User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Shukrity pritha

      13 Jul 2024 11:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে বইটা

      By Muhammad Abdul Moin Khan

      24 Jan 2024 12:43 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুচিনি দ্বীপ, the Cinnamon Island , جزيرة القرفة

      By Md Kamrul Islam

      25 Aug 2023 03:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good quality recommended.

      By A B M Mahmudul Haque

      23 Feb 2022 10:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good read

      By Rafit Shuvo

      26 Jan 2022 09:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Valo legeche

      By Sheikh Fahim

      10 Nov 2021 12:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Such a nice book, nice story and nice service

      By Raisa Haque Peuli

      20 Jul 2021 12:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      If you are a fantasy fan then this one belongs to your collection

      By Iftekhar Ahmed

      30 Aug 2020 02:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      excellent

      By syed ashraful alam

      08 Aug 2020 05:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Amazing. One of the best book of humayun ahmed .

      By Rohit Basak

      12 Feb 2020 12:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই স্যার হুমায়ূন আহমেদ এর

      By Hridita Tabassum

      17 Jan 2020 02:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Ei boi er upor base kore ekta Cinema o banano hoyechilo jeta onek beshi popularity peyechilo, karon suvro character tai onek alada, shobar iccha kore or moto hote, o nije kharap thekeo shob somoe valo thakar cesta kore r tai to se shob kichu vule jaye Daruchini Dip.

      By Md. Masum

      07 Jan 2020 09:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ ---------------------------- এই বইয়ে মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদ আমাদের সামনে শুভ্র নামক সেই ভদ্র মার্জিত বাবা মার কথা শোনা ছেলেকে আমাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। 18 বছর বয়সী কয়েকজন মিলে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় চোখ ভরা স্বপ্ন আর বুক ভরা কথা নিয়ে অজানাকে জয় করতে। গল্পে বিয়ের আসর থেকে পালানোর এক মেয়ের কথা ও ছিল যে কিনা এই সেন্টমার্টিন যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। গল্পের শুরুর দিকে এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। সবাই এটাকে স্বাভাবিক জিনিস হিসেবে মেনে নিয়েছিল। বন্ধুদের সাহচর্য পেয়ে শুভ্র বদলে যায়। শুভ্র অনেক নতুন কিছু শিখতে থাকে। কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই ট্রেন থেকে নামলো। পৌছে গেল 18 বছর বয়সেই একদল তরুণ কিন্তু বিপত্তিটা ব বাঁধলো স্টেশনে নেমেই পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেল তাদের? কিন্তু কেন? কি ছিল তাদের অপরাধ? পুলিশ কি তাদের ভুল করে ধরেছিল? জানতে হলে বইটি আপনাদের পড়তে হবে।

      By MIZANUR RAHMAN

      29 Dec 2019 10:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ এর লেখনির এক সুন্দর চরিত্র শুভ্র। শিক্ষা জীবনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা ঘুরতে যাওয়ার অসাধারন এক লেখা দারুচিনি দ্বীপ। বাংলাদেশের সৌন্দর্যময় স্থান সেন্টমার্টিন কে লেখক দারুচিনি দ্বীপের মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। মুভি দেখে বইটা না পড়ে থাকতে পারি নি।

      By মোঃ রোমান

      07 Dec 2019 06:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি আমি আগেও পড়েছি তাও আবার অর্ডার করছি। খুব ভাল একটি বই।

      By Sohel

      06 Nov 2019 12:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "দারুচিনি দ্বীপ" হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র" শুভ্র "সিরিজের একটি বই। উপন্যাসে কানাবাবা নামে খ্যত শুভ্র ও তার বন্ধু-বান্ধবরা মিলে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করতে দেখা যায়। যদিও উপন্যাসের শেষে তাদের আর সমুদ্র সৈকতে যাওয়া হয় নি। পুরো উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি তুলে ধরেছেন। শেষে সবার সমুদ্রে যাওয়ার উদ্দ্যেশে ট্রেনে উঠে উপন্যাসের ইতি করে। এই উপন্যাস অবলম্বনে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ নামে একটি চলচ্চিত্র ও নির্মাণ করা হয়।

      By Proma

      04 Nov 2019 09:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শুভ্র পড়ার পর শুভ্র কে সিনেমার পর্দায় দেখে ছিলাম, 'দারুচিনি দ্বীপ' এ। অসাধারণ অভিনয় ছিলো সবার। ঠিক তেমনি 'দারুচিনি দ্বীপ' বইটিও অসাধারণ। তবে যারা ভাবছেন সিনেমা দেখেছি আর কি পড়বো? তাদের বলছি সিনেমা আর বই এক নয়। সিনেমার থেকে বেশি ফিলিংস পাবেন বইটি পড়ে। একটা ভ্রমণ যাত্রা কয়েকটি জীবনে কতোটা প্রভাব ফেলতে পারে তা বইটি না পড়ে বুঝবেন না। বইয়ের সব থেকে প্রিয় ক্যারেক্টার শুভ্র। বেচারা চশমা খুজে পায় না। লেখক খুব সুন্দর করে ভ্রমণের জন্য অর্থ আর সামর্থ্য কতো টা জরুরি তা তুলে ধরেছেন। সুন্দর, সাবলীল ব্যাখা। আমার সব থেকে খারাপ লেগেছিল যখন সন্জুর মায়ের সন্জুর জন্য যোগাড় করা টাকা চুরি হয়ে যায়। আসলে মধ্যবিত্তের শখ কিন্তু অর্থ ছাড়া শখ পুরুণ করা কতো টা কঠিন তা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন লেখক হুমায়ুনআহমেদ। আসলে হুমায়ুনআহমেদ মধ্যেবিত্তদের গল্প সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ১৫৪ টাকার বইটি আপনাকে সুখ, দুঃখ, আবার হাসাতেও পারবে। তাই দেরি না করে পড়ে ফেলুন 'দারুচিনি দ্বীপ' আর হারিয়ে যান আনন্দে

      By Sajidur Rahaman

      24 Oct 2019 02:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "দারুচিনি দ্বীপ" হুমায়ূন আহমেদের লেখা শুভ্র সিরিজের প্রথম উপন্যাস। শুভ্র হুমায়ূন আহমদের অন্যতম প্রিয় চরিত্র। এই উপন্যাস অবলম্বনে ২০০৭ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচিত্র নির্মাণ করা হয়। উপন্যাসটার মতো চলচিত্রটাও এককথায় অসাধারণ। এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শুভ্র। শুভ্র তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ওর বন্ধু-বান্ধবরা ওকে কানাবাবা বলে ডাকে। কারণ শুভ্র চশমা ছাড়া চোখে কিছুই দেখতে পারেনা। তবে এতে শুভ্রর কোনো কষ্ট নেই বরং আছে অদ্ভুত আনন্দ। এ উপন্যাসের কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র ও তার বন্ধু-বান্ধবরা মিলে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করতে দেখা যায়। পুরো উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ সমুদ্রে যাওয়ার সকলের প্রস্তুতি তুলে ধরেছেন। শেষে সবার সমুদ্রে যাওয়ার উদ্দ্যেশে ট্রেনে উঠে উপন্যাসের ইতি করেন। এ উপন্যাস ও চলচিত্র উভয়ই আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছে।

      By Marjiya

      21 Oct 2019 05:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ: "দারুচিনি দ্বীপ" এ গল্পটা পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন অংশই কোন অংশের চেয়ে কম সুন্দর নয়। দারুচিনি দ্বীপ বইটির মূল চরিত্র শুভ্র নামের অসাধারণ ছেলেটি। বইটির শেষ দিকে এসে খুব খারাপ লেগেছে যার ভালোবাসার মানুষ তাকে বল্টু বলে ডাকে তার জন্য। অবশ্য পরের পর্ব পড়ে আর মন খারাপ হয় নি। পরের পর্বের বইটির নাম রুপালী দ্বীপ।

      By Shakil Ahmed

      17 Oct 2019 05:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ দারুচিনি দ্বীপ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আহমেদ সাঁরের "দারুচিনি দ্বীপ" উপন্যাসে শুভ্র চরিত্রটি প্রকাশ পেয়েছে। তারা সব বন্ধু মিলে উদ্যোগ নেয় যে দারুচিনি দ্বীপে যাবে। কিন্তু তারা চরম বাস্তবতার মুখে পরে এবং বিভিন্ন প্রকার বাধা এসে তাদের গ্রাস করে ফেলে। কিন্তু সব বাধা ছিন্ন করে তারা সফল হয়। সত্যিই উপন্যাসটির তুলনা হয়না।

      By mahin islam

      13 Oct 2019 01:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কিশোর বয়সের একটি রঙিন সময় সেটা বইটি পড়লেই বুঝতে পারা যায়

      By মুনিয়া জামান

      31 Mar 2019 11:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ ২৯ বইয়ের নাম - দারুচিনি দ্বীপ লেখক - হুমায়ূন আহমেদ ধরণ - সমকালীন উপন্যাস প্রচ্ছদ - সুখেন দাস প্রকাশক - অনুপম প্রকাশনী প্রকাশকাল - ফেব্রুয়ারি ১৯৯১(প্রথম) পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৯৬ পৃষ্ঠা মুল্য - ১৫০ টাকা বই আলোচনাঃ সঞ্জু বারান্দায় পাটি পেতে খেতে বসেছে। তাকে দেখেই মনে হচ্ছে সে খুব ক্ষুধার্তা। বড় বড় নলা বানিয়ে মুখে দিচ্ছে। সঞ্জুর মা ফরিদা তার সামনেই বসে আছেন। অন্য দিন সঞ্জু খেতে খেতে গল্প করে আজ তাও করছে না। ফরিদা অস্বস্তি বোধ করছেন। দ্রুত শূন্য হয়ে আসা থালার দিকে তিনি ভীত চোখে তাকিয়ে আছেন। ভাত আর নেই। থালার ভাত শেষ হয়ে গেলে আর দেয়া যাবে না। ছেলেটা কি ক্ষিধে-পেটে উঠবে? আজি ভাত কম পড়ল কেন? তিনি নিজে মেপে-মেপে সাড়ে চার পট চাল দিয়েছেন। সঞ্জু মার দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি খেয়েছ মা? তিনি ক্ষীণ গলায় বললেন, হুঁ। এটা বলতেও তার লজ্জার সীমা রইল না। ফরিদা ক্ষিদে সহ্য করতে পারেন না। একেবারেই না। রান্না হওয়া মাত্র গরম গরম ভাত খেয়ে নেন। তখনো হয়ত তরকারি হয় নি, ডালটা শুধু নেমেছে। সঞ্জুর ভাতের থালা প্রায় শূন্য। এক্ষুণি হয়ত সে বলবে—আর চারটা ভাত দাওতো মা। ফরিদা মনে মনে বললেন, আল্লাহু আজ যেন সে ভাত না চায়। খাওয়া শেষ করে যেন উঠে পড়ে। সঞ্জু ভাত শেষ করে ফেলেছে। পানির গ্লাসের দিকে হাত বাড়িয়েছে। ফরিদা চাপা স্বরে বললেন, খাওয়া হয়ে গেল?হুঁ। আর চারটা ভাত নিবি না? না। পান থাকলে একটা পান দাওতো মা। ফরিদা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, তোরতো দেখি পান খাওয়া অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। তুই ছাত্র মানুষ। তোর কি দাঁত লাল করে পান খাওয়া ঠিক? ঠিক না হলে দিও না। তিনে যার হয় না চারেও তার হবে না। আচ্ছা যা ব্রিক ফিল্ড একটা করে দেব-ইনশাআল্লাহ।এইসব কথা-বার্তা আজ থেকে ন’মাস আগের। রানা মোটামুটি নিশ্চিত যে ব্রিক ফিল্ডের রমরমা দিন তার আসছে। শুধু সময়ের ব্যাপার। গত নমাসে বাড়ির কেয়ার টেকারের দায়িত্ব তার ঘাড়ে চেপেছে। সে এই কাজ বেশ মন দিয়ে করছে। তিন তলার ভাড়াটের ইলেকট্রিক ফিউজ জ্বলে গিয়ে ফ্ল্যাট অন্ধকার— রানাকে দেখা যাবে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে ফিউজ ঠিক করছে। দুই তলার ভাড়াটে দেয়ালে পেইনটিং বসাবে। মিস্ত্রী ডেকে দেয়ালে ফুটো করার কাজের পুরো দায়িত্বই তার। এইসব ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তার ডাক পড়ছে। চারতলার ভাড়াটের ছেলের আকিকা। দুটা খাসি আমিন বাজার থেকে কিনে আনা, মৌলানার ব্যবস্থা করা, আওলাদ হোসেন লেন থেকে কিসমত বাবুর্চিকে নিয়ে আসার জটিল সব কাজ সে আনন্দ এবং আগ্রহের সঙ্গে করে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ । বইটা পড়ার সময় একটুও বিরক্তিবোধ করি নি একবারের জন্যও। পুরোটা সময় মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। আর বাস্তবতার অনেকাংশই বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে বইটিতে। যা বেশ ভালো লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ-তরুণী। সমাজের নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব শ্রেণীর প্রতিনিধিই আছে এই দলে। সবাই মিলে ঠিক করে, একসাথে ঘুরতে যাবে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে। কিন্তু প্ল্যান করলেই কি তা সফল করা যায়?

      By Faysal Arshad Dip

      15 Feb 2019 10:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন বইগুলোর একটি। হুমায়ুন স্যারের পর কেউ লিখতে পারেনি।

      By Md. Shahrul Islam sayem

      25 Nov 2018 02:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযগ_নভেম্বর বইঃ দারুচিনি দ্বীপ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনঃ অনুপম প্রকাশনী প্রথম প্রকাশকালঃ ১৯৯১ প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ সুখেন দাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৬ মুদ্রিত মূল্যঃ ১৫০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫ ****এটি শুভ্র সিরিজের প্রথম উপন্যাস**** #ভুমিকাঃ সব মানুষের জীবন একই ধারায় বয়ে চলে না। একেক মানুষের জীবন একেক ভাবে প্রবাহিত হয়। কেউ বা তার জীবন পরিচালনা করে প্রচুর বিলাসিতায়। আবার কেউ বা তার জীবন অতিবাহিত করে সংসারের টানাপোড়নের মধ্যে। কারো কাছে হাজার টাকা প্রতিদিনের খরচ, আর কারো জন্য হাজার টাকা যেন বিশাল কোনো ব্যাপার। আর এই সবকিছুর মেলবন্ধনেই রচিত হয়েছে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ বইটি। #গুরুত্বপূর্ণ_চরিত্রসমূহঃ ইয়াজউদ্দিন সাহেব এবং রেহানার একমাত্র সন্তান শুভ্র। ছোটবেলা থেকে অনেক যত্নে এবং নিয়মের মধ্যে শুভ্রকে পালন করেছেন তারা। শুভ্রর তেমন কোন বন্ধু নেই। তবে কিছু বন্ধু তাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে আসে এবং ইয়াজুদ্দিন সাহেবের ধারণা শুভ্রর কাছে থেকে বিভিন্ন কারণে টাকা নেওয়াই তাদের এ বাড়িতে আসার মূল কারণ। শুভ্র খালি চোখে অত্যন্ত কম দেখে বলে সবাই তাকে কানা-বাবা ডাকে। আদর্শ মধ্যবিত্ত পরিবার বলতে যা বোঝায় তা হলো সঞ্জুদের পরিবার। সোবহান সাহেব, ফরিদা বেগম, সঞ্জু, মুনা এবং আরো দুজন ছোট বোন নিয়ে তাদের সংসার। মনসুর আলী সাহেবের একমাত্র মেয়ে আনুশকা, অনেকটা আবেগী এবং একচেটিয়া ধরণের মেয়ে। তার বাব পেশায় একজন নাবিক। তার মা তাদের ছেড়ে অন্য একজনকে বিয়ে করে বিদেশে থাকে। তাই অনেকটা আদুরে স্বভাবের সে। অয়ন, সাইজে ছোট হওয়ায় সবাই তাকে বল্টু বলে ডাকে। তার মা মারা গেছে আরো পনেরো বছর আগে। টিউশনি করে সেই টাকা দিয়ে কোনরকমে তার চলে যায়। জরীর বাবা অসুস্থ। উপার্জন করতে পারে না। তারা থেকে তাদের বড় চাচার বাড়িতে অনেকটা আশ্রিতের মতো। তাই সেখানে জরীর নিজস্ব মতামতের কোনো স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। রানা পড়াশোনায় ভালো না হয়াতে তার ভাই তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের টাকার তেমন অভাব নেই। তাই বর্তমানে সে তার বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে কেয়ারটেকারের কাজ সে খুশিমনেই করছে। তবে নিজে লেখাপড়ায় ভালো না হলেও বন্ধুদের প্রতি সে যথেষ্ট যত্নশীল। এছাড়াও গল্পের অন্যতম চরিত্রগুলো হলো ইলোরা, নীরা, নাঈমা, মোতালেব ও তারেক। #কাহিনী_সংক্ষেপঃ নিজেদের পড়াশোনার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে এক ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় তরুণরা। জায়গা হিসেবে তারা বেছে নেয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে। সেখানকার জোছনা রাত উপভোগেরও বিভিন্ন কল্পনা তারা করতে থাকে। তারা এই প্রজেক্টের নাম দেয় ‘প্রজেক্ট দারুচিনি দ্বীপ’। এই প্রজেক্টকে ঘিরে চলতে থাকে তাদের নানান জল্পনা-কল্পনা। প্রথমে সঞ্জু, মোতালেব , রানা, বল্টুরা প্ল্যান করে যাওয়ার জন্য। শুভ্রকে তারা কোনমতেই নিতে রাজি না। কারণ সে চোখে কম দেখে। সে যাওয়া মানে একটা ঝামেলা। তবে এই দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে শুভ্রর বাবা-মার তেমন কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে দলের সাথে মেয়ে নিতে কোনোমতেই রাজি না ছেলেরা। তাদের ধারণা মেয়েরা সাথে গেলে ছুটির মজাটা ঠিকভাবে উপভোগ করা যায় না। তবে মেয়েদের প্রতিনিধি হিসেবে আনুশকা নাছোড়বান্দা। তার একটাই কথা, যে ছেলেদের সাথে তারা পাঁচজন মেয়েও যেতে চায়। এবং এই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনোভাবেই নড়ানো যায় না। এদিকে আগে থেকেই মাকে টাকার কথা বলে রেখেছে সঞ্জু। বাবাকে বলার সাহস পায় নি। তার মাও কোনমতে টাকা জোগাড় করে রেখেছিল ছেলের জন্য। কিন্তু যেদিন টাকা দেওয়ার কথা সেদিন টাকা পাওয়া গেল না। বল্টুর হাতে টাকা পয়সা নেই। সে যেতে পারবে কিনা তারও ঠিক নেই। তবুও সে আশা ছাড়ে নি। সে তার ছাত্রের কাছে টাকা ধার হিসেবে চেয়ে রেখেছে। ওদিকে মুনাকে যে বল্টুর বেশ ভালো লাগে সে কথা সঞ্জুকে এখনো বলে নি বল্টু। যদি বন্ধু তার সাথে রাগ করে, সে আশংকায়। তবে এদিক দিয়ে মুনা মুখে কিছু প্রকাশ না করলেও তারও যে বল্টুর প্রতি কিছুটা দুর্বলতা আছে। বল্টু ফুটো স্যুয়েটার দুই বছর ধরে গায়ে দেয় বলে মুনা তাকে একটা নতুন স্যুয়েটার কিনে দেয় এবং সেন্ট মার্টিনে গিয়ে সেটা পড়তে বলে। ওদিকে অভাবের কারণে নিজের বেরাতে যাওয়ার চিন্তা আগেই মাথা থেকে বাদ দিয়েছিল জরী। নিজের বড় চাচার পছন্দ করা ছেলে মনিরুদ্দিনের সাথে বিয়ে ঠিক হয় জরীর। একদিন দুপুরে মনিরুদ্দিন জরীকে নিয়ে খেতে বের হয়। তখন গাড়িতে বসে সে জরীর হাঁটুতে এবং কাঁধে হাত রাখে, যা জরীর খুব বিরক্ত লাগে। তারপরেও সে কিছু বলে না। কিন্তু যখন মনিরুদ্দিন তার বুক স্পর্শ করে, তখন সে আর সহ্য করতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে যায়। এবং বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায় তাদের সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার কথা। ওদিকে মনিরুদ্দিন জরীর চাচাকে ফোন করে কথা শোনানোর জন্য সেদিন রাতেই তার বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার কথা ঠিক করা হয়। সময়মতো সবাই এসে পৌঁছেছে স্টেশনে। কিন্তু বল্টু কই? তাকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ সে টাকাটা জোগাড় করতে পারে নি। তবে সেও স্টেশনে এসেছে, কিন্তু সে ছিল সবার চোখের আড়ালে। দূরে দাঁড়িয়ে। সঞ্জুকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এসেছে তার বাবা এবং মুনা। মুনাও খুঁজছে বল্টুকে। হঠাৎ তাকে দেখতে পেল মুনা। কিন্তু টেন তো ওদিকে ছেড়ে দিয়েছে! কি করবে এখন মুনা? কি করবে এখন বল্টু? জরীর কি বিয়ে হয়ে যাবে মনিরুদ্দিননের সাথে? তাহলে কি সে সবার সাথে যেতে পারবে না সেন্ট মার্টিন দ্বীপে? উত্তর রয়েছে বইটিতে। #ব্যক্তিগত_মতামতঃ বিভিন্ন বিষয়ের মেলবন্ধন করা হয়েছে এমন বই পড়তে আমার বরাবরই ভালো লাগে। এ বইটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। যথেষ্ট ভালো লেগেছে বইটি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সীমাবদ্ধতা, ছেলে-মেয়েদের জন্য বাবা-মার চিন্তা, নিম্নবিত্তদের আশ্রিতদের পরাধীনতা, বড়লোকের সন্তানদের বিলাসিতা ইত্যাদি খুবই সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। বইটা পড়ার সময় একটুও বিরক্তিবোধ করি নি একবারের জন্যও। পুরোটা সময় মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। আর বাস্তবতার অনেকাংশই বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে বইটিতে। যা বেশ ভালো লেগেছে। তবে বইটিতে নামের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় বানান ভুল (স্পেলিং মিসটেক) লক্ষ্য করেছি। যেমনঃ ‘নীরা’ নামটির ক্ষেত্রে কয়েক জায়গায় ‘নীলা’ এবং ‘নাঈমা’ নামটির ক্ষেত্রে কয়েকটি জায়গায় ‘নইমা’ লক্ষ্য করেছি। এছাড়া বাকি সব ঠিকই ছিল। #ভালোলাগা_লাইনগুলোঃ ‘সাধারণত হাইলি রোমান্টিক পরিকল্পনা মিডল ক্লাস ফ্যামিলির ছেলেমেয়েদের মাথায় আসে। এই নিয়ে মাসের পর মাস তারা আলোচনা করে। প্ল্যান প্রোগ্রাম হয়, তারপর এক সময় সব ভেস্তে যায়। বেশির ভাগ সময়ই ভাঙে অর্থনৈতিক কারণে।‘ ‘কিছু কিছু চোখের জলে অহংকার ও আনন্দ মেশানো থাকে, সেই জল গোপন করার প্রয়োজন পড়ে না।‘

      By Tasnim Ara Mim

      18 Nov 2018 10:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃ দারুচিনি দ্বীপ লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ ধরনঃসমকালীন প্রকাশনঃঅনুপম মুল্যঃ১৫০টাকা বইটি পড়ার পড় মনে হয়েছে বন্ধুত্বসুলভ আচরন যে মানুষগুলোর মধ্যে আছে তারা প্রত্যেকেই এই উপন্যাসটি পড়ার পর অনেক ইচ্ছা পুরনের স্বপ্ন দেখবেন, কিছু মানুষের মনে হয়তো পুরনো কোন স্মৃতি উকি দিয়ে উঠবে।। বইটি নিয়ে অবশ্য সিনেমা ও বের হয়েছে,, মোটামুটি সবারই দেখার কথা।। তারপরও বই তো বই ই,,, বইপোকাহিসেবে না হয় আরেকবার পড়ে নিবেন।। :) একদল ছেলেমেয়ে পরিকল্পনা করেছে তারা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ জোছনা দেখতে যাবে। পরিকল্পনাটা ছিল ছেলেদের,,তারা যাবেই যাবে। মেয়েরা বলেছে তারাও যাবে। তাদেরকে বাদ দিয়ে কোন পরিকল্পনা করা যাবে না।কিন্তু ছেলেদের আপত্তি আছে মেয়েদের সাথে নিতে।। একেকজন তারা একেক পরিবেশে মানুষ হয়েছে আনুশকাদের কত টাকা তারা তা নিজেও জানে না, একই কথা বলা যায় শুভ্রর বাবার ক্ষেত্রেও। বল্টুকে টিউশনির টাকা দিয়ে চলতে হয়। সন্জুর ভ্রমনের টাকাটাও তার মামার কাছ থেকে চেয়ে আনতে হয়। অন্যদিকে জরীর এই ভ্রমণে যাবার কথা বলার সাহসই নেই।কেন নেই বইটি পড়ে বুঝবেন।। যত তাদের যাওয়ার দিন এগিয়ে আসে প্রত্যকের জিবনে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে।এরমধ্যেই হঠাৎ জরীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। পঙ্গু বাবা আর অসহায় মায়ের দিকে তাকিয়ে জরী নিরবে রাজি হয়ে যায়। সেন্ট মার্টিন যাত্রার রাতেই বিয়ে করতে চায় জরিকে,, এখন কি করবে জরী? এদিকে শুভ্রর হঠাৎ করেই চশমা ভেঙ্গে যায় কমলাপুর রেলস্টেশনে। সেতো চশমা ছাড়া কিছুই দেখে না চোখে। এখন কি করে সে দারুচিনি দ্বীপে যাবে? অন্যদিকে বল্টু, রন্জু... যাওয়া হবে তো? নাকি পরিকল্পনাটাই শেষ হয়ে যাবে? উপন্যাসে চরিত্রগুলোর কিছু ডাকনাম ছিলো তার মধ্যে কানাবাবা নামটা ভালো লেগেছিল।। :) পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ এই উপন্যাস পরে কিছু কিছু জায়গা তে মন খারাপ হয়েছিলো অনেক। কিছু কিছু মানুষ থাকে নিজের ভাগ্যটা মেনে নেয় খুব সহজেই। প্রতিবাদ করার শক্তিও তার থাকে না। আর সেই সাথে জরির চাচিকে খুব ভালো লেগেছিল,, উপন্যাস জুড়ে তার যতটকু চরিত্র ছিল,,ফুটে উঠেছিল।।

      By Bibi Rasheda Afrin Rumi

      10 Dec 2017 09:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বরঃ (১৩) বইঃ দারুচিনি দ্বীপ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ প্রচ্ছদঃ সুখেন দাস পৃষ্ঠাঃ ৯৬ রকমারি মূল্যঃ ১১৩টাকা . শুভ্র হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি অসাধারণ জনপ্রিয় চরিত্র।শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ।কিন্তু বেচারার চোখ খুব খারাপ,চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ।দেখতে পাইনা।ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকে।দারুচিনির দ্বীপ বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র সিরিজেরই বই।একদল ছেলেমেয় সেন্ট মার্টিনে যাবার পরিকল্পনা করে এবং তারা সেন্ট মার্টিনের নাম দেয় "দারুচিনি দ্বীপ"।পুরো উপন্যাসটি যেহেতু দারুচিনি দ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়েছে এবং দারুচিনির দ্বীপই ছিল তাদের সবকিছুর মূল কেন্দ্রবিন্দু তাই উপন্যাসের নাম দারুচিনি দ্বীপ যথোপযুক্ত। . রিভিউঃ উপন্যাসে শুভ্র ও তার বন্ধু-বান্ধবীরা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে।এই নিয়ে তাদের মধ্য অনেক পরিকল্পনা ও উৎসাহ দেখা যায়।একের পর এক বিভিন্ন মিটিংয়ের মাধ্যমে চলে পরিকল্পনার কাজ।প্রবল উৎসাহে তারা সেন্ট মার্টিনের নাম রাখে দারুচিনি দ্বীপ।তারা কল্পনা করতে থাকে ছোট্ট প্রবাল দ্বীপে চারপাশে সমুদ্র নিয়ে ভরা জোছনায় রাত কাটাবে।কিন্তু তাদের মধ্য নানান সমস্যা দেখা দেয়।প্রথমত সেন্ট মার্টিন যাওয়ার পরিকল্পনাটা ছিল ছেলেদের।মেয়েরা চেপে ধরে তারাও যাবে।তাদের বাদ দিয়ে কোন পরিকল্পনা করা যাবেনা।ছেলেরা মেয়েেদর নিতে ঘোর আপত্তি জানায়।তাদের মতে মেয়েরা সাথে গেলে নানান ঝামেলা। তারপর একে একে আরো অনেক সমস্যা বেড়িয়ে আসে।তার মূল কারণ তারা সবাই একই ক্লাসের ও বন্ধু হলেও সবাই আলাদা আলাদা সামাজিক পরিমণ্ডল থেকে এসেছে।তাদের একেকজনের পারিবারিক,সামাজিক অবস্থা একেক রকম।যেমনঃ শুভ্র ধনীর দুলাল।মা বাবার একমাত্র ছেলে।তার বাবা চাইনা সে তার মধ্যবিত্ত বন্ধুদের সাথে একা ঘুরতে যাক।অনুশকাদেরও প্রচুর টাকা।অন্যদিকে সনজুর বাবা সামন্য কেরানি।পিকনিকের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।বল্টু টিউশনির টাকা দিয়ে চলে।টাকা না পেলে হয়তো তারও যাওয়া হবেনা।আর জরী চাচার বাড়িতে আশ্রিতা।বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলার সাহস নেই তার। তাহলে কি তাদের সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যাওয়া আটকে যাবে?তাদের দারুচিনি দ্বীপের স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে? মূলত পুরো উপন্যাসই শুভ্র ও তার বন্ধুদের সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার বিভিন্ন পরিকল্পনা,তাদের পরিবার,সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে এগিয়েছে। . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলো হিমুকে বেশি ভালো লাগলেও,শুভ্রকেও অনেক ভালো লাগে।দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ শুভ্র ও তার বন্ধুদের আলাদা আলাদা পারিবারিক অবস্থানের মাধ্যমে সমাজের নানান সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।সমাজের উচ্চবিত্ত,নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থা,বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন।একদল ছেলেমেয়ে যাদের পরিবার সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে আলাদা হওয়া সত্ত্বেও,তাদের মধ্য যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে,যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে তা সত্যি অসাধারণ।তার উপর হুমায়ূন আহমেদ এর অসাধারণ লেখার জাদু তো ছিলই।আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে উপন্যাসটি। রেটিং:- ৪/৫

      By hbfhjbfw

      03 Sep 2017 04:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুচিনি দ্বীপ জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি বহুল পঠিত উপন্যাস। উপন্যাসে কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে। পুরো উপন্যাসটিতে শুধু তাদের সমুদ্রে যাওয়ার আয়োজন এবং না যেতে পারার আশঙ্কাটুকুই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটির শেষ পর্যন্ত তারা সমুদ্রে যেতে পারেনি। উপন্যাস শেষ হয় এর পাত্র-পাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ার দৃশ্য দিয়ে। লেখকের ভাষায়, তিনি এই উপন্যাসে তাঁর পাত্র-পাত্রীদেরকে সমুদ্রে নিয়ে যেতে পারেননি, তার কারণ তিনি নিজেই তখনও সমুদ্রে যাননি

      By Mahbuba Supti

      12 Jun 2017 09:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একদল ছেলে-মেয়ে ঘুরতে যাবে সেন্টমার্টিন। এই নিয়ে বহু পরিকল্পনা তাদের। এই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আছে শুভ্র(যার ডাকনাম কানা বাবা), সঞ্জু, রানা, অয়ন(অয়নের ডাকনাম বল্টু), তারেক, মোতালেব। আর মেয়েদের মধ্যে আছে জরী, আনুশকা, ইলোরা, নইমা, নীরা। সবাই মিলে একত্রে ঘুরতে গেলে অনেক মজা হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হলো ছেলেরা মেয়েদেরকে নিবে না। এমনকি শুভ্রকেও নিতে ছেলেরা রাজি না। এই সবগুলো ছেলে-মেয়ের পারিবারিক অবস্থা একরকম না। আনুশকা এবং শুভ্রের পরিবার অনেক উচ্চবিত্ত। তাদের কি পরিমাণ টাকা আছে তারা নিজেরাও হয়তো সেটা জানে না। আবার অন্য দিকে সঞ্জুর বাবা একজন সামান্য কেরানি। ছেলেকে ঘুরতে যাওয়ার টাকা দেয়ার সামর্থ্যটুকুও নেই তার। মা ছোট মেয়েকে দিয়ে তার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে এনে ছেলেকে দেয় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। বল্টু টিউশনি করিয়ে চলে। রানা পড়াশোনায় তেমন ভালো না হওয়ায় বড় ভাইয়ের বাড়ির কেয়ারটেকার। আর জরী তার বাবা-মা কে নিয়ে থাকে চাচার বাসায়। চাচী সারাদিনে হাজারবার মনে করিয়ে দেয় তারা আশ্রিতা। তারপরও তারা সবাই মিলে পরিকল্পনা করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাবে। একত্রে জোৎস্না উপভোগ করবে। আনন্দের বশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নামও দেয় তারা 'দারুচিনি দ্বীপ'! কিন্তু তাদের যাওয়ার দিন যতো আগাতে থাকে একটা একটা করে ঝামেলাও তৈরী হতে থাকে। হয়তো কারো যাওয়ার ভাড়াই যোগাড় হয় নি কিংবা অন্য কোন সমস্যা। আবার এদিকে জরীরও বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। তার চাচা মনিরুজ্জামান নামের এক অসভ্য লোকের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। জরীর তাকে পচ্ছন্দ না হলেও রাজি হতে হয় অসহায় বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে। তবে কি এই ছেলে-মেয়েগুলোর যাওয়া হয় না দারুচিনি দ্বীপে? তাদের এতো পরিকল্পনা সব কি শেষ হয়ে যাবে?

      By Hosneara Yeasmin Ami

      10 Jun 2017 06:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একদল ছেলেমেয়ে পরিকল্পনা করেছে তারা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ জোছনা দেখতে যাবে। মূলত ছেলেরা পরিকল্পনাটা করেছে। মেয়েরা বলেছে তারাও যাবে। তাদেরকে বাদ দিয়ে কোন পরিকল্পনা করা যাবে না।কিন্তু ছেলেদের আপত্তি আছে মেয়েদের সাথে নিতে এমনকি শুভ্রকে নিতেও। একেকজন তারা একেক সামাজিক পরিমন্ডল থেকে এসেছে। যেমন আনুশকাদের কত টাকা তারা তা নিজেও জানে না, একই কথা বলা যায় শুভ্রর বাবার ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে বল্টুকে টিউশনির টাকা দিয়ে চলতে হয়। সন্জুর বাবা সামান্য কেরানি। ভ্রমনের টাকাটাও তার মামার কাছ থেকে চেয়ে আনতে হয়। অন্যদিকে জরী চাচার বাড়িতে আশ্রিতা। তার তো এই ভ্রমণে যাবার কথা বলার সাহসই নেই। সকলে সব বিভেদ ভুলে গিয়ে একসঙ্গে পরিকল্পনা করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে জোছনা রাত্রি যাপনের। যত তাদের যাওয়ার দিন এগিয়ে আসে তত বিচিত্র সব ঘটনা ঘটতে থাকে। এরমধ্যেই হঠাৎ জরীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। মনিরুজ্জামান নামে অতি বদ এক লোকের সাথে তার চাচা তার বিয়ে করে। কিন্তু লোকটাকে জরীর একদমই ভাল লাগেনা। পঙ্গু বাবা আর অসহায় মায়ের দিকে তাকিয়ে জরী নিরবে রাজি হয়ে যায়। সেন্ট মার্টিন যাত্রার রাতেই বিয়ে করতে চায় মনিরুদ্দিন। এখন কি করবে জরী? এদিকে শুভ্রর হঠাৎ করেই চশমা ভেঙ্গে যায় কমলাপুর রেলস্টেশনে। সেতো চশমা ছাড়া কিছুই দেখে না চোখে। এখন কি করে সে দারুচিনি দ্বীপে যাবে? অন্যদিকে বল্টু, রন্জু ওদের যাওয়া হবে তো? নাকি পরিকল্পনাটাই ভেস্তে যাবে? আমার কথা : দারুচিনি দ্বীপ আমি প্রথম পরি ক্লাস ফোর বা ফাইভে। আব্বুর অফিসের লাইব্রেরীতে। আমার বইপোকা হবার পেছনে বিশাল কৃতিত্ব ছিল সেই লাইব্রেরীর। এমন কোন বই আমার জানামতে নেই যা সেখানে ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্সবুকের পাশাপাশি ইতিহাস ও সমকালীন সাহিত্যের বিশাল এক ভান্ডার ছিল সেটা। হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল সহ অসংখ্য লেখকের সাথে আমি পরিচিত হয়েছিলাম সেখানে। এই উপন্যাস পরে জরীর কাহিনী পড়ে কেঁদেছিলাম আমি। কত সহজে মানুষ নিজের ভাগ্যটা মেনে নেয়। প্রতিবাদ করার শক্তিও তার থাকে না। আর সেই সাথে জরীর বড় চাচিকে আমার অসম্ভব ভাল লেগেছিল। এমন মানুষ সব পরিবারে থাকলে কখনো কোন অঘটন ঘটতে পারে না। অন্যদিকে শুভ্রর বাবা চরিত্রটাকে শুধু স্বার্থপর মনে হয়েছে। সম্পর্কগুলো তার কাছে শুধুই বিজনেস ডিল আর কিছুই না।।। হ্যাপি রিডিং।।।

      By Tasfia Promy

      07 Jun 2017 03:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই- দারুচিনি দ্বীপ লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক - অনুপম প্রকাশনী প্রকাশকাল - ফেব্রুয়ারি ১৯৯১(প্রথম) পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৯৬ পৃষ্ঠা মুল্য – ১৫০৳ ধরণ - সমকালীন উপন্যাস/ শুভ্র সমগ্রের একটি বই কাহিনী সংক্ষেপঃ বেশ পড়ুয়া, মোটা পাওয়ারের চশমাআলা, সুদর্শন ধনীর দুলাল শুভ্র আর কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার বন্ধুদের নিয়ে। একদিন তারা ঠিক করলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যাবে। সবার নানা প্লান, আনন্দ, নানা স্বপ্ন এই ভ্রমণ নিয়ে। উৎসাহ কার থেকে কার কম কার বেশি? আনন্দ আর উৎসাহে তারা সেই দ্বীপের নাম দেই “দারুচিনি দ্বীপ”। ছোট্ট সেই প্রবাল দ্বীপ, চারপাশে সমুদ্রের মাতাল ঢেউ, সাথে পূর্ণিমার ভরা আলোয় তারা রাত কাটাবে। কিন্তু যা বলব তা কি হয়? হয় না কিন্তু। জরি, চাচার বাড়িতে বড় হওয়া এক মেয়ে, তাকে স্বপন দেখতে মানা, হুট করেই তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।বল্টু টিউশনির টাকা পায়না, সঞ্জুর মায়ের জমানো টাকা চুরি হয়ে যায়...। পদে পদে বাঁধা এক দিকে অন্যদিকে দারুচিনি দ্বীপের হাতছানি, কি হবে শেষমেশ?? পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ “দূরদ্বীপবাসিনী চিনি তোমারে চিনি দারুচিনির দেশের তুমি বিদেশিনী গো সুমন্দ —ভাষিণী!” এই বইটা পড়তে গেলেই এই গান টার কথা মনে পড়ে আমার। মুভিটা আগে দেখা ছিল, সেই যখন প্রথম টিভি তে প্রিমিয়ার হয়।। মুভিটা সেই সময় কেন যেন ভালো লাগেনি, কিন্তু বইটা আমার ভীষণ প্রিয়।ভীষণ প্রিয়। শুভ্র চরিত্রটা হিমু চরিত্র থেকেও প্রিয়। আমার ও ইচ্ছে করে করে দারুচিনি দ্বীপে যেতে। এত সুন্দর একটা উপন্যাস, আমার কাছে শুভ্র সমগ্রের সেরা বই এটা। রেটিংঃ ৫/৫

      By FAHAMIDA SULTANA

      17 Nov 2019 12:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া সবচেয়ে ভালো বই এটি।।আমি সেন্টমার্টিন গিয়ে বইটি পড়তে আগ্রহী হই।হুমায়ূন আহমেদ এতো ভালো ভাবে বইটি লিখেছেন, আমি মুগ্ধ।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ দারুচিনি দ্বীপ (হার্ডকভার) লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ প্রচ্ছদঃ সুখেন দাস পৃষ্ঠাঃ ৯৬ মুদ্রিত মুল্যঃ ১৫০৳ রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ উপন্যাসের কাহিনিটা শুভ্র আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার বন্ধুদের নিয়ে। তারা সকলে মিলে ঠিক করলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যাবে। সেকি উৎসাহ, প্ল্যান! সেই উৎসাহে সেন্ট মার্টিনের নাম তারা পাল্টে রাখে “দারুচিনি দ্বীপ”। ছোট্ট সে প্রবাল দ্বীপের চারপাশে সমুদ্র সাথে পূর্ণিমার আলোয় তারা রাত কাটাবে। দেখবে নিস্তব্ধ প্রকৃতির সৌন্দর্য। কি অপূর্বই না হবে সে দৃশ্য! দারুচিনি দ্বীপ যাবার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইলেও তাদের দেখা দিতে থাকে নানান ধরনের সমস্যা। শুভ্র বিরাট ধনী পরিবারের অনেক আদুরে সন্তান। চোখের সমস্যা তার এতটাই প্রকট যে খালি চোখে কিছুই দেখে না। এজন্যে তার বাবা যেতে দিতে রাজি হয়না তার কষ্টের কথা ভেবে। শুভ্রদের সাথে আবার পাঁচজন মেয়েও যেতে চায়। কিন্তু ছেলেরা রাজি হয়না। কেননা তারা কোনপ্রকার ঝামেলায় পরতে চায়না। তাদের এক মেয়েবন্ধু জরি সেও সপ্ন দেখে দারুচিনি দ্বীপের নির্জন সমুদ্রের পাড়ে হাটার। কিন্তু তার পরিবার ভীষণ রক্ষণশীল। চাচার পরিবারে আশ্রিত বলে তার সপ্ন দেখতে মানা। বিয়ে ঠিক হয়ে যায় তার। কিন্তু তবুও সে যেতে চায় দারুচিনি দ্বীপে। এতসবের মাঝে চলে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন, যাত্রার ক্ষণ। কিন্তু আদৌ কেউ যাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নয়। কারন, সঞ্জুর মা সঞ্জুর জন্যে অনেক কষ্টে যে টাকা জমিয়েছিলেন সে টাকা হারিয়ে যায়। বল্টু টিউশনির টাকাটা যোগার করতে পারেনি বলে তার যাত্রাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।। কি হবে এবার? তারা কি পারবে না সপ্নের দারুচিনি দ্বীপ যেতে? সমুদ্রের পাড়ে বসে চাঁদের আলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বা সমুদ্রে স্নান করতে? হুমায়ুন আহমেদের হিমু বা মিসির আলি চরিত্র আমাকে যতটা টানে তার চেয়ে বেশি টানে শুভ্র চরিত্র। আমি বারবার পড়লেও কোনরূপ ক্লান্তি বা একঘেয়ে লাগেনা। “দারুচিনি দ্বীপ” বইটি নিঃসন্দেহে আপনারও ভালো লাগবে। বিশেষ করে তাদের সকলের বন্ধুত্বের অপূর্ব বন্ধন আপনার মাঝে একধরনের ভালোলাগা তৈরি করবে। কিছু কিছু অংশের কাহিনি বইটির আবেদনকে আরো তীব্র করে তুলেছে। কাহিনির ভাব প্রকাশে লেখক ছিলেন সাবলীল। ভাষাও ছিল সহজবোধ্য। বইটির প্রথমদিক থেকে যে টানটান উত্তেজনা থাকে তা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শেষের দিকের কাহিনী জটিল হলেও উপভোগ্য ছিল। সে হিসেবে বইটিকে আমি ৫/৫ দিব অবশ্যই। রকমারি থেকেও নিতে পারেন বইটি, যদি আপনার সংগ্রহে না থাকে। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/1180/দারুচিনি-দ্বীপ

      By maruf morshed

      16 Nov 2016 06:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই পড়তে হলে মনের চোখ খুলতে হয়, কিন্তু সেই বই এর সিনেমা যদি দেখা থাকে তবে চোখটা কেন জানি সিনেমার চোখ মনে হয়। শুভ্র কে মনে হয় রিয়াজ, বাটু অয়ন হল মোশাররফ করিম। অন্যভাবে কল্পনাটাও আসছে না। মুনার চেহারাটাও সেই সিনেমার মত। আগের বারে ছোট কালের একজনের সাথে কল্পনা করে নিয়েছিলাম। তুমি মানুষ হয়ে জন্মেছ মা, মানুষ একার জন্য বাচে না, মানুষ অন্যেদের জন্য বাচে।এই খানেই মানুষ হয়ে জন্মাবার আনন্দ। আসাদুজ্জামান নুর বলছে। উপায় নাই-চোখে ভাসবেই।দুক্ষের বিষয় ট্রেনে কোথাও পিকনিক করতে যাই নি। আমি নিজেও জানি কেমন, তাই আমার বন্ধুরাও তেমন। সবাই বাসে ট্রেনে ঘুমায়-পরীক্ষার রাতে জেগে থাকে। সেই শেষ মুহুর্তের দৃশ্যটা কল্পনা করুন কত সুন্দর তাই না। আমার উপদেশ আগে বই পড়বেন-তারপরে সিনেমা দেখবেন-দুই মাস পরে আবার বইটা পড়বেন। পরপর পড়তে বলছিনা কারন তাহলে টেক্সট বই ভাব আসতে পারে।

      By mostafizur rahman

      14 Nov 2016 08:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে অনেক আনন্দদায়ক বিষয় হল ভ্রমণ। ভ্রমনের কথা উঠলেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা কল্পনা। ভ্রমণ নিয়ে প্লান হয় হাজার রকমের। কারো কারো তো রাতের ঘুম পর্যন্ত হয়না। এক শ্রেনী যেমন ভ্রমণের আনন্দ নিয়ে ব্যাস্ত দেখা যায় টাকা অপরদিকে পয়সার অভাবে তার বন্ধুই যেতে পারেনা। এ গল্পের কাহীনি ঠিক সেরকম পরিস্থিতির। একদল যুবক ঠিক করে তারা দারুচিনি দ্বীপ যাবে। সত্যি বলতে এই নামটা তাদেরই দেয়া। পিকনিকে যে কজন যাবে তার একজন শুভ্র। হুম ঠিকি ধরেছেন এই শুভ্র, শুভ্র সিরিজের গল্প। আমরা জানি শুভ্র ভালোমত চোখে দেখে না, পরিক্ষায় সবসময় ফার্স্ট হয়। এবং ক্লাসের লোকেরা তাকে কানা বাবা বলে ডাকে। শুভ্রর বাবার ধারনা শুভ্র সারা জীবন ঘরের কোনে বসে থাকার জন্য জন্ম নিয়েছে। এই শুভ্র যখন পিকনিকে যাওয়ার কথা বললো তার বাবা তো আকাশ থেকে পড়ল। তার বাবা আকার ইঙ্গিতে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন শুভ্র যাতে পিকনিকে যায়, কিন্তু শুভ্র সেসব না শুনে এক প্রকার বাবার অমতে রিকশায় করে স্টেশনে যায়। শুভ্রর বাবা তাকে গাড়ি করে যেতে বলেছিল কিন্তু কে শোনে কার কথা ফলে শুভ্রর ওপর নেমে আসে ঘোর বিপদ এক্সিডেন্ট করে রিকশা। শুভ্রের এই কানা বাবার কারনে শুভ্রর কোন বন্ধুই তাকে ভ্রমনে নিতে রাজি নয় তাদের অমতেই তাদের সাথে যাচ্ছে শুভ্র। শুভ্র যে ভালো মতে চোখে দেখেনা এটা যেমন একটা কারন সেইসঙ্গে শুভ্র অনেক বড়লোক সেটাও একটা কারন। শুভ্রর বন্ধুরা শুধু শুভ্রকে নিয়ে যেতে রাজি নয় তানা বরং তারা কোন মেয়েকেও নিয়ে যেতে রাজি নয়। অথচ মেয়েরা যাবেই। সব মেয়েদের জীবনে আছে সব বিচিত্র ঘটনা। কোন ঘটনা দুঃখের কোনগুলো হাসির। গল্পে একজনের মৃত্যুর কথা লেখা আছে, তার মৃত্যু আমাকে ভীষন কষ্ট দিয়েছে। আপনি কি ভাবছেন এক্সিডেন্টে শুভ্র মারা গেছে? আচ্ছা পড়েই দেখেন কেমন লাগে।

      By Mutasim Uddin

      23 Apr 2014 01:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘দারুচিনি দ্বীপ’ বইটি হুমায়ূন আহমেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় শুভ্র সিরিজের একটি উপন্যাস। 'দারুচিনি দ্বীপ' বইটির কাহিনীর উপর ভিত্তি করে হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় একটি অসাধারণ চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে বইটি পড়ার আগেই চলচ্চিত্রটি দেখা সৌভাগ্য হয়েছিলো। ছবিটি দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে বইটি পড়ার পরে যে ভালোলাগার সৃষ্টি হয়েছে তা ছবিটি দেখার ভালো লাগাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ একদল তরুণ ছেলেমেয়ের স্বপ্ন দেখার গল্প। স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্যে সকল বাধা-বিপত্তি পাড়ি দেবার গল্প। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র যথারীতি শুভ্র। শুভ্রর বন্ধুরা হঠাৎ একদিন পরিকল্পনা করে তারা সবাই মিলে দারুচিনি দ্বীপ বেড়াতে যাবে। এবং তারপর থেকে এই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমত ছেলেরা বিভিন্ন সমস্যার কথা ভেবে মেয়েদের সাথে নিতে চায় না। কিন্তু মেয়েরাও নাছোড়বান্দা, তারা যাবেই। শেষ পর্যন্ত তাদের সাথে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর দেখা যায়, টাকার সমস্যা। শুভ্র অত্যন্ত ধনী বাবার ছেলে হলেও তার বন্ধুরা বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তাদের টানাপোড়েনের সংসার থেকে দারুচিনি দ্বীপ যাবার টাকা বের করতে খুব কষ্ট করতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সবেরও সমাধান হয়। কিন্তু তখন তাদের এক বান্ধবী জরীকে নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। জরী চাচার পরিবারে মানুষ। জরীর চাচা তার অমতে তাকে এক বখাটে টাকাওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্যে উঠে পড়ে লাগেন। কিন্তু জরী মনে মনে শুভ্রকে পছন্দ করে। শেষ পর্যন্ত কী হবে? জরী কি শুভ্রদের সাথে দারুচিনি দ্বীপ যেতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে পাঠককে এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে হবে। এই উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী দিকটি হল, যতই সময় এগোতে থাকে ততই কাহিনী জমে উঠতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সাবলীল লেখনী দিয়ে পাঠকদের এমনভাবে উপন্যাসের সাথে একাত্ম করে ফেলেন যে তাদের মনে হবে তারা নিজেরাই যেন দারুচিনি দ্বীপ যাবেন। সব বাধা অতিক্রম ক্রমে দারুচিনি দ্বীপ যাবার স্বপ্ন ক্রমেই পাঠকমনে দানা বাঁধতে থাকে। সব পাঠকেরই একদল উচ্ছল ছেলে-মেয়ের সাথে দারুচিনি দ্বীপ বেড়াতে যাবার স্বপ্নে বিভোর হতে ভালো লাগবে আশা করি।

      By Waheed Ayon

      01 Apr 2017 02:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #রিভিউ - ২২ বইয়ের নাম - দারুচিনি দ্বীপ লেখক - হুমায়ূন আহমেদ ধরণ - সমকালীন উপন্যাস প্রচ্ছদ - সুখেন দাস প্রকাশক - অনুপম প্রকাশনী প্রকাশকাল - ফেব্রুয়ারি ১৯৯১(প্রথম) পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৯৬ পৃষ্ঠা মুল্য - ১৫০ টাকা রিভিউ - পৃথিবীতে সবচেয়ে আনন্দায়ক বিষয় হলো ভ্রমণ। ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীকে নিজের চোখে দেখা যায়। আমি মনে করি এটাই ভ্রমণের সবচেয়ে বড় পাওয়া। শুভ্র সিরিজের প্রথম বই "দারুচিনি দ্বীপ"। শুভ্র ও তার বন্ধুরা ভ্রমণ করার জন্য বেচে নিয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে। সেখানে তারা জোছনার আলোয় সমুদ্র দেখবে। দেখবে প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। তারা উৎসাহের সাথে সেন্ট মার্টিনের নাম পাল্টে রাখে দারুচিনি দ্বীপ। এখান থেকেই বইটার নাম এসেছে -"দারচিনি দ্বীপ" বইয়ের শুরু থেকেই চলে দারুচিনি দ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা। বিভিন্ন মিটিঙের মাধ্যমে চলে পরিকল্পনার কাজ। কোথায় কিভাবে যাওয়া হবে তার বর্ণনা সহ প্ল্যান করে ফেলা হয়। কে কে যাবে তারও একটা লিস্ট হয়ে যায়। কিন্তু কিছু ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে একটা বড় সমস্যা তৈরী হয়ে যায়। কি সেই সমস্যা? সাধারণত ভ্রমণের জন্য তিনটা জিনিস দরকার্। ইচ্ছা, সামর্থ আর অর্থ। যারা যেতে চেয়েছিলো তাদের সবারই যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো অনেক। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অন্য দুইটা কারণে। কারো কারো সমর্থ আছে কিন্তু অর্থের কারণে তাদের যাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। আবার কারো কারো অর্থ থাকলেও দেখা দেয় সামর্থের সমস্যা। এই দুই জিনিসের অভাবের অসাধারণ বর্ণনা লেখক বইটাতে দিয়েছে। অর্থ আর সামর্থের কারণে কিছু মানুষের স্বাভাবিক জীবনের আনন্দ কিভাবে ভেঙে যায় তার বর্ণনাও খুব সুন্দর ভাবে দেওয়া হয়েছে বইটাতে। শুভ্র সিরিজের বই যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন চশমা ছাড়া শুভ্র কিছু দেখতে পারে না। চশমা ছাড়া সে এক কথায় অচল। সেদিক থেকে দেখলে শুভ্রর টাকার অভাব না থাকলেও যাওয়ার সামর্থ কম। অন্যদিকে সঞ্জুর মা সঞ্জুর দারুচিনি দ্বীপ যাওয়ার জন্য যে টাকা যোগার করেছিলেন সেটা চুরি হয়ে গেছে। তাই সঞ্জুর যাওয়াও হচ্ছিলো না। বল্টু নামে আরেকজনের টাকার ব্যবস্থা হয় নি বলে সেও যাচ্ছিলো না। এরকম কিছু বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। বইটাতে শেষের দিকে একজনের ভালোবাসার কথা প্রকাশ পায়। এব্যাপারেও লেখক দিয়েছেন অনেক সুন্দর বর্ণনা। গল্পের শেষে একটা মৃত্যুর বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। সব মিলে অসাধারণ একটা বই। " তুমি মানুষ হয়ে জন্মেছ মা, মানুষ একার জন্য বাচে না, মানুষ অন্যেদের জন্য বাচে।এই খানেই মানুষ হয়ে জন্মানোর আনন্দ।এইখানেই মানুষ হয়ে জন্মানোর দুঃখ।" বইটাতে আমার রেটিং - ৪/৫ ব্যাক্তিগত মতামত - "দারুচিনি দ্বীপ"বইটা আসলেই অনেক সুন্দর্। শুভ্র সিরিজের আমার পড়া দ্বিতীয় বই এটা। প্রথম পড়েছিলাম -"শুভ্র গেছে বনে" সেই বইটা বেশি ভালো লাগে নাই। সেই তুলনায় দারুচিনি দ্বীপ অসাধারণ একটা বই। বইটাতে লেখক সব চরিত্রের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটা বই আমাদের দেওয়ার জন্য। :-)

      By Sawon Ahmed

      26 Jul 2016 11:26 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক দল বন্ধু, সবাই মিলে তারা ঘুরতে যেতে চায় সেন্ট মার্টিন্সে। তাই নিয়ে অনেক আগ্রহ, অনেক প্ল্যান। কিন্তু সবারই কিছু না কিছু সমস্যা আছে, আছে সীমাবদ্ধতা। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তাদের সবার কি যাওয়া হবে স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপে? হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রদের একজন। তার বই পড়েননি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিজ আছে, শুভ্র তার মধ্যে অন্যতম। এই শুভ্র সিরিজের প্রথম বই “দারুচিনি দ্বীপ”। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একদল তরুণ-তরুণী। সমাজের নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব শ্রেণীর প্রতিনিধিই আছে এই দলে। সবাই মিলে ঠিক করে, একসাথে ঘুরতে যাবে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে। কিন্তু প্ল্যান করলেই কি তা সফল করা যায়? যে গল্পের শুরুটা হয়েছিল এক দল বন্ধুর গল্প নিয়ে, ধীরে ধীরে সেই গল্পে চলে আসে তাদের সবার পরিবার। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব, ছোট ছোট ভাল লাগা আর অনেক স্বপ্ন; সব কিছুই এই এক বইয়ে উঠে এসেছে। শুভ্র সিরিজের মোট বই আছে ৫টি। এর প্রথমটি হল ‘দারুচিনি দ্বীপ’। জনপ্রিয় এই বইয়ের সিক্যুয়েল ‘রুপালী দ্বীপ’। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে আর ২০০৭ সালে এই কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল একই নামের চলচ্চিত্র। স্বপ্ন পূরণের গল্প, সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের কাহিনী, বন্ধুত্বের কথা; এই সব মিলেই ‘দারুচিনি দ্বীপ’। যদি এখনও পড়া না হয়ে থাকে, তাহলে আজই পড়ে ফেলতে পারেন চমৎকার এই বইটি।

      By Parvej Hasan

      07 Mar 2017 08:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মাঝে মাঝে শুভ্র হতে ইচ্ছে করে... অসাধারণ একটা বই, সাথে সিনেমাটাও...

      By Wasifa Zannat

      17 Jun 2016 11:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      শুভ্র বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ। বেচারার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকে। হুমায়ূন আহমেদের এই জনপ্রিয় চরিত্রটিকে বিটিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার নিয়ে আসা হয়েছে। অনেক খ্যাতিমান টিভি অভিনেতা অভিনেত্রীরা শুভ্র উপন্যাস-কেন্দ্রিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে অধিকাংশ সিনেমায় শুভ্র চরিত্র রূপায়ণে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা রিয়াজ। দারুচিনি দ্বীপ জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি বহুল পঠিত উপন্যাস। কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে।উপন্যাস শুরুর একটু পরেই গল্পের মোড় ঘুরে যায়। চলে আসে যারা দ্বীপে বেড়াতে যাবে তাদের নানা সমস্যার গল্প। পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি। একই সাথে লেখাপড়া করা একদল ছেলেমেয়েদের মাঝে কত বিচিত্রতাই না থাকে। কত পার্থক্য তাদের মাঝে, একজনের জীবন আর আরেকজনের জীবন একদমই যেন নদীর দুই পার। কেও বড়লোক, টাকা রাখার জায়গা নেই। ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে তার হিসাব নেই। কেও গরীব, শীতে একটা সুয়েটার কিনে পড়তে পারে না। একটা শার্ট দিয়ে শীত কাবার করে ফেলে। কেও লম্বা, কেও বাঁটু; কেও হাবা, কেও চতুর। কিন্তু একটা জায়গাতে ওরা সবাই একইরকম, সবাই একসাথে। সেন্ট মার্টিন যাবার জন্য টাকা যোগার করতে কারোর হিমশিম খেতে হয়, কিন্তু হিমশিম থাকা সত্ত্বেও আশা ছাড়ে না। কোনো একভাবে টাকাটা পেয়ে যাবে। সে স্টেশনে গিয়ে বসে থাকে। পুরো উপন্যাসটিতে শুধু তাদের সমুদ্রে যাওয়ার আয়োজন এবং না যেতে পারার আশঙ্কাটুকুই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসটির শেষ পর্যন্ত তারা সমুদ্রে যেতে পারেনি। উপন্যাস শেষ হয় এর পাত্র-পাত্রীদের সমুদ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ার দৃশ্য দিয়ে। লেখকের ভাষায়, তিনি এই উপন্যাসে তাঁর পাত্র-পাত্রীদেরকে সমুদ্রে নিয়ে যেতে পারেননি, তার কারণ তিনি নিজেই তখনও সমুদ্রে যাননি। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি দারুচিনি দ্বীপ এর দ্বিতীয় খন্ড রূপালী দ্বীপ রচনা করেন, যেখানে তাদের মিশন দারুচিনি দ্বীপ পূর্ণতা লাভ করে। দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি নিয়ে ২০০৭ সালে অভিনেতা এবং নির্মাতা তৌকির আহমেদ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে একই শিরোনামে দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এতে শুভ্র চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ এবং নায়িকা জরীর চরিত্রে অভিনয় করেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৬ মম।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!