User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিল তবে নতুনদের জন্য না।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধির যোগান দিয়েছে যে বইগুলু নিঃসন্দেহে এটি তাদেরই মধ্যে পড়ে!
Was this review helpful to you?
or
True Masterpiece
Was this review helpful to you?
or
কবি প্রখ্যাত সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৪৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। কবিয়াল, ঝুমুরদলসহ সেই সময়ের জীবনযাত্রার প্রেক্ষিতে এই বিখ্যাত উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। এই কবি পড়তে গিয়ে যে অনুভূতি হলো! একটা চাপা বেদনা মনের ভেতর আটকা পড়ে গেল! উপন্যাসটির পরতে পরতে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার নিগূঢ় বাস্তবতাকে ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে। অদ্ভুত এক শুন্যতায় ডুবে গেছি বইটা শেষ করে। বিরহ মিলনের অন্তর্লীন ভালোবাসার জীবন্ত বাণী তারাশঙ্করের এই উপন্যাস। বাংলার নিচু শ্রেণীর মানুষ আর তাঁদের সমাজের প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাস। হিন্দু সমাজের সবচেয়ে নিচু স্তরের এক কবিয়াল, যার পূর্বপুরুষেরা সবাই ডাকাত। আর এই কবিয়ালের জীবনের দুই নারী আবির্ভাব, আর তাদের দুই ধরনের আকর্ষণ। বাবুরা রীতিমত অবাক- 'ডোমের ছেলে পোয়েট!' নিতাইচরণের পারিবারিক পেশা ছিল ডাকাতি হলেও সে হল অন্যরকম। নিতাই এর কবিত্ব প্রতিভা অনেকটা ‘গোবরে পদ্মফুল’র মতোই অবস্থা ছিলো।কবি প্রতিভাকে নিতাই স্রষ্টাপ্রদত্ত অলৌকিক এক জ্ঞান মনে করেছিল। এই উপন্যাস যেমন জানিয়েছে সমাজের তথাকথিত নীচুস্তরের মানুষগুলোর বৈচিত্রময় জীবন-যাপন, তেমনি শুনিয়েছে বেঁচে থাকার অকৃত্রিম তাগিদে মানুষের বেছে নেওয়া কিছু অন্ধকার পথের গল্প। তবে সব ছাপিয়ে এ কাহিনী আমাদের কাছে ধরা দেয় প্রেমের বিচিত্র বাণী নিয়ে। কিভাবে সময়ের পরিক্রমায় মনের গভীরে ভালোবাসা সুপ্ত হয়ে যায়, আবার কিভাবে নতুন রূপে, নতুন ভাবে জেগে ওঠে বিশাল বেদনা নিয়ে। দেখিয়ে দিয়েছে ভালোবাসার বিভিন্নতা। এই উপন্যাসটি লেখক নিতাইয়ের জীবনকে কেন্দ্র করে লিখলেও এখানে উঠে এসেছে ঠাকুরঝির কষ্টের কথা, ঝুমুরদলের প্রত্যেকটা মানুষের কষ্টের কথা। কিভাবে একজন দেহব্যবসায়ী নারী, নিতাইকে পূর্ণাঙ্গ কবিয়াল করে তোলে। সেই ছবি লেখক স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঠাকুরঝি আর বসন্ত উপন্যাসের জীবন্ত দু'টি চরিত্র। কারো সাথে কারো মিল নেই। অথচ দু'জনই জীবনের প্রয়োজনে ভালোবেসেছে, সমাজের প্রয়োজনে বিসর্জন দিয়েছে। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় মানুষের জীবনকে কত বৈচিত্র্যের মুখোমুখি হতে হয়, কত স্বপ্নকে পিষতে হয় ভাগ্যচাকায়। কত হাহাকার নিয়ে বেঁচে থাকা শিখতে হয়। উপন্যাসটা আমার কাছে বাস্তব। আমার প্রিয়... "এই খেদ আমার মনে মনে। ভালোবেসে মিটল না আশ - কুলাল না এ জীবনে। হায়,জীবন এত ছোট কেনে? এ ভুবনে?" একজন শক্তিশালী কবিয়ালের এই অভূতপূর্ব উচ্চারণ। চিরকাল মানুষের স্মরণে থাকবে। এ তো ভুলে যাওয়ার নয়..
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ একটা উপন্যাস....
Was this review helpful to you?
or
সময় বহে যায় তার আপন ধারায় কালে কালে গতি মোড় নেয় নানান দিকে কখনো সেই মোড় কারো ইতি বাচক পরিবর্তন আনে কখনো বা নেতিবাচক। তেমনি মানুষের জীবন ও কালে কালে নানান দিকে মোড় নেয়। হোক সেটা ইতিবাচকবা নেতিবাচক তবু তাঁকে লড়াই করে পাড়ি দিতে হবে জীবন নামক পুলসেরাত। আর কবি উপন্যাস পড়ে তাই মনে হলো....... আসবে, আসুক কালের ঝড় তুপান তবু টিকে থাকবোই
Was this review helpful to you?
or
"জীবন এতো ছোট কেনে?"-মানবজীবনের বড় আক্ষেপের প্রতি প্রশ্ন তুলে লেখক শেষ করেছেন "কবি" উপন্যাসটি। কবি উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র রূপায়নে দেখিয়েছেন অনন্যতা। ডোম বংশের ছেলের কবিয়াল হয়ে ওঠার পেছনের গল্পটি সত্যি চমকপ্রদ। বংশানুক্রমিকভাবে যাদের পেশা ছিলো ডাকাতি,সেই ডাকাত বংশের ছেলে ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা থেকে কবিয়াল হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। তাই শুরুতেই লেখক বলেছেন,"শুধু দস্তুরমত একটা বিস্ময়কর ঘটনাই নয়য়,রীতিমতো একটা সংঘটন। চোর ডাকাত বংশের ছেলে হঠাত কবি হইয়া গেল। " মায়ের অনুরোধ কিংবা মামার শাসন নিতাইচরণকে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি৷ অট্টহাস গ্রামের চামুন্ডার পুজোয় মেলা হয়। সেই মেলায় হয় কবিগান। একজন কবি সেখানে অনুপস্থিত থাকায়, নিতাই সেখানে গান করার সুযোগ পায়। যদিও সামনের অভিজ্ঞ কবিয়ালের কাছে তার পরাজয় ঘটে বটে,তবে গ্রামের মানুষদের কাছে "ডোমের ছেলে কবি" হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। নিতাই স্বপ্ন দেখে,তাকেও লোকে সম্মান করবে কবিয়াল পরিচয়ে, ডোম হওয়ায় কেউ তাকে আর তুচ্ছ করবেনা। সে আপনমনে কল্পনা করতে থাকে,লোকে দূর দূরান্ত থেকে তার খোজে আসছে, তাকে কবিগানের জন্যে নিয়ে যাবে বলে। স্টেশনের কর্মচারী রাজার বদৌলতে সে কুলিগিরি করতো,আর রাজা তাকে ভালোবেসে "ওস্তাদ" বলে ডাকতো। সেখানে পরিচয় হয় রাজার আত্মীয় "ঠাকুরঝির" সাথে। কালো বর্নের ঠাকুরঝিকে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলে নিতাই৷ঠাকুরঝিকে ভেবে কিছু কবিতা,ছন্দও লেখে সে। আবার নিতাইয়ের জ্ঞানচর্চা,কবিগানের প্রতি মুগ্ধ ঠাকুরঝিও একসময় ভালোবেসে ফেলে নিতাইকে।'স্বর্ণশীর্ষবিন্দু কাশফুল' উপমায় ঠাকুরঝিকে প্রকাশ করেছে নিতাই। স্নিগ্ধ, সরল স্বভাবের ঠাকুরঝি চুপচাপ ভালোবেসেছে নিতাইকে। কিন্তু ঠাকুরঝি যে বিবাহিত। তার নিজের সুখের সংসার আছে। তবুও নিতাই তাকে ভুলতে পারেনা৷ একসময় জানাজানি হলে ঠাকুরঝির সুখের কথা ভেবে ঝুমুর দলের সাথে নিতাই চলে যায়। ভাবে চোখের আড়াল হলে ঠাকুরঝি তাকে ভুলে যাবে, সুখে থাকবে। ঝুমুরদলের নর্তকী বসন্তের কারনে তার কবিগান আরো বিকশিত হয়,তার নাম ডাক ছড়িয়ে পরে চারদিকে। মন্দিরের মোহান্তের কথা- 'চিন্তামনি বেশ্যা সাধক বিল্বমঙ্গলের প্রেমের গুরু' নিতাইকে উৎসাহিত করে বসন্তের প্রতি তার ঘৃণা মুছে ফেলতে।তাই বসন্তের তার প্রতি ভালোবাসা দেখে একসময় গাটছড়া বাধে বসন্তের সাথে৷বসন্তকে নিতাই শিমুলফুলের সাথে তুলনা দিয়েছিল। মেয়েটি বাইরে যতোটা উচ্ছ্বল স্বভাব দেখায়,ভেতরটা তার ততোটাই কষ্টে জর্জরিত, রক্তাক্ত। একসময় দুরারোগ্য ব্যাধিতে বসন্তের মৃত্যু হলে হতাশ নিতাই পাড়ি জমায় কাশীর উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখানকার ভিক্ষার পেশা তাকে বাধনে বাধতে পারেনা। ফিরে আসে আবার তার পরিচিত লোকালয়ে। সেই স্টেশনে,যেখানে সে ফেলে গিয়েছে তার প্রিয় মানুষগুলোকে, ঠাকুরঝিকে। তারপর কি হয়েছিলো.. তা আমি বলবোনা। ঠাকুরঝির সাথে নিতাইয়ের পুনঃর্মিলন হয় কিনা, বা নিতাইয়ের কবিগানের কি পরিনতি হলো সেটুক জানার জন্যে বইটি পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
নিচু বংশে জন্মানো নিতাইচরণ গ্রামের সবাইকে চমকে দিয়ে কবি হয়ে ওঠে। সে কবিয়ালদের দোহার হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু গ্রামের পালাগানের আসরে এক প্রতিষ্ঠিত কবিয়ালের অনুপুস্থিতিতে তার সামনে সুযোগ খুলে যায় নিজের কবিয়াল পরিচয় গ্রামবাসীকে জানিয়ে দেয়ার। অভিজ্ঞ কবিয়াল মহাদেবের কাছে সেই দফায় হেরে গেলেও তার উদ্দেশ্য সফল হয়। বাবুরা রীতিমত অবাক-ডোমের ছেলে পোয়েট!নিতাইচরণের পারিবারিক পেশা ছিল ডাকাতি, কিন্তু সে হল অন্যরকম। এমনকি মায়ের অনুরোধ বা মামার শাসনের পরেও সে পড়াশুনো ছেড়ে ডাকাতির দলে নাম লেখায়নি। ঘরবাড়ি ছেড়ে স্টেশনে গিয়ে থাকে। এখানেই তার সাথে বন্ধুত্ব হয় স্টেশনের মুটে রাজার সাথে। নিতাইয়ের ওপর রাজার ভক্তি ও বিশ্বাস ছিল অগাধ। নিতাইকে সে ডাকত ওস্তাদ বলে। এদিকে রাজারই এক আত্মীয়কে ঠাকুরঝি বলে ডাকত সে। বিবাহিত ঠাকুরঝি রোজ এসে দুধ বিক্রি করে যেত। মেয়েটার গায়ের রং কাল ছিল বলে গ্রামের লোকজন তো বটেই রাজাও নানা কথা শোনাত। কিন্তু এই মেয়েটার জন্যই নিতাই এর মাথায় একটা পদ তৈরি হয়- কাল যদি মন্দ তবে চুল পাকিলে কান্দ কেনে? জীবনের সব জায়গায় অপমান পাওয়া ঠাকুরঝি এই পদ শুনে আন্দোলিত হয়। আর নিতাই এর মনে অসম্ভব জেনেও ঠাকুরঝির জন্য গভীর প্রেম জন্মায়। বিষয়টা জানাজানি হলে নিতাই গ্রামছেড়ে চলে যায়। নিতাই যুক্ত হয় ঝুমুরদলের সাথে। এই দল অশ্লীল গান-বাজনা করে এবং নারীরা গানের গানের সাথে নাচ করলেও তারা মূলত দেহোপজীবিনী। সে তার নিজের ভিতরকার কবিয়ালের সত্ত্বাকে চেপে রেখে এই দলের মত করেই গান রচনা করে। এখানে সে বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় বসন্ত (বসন) এর সাথে। বসনের মধ্যে সে ঠাকুরঝির ছায়া দেখতে পায়। দুজনের মাঝে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এই ব্যবসায় থাকলে নানা ধরণের রোগ হয়ে থাকে এবং তারই এক রোগে রোগাক্রান্ত হয়ে একসময়ে বসন্তও মারা যায়। শোকে কাতর হয়ে ঝুমুরদল ছেড়ে দেয় নিতাই। সে কাশীসহ অন্যান্য স্থান ঘোরে। মন না টেকায় আবারও সে নিজের আগের গ্রামে ফিরে আসে। রাজার কাছ থেকে জানতে পারে ঠাকুরঝি আর বেঁচে নেই, নিতাই গ্রামছাড়ার পরে সে উন্মাদ হয়ে মারা যায়। গভীর হতাশায় নিতাই বলে।
Was this review helpful to you?
or
কোনো বিশুদ্ধ প্রেমের গল্প নয় কবি উপন্যাস। এটি নিতাইয়ের কবি হয়ে ওঠার গল্প। হ্যাঁ , নিতাইকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।এখানে তার প্রতিটি গানের ইতিহাস রয়েছে। সে ইতিহাসের মূল কথা হল, নিতাইয়ের নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে গড়া, গড়তে গড়তে ভাঙা। . হিন্দু সমাজের পতিততম স্তরের অন্তর্গত ডোম বংশে জন্ম নিতাইচরণের । তার বংশের পেশা ছিল ডাকাতি করা। নিতাই তার বংশ পরম্পরার বাঁধন ছিঁড়ে নিজের পথ ধরতে চায়, হতে চায় স্বোপার্জিত সত্তায় চিহ্নিত। তখনো সে পথ খুঁজে পায়নি। শুধু জানতো যে, রাত্রির অন্ধকারে তার মামার রক্তে যে বুদ্বুদ সৃষ্টি করে ,তা থেকে মুক্তি পেতে হবে। . কাহিনীর প্রথমভাগে কবি তার বন্ধু রাজনের আত্মীয় এক ঠাকুরঝির প্রেমে পরে যায়। ঠাকুরঝি বিবাহিতা ছিল। প্রতিদিন দুধ বিক্রি করতে আসার সময় তাদের দেখা হতো ,রেলস্টেশনের কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশে দাড়িয়ে কখনও-কখনও খাওয়া হতো এককাপ চা। কৃষ্ণাঙ্গ ঠাকুরঝিকে দেখে নিতাই রচনা করে- কালো যদি মন্দ হয়, তবে কেশ পাঁকিলে কাঁদো কেনে? কালো কেশে রাঙা কুসুম হেরেছ কি নয়নে। ঠাকুরঝির প্রেমে রাধার ঐকান্ততা ছিল। একপর্যায় ঠাকুরঝি অসুস্থ হয়ে নিতাইয়ের জন্য পাগল হয়ে যায়, নিতাই তখন ঠাকুরঝি যেন সুখে থাকে, সমাজ কি বলবে এসব ভেবে চলে যায় গ্রাম ছেড়ে। . একসময় সে ঝুমুরদলের সাথে যোগ দেয় , সেখানে পরিচয় হয় বসন্ত নামের এক মেয়ের সাথে। এ অংশে ফুটে উঠেছে সমাজের নিম্নশ্রেণির চিত্র । অগাধ বাসনা, অদম্য জীবনশক্তি নিয়ে মারা যায় বসন্ত। তারাশঙ্করের প্রায় লেখায় জীবণচেতনা আর মৃত্যুচেতনা অর্ধনারীশ্বরীর মতো বিজড়িত। যে মানুষগুলো রাতের আলো আঁধারে বসন্তের নিকট আসতো তার দেহের মোহে, মৃত্যুর পর তারাই তাকে নরকগামী বলে আখ্যায়িত করে। মূলতো আমাদের সমাজের মুখোশধারী রূপকে এখানে মৃত্যুর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে নিতাই ভেবেছে-মরণ সত্যিই অদ্ভুত। গহনার প্রতি বসন্তের অনেক মমতা ছিল , সেই গহনা মাসি খুলে নিল মৃত্যুর পর। বসন্ত একটি কথাও বলল না।যার দেহে একটু ময়লা লাগলে সে মুছতো,একটু যন্ত্রণা যার সহ্য হতো না, সেই দেহখানা পড়ে ছাই হওয়ার পরেও তার মুখের একটুও বিকৃতি হল না। . পুরো উপন্যাসে নিতাই দুইবার দু’জনের প্রেমে পরে । দুই জনের প্রেমে দুই রকম চিত্র ফুটে উঠেছে কিন্তু কোনো প্রেমই হয়না সফল । দিনশেষে তারই লেখনীতেই ফুটে ওঠে- এই খেদ মোর মনে- ভালোবেসে মিটলো না সাধ , কুলালো না এ জীবণের। হায়- জীবণ এতো ছোট কেনে? এ ভুবনে? . কবি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
Was this review helpful to you?
or
শুধু ছন্দ মিলে গেলেই কবিতা হয় না, কিংবা দু-চার দশ লাইন লিখলেই কেউ কবি হয় না। কবির জন্য প্রয়োজন সাধনা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, ঈগলের মতো চোখ আর শৃগালের মতো চতুরতা। এই জিনিসগুলো তারাশঙ্করের "কবি" বইতে খুব স্পষ্টভাবে এসেছে৷ এখানে তারাশঙ্কর দেখিয়েছেন কবিশক্তির মূলপ্রেরণা। কিভাবে একজন কবি দূর্বলতা, দৈণ্যতা আর হীনতাকে জয় করে আত্মার মর্যাদাবোধ সৃষ্টি করে৷ প্রাণশক্তি আর প্রেমশক্তি কি করে গুমোট বেঁধে এক হয়ে যায়। কেন কবি হৃদয়ে ব্যথা থাকার পরেও দুঃখ তাকে ছোঁয় না৷ মহৎ, মঙ্গলময় আর পবিত্রতা কি করে কবিকে টানে৷ কবি কিরূপ জ্ঞানপিপাসু হয়, তার চরিত্র কতো দৃষ্টিনন্দিত, তার কথায় কতো নিপুঁণতা। একজন কবির চৌকশ ছন্দগুলো কতইনা গুছিয়ে আসে হৃদয়ের চিলেকোঠা থেকে৷ এছাড়াও জানবেন এক নারীর গভীর প্রেম, অন্য এক দেহ ব্যবসাহিনী নারীর গল্প। যে সকলের কাছে দেহ বিক্রি করে। মৃত্যুকে সাদরে গ্রহণ করতে চায়৷ কেবলই একজনের প্রেমে পড়ে সে ভালো হতে চায়, এবার সে বাঁচতে চায়৷ নোংরা সমাজকে ছেড়ে, মনের মানুষকে নিয়ে চলে যেতে চায় দূর কোথাও। এক অসাধারণ বই। সম্পূর্ণ বইয়ে সাহিত্যের রূপালী শব্দের ভিড় জমেছে৷
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা উপন্যাস, 'কবি'। তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনী নিয়ে কথা বলা স্পষ্ট ভাষায় ধৃষ্টটা ! উনার শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর মাঝে অন্যতম এটি। তবে, পাঠক যদি গ্রামবাংলার সাথে পূর্ব পরিচিত হন, তাহলে অনেকগুলো গ্রামীণ শব্দের সঙ্গে পরিচিত থাকায়, পড়ার সময় আর অভিধান খুঁজতে থামতে হবে না। মনের মধ্যে একটা তাগাদা, বড় কিছু করার অথচ বাস্তবতাকে মানতে গিয়ে আমাদের 'কবি'র মনে সর্বদাই একটা দ্বিধা কাজ করে। ইচ্ছা হয়, এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে পালিয়ে যেতে, কিন্তু সে যে ভালোবাসায় বাঁধা। তাই, সেও মানতে বাধ্য হয় এই টানকে, কিন্তু অবশেষে কি পায় সে ??? তাঁর মুখেই বলি-- '' এই খেদ আমার মনে- ভালোবেসে মিটল না সাধ, কুলাল না এ জীবনে! হায়- জীবন এত ছোট কেনে ? এ ভুবনে ? ''
Was this review helpful to you?
or
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নিয়ে কিছু বলার মত যোগ্যতা আমার নেই। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলো নিয়ে একটা তালিকা করলে তার মধ্যে প্রথমদিকেই "কবি" কে রাখতে হবে। বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের জন্য একটি অবশ্যপাঠ্য। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। আর উপন্যাসের শেষে এসে বুক জুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে যায় একটা হাহাকার। অনেকেই হয়ত শেষের কবিতাকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস আখ্যা দেবেন। কিন্তু আমি বলব "কবি"ও তার পাশেই জায়গা করে নেবে। অনেকে হয়ত এই তুলনাকে ধৃষ্টতা মনে করবেন কিন্তু আমার মনে হয় কবিগুরুও এই ক্ষেত্রে একমত হতেন।