User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভবিষ্যতের জন্য আমরা যেসব প্রযুক্তির স্বপ্ন দেখি, সেই প্রযুক্তিই যদি অতীতের কোনো অন্ধকার থেকে উঠে এসে আমাদের ধ্বংস করে দেয়? Black Order ঠিক এমনই এক রহস্যময় ও রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প। গল্পের শুরু এক নিঃশব্দ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে — নেপালের একটি শান্ত মনাস্টার হঠাৎ করেই রক্তের বন্যায় রূপ নেয়। একই সময়ে ইউরোপের একটি নিলাম ঘরে বিক্রি হতে থাকা রহস্যময় এক প্রাচীন যন্ত্র বিজ্ঞানী ও গুপ্তচরদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। কী এমন আছে সেই যন্ত্রে, যা নাৎসি বিজ্ঞানীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপনে তৈরি করেছিল? সিগমা ফোর্সের সদস্য গ্রে পিয়ার্স ও তার দল ছুটে যায় এক মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়া এই রহস্যের পেছনে। তারা আবিষ্কার করে, এই প্রযুক্তি শুধু মানুষকে বদলে দিতে পারে না — এটি মানবজাতির ভবিষ্যৎও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পথে পথে তাদের সামনে আসে জেনেটিক্সের অজানা অধ্যায়, কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের গা ছমছমে থিওরি, আর একদল শক্তিশালী শত্রু, যারা বিশ্বাস করে, মানবজাতির উন্নতির জন্য কিছু মানুষকে নিশ্চিহ্ন করাই যুক্তিযুক্ত। প্রাচীন নাৎসি গবেষণাগার থেকে শুরু করে আধুনিক গবেষণার ল্যাব — রোলিন্স পাঠককে এক মুহূর্তের জন্যও থামতে দেয় না। ইতিহাস, বিজ্ঞান, ষড়যন্ত্র আর অ্যাকশনের মিশেলে Black Order হয়ে উঠেছে এমন এক থ্রিলার, যা শেষ না করে রাখা যায় না। যদি আপনি ড্যান ব্রাউনের মতো রহস্য-রোমাঞ্চ ভালোবাসেন, তবে Black Order হবে আপনার পরবর্তী প্রিয় উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউনের পর আমি এখন রীতিমত জেমস রোলিন্সের ফ্যান হয়ে গেছি। চান্চল্যকর সব তথ্য, বিজ্ঞান, থ্রিলার কি নেই বইটিতে। লেখকের সিগমা ফোর্সের অন্য বইগুলোর মত এই বইটিও উন্মোচন করবে রহস্যময় সব তথ্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : ব্ল্যাক অর্ডার (সিগমা ফোর্স # ৩) মূল : জেমস রোলিন্স রূপান্তর : সাঈম শামস প্রকাশক : রোদেলা প্রকাশনী প্রকাশকাল : আগস্ট, ২০১৬ ঘরানা : হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার প্রচ্ছদ : সামিউল ইসলাম অনিক পৃষ্ঠা : ৪০০ মুদ্রিত মূল্য : ৪৬০ টাকা হিমালয়। সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের অদূরে অবস্থিত একটা বৌদ্ধ মঠে বসবাসকারী সন্ন্যাসীরা অদ্ভুত আচরণ করছে। যে আচরণ তাদের সাথে কোনমতেই যায়না। রীতিমতো রক্তপিপাসু হিংস্র পশুতে পরিণত হয়েছে তারা। তাদের কারণে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে মৃত্যুর গন্ধ। সিগমা ফোর্স এজেন্ট গ্রেসন পিয়ার্সের অনুরোধে ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো স্বয়ং পা রাখলেন এই অজানা বিপদসঙ্কুল এলাকায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো কোপেনহেগেনের একটা বইয়ের দোকান। প্রাণহানিও ঘটলো। এদিকে বিবর্তনবাদের জনক ডারউইনের পারিবারিক বাইবেলের নিলাম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই কোপেনহেগেনেই। একাধিক সংঘবদ্ধ ও প্রভাবশালী চক্র ওটা বাগানোর জন্য মুখিয়ে আছে। সিগমা ফোর্স ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো যখন হিমালয়ের বরফ খুঁড়ে রক্তপিপাসু সন্ন্যাসীদের ইতিহাস ঘাঁটছেন, ঠিক একই সময়ে গ্রেসন পিয়ার্স আগ্রহী হয়ে উঠেছে দ্য ডারউইন বাইবেলের ব্যাপারে। দক্ষিণ আফ্রিকার হুলুহুলুই আমফোলজি প্রিজার্ভ অঞ্চলে গবেষণারত অবস্থায় হামলা হলো ড. মার্শিয়া ও প্রিজার্ভের ওয়ার্ডেন খামিশির ওপর। হামলা করলো পুরোপুরি অচেনা বিকটদর্শন একটা পশু। ওয়ার্ডেন খামিশির কথা কেউ বিশ্বাস করতে চাইলোনা। কর্তৃপক্ষ 'কি যেন একটা' ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। জার্মান এসএস প্রধান হেনরিক হিমলারের গড়ে তোলা একটা দুর্গে গোপন একটা গবেষণা চলছে। যে গবেষণা পুরো মানবজাতিকে পালটে দেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লুকিয়ে ফেলা 'দ্য বেল' আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিছু মানুষের গূঢ় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপের জন্য। ভয়াবহ এক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ছেনা এর আশেপাশের কাউকেই। আর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো-কেও ধীরে ধীরে গ্রাস করছে এক অজ্ঞাত রোগ। অতিমানব ও অতিমানবীয় শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাসী ঠুলি সোসাইটি কি আবারো নতুন রূপে ফিরে এসেছে? হেনরিক হিমলারের কালো সূর্যের ছায়ায় থাকা বিতর্কিত ব্ল্যাক অর্ডার কি আবারো মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে কিছু বেপরোয়া মানুষের জন্য? বিজ্ঞান আর প্রাচীন বর্ণকে একীভূত করে কি 'দ্য বেল' পালটে দেবে পুরো সভ্যতার গতিপথ? এই প্রশ্নগুলোর মতো আরো অনেক প্রশ্ন ক্ষণেক্ষণেই দোলা দিয়ে যাবে পাঠককে। সামান্য মাত্রায় হলেও অধৈর্য করে তুলবে। তবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই সুবিন্যস্ত ভাবে সাজানো আছে সিগমা ফোর্স সিরিজের তৃতীয় বই 'ব্ল্যাক অর্ডার' এর পাতায়। যেখানে যে উত্তর থাকার দরকার, সেখানেই। ব্যক্তিগত মতামত : জনপ্রিয় আমেরিকান থ্রিলার লেখক জেমস রোলিন্সের সিগমা ফোর্স সিরিজের প্রথম বই 'স্যান্ডস্টর্ম' পড়েছি কিছুকাল আগে। অজ্ঞাত কারণে এই সিরিজের দ্বিতীয় বই 'ম্যাপ অভ বোন্স' বেশ কয়েকবার হাতে নিয়েও পড়া শুরু করতে পারিনি। তবে তৃতীয় বই 'ব্ল্যাক অর্ডার' অনেকটা হঠাৎ করেই পড়া শুরু করেছিলাম। শুরুর দিকে খুবই একঘেয়ে লাগছিলো পড়তে। অনুবাদ খুব আড়ষ্ট ঠেকছিলো। বারবার বিক্ষিপ্ত হচ্ছিলো মনোযোগ। একটা পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছিলো, 'ব্ল্যাক অর্ডার' বোধহয় অন্যান্য অনেক বইয়ের মতোই অসমাপ্ত থেকে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি উলটে গেলো ১৫০+ পৃষ্ঠা পার করার পর। অকস্মাৎ যেন কাহিনি গতি ফিরে পেলো। ইতিহাস, বিজ্ঞান ও থ্রিলার মিলেমিশে দারুন উপভোগ্য হয়ে উঠলো 'ব্ল্যাক অর্ডার'। যা অব্যাহত ছিলো শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তবে 'ব্ল্যাক অর্ডার' আমার কাছে সিরিজের প্রথম বই 'স্যান্ডস্টর্ম'-এর মতো অতোটা ভালো লাগেনি। এবার অনুবাদের ব্যাপারে কয়টা কথা বলি। সাঈম শামসের অনুবাদ মোটামুটি ভালো ছিলো। শুরুর দিকে পড়তে যে আড়ষ্ট লাগছিলো, এটা আগেও বলেছি। তবে মাঝামাঝি থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত কোন আড়ষ্টতার মুখোমুখি হইনি। কেটে যাওয়া সুর আবারো জোড়া লেগেছে বলা যায়। বেশ কিছু বানান ভুল ছিলো। আর কিছু জার্মান শব্দ সরাসরিই ব্যবহার করেছেন তিনি। ব্যাপারটা সামান্য সমস্যার উদ্রেক করেছে। তারপরো, সাঈম শামস বেশ ভালো কাজ দেখিয়েছেন। উত্তরোত্তর তাঁর কাজ আরো উন্নত হবে, এটাই আশা করি। সামিউল ইসলাম অনিকের অনন্য প্রচ্ছদ 'ব্ল্যাক অর্ডার'-কে দিয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। তাঁকে ধন্যবাদ। কাহিনি রেটিং : ৩.৫/৫ অনুবাদ রেটিং : ৩.৫/৫ ওভারঅল রেটিং : ৩.৫/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
too imprasive
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
ব্ল্যাক অর্ডার পাঠকদের দারুন একটা অ্যাডভেঞ্চারে টেনে নিয়ে যাবে। আপনি ঘুরতে পারবেন নেপালের হিমালয় থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, কোপেনহেগেন, জার্মানি এবং ওয়াশিংটন অব্দি। সাথে আছে নাৎসি জার্মানি, বিবর্তন, ডারউইনের। রোলিন্স আমাদের গল্প বলেনঃ যেখানে আছে রহস্যময় রোগ, ডার্ক সিক্রেটস, নিখুঁত প্রজাতি। হেনরিক হিমলার নামক একজন উন্মাদের খেয়ালবশত মানব-জাতিকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনাও বলা হয়েছে এই গল্পে।বইয়ের শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষাশেষি থেকে। মিত্র-শক্তি তখন জার্মানির দিকে ধেয়ে আসছে। জার্মানি তাই নিজেদের প্রযুক্তি নিজেরাই ধ্বংস করার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত। এই বই থেকে জানলাম... জার্মানি তখন প্রযুক্তি-বিদ্যায় সারা দুনিয়ার চেয়ে অগ্রসর ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির সেই সব প্রযুক্তি বিজ্ঞানিদের রাশিয়া আর আমেরিকানরা ভাগাভাগি করে নেয়। আমাদের আজকের দুনিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য সেই সব বিজ্ঞানিদের অবদান আছে। যা হোক, জার্মানি চাইছিল একটি বাচ্চাকে ( তাকে মিরাকল বয় বললে ভালো হয় ) তাদের সাথে নিয়ে যাবে। কিন্তু যেই মহিলা বাচ্চাটিকে বহন করছিল তিনি সেটা হতে দেননি।এই অধ্যায়ের পর পরেই রোলিন্স আমাদেরকে হিমালয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান এবং পরিচয় করিয়ে দেন ডক্টর লিসা কামিংসের সাথে। ডক্টর লিসা কামিংস... হিমালয়ের বৌদ্ধ আশ্রমে এসেছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে। কিন্তু হঠাৎ, আশ্রমের লোকদের মাঝে উন্মাদনা দেখা দেয়। এবং সেই মুহূর্তেই লিসার সাথে পেইন্টার ক্রোয়ের পরিচয় হয়। পেইন্টার ক্রো তখন সেখানে একটা তদন্তের কাজে গিয়েছিলেন। ওরা আশ্রম থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। শীতল এবং রুক্ষ আবহাওয়ার বৈরি প্রকৃতিতে বেরিয়ে পড়েন তারা। কিন্তু অ্যানা তাদের দুইজনকে আটক করে। অ্যানা হচ্ছেন একজন জার্মান নাৎসি মতাবলম্বি বিজ্ঞানি। যিনি রহস্যময় রোগে ভোগা পেইন্টারের অসুস্থতার ব্যাখ্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান দিতে সক্ষম। এই অ্যানা কি পেইন্টারের শত্রু নাকি বন্ধু? রোলিন্স তার অ্যাডভেঞ্চার এরপর টেনে নিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে এক রহস্যময়-ভয়ংকর প্রানীর আনাগোনা হয়েছে। সেখানকার জুলু উপজাতির লোকেরা একে ডাকে উকুফু নামে।এরপর আসে কোপেনহেগেন ষড়যন্ত্র ; এক রহস্যময় বই... ডারউইনের বাইবেল। বাইবেলের খোঁজে যাওয়া কমান্ডার গ্রেসন পিয়ের্সের সাথে ফিওনার দেখা হয়। ফিওনা খুবই মজার একটি চরিত্র। তার বয়স মাত্র ১৪। আদতে সে একজন পকেটমার। এবং বেশ ভালো মান সম্পন্ন পকেটমার। কারণ প্রথম দেখাতেই সে 'গ্রের' মানিব্যাগ-পাসপোর্ট দুটোই মেরে দিতে সক্ষম হয়। ব্ল্যাক অর্ডার বইতে নানান রকম ব্যাপারের অবতারণা করা হয়েছে, যেমনঃ কোয়ান্টাম থিওরি, ডারউইন, বিবর্তনবাদ, জেনেটিক বিদ্যা, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বনাম প্রাকৃতিক বিবর্তন। রোলিন্স টেকনিক্যাল বিষয়ে লেখালেখি করলেও... আমজনতা মানে সাধারণ পাঠকদের সেসব বিষয়ে বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। তিনি এমন এক ভাষায় কথা বলেছেন যেন একজন পিএইচডি করা লোক সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের জটিল বিষয় বুঝিয়ে বলছে।এই উপন্যাসে লেখা হয়েছে কিভাবে প্রকৃতির দারস্থ না হয়ে মানবজাতি নিজেই নিজের বিবর্তন করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে, কোয়ান্টাম থিওরি আমার ভালো লেগেছে। একটা কথা তাই লিখে দিচ্ছি... শ্রোয়েডিংগারের বিড়ালের কাহিনি... "আচ্ছা, ঐ বিড়ালটাকে ধরা যাক। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভয়ংকর চেহারার এটা একটা ক্লাসিক উদাহরণ। ঐ কাল্পনিক পরীক্ষায়, একটা বিড়ালকে বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে একটা বাক্সে বন্দী করে রাখা হয়, সেই বিষ খেয়ে বিড়ালটা মারা যেতেও পারে নাও যেতে পারে। বাক্সটা যতক্ষণ বন্ধ থাকবে, বিড়ালটার জীবন ততক্ষণ একটা অনিশ্চিত অবস্থায় থাকবে-সে তখন একই সাথে জীবিত এবং মৃত। শুধু যখন তুমি বাক্সটা খুলবে আর নিজের চোখে দেখবে যে, বিড়ালটার ভাগ্য আসলেই কী ঘটেছে। কেউ কেউ থিওরি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে যখন ঐ বাক্স খোলা হবে, দুনিয়া দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একটা দুনিয়ায়, বিড়ালটা বেঁচে আছে। অন্য আরেকটায়, সে মৃত।" এই উপন্যাস শেষ করা পর এর চরিত্র-গুলোর আমার খুব ভালো লেগে গিয়েছিল, (পেইন্টার, লিসা, মংক, গ্রে, ফিওনা)। আমি জানি যারা সিগমা ফোর্স সিরিজ কন্টিনিউ করবেন তারাও এদের প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। উপন্যাসে লেখক মংক এবং ক্যাটের সম্পর্কের সংগ্রাম এবং নিরাপত্তাহীনতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্যাট তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত এবং সে হঠাৎ করে বাচ্চাকাচ্চা নেয়ার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। বইয়ে লেখা হয়েছে আইনস্টাইন ইহুদি হওয়ার কারণে তার আপেক্ষিক তত্ত্ব জার্মানিতে পাত্তা পায়নি। আপেক্ষিক তত্ত্ব... হচ্ছে সে তত্ত্ব যার দ্বারা অ্যাটম বোম এবং নিউক্লিয়ার এনার্জির জন্ম হয়েছিল। তবে নাৎসি জার্মানরা ম্যাক্স প্লাংকের কোয়ান্টার তত্ত্ব গ্রহণ করেছিল। এবং কোয়ান্টার তত্ত্ব আপেক্ষিক তত্ত্বের চেয়েও ভয়াবহ। কারণ এই তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে অ্যাটমিক বিস্ফোরণের চেয়েও বহুগুনে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। ( বইয়ে অবশ্য বলা হয়েছে বিগ ব্যাং ঘটিয়ে দেয়া সম্ভব... আমার কাছে এই কথা অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।)
Was this review helpful to you?
or
"বিবর্তন কোন নিখুঁত জিনিশ নয়। এটা প্রাকৃতিক বাছাই প্রক্রিয়া কিংবা আবহাওয়ার প্রভাব, যা ফলে আগাছা ধাঁচের ক্ষতিকর পরিবর্তনগুলোকে ছাঁটাই করে শুধু ভাল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোকে জিন বহন করে।" মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব। নিজের চিন্তাশক্তি আর বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে নিজেকেই আরো উন্নত করে তোলার ক্ষমতা আছে বিধায়ই মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়ে থাকে হয়তো। কিন্তু অভাব সীমাহীন। তাই মানুষ নিজেকে শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতর প্রমাণ করতে চায়। এ নিয়ে যুগে যুগে মানুষের বিভিন্ন পদক্ষেপের ইতিহাস কম বেশী সবাইই জানি। আর তাছাড়া, পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহে মানুষের চাইতেও উন্নত প্রজাতি আছে কিনা সে গবেষণা তো প্রতিনিয়তই চলছে। অতীতে উন্নত প্রজাতির মানুষ পৃথিবীতে রাজত্ব করে গেছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে আরো উন্নত প্রজাতি এবং তারাও রাজত্ব করবে পৃথিবী। তবে প্রকৃতি সবসময় নিজের নিয়মেই চলে। তাই হয়তো কখনো কখনো অনেক মারাত্মক আর ভয়ানক কিছু গবেষণা হলেও প্রকৃতির আশীর্বাদে পৃথিবী এখনো অক্ষত। "সবসময় পাগলামোই পৃথিবীকে সামনে এগিয়ে রেখেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে ভূমিকা রেখেছে।" জেমস রোলিন্স মানেই অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার আর থৃলার। এই তিন ক্যাটাগরির বরপুত্রও বলা যায় তাকে অনায়াসেই। হাজার বছরের পুরানো মিথ/ইতিহাসের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের যোগসূত্র আর সাথে গিল্ড কিংবা হাজার বছরের লুকায়িত গুপ্তসংঘ কিংবা কাল্টের ক্ষমতা দখলের ব্যাপকতা আর এদের প্রতিরোধ করার জন্য আছে সিগমা ফোর্স। হ্যা জেমস রোলিন্সের লেখা অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ সিগমা ফোর্স নিয়েই কথা বলতে চাচ্ছিলাম। প্রথম পর্ব 'স্যান্ডস্টর্ম' মুগ্ধ করেছিল আর দ্বিতীয় পর্ব 'ম্যাপ অফ বোনস' মোটামুটি। আর আজ আলোচনা করছি তৃতীয় পর্ব 'ব্ল্যাক অর্ডার' নিয়ে। "ধর্ম দিয়ে পুরো একটা জাতির মগজ ধোলাই করে বশে আনা যায়।" কাহিনীপ্রসঙ্গঃ গল্পের শুরুটা আপনাকে নিয়ে যাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ ভাগে। সেখানে জানবেন কোন এক রিসার্চ ল্যাবে যুগান্তকারী একটা কিছু আবিষ্কার করে ফেলেছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনী। কিন্তু যুদ্ধে পরাজয় হওয়ায় নিজেদের আবিষ্কার লুট হওয়ার ভয়ে বিজ্ঞানীদের খুন করে পুড়িয়ে ফেলে নাৎসি বাহিনী। কিন্তু কি এমন আবিষ্কার করেছিল তারা? সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের অদূরে অবস্থিত এক গ্রাম এবং বৌদ্ধ মঠে খুব অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার ঘটে যায়। কোন এক অজানা রোগে সে গ্রামের সব পশু-পাখি মারা গেছে এবং মঠে বসবাসরত সন্ন্যাসীরা অদ্ভুত আচরণ করা শুরু করেছে। বাতাসের ভেসে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর গন্ধ। সন্ন্যাসীরা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। তাদের ভেতরে যেন রক্তপিপাসু এক হিংস্র দানব বাসা বেধেছে। সিগমা ফোর্স ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো স্বয়ং নিজে যান সেই বিপদসঙ্কুল এলাকায় তার সাথে আছে ডাক্তার লিসা কামিংস। আর তাদের পিছনে লেগেছে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একদল ঠান্ডা মাথার খুনি। তারা কি বেঁচে ফিরতে পারবে? কোপেনহেগেনের এক বইয়ের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারায় দোকানী। অল্পের জন্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেল দোকানীর নাতনি ফিওনা আর সিগমা ফোর্স কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স। অগ্নিকুন্ডের হাত থেকে বাঁচতে না বাঁচতেই আরেকদল খুনি আসে ওদের খুন করতে। এই কোপেনহেগেনই আবার বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইনের পারিবারিক বাইবেল নিলামে উঠছে সাথে ঐতিহাসিক আরো পাঁচটি বই। সংঘবদ্ধ আর প্রভাবশালী চক্র সেগুলো হাতিয়ে নেয়ার জন্যে মুখিয়ে আছে। আর সেজন্যে ফিওনা বা গ্রে'র মৃত্যু ওদের কাছে কিছুই না। ইতিহাসের ভাজে লুকিয়ে থাকা একটা কথা গ্রে খুঁজে পায়, 'সত্যটা এত সুন্দর যে ওটাকে গলা টিপে মারতে পারছি না আবার সেটা এতটাই দানবীয় যে মুক্তও করতে পারছি না।' কি সে দানবীয় সুন্দর সত্য? দক্ষিণ আফ্রিকার হুলুহুলুই আমফোলজি প্রিজার্ভ অঞ্চলে গবেষণারত অবস্থায় ড. মারশিয়া এবং প্রিজার্ভের ওয়ার্ডেন খামিশির উপর হামলা হয়। হামলা করলো পুরোপুরি অচেনা বিকটদর্শন এক পশু যা স্থানীয়ভাবে উকুফা নামে পরিচিত। এদিকে জার্মান এস এস প্রধান হেনরিক হিমলারের গড়া এক দুর্গে গোপনে চলছে এক গবেষণা যা পালটে দিতে পারে মানব জাতির ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার 'সুপার হিউম্যান' বানানোর জন্যে নির্মিত 'দ্য বেল' চালু হয়েছে। যার রেডিয়েশনের প্রভাবে সিগমা ফোর্সের ডিরেক্টর পেইন্টার ক্রো নিজেই আহত। মৃত্যু ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে পেইন্টার ক্রো'কে। পেইন্টার ক্রো কি নিজেকে বাঁচাবে নাকি মানব জাতিকে? সুপার হিউম্যানে বিশ্বাসী ঠুলী সোসাইটি কি তবে ফেরত এসেছে? তারা কি বদলে দেবে মানব জাতির ইতিহাস? হেনরিক হিমল্যারের গড়া কালো সূর্যের ছায়ায় থাকা ব্ল্যাক অর্ডার কি তবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তবে কি জার্মানরা পরাজিত হয়েও নিজেদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্যে অতি মানবীয় কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল? আর সে সত্যটাই বা কি যেটা এতটাই সুন্দর যে মারা যায় না আবার এতটাই দানবীয় যে মুক্ত করা যায় না? এসকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে ৪০০ পৃষ্ঠায় থরে থরে সাজানো জেমস রোলিন্সের সিগমা ফোর্স সিরিজের তৃতীয় পর্ব 'ব্ল্যাক অর্ডার' পড়তে হবে। "অতীতের শক্ত হাত আছে, যেটা কখনো বর্তমানকে ছাড়ে না।" লেখক প্রসঙ্গঃ লেখক প্রসঙ্গে কিছু বলার নেই তেমন। কারন জেমস রোলিন্স মানেই থৃলার, অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনের রোলার কোস্টার রাইড। পেশাতে পশু ডাক্তার হলেও প্রচুর রিসার্চ আর পড়ালেখার ফল এই ম্যাপ অফ বোনস। আর, তাছাড়া রিসার্চ ইউনিটে রোলিন্সের কিছু পরিচিত লোক থাকাতে উনার ব্যাখ্যাগুলো এতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়। জেমস রোলিন্সের বইগুলোর মধ্যে 'আমাজনিয়া' এবং সিগমা ফোর্সের 'স্যান্ডস্টর্ম' (অত্যন্ত চমৎকার একটা বই), 'ম্যাপ অফ বোনস' এবং এই 'ব্ল্যাক অর্ডার' টাই আমার পড়া হয়েছে তাই অন্যান্য বইয়ের ব্যাপারে বলতে পারলাম না। "নীতি কোন কাজে আসে না। নীতি পরিপন্থী কাজেই বেশী লাভ হয়।" অনুবাদপ্রসঙ্গঃ সাঈম শামসের এটা তৃতীয় অনুবাদ গ্রন্থ আর আমার পড়া প্রথম। বইয়ের শুরু থেকে কিছুদূর অবধি অনুবাদ খানিকটা সুখপাঠ্য বিহীন মনে হয়েছে আমার কাছে। অন্যের কাছে ভালোও লাগতে পারে তবে অনুবাদ নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ২/১ টা ভুলের কথা বলি তাহলে। যেমন, এক জায়গায় 'আরেকটা' শব্দে আকার নেই ফলে 'আরেকট' হয়ে আছে। অন্য জায়গায় 'অবতরণ' 'অতরণ' হয়ে আছে। আবার অনেক জায়গায় 'না' কিংবা 'যাওয়া', 'বাহির' না হয়ে 'বাইর' আর 'জবরপৎযংভঁযৎপৎ' এই ধরণের কিছু শব্দ বিরক্তি দিয়েছে। জার্মান শব্দের ব্যবহার যে মূল বইতেই আছে তা আগেই বুঝেছি। যাক সেসব বইটা তো আর এক পাতার না যে ভুল হবে না। ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক তাই এই টুকিটাকি ভুল ছাড়া পুরো অনুবাদ সহজ ও সাবলীল লেগেছে আমার কাছে। আর সেজন্যে অনুবাদককে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। আর এমন না যে অনুবাদক আমার ঘোরতর শত্রু তাই ম্যাগনিফাইং গ্লাস নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভুল বের করেছি। পড়তে বসে যা যা চোখে লেগেছে সরাসরি তাই বলেছি। আশা করি অনুবাদক বইটার পরবর্তী সংস্করণে এই ভুলত্রুটি গুলো শুধরে নিলে বইটার অনুবাদ আরো ভারী হবে এবং সুখপাঠ্যতা পাবে। জেমস রোলিন্সের সিগমা ফোর্সের প্রথম বইটা একেবারে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো একটা বই। সে বিচারে দ্বিতীয়টা খানিকটা ধীরগতির হলেও প্রচুর তথ্যবহুল একটা বই। তবে এই বইটা আমার নিজের ভালো লাগেনি। মূলত গল্পটাই ধীরগতির লেগেছে আমার কাছে। আর 'দ্য বেল' এর পদ্ধতিটা কেমন জানি লেগেছে বলে বুঝাতে পারবো না। তবে হ্যা, অ্যাকশন, মিথ, বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তির তথ্যগুলো বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে। আর হ্যা প্রচ্ছদটাও ভালো লেগেছে। তাই 'ব্ল্যাক অর্ডার' আমার কাছে মোটামুটিরকম পড়া যায় মনে হয়েছে। আমার ভালো লাগা আর আপনার ভালো লাগা এক হবার কথা নয়। এমন তো হতে পারে আপনার ভীষন ভালো লেগেছে পড়ে। তাই নিজে পড়ে যাচাই করুন। আর আমার রিভিউ তো আমার ব্যক্তিগত মতামত তবে তাও যদি কেউ আমার রিভিউ পড়ে অনাগ্রহী হয় তাহলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিছু ভালো লাগা কথাঃ "শত্রুর শত্রু তো বন্ধু হয়।" "মানব জীবন গল্পের চাইতেও বেশী বৈচিত্র্যময়।" "খুব বেকায়দায় পড়লে নাকি কেউই আর নাস্তিক থাকে না।" "গুপ্তধন যত বড় হয় সেটা মাটির তত গভীরে লুকানো থাকে।" "সব বাচ্চা সঠিক সময়ে জন্ম নিলে পৃথিবীটাই অনেক ফাঁকা হয়ে যেত।" "প্রত্যেক প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম মিলনের দিন একটি কঠিন ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। সেটা হলো অস্বস্তিকর লজ্জা।"
Was this review helpful to you?
or
জেমস রলিন্সের বই কেন ভালোবাসি? কারণ তার বইয়ে অ্যাডভেঞ্চার, অ্যাকশনের পাশাপাশি থাকে বৈজ্ঞানিক তথ্য। প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে থাকে কল্পনার মিশেল। এই বইও তার ব্যতিক্রম নয়। নাৎসিদের চালানো বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার একটি দিক তুলে ধরা হয়েছে এখানে। কাহিণীর বিস্তার তিব্বত, ইউরোপ হয়ে শেষ হয়েছে আফ্রিকায় এসে। বইয়ের প্রচ্ছদ সুন্দর কিন্তু এর আগে পড়া স্যান্ড স্টর্ম বইয়ের প্রচ্ছদের মতো। সুন্দর অনুবাদ। সম্পাদনা যারা করেন তারা দয়া করে যত্নশীল হবেন।
Was this review helpful to you?
or
এভারেস্ট আরোহী দলের ডাক্তার ও গবেষক ডা. লিসা কামিংসকে হেলিকপ্টরে করে ক্যাম্প থেকে হিমালয়ের বৃদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।সেখানে দেখা দিয়েছে অদ্ভুত রোগ।সবাই পাগলের মত আচরণ করছে,অনেকে হয়ে উঠেছে মানুষখেকো। কি এই রোগ? এর কি কোন চিকিৎসা আছে? এর উত্তরের জন্য ডা. লিসাকে দৌড়াতে হবে হিমালয়ের বরফ মোড়া পাহাড় থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘন জঙ্গল পর্যন্ত। কোপেনহ্যাগেনের একটা নিলাম অনুষ্ঠানে চোখ রাখছিল কমান্ডার গ্রে পিয়ার্স,তার উপর নির্দেশ ছিল কোন ঝামেলায় না জড়ানোর।কিন্তু তার উপস্থিতিতে এক বইয়ের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ঠ ও খুনোখুনির ঘটনা ঘটে গেল আর এত কিছু হল চার্লস ডারউনের সেই বিখ্যাত বাইবেলটি চুরি করার জন্য! কি আছে এই বাইবেলে যার জন্য খুনোখুনি পর্যন্ত হল!? সেই রহস্য জানার জন্য কমান্ডার গ্রে পিয়ার্সকে ফিরে যেতে হবে দ্বিতীয় বিশ্ব যূদ্ধের নাৎসি জার্মানিদের যুগে.. দুইটা কি বিচ্ছিন কোন ঘটনা নাকি এদের মধ্যে কোন যোগসুত্র আছে? জানতে হলে পাঠকে পড়তে হবে বইটি ;) পড়তে গিয়ে পাঠক বুঝতে পারবে আর একটু হলেই ধ্বংস হয়ে যেত পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা ও পুরো মানব সভ্যতার ইতিবৃত্ত! রোলিন্সের সাথে পরিচয় আমাজনিয়া দিয়ে তার পর সিগমার প্রথম দুইটা বই ম্যাপ অফ বোনস আর স্যান্ডস্ট্রম দিয়ে পরিচয় গ্রে পিয়ার্স,পেইন্টার ক্রো'দের সাথে।গতকাল সকাল ১১টার দিকে ব্ল্যাক অর্ডার নিয়ে বসছিলাম।সন্ধ্যায় একটু হাটার ব্রেক দিয়ে আবার বসছি, শেষ করে উঠেছি রাত ২:৩০ এর দিকে। কোয়ান্টাম ফিজিক্স,প্রাচীন বর্ণ,কোড,জেনেটিক্স,ইন্টিলিজেন্স ডিজাইন,দৌড়াদৌড়ি,মারামারি অনেক শারীরিক ও মানুষিক কষ্টে শেষ করার পর পুরুস্কার সরূপ মাথা ব্যাথা নিয়ে আরো দু-ঘন্টা জেগে ঘুমাতে গেছি। গাজীপুরে বন্ধুর এখানে ঘুরতে আসছি।সকালের দিকে বন্ধু ব্যস্ত থাকায় বসেছিলাম,এত মোহ সৃষ্টি করে রেখেছিল যে সন্ধ্যায় হাটার পর সবাই আড্ডা দিলেও আমি ফিরে এসে আবার বই নিয়ে বসেছিলাম। অনুবাদ আমার কাছে ভালোই লেগেছে,পড়তে গিয়ে কোথাও সমস্যা মনে হয় নি। কিছু দৃষ্টিকটু প্রিন্টিং মিস্টেক আছে।যেমনঃ জেরাম-৫২৫ কে একাধিক যায়গায় জেরাম-২৫২ লেখা হইছে :( ব্যক্তিগত রেটিংঃ৯/১০ পুনশ্চঃ দীর্ঘদিনের পাঠক হলেও জীবনের প্রথম কোন রিভিউ লিখলাম। ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিন এবং সংশোধনের উপায় বলে দিন। ধন্যবাদ। রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/118530/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0