User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Manna Chakraborty

      20 Jul 2023 02:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Zakaria Minhaz

      25 Feb 2022 04:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #Book_Mortem 33 #ফোরটি_এইট_আওয়ার্স লেখকঃ রবিন জামান খান প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রকাশনীঃ বাতিঘর মূদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা #আখ্যানঃ স্রোতের বিপরীতে ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টায় থাকা পুলিশের সিনিয়র এএসপি পদে কর্মরত মনিরুল আলম মারুফ এর সাথে এক সন্ধ্যায় প্রচন্ড ঝগড়া হয়ে যায় দেশের শীর্ষস্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সাথে, যে কিনা আবার একই সাথে বর্তমান হোম মিনিস্টারের ভাতিজাও বটে!! সেই রাতেই নৃশংসভাবে খুন হয়ে যান সেই ব্যবসায়ী। বিভিন্ন আলামত আর সূত্র ইঙ্গিত করে খুনটা করেছেন মারুফই। সব মহলের চাপে পড়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে তাকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টার সময় দেয়া হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমানের জন্য। বন্ধুপ্রতীম অনুজ কায়সার কে নিয়ে তদন্তে নেমে একের পর এক বাঁধা আর ধাঁধার সামনে পড়ে মারুফ এবং কায়সার। এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে ওরা কি পারবে এই রহস্যের জাল ছিড়ে বের হতে? #পর্যালোচনাঃ মার্ডার মিস্ট্রি বইয়ের প্রথম ৫/১০ পৃষ্টার মধ্যেই যদি আপনি বুঝে যান কে খুনী এবং কেনো খুন করেছে, তাহলে আসলে সেই বইটাকে কতোটা ভালো লাগা সম্ভব? একদম শুরু থেকেই লেখক সম্পূর্ণ ইন্টেনশনালিই পাঠককে বারবার করে বিভিন্ন ক্লু এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন যে খুনী কে!! শেষের দিকে এসে সেটার মোড় একটু ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টাটা সফল হয়েছে বলে মনে হয়নি। যদি আগাগোড়া পুরো বইয়ের শুরু থেকেই বারবার হিন্টস দেয়া না হতো, তাহলে হয়তো ওই জায়গাটুকুতে এসে পাঠক কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত হতে পারতো। কিন্তু লেখক সে সুযোগটুকুই রাখলেন না কেনো তা আমার বোধগম্য নয়। এমনকি শুরুর যে প্রারাম্ভটুকু ছিলো সেটা যদি শুরুতে না দিয়ে শেষের দিকের ২/১টা চ্যাপ্টারের আগে ফ্ল্যাশব্যাক হিসাবে দেয়া হতো তাহলেও হয়তো পাঠক আরেকটু থ্রিল নিয়ে বইটা শেষ করতে পারতো!! ২০০ পৃষ্টার এই ছোটো উপন্যাসটি তাই সুন্দর প্লট, দূর্দান্ত গতি এবং ভালো লেখনী সত্ত্বেও মন ভরাতে পারেনি। ঢাকার রাস্তায় ভালো একটা "কার" চেজ পড়লাম এই বইয়ে, যেটা বইয়ের হাইলাইট হয়ে থাকবে। তদন্তের ধরণটুকুও ভালোই ছিলো বলা যায়। ডাটা মাইনিং এর বিষয়টা নিয়ে লেখক শুরুতেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করায় সেটা কে আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়নি। তবে আক্ষেপ ওইটাই, সেইম প্লট, লেখনী আর আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো দিয়ে যদি আরো একটু গুছালো এবং রহস্যময় করে বইটা লিখা হতো তাহলে মনে রাখার মতো একটা বই পেতাম আমরা। #চরিত্রায়নঃ কোনো চরিত্রকেই বিল্ডআপ করার সময় দেননি লেখক। মারুফ, কায়সার কাউকেই মনে গেঁথে নেয়ার মতো করে উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি। বইয়ের শুরুর দিকে এরশাদ নামের একটা চরিত্রকে উপস্থাপন করা হয় মারুফের বিরোধী হিসাবে, যার আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না পুরো বইয়ে। এছাড়া মীরা নামক এক চরিত্র আছে, যারও কোনো ধরণেরই ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি বইয়ে। পাটোয়ারীর চরিত্রটা ভালো লাগলেও, বারবার গ্রাম্য ভাষায় এবং চলিত ভাষায় হযবরল করে কথা বলার বিষয়টা দৃষ্টিকটু লেগেছে। সবচেয়ে সুন্দরভাবে সম্ভবত জাকির আদনানকেই ফুটাতে পেরেছেন লেখক। একজন খারাপ মানুষের সর্বোচ্চ খারাপটুকুই দেখিয়েছেন তিনি। #প্রোডাকশনঃ ২০১৬ সালের বাতিঘরের প্রোডাকশনকে ভালো কিংবা চালিয়ে যাওয়ার মতোও বলা সম্ভব না। এক বাইন্ডিংস ছাড়া বাকী কিছুই ভালো লাগেনি। প্রচ্ছদ ভালো না, অজস্র বানান ভুল, শেষের দিকে এসে প্রচুর পরিমাণে নাম বিভ্রাট (যদিও এর দায়টা লেখকের উপরেও যায়)। এমনকি বইয়ের নামটাও ভালো লাগেনি। পুরো বইটাই বাংলায়, বইয়ের গল্পেও সাতচল্লিশ, আটত্রিশ এভাবে করে ঘন্টা উল্লেখ করলেও, ঠিক কি কারনে নামকরনের ক্ষেত্রে ইংরেজির সহায়তা নিতে হলো তা বোধগম্য নয়। #রেটিংঃ ৫.৫/১০ (দূর্দান্ত গতিময় বইটি ওয়ান টাইম রিড হিসাবে ভালো মতোই উতরে যাবে। এমন না যে পড়ার অযোগ্য, সুখপাঠ্য অবশ্যই। জাস্ট মাথাটা ফাঁকা রেখেই পড়বেন) #পরিশিষ্টঃ পাঠকপ্রিয় লেখক রবিন জামান খান এর কালেকশনে থাকা ৪টা বইয়ের মধ্যে প্রথম বই হিসাবে পড়ার জন্য এই বইটা নেয়া উচিত হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। আমার উচিত ছিলো পপুলার বইগুলোর কোনো একটা দিয়ে শুরু করা। দেখা যাক প্রবল জনপ্রিয় বইগুলো আমার কাছে কেমন লাগে!!

      By Mahboba Jahan Eva

      19 Jan 2021 03:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আচ্ছা ভাবুন তো… কোনো নামকরা ব্যক্তির সাথে আপনার ঝগড়া হলো এবং সে রাতেই খুন হয়ে গেলো সেই ব্যক্তি। আর খুনের পুরো দায় এসে পড়লো আপনার উপরে। এমন কি স্বয়ং হোমমিনিস্টার যেখানে উঠে পড়ে লেগেছে আপনাকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে, সেখানে নিজেকে কিভাবে নির্দোষ প্রমাণ করবেন আপনি? আচ্ছা ধরুন এতকিছুর পরও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আপনাকে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় দেওয়া হলো। আপনি কি পারবেন এই আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে নিজেকে খুনের দায় থেকে মুক্ত করতে? . . ফোরটি এইট আওয়ার্স গল্পটি এমনই একটি গল্প। পুলিশের এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনানের। আর তারপরই রাতে বিচ্ছিরি ভাবে জাকির আদনান খুন হয় নিজের বাসায়। খুনের পুরো দায় এসে পড়ে মারুফের উপরে। মিডিয়া থেকে শুরু করে স্বয়ং হোমমিনিস্টার অব্দি উঠেপড়ে লাগে মারুফকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। এমতাবস্থায় বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় খুনিকে খুঁজে বের করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র… নাম কায়সার এবং আইটি এক্সপার্ট আলীম পাটোয়ারী। মারুফ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে সম্মুখীন হতে থাকে নতুন নতুন সব সত্যের। সে কি পারবে আটচল্লিশর ঘন্টার মধ্যে খুনিকে খুঁজে বের করতে? পারবে কি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে? . . এই লেখকের দুইটা বই পড়েছিলাম গত বছর। চমৎকার লিখেন তিনি। উনার যে কয়টা বই পড়েছি একটা বইও হতাশ করেনি আমাকে। গল্পে আমি যাকে খুনি হিসেবে ভেবেছিলাম শেষে গিয়ে দেখি আমার ধারণাকে লেখক ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে। চরিত্রের নাম নিয়ে দুয়েক জায়গায় একটু সমস্যা চোখে পড়েছে। এছাড়া আর কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি। বইটাতে টুইস্ট ছিলো চমৎকার… সাথে টানটান উত্তেজনা তো ছিলোই। ওভারঅল এক বসায় শেষ করার মত চমৎকার একটি বই 'ফোরটি এইট আওয়ার্স'! ❤ বইয়ের নাম: ফোরটি এইট আওয়ার্স লেখক: রবিন জামান খান প্রকাশনী: বাতিঘর প্রচ্ছদ: ডিলান প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৬ মূল্য: দুইশত টাকা মাত্র

      By Safwan Mishad

      08 Aug 2020 10:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It was good.

      By Sultan

      01 Oct 2019 03:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ ঝগড়া হবার পর পরই খুন হয়ে যায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। ডিপার্টমেন্ট থেকে মিডিয়া, এমনকি খোদ হোম মিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে ওকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন সত্যিকারের খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে। ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র আর এক আইটি এক্সপার্টের সহায়তায় খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে মাঠে নামে সে। ওদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টা। অসম্ভব এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হলো তাদেরকে। কি সেই সত্য জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা! পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ লেখক রবিন জামান খানের ২য় মৌলিক বই এটি। প্রথমটির নাম ছিল ২৫ শে মার্চ। সিম্বলজি ও কাল্ট নিয়ে লিখিত বইটি গত বছর বইমেলায় বের হয়। বেশ ভাল লেগেছিল। লেখনি, কাহিনী প্রবাহ সবই ছিল সুন্দর। তাই এবারের বইটির উপর স্বভাবতই প্রত্যাশা বেশী ছিল। এই বইটির কাহিনী শুরু হয় একজন পুলিশ অফিসারকে দিয়ে। তিনি একবার একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্যের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। তারপরের দিনই সেই লোক খুন হন। খুনের দায় গিয়ে পড়ে পুলিশ অফিসারটির উপর। শুরু হয় তার নির্দোষ প্রমাণের কাউনডাউন! গল্পের প্লটটা ভালো ছিল। প্রথম থেকে একটা নির্দিষ্ট গতিতে চলতে চলতে ১৩০তম পৃষ্ঠায় এসে হঠাৎ গতি বেড়ে যায় গল্পের। পাঠককে টেনে ধরে রাখে একেবারে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত! তবে গাথুনীতে কিছুটা সমস্যা লক্ষ্য করেছি। যারা সাধারণত থ্রিলার পড়তে অভ্যস্ত, তাদের কাছে কিছুটা প্রেডিক্টেবল হয়ে যেতে পারে। তবে লেখক এ ব্যাপারে কিছুটা যত্নশীল হলে এরকম সমস্যা এড়ানো যেত। যেমনঃ গল্পের শুরুতে পাঠক একটি এক্সিডেন্টের ঘটনা পাবেন। এরপর ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় ওই একই ঘটনার কথা উল্লেখ আছে অন্য প্রেক্ষাপটে। পাঠক ঘাঘু হলে ওই ২১ তম পৃষ্ঠাতেই আসল খুনি কে, সেটা বুঝে যাবে! এছাড়া গোটা গল্পে এরকম আরো কয়েক জায়গায় এভাবে হিন্ডস দেয়া হয়েছে, যা না দিলেও হত। তাহলে শেষের টুইস্টটি আরো ভালভাবে ধাক্কা দিতে পারতো পাঠক মনে। গল্পে আরো একটি ব্যাপারে বাহুল্যতা লক্ষ্য করেছি। সেটি হলো চরিত্র। লেখক গল্পে একাধিক চরিত্রের আগমন ঘটিয়েছেন। এটা ঠিক যে গল্পের জাল তৈরি করতে অনেক সময় একাধিক চরিত্রের আনায়ন ভাল ফল দেয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সব চরিত্রের প্রতিই সমান বিচার করতে হয়। লেখক এই জায়গাতে কিছুটা হড়বড়িয়ে গিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে গল্পে কিছু চরিত্র অকারণে আনা হয়েছে। তার ভেতর একটি হচ্ছে কালা আনসারি চরিত্রটি। এই চরিত্রটি শুধুমাত্র গল্প বড় করার জন্যে আনা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ এটির তেমন কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা আলোচ্য গল্পে আমি পাই নি। তবে লেখক গল্পের শেষে প্রত্যেকটি চরিত্রের সন্তোষজনক পরিণতি আনার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া গল্পের ভাষা, লেখনি ভালো ছিল। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের "জেফরি-বাস্টার্ড" সিরিজের ভক্তদের জন্য এই বইয়ে ছোট্ট একটি চমক আছে! ;) এবার আসি গল্পের বাহ্যিক দিকে। গত দু-তিনেক বছরে বাতিঘরের মৌলিক ও অনুবাদ উভয় বইয়ে বানান ভুল এবং ছাপার ভুল কম দেখেছি। ভেবেছিলাম বাতিঘর আগের থেকে উন্নতি করেছে। তবে এবার সেই ভুল ভাংলো আমার। রবিন জামান খানের "ফোরটি এইট আওয়ার্স"-এ বানান ভুল পেয়েছি বেশ কিছু। ছাপার ভুলও ছিল কিছু। যেমনঃ এক জায়গায় কায়সায় এর বদলে মাহাবুব ছাপা হয়েছে! এত কিছুর পরেও ফোরটি এইট আওয়ার্স থ্রিলার হিসেবে বেশ ভাল। টান টান উত্তেজনা ছিল। কালা আনসারি আর মারুফদের ভেতর মারামারির জায়গাটি বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এছাড়া বইয়ের মান, বাইন্ডিং, কাগজের মান ভালো ছিল। দামও সাধ্যের ভেতর। তবে ইদানিং বাতিঘর তাদের প্রচ্ছদে নীল রঙের প্রাধান্য বেশি দেয়ায় আলোচ্য বইয়ের প্রচ্ছদটি কিছুটা আকর্ষনীয়তা হারিয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। প্রচ্ছদটি আরো ভালো হতে পারতো! সব শেষে বলতে চাই, রবিন জামান খানের 'ফোরটি এইট আওয়ার্স' একটি ভালো বই। বিশেষ থ্রিলার প্রেমিকদের ভালোই লাগবে বইটি। তাই যারা এখনো পড়েন নি বা সংগ্রহ করেন নি, করে ফেলুন। নাহলে সত্যিই ভালো একটি বই মিস করবেন!

      By Mitul Rahman Ontor

      30 Mar 2019 03:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ বইঃ ফোরটি এইট আওয়ার্স লেখকঃ রবিন জামান খান প্রকাশনাঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৮ মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০টাকা। রকমারির রেটিং সিস্টেম মাঝেমাঝে খুব বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। বইটি ৩ তারার মত একেবারেই এভারেজ ও না, আবার ৪ তারাও ঠিক দেয়া যাচ্ছে না। রেটিং সিস্টেম ৫ না হয়ে, ১০ এ হলে বোধহয় আরেকটু সহজ হতো আমাদের জন্য। রবিন জামান খান অন্যতম প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। প্রিয় থ্রিলার বইয়ের লিস্ট করলে, তার হিস্টোরিকাল থ্রিলার ২৫শে মার্চ এবং সপ্তরিপু অবশ্যই থাকবে। ব্ল্যাকবুদ্ধাসহ বেশ কিছু আরো হিস্টোরিকাল থ্রিলার নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তবে এই বইটি "হিস্টোরিকাল থ্রিলার" নয় বরং মার্ডার মিস্ট্রি। মার্ডার মিস্ট্রি হিসেবে খারাপ নয়। তবে আহামরিও মনে হয় নি। বইয়ের কন্সেপ্ট এবং প্লট অনুযায়ি বইটি আরেকটু ছোট হলে নভেলার আকারে হলে বেশ মানিয়ে যেতো। মার্ডার মিস্ট্রির মূল সাসপেন্স হলো "কে সেই মার্ডারার"৷ তবে এই বইয়ে এটা খুবই দুর্বল পয়েন্ট ছিল। অনেক আগেই বুঝে ফেলেছিলাম। লেখক এই বইটি বেশ দায়সারা ভাবে লিখেছেন তাই অনেকটাই অনুমেয়। লেখক "সপ্তরিপু" এর স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখবেন, এমন প্রত্যাশাই থাকবে। মার্ডার মিস্ট্রির ফ্যান হলে পড়ে দেখতে পারেন। তবে খুব বেশি উচ্চাশা নিয়ে শুরু না করার পরামর্শই দিব। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.৫/৫

      By Md. Saiful Islam Sohel

      10 Aug 2018 07:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ পর্ব-৩ বইয়ের নাম: ফোরটিএইট আওয়ার্স লেখক: রবিন জামান খান জনরা: ক্রাইম থৃলার/মার্ডার মিস্ট্রি প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৬ প্রচ্ছদ: ডিলান পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২০৮ পৃষ্ঠা মুদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা রেটিং: ৪.০/৫.০ . জনরা পরিচিতি: ক্রাইম থৃলার বলতে বোঝায় সেই থৃলারকে, যেই থৃলারে একটা অপরাধ ঘটে, এবং অপরাধের পর গোয়েন্দা কিংবা পুলিশ অপরাধীকে ধরতে উঠেপড়ে লাগে। সেই বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি থৃলারই ক্রাইম থৃলার, কেননা থৃলারের বেসিক কনসেপ্টই হলো ‘ক্রাইম’। তবে ক্রাইম থৃলারের মাঝে মার্ডার মিস্ট্রি হলো ফুলের মাঝে বৃন্ত—যেখানে মূল ফোকাসটা করা হয় একটি খুনের ওপর। একটি খুনের মাধ্যমে মার্ডার মিস্ট্রিতে সাধারণত খুনির পরিচয় গোপন থাকে, এবং সে ছদ্মবেশে গোয়েন্দাদের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। গোয়েন্দাকে মার্ডারারকে খুঁজে বের করতে হয়। মার্ডার মিস্ট্রিতে মার্ডার কিংবা খুনটা হয় খুব দ্রুত। এক দুই পৃষ্ঠার মধ্যে মূল গল্পে চলে যাওয়া হয়। ডিটেইলিংয়ে খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় না। এবং গল্পের ফোকাসটা হঠাৎ করেই খুনটাকে ছেড়ে ইতিহাস, দর্শন কিংবা কন্সপিরেন্সির দিকে এগিয়ে যায় না। ইংরেজিতে মার্ডার মিস্ট্রির কোনো অভাব নেই। প্রচুর লেখক এ নিয়ে কাজ করেছেন এবং করছেন। বাংলাদেশে এ ধরনের গল্প খুব বেশি না থাকলেও ধীরে-ধীরে লেখকরা এগিয়ে আসছেন। বাতিঘর প্রকাশনীর হাত ধরে ‘২৫ মার্চ’ খ্যাত রবিন জামান খানের মার্ডার মিস্ট্রি—‘ফোরটি এইট আওয়ার্স’। . কাহিনি সংক্ষেপ: "Crime never peace." . অপরাধের সংজ্ঞা কী? কতোটুকু প্রমাণ থাকলে একজনকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা যায়? একজন গোয়েন্দা, আইনের রক্ষক কি কখনো অপরাধী হতে পারে? প্রথম প্রশ্নটার উত্তর বেশ জটিল। একজনের কাছে যেটা অপরাধ—অন্যজনের কাছে সেটাই নিত্যকর্ম। পাশ্চাত্য বিশ্বে বর্তমানে ডালভাত কাজগুলো আমাদের দেশে ভয়ঙ্কর রকমের অপরাধ। আবার আজ যেই কাজটা করতে আপনার মনে পাপবোধ জাগছে, কাল হয়তো সেটাতেই আপনি বুঁদ হয়ে থাকবেন, কে জানে! দেশে-দেশে, মানুষে-মানুষে নৈতিকতা, অপরাধ এবং বিবেকের সংজ্ঞা বদলায়। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর বেশ জটিল। জুতার সোল, আঙুলের ছাপ কিংবা আই-উইটনেস থাকার পরেও একজন সমাজের কাছে পুত-পবিত্র হয়ে যেতে পারে, আবার কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফেঁসে যেতে পারে একজন। এই প্রশ্নের উত্তরও আপেক্ষিক। আসা যাক তৃতীয় প্রশ্নে। গোয়েন্দা কি কখনো অপরাধী হতে পারে? . পারে। ‘ফোরটি এইট আওয়ার্স’-এ সেটির প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মারুফ ভাবতেও পারেনি তাকে এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। পুলিশের সিনিয়র এএসপি হিসেবে এমনটা ভাবার কথাও নয় অবশ্য! জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, একই সাথে হোমমিনিস্টারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, নীতিহীন জাকির আদনানের সাথে তুমুল ঝগড়া হওয়ার বাজে ঘুমের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে যখন উঠেছে মারুফ, তখনই শুনতে পেলো, জাকির আদনান নিজ বাসাতেই খুন হয়ে গেছে! জুনিয়র এএসপি সাজ্জাদ কায়সারের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝতে পারলো, পরিস্থিতি আরো খারাপ! জাকির আদনানের খুনের জন্য দায়ী করা হচ্ছে খোদ মারুফকেই! খুনির উচ্চতা, জুতোর সাইজ, এমনকি জুতোও মিলে গেলো মারুফের সাথে! দৃশ্যপটে হাজির হলেন হোমমিনিস্টার, মারুফকে খুনি প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লাগলেন। সবাই যখন তার বিষোদগারে ব্যস্ত, তখন তার বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিলেন। এই সময়ের মধ্যেই খুঁজে বের করতে হবে আসল খুনিকে। মারুফকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো কায়সার এবং আইটি এক্সপার্ট অ্যাডলিন। মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার আলটিমেটামে জেরবার মারুফ আবিষ্কার করলো, এবার তাকে লড়তে হবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা আনসারীর সাথে। মারুফ কি পারবে? নাকি আটকে যাবে অন্ধকার চোরাবালিতে? খুনিই বা কে? কোনো অজানা শত্রু? এই আটচল্লিশটি ঘণ্টা মারুফকে কি দিচ্ছে? তার ক্যারিয়ার, ভবিষ্যত, জীবন? নাকি শুধুই প্রহসন? . পাঠের পোস্টমর্টেম: অদ্ভুত সুন্দর একটা মার্ডার মিস্ট্রি। কাহিনির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব বেশি টুইস্ট ছিলো না। ‘ম্যাজিক বুলেট থিওরি’ প্রয়োগ করে লেখক শুধু একবারই টুইস্ট দিয়েছেন। তবে কাহিনিতে গতি ছিলো, সাবলীলতা ছিলো। শেষ পর্যন্ত পড়তে বিরক্তি ধরেনি। গল্পে বেশ কিছু নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তদন্তে একটা সময় ফেলুদার বুদ্ধি দিয়েই কাজ চালাতে হতো, এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। লেখক গল্পে বেশকিছু নতুন তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে হলেও জানিয়েছেন। যেমন: ট্র্যাকার, স্যাটেলাইট ম্যাপিং, ডিএনএ বেইজড ডেটা প্রোফাইল ইত্যাদি-ইত্যাদি। বাংলাদেশ ও বিদেশের তদন্তপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে সাহায্য করবে বিষয়গুলো। . বেশ কিছু বানান ভুল ছিলো। সেগুলোকে অগ্রাহ্য করা গেলেও বিরামচিহ্নের ভুল প্রয়োগটা ছিলো হাস্যকর। যেমন: ‘দু’জনেই একটু নস্টালজিক হয়ে পুরনো দিনগুলোর কথা মনে করছে হঠাৎ মারুফ বলে উঠলো...’ দুটো বাক্যকে এখানে এক করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মাঝের এক দুটো অধ্যায় খুব বোরিং ছিলো। পরিবেশ বর্ণনা একটু বেশিই হয়ে গেছে। যাহোক, এই দুটো ভুলকে বাদ দিলে খুব ভালোই লেগেছে বইটি। থৃলার যারা নতুন পড়া শুরু করছেন, হালকা মেজাজের এই থৃলার দিয়ে শুরু করতে পারেন। . হ্যাপি রিডিং :-) . [বি.দ্র.: বাতিঘর প্রকাশনীর বইয়ে ‘থ্রিলার’ শব্দটিকে ‘থৃলার’ লেখা হয় বলে রিভিউতেও সেটি বজায় রয়েছে।] রিভিউ লিখেছেনঃ নাফিম উল আবীর

      By mahmud shafayet zamil

      13 Feb 2017 03:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক রবিন জামান খানের অনুবাদের হাত ভালো। তাঁর কাছ থেকে ভালো কিছু অনুবাদ উপন্যাস পেয়েছি। তাই তিনি যখন মৌলিক উপন্যাস লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন থেকেই আগ্রহ ছিল তাঁর উপন্যাস পড়ার। তাঁর লিখিত ২৫মার্চ পড়েছি প্রকাশ হবার সাথে সাথেই। সেখানে দেখেছি কি ভাবে একটা সম্ভাবনাময় কাহিণীর করুণ পরিনতি হতে পারে। সেই হতাশাকে দূরে ঠেলে পড়া শুরু করেছিলাম তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস "ফোরটি এইট আওয়ার্স"। বইটা হাতে নিয়ে দেখলাম বাঁধাই ভালো। খটকা লাগলো প্রচ্ছদ দেখে; কেন জানি "ভার্টিক্যাল রান" বইটার প্রচ্ছদ মনে পড়ে যাচ্ছিলো। খটকা পাশে সরিয়ে পড়া শুরু করলাম। কাহিণীর সুন্দর সূচনা আশা জাগিয়ে রাখলো। পৃষ্ঠা বাড়ার সাথে সাথে কাহিণীর গতি বেড়ে চললো। আহ!! এই না হলে থ্রিলার উপন্যাস। কাহিণীর গিয়ার তখন ৪ নম্বর পার করে ৫ এর দিকে যাচ্ছে। এই যা!!!!!! সামনে যানজটে তা নেমে এলো নিউট্রাল গিয়ারে। হ্যাঁ, এ রকমই হলো কাহিণীর অবস্থা। আমার বিশ্বাস লেখক নিজেই একজন সমঝদার পাঠক, তাই তাঁর মনে রাখা উচিত বইয়ের পোকারা কোন বই হাতে পেলে তা যত্ন নিয়ে পড়ে। তাই লেখক থ্রিলার উপন্যাসের টুইস্টটা কাহিণীর শুরুতেই ছোট্ট হিন্টসের মাধ্যমে দিয়ে দিলে কিভাবে হয়?? পড়ার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আমাদের মতো দেশে যেখানে প্রতিদিন শত শত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে একটি দুর্ঘটনার কথা শুনেই কিভাবে দোষীকে চিহ্নিত করলো পুলিশের জুনিয়র অফিসার কায়সার তা বোধগম্য নয়। তাই লেখকের প্রথম উপন্যাসের মতো দ্বিতীয়টিও আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ। লেখকের একটা জিনিস ভালো লেগেছে। সেটা হচ্ছে তিনি আমাদের পুলিশ বাহিণীকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক বাহিণী হিসাবে উপন্যাসে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন।

      By Kazi Asifuzzaman

      30 Sep 2016 09:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #Book_Review বইয়ের নামঃ ফোরটি এইট আওয়ার্স (48 Hours) বইয়ের ধরণঃ থ্রিলার/রোমাঞ্চপন্যাস লেখকঃ রবিন জামান খান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদশিল্পীঃ ডিলান প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পৃষ্ঠাঃ ২০৮ মূল্যঃ ২০০ টাকা সার-সংক্ষেপঃ পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ ঝগড়া হবার পর পরই খুন হয়ে যায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। ডিপার্টমেন্ট থেকে মিডিয়া, এমনকি খোদ হোম মিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে ওকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন সত্যিকারের খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে। ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র আর এক আইটি এক্সপার্টের সহায়তায় খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে মাঠে নামে সে। ওদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টা। অসম্ভব এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হলো তাদেরকে। কি সেই সত্য জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ লেখক রবিন জামান খানের ২য় মৌলিক বই এটি। প্রথমটির নাম ছিল ২৫ শে মার্চ। সিম্বলজি ও কাল্ট নিয়ে লিখিত বইটি গত বছর বইমেলায় বের হয়। বেশ ভাল লেগেছিল। লেখনি, কাহিনী প্রবাহ সবই ছিল সুন্দর। তাই এবারের বইটির উপর স্বভাবতই প্রত্যাশা বেশী ছিল। এই বইটির কাহিনী শুরু হয় একজন পুলিশ অফিসারকে দিয়ে। তিনি একবার একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্যের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। তারপরের দিনই সেই লোক খুন হন। খুনের দায় গিয়ে পড়ে পুলিশ অফিসারটির উপর। শুরু হয় তার নির্দোষ প্রমাণের কাউনডাউন! গল্পের প্লটটা ভালো ছিল। প্রথম থেকে একটা নির্দিষ্ট গতিতে চলতে চলতে ১৩০তম পৃষ্ঠায় এসে হঠাৎ গতি বেড়ে যায় গল্পের। পাঠককে টেনে ধরে রাখে একেবারে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত! তবে গাথুনীতে কিছুটা সমস্যা লক্ষ্য করেছি। যারা সাধারণত থ্রিলার পড়তে অভ্যস্ত, তাদের কাছে কিছুটা প্রেডিক্টেবল হয়ে যেতে পারে। তবে লেখক এ ব্যাপারে কিছুটা যত্নশীল হলে এরকম সমস্যা এড়ানো যেত। যেমনঃ গল্পের শুরুতে পাঠক একটি এক্সিডেন্টের ঘটনা পাবেন। এরপর ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় ওই একই ঘটনার কথা উল্লেখ আছে অন্য প্রেক্ষাপটে। পাঠক ঘাঘু হলে ওই ২১ তম পৃষ্ঠাতেই আসল খুনি কে, সেটা বুঝে যাবে! এছাড়া গোটা গল্পে এরকম আরো কয়েক জায়গায় এভাবে হিন্ডস দেয়া হয়েছে, যা না দিলেও হত। তাহলে শেষের টুইস্টটি আরো ভালভাবে ধাক্কা দিতে পারতো পাঠক মনে। গল্পে আরো একটি ব্যাপারে বাহুল্যতা লক্ষ্য করেছি। সেটি হলো চরিত্র। লেখক গল্পে একাধিক চরিত্রের আগমন ঘটিয়েছেন। এটা ঠিক যে গল্পের জাল তৈরি করতে অনেক সময় একাধিক চরিত্রের আনায়ন ভাল ফল দেয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সব চরিত্রের প্রতিই সমান বিচার করতে হয়। লেখক এই জায়গাতে কিছুটা হড়বড়িয়ে গিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে গল্পে কিছু চরিত্র অকারণে আনা হয়েছে। তার ভেতর একটি হচ্ছে কালা আনসারি চরিত্রটি। এই চরিত্রটি শুধুমাত্র গল্প বড় করার জন্যে আনা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ এটির তেমন কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা আলোচ্য গল্পে আমি পাই নি। তবে লেখক গল্পের শেষে প্রত্যেকটি চরিত্রের সন্তোষজনক পরিণতি আনার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া গল্পের ভাষা, লেখনি ভালো ছিল। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের "জেফরি-বাস্টার্ড" সিরিজের ভক্তদের জন্য এই বইয়ে ছোট্ট একটি চমক আছে! ;) এবার আসি গল্পের বাহ্যিক দিকে। গত দু-তিনেক বছরে বাতিঘরের মৌলিক ও অনুবাদ উভয় বইয়ে বানান ভুল এবং ছাপার ভুল কম দেখেছি। ভেবেছিলাম বাতিঘর আগের থেকে উন্নতি করেছে। তবে এবার সেই ভুল ভাংলো আমার। রবিন জামান খানের "ফোরটি এইট আওয়ার্স"-এ বানান ভুল পেয়েছি বেশ কিছু। ছাপার ভুলও ছিল কিছু। যেমনঃ এক জায়গায় কায়সায় এর বদলে মাহাবুব ছাপা হয়েছে! এত কিছুর পরেও ফোরটি এইট আওয়ার্স থ্রিলার হিসেবে বেশ ভাল। টান টান উত্তেজনা ছিল। কালা আনসারি আর মারুফদের ভেতর মারামারির জায়গাটি বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এছাড়া বইয়ের মান, বাইন্ডিং, কাগজের মান ভালো ছিল। দামও সাধ্যের ভেতর। তবে ইদানিং বাতিঘর তাদের প্রচ্ছদে নীল রঙের প্রাধান্য বেশি দেয়ায় আলোচ্য বইয়ের প্রচ্ছদটি কিছুটা আকর্ষনীয়তা হারিয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। প্রচ্ছদটি আরো ভালো হতে পারতো! সব শেষে বলতে চাই, রবিন জামান খানের 'ফোরটি এইট আওয়ার্স' একটি ভালো বই। বিশেষ থ্রিলার প্রেমিকদের ভালোই লাগবে বইটি। তাই যারা এখনো পড়েন নি বা সংগ্রহ করেন নি, করে ফেলুন। নাহলে সত্যিই ভালো একটি বই মিস করবেন! :) রেটিংঃ ৪/৫

      By Masum Billah

      15 Sep 2019 11:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২০৮ পেজের কোন থ্রিলার বইয়ের ২০০ তম পেজ পড়ার আগ পর্যন্তও যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে,আসলে খুনটা কে করেছে, তাহলে আপনি সেই থ্রিলারকে কি বলবেন? হ্যাঁ, অনবদ্য আর অসাধারণ একটি থ্রিলার! যারা পড়েছেন তারা তো জানেন,আর যারা পড়েননি তারা জানতে রবিন জামান খানের 'ফোরটি এইট আওয়ার্স' থ্রিলারটি পড়ে ফেলুন! প্রতি মূহুর্তেই মনে হতে থাকবে যে এইতো খুনী কে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে! কিন্তু এর শেষদিকে রয়েছে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো টুইস্ট! বইয়ের নামঃ ফোরটি এইট আওয়ার্স লেখকঃ রবিন জামান খান প্রকাশনীঃ বাতিঘর মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা

      By Harun-Ar-Rashid

      30 Jul 2019 11:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বুক_রিভিউ বই : ফোরটিএইট আওয়ার্স লেখক : রবিন জামান খান প্রকাশনায় : বাতিঘর প্রচ্ছদ : ডিলান পৃষ্টা সংখ্যা : ২০৮ মূল্য : ২০০ টাকা রেটিং : ৫/৫ রাত এগারোটায় হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও'র সামনে ইমার্জেন্সি চেকপোস্টে পুলিশ কমিশনার সদরুল আনামের সামনে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের সিনিয়র এএসপি মনিরুল আলম মারুফের সাথে তুমুল তর্ক হয় বিশিষ্ট শিল্পপতি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ত্ব এবং বিশাল ক্ষমতাধর ব্যক্তি জাকির আদনানের। সঙ্গে ছিলেন জুনিয়র এএসপি কায়সার। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে মারুফ রাগান্বিত হয়ে জাকির আদনানের কলার চেপে ধরেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঠিক এ রাতেই গুলশানের আব্দুল মোনেম রোডের নিজ বাসায় খুন হন হোম মিনিস্টারের ভাতিজা জাকির আদনান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুলিশ অফিসার মারুফ ঐ রাতে বাসায় ছিলেন না। আগের দিনের ঘটনা আর রাতে নিজ বাসায় না থাকায় সন্দেহের তীক্ষ্ণ তীর ধাবিত হয় মারুফের দিকে। খোদ ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে হোম মিনিস্টার নিজেও সন্দেহের আঙ্গুল তুলেন মারুফের দিকেই। হোম মিনিস্টারের চাপে ডিপার্টমেন্ট তাকে সাসপেন্ট করতে চায়। কিন্তু জুনিয়র অফিসার কায়সার আর মারুফের অনুরোধে পুলিশ কমিশনার সদরুল আনাম তাকে ফোরটিএইট আওয়ার্স সময় বেঁধে দেয়। মানসিক ভাবে দুমড়ে-মুছড়ে পড়েন সিনিয়র এএসপি মারুফ। মাত্র ৪৮ ঘন্টা!! নিজের জীবন বাঁচাতে যেভাবেই হোক এ খুনের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ক্রাইম সিন অ্যানালিস্ট অ্যাডলিন ডি কস্টা ক্রাইম সিনের পায়ের ছাপ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। জাকির আদনানের ডিএনএ রিপোর্ট উদঘাটনে ব্যস্ত হয়ে গেলেন ড. মণিকা। খুনের রহস্য উদঘাটনে মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময় নিয়ে মাঠে নেমে গেলেন মারুফ ও কায়সার। তারা জাকির আদনানের বায়োডাটা, পারিবারিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ইতিহাস, ব্যবসায়িক পার্টনার, পূর্ব শত্রুতাসহ আরো নানাবিধ তথ্য বিশ্লেষণ করে একটা প্রাথমিক খসড়া তৈরি করলো। জাকির আদনানের রেড মাল্টিমিডিয়ার সহযোগী বন্ধু সাইফুল সাফি, জাকির আদনানের ডিভোর্স হওয়া স্ত্রী অভিনেত্রী রুনা মোস্তফা, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সাইদ আকমলের সাথে জাকির আদনানেন দ্বন্দ্ব, ভাই হাবিব আদনানের সাথে পারিবারিক কলহ, অপোজিট মিডিয়া হাউসের কর্ণধারের সাথে জাকির আদনানের বৈরী সম্পর্ক এসব নানাবিধ ঘটনাকে সন্দেহের তালিকায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে মরিয়া সিনিয়র এএসপি মনিরুল আলম মারুফ। ঘটনা যত এগুতে থাকে জটলা তত বাড়তে থাকে। উন্মোচিত হতে থাকে নতুন নতুন রহস্য। ডিএনএ রিপোর্টে বেড়িয়ে আসে খুন হওয়া জাকির আদনান হোম মিনিস্টারের ভাতিজা নন, ঔরসজাত সন্তান। ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। খুনের রহস্য উদঘাটন করতে যেয়ে উদঘাটিত হয়ে যায় জাকির আদনানের বেপোরয়া জীবন যাত্রার বিস্ময়কর সব তথ্য। বেড়িয়ে আসে কালা আনসারী সরফরাজ নামে এক গডফাদারের নাম, যেকিনা জাকির আদনানের খুনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। কিন্তু কে এই কালা আনসারী? এরই মধ্যে হাসান পথিক নামে এক ব্যক্তি কিডনেফ করে সন্দেহের তালিকায় থাকা জাকির আদনানের ডিভোর্সী স্ত্রী রুনা মোস্তুফাকে। কে এই হাসান পথিক? জাকির আদনানের সাথে কি সম্পর্ক তার? রহস্যের জট আরো পাকাতে থাকে। বিমর্ষ হয়ে পড়েন পুলিশ অফিসার মারুফ। রহস্য উন্মোচনে দ্বিগবিদ্বিক ছুটতে থাকেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলা করেন কালা আনসারীর গোপন আস্তানায়। এরই মধ্যে মারুফের নাম্বারে কল করেন রাজিব হায়দার নামে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরে জানতে পারেন জাকির আদনানের প্রতিবেশি হায়দার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতার সন্তান তিনি। এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তিনি। একটি ভিডিও ফুটেজ ধরিয়ে দেন মারুফের হাতে। যেখানে জাকির আদনানের খুন হওয়ার দৃশ্য রেকর্ড করা আছে। প্লে করা হলো ভিডিও। জাকির আদনানের উপর ঝুঁকে আছেন একজন লোক। খুবই সাবধানে জাকির আদনানের গলায় ঝুলিয়ে রাখা চাবিটা খুলে নেন তিনি। কিন্তু কিসের চাবি এটা? কি রহস্য লুকায়িত আছে এই চাবিতে? এই চাবিটার জন্যই কি খুন করা হয় জাকির আদনানকে? অতঃপর...... রুমে আরেকটা মূর্তির প্রবেশ। মুখ সাদা কাপড়ে ঢাকা। হাতে গ্লাভস। বেডের পাশ থেকে একটা ফুলদানি তুলে নিয়ে আঘাত করলো জাকির আদনানের মাথায়। জাকির অজ্ঞান হয়ে পড়লো। চোখে মুখে পানি ছিটানো হলো। জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে ছুরি মারা হলো তলপেটে। আঘাত করা হলো ক্রমাগত। পেটে, থুতনির নিচে। জাকিরের নগ্ন শরীর নিস্তেজ হতে লাগলো। একসময় মৃত্যুর কোলে নিজেকে সমর্পণ করলেন বিশাল ক্ষমতাধর, বিশিষ্ট শিল্পপতি জাকির আদনান। খুনির চেহারা দেখা মাত্রই মারুফের হৃৎপিন্ড মোচড় দিয়ে উঠলো। এ কি করে সম্ভব? এ মানুষটা খুন করলো জাকির আদনানকে? কি এমন জেদ ছিল তার প্রতি? অবিশ্বাস্য সিন দেখে নিজেই স্তম্ভিত হয়ে গেলেন এএসপি মারুফ। এমনই হাজারো টুইস্টে ভরপুর রবিন জামান খানের এই মৌলিক থৃলার ফোরটিএইট আওয়ার্স। গল্পের প্লটটা এতটাই চমৎকার আর থৃলে ভরপুর ছিল যে পাঠককে অনায়াসেই টেনে নিয়ে যাবে শেষ অবধি। গল্পটি এতটাই রহস্যজনক মনে হয়েছে আমার কাছে, আমি একেক সময় একেকজনকে খুনি হিসেবে সন্দেহ করেছি। কিন্তু সবশেষে খুনির আত্মপ্রকাশটি যেভাবে হয়েছে আমি গুণাক্ষরেও কখনো ভাবিনি এই খুনির ব্যাপারে। গল্পের জালের প্যাঁচটা ছিল বিস্ময়কর। টান টান উত্তেজনা ছিল পুরো গল্পে। রবিন জামান খানের এই মৌলিক থৃলার "ফোরটিএইট আওয়ার্স" পড়ে সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। ছাপার মানও যথেষ্ট ভালো ছিল। ভুল ছিল যৎসামান্য। বাঁধাইটা নিয়ে আমার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এতো নিম্নমানের বাঁধাই বাতিঘর থেকে আশা করি নি। আর প্রচ্ছদ বরাবরের মতোই ছিল আকর্ষণীয় এবং ঝকঝকে। ধন্যবাদ রবিন জামান খান, থৃলারের জাদুকর।

      By mahmudul hasan sadi

      25 Sep 2016 09:10 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো বই, সংগ্রহে থাকার মত বই

      By Shuvo Sarkar

      25 Sep 2016 07:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা প্রারম্ভঃ পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে সামান্য কারণে তুমুল ঝগড়া হয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনানের। ঝগড়াটা যেচে এসে শুরু করেছিলেন জাকির আদনানই। সে রাতেই নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন জাকির আদনান। এই খুনের জন্যে সন্দেহ করা হয় মারুফকে। সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণও ছিলো। আততায়ীর দৈহিক আকৃতি এবং সে যে ডিজাইনের বুট পড়ে এসেছিলো, তার সাথে মারুফের দৈহিক আকৃতি এবং বুটজুতোর ছিলো বিস্ময়কর রকমের অতিরিক্ত মিল। এছাড়া, ঝগড়ার রাতে মারুফ বাড়িতেও ছিলোনা, বাসার দারোয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে। মারুফকে জিজ্ঞেস করলে, সেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনা এ বিষয়ে। সাক্ষ্যপ্রমাণ সবকিছু মারুফের বিরুদ্ধে, কোনো এ্যালিবাইও নেই তার। মোটামুটি সবকিছুই তখন মারুফের প্রতিকূলে। এছাড়াও সদ্যপ্রয়াত জাকির আদনান ছিলেন হোমমিনিস্টারের আপন ভাতিজা। ফলে, হোমমিনিস্টারও উঠেপড়ে লাগেন মারুফের বিরুদ্ধে। এরকম অবস্থায়, পুলিশের বড়কর্তা মারুফকে সাসপেন্ড এবং গ্রেফতার করার বদলে আটচল্লিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন, আসল খুনিকে খুঁজে বের করার জন্য (বইয়ের নাম সেজন্যেই "ফোরটি এইট আওয়ার্স")। মারুফকে সাহায্য করার জন্যে এগিয়ে আসে দুইজন। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র অফিসার কায়সার এবং আইটি এক্সপার্ট আলীম পাটোয়ারি। এই দুইজনের সাহায্যে আসল খুনিকে খুঁজে বের করার জন্যে, অসাধ্যসাধনের জন্যে স্রোতের বিপরীতে নেমে পড়ে মারুফ। শুরু থেকেই আসতে থাকে বাঁধা, তাদের তদন্তকে বিঘ্নিত করবার জন্যে শুরু হয় একের পর এক হামলা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যখন মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি তখন তারা জানতে পারে এক অদ্ভুত তথ্য। এই তথ্যের ফলে পুরো তদন্তের মোড় ঘুরে যায় ভিন্ন দিকে। বিশাল একটা টুইস্ট থাকে কাহিনীর শেষদিকে। কী হবে শেষপর্যন্ত? খুনি কী ধরা পড়বে? না কি মারুফই আসল খুনি? নাকি পর্দার অন্তরাল থেকে আত্মপ্রকাশ করবে আরো কোনো চরিত্র? জানতে হলে পড়তে হবে "ফোরটি এইট আওয়ার্স।" ব্যক্তিগত মতামতঃ "থ্রিলার" গল্প/উপন্যাসে যেটা হয়, কাহিনীর শেষে বড়সড় একটা টুইস্ট থাকে, যা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সম্পূর্ণ ভিন্নদিকে অথবা সামনে নিয়ে আসে এমনসব ঘটনা বা কাহিনী, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেনি আগে। মোটকথা, থ্রিলার সাহিত্যের সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র এই টুইস্ট। "ফোরটি এইট আওয়ার্স" এ সেই অস্ত্রের প্রয়োগ বেশ ভালোভাবেই হয়েছে। ক্লাইম্যাক্সে বড়সড় টুইস্ট, আপনাকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করবে। সবমিলিয়ে "মোটামুটি" টাইপের বই এটি। চরিত্রগুলোর গঠন হয়তো আরো মসৃণ হতে পারতো, টুইস্টটাও হয়তো আরেকটু অন্যরকম করে দেয়া যেতো। তবুও, যারা থ্রিলার কাহিনীর নতুন পাঠক, তাদের কাছে ভালোই লাগবে, নিঃসন্দেহে। শুরু থেকেই কাহিনীতে একটা টানটান গাঁথুনি ছিলো, এই গাঁথুনিই পাঠককে বইয়ের সাথে সেঁটে রাখবে বইয়ের শেষপৃষ্ঠা পর্যন্ত। গোলাগুলি, মারামারি, কার চেজিং, ধুমধাড়াক্কা এ্যাকশানে ভরপুর ক্ল্যাইমাক্সও পাঠককে যথেষ্ট রোমাঞ্চিত করবে। এবং আরেকটি বিষয়, উপন্যাসের শেষটা দারুণ ছিলো। এজন্যে, লেখকের একটা ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। এক নজরেঃ বইঃ ফোরটি এইট আওয়ার্স লেখকঃ রবিন জামান খান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ধরণঃ মার্ডার মিস্ট্রি থ্রিলার পৃষ্ঠাঃ ২০৮ মূল্যঃ ২০০ টাকা বইয়ের রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/117937/ফোরটি-এইট-আওয়ার্স

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!