User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
Amar ammu bole humayun ahmed naki ekjon pagol... tobe tar moto bicchedpurno uponnash khub kom manusher e vlo lage
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক দিন ধরে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। অর্ডার করার মাএ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পেয়েছি। ☺️
Was this review helpful to you?
or
Average
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় দারুণ❤️
Was this review helpful to you?
or
typing e bhul cilo...
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ মানেই অসাধারণ! তার অন্যতম অসাধারণ একটি কীর্তি এই বইটি ✨?
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Loved it
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
বইটির কাহিনি এগিয়েছে একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে। এলকার সবাই উকিলবাড়ি নামে চিনে সে বাড়ির খুব আদরের মেয়ে জরীর বিয়ে হচ্ছে আর সেজন্য বাড়িতে সকল আত্মীয়স্বজনদের আগমন ঘটে। এবং বাঙালি বিয়েতে যা হয় তা সবই জরীর বিয়েতে ঘটতে দেখা যায় হৈ হুল্লোড়,গান বাজনা,কাদা ছোঁড়াছুড়ি,কান্নাকাটি আরো বিভিন্ন ঘটনা। আর এই বাড়িরই ছেলে আনিস যে যুদ্ধে মেরুদণ্ডে গুলি খেয়ে পেরাপ্লাজিয়া হয়ে কোমরের নিচ থেকে অবশ হওয়ায় সারাদিন একটি ঘরেই পড়ে থাকে। বিয়ের দিনও সে ঘরে শুয়ে আছে আবার তার মনও ভীষণ খারাপ কেন তা বুঝা যাচ্ছে না।সে আবার জরীকে ভালোবাসে জরীও তাকে ভালোবাসে। বিয়েটা কি আনিস আর জরীর হচ্ছে? আর নির্বাসনে গেলো কে জানতে বইটা পারতে পারেন... বইটি পড়তে ভালো লেগেছে। সুখপাঠ্য বলা যায়। হুমায়ূন আহমেদ এর কিছু বই পড়ার সময় মনে হয় বইটা কেন পড়ছি এখনওতো তেমন কিছু পেলাম না কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়ার পর মনে হয় এখন কিছু পেলাম। এই বইটার ক্ষেত্রে তা মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Good!
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় মানুষ টা কে উপহার দেওয়ার মত কি এই বইটা? যদি না হয় তবে যারা বইপ্রেমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি হুমায়ুন আহমেদের কিছু বই সাজেস্ট করুন যেইটা তাকে উপহার হিসেবে দিতে পারব?
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো ?
Was this review helpful to you?
or
Onek sundhor?
Was this review helpful to you?
or
যে জীবন দেয়ালের,ফড়িং এর, মানুষের সাথে তার কোনোকালেই দেখা হয়না!!! নির্বাসন -হুমায়ূন আহমেদ বিরক্তিকর যাত্রা থেকে শুরু হয়ে বাস্তবতার বেড়াজালে বন্দী হয়ে একটা সুন্দর বাস্তব ঘটনার সাক্ষী হয়ে গেলাম| বিচ্ছেদের গল্প গুলো বরাবর ই অনেক করুণ!! এইত কিছুদিন আগেই এক বান্ধবী তার প্রথম সামীকে তালাক না দিয়ে নতুন একজন কে বিয়ে করলো, নিজেকে আমি এখন ও সে কারণে দোষারোপ করি !! যাইহোক ছিমছাম একটা ঘটনা আহামরি কিছুনা কিন্তু বাস্তব চরিত্র আপনাকে ক্ষণিকের জন্য বিচলিত করবেই!!! রেটিং: 7/10
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
vaLO ace.. kharaf na
Was this review helpful to you?
or
অন্য রকম গল্প, ভালই লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
- "আপনি কি সুখী?" - "সামটাইমস্! একটা মানুষ সারাক্ষণ সুখী হতে পারে না। মাঝে মাঝে সুখী হয়। এখন আমি সুখী।"
Was this review helpful to you?
or
thats good
Was this review helpful to you?
or
ranu biswas
Was this review helpful to you?
or
এত ভালো একটা বই,কিন্তু price অনুযায়ী খুবই দুর্বল প্রিন্ট দেওয়া ঠিক হয়নি...একটু হতাস হলাম,,
Was this review helpful to you?
or
জরীর বিয়ে থেকে ঘটনা এর সূত্রপাত। বিয়েতে ঝগড়া, আনন্দ, কষ্ট সবকিছুরই একটি বাস্তব রুপ এই গল্পে আছে। তারচেয়েও যে গল্পটি থাকার কথা থাকলেও নেই সেটি হল জরী আর আনিসের মধ্যে যে ভালবাসা। এই অধ্যায়টি যেন অসমাপ্তই থেকে গেল। এই গল্পটি অনেক ছোট হলেও বরাবরের মতই অনেক সুন্দর। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন বলে কথা...
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
right
Was this review helpful to you?
or
khub valo lagar ekta uponnash ..
Was this review helpful to you?
or
এবছর আমার জন্মদিনের প্রথম উপহারই ছিলো বই, যার মধ্যে ৩টিই হুমায়ূন আহমেদের এবং "নির্বাসন" সেগুলোর একটি। বইয়ের শুরু হয় ভোরের সাথেই, এবং এই শীতে তা সকাল সকাল পড়ার নেশাটাও ছিলো একেবারে অন্যরকম! উপন্যাসের শুরুটা জরীর বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে হলেও, পরিচিত হই আনিসেরও সাথে এবং তাদের দু'জনের জীবনে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের এক বেদনাদায়ক প্রভাব লেখক ফুটিয়ে তোলেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখার সুনাম করতে নতুন কী লিখবো, জানিনা। তবে বই প্রেমীদের এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে অবশ্যই রেকমেন্ড করবো!
Was this review helpful to you?
or
“রোদনভরা এ বসন্ত” বইয়ের নাম শুনে ট্রাজেডি ট্রাজেডি বোধ হলেও বইটি বেশ রোমান্টিক এবং মজার। হুমায়ূন আহমেদের বইতে Happy ending হয় না বললেই চলে, কিন্তু এ বইতে লেখক বেশ উদারভাবে Happy ending করেছ। ?
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইগুলো সবসময় অসাধারণ।নির্বাসন বইটি হুমায়ুন আহমেদের আরেক্টি অসাধারণ বই,তাই দেরি না করে বইটি কিনুন রকমারি থেকে।রকমারির আরেক নাম বইয়ের ভান্ডার।
Was this review helpful to you?
or
ব ইটা ভালো লাগলো। স্বভাবতই আমি ব ই পাগল না। তা ও।???
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের 'নির্বাসন' উপন্যাসটি পড়েছিলাম লেখকের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'হুমায়ুন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনাবলী' শ্রেণির গ্রন্থেও এই উপন্যাসটি স্থান পেয়েছে। তাই স্বভাবতই পাঠক উপন্যাসটি পড়ার আগে আশা করতে পারেন যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে একটি বড় ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে। কিন্তু বস্তুত তা সঠিক নয়। এই উপন্যাসে সরাসরি যেমন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন উপাদান নেই তেমনি কাহিনীর প্রেক্ষাপটও মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক নয়। তারপরও এই উপন্যাসের কাহিনীর একটি বড় অনুঘটক হিসেবেই কাজ করেছে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটি, যদিও সকলের সামনে তা দৃশ্যমান নাও হতে পারে। শুধু একটা দিনের গল্প বর্ণিত হয়েছে 'নির্বাসন' উপন্যাসে। জরীর বিয়ের দিন। এই বিশেষ দিনটির একদম প্রথম প্রহর থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই উপন্যাসের সময়কাল। তবে বিয়ের দিনের বিভিন্ন ঘটনা যেমন ঘটতে থাকবে, তেমনি লেখক সরাসরি পাঠককে ফ্ল্যাশব্যাকেও নিয়ে যাবেন। এবং আড়াল থেকে সেই ফ্ল্যাশব্যাকই মূলত কাহিনীর বর্তমানকে অদৃশ্য সুতা দিয়ে নিয়ন্ত্রন করবে। জরীর বিয়ে হচ্ছে খুব ভাল এক পাত্রের সাথে। কিন্তু সে জরীর ভালোবাসার মানুষ নয়। তার ভালোবাসা রয়েছে শুধু একজনের জন্যই, তার এক চাচাত ভাই আনিসের জন্য। তাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা পরিবারের অন্যদেরও অজানা নয়। এবং একসময় তারা এই সম্পর্ককে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই আসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে প্রচন্ডভাবে ইঞ্জ্যুরড হয় আনিস। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। বাঁচার আশা নেই বললেই চলে। তাই জরীর সাথে তার সম্পর্ক কোন পরিণতি পায় না বরং জরীর বিয়ে হয়ে যেতে থাকে অন্য একজনের সাথে। কিন্তু জরীর যখন বিয়ে হতে থাকবে, তখন আনিস কি করবে? সে কি এই তীব্র মানসিক ও দৈহিক ব্যথা সহ্য করতে পারবে? ছোটগল্পের আদলে শেষ হওয়া উপন্যাস তার জবাব দিতে পারবে কিনা জানি না। ফলাফলটা পাঠককেই খুঁজে নিতে হবে। এই উপন্যাসে শুধু যে জরী আর আনিসের সম্পর্কটাই উক্ত হয়েছে তা না। বরং আনিস আর জরীর সম্পর্কের চেয়েও বেশি গুরুত্বের সাথে উপস্থাপিত হয়েছে জরীর সাথে তাদের বান্ধবীদের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর সম্পর্ক, জরীর সাথে বড়চাচার সম্পর্ক, আনিসের সাথে বড়চাচার সম্পর্ক আর জরীর বড় বোন পরীর সাথে তার স্বামী হোসেন সাহেবের সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কগুলোর সুক্ষ্মতা ও খুঁটিনাটি। এগুলোর সন্নিবেশনে উপন্যাসটি যেমন একটি জীবনঘনিষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস পূর্নাঙ্গতা লাভ করেছে তেমনি জরী আর আনিসের সম্পর্কটাও নিজে থেকেই বড় পরিসরে প্রতিভাত হয়েছে। পরিশেষে একটা কথাই বলব, 'নির্বাসন' যে খুবই অসাধারণ একটা উপন্যাস তা বলা অসম্ভব। হুমায়ুন আহমেদের আরও অনেক উপন্যাসের বিষয়বস্তুর সাথেই এই উপন্যাসের কাহিনীর বেশ ভালো রকমের সাদৃশ্য থাকতে পারে। তারপরও এই উপন্যাসের সফলতা এই যে লেখক অন্তরাল থেকে মুক্তিযুদ্ধকে প্রধান অস্ত্র করে এই উপন্যাসের গতিপথকে যেমন পরিচালিত করতে পেরেছেন তেমনি আরও একবার মানবীয় আবেগসমূহকে নিখুঁতভাবে ব্যক্ত করতে পেরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের 'নির্বাসন' উপন্যাসটি পড়েছিলাম লেখকের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত 'হুমায়ুন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনাবলী' শ্রেণির গ্রন্থেও এই উপন্যাসটি স্থান পেয়েছে। তাই স্বভাবতই পাঠক উপন্যাসটি পড়ার আগে আশা করতে পারেন যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে একটি বড় ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে। কিন্তু বস্তুত তা সঠিক নয়। এই উপন্যাসে সরাসরি যেমন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোন উপাদান নেই তেমনি কাহিনীর প্রেক্ষাপটও মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক নয়। তারপরও এই উপন্যাসের কাহিনীর একটি বড় অনুঘটক হিসেবেই কাজ করেছে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটি, যদিও সকলের সামনে তা দৃশ্যমান নাও হতে পারে। শুধু একটা দিনের গল্প বর্ণিত হয়েছে 'নির্বাসন' উপন্যাসে। জরীর বিয়ের দিন। এই বিশেষ দিনটির একদম প্রথম প্রহর থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই উপন্যাসের সময়কাল। তবে বিয়ের দিনের বিভিন্ন ঘটনা যেমন ঘটতে থাকবে, তেমনি লেখক সরাসরি পাঠককে ফ্ল্যাশব্যাকেও নিয়ে যাবেন। এবং আড়াল থেকে সেই ফ্ল্যাশব্যাকই মূলত কাহিনীর বর্তমানকে অদৃশ্য সুতা দিয়ে নিয়ন্ত্রন করবে। জরীর বিয়ে হচ্ছে খুব ভাল এক পাত্রের সাথে। কিন্তু সে জরীর ভালোবাসার মানুষ নয়। তার ভালোবাসা রয়েছে শুধু একজনের জন্যই, তার এক চাচাত ভাই আনিসের জন্য। তাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা পরিবারের অন্যদেরও অজানা নয়। এবং একসময় তারা এই সম্পর্ককে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই আসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে প্রচন্ডভাবে ইঞ্জ্যুরড হয় আনিস। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। বাঁচার আশা নেই বললেই চলে। তাই জরীর সাথে তার সম্পর্ক কোন পরিণতি পায় না বরং জরীর বিয়ে হয়ে যেতে থাকে অন্য একজনের সাথে। কিন্তু জরীর যখন বিয়ে হতে থাকবে, তখন আনিস কি করবে? সে কি এই তীব্র মানসিক ও দৈহিক ব্যথা সহ্য করতে পারবে? ছোটগল্পের আদলে শেষ হওয়া উপন্যাস তার জবাব দিতে পারবে কিনা জানি না। ফলাফলটা পাঠককেই খুঁজে নিতে হবে। এই উপন্যাসে শুধু যে জরী আর আনিসের সম্পর্কটাই উক্ত হয়েছে তা না। বরং আনিস আর জরীর সম্পর্কের চেয়েও বেশি গুরুত্বের সাথে উপস্থাপিত হয়েছে জরীর সাথে তাদের বান্ধবীদের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের সম্পর্ক, আনিসের সাথে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর সম্পর্ক, জরীর সাথে বড়চাচার সম্পর্ক, আনিসের সাথে বড়চাচার সম্পর্ক আর জরীর বড় বোন পরীর সাথে তার স্বামী হোসেন সাহেবের সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কগুলোর সুক্ষ্মতা ও খুঁটিনাটি। এগুলোর সন্নিবেশনে উপন্যাসটি যেমন একটি জীবনঘনিষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস পূর্নাঙ্গতা লাভ করেছে তেমনি জরী আর আনিসের সম্পর্কটাও নিজে থেকেই বড় পরিসরে প্রতিভাত হয়েছে। পরিশেষে একটা কথাই বলব, 'নির্বাসন' যে খুবই অসাধারণ একটা উপন্যাস তা বলা অসম্ভব। হুমায়ুন আহমেদের আরও অনেক উপন্যাসের বিষয়বস্তুর সাথেই এই উপন্যাসের কাহিনীর বেশ ভালো রকমের সাদৃশ্য থাকতে পারে। তারপরও এই উপন্যাসের সফলতা এই যে লেখক অন্তরাল থেকে মুক্তিযুদ্ধকে প্রধান অস্ত্র করে এই উপন্যাসের গতিপথকে যেমন পরিচালিত করতে পেরেছেন তেমনি আরও একবার মানবীয় আবেগসমূহকে নিখুঁতভাবে ব্যক্ত করতে পেরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
I'm a big fan of humayun ahmed's novels specially "Himu shomogro 1 and 2" but this book" নির্বাসন" make me cry I just fall in love this book. thank you rokomari for the great service. I love books that's why I love rokomari ❤
Was this review helpful to you?
or
satisfied ?
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ মানে আমার কাছে মনে হয় ঘুম হারিয়ে দেয়া লেখক
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বইটি রকমারি থেকে কিনে পড়লাম ভালো লাগলো।এখন ভালো লাগা না লাগা একজনের বাক্তিগত বাপার।তবে কিনার পর যখন পড়লাম তখন আমি খারাপ কোন কিছু খুঁজে পাইনাই।আশাকরি আপনারা কিনেন এবং আমি হলপ করে বলতে পারি কিনার পরে আপনারা ঠকবেন না।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই:নির্বাসন। ধরণ:সমকালীন উপন্যাস। লেখক:হুমায়ূন অাহমেদ। প্রকাশনী:অন্বেষা। মুদ্রিত মূল্য:১৩৫টাকা মাত্র। কাহিনী সংক্ষেপ : সূর্যের হাসিমুখ অাস্তে অাস্তে বিস্তৃত হচ্ছে শহরটাতে। দু একটি কাক অাবেশ মাখানো সুরে কা কা করে ডাকছে। শীতটা এবছর যেন একটু বেশ করে জাঁকিয়ে বসেছে শহরটাতে। তবুও তিনি শীত মহারাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘরের দরজা জানালা সব খুলে দিলেন। এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া প্রবেশ করল ঘরটিতে। শান্তপায়ে তিনি এগিয়ে গেলেন ইজিচেয়ারের কাছে। ইজিচেয়ারে বসে রেডিওগ্রামের সুইচ টিপলেন। রেডিওগ্রামে সানাইয়ের তিনটি লং প্লেইং রেকর্ড সাজানো ছিল অাগেই। সুইচ টিপতেই বেজে উঠল বিসমিল্লাহ খাঁর "মিঁয়া কি টোরী"।অাজ এতবছর পর তাঁর হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা সাফল্যের মুখ দেখল। কিন্তু, একি!!তার চোখে জল কেন!!! অাজ জরীর বিয়ে। যিনি রেডিওগ্রামের সুইচ টিপেছিলেন তিনি হলেন জরীর বড় চাচা।উনার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল জরীর বিয়ের দিনে ভোরবেলায় সানাইয়ের সুর শুনিয়ে সবার ঘুম ভাঙাবেন। সানাইয়ের করুণ সুরে জেগে ওঠছে ধীরে ধীরে একটি বিয়ে বাড়ি। চিরকালের ঘুমকাতুরে জরীকে অাজ এই ভোরেই বাড়িটির ছাদে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। তার চোখে জল। কখন যে বড় চাচার সাথে হাঁটতে হাঁটতে তার চোখে জল এসে গেছে তা সে বুঝতেও পারেনি। গত রাতে জরীর ভাল ঘুম হয়নি বলে চোখ লাল দেখাচ্ছে । জরীর বিয়ে উপলক্ষে দুর দুরান্ত থেকে জরীর বান্ধবীরা গতকাল নেমত্তন্ন রক্ষা করতে এসেছে। এতদিন পর পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে, অাড্ডাবাজি করতে করতে পাঁচ বান্ধবীই গত রাতে জেগে ছিল। বর্তমানে মেয়েটির দল কোলাহল করতে করতে প্রবেশ করছে বাড়ির সামনের একটি পুরোনো ফুল বাগানে। ফুলগুলি যেন অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথিদের অাগমনে একটু বিব্রত। জরীর মা দূর থেকে মেয়েগুলোকে লক্ষ্য করছেন। তার মুখে হাসির অাড়ালে যেন লুকিয়ে অাছে গভীর বিষাদ। কর্মব্যস্ততায় মুখর বিয়ে বাড়ির ছোট একটি ঘরে এখনো বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে অাছেন অানিস ।একসময় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের প্রতিভাবান লেফটেনেন্ট ছিলেন তিনি। যুদ্ধাহত অানিসের মেরুদণ্ডে গুলি লেগেছিল। প্লেরাপ্লেজিয়ায় একসময়কার টগবগে যুবক অানিসের কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে গেছে। তখন থেকে তাকে পরের ওপর নির্ভর করে বাঁচতে হয়। বাবাকে কবেই হারিয়েছে সে। মা অন্যত্র বিয়ে করার পর তার সাথে অার সম্পর্ক নেই অানিসের। জরীদের বাসায় তাই রয়ে গেছে বহুদিন ধরে। অানিসের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ও তৈরী হয়েছিল। জীবনে নেমে অাসা অাকস্মিক দূর্যোগে মেয়েটির সাথে সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। অাজ সেই মেয়েটিরও বিয়ে!! প্রতিক্রিয়া :হুমায়ূন অাহমেদ সেই সব বিরল লেখকদের একজন, যার অার্বিভাবে বাংলা সাহিত্যের বিস্তৃত অাঙ্গিনায় ঝরে পড়েছে মনোরম রত্ন -মাণিক্য। কাহিনী বর্ননা,চরিত্র সৃষ্টি, অাবেগময় পরিবেশ সৃষ্টিতে তিনি এক ও অনন্য। নির্বাসন উপন্যাসের কাহিনীর ব্যাপ্তিকাল অতি সামান্য । একটি বিয়ে বাড়ির সকাল থেকে রাত অবধি কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে এক একটি চরিত্রকে অাশ্রয় করে লেখক কাহিনী বর্ণনা করে গিয়েছেন অনায়াসে। বিয়ের বাড়ির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি তিনি এত জীবন্ত করে তুলে ধরেছেন যে পাঠক হিসেবে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। একজন অর্ন্তমুখী মানুষ হিসেবে ছোট খাটো বিষয়গুলি তিনি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে লেখক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তার অভিজ্ঞতাকে যেভাবে প্রকাশ করতেন তার জলন্ত দৃষ্টান্ত এই উপন্যাসটি। নারী জীবনের সুখ-দুঃখের ছবি যেমন এই উপন্যাসের জমিনে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তেমনি বিচ্ছেদের কাঁটায় রক্তাক্ত হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস অার সানাইয়ের করুণ সুরে নেমে অাসে পাঠকের চোখে জল। অভিমানী লেখক সত্তার হয়ত এটাই সার্থকতা।
Was this review helpful to you?
or
বইটি ছোট হলেও প্রচুর আবেগ। আর হূমায়ান আহমেদ স্যারের বই যতই বলবো ততই কম। বেশি দেরি না করে কিনে ফেলন আর নিজের মনের পড়িদি বৃদ্ধি করুন।
Was this review helpful to you?
or
"নির্বাসন" অসাধারণ একটি বই পুরোপুরি বাস্তবতার সাথে মিল রেখে লিখা। একটা মেয়ে নিজের কাছে নিজের জীবন এর কাছে কতটা অসহায় বইটি পরলে বুঝতে সহজ হয়। আনিস নামের কাল্পনিক একটি চরিত্রের জন্য খুব বেশি কষ্ট লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
'নির্বাসন'কে শতভাগ রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা যায় কীনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। উপন্যাসের মূলচরিত্র হলো যুবতী জরী। আজ তার বিবাহ। পাত্র একেবারেই অপরিচিত। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। জরীর সাথে তো আনিসের সম্পর্ক ছিল। মুক্তিযুদ্ধে আনিস আহত হলো। পঙ্গু আনিসের সাথে তো জরীর বিয়ে হতে পারে না। পঙ্গু আনিস পড়ে রইল বাড়ির এক কোণে। জরীর বিয়ে হতে চললো। একদিকে আনন্দ অপরদিকে বেদনা। দারুণ দ্বান্দিক পরিস্থিতি।
Was this review helpful to you?
or
এ বাড়ির একটি মেয়ে আজ চলে যাচ্ছে, বড় আদরের মেয়ে, জরী। জরীর বিয়ে উপলক্ষে ভোরবেলা থেকেই বাজছে সানাইয়ের করুণ সুর, সেই বিষাদমাখা ধ্বনি সবাইকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে জরীর আসন্ন বিদায়লগ্নের কথা। বিয়ে উপলক্ষে একত্রিত হয়েছে জরীর বান্ধবীরা, হৈচৈ-হাসিতামাশায় মাতিয়ে রেখেছে সারা বাড়ি। জরীর বড় বোন পরীও এসেছে তার স্বামী হোসেন ও দুই মেয়ে নিয়ে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন নিয়ে জরীর বাবার প্রায় মাথা খারাপের অবস্থা। জরীর মায়েরও দম ফেলার ফুরসত নেই; মেয়ের বিয়ে, কত কাজ তার। বিয়েবাড়ির কোলাহলে তুচ্ছ বিষয় নিয়েও ঝগড়াঝাটি লেগে যায়, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ঝগড়া যেমন হুট করে শুরু হয়, তেমনি আবার হুট করে থেমেও যায়, তুমুল উল্লাসে আবার মুখরিত হয়ে উঠে বিয়েবাড়ির আঙ্গিনা। এই আনন্দমুখর পরিবেশেও দোতলার একটি ঘরে বন্দী হয়ে থাকে আনিস নামের ছেলেটি। সেও এবাড়িরই ছেলে, জরীর চাচাতো ভাই। পাক-আর্মির সাথে যুদ্ধে করতে গিয়ে গুলি লেগেছে মেরুদণ্ডের হাড়ে, সেই থেকে গৃহবন্দী। কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে গিয়েছে পেরাপ্লেজিয়ায়। বিয়েবাড়ির হৈ-হুল্লোড়েও তার লেখা একটি চিঠির কথা ভুলতে পারেনা পরী ও হোসেন, এই আনন্দঘন পরিবেশেও কিসের যেন এক অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন এবাড়ির স্তম্ভ, জরীর বড়চাচা।
Was this review helpful to you?
or
‘নির্বাসন’ উপন্যাসটিকে একটি জীবনঘনিষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস বলা যায়। আবার এই উপন্যাসটিকে প্রেমের উপন্যাসও বলা যায়। তবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা অন্যান্য প্রেমের উপন্যাস থেকে ‘নির্বাসন’ কিছুটা আলাদা। এই উপন্যাসের কাহিনীর গাঁথুনি যেমন আলাদা, তেমনি অন্তর্নিহিত তাৎপর্যও স্বতন্ত্র। হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাসগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কাহিনীর বহমানতা। লেখক সাধারণত কাহিনীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরিসরে আবদ্ধ করেন না। কিন্তু ‘নির্বাসন’ উপন্যাসটি একটি বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। সে কারণে এই উপন্যাসে কাহিনীর চলমানতা বা চরিত্রের বিকাশের থেকে সময়কে সামনে রেখে ঘটনাকে উপস্থাপন করার ব্যাপারটি অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এই ধরনের সময়সাপেক্ষ উপন্যাসের সংখ্যা শুধু হুমায়ূন আহমেদের নয়, বরং গোটা বাংলা সাহিত্যেই খুব হাতেগোনা। ‘নির্বাসন’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জরী। যে দিনের ঘটনা এই উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে, সে দিন জরীর বিয়ে হচ্ছে। জরীর বিয়ে হচ্ছে একটি অচেনা মানুষের সাথে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। জরী আর তার চাচাতো ভাই আনিস পরস্পরকে ভালোবাসতো। অনেক পারিবারিক বাধা সত্ত্বেও তারা তাদের প্রণয়কে পরিণয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু তাদের সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো, একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ আর একটি দুর্ঘটনা। আনিস সম্মুখযুদ্ধে দারুণ আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লাগলো। আনিস আর জরীর সুখের স্বপ্নের অকাল সমাধি হল। এই উপন্যাসে বিয়ের দিনের ঘটনা বর্ণনা করার পাশাপাশি দেখানো হয় সেই বিয়ে-বাড়িতেই অনেক হই-হুল্লোড়ের মাঝে এক কোনার একটা ঘরে আনিসের অসহায়ের মত পড়ে থাকার চিত্র। যেন নিয়তির করাল গ্রাসে এক সাহসী যোদ্ধার অনাকাঙ্ক্ষিত নির্বাসন হয়েছে। এই উপন্যাসে একটা বিষয় খুব স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। সেটা হল, বাঙালির, বিশেষ করে মেয়ের বিয়েতে সুখের পাশাপাশি দুঃখের একটা অব্যক্ত ধারাও যে সমগতিতে বহমান থাকে তার চিত্র। এই কারণেই আমরা গল্পের শুরুতেই দেখতে পাই, জরীর বিয়ের দিন সকালবেলা বড়চাচা তার রেডিওগ্রামে যন্ত্রে একটি দুঃখের সুর বাজাচ্ছেন সবাইকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করে দেয়ার জন্যে। তবে এই দুঃখবোধের অনুভুতিটি খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। কিন্তু এই উপন্যাসে সেটি অনন্যতা পেয়েছে, তার সাথে আনিসের জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়ার দুঃখবোধের সংযুক্তির কারণে। আর হুমায়ূন আহমেদ খুব সচেতনভাবেই বিয়ে-বাড়ির সকল আনন্দকে এই দুঃখের চাদরে ঢেকে ফেলেছেন। যে বাড়িতে ভালোবাসার মানুষের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, সে বাড়িতেই অক্ষম হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করার মত প্রহসন আর হয় না। লেখক এই উপন্যাসে সেই অযাচিত নির্বাসনকেই মূল ভিত্তি করেছেন। এছাড়া ‘নির্বাসন’ উপন্যাসে লেখক তার সহজাতভাবেই বিভিন্ন মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন তুলে এনেছেন। এখানে জরীর বড় বোন পরীর সাথে তার স্বামী হোসেন সাহেবের সম্পর্কের খুব খুঁটিনাটি তুলে ধরার মাধ্যমে লেখক মানবমনের বিভিন্ন বিচিত্র দিক পাঠকের সামনে নিয়ে এসেছেন। এছাড়া, বাঙালি মধ্যবিত্তের বিয়ে-বাড়ির খুব ছোট ছোট ঘটনার নিবিড় চিত্রও এই উপন্যাসে পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে বলতে হয়, স্বল্প পরিসরের উপন্যাস ‘নির্বাসন’ হুমায়ূন ভক্তদের কাছে ভালোই লাগবে।