User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
শুরুর দিকটা ভালো লাগে না, মনে হয় কোন কারন ছাড়া বইটাকে বড় করার জন্য শুধু শুধু এসব লেখা হইছে। তবে শেষের দিকটায় ওই আজেবাজে বিষয়গুলোকে সুন্দর করে একটা এন্ডিং দেওয়া হইছে। হুমায়ূন তার এই জাদুটিই বোধহয় বেশিরভাগ সময় দেখান।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ভালো লেগেছে বইটি
Was this review helpful to you?
or
Awesome book it was.
Was this review helpful to you?
or
সত্যিকার অর্থে বইটি এককথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "সেও নর্তকী" আমি মনে করি হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এ বইটি। বই টা দেখলেই শুধু পড়তে ইচ্ছা হয়। একজন লেখক তার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে লিখলেই বোধ হয় এতো সুন্দর হয় একটি বই। ভাষায় প্রকাশ করার না এতো ভালো একটি উপন্যাস।এক কথায় বোধ হয় লিখা যায় না এ ধরনের সুন্দর বই গুলোর রিভিউ। একদিকে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্য জন উচ্চবিত্ত পরিবারের কে সুখী? বই টা পড়লেই বুঝা যায় উচ্চবিত্ত পরিবার আর মধ্যবিত্ত পরিবারে তফাৎ না যে কোনো অবস্থাতেই নিজে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে ইচ্ছে থাকলে চেষ্টা থাকলে
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা স্বাতী নামে একটা মেয়ের। যার আজ জন্মদিন। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে, আদরের মেয়ে যার নাম নক্ষত্রের নামে। আজ স্বাতীর একুশতম জন্মদিন। প্রতি জন্মদিনেই স্বাতীর বাবা নাজমুল সাহেব স্বাতীকে সারপ্রাইজ দেন। এবার মেয়ের একুশতম জন্মদিনে একুশটা গোলাপ যোগাড় করেছেন নাজমুল সাহেব। ফুলদানিতে ফুলগুলো সাজিয়ে মেয়ের পড়ার টেবিলে রাখবেন, মেয়ের কপালে চুমু খাবেন-এই পরিকল্পনা ছিলো তার। কিন্তু ঠিক ওরকম হলো না। স্বাতীর রুমের দরজা আটকানো এবং সে প্রচন্ড টেনশনে আছে। কারণ সে একটা ভয়ানক অন্যায় করে ফেলেছে। আর এই ব্যাপারটা কেউ জানে না। বান্ধবী লিলিকে বলতে চাচ্ছে স্বাতী। নিজের আতঙ্ক অন্যের ভেতর দেখলে নিজের আতঙ্ক কমে এবং সাহসও পাওয়া যায়। কিন্তু কি এমন ভয়ঙ্কর অন্যায় করলো স্বাতী....??? গল্পটা স্বাতীর বান্ধবী লিলিরও। স্বাতীর পরিবারের সম্পূর্ণ বিপরীত পাশ লিলির পরিবার। বাবা, মা, চাচা, চাচাতো ভাই-বোন নিয়ে লিলিকে থাকতে হয়। প্রতিদিন ভোরবেলা থেকেই হইচই শুরু হয়ে যায় বাড়িতে। এই বাড়িতে নিজস্ব কোন জগৎ নেই লিলির। লিলিদের এই বাড়ির নাম রহিমা কুটির। লিলির দাদা ইরফানুদ্দিন এই বাড়ি তৈরী করেছিলেন। রহিমা লিলির প্রথম দাদীর নাম। লিলি এই বাড়ি এবং বাড়ির নাম দুটোকেই অপচ্ছন্দ করে। লিলির খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন আছে। কিন্তু লিলি জানে তার এই স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না, কোনদিনও না...!!! এই গল্পটা একজন আর্টিস্ট এবং তার মেয়ের। আর্টিস্ট লোকটার নাম হাসনাত এবং তার একমাত্র মেয়ে জাহিন। জাহিনকে ফেলে রেখে তার মা রাগ করে চলে গেছে। বাবা-মেয়ের সংসারে বাবা তার নিজের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। মাহারা মেয়েটার সময় কাটে একাকী, নিজের মতো করে...!!! ভিন্ন ভিন্ন এই তিন গল্পের মাঝেই দারুণ একটা মিল আছে। সকল গল্প একসাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে বইয়ের শেষ অংশে এবং পরিপূর্ণতা পেয়েছে "সে ও নর্তকী" নামের বইটি। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক। তারঁ লেখা অসাধারণ কিছু উপন্যাসের মধ্যে "সে ও নর্তকী" একটি। দারুণ একটি বই। গল্পের প্রতিটি চরিত্রের মাঝেই আছে তীব্র এক হাহাকার আর ভালো থাকার অভিনয়ের চেষ্টা। সবকিছু লেখক এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা বললেই নয়। বইটা এর আগে পড়েছি বলে মনে হয় না। তবে কিছুকিছু বই আছে বেশ কয়েকবার পড়ার পরও পড়ার ইচ্ছা কমে না। এই বইটিও তেমনই। বইয়ের রেটিং: ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বর_রিভিউ-০৩ বইয়ের নাম : সে ও নর্তকী লেখক : হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা : ১২৮ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ আলোকচিত্র : রিচার্ড রোজারিও মুদ্রিত মূল্য : ২০০ রকমারি মূল্য : ১৫৬ (২২%) প্রকাশনী : অন্বেষা প্রকাশন গল্পের শুরুই হয় স্বাতীর জন্মদিন দিয়ে। স্বাতী নক্ষত্র। বাবা মায়ের আদরের একমাত্র কন্যা। স্বাতীর প্রত্যেক জন্মদিনে সে সিঁড়ি বেয়ে দৌঁড়ে নেমে বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাতীর মায়ের সাথে স্বাতী কখনো এমনটা করেনা। স্বাতী যখন ক্লাস টু-তে পড়ে তখন সে একবার নাচে অংশগ্রহণ করেছিলো।তবে নাচের শুরুতেই একটা ঝামেলা হয়ে যায়,স্বাতীর মাথা থেকে ফুলের মুকুট পড়ে গেল।অন্যেরা নেচে যাচ্ছে। স্বাতী মুকুট কুড়িয়ে মাথায় দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।স্বাতীর বাবা নাজমুল সাহেব লক্ষ করলেন,স্বাতীর চোখে পানি।স্বাতী কাঁদছে।সে চোখের পানি মুছে নাচতে গেল।নাচ শেষ হবার পর স্বাতী বাবার দিকে তকিয়ে উঁচু গলায় ডাকল,বাবা! বাবা দৌড়ে স্টেজের দিকে যেতেই স্বাতী তার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো। আজও স্বাতীর ২১তম জন্মদিনে সেভাবেই বাবার উপর লাফিয়ে পড়ল।তিনিও সেদিনের মতই গাঢ় গলায় বললেন, 'মাই লিটল ড্যান্সার।মাই লিটল ড্যান্সার।আমার ছোট্ট নর্তকী, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।' স্বাতীর জন্মদিনে স্বাতী চায় তার বান্ধবী তাদের বাসায় আসুক।এদিকে লিলি খুবই রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। সে আসতে পারবে কী না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।কিন্তু স্বাতী খুবই অস্থির হয়ে আছে। কারণ সে খুব বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছে। সে অন্যায়ের কথাটা লিলিকে বলতে চায়,লিলিকে বলার পর স্বাতী তার মাকেও অন্যায়ের ঘটনাটা বলবে। কী অন্যায় করেছে স্বাতী? স্বাতী একদিন ফন্দি করে লিলিকে নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। লিলি বুঝতে পারেনা স্বাতীর কর্ম কান্ড।স্বাতী লিলিকে নিয়ে যায় একটা পুরোনো বাড়িতে,যে বাড়িতে ঢুকলেই শ্যাওলার গন্ধ পাওয়া যায়। কী আছে এই বাড়িতে? এটা কারই বা বাড়ি? লিলি এসব ভাবতে থাকে। সুনসান নীরব একটা বাড়ি। আরো অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে,স্বাতীর কাছে সেই বাড়ির দরজার চাবিও আছে।এই কান্ড দেখে তো লিলি যার পর নাই অবাক। লিলিকে এ বাড়িতে নিয়ে আসার পেছনে কী উদ্দেশ্য স্বাতীর? তাহলে এই বাড়ি ঘিরেই কী স্বাতীর সব অন্যায়? পাঠ প্রতিক্রিয়া : বইটা আমার অসম্ভব রকম ভালো লেগেছে। বইয়ের নামের সাথে পুরো গল্পটার কী অদ্ভুত একটা অন্তর্নিহিত সম্পর্ক! অনেককেই অভিযোগ করতে দেখা যায়,হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের না কি ফিনিশিং পাওয়া যায় না।তারা এই বইটি পড়তে পারেন। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতর এক ধরনের চাপা আস্ফালন। কেমন যেন একটা হাহাকার। অসম্ভব সুন্দর, পাওয়া না পাওয়ার গল্প। পাবার পরেও কিছু অপূর্ণতা। সব মিলিয়ে আবেগের অদ্ভুত সংমিশ্রণ! সবশেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কিছু লাইন লিখতে ইচ্ছে করছে আমার, "নিজের গানেরে বাঁধিয়া ধরিতে চাহে যেন বাঁশি মম উতলা পাগলসম। যারে বাঁধি ধরে তার মাঝে আর রাগিণী খুঁজিয়া পাই না। যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই যাহা পাই তাহা চাই না..!"
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই: সে ও নর্তকী। ধরণ:সমকালীন উপন্যাস। লেখক:হুমায়ূন অাহমেদ। প্রকাশনী:অন্বেষা। মূল্য:২০০টাকা মাত্র।(মুূদ্রিত)। কাহিনী সংক্ষেপ : বিত্তবান দম্পতি নাজমুল সাহেব অার রওশন অারা বেগমের একমাত্র মেয়ে স্বাতীর অাজ একুশতম জন্মদিন । একমাত্র মেয়ের জন্মদিন বলে কথা!! তাই স্বাতীর বাবা মা স্বাতীকে চমকে দেবার জন্য নানারকম বিচিত্র উপহার সামগ্রীর বন্দোবস্ত করে রেখেছেন। কিন্তু স্বাতীর অাজ ভয়ানক মনখারাপ । সে ভয়ংকর একটা অন্যায় করে ফেলে অপরাধীর মত নিজের বেডরুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে অাছে।নাজমুল-রওশন দম্পতি মেয়ের এ হেন অাচরণে খানিকটা চিন্তিত। ছোটবেলা থেকে তাদের এই একমাত্র মেয়েটিকে তার বড় অাদর, যত্ন,ভালবাসা অার স্নেহ দিয়ে রুপকথার রাজকুমারীর মত করে বড় করেছেন। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো স্বাতী তাই শৈশবকাল থেকেই স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। অসম্ভব রুপবতী এই মেয়েটির সবচেয়ে পছন্দের মানুষ হলো তার বাবা নাজমুল সাহেব। স্বাতীর ছোটবেলার স্মৃতিপটে বেশ করে চোখ বুলালে তার বাবাকে নিয়ে অামরা একটা অতি মধুর একটা স্মৃতির সন্ধান পাই। "স্বাতী তখন ক্লাস টু তে পড়ে। স্বাতীর স্কুলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট্ট স্বাতী অার তার কয়েকজন সহপাঠী মন্ঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করছে। মাথায় ফুলের মুকুট অার হলুদ শাড়িতে সবাইকে পরীর মত দেখাচ্ছে। নাজমুল সাহেব মুগ্ধ নয়নে মেয়ের নৃত্য দেখছেন। হঠাৎ করে স্বাতীর মাথার মুকুট খুলে পড়ে। স্বাতী নাচতে নাচতেই মুকুটটি অাবার মাথায় পড়ে নেয়। দ্বিতীয়বারেও একই স্খলিত মুকুট বিভ্রাটে স্বাতী নাচ থামিয়ে মুকুট উদ্ধার করে। উপস্থিত দর্শকেরা ক্ষুদে নর্তকীর এই কর্মকান্ডে হো হো করে হাসতে থাকে। একমাত্র নাজমুল সাহেব মেয়ের চোখেরজল দেখতে পান। মেয়ের সামনে তিনি এগিয়ে যান। অার ঠিক তখনই স্বাতী বাবার কোলকে লক্ষ্য করে স্টেজ থেকে বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। " দৃশ্যটি যেমন অাবেগঘন তেমনি হৃদয়স্পর্শী। এই হলো পিতা অার কন্যার অাবেগঘন সম্পর্ক। স্বাতীর বান্ধবী লিলির জগত সম্পূর্ণ উল্টো। পূর্বে তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে অবস্থা পাল্টিয়েছে। দাদাজানের রেখে যাওয়া অাদিকালের ঢাউশ বাড়িটা লিলির একদম অপছন্দ । অার বাড়িটাতে যেন একটুও শান্তি নাই । সবসময় কলহ লেগেই অাছে। লিলির রগচটা স্বভাবের বাবা লিলির মাকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করেন। লিলির মা লিলির দুই বোনকে নিয়ম করে পেটান। ব্যক্তিস্বাধীনতার স্বাদ লিলি কখনোই পায়না। অথচ সে স্বাতীর মত একটি সুন্দর গোছানো সংসারের স্বপ্ন দেখে। হাসনাত সাহেব একজন অখ্যাত চিত্রশিল্পী। শিল্পের প্রতি তার ভালবাসা সীমাহীন। এক বিমুগ্ধ চিত্র শিল্পী,যিনি নিজের সৃষ্টির মাঝে খুঁজে নিয়েছেন তার সংসার তার জগত। মা হারা মেয়েটির দিকে তার খেয়াল নেই। এমন ছন্নছাড়া এক সংসারে ধনীর দুলালী স্বাতীর অাগমনে সংসারের পট পাল্টিয়ে যায়। প্রতিক্রিয়া :নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন অাহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস "সে ও নর্তকী। ইট কাঠের এই শহরবন্দী জীবনের প্রতিটি মানুষের রয়েছে কিছু না কিছু গল্প। ক্লান্তিময় দুঃসহ জীবনের চাকচিক্যের অাড়ালে মানসিক বিকারগ্রস্ত নর -নারীর এক অাশ্চর্য কাহিনী বলে গেছেন লেখক এই উপন্যাসে।পিতা মাতার সাংসারিক দ্বন্দ্বে জর্জরিত এক হতাশাগ্রস্থ তরুনীর অার্তনাদ এ কেবল তারই না। এ অার্তনাদ সংসারের! এ অার্তনাদ অামাদের সমাজের। ক্ষনিক অাবেগ অার ভালবাসা কর্পূরের মত উড়ে গেলেও ভুক্তভোগী হয়ে থাকতে হয় এই সংসারেই। সংসার মানেই যেন ভালথাকার অভিনয়। বাস্তবতার দাবিতে পিতা অার কন্যার মাঝে নেমে অাসে নির্মম বিচ্ছেদ । সমাজসচেতন শিল্পী যেন এসব সত্যই তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
Enjoyed reading. Even though some of the character have a lot of similarity with different other character of Humayun sir's other books. I shouldn't mention anything here because people may lose interest to read one of the interesting books.
Was this review helpful to you?
or
সে ও নর্তকী বইটি (উপন্যাস) হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি জনপ্রিয় বই (উপন্যাস) । বইটিতে লেখক খুব সহজ সরল ভাবে ঘটনাবলি উপস্থাপন করেছেন । বইটির কাহিনি আসাধারন । আমার কাছে বইটি খুবই ভালো লেগেছে । বইটি পড়ার সময় আমি প্রতিটি মুহূর্তে পুলকিত হয়েছি । হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা বরাবর-ই আমার খুবই ভালো লাগে । এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয় । বইটি পড়তে পারেন ,আমার মনে হয় বইটি(উপন্যাস) পড়ার পর আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে...............।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-সে ও নর্তকী লেখক- হুমায়ুন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা- ১২৯ মূল্য-১৬০ অন্বেষা প্রকাশ .... স্বাতীর আজ জন্মদিন। তার বাবা নাজমুল সাহেব মেয়ের ২১ বছরের জন্মদিনে, ২১ রঙের ২১ টি গোলাপ হাতে দরজায় টোকা দিয়ে বললেন, শুভ জন্মদিন মা। কিন্তু স্বাতী দরজা খুলল না। তার বাবাকে বলল চলে যেতে। বলার সময় মেয়ের কন্ঠ টা কেমন জানি চাপা শুনাচ্ছিল। তিনি সংকিত হলেন এই ভেবে, মেয়ে বোধ হয় কাদঁছিলো। শুকনো মুখে ফিরে এলেন। স্বাতীর মা রওশান আর টেবিলে চায়ের পট নিয়ে বসেছিলেন মেয়ের জন্মদিনের সকালে সবাই মিলে চা খাবেন। কিন্তু মেয়ের বাবা কে একা ফিরতে দেখে তার ভ্রু কুচকে গেল। ২০ মিনিট যাওয়ার পরও যখন স্বাতী নামল না তখন রওশান আরা মেয়ের ঘরের দিকে আগালেন। মেয়ের দরজা খোলা । গিয়ে দেখেন স্বাতী, সাদা ফুল দেয়া নীল শাড়ি পড়েছে। মুখ হাসি হাসি। মাকে বলল বাবাকে গিয়ে বল আমি কাদছি, বাবা এসে আমাকে দেখে চমকে যাবে। রওশান আরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললেন। যাওয়ার সময় স্বাতী বলল তার বন্ধবী লিলি কে একটা চিঠি লিখেছে, এটা যেন ড্রাইভার দিয়ে আসে। রওশান আরা স্বামী কে উপরে পাঠিয়ে ড্রাইভার এর খুজে গেলেন। নাজমুল সাহেব তার মেয়েকে দেখে খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেলেন। ছোট বেলায় যেভাবে তার মেয়ে ঝাপিয়ে পরতো, ঠিক তেমনি স্বাতীও তার বাবার কোলে ঝাপিয়ে পরলো। নাজমুল সাহেব জড়িয়ে ধরেছেন তার মেয়ে কে। আর বলছেন, মাই লিটল ড্যান্সার, আমার ছোট নর্তকী, হ্যাপী বার্থ ডে টু ইউ। লিলি দের যৌথপরিবার। ভোরবেলাই পুরো বাড়িতে হইচই।বর্তমান বাড়িটা লিলির দাদার বানানো। দেখতে যেমন কুৎসিত, বাড়ির নাম ও কুৎসিত -রহিমা কুটির। লিলি তার বাপ চাচার মতো পিতৃভক্ত মানুষ দেখেনি। কী অসীম শ্রদ্ধা ভক্তি! লিলি তার মায়ের কাছে রান্না ঘরে গেল। আর তখনি রুমু তাকে চিঠিটা দিলো। লিলি তার মায়ের কাছে জানতে চাইলো। স্বাতী দের বাড়ি যাবে কিনা? তার মা, বাবা কে বলতে বলছে। লিলির বাবা শুনে ধমকে উঠলেন বললেন, বুড়ি ধাড়ি মেয়ের আবার জন্মদিন কিসের। ছুটির দিন বাসায় থাকবি বাইরে যাওয়ার কোন মানে হয় না। লিলি তার বাবার সামনে থেকে চুপ চাপ সরে গেল। স্বাতী ভেবেছিলো তার জন্মদিনে লিলিকে ব্যপারটা বলবে। শুনে লিলির চোখ বড় করে ফেলবে। আতঙ্কে তার মুখ শাদা হতে থাকবে। নিজের আতঙ্ক অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিলে আতঙ্ক কিছুটা কমে যায়। সে কয়েক বার বলবে, এখন কি হবে রে..? এটা শুনে লিলি আরো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যাবে। পাঠকেওও আতঙ্কে নীল করে দিবে স্বাতীর এই অন্যায় টা। সে যে কত বড় অন্যায় করেছে, তার সমাধান কি হবে এখন..!? গল্পের মোড়ে তখন আতঙ্কের ঢেউ। লিলি কিছুই বুঝতে পারে না , সে জানে স্বাতী অনিশ্চিত অন্যায় এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার ফেরাবার উপায় নেই। আবার স্বাতীকেও সে ছেড়ে যেতে পারবে না। এরকম টানাপোড়ন এর মাঝে পাঠককেও পরতে হবে। উল্ল্যেখ যোগ্য চরিত্রে আছেন একজন শিল্পী ও তার বাচ্চা মেয়ে জাহিন। যেভাবেই এগিয় যাক, বইয়ের শেষে পাঠকে কে লেখক সুখ ও দুঃখের মিশেলে একটা অনুভূতি দিবেন শেষ দিকে কিছু কথা কাটা হয়ে থাকবে পাঠক এর গলায়। পুরো উপন্যাস জুড়ে যে শংকা টা কাজ করবে তা শেষের দিকে স্থিমিত হয়ে যাবে। আগে যে টা না হউক বলে পাঠক চাইবে। শেষ দিকে এই কাজটাকেই অবদারিত ভাবেই আশা করবে। "সে ও নর্তকী" হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যতম উপন্যাস। বাংলাসহিত্যের এক উজ্জল কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। তিন শতাধিক সৃষ্টির স্রষ্টা তিনি। পাঠক মন জয় করেছেন তাঁর অসাধারন কতো গুলো উপন্যাস, নাটক, গল্প দিয়ে। তিনি উপন্যাসের চরিত্র গুলো কে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেন, মনে হয় বই পড়ি নি, সিনেমা দেখেছিলাম। অসাধারন এই উপন্যাস টি তে আমি পেয়েছি কিছু মুহূর্ত। আরও লিটল ডেন্সার আর পিচ্চি জাহিন কে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ার পর উপহারস্বরূপ দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়েছিল আমার। মানব মনের হাহাকারগুলো ছাপার অক্ষরে নিখুঁতভাবে প্রতীয়মান। স্বাতি এবং লিলি দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। দুজনেই ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। স্বাতি ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো নাচ জানে। তার বাবা আদর করে ডাকে লিটল ডান্সার, ছোট্ট নর্তকী। সেই ছোট্ট নর্তকী হাসানাত নামে একজন চিত্রকরের সাথে প্রণয়ঘটিত ভুলে জড়িয়ে যায়। হাসানাতের ছোট্ট মেয়ে জাহিনের মনে মায়ের অভাব দূর করার স্বপ্ন দেখে। লিলি সবকিছু জেনে তার পাশে দাঁড়াতে না চাইলেও বন্ধুত্বের আবদারে সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয়। হঠাৎ স্বাতি নিজেই বেঁকে বসে। লিলিরও বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। জাহিনের মা আমেরিকা থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে আসে। শুন্য হয়ে যায় হাসানাত। অদ্ভুত এক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় স্বাতি, লিলি, জাহিন, হাসানাত। গল্পের শেষ ৫/৬ টি লাইন একজন পাঠককে একটু সময়ের জন্য হলেও কাঁদিয়ে ছাড়বে। প্রচণ্ড এক শুন্যতায় ভোগাবে।