Our User Product Reviews

Beautiful story ngl

wow ! thanks rokomari❤️❤️

it's an amazing book as HUMAYUN AHMED was an amazing novelist..I've enjoyed it very much..

ভালো লাগছে?

“ভালোবাসা বাসির জন্য অনন্ত কালের প্রয়োজন নেই। একটি মূহুর্তই যথেষ্ঠ।“ প্রকৃতি তার সব রহস্য কখনোই প্রকাশ করে না।তার নানাবিধ খেলায় আমরা শুধু খেলোয়াড় মাত্র। মদিনা,রাশেদ, হারুন এবং রুপা ঠিক তেমনই সেই খেলার এক একজন অংশীদার। গল্পে হারুন সাহেব "ঘড়ি কন্যা" খ্যাত মদিনাকে আবিষ্কার করে।তার ধারণা সে চোখ বন্ধ করে ঘড়ির সময় বলে দিতে পারে। কার আধ্যাত্নিক ক্ষমতা আছে,কোন জায়গায় কোন পীরের কি ক্ষমতা, কোথায় আছে রহস্য কুপ এসব খুঁজে বেড়ান সহজ সরল এবং খাম খেয়ালি ধরনের লোক হারুন সাহেব। অসম্ভব রুপবতী,ঠান্ডা মেজাজের এবং বুদ্ধিমতী মেয়ে রুপা।রুপা ছবি আঁকতে পছন্দ করে।তার মনের ক্যানভাসেও চলতে থাকে নানান রঙের খেলা। রাশেদ এক সন্ধ্যায় আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসে এবং রুপাদের বাসায় উঠে।কিন্তু রুপা রাশেদকে চেনে না।চেনার কথাও না কারণ রাশেদ এ বাসায় ভুল করে এসেছে। উপন্যাসে মজার ক্যারেক্টার হিসেবে ছিলো সুলতান চাচা,টি স্টলের দোকানী, তার ছেলে কেনতু এবং মলিনা।। গল্পে রুপা নামের মেয়েটির জীবন চলতে থাকে এক রহস্যময় আবরণে, যেই রহস্য টেনে নিয়ে যাবে এই বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত কিন্তু তার পরেও রহস্যের কোন কিনারা খুঁজে পাওয়া যাবে না।যেন এক রহস্য চাদরে মুড়িয়ে শেষ হবে রুপা। বইঃরুপা লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রচ্ছদঃধ্রুব এষ প্রকাশকঃঅন্বেষা প্রকাশক প্রকাশকালঃঅমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ১২৮ আইএসবিএনঃ৯৮৪৭০১১৬০১৩৪২

good

Boi ta hate pelam rokommari service and boi er condition xoss. Thank you rokomari

হুমায়ূন আহমেদ এর এক বন্ধু একবার এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিল, যার নাম ছিল রূপা। হুমায়ূন তার ওই বন্ধুর হয়ে রূপার সাথে চিঠি চালাচালি করতেন। মানে রূপার পাঠানো চিঠি তিনি আগ্রহ নিয়ে পড়তেন এবং সেগুলোর উত্তর পাঠাতেন। কিন্তু কেউ কাউকে চিনতো না। লেখকের ভাষ্যমতে রূপাকে পাঠানো প্রেমপত্র গুলোই ছিল তার প্রথম সাহিত্যকর্ম। শেষপর্যন্ত তার ওই বন্ধু রূপাকে বিয়ে না করে তার এক আত্মীয়কে বিয়ে করে এবং ইংল্যান্ড চলে যায়। হুমায়ূন আহমেদ তার বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলেন এবং বন্ধুপত্নীকে দেখে তার যে রূপ বর্ণনা করেছেন তাতে বোঝা যায় যে ওই দেখতে ভালো ছিল না। তবে রূপার রূপ তাকে আকৃষ্ট করেছে। রূপাকে লেখক সরাসরি না দেখলেও তার ছবি দেখেছিলেন। বন্ধুর সাবেক প্রেমিকা সেই রূপবতী রূপার স্মৃতি ধরে রাখতেই লেখক "রূপা" নামের চরিত্র সৃষ্টি করে হিমুর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন যার সাথে লেখকের পত্র মারফত একটি মানসিক সম্পর্ক / স্মৃতি সৃষ্টি হয়েছিল। মাতাল হাওয়া, পৃষ্ঠা - ১১৯

Nice

sundhor ekta boi..

Outstanding

প্রিয় লেখকের প্রিয় বই,, দারুণ লেগেছে বইটি।

অসাধারণ ... ???

বেশ ভালোমতোই পেয়েছি। ২ টা অর্ডার করছি একসাথে। ধন্যবাদ রকমরিকে

?

Good

good

হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত বই

??

হুমায়ুন আহমেদ সমসময়ই অসাধারণ লিখেন।

Rupa???

হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো লেখা অসাধারণ। এ বইটির তার ব্যতিক্রম নয়। আমার সাথে তো খুব কম বই পড়া হয়। কিন্তু এই বইটা পড়া শুরু করার পর একটানাই সব শেষ করে ফেলেছিলাম।

nicee

Incredible

Rupa is a fictional character by Humayun Ahmed. Rupa Humayun Ahmed is shown in the books of the Himu series. She is Himu’s best friend. She has some feelings for Himu but Himu don’t pay heed to his heart because he is in the mission of being a hallow according to his father's wish. Many books of Himu series like as Himu, Aj Himur Biye, Dorjar Opashe, Parapar, Himu Ebong Ekti Russian Pori, Tomader ei Nogore portrays the character Rupa Humayun Ahmed. Himu wears a yellow Panjabi that does not have a pocket. His life is like a vagabond or a nomad. He walks on foot on the streets of Dhaka without a definite destination. Rupa Humayun Ahmed waits for him day after day. The charterer is distinctly strange and untraditional in outlook.

Lovely

⭐⭐⭐⭐

আমার মোবাইলের ছোট আলোয় জ্বলে উঠা রুপা। একটা ম্যাজিকাল ব্যাপার হলো বইটির প্রচ্ছদে রুপা লিখার উপর হাল্কা আলো দিলেই জ্বলে উঠে এই রুপা। হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর বইয়ের রিভিউ দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমার নাই। তবে সবাইকে বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

I like this book too much.Humayun Ahmed is my favourite writer.

ছোটকাল থেকে বই পড়ার তেমন একটা অভ্যাস ছিল না! একাডেমিক বই এর কারণে অন্য কোনো বই পড়া হয়নি! এডমিশন টেস্টের পর অবসর সময় পার করছিলাম,ভাবলাম বই পড়ার অভ্যাস টা শুরু করা যেতে পারে! সবার পরামর্শ নেই! হুমায়ুন আহমেদ এর বই দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দেয় প্রায়ই! লাইব্রেরি তে গেলাম! রূপা বইটি কিনে নিয়ে আসলাম! আনা মাত্র পড়া শুরু করে দেই! আফসোস করছিলাম! এতদিন কেন বই পড়িনি! ভালো লেগেছে অনেক বইটি! সবাই চাইলে পড়তে পারেন! আশাকরি নিরাশ হবেন না। ছোটকাল থেকে বই পড়ার তেমন একটা অভ্যাস ছিল না! একাডেমিক বই এর কারণে অন্য কোনো বই পড়া হয়নি! এডমিশন টেস্টের পর অবসর সময় পার করছিলাম,ভাবলাম বই পড়ার অভ্যাস টা শুরু করা যেতে পারে! সবার পরামর্শ নেই! হুমায়ুন আহমেদ এর বই দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দেয় প্রায়ই! লাইব্রেরি তে গেলাম! রূপা বইটি কিনে নিয়ে আসলাম! আনা মাত্র পড়া শুরু করে দেই! আফসোস করছিলাম! এতদিন কেন বই পড়িনি! ভালো লেগেছে অনেক বইটি! সবাই চাইলে পড়তে পারেন! আশাকরি নিরাশ হবেন না

"রূপা" মরহুম জনাব হুমায়ুন আহমেদের এক অসাধারণ সৃষ্টি.!!! বইটি আমার খুব ভালো লেগেছে❤❤

ভাল একটি উপন্যাস । পড়ে মজা পেলাম।

রুপা তার নামের মতোই রুপালী।বিধাতা তাকে বিশেষ ক্ষমতা ও দিয়েছে।তার জীবনের সাথে ঘটা ঘটনা ;বাবা-মার জীবন ও কিছু অদ্ভুত রহস্যকে ঘিরেই লেখা এই বইটি।

বুক রিভিউ : রুপা

এটি হিমু সিরিজের কোনো বই নয়। এ এক অন্য রূপা...

বইটি পড়ে শেষ করে রিভিউ দিচ্ছি। আসলেই বইটি অনেক সুন্দর এবং কাহিনীপূর্ণ।

Very Nice book.Order deyar porer din e delivery deyar jonno Thanks to Rokomari.

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই সব সময়ই আমাকে মুগ্ধ করে।এই বইটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।

রূপা– হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। অন্বেষা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত । প্রকাশ হয় অক্টোবর ২০১৬ তে । বইটি ঢাকায় বসবাসকারী একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। গল্পের মূল চরিত্র হলো রূপা নামে একটি মেয়ে । অসাধারণ একটি গল্প । অবশ্যই সকলের পড়া উচিত ।

My favorite writter. যখন আমি তার বই প্রথম পড়া শুরু করি তখন থেকেই তার প্রতি আমার ভালোবাসা বেড়ে যায়

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।

রাশেদ নামের এক আমেরিকা প্রবাসী ভুল ঠিকানায় রূপাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। এদিকে বাড়ির কর্তা রূপার বাবা হারুনুর রশিদ বাড়িতে নেই। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হারুনুর রশিদ লেখালেখির পাশাপাশি পীর-ফকিরের সন্ধানে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ান। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর বিরামপুরে আছেন। সেখানে মদিনা নামের একজনকে পেয়েছেন। মদিনার প্যারানরমাল ক্ষমতা দেখে তিনি মুগ্ধ। হারুনুর রশিদ অতি দ্রুত মুগ্ধ হন আবার তার চেয়েও দ্রুততায় তাঁর মুগ্ধতা ভাঙে। বাবার অনুপস্থিতিতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাশেদের সাথে রূপাকে কথা বলতে হচ্ছে। সুদর্শন রাশেদ আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। তাঁর উপস্থিতি রূপার কাছে বিরক্তিকর লাগছে। বিষয়টা বুঝতে পেরে কাউকে কিছু না বলে জিনিসপত্র রেখে রাশেদ রূপাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। বাইরে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে রাশেদ রাস্তায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে থাকে। কিন্তু এভাবে ভিজতে থাকলে সমস্যা হতে পারে। জন্মগতভাবে তার লাংসে কিছু সমস্যা আছে। রাশেদের একবার মনে হলো সে ফিরে যায়। কিন্তু আবেগের অংশ বলছে না। আবার আসল রূপাদের বাড়ি খুঁজে বের করতে হবে, সে যার জন্য আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এই ঝড়বৃষ্টির রাতে রাশেদ যুক্তি ও আবেগের মাঝে আঁটকে গেছে। হিমু হুমায়ূন আহমেদ রচিত জনপ্রিয় এক চরিত্র। হিমু পড়ে অনেকেই হিমু হতে চেয়েছে। হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে রাস্তায় হেঁটেছে। হিমুর কথা আসলে সাথে রূপার কথাও আসে। কিন্তু আজকে যে রূপাকে নিয়ে বলবো সে হিমুর রূপা নয়! 'রূপা' বইটির কথা উঠলে অনেকেই বলে ওঠে "এটা কি হিমুর রূপাকে নিয়ে?"। আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম। বইটি পড়ার পর আমার ভুল ভেঙেছে। রূপা চরিত্র নিয়ে কিছু বলা যাক তাহলে আপনারাও বুঝতে পারবেন। রূপবতী মেয়ে রূপা বাবার সাথে থাকে। যখন সাত বছর বয়স তখন তার মা অন্য আরেকজনের সাথে সংসার পাতে। ছোটবেলা থেকে একাকী রূপা নিজের মতো করেই থাকে। ছবি আঁকার প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ আছে। খামখেয়ালি বাবা যখন বাড়িতে থাকে না তখন ছবি এঁকে তার সময় কাটে। হঠাৎ একদিন রূপার জীবনে রাশেদের আগমন ঘটে। উপন্যাসে কিছু প্যারানরমাল বিষয়ের অবতারণা হয়। তখন অনেকটা মিসির আলী সিরিজের মতো ফিল আসে। কিন্তু প্যারানরমাল বিষয়গুলো যুক্তির আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। কিছু ইন্টারেস্টিং চরিত্র আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর স্বভাবসুলভ হিউমারের দেখা মিলবে। হুমায়ূন আহমেদ এর সাধারণ পাঁচটা উপন্যাসের মতই লেগেছে, তেমন বিশেষ কিছু না। বিশেষ কিছু না বলে একেবারে ফেলনা নয়, পড়তে খারাপ লাগবে না। একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটির গুণগত মান বেশ ভালো।

#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ পর্ব: ৩ বইয়ের নাম : রূপা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী : অন্বেষা প্রকাশন প্রকাশক : শাহাদাত হোসেন প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মুদ্রণ : প্রগতি প্রিন্টার্স প্রথম প্রকাশ : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১০ একাদশ মুদ্রণ : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮ রেটিং : ৭/১০ পৃষ্ঠা : ১২৭ ধরণ : সমকালীন উপন্যাস মূল্য : ২০০ টাকা US $: 10.00 ISBN: 9847011601342 Code: 184 লেখক পরিচিতি : হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপ প্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। তাঁর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবসমাজকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়।তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন,ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁর রচিত গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। পাঠ প্রতিক্রিয়া : মেয়েটির নাম রূপা। সে সবার থেকে আলাদা। তার জগৎ যেন রঙ তুলিতে আঁকা। বাবা হারুনুর রশিদ, মা শায়লা খানম। তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে তবুও রূপার বাবা হারুনুর রশিদ, তার মা শায়লা খানমকে এখনো ভালোবাসে। রূপার বাবা হারুনুর রশিদ একটু রাগি তবে মনটা অনেক ভালো। এছাড়া সুলতান চাচা, কাজের মেয়ে মলিনা এবং এক রহস্যময়ী মেয়ে মদিনা এই ক'জন মিলেই রূপা নামের মেয়েটির জগৎ। এই জগতের প্রত্যেকের রঙ ভিন্ন ভিন্ন। মদিনা নামের মেয়েটি রহস্যে ঘেরা। মদিনা অদ্ভুত এক প্রাকৃতিক শক্তির অধিকারী। তার সব কিছু রহস্যজনক। যে রহস্য জানতে বইটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এছাড়াও আমেরিকা থেকে আগত এক সুদর্শন পুরুষ রূপার জল রঙ এর জীবনে এক রহস্য। সেই ছেলেটি রাশেদ। ভুল বাড়িতে চলে আসা ছেলেটি রূপার জীবনে এক নতুন মোড়। সে রূপার জীবনে ছড়িয়ে দেয় এক অনন্য রঙ। রূপা ও রাশেদকে নিয়ে প্রকৃতি খেলে এক নতুন খেলা। রূপার বাবা হারুনুর রশিদ যেখানে রহস্য সেখানেই ছুটে চলে। তিনি বিভিন্ন রহস্য খুঁজে বের করে। যে রহস্য পাঠক কে টেনে নিয়ে যাবে বই এর শেষ পাতা পর্যন্ত। আর এসব রহস্য জানতে হলে বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। ব্যক্তিগত মতামত : রূপা হুমায়ূন আহমেদের এক অনন্য সৃষ্টি। হুমায়ূন আহমেদ একজন মেয়ে চরিত্র কে তাঁর কল্পনার রঙ এ জীবন্ত করে তুলেছেন। বইটিতে আপনি প্রথম পাতা থেকে শুরু করে শেষ পাতা পর্যন্ত রহস্যের মধ্যে ডুবে থাকবেন। কিন্তু বই এর ৬২ পৃষ্টায় লেখক একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, নবীজি বলেছেন - আল্লাহর পর আমি যদি আর কাউকে সিজদা করার হুকুম দিতাম সে হত বাবা। এই হাদিস টি আমার জানামতে ভুল। সঠিক হাদিসটি হলো,হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন, " আমি যদি কাউকেও আল্লাহ্ তায়ালা ব্যতীত অপর কাউকেও সেজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীদেরকে অবশ্যই হুকুম দিতাম যেন তারা নিজ নিজ স্বামীকে সেজদা করে।" তবে পুরা উপন্যাস টা তে একটা ঘোর আছে। অনেক গুলো কাহিনীর সংমিশ্রন রয়েছে। রাশেদের কাহিনী, মালিনার কাহিনী, মদিনার কাহিনী, মায়ের কাহিনী। তাই বলা চলে "রূপা" হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম উপন্যাস। যেখানে রূপা'ই মুখ্য বাকি সবাই গৌন। লেখক পুরো উপন্যাসের ফোকাস রূপার উপর রেখেছেন। রিভিউ লিখেছেনঃ অনন্যা অনু

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-রূপা লেখক-হুমায়ুন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-১২৭ মূল্য-২০০ অন্বেষা প্রকাশ .... রূপাদের বাসায় এক ছেলে এসেছে নাম রাশেদ। দেখতে অসম্ভব সুদর্শন। থাকে আমেরিকায় । সেখান এক ভার্সিটির ম্যাথ লেকচারার। সে এসেছে রূপার বাবার কাছে। রূপা থাকে তার বাবার সাথে।তার মা অনেক দিন আগে তার বাবা কে ছেড়ে চলে গেছে। রূপার বাবা হারুনুর রশিদ একটা প্রাইভেট কলেজের শিক্ষক ছিলেন।রিটায়ার করেছেন।তিনি আছেন ইতিহাস লেখা নিয়ে এবং পীর ফকির নিয়ে।স্ত্রী অনেক দিন আগে তাকে ছেড়ে চলে গেলও তিনি এখনো তাকে অসম্ভব ভালোবাসেন। রাতে জানা গেল। রাশেদ নামে কাউকে হারুন সাহেব চিনেন না।তখন বুঝা গেল সে ঠিকানা ভূল করে চলে এসেছে কিন্তু ততক্ষনে বাইরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।তাই রূপা তাকে খেয়ে শুয়ে থাকতে বলল। কিন্তু রাশেদ বৃষ্টির মধ্যে চলে যায়। তার ফুসফুস দূর্বল। আরো বৃষ্টিতে ভিজে তার জ্বর আসে। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে রাশেদ আশ্রয় নেয় ।সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে।তার কাছে কোন ঠিকানাই নেই। ব্যাগও রূপাদের বাসায় সে ফেলে আসে। তবুও অবচেতন এএর মতো রূপাদের বাড়ির নাম আবছা বলতে পারে। তা শুনে ডাক্তার রূপাদের বাড়িতে খবর দেয়।রূপা হসপিটাল থেকে গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। তারপর রাশেদ সঠিক ঠিকানা খুঁজে নেয়। এর মাঝেও কিছু রসায়ন আছে যা উপন্যাস টাকে ইন্ডিং দিতে সাহায্য করেছে। রাশেদ যে আমেরিকা থেকে দেশে আসে তার ও একটা কাহিনী আছে।এদিকে রূপার মা কে নিয়েও কিছু কাহিনী আছে। পুরো উপন্যাসে আর একটা চরিত্র সক্রিয় সে হলো হারুন সাহেবের বন্ধু সুলতান। আর রূপা এবং তার বাসার মদিনা মেয়েটির মধ্যেও কিছু ব্যাপার আছে।পুরা উপন্যাস টা তে একটা ঘোর আছে। অনেক গুলো কাহিনীর সংমিশ্রন। রাশেদের কাহিনী, মালিনার কাহিনী, মদিনার কাহিনী, মায়ের কাহিনী। হু ঘোরে পরে বেশ ভালই লেগেছে। "রূপা" হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম উপন্যাস। যেখানে রূপা ই মুখ্য বাকি সবাই গৌন। লেখক পুরো উপন্যাসের ফোকাস রূপার উপর রেখেছেন। এবং সে দেখতে খুবই অপরূপা সুন্দরী। তার নাম রূপা। ইংরেজিতে silver। তবে Quick silver হলে ভালো হতো। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/1184/রূপা

রুপা একজন কৌতূহলহীন, মা হীন, নিঃসঙ্গ এক মেয়ে। বাবা ছাড়া তার পরিবারে আর কেউ নেই। বাবাকে নিয়েই তার বসবাস। নিঃসঙ্গ সময়ে ছবি আঁকাই তা শখ। রুপার বাবা হারুনুর রশিদ একজন রিটায়ার প্রফেসর। শেষ বয়সে পৌঁছে তিনি খুব কৌতূহলী হয়ে গেছেন। তার বন্ধু সুলতান সাহেবকে নিয়ে এখানে ওখানে পীরদের খুঁজে থাকেন। রুপার বয়স যখন সাত বছর তখন তার মা শায়লা খানম তার বাবার সাথে ডিভোর্স করে অন্য স্বামী ঘরে চলে যান। তিনি এখন অন্য স্বামীর ঘরেই সংসার করছেন। রাশেদ একজন ইউনিভার্সিটি প্রফেসর। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। আমেরিকার এক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করে ওখানের এক ইউনিভার্সিটিতেই পড়াচ্ছেন। দেশে তার তেমন কোনো আত্মীয় নেই। রুনা নামের এক মেয়ের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়েছিল। কোনো এক কারনে এ বিবাহ রুনা এবং তার বাব মেনে নিচ্ছে না। রুনার সাথে দেখা করার জন্যই তিনি দেশে এসেছেন। কিন্তু ভুল ঠিকানায় তিনি রূপাদের বাসায় গিয়ে উঠেন। এই থেকেই রুপার সাথে তার পরিচয়।

"প্রকৃতি লীলাময় , তার লীলা বোঝা বড়ই কঠিন। সে তার সব রহস্য কখনোই প্রকাশ করে না!" আমরা মানুষেরা নিজেদের সুবিধা মত একটা মানে করে নিই আরকি। বইটার সাথে বেশ একটা চমৎকার স্মৃতি জড়িয়ে থাকবে। একদম ভোর বেলায় বৃষ্টিভেজা বাতাসের মাঝে করিডোরে বসে বসে এক কাপ চা, বইটা আর আমি। কাহিনীর আদলটা একটু গৎবাঁধা হুমায়ূনীয় ছাপ ছিল।তবে কিছু ঠু হাই কথাবার্তা ছিল! ভাল লেগেছে বইটা। :)

অসম্ভব সুন্দর একটি বই । সবার ই উচিত বইটি পড়া

রূপা...... সুন্দরী হওয়ার পাশাপাশি একজন চিত্রশিল্পী.... রঙের বিভিন্ন রূপের মধ্যে নিজের কল্পনা গুলো ফুটিয়ে তোলে.... কিন্তু এর বাইরেও তার একটা ক্ষমতা আছে তা হলো আগে ভাগেই অনেককিছু বুঝে ফেলার ক্ষমতা..... তার বাবা হারুন সাহেব সেই হিসেবে একটু বোকা কিন্তু ভালো মানুষ... তাদের স্বাভাবিক জীবনের মাঝেই হঠাৎ করে রাশেদ নামক এক রাজপুত্র এর আগমন...... রূপার আর তার বাবার পাশাপাশি রাশেদ নামক রহস্যময় মানুষটির মৃত্যুর সাথে যুদ্ধের মাঝে কাহিনী আগাতে থাকে.... সাথে নতুন নতুন কিছু চরিত্র জুড়ে কাহিনীটা একজনের জীবনকেন্দ্রিক না হয়ে একজনের জীবনের সাথে সবার ছোট্ট ছোট্ট জীবনের জড়িয়ে পড়া ব্যাপারটা ফুটিয়ে তোলে...... হুমায়ুন আহমেদের সব গল্প গুলার মতই... এটাও একবার পড়া শুরু করলে থামা একটু কষ্টকরই........ ছোট্ট বইটি শেষ করতে খুব বেশি সময়ে না লাগলেও এক মুহূর্তের জন্য একঘেয়ে লাগবে না... প্রতি পাতা উলটানোর সাথে নতুন করে পড়ার ইচ্ছা আসবে....... Its a good book to read in a cloudy day.... Or after a chaotic day.....

রূপা অনেক রূপবতী একটা মেয়ে। বাবা হারুনুর রশীদ। রূপা ছোট থাকতেই ওর মা ওকে ছেড়ে চলে যায়। মা চলে যাওয়ার পর রূপার বাবা আর বিয়ে করেন নি। রূপার বাবা একটা বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। কিছুদিন হলো তিনি রিটায়ার করেছেন এবং এখন তিনি ইতিহাস লেখা এবং পীর-ফকির নিয়ে মেতেছেন। রূপাদের বাড়িতে মানুষ মাত্র তিনজন। রূপা, রূপার বাবা আর কাজের মেয়ে মদিনা। রূপাদের বাসায় হটাৎ এক ছেলের আগমন। ছেলেটার নাম রাশেদ। আমেরিকার এক ভার্সিটির ম্যাথের টিচার। দেখতে খুবই সুদর্শন। রূপার বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে সে। কিন্তু রূপার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব বললেন, তিনি রাশেদ নামে কাউকে চিনেন না। রাশেদ নিজেও বুঝতে পারলো, সে ভুল ঠিকানায় এসেছে। কিন্তু বাইরে তখন প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি। সেই ঝড়-বৃষ্টির মাঝেই ঘর থেকে বের হয়ে যায় রাশেদ। পাশের এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু রাশেদের ফুসফুস খুব দূর্বল। বৃষ্টিতে ভিজে আসে তার জ্বর। অবস্থা খুব খারাপ। হসপিটাল থেকে রূপাদের বাড়িতে খবর দেয়া হয়। রূপা নিজেই গিয়ে রাশেদকে বাড়ি নিয়ে আসে। তারপর রাশেদ সুস্থ হওয়ার পর সঠিক ঠিকানা খুজেঁ বের করে চলে যায়। কাহিনী কি তবে শেষ? না কাহিনী এভাবেই চলতে থাকে। শেষ জানার জন্যে বইটা পড়তে হবে!

রূপা,রূপবতী এক মেয়ে।থাকে বাবার সাথে।মা ছোটবেলায় চলে গেছে অন্য কারো সাথে ঘর করতে। রূপার বাবা সহজ সরল লোক।যে কোন জায়গায় ছুটে যান রহস্যের গন্ধ পেলেই।ফঁকির,রহস্যকুয়ো এসব দেখে বেড়ান।তিনি কবিতার ছন্দে ইতিহাসের বই লেখার চেষ্টা করছেন।তবে খুব সহজেই কোন কিছুতে অতি আগ্রহ পান এবং আগ্রহ হারান ও দ্রুত। রূপার ধারনা একজন প্রেডিকটেবল লোক তারর বাবা।আর মেয়েরা প্রেডিকটেবল লোকদের পছন্দ করেনা তাই তার মা তাকে ছেরে গেছে। রাশেদ,আমেরিকায় এক ভার্সিটিতে ম্যাথ লেকচারার।একদিন সন্ধ্যায় আমেরিকা থেকে সরাসরি চলে আসে রূপাদের বাড়িতে ঠিকানা ভুল করে।যতক্ষণে সে বুঝতে পারে ততক্ষণে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।রূপা খাবার খেয়ে তাকে শুয়ে থাকতে বললেও রাশেদ চলে যায়।তার ফুসফুস দূর্বল।বৃষ্টিতে ভিজে তার জ্বর আসে।চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয় সে।সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ায়া হয়।তার অবস্থা আশংকাজনক খারাপ হতে থাকে।সে কোন ঠিকানা বলতে পারেনা।তার কাছে কোন ব্যাগপত্র নেই।সব রূপাদের বাসায় সে ফেলে আসে।আঁধো ঘুম-জাগরনে সে শুধু রূপাদের বাড়ির নাম আবছা বলতে পারে। সেই সূত্রে ডাক্তার রূপাদের বাড়িতে খবর দেয়।রূপা সেখান থেকে রাশেদকে বাড়ি নিয়ে আসে সুস্থ হলে।তারপর রাশেদ সঠিক ঠিকানা খুঁজে নিয়ে সেখানে যায়।এটা একটা সাসপেন্স বইয়ের তাই খোলাসা করলাম না। রূপা মেয়েটি এবং তার বাবার খুঁজে আনা মদিনা মেয়েটির ও কিছু রহস্যঘন ব্যাপার আছে।বইটিতে তাদেরকে অনেক সময় ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। সুলতান বলে রূপার বাবার বন্ধু এবং রূপার মায়ের ও কিছু ভূমিকা আছে বইটিতে। ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটির ফিনিশিং যদিও ভাল লাগার কথা তবে সামগ্রিক অর্থে ভাল লাগেনি বইটি একদম ই।

বই-রূপা লেখক-হুমায়ুন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-১২৭ মূল্য-২০০ প্রকাশনীঃঅন্বেষা .... রূপা অনেক রূপবতী একটা মেয়ে। বাবা হারুনুর রশীদ। রূপা ছোট থাকতেই ওর মা ওকে ছেড়ে চলে যায়। মা চলে যাওয়ার পর রূপার বাবা আর বিয়ে করেন নি। রূপার বাবা একটা বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। কিছুদিন হলো তিনি রিটায়ার করেছেন এবং এখন তিনি ইতিহাস লেখা এবং পীর-ফকির নিয়ে মেতেছেন। রূপাদের বাড়িতে মানুষ মাত্র তিনজন। রূপা, রূপার বাবা আর কাজের মেয়ে মদিনা।রূপাদের বাসায় এক ছেলে এসেছে নাম রাশেদ। দেখতে অসম্ভব সুদর্শন। থাকে আমেরিকায় । সেখান এক ভার্সিটির ম্যাথ লেকচারার। সে এসেছে রূপার বাবার কাছে। রূপা থাকে তার বাবার সাথে।তার মা অনেক দিন আগে তার বাবা কে ছেড়ে চলে গেছে। রূপার বাবা হারুনুর রশিদ একটা প্রাইভেট কলেজের শিক্ষক ছিলেন।রিটায়ার করেছেন।তিনি আছেন ইতিহাস লেখা নিয়ে এবং পীর ফকির নিয়ে।স্ত্রী অনেক দিন আগে তাকে ছেড়ে চলে গেলও তিনি এখনো তাকে অসম্ভব ভালোবাসেন। রাতে জানা গেল। রাশেদ নামে কাউকে হারুন সাহেব চিনেন না।তখন বুঝা গেল সে ঠিকানা ভূল করে চলে এসেছে কিন্তু ততক্ষনে বাইরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।তাই রূপা তাকে খেয়ে শুয়ে থাকতে বলল। কিন্তু রাশেদ বৃষ্টির মধ্যে চলে যায়। তার ফুসফুস দূর্বল। আরো বৃষ্টিতে ভিজে তার জ্বর আসে। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে রাশেদ আশ্রয় নেয় ।সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে।তার কাছে কোন ঠিকানাই নেই। ব্যাগও রূপাদের বাসায় সে ফেলে আসে। তবুও অবচেতন এএর মতো রূপাদের বাড়ির নাম আবছা বলতে পারে। তা শুনে ডাক্তার রূপাদের বাড়িতে খবর দেয়।রূপা হসপিটাল থেকে গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। তারপর রাশেদ সঠিক ঠিকানা খুঁজে নেয়। এর মাঝেও কিছু রসায়ন আছে যা উপন্যাস টাকে ইন্ডিং দিতে সাহায্য করেছে। রাশেদ যে আমেরিকা থেকে দেশে আসে তার ও একটা কাহিনী আছে।এদিকে রূপার মা কে নিয়েও কিছু কাহিনী আছে। পুরো উপন্যাসে আর একটা চরিত্র সক্রিয় সে হলো হারুন সাহেবের বন্ধু সুলতান। আর রূপা এবং তার বাসার মদিনা মেয়েটির মধ্যেও কিছু ব্যাপার আছে।পুরা উপন্যাস টা তে একটা ঘোর আছে। অনেক গুলো কাহিনীর সংমিশ্রন। রাশেদের কাহিনী, মালিনার কাহিনী, মদিনার কাহিনী, মায়ের কাহিনী। হু ঘোরে পরে বেশ ভালই লেগেছে। মতামতঃ "রূপা" হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম উপন্যাস। যেখানে রূপা ই মুখ্য বাকি সবাই গৌন। লেখক পুরো উপন্যাসের ফোকাস রূপার উপর রেখেছেন। এবং সে দেখতে খুবই অপরূপা সুন্দরী। তার নাম রূপা।কাহিনীর আদলটা একটু গৎবাঁধা হুমায়ূনীয় ছাপ ছিল।তবে কিছু ঠু হাই কথাবার্তা ছিল! ভাল লেগেছে বইটা।

মেয়েটির নাম রূপা। সে অনেক কিছুই আগে ভাগে বুঝতে পারে। প্রকৃতি তাকে এই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছে। তার বাবা-মা'র ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যদিও রূপার বাবা হারুন সাহেব তার স্ত্রীকে এখনও ভয়ানক ভাবে ভালবাসেন। হঠাৎ তাদের বাসায় বিদেশ থেকে রাশেদ নামের এক ছেলে আসে। প্রকৃতি তাদের দুজনের ভাগ্য নিয়ে অপূর্ব কিছু খেলা করে। প্রকৃতির রহস্যময়তাকে ঘিরে লেখা সুন্দর একটি বই "রূপা"।

কি সুন্দর ব্যবসা! লেখকের মৃত্যুকে পুঁজি করে কি লাভ টাই প্রকাশক করছে। সাবাশ! এইজন্যই বাংলাদেশী প্রকাশকদের বই কিনে শান্তি পাওয়া যায় না। ভারতীয়রা যেখানে বই পড়ুয়া জাতি গঠনের জন্য স্বল্প মূল্যে শ্রেষ্ঠ বাঁধাইয়ের বই বের করে যাতে কোন পাঠককে মূল্যের জন্য বই কেনা থেকে বিরত না থেকে সেখানে এদেশের প্রকাশকরা মৃত ব্যক্তিকে পুঁজি করেও লাভ করতে পিছপা হয় না। আপনাদের কে অভিনন্দন। জাতির বই পড়ার মানসিকতাকে আপনারা সুনিপুণ ভাবে হত্যা করেছেন।