User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Valo
Was this review helpful to you?
or
মানুষ তে মানুষত্ব হারিয়ে ফেলেছি
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
book cover was distorted.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : অমানুষ লেখক: হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনী : অন্বেষা দাম : ২০০ পৃষ্ঠা- ১২৮ পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ রুন আর ভিকির ১১ বছরের অসামান্য সুন্দরী মেয়ে এনি।।রুন খুব উচ্চাভিলাসি কিন্তু ভিকির ব্যাবসা আগের মত নাই।।প্রচুর দেনা হয়ে আছে।রুনের কথা শুনে মেয়ের জন্য বডিগার্ড রাখল ভিকি।বাংলাদেশের নাগরিক ৫৫ বছরের জামশেদ।জামশেদ কম কথা বলে মানুষের সাথে মিশে না।।আস্তে আস্তে এনির সাথে জামশেদের বন্ধুত্ব হলো। এদিকে এতরা চাচার কাছ থেকে বুদ্ধি নিয়ে ভিকি নিজের মেয়েকে কিডন্যাপ করায়।। এতরা যে ভিকি রুনের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড সে এনি নামের মেয়েটাকে মেরে ফেলে।। এবং পরে জামশেদ কিভাবে প্রতিশোধ নেয় তা আছে বই টাতে।। বইয়ের একটা প্যারা আমার খুব ভালো লেগেছে।যখন জামশেদ এনিকে দৌড় প্রতিযোগিতার পর বলে বেশির ভাগ মানুষ জীবনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়,জয়ী তারাই যারা উঠে দাঁড়ায়। বইটা পড়ে আমি অনেকক্ষন কেদেছি।। এত কষ্ট হয়েছে।।?
Was this review helpful to you?
or
Nice book. I really enjoyed it! recommended
Was this review helpful to you?
or
এতটাও ফালতু বই হতে পারে জানতাম না
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "অমানুষ" বইটি পড়তে পড়তে চোখে পানি চলে এসেছিল উফফ মানুষ এতো অমানুষ হয় কেন এত নিষ্ঠুর এতরা লোকটা এত খারাপ কি করে হলো।এ্যানির মা বাবা কি জেনেছিল ওদের শত্রুকে। আর জামশেদ তাকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা কি আদৌ কারো আছে। ভালো থাকুক দুজন বন্ধু। শেষ পর্যন্ত শুধু একটাই আফসোস থাকলো নিকৃষ্ট এতরা বিদায় নিবে ঠিকই কিন্তু জামশেদ এর হাতে না। আমার পড়া পছন্দের একটি বই এক কথায় অসাধারণ। সবাই পাড়ার অনুরোধ রইল
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ অমানুষ। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনীঃ অন্বেষা প্রকাশনী। প্রথম প্রকাশঃ ২০১৩ পৃষ্টাঃ ১২৮ মূল্যঃ ২০০ টাকা। রেটিং: ৪/৫ . এই গল্পের পটভূমি ইতালির একটি শহর। যেখানে ইদানিং শিশু অপহরণ আগের চেয়ে কয়েকগুন বেড়ে গেছে। ইতালির ধনী ধনী পরিবারগুলোর শিশু দেরকে কোনো এক মাফিয়া চক্র অপহরণ করে তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবী করছে। এই বিষয় নিয়েই চিন্তিত বোধ করছেন অ্যানির মা রুন। তবে অ্যানির বাবা ভিকি এটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। তিনি ভালো করেই জানেন তার মতো ভঙ্গুর সিল্কের ব্যাবসায়ীর মেয়েকে কেউ অপহরণ করতে যাবে না। কিন্তু এটা রুন কোনোভাবেই মানতে চায় না। সে অ্যানির জন্য বডিগার্ড এর ব্যবস্থা করতে বলে। ভিকির আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকা শর্তেও রুনের পীড়াপীড়িতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জামশেদ নামের একজন মধ্যবয়স্ক ভাড়াটে সৈনিককে অ্যানির বডিগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়। গম্ভীর আর কঠিন চরিত্রের মানুষটিকে পছন্দ করে ফেলে সর্বদা নিঃসঙ্গ থাকা অ্যানি।জামশেদ বাচ্চা পছন্দ করে না।কিন্তু অ্যানির নিঃসঙ্গতা, অভিমান, কান্না করা দেখে তার প্রতি এক গভীর স্নেহ জন্মে জামশেদের। অ্যানি আর জামশেদের মধ্যে গড়ে উঠে এক অন্যরকম বন্ধুত্ব। এইদিকে ভিকির ব্যবসা প্রায় সবটাই ডুবে যায়। প্রচুর লস খায় সে। আর এমন সময় অ্যানিকে কিডনাপ করে নিয়ে যায় এক মাফিয়া চক্র। কিডন্যাপ করতে আসা তিনজনের মৃত্যু ঘটে জামশেদের গুলিতে। জামশেদের শরীরেও দুটো গুলি লাগে। গুরুতর ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।আর অন্যদিকে ১ মিলিয়ন ইউ এস ডলার দাবী করা হলো মুক্তি পন হিসেবে। মুক্তিপন দেয়ার পর কি মুক্তি দিবে অ্যানিকে? কি হবে অ্যানির? আর জামশেদেরই বা কি হবে? আর কেই বা কিডন্যাপ করে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ভিকির মেয়েকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আপনার হুমায়ূন আহমেদের "অমানুষ" উপন্যাসটিতে। পাঠ পতিক্রিয়াঃ অনেক দিন থেকে পড়বো পড়বো করে আর পড়া হচ্ছিল না বইটা। কাল বিকেলে সময় করে বসেই পড়লাম। আর ব্যস এক বসাতেই পুরো বইটা শেষ করে ফেললাম। এই উপন্যাসের সবচেয়ে ভালো লেগেছে জামশেদ চরিত্রটা। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ আছে যাদেরকে আমরা ভালোবাসি তাদের সৎ কাজের জন্য। কিন্তু ওই মানুষগুলো কিন্তু আমাদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে কাজটা করে না। তারা কাজটা করে ভালোবেসে। জামশেদ হলো সেইরকমই একটা চরিত্র। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অশ্র হাতে ধরে। এই রকম চরিত্র আমাদের সবারই কল্পনার একটা চরিত্র। এরা কখনো নিজের কথা ভেবে কাজ করে না। লেখক জামশেদের মাধ্যমে আমাদের সকলেরই কল্পনার চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই উপন্যাসে লেখক এতরার মতো কিছু মানুষ রূপী পশুর চিত্রও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যেগুলো আমাদের সকলের সামনেই ভালো মানুষের মুখুশ পরে ঘুরে বেড়ায়। এই উপন্যাসের একটা জিনিস খারাপ লেগেছে। এই উপন্যাসে রহস্যগুলোর খুব সহজ সমাধান দিয়েছেন লেখক।হঠাৎ করেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।এটা আমাকে একটু যারপরনাই হতাশ করেছে। রহস্যগুলো আরো একটু জটিল করলে ভালো হতো। তবে গল্পের কাহিনী টা অসম্ভব সুন্দর। এই উপন্যাস টি এ.কে. কুইন্যালের "ম্যান অন ফায়ার" থেকে ধারণা নিয়ে লেখা হয়েছে। অসাধারন এই উপন্যাসটি যারা এখনো পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বই এর নাম: অমানুষ লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: অন্বেষা প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর মধ্যে এই বইটি ব্যতিকরমধর্মী মনে হয়েছে।এটিকে থ্রিলার ক্যাটাগরীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বইটির কভারে লেখা আছে: যদি তুমি ফিরে না আসতে পারো তাহলে তোমার ডেডবডি কি দেশে ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করব? নাহ্। কাউকে কিছু বলতে হবে? নাহ্। কোনো কিছুই বলার নেই তোমার? জামশেদ মৃদুস্বরে বলল, যদি সম্ভব হয় অ্যানির পাশে একটু জায়গা রাখবে।মেয়েটি বড্ড ভীতু। আমি পাহারায় থাকলে হয়ত শান্তিতে ঘুমুবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এই বইটির রিভিউ হিসেবে বই এর কভারের এই লেখাটিই যথেষ্ট। তাও বইটির কয়েকটি দিক তুলে ধরি, মূলত রুন তার সামাজিক প্রতিষ্ঠার প্রতীক স্বরূপ তার ১২ বছর বয়সী মেয়ে অ্যানির জন্য একজন দেহরক্ষী নিয়োগের কথা বলে।ফলে ভিকি তার ব্যাবসায় বড় ধরনের সংকট থাকা সত্বেও স্ত্রীর এই আবদার পূরণে জামশেদ নামক দেহরক্ষী কে নিয়োগ দেয়।আর অত্যন্ত গাম্ভীর্য পূর্ণ এই জামশেদ অ্যানি নামক এই ছোট্ট মেয়েটির প্রতি যেভাবে এক মমতাসিক্ত বন্ধন এর রচনা করে তা পাঠকদের হৃদয়ের আবেগকে স্পর্শ করবে। কিন্তু ঠিক একই সাথে এই বইটি কিছু চরিত্রের উপর পাঠক হৃদয়ে এতো বেশি ঘৃণার সঞ্চার করবে, কোনো মানুষ যে তার মনুষ্যত্বের স্তরকে ভেদ করে এতটা নিচে নামতে পারে আর এতটা অমানুষে পরিণত হতে পারে তাও এই বইটি না পড়লে বোঝা যাবে না। তাই আমি বলবো একই সাথে গভীর মমতাবোধ আর তীব্র ঘৃণার সংমিশ্রণে এই বইটি এক অনবদ্য রচনা। অবশ্য বইটির শুরুতে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, গল্পের কাঠামো এ. জে. কুইন্যালের ম্যান অন ফায়ার থেকে নেয়া। কাঠামোগত সামান্য মিল ছাড়া ম্যান অন ফায়ারের সাথে এ বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তাই ' ম্যান অব ফায়ার ' বইটি পড়ার ও তীব্র ইচ্ছা আছে আমার। বইটিতে আমার প্রিয় চরণ: ' পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। খুব অল্প কিছু মানুষ উঠে দাঁড়াতে পারে। ' My rating: 4.7/5 আর রিভিউটা কেমন লেগেছে অবশ্যই comment করে জানাবেন। - Mohammad Mushfiqur Rahman Nehal
Was this review helpful to you?
or
ইতালির এক শহরের কাহিনী। যেখানে অন্যান্যবারের তুলনায় শিশু অপহরণ খুব বেড়ে গিয়েছে। সব অভিভাববকরাই বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত। যাদের একটু অর্থ ব্যাবস্থা ভালো তারা তাদের ছেলে-মেয়েকে বাইরের দেশে পড়তে পাঠাচ্ছে। আর তা নাহলে বডিগার্ডের ব্যবস্থা করছে। তেমনই গল্পের প্রধান চরিত্র যাকে নিয়েই এই গল্পের কাহিনী 'এ্যানি' তাকে নিয়েও তার মা বেশ চিন্তিত। তাই এ্যানিকে তার মা স্কুলে যেতে দিচ্ছে না। বাড়িতেই তার পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এ্যানির মায়ের নাম রুন। ভীষণ সুন্দরী মহিলা। আর তার স্বামীর নাম ভিকি। ভিকি একজন ব্যবসায়ী। তাদের এই ব্যাবসাটা তিনপুরুষ ধরে চলে আসলেও ভিকির অবস্থা বর্তমানে খুব খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই স্ত্রী রুনের। সে তার মতোই খরচ করে যাচ্ছে। এসব নিয়ে রুনের উপর যথেষ্ট বিরক্ত ভিকি। এছাড়া আরো একটা ব্যপারেও বিরক্ত। তা হলো, রুনের এক চাচাতো ভাই আছে এতরা। এতরাকে সহ্য না করতে পারলেও ভিকি কিছু বলতে পারে না এতরা কিংবা রুনকে। কারণ ভিকিকে বিভিন্ন সময় ব্যাবসায়ে পরামর্শ এতরাই দেয়। আর রুনের সম্মতিতে এতরা রুনকে ব্যবহার করে। অবশ্য তা ভিকি জানে না। যাই হোক, রুন এ্যানির জন্য বডিগার্ড রাখতে একসময় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে এতরার পরামর্শ মতো এক বাংলাদেশি সৈনিক জামশেদকে রাখা হয় এ্যানির বডিগার্ড। এ্যানি খুব খুশি হয় এই ভেবে যে, সে একটা সঙ্গী পেয়েছে। কিন্তু জামশেদ খুবই গম্ভীর। তবে একটা সময় এ্যানির আর জামশেদের খুব ভালো সম্পর্ক হয়। কিন্তু ভালো সময়টা খুব বেশিদিন থাকে না।ভিকির অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে। এতরার পরামর্শ মতো এ্যানির নামে বীমা করায় ভিকি। একটা সময় এতরার পরামর্শ মতোই আবার এ্যানিকে কিডন্যাপও করায়য় বীমার টাকা পাওয়ার জন্য। কিন্তু যেভাবে কাজ করা হবে ভাবা হয় সেভাবে কিডন্যাপ করা যায় না এ্যানিকে। কাহিনী মোড় নেয় অন্যদিকে। কি হয় তবে শেষ পর্যন্ত???
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ অমানুষ লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্বেষা প্রকাশন ধরনঃসমকালীন উপন্যাস মূল্যঃ২০০ টাকা(রকমারি মূল্যঃ১৫০ টাকা) . #প্রধান_চরিত্রঃ - জামশেদ_অ্যানি_রুন_ভিকি_ এতরা_ডন_ভিকানডিয়া . গল্পের প্রধান চরিত্র জামশেদ হোসেন।একসময় মানুষ মারায় তার পারদর্শিতা ছিল অতুলনীয়। এখন সে অ্যানি নামের এক মেয়ের বডিগার্ডের দ্বায়িত্ব পালন করছে। অ্যানি বারো বছরের কিশোরী। সে তার মায়ের মতোই রূপসী। এতরা চাচা তার চোখে ঘৃণিত ব্যাক্তি। গল্পে এতরাকে চৌকশ খলনায়ক হিসেবে পাবে পাঠকরা। অ্যানির বাবা ভিকি। বর্তমানে তার তিন পুরুষের সিল্কের ব্যবসা খারাপের দিকে যাওয়ায় সে খুব চিন্তিত। কিন্তু এতবড় সমস্যাতেও স্ত্রী রুনের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনা।সে ইচ্ছা মতই খরচ করে যাচ্ছে। রুনের সাথে এতরার মেলামেশা ভিকি সহ্য করতে পারেনা। . এদিকে রুনের ইচ্ছা তাদের মেয়ে অ্যানি সুইজারল্যান্ডে লেখাপড়া করবে। নিরাপত্তার অজুহাতে সে অ্যানিকে মিলানে পড়তে দিতে চায় না।আর্থিক অসঙ্গতির কথা জানিয়ে ভিকিকে রুনকে অনুরোধ করে মিলানের কোন একটা স্কুলে অ্যানিকে ভর্তি করতে। সবশেষে ঠিক হয় অ্যানি মিলানেই পড়বে, তবে তার জন্য একজন বডিগার্ড থাকবে। রুনের আত্মীয় এতরার সাথে কথা বলে ভিকি ঠিক করে এমন একজন বডিগার্ডকে রাখা হবে যাতে রুন তাকে তিন মাসের মধ্যেই ছাড়িয়ে নিতে চায়। . এমনি করেই জামশেদের গল্পের শুরু। জামশেদ কে বা আগে কি ছিলো এ ব্যাপারে ধারণা পাওয়া কঠিন। তবে কোন এক বিচিত্র কারণে অ্যানি খুব পছন্দ করে ফেলে জামশেদকে। জামশেদ অবশ্য ছোট বাচ্চাদের পছন্দ করে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তার চোখের কাঠিন্য সরে গিয়ে অ্যানির জন্য প্রবল মায়া দেখা যায়। . ব্যবসায়ের ধকল সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ে ভিকির। এতরা এক চতুর বুদ্ধি দেয় তাকে। সে অ্যানির নামে একটি বীমা করাতে বলে। এরপর এতরা তার ভাড়াটে লোকদের মাধ্যমে অ্যানিকে কিডন্যাপ করাবে। তারপর তারা টাকা ডিমান্ড করবে। সেই টাকা পরিশোধ করবে বীমা কোম্পানি। প্রাপ্ত সেই টাকা দিয়ে ভিকি তার ব্যবসার লোকসান সামাল দিতে পারবে। ভিকি প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে সম্মতি দেয়। তবে তা রুনের অজানা থাকে। একটা পর্যায়ে সত্যিই কিডন্যাপ হয় অ্যানি।জীবনপণ যুদ্ধ করেও তাকে রক্ষা করতে পারে না জামশেদ। মুক্তিপণের টাকা পেয়েই কি ফিরিয়ে দিবে কিডন্যাপারা অ্যানিকে? নাকি তার জন্য আরো বড় কোন পাশবিকতার শিকার হতে হবে? জামশেদ কি পারবে অ্যানিকে ফিরিয়ে আনতে? #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ ‘অমানুষ’ কাজী আনোয়ার হোসেন সম্পাদিত রহস্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। গল্পের কাঠামো এ. কে. কুইন্যালের ‘ম্যান অন ফায়ারের’ সঙ্গে এ বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। “অমানুষ” বইয়ের "জামশেদ"চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম। শেষপ্রান্তে পাঠক জামশেদকে দেখতে পারবে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া একক যোদ্ধা হিসেবে। খুবই ভাল লাগেছে তার চরিত্রটি।সব মিলায়ে বইটি চমৎকার আমার পড়তে অসম্ভব ভাল লাগছে আপনারও পড়ে দেখতে পারেন আশা করছি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
অমানুষ গল্পের কাঠামো এ,কে,কুইন্যালের 'ম্যান অন ফায়ার' থেকে নেয়া।কাঠামোগত সামান্য মিল ছাড়া ম্যান অন ফায়ারের সঙ্গে এ বইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।। আমি আনাড়ি রিভিউ রাইটার।তারপরও লিখতে বসেছি থ্রিলার উপন্যাসের রিভিউ।মাথায় শুধু একটাই চিন্তা কোনো ভাবেই যেন টুইস্ট প্রকাশ না পায়। অনেক জটিল কথাও খুব সাবলীল ভাবে প্রকাশ করতে পারে কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ।এই সত্য কারও অজানা নয়। তবে পাঠকরা যারা তাকে সাদামাটা প্রেমের ঔপন্যাসিক হিসেবে চেনেন,তারা এই বইটি পড়লে হয়তো,ঐ ধারণা থেকে কিছুটা দুরে সরে আসবেন।অন্যসব উপন্যাসে তিনি যেমন নায়িকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ঢেলে দেন।এখানে তার বদলে এক কিশোরীর প্রতি তার দেহরক্ষীর অগাধ মমতা দেখিয়েছেন। যা বড়ই বিস্ময়কর। কিছুদূর পর পর একটা বাক দিয়ে থ্রিলার উপন্যাসটি এত সুন্দর রূপ দিয়েছে।যা না পড়লে বুঝতে পড়তাম না। গল্পের প্রধান চরিত্র জামশেদ হোসেন।একসময় মানুষ মারায় তার পারদর্শিতা ছিল অতুলনীয়। বয়সের ভারে তা কিছুটা ক্ষয়ে গেছে।গল্পে তার গাম্ভীর্যতা পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই পাঠকরাও গম্ভীর হয়ে যাওয়ার কথা।এখন সে অ্যানি নামের এক মেয়ের বডিগার্ডের দ্বায়িত্ব পালন করছে। অ্যানি বারো বছরের কিশোরী। সে তার মায়ের মতোই রূপসী। এতরা চাচা তার চোখে ঘৃণিত ব্যাক্তি। গল্পে এতরাকে চৌকশ খলনায়ক হিসেবে পাবে পাঠকরা। অ্যানির বাবা ভিকি। বর্তমানে তার তিন পুরুষের সিল্কের ব্যবসা খারাপের দিকে যাওয়ায় সে খুব চিন্তিত। কিন্তু এতবড় সমস্যাতেও স্ত্রী রুনের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনা।সে ইচ্ছা মতই খরচ করে যাচ্ছে। রুনের সাথে এতরার মেলামেশা ভিকি সহ্য করতে পারেনা।তবুও মুখে কিছু বলেনা।কারণ সাহায্যের জন্য তাকে এতরার কাছেই যেতে হয়। এবারেও ভিকি পরামর্শ নিতে এতরার কাছে যায়।সেই সুযোগে এতরা দারুণ চাল চালে।যা ভিকির মতো সাধারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতা থাকবেনা, এটাই স্বাভাবিক। অ্যানিকে কিডন্যাপ এর জন্য সবুজ রঙের একটি ওপেল গাড়ি অপেক্ষা করছে।কিন্তু তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।কেননা অ্যানির সাথে অসাধারণ লিজিওনারি হিসেবে পরপর দুবার অর্ডার অব ভেলর পাওয়া বডিগার্ড, জামশেদ।।। শেষপ্রান্তে পাঠক জামশেদকে দেখতে পারবে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া একক যোদ্ধা হিসেবে।বুদ্ধির জোরে সফল হতে হতে সেও ধরা পরে ক্যানটারেলার হাতে। ক্যানটারেলার এখন একমাত্র কাজ তাকে মেরে ফেলা। আবার অন্যদিকে ক্যানটারেলার কাছে পারিবারিক ব্যাপারে ঘৃণিত লোক বস ভিকানডিয়া কে মারতে একমাত্র এই ছেলেই পারবে।তাহলে ক্যানটারেলা এখন কি করবে।। জামশেদের প্রতিশোধের নেশা, লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা,পুলিশের সহযোগীতা,চরিত্রগুলোর এক রূপ থেকে অন্যরূপে চলে আসা, সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস।। ওয়েস্টার্ন পাঠে অনভ্যস্ত পাঠকরা উপন্যাসের প্রথমের দিকে একটু অস্বস্তিতে পরতে পারেন।কিন্তু শেষ করতে পারলে সব উপন্যাস থেকে আলাদা একধরনের স্বাদ পাবে বলে আশাকরি।। পছন্দের উক্তিঃসব মানুষই হোচট খেয়ে পরে যায়।কিন্তু খুব কম মানুষই আবার উঠে দৌড়াতে পারে।।
Was this review helpful to you?
or
ভিকি রুনকে কিছুতেই বোঝাতে পারে না এই মুহূর্তে অতিরিক্ত খরচ করবার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাদের নেই। বাড়িটা পর্যন্ত ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রাখা। রুন অবশ্য কিছুই শুনতে চায় না। বরং ভিকি রোমে যাবার পর সে নয় লক্ষ লিরা দিয়ে একটা পেইন্টিং কিনেছে। রুনের ইচ্ছা তাদের মেয়ে অ্যানি সুইজারল্যান্ডে লেখাপড়া করবে। নিরাপত্তার অজুহাতে সে অ্যানিকে মিলানে পড়তে দিতে চায় না।আর্থিক অসঙ্গতির কথা জানিয়ে ভিকিকে রুনকে অনুরোধ করে মিলানের কোন একটা স্কুলে অ্যানিকে ভর্তি করতে। সবশেষে ঠিক হয় অ্যানি মিলানেই পড়বে, তবে তার জন্য একজন বডিগার্ড থাকবে। রুনের আত্মীয় এতরার সাথে কথা বলে ভিকি ঠিক করে এমন একজন বডিগার্ডকে রাখা হবে যাতে রুন তাকে তিন মাসের মধ্যেই ছাড়িয়ে নিতে চায়। এমনি করেই জামশেদের গল্পের শুরু। জামশেদ কে বা আগে কি ছিলো এ ব্যাপারে ধারণা পাওয়া কঠিন। তবে কোন এক বিচিত্র কারণে অ্যানি খুব পছন্দ করে ফেলে জামশেদকে। জামশেদ অবশ্য ছোট বাচ্চাদের পছন্দ করে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তার চোখের কাঠিন্য সরে গিয়ে অ্যানির জন্য প্রবল মায়া দেখা যায়। হঠাৎই কিডন্যাপ হয় অ্যানি। জীবনপণ যুদ্ধ করেও তাকে রক্ষা করতে পারে না জামশেদ। মুক্তিপণের টাকা পেলেই তাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে এমনটা কথা থাকলেও নির্মমভাবে ধর্ষণের পরে অ্যানির লাশ পাওয়া যায়। মৃত অ্যানি পৃথিবীতে রেখে যায় তার একমাত্র আপনজন জামশেদকে, যে পিতার মত অসীম স্নেহে অ্যনিকে নিজের হৃদয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। জামশেদ কি ফিরে আসতে পারবে? তবে কি এতো বড় একটা অন্যায়ের কোন বিচারই করবে না পৃথিবী?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- অমানুষ। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- থ্রিলার, অ্যাকশন। পৃষ্ঠা- ১০৩। প্রকাশনী- সেবা। প্রধান চরিত্র- জামশেদ, অ্যানি, রুন, ভিকি, এতরা, ডন ভিকানডিয়া। কাহিনীর স্থান ইতালি। দেশটায় অন্যান্য বারের চেয়ে শিশু অপহরণ বেশ বেড়ে গেছে। তাই ছোট্ট অ্যানির মা রুন অ্যানির নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত। এরফলে অ্যানি স্কুলে যেতে পারেনা। বাড়িতেই তাকে তার যাবতীয় পড়াশোনা করতে হয়। রুন অত্যন্ত সুন্দরী মহিলা। তার স্বামীর নাম ভিকি। ভিকিরা তিন পুরুষ ধরে সিল্কের ব্যবসা করে আসছে। তবে এবারে ভিকির বেলায় সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ব্যবসা বেশ মন্দা এবং ব্যাংকে তার এককোটি লিরা দেনা হয়ে আছে। এ অবস্থায়ও রুন তার খরুচে স্বভাব ছাড়তে পারেনি। যখন তখন হুটহাট করে দামী জিনিস কিনে ফেলে। এ নিয়ে ভিকি রুনের ওপর বেশ বিরক্ত হলেও রুনকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনা। এছাড়া আরো একটি ব্যাপার তার পছন্দ নয়। সেটি হচ্ছে রুনের এক দুর সর্ম্পকের ভাই এতরা। এতরা নিজেও একজন ব্যবসায়ী এবং খুব চালাক একজন মানুষ। ভিকি বা রুন জানেনা যে এতরার মাফিয়াদের সাথে যোগসাজশ আছে। এতরা মাঝেমাঝে রুনকে ব্যবহার করে। এতে রুনও সম্মতি দেয়। মনে হয় তার না দিয়েও উপায় নেই। এবং অবশ্যই স্বামীর কাছ থেকে ব্যাপারটা গোপনই থাকে। ইতালিতে যখন শিশু নিরাপত্তা বেশ খারাপ পর্যায়ে তখন অ্যানির জন্য একজন বডিগার্ড রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রুন। রুনের এই সিদ্ধান্তও ভিকি সমর্থন করতে পারেনা। কেনোনা বডিগার্ড রাখাও খরুচে ব্যাপার এবং বর্তমানে ভিকি হিসেব করে চলতে চাইছে যতোদিন না সে তার ব্যবসার মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারে। তবে এই পরিস্থিতির একটা সহয সমাধান করে দেয় এতরা। সে ঠিক করে দেয় বডিগার্ড। একজন বাংলাদেশী মধ্যবয়সী লোক যে পূর্বে প্রাক্তন ভাড়াটে সৈনিকের কাজ করতো। তাকে বেশ কম টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। বডিগার্ড পেয়ে সবচেয়ে বেশী খুশি হয় নিঃসঙ্গ অ্যানি। ওর কল্পনায় ছিলো বডিগার্ড বোধহয় তার খেলার সাথী হবে। তবে তার খুশি উবে যায় যখন সে বডিগার্ড জামশেদকে পায় রুক্ষ কঠোর স্বভাবের একজন মানুষ হিসেবে। অ্যানি জামশেদের নাম রাখে বুড়ো ভালুক। তবে একটা পর্যায়ে ধীরে ধীরে অ্যানি ও জামশেদ একে অপরের প্রতি সহয হতে শুরু করে। দুজনের মধ্যে একটা আলাদা সুন্দর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এ পর্যায়ে আসে মারাত্মক এক ট্র্যাজেডি। ব্যবসায়ের ধকল সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ে ভিকির। এতরা এক চতুর বুদ্ধি দেয় তাকে। সে অ্যানির নামে একটি বীমা করাতে বলে। এরপর এতরা তার ভাড়াটে লোকদের মাধ্যমে অ্যানিকে কিডন্যাপ করাবে। তারপর তারা টাকা ডিমান্ড করবে। সেই টাকা পরিশোধ করবে বীমা কোম্পানি। প্রাপ্ত সেই টাকা দিয়ে ভিকি তার ব্যবসার লোকসান সামাল দিতে পারবে। ভিকি প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে সম্মতি দেয়। তবে তা রুনের অজানা থাকে। একটা পর্যায়ে সত্যিই কিডন্যাপ হয় অ্যানি। তবে ঘটনা যেমনটা ভাবা হয় তেমনটা মোটেও হয়না। কিডন্যাপিংয়ের সময় তিনজনকে মেরে নিজেও আহত হয় জামশেদ। তবে অ্যানিকে বাচাতে পারেনা। এরপর অ্যানিকে পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য পাশবিকতার শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। শুরু হয় ছোট্ট এক মেয়ের প্রতি ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এক একাকি সৈনিকের পুরো ইতালির মাফিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা। কে হত্যা করে অ্যানিকে? কিসের জন্য অ্যানির এমন নোংরা পাশবিকতার শিকার হতে হলো? আর একা জামশেদ কিভাবে প্রতিশোধ নিবে পুরো মাফিয়ার ওপরে? এতরার ভূমিকাটাই বা কি? অত্যন্ত হার্ডকোর অসাধারন একটা কাহিনী। মূল বইটা এজে কুইনেলের লেখা ম্যান অন ফায়ার। এটার মাসুদ রানা ভার্সনের নাম অগ্নিপুরুষ। বইটা যেকোনো পাঠকের মন ছুয়ে যাবে। পড়তে পড়তে কখন যে পাঠক নিজেই নিঃসঙ্গ মেয়েটার কষ্টে নিজে ব্যাথিত হবে তা বুঝতেই পারবেনা। হুমায়ূন আহমেদ লেখেনই এমন যে নিজের অজান্তেই আমরা আমাদের অনুভূতির নিয়ন্ত্রন তার হাতে তুলে দেই। যতক্ষন বই হাতে থাকে যেনো আমাদের অনুভূতি তিনি নিয়ন্ত্রন করেন। জামশেদের প্রতিশোধ গ্রহনটা অসাধারন। সর্বোচ্চ উৎসর্গ করে দেয় সে প্রতিশোধের জন্য। তবে তার পরিণতি কি হয়??? শেষের দিকটা এমন এক ট্র্যাজিক যে পাঠকের মনে একটা শুন্যতা ও হাহাকার তৈরী হবে। দেখতে হবে তো বইটা কার লেখা। সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ রিভিউটা পড়ার জন্য। রেটিং- ৫.০০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
অনেক দিন থেকে পড়বো পড়বো করে আর পড়া হচ্ছিল না বইটা। কাল বিকেলে সময় করে বসেই পড়লাম। আর ব্যস এক বসাতেই পুরো বইটা শেষ করে ফেললাম। এই উপন্যাসের সবচেয়ে ভালো লেগেছে জামশেদ চরিত্রটা। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ আছে যাদেরকে আমরা ভালোবাসি তাদের সৎ কাজের জন্য। কিন্তু ওই মানুষগুলো কিন্তু আমাদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে কাজটা করে না। তারা কাজটা করে ভালোবেসে। জামশেদ হলো সেইরকমই একটা চরিত্র। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অশ্র হাতে ধরে। এই রকম চরিত্র আমাদের সবারই কল্পনার একটা চরিত্র। এরা কখনো নিজের কথা ভেবে কাজ করে না। লেখক জামশেদের মাধ্যমে আমাদের সকলেরই কল্পনার চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই উপন্যাসে লেখক এতরার মতো কিছু মানুষ রূপী পশুর চিত্রও আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যেগুলো আমাদের সকলের সামনেই ভালো মানুষের মুখুশ পরে ঘুরে বেড়ায়। এই উপন্যাসের একটা জিনিস খারাপ লেগেছে। এই উপন্যাসে রহস্যগুলোর খুব সহজ সমাধান দিয়েছেন লেখক।হঠাৎ করেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।এটা আমাকে একটু যারপরনাই হতাশ করেছে। রহস্যগুলো আরো একটু জটিল করলে ভালো হতো। তবে গল্পের কাহিনী টা অসম্ভব সুন্দর। এই উপন্যাস টি এ.কে. কুইন্যালের "ম্যান অন ফায়ার" থেকে ধারণা নিয়ে লেখা হয়েছে। অসাধারন এই উপন্যাসটি যারা এখনো পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।