহস্য । খামখেয়ালি সেই ব্যক্তিটির নাম ‘ফিহা’ । তা কি করে হয় ? সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী তো টাইফা গ্রহের মানুষেরা । সবুজাভ টাইফা গ্রহের মানুষেরা তাই পৃথিবীকে চতুর্মাত্রিক করার জন্য তৈরি করে এক মহা সংকট । এই মহা সংকট যেন কেউ থামাতে না পারে তাই তারা সেই অজ্ঞাত লেখক কে দিয়েছে এক কঠিন কাজ , কাজটি লেখকের স্বজাতির বিরুদ্ধে । যদি সে কাজটি না করে তাহলে সে কখনোই তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে না । কি ছিলো সেই কাজ ? লেখক কি তার স্বজাতির বিরুদ্ধে যাবে ? নাকি পরিবারের আবেগে পৃথিবী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে ? পৃথিবী কি টিকে থাকবে? পাঠ প্রতিক্রিয়া : বাংলাদেশে প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হিসেবে শুরুটা অসাধারন। টাইম ট্রাভেল নিয়ে যদিও সবসময় প্রশ্ন থেকে যায় তারপরেও চতুর্মাত্রিক জগত নিয়ে লেখক ভালোই গল্প বলেছেন। শেষটা অনেক ভালো হয়েছে। পড়ে আনন্দ পাবেন। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বই : তোমাদের জন্য ভালোবাসা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশকাল : ১৯৭২ প্রকাশন : অন্বেষা (২০০৯) পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭০ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মূল্য : ১৩৫৳ আমার রেটিং : ৩.৫ / ৫ কাহিনী সংক্ষেপ: " বিজ্ঞান সবসময়ই কিছু পরিমাণে নিষ্ঠুর " বিজ্ঞানী মাথুর কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লেখা বই পড়ছেন সেখানেই পেলেন এই উক্তি। এমন এক মুহূর্তে বইটি পড়ছেন যখন পৃথিবী এক মহা সংকটের মুখোমুখি । সৌরজগতের গ্রহ গুলো সব উধাও হয়ে যাওয়া শুরু করল । কোনো বিস্ফোরণ , বিচ্ছুরণ কিছুই না । হুট করেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে । সিডিসি জানালো এক বছর পরে পৃথিবীও এভাবে মিলিয়ে যাবে । কেন হচ্ছে এমন ? তিনি খুঁজছেন পৃথিবীকে রক্ষা করার উপায়। লী নামের একটি মেয়ে তাকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বের এই বই দিয়ে গেছে । মেয়েটি দাবি করছে বইটিতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে । মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি সেই বইতে লিখেছেন তার অতি অসাধারন কিছু অভিজ্ঞতার কথা । লেখকের সেই অভিজ্ঞতার কথা , যখন কোনো এক নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায় ত্রিমাত্রিক এই পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন চতুর্মাত্রিক জগতে । তাও আবার অনিচ্ছা , বিস্ময় , ভয় নিয়ে , স্বপ্নের ঘোরে , হঠাৎ করে । সেইসকল মানুষরুপী চতুর্মাত্রিক প্রাণীদের মাঝে , যারা সময় নিয়ন্ত্রণ করতে জানে । যারা বিজ্ঞানের সকল বিষয় উদঘাটন করেছে । যাদের কাছে বস্তু , সময় ,কাল বলে কিছুই নেই । তারা জানতো পাঁচ হাজার বছর পর এক ব্যক্তির আগমন ঘটবে পৃথিবীতে যে আবিষ্কার করে ফেলবে চতুর্মাত্রিক জগতের সমীকরণ রহস্য । খামখেয়ালি সেই ব্যক্তিটির নাম 'ফিহা' । তা কি করে হয় ? সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী তো টাইফা গ্রহের মানুষেরা । সবুজাভ টাইফা গ্রহের মানুষেরা তাই পৃথিবীকে চতুর্মাত্রিক করার জন্য তৈরি করে এক মহা সংকট । এই মহা সংকট যেন কেউ থামাতে না পারে তাই তারা সেই অজ্ঞাত লেখক কে দিয়েছে এক কঠিন কাজ , কাজটি লেখকের স্বজাতির বিরুদ্ধে । যদি সে কাজটি না করে তাহলে সে কখনোই তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে না । কি ছিলো সেই কাজ ? লেখক কি তার স্বজাতির বিরুদ্ধে যাবে ? নাকি পরিবারের আবেগে পৃথিবী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে ? পৃথিবী কি টিকে থাকবে ? মতামত: ব্যক্তিগত মতামত থেকেই বলছি । আমি আরো কিছু তথ্য আশা করি বইটা থেকে । কারন পড়ার পর আমার মনে কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছে যেগুলোর উত্তর বইয়ে দেয়া নাই । বিজ্ঞানের নানা বিষয় লেখক একটি বইতে ছোটখাট আকারে প্রকাশ করছেন । চতুর্মাত্রিক জীবের তৈরি মানুষ , মিউটেশন , মহাকাশ , আবেগ সবকিছু আপনি এই এক বইয়েই পাবেন । হুমায়ূন আহমেদ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন টাইম ট্রাভেলের প্যারাডক্স , চতুর্মাত্রিক জগৎ নিয়ে কিছু কথা । বর্তমানে এই বিষয়গুলো মোটামুটি সবাই জানে , ১৯৭২ সালের দিক থেকে বিবেচনা করলে , তখন কজনই বা প্যারাডক্স সম্পর্কে জানত ? উনি গ্রান্ডফাদার (তবে বইয়ে ফাদার প্যারাডক্স আছে) প্যারাডক্স টি বইয়ে লিখে বলেছেন যে মানুষ টাইম ট্রাভেল করতে পারবে না । কারন , আপনি যদি টাইম মেশিনে করে আপনার বাবার ছোটবেলার সময়ে যান আর তাকে খুন করেন তাহলে আপনার বাবার ভবিষ্যতে বেঁচে থাকার কথা না । সেই হিসাবে আপনারও বেঁচে থাকার কথা না । কিন্তু আপনি বেঁচে আছেন । যদি টাইম ট্রাভেল সম্ভব হত তাহলে কিন্তু আপনি আপনার বাবাকে খুন করে বেঁচে থাকতেন না । অথচ টাইফা গ্রহের মানুষ টাইম ট্রাভেল করতে পারে । কেন পারে , কিভাবে পারে ? সেই ব্যাখ্যা নাই । এমনকি তাদের কাছে সময় , বস্তু বলেও কিছুই নাই । যেহেতু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তাই কোনো একটা ব্যাখ্যা দিয়ে দিতে পারতেন । বাংলাদেশের প্রথম দিকের সাইন্স ফিকশন হিসেবে মোটেও খারাপ না । বরং নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিলো এর মাধ্যমে । প্রথমে সাইন্স ফিকশনটি ধারাবাহিক ভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো । ওনার অন্যান্য লেখার মত এটাও সাবলীল । তবে উনি মিসির আলি বা অন্য লেখার সময় যেমনভাবে আবেগ প্রকাশ করতেন বা উপস্থাপন করতেন এখানে সেভাবে পাই নি । লেখকের শুরুর দিকের লেখা বলেই হয়ত এমন । চরিত্রের কথা বলতে গেলে ওনার উপন্যাসে মূল চরিত্র যেমনটা হয় ঠিক তেমনি । খামখেয়ালি , প্রকৃতি প্রেমী , অন্যদের ভিন্ন । এখানেও ফিহার ক্ষেত্রে সেরকম একটা বৈশিষ্ট খুঁজে পাবেন । রিভিউ লিখতে গিয়ে আবিস্কার করেছি , কয়েক ভাবে এর রিভিউ লেখা যায় । কারন , ছোট হলেও অত্যন্ত ঘটনাবহুল একটা ফিকশন লিখেছেন । তাই বইটি সুখপাঠ্য । !!!SPOILER ALERT!!! টাইফা গ্রহের মানুষরা যেহেতু ভবিষ্যৎ দেখতে পারে এবং অবস্থান করতে পারে । তার মানে তারা সেই ভবিষ্যৎ কে দেখে কোনো ফলাফলও পরিবর্তন করতে পারবে । বইয়ের ভেতরে যে লেখকটি ছিলো তাকে বলা হয়েছিলো পৃথিবীতে গিয়ে ফিহাকে খুন করতে । কারন টাইফা গ্রহের মানুষ পৃথিবীতে যেতে পারে না । ফিহাকে খুন করা হলেও সে এর পূর্বেই সমীকরণ আবিষ্কার করে পৃথিবীকে রক্ষা করে । টাইফা গ্রহের মানুষরা কি জানতো না যে তারা ব্যর্থ হবে ? জানার পরও কেন তারা খুন করার চেষ্টা করলো ? ফিহা যে সমীকরণ আবিষ্কার করবে তারা জানে বলেই তো তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে । এর থেকে আমি ধারণা করছি , হুমায়ূন আহমেদ ভবিষ্যতকে অপরিবর্তনীয় বলে ধরে নিয়েছেন । !!!END OF SPOILER!!! সব মিলিয়ে চমৎকার একটি বই । আশা করি পড়তে গিয়ে নিরাশ হবেন না । এক ঘন্টার মধ্যেই বইটি শেষ করা সম্ভব । যদি শব্দ নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরেন সেক্ষেত্রে বইয়ের শেষে নির্ঘন্ট রয়েছে । ওখানে অনেক কিওয়ার্ড বর্ননা করা আছে । সব শেষে বলব বই পড়ুন বই নিয়ে বাঁচুন । - Fahim Montasir Misbah
Was this review helpful to you?
or
It is a good book. Science fiction with four-dimensional space thinking.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ স্যার যে কি অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন লিখতেন সেটা এই বইটা না পড়লে বোঝা যাবে না। উনি উনার ভাইয়ের জন্য এই ফিল্ড টায় আর বেশি লিখালিখি করেননি। করলে আমরা নিশ্চয়ই আরও ভালো কিছু পেতাম।