User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By MD. ABU KAHLID

      24 Mar 2022 10:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ***

      By Mahmud Hasan Khan

      18 Jun 2012 04:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লাগছে কাছের একজনের একটি বই রকমারীতে দেখতে পেয়ে। আগের অর্ডারগুলো দেবার সময় খেয়াল করিনি, এবার একটা কিনে ফেলবো ইনশাল্লাহ।

      By King's Of Roy

      12 Apr 2012 06:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষ বরাবরই বন্দি হয়ে যায় ভালোবাসার মহাজালে। সেটা শূন্য থেকে শতক বয়স হোক, অনুভূতিতে হোক, ঘৃণা কিংবা অপরাগতায় হোক। কোন না কোন ভাবে সে, কোন না কোন সময় ভালবাসার মায়ায় বাধা পড়ে। সেই রকম বাঁধন, স্বপ্ন, কিংবা আশা বা বিমুর্ত কিংবা হৃদয়স্পর্শী বিষয় গুলো হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়। সেরকম কিছু গল্প নিয়েই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এস. এম পাশার সম্পাদনায় গল্পগ্রন্থ অবন্তি। বিভিন্ন বয়সী ১৪জন লেখকের ১৪টি গল্প দিয়েই সাজানো হয়েছে এ গ্রন্থটি। স্মৃতি নৌকার আস্ফালন, হৃদয়ের টানাপোড়েন, কিংবা সম্পর্কের সং খেলার কথা উঠে এসেছে গল্পগুলোতে। বিভিন্ন বয়সী পাঠকের বোধকে নাড়া দেবার জন্যই অবন্তী’র সম্পাদক বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন বয়সী লেখকদের লেখা। বিভিন্ন মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৪জন নক্ষত্রের রচিত সমসাময়িক গল্পগুলোই এখানে স্থান পেয়েছে। অবন্তি’র প্রথম গল্পটি’ “কালের বিবর্তন” লিখেছেন জ.ই মানিক। “কালের বিবর্তন” রোমান্টিক ধাচের গল্প। প্রেম বয়সের অবাধ্যপ্রেম বাধ্য করায় অনেক কিছু। আবেগের বশে কত কি যে হয়ে যায়। কিছু প্রেম থেকে যায় যতেœ থাকা ফ্রেমের মতো। কিছু প্রেম ছুটে যায় অপরগতায় সে রকম একটা প্রেম কথা নিয়েই এই গল্পটা। পরিত্যক্ত এক রেল ষ্টেশানের পাশেই কোন কারন বশত থেমে যায় সুন্দরবন এক্সপ্রেসটি আর সেখানেই হঠাৎ করেই দেখা হয় পুরোনো প্রেমিকের সাথে আর তখনই সমস্ত স্মৃতি এসে ভর করে প্রেমিকের মনে। বিবর্তনের সাথে পাল্টে যাওয়া মনও এক সময় আধারে আলো খুজে ফেরে কিন্তু স্মৃতি বড় নির্মম। আদর্শ প্রেমিক হওয়া সম্ভব কিন্তু অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে জীবনকে কষ্টদায়ক কাঠগড়ায় দাড় করানো যায়না এই গল্পে সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। গল্পটির শুরুতে আরেকটা গল্পের গন্ধ লেগেছিল যারা কোন ডালপালাই মেলেনি ছোটগল্পে যা সাদৃশ্য না থাকলেও চলে। গল্পগ্রন্থের ২য় গল্পটি লিখেছেন ফারহানা নুসরাত। গল্পটির শিরোনাম “হৃদিতা ও তার বাবা”। ফারহানা নুসরাতের গল্প এর আগেও পড়েছি আগের চেয়ে লেখায় অনেক পরিপক্কতা এসেছে। যদিও নতুন কোন বিষয়বস্তু স্থাপন করতে পারেননি লেখায়। পিতা ও কন্যাকে নিয়ে এ গল্পটাতে তিনি সুন্দর ভাবেই কাহীনি বিন্যাস করেছেন। আমাদের চির পরিচিত “সম্পর্ক স্থগিত” বিষয়টিকে নিয়েই গল্পটি লেখা। গল্পে দেখতে পাই ভালোলাগা থেকে বিয়ে হয় ফরহাদ ও শাহানার তারপর মনমালিন্য থেকে ছাড়াছাড়ি দুজনার। আইনিভাবে তাদের একমাত্র সন্তান হৃদিতাকে দেখাশোনার ভার পায় শাহানা কিন্তু হৃদিতা গভীর ভাবে ভালোবাসে তার বাবাকে। প্রতি মাসে একবার বাবাকে দেখতে পাবে, ঘুড়তে পাবে। তার বাবাও তাকে অনেক ভালবাসে। এই গল্পে গল্পাকার খুব আবেগ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন পিতা ও কন্যার গল্পচিত্র। “আংটি” গল্পটি এই বইয়ের ৩য় গল্প। মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী লিখেছেন এ গল্পটি। গল্পটির মূল চরিত্রে আছে মাহমুদ ও অস্পরা দুজনে স্বামী ও স্ত্রী। তাদের সাংসারিক কথাই গল্পে উঠে এসেছে। মাহমুদ সাহেবের সঙ্গীত প্রীতিই এ গল্পে পললে পললে দেখতে পাই যদিও গল্পের বিষয়বস্তু এটি নয়। গল্পে দেখতে পাই সঙ্গীত প্রিয় মাহমুদ সাহেব গান শুনতে শুনতে হারিয়ে যান ১০ বছর আগের স্মৃতিতে, যেখানে গল্পে ফুটে উঠেছে একটি নিভূল প্রেমের কাহিনী। কমন এ প্রেম গল্পে যদিও নতুনত্ব বলতে কিছুই নেই তবে সরল প্রেম হয়তো অনেক পাঠককেই দোলায়িত করবে। গল্পে দেখতে পাই মাহমুদ গোপনে ভালোবেসে অস্পরাকে বউ বলে মেনে নেয় কিন্তু অস্পরার বাবা তাতে চাপ সৃষ্টি করে পরিশেষে আরেকবার ভালবাসার জয় হয়। এবং পরিশেষে গানের লিরিকস দিয়ে গল্পের সমাপ্তি। আমার মনে হয় গল্পে লিরিকসের আধিক্য গল্পটার অলংকরনকে কিছুটা ঝাপসা করেছে। “দুটি গল্প” শিরোনামে ইশতিয়াক ইসলাম খাঁন লিখেছেন অবন্তী গল্পগ্রন্থের চতুর্থ গল্পটি। তিনি বোধহয নতুন লেখালেখি শুরু করেছেন লেখায় তারই স্পষ্টতা দেখা যায়। দুই অংশের গল্পে প্রথম অংশ প্রেমের পরের অংশ দেশের। প্রেমের অংশ খুব দ্রুত দৃশ্যপট বরন করেছে তাই বিষয়বস্তু পরিপক্ক হয়নি। ২য় অংশে এসেছে ধেশের কথা, উন্নয়নের কথা ও দুর্নীতি, মুক্তিযুদ্ধ সব মিলিয়ে একটি ছোট গল্পে এতসব কিছু গল্পটাকে অন্যরকম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সবচে’ লক্ষ্যনীয় বিষয় গল্পে ইংরেজী শব্দের ব্যবহার গল্পটার মোহময়তা কমিয়ে দিয়েছে। তবে বলা যায় কিছু পাঠক হয়তো এরকম গল্পই চায় সে ক্ষেত্রে বলা যায় এটা সমসাময়িক গল্প লেখার ষ্টাইল। এই গল্পে খুব সাহসী উচ্চারনে উঠে এসেছে শেষ লাইন- গল্পের নায়ক এ.কে ফোর্টি সেভেন দিযে দুর্নীতিবাজদের মারতে চার যদি সেখানে নিজর বাপ, মাও থাকে কুছ পরোয়া নেহি। অবন্তি’র পঞ্চম গল্পটি- খুনোখুনির গল্প। সুন্দর বিন্যাসে রচিত গল্পটি উত্তম পুরুষে উপস্থাপন করেছেন রেজওয়ান মাহবুব তানিম। তিনি বর্তমান সমযের একজন লেখক। গল্পটির শিরোনাম “দুটো খুন এবং কিছু স্বপ্ন”। শিরোনাম থেকেই গল্পের বিষয়বস্তু আন্দাজ করা গেলেও গল্পের ভাজে পাই অন্যরকম এক খুনগল্পের আভাস। বাড়ীর মালী কর্তৃক বিভৎস ভাবে খুন হয় গৃহকর্ত্রী সোমা। সেখানে বাধা দেয় বাড়ীর আরেক গৃহপরিচারক সেইও খুন হয়। গল্পের বুননে গল্পটা বাস্তবময় হয়ে উঠেছে। তবে গল্পটি যিনি বয়ান করেছেন তার চরিত্রটি গল্পে ষ্পষ্ট নয় আর গল্পে এটাই একটা অন্যরকম ভাব সৃষ্টি করেছে। এই গল্পগ্রন্থের সবচেয়ে বেশি অক্ষরযুক্ত গল্পটির নাম “চোখের আঙ্গিনায় চোখ পড়ে রয়”। রোমান্টিক ধাচের একটি সরল প্রেমের গল্প। পৃথীবিতে সত্য প্রেম বা ভালোবাসা গুলোর সমাপ্তি যে সুখকর হয়না এটা যেন তারই আর এক দৃষ্টান্ত। গল্পের নায়ক ফটোগ্রাফার। পরিচয় সূত্রে একই প্রজেক্টে কর্মরত কান্ত সুশিকে ভালোবাসে। যদিও গল্পে কোথাও প্রেমের প্রতিফলনটা সরাসরি নেই তবুও গল্পের ভাঁজে ভাঁজে ছিল প্রেমময় আমেজ। এই ঝিম ধরা গল্পটা কাব্যিক মাত্রায় অনুরক্ত হয়েছে। গল্পের শেষাংশে এর মরন বিচ্ছেদের আভাস পাওয়া যায়। সুশীর মৃত্যু গল্পটাকে বিষাদময় করে তোলে। সত্যিকার প্রেমে যে কতটা জলন্ত সেটাই লেখায় ফুটে উঠেছে। গল্পের শেষে চমক থাকে গল্পের নায়ক সুশির মতোই অন্য আরেক জনের দেখা পায়। সুশিকে হারিয়ে উন্মাদপ্রায় কান্ত’র চন্দ্রগ্রহন যেন কাটতে শুরু করে তখন। গল্পে বেশ কিছু অংশে বানান ভুল গল্পের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। লেখার দুয়েক জায়গায় তালও ছুটে গেছে তারপরও গল্পের কিছু বাক্যবিন্যাস গল্পটাকে ধরে রেখেছে আর তাই গল্পের মুল চরিত্রা সুশী’র মতো বলতে হয়: পৃথিবীটা খুব বড় নয়; চোখ পড়ে রয় চোখের আঙ্গিনায়, বাকী থাকে শুধু মনের ইচ্ছেটা; যদি সেটা টিকে থাকে তো পুনরায় দেখা হয়। কৃষ্ণ কুমার গুপ্ত’র লেখা নিষাদের অর্ধ দিবস। গল্পগ্রন্থের সপ্তম গল্প এটি। নিষাদ-নীলিমার এক পক্ষিয় ভালোবাসার গল্প। ভালোবাসা পাবার আশায় নিষাদের পথচলা। এ যেন তরুন জীবনের প্রথম প্রেমের ছবি। গল্পে দেখতে পাই প্রেম ভালোবাসায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ যতোটা ফাষ্ট বাঙালী ততটা পারেনা তাদের কাছে বিবেক বড় শক্ত। লেখক বর্ণণা শৈলী দিয়ে গল্পটা প্রেমময় করে দিয়েছেন। গ্রাম্য ছেলে আমীর উদ্দিন বি,এ পাশ বেকার। শহরে আসে চাকররি খোঁজে। চাকরী নামক সোনার হরিন তাকে নানারকম যন্ত্রনায় দগ্ধ করে। বিভিন্ন রকম বিড়ম্বনায় পড়েও আমীর উদ্দিন ধৈর্য্য হারা হয়না। গল্পে দেখা যায় প্রকৃতির পাশবিক ও মানবিক অত্যাচারে ক্লিষ্ট আমীর উদ্দিনের মনকে নাড়া দেয়। এই গল্প পাঠকেকেও নাড়া দেবে। পাঠক গল্প পড়তে গিয়ে হয়তোবা এই চরিত্রের ভেতরেই ঢুকে যেতে পারেন। লেখক যেন চরিত্রের ভেতর দিয়ে নিজেই বর্ষাবৃষ্টি কিংবা খিদের জ্বালা ভোগ করেছেন। এই গল্পটি লিখেছন জেড. এইচ সৈকত আর এই গল্পটির নাম; শৈশবের বৃষ্টি ও বর্ষাকাহন। দেশের হাজার তরুনের বেকারত্বের গল্প এটি। অবন্তী গল্পগ্রন্থে তাশনিম মাহমুদের লেখা “একটি গল্প লিখতে চাই” গল্পটি একটি অন্যরকম গল্প। গল্পটি লেখা হয়েছে একজন লেখক ও তার লেখনিকি ঘিরে। গল্পে আমরা দেখতে পাই একজন লেখক তার লেখার তাগিদে বিভিন্ন রকমের অনুভূতি গ্রহন করে বিভিন্নভাবে। গল্প চরিত্রায়নে সে তার স্ত্রীকে ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেয়। একদিন সেই লেখকের হাত থেকে কিছুতেই আর লেখা আসে না তার প্রিয় স্ত্রী তাকে বিভিন্নভাবে লেখালেখির বিষয়বস্তু তুলে দিলেও তার মনঃপুত হয়না। শেষ পর্যন্ত লেখক মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় সে তার স্ত্রীকে নিয়েই গল্প লেখবে। গল্পের পরিশেষে আমরা দেখতে পাই উন্মাদ প্রায় এই লেখক তার স্ত্রাীকে হত্যা করে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেয়। তাশনিম মাহমুদ খুব দক্ষ হাতে গল্পটি অবতারনা করেছেন। গল্পের বিষয়বস্তু পাঠককে মুগ্ধ করে রাখবে। গল্প গ্রন্থের দশম গল্প বোনের জন্য ভালোবাসা বা একটি হারানোর গল্প লিখেছেন অনবদ্য অনিন্দ্য। গল্পের মুল চরিত্র আরিফ তার প্রিয় বোনকে ভালোবাসে কিন্তু তার সেই প্রিয় বোন বর্তমান সময়ের ইভ টিজিংয়ের স্বীকার হয়ে আতœ হনন করে। ছোট্ট পরিসরে সাময়িক প্রেক্ষপটে রচিত হয়েছে এ গল্প। ফাতেমা প্রমি’র লেখা জলপরি শিরোনামের গল্পটা দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে গেছে কিন্তু দু’এক জায়গায় গল্পের মাপকাঠি দ্রুততর প্রয়োগ করায় একটু খাপছাড়া হয়েছে। তা, না হলে বলা যায় বর্তমান সময়ের সামাজিক অবক্ষয়ের উপর নির্মিত একটি পারফেক্ট গল্প হতে পারতো। গল্পলেখিকা ফাতেমা প্রমি গল্প বেশ ভালোই সাজাতে পারেন। এ গল্পটি দীর্ঘায়িত হলো বেশ হতো। এক অভাবী মেযের মডেল হওয়ার গল্প এটি। যেখানে আমাদের আশ-পাশের মিডিয়া জগতের দামী মুখোশ আঁটা নর শয়তানদের মতো একজন আন্ডারওয়াল্ড ডনের দেখা পাই। সুযোগ সন্ধানী সে শয়তান তার ব্যবসা দীর্ঘায়িত করে মেয়েদের সম্ভ্রমকে সম্বল করে। পরিশেষে দেখতে পাই ব্যর্থ সেই সুযোগ সন্ধানী সর্বস্ব লুটতে গিযে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করে ও শেষপর্যন্ত লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যায় কেননা দেশে যে এইসব ব্যাপার আজকাল পানিভাত সেই চিত্রটিই ফুটে উঠেছে গল্পে। অবন্তী গল্পগ্রন্থে অবন্তী নামক গল্পটি লিখেছেন নীলসাধু। কাব্যিক অলংকরন লেখায় বেশ স্বতন্ত্র ধারা সৃষ্টি করেছে। গল্পটি মুলত প্রেমের গল্প। ফেসবুক ফ্রেন্ড থেকে প্রেম অতপর বিয়ে এবং পরিশেষে বেদনাসূচক ভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় গল্পের নায়কের মৃত্যু। গল্পে পঠিত কবিতা গুলো গল্পকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। “কম বয়েসী যুবা, আলোকচিত্রী এবং মিথিলা” এই গল্পটি কবির য়াহমদ এর লেখা। উত্তম পুরুষে গল্পটি গল্পবয়ানের মতোই পরিস্ফুটিত হয়েছে যেখানে লেখক চরিত্র অংকন করেছেন গল্পের প্রয়োজনে গল্পটা চলেছে বয়ানের মতো করেই। যেন অনেকটা স্বপ্নে প্রকৃতি দর্শন করা হচ্ছে। যুবা বয়সের এক আলোকচিত্রী ফুল প্রকৃতির সাথে সাথে মিথিলা নামক এক মানবীর প্রেমে পড়ে যায়। পুরো গল্প জুড়েই শয়নে জাগরনে সেই মিথিলী ঘুড়ে বেড়ায় পরিশেষে আলোকচিত্রীর মন প্রকৃতিতেই সমর্পিত করে। লেখক বাক্য গঠনের দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে সব পাঠক এমন লেখা পড়তে গিয়ে হয়তো মাঝে মাঝে থেমে যেতে পারে তাই বলা যায় গল্প লেখক বিষয়বস্তুকে আরেকটু সহজ করে লিখেলে গল্পটা খোলতাই হতো। গল্পগ্রন্থের সর্বশেষ গল্পটি লিখেছেন এস.এম.পাশা। গল্পের শিরোনাম- পোট্রেটঃ অন্ধকারে মানুষের মুখ। আলো আধারী আর স্মৃতিকাহনে গল্পের শব্দশৈলী গল্পকে নতুন আঙ্গিক ও বুননে স্বতন্ত্র ধারা দিয়েছে। পাঠক গল্পের ভেতরে মিশে গিয়ে নিজেকে গল্পের চরিত্রের সাথে মিশে যেতে পারবে। গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে চৈতি নামের এক যুবতী যে কিনা নিজেকে লাগাম ছাড়া ভাবে নিজেকে নিয়ে তাই ডুব দেয় সানবান্ধার ঘাটে। তার চির পরিচিত সানবান্দা ঘাটের মানুষ গুলোর কথাই ফুটে উঠেছে গল্পে। কষ্ট জয় করা স্বামী হারানো সুহেলীর কথা জানতে পারি, যে কিনা ফেরিতে দোকান করে মা, ভাইয়ের দেখাশোনা করে। গল্পে উঠে এসেছে বিয়ে পাগল মনসুর আলীর কথা। এসব মানুষ গুলো সম্পর্ক থেকে ছিটকে পড়েও নিজেকে নিয়ে বেচে আছে। চৈতি সে নিজেও সম্পর্ক থেকে ছিটকে পড়ে নিজেকে ওদের সাথে মাপে শেষ পর্যন্ত সেও নতুন করে বাচার কথা ভাবে। মানুষ তার ভবিষ্যত জানেনা সেটা অনেকটা অন্ধকারের মতো। অন্ধকার কল্পনা করা যায় কিন্তু তার নতুন কোন রুপ দেয়া যায়না। কুব সুন্দর যৌক্তিকতা দিয়েই লেখক তার গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। সবগুলো গল্প পাঠপ্রক্রিয়ার পর বলা যায় অবন্তী বইটি আরো ভালো হতে পারতো। নিজেদের রচনার ভীত আরো মজবুত হবার জন্য ক’জন লেখকের লেখার প্রতি আরেকটু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। পরিশেষে অবন্তির পাঠক প্রিয়তা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সকলের শুভকামনা করি। আশা রাখি পরবর্তি সময়ে আরো নতুন সব লেখায় মুগ্ধ হব।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!