User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Md. Naiem Hasan Shoikot

      02 Sep 2021 03:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয় বই...

      By nisho al mamun

      26 Feb 2021 10:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Ariful islam rashed

      20 Apr 2020 11:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে।। ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায়, মনকে সুদূর শূন্যে ধাওয়ায়– অবগুণ্ঠন যায় যে উড়ে।। যে-ফুল কানন করত আলো কালো হয়ে সে শুকাল। ঝরনারে কে দিল বাধা– নিষ্ঠুর পাষাণে বাঁধা দুঃখের শিখরচূড়ে।।" বহু বছর পর এক বসায় একটা ব‌ই শেষ করলাম। শুধু খাওয়ার জন্য একবার মাঝে উঠতে হ‌ইছিল। তাছাড়া ব‌ইটা কিভাবে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই।পড়তে পড়তে মাঝে মাঝেই মনে হ‌বে, আরে অমুক চরিত্রের সাথে তো আমার অদ্ভুত মিল, আমাদেরও এমন একজন শিক্ষক আছে,এই লোকটার মত আমি একজন কে চিনি,,,,, প্রতিটা চরিত্রের কিছু না কিছু আপনার পরিচিত মনে হবে।যেন চরিত্র গুলো আমাদের আশেপাশে থেকে তুলে নিয়ে লেখক ব‌ইতে ঢুকায় দিছে।সব কয়টা চরিত্র‌ই আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে,,,,,

      By Marjiya

      20 Nov 2019 05:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ: "চক্ষে আমার তৃষ্ণা" অসম্ভব সুন্দর একটি গল্পে না পড়লে জানতেই পারতাম না। অত্যন্ত বুদ্ধিমতি তরু নামের মেয়েটি নিজের জন্ম নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। তার নিজের বাবাকে সে খুব করে বুঝতে পারে। ওসমান সাহেবের সাথে নিজের খুব মিল পায় তরু, একজন মানুষের সাথে মিল থাকলেই সে বাবা হয়ে যায়। বুদ্ধিমতী তরু অনেক যুক্তি দিয়ে বুধবার চেষ্টা করে তার ধারণাই কি ঠিক। বইটি পড়লেই জানতে পারবেন তরুর যুক্তি গুলো, জানতে পারবেন তরুর আসল বাবাকে।

      By Shahriar Rahman

      23 Feb 2021 02:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই?

      By Mahammud shuvo

      20 Feb 2020 10:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হূমায়ুন আহমেদ, এই লেখক মানে আমি তাঁর ভক্ত। তাকে ছাড়া আমি অনেকটা খারাপ বোধ করি। প্রতি মাসে তাঁর একটি বই আমি পড়ে থাকি। আমার প্রচন্ড ভাল লাগে যখন সে তাঁর মনের ভাব প্রকাশ করে। তাকে আমি মন থেকে উপলব্ধি করে থাকি।তাই আমি তার বই সারাজীবন কিনব যওদিন সব বই না পড়তে পারব

      By murad

      17 Jun 2016 01:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "আমি কিছুই জিজ্ঞেস করি নি। যে তরু প্রশ্ন করতো সে নেই। আমি অন্য তরু। আমার চক্ষে তৃষ্ণা। ভালোবাসায় ডুবে থাকার তৃষ্ণা। ডুব দিতে হয় চোখ বন্ধ করে। আমি চোখ বন্ধ করেছি।" আচমকা দৈবাৎ হিরে খুঁজে পাবার মতো ভাবেই খুঁজে পেয়েছি "চক্ষে আমার তৃষ্ণা" বইটা। বিদেশে যেখানে বাংলা বইয়ের দেখা পাওয়াই অন্যতম আশ্চর্য ব্যাপার সেখানে এই বই আমার হাতে এসেছে হুট করেই। বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসে আবিষ্কার করেছি, তবে তাৎক্ষনিক পড়তে বসতে পারিনি। কেননা তার আগে "শুধুই গল্প দ্বিতীয় সংকলন" বইটা পড়ে শেষ করা জরুরি ছিল। অগত্যা আজ সকালেই হাতে নিলাম এই বই। বইটি হুমায়ূন আহমেদের এবং বলাই বাহুল্য যে লেখকের হিমু সিরিজের বাইরে গিয়ে আমি অধিকাংশ উপন্যাসই পড়িনি, হু কিছু পরেছি যেমন এই শুভ্র এই, আজ আমি কথাও যাবো না, দেবী, কে কথা কয়, কবি, লীলাবতী, স্বনির্বাচিত উপন্যাস সংকলন, এই ধরণের কিছু বই। তবে সব মিলিয়ে তার কাজের দশ ভাগের দুই ভাগও পরেছি কিনা সন্দেহ। এর পেছনে একটা কারণ প্রবল, কেননা হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভালো হলেও ওনার অধিকাংশ গল্পের একটি অসমাপ্ত পরিণতি রেখে দেবার বিষয়টা ব্যক্তিগত ভাবে আমার অত্যান্ত অপছন্দের। ব্যাপারটা হিমু সিরিজে মেনে নেওয়া যায় কিছুটা, কারণ সেটা একটা সিরিজ এবং সরাসরি ধারাবাহিকতা না থাকলেও কেবল চরিত্রগুলোকে ফিরে পাবার লোভে অনেকিছুই মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু একক উপন্যাসে এই বিষয় আমার চূড়ান্ত অপছন্দের, আমি উপন্যাস পড়ি কাহিনীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানার জন্য, নানাবিধ পরিণতির আবরণে আপাদমস্তক জড়িয়ে ঝুলে থাকার জন্য নয়।

      By Muhammad Tanjim Farhat

      28 Dec 2023 05:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ : চক্ষে আমার তৃষ্ণা

      By Md shahidul islam nahid

      30 Nov 2016 11:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "আমি কিছুই জিজ্ঞেস করি নি। যে তরু প্রশ্ন করতো সে নেই। আমি অন্য তরু। আমার চক্ষে তৃষ্ণা। ভালোবাসায় ডুবে থাকার তৃষ্ণা। ডুব দিতে হয় চোখ বন্ধ করে। আমি চোখ বন্ধ করেছি।" আচমকা দৈবাৎ হিরে খুঁজে পাবার মতো ভাবেই খুঁজে পেয়েছি "চক্ষে আমার তৃষ্ণা" বইটা। বিদেশে যেখানে বাংলা বইয়ের দেখা পাওয়াই অন্যতম আশ্চর্য ব্যাপার সেখানে এই বই আমার হাতে এসেছে হুট করেই। বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসে আবিষ্কার করেছি, তবে তাৎক্ষনিক পড়তে বসতে পারিনি। কেননা তার আগে "শুধুই গল্প দ্বিতীয় সংকলন" বইটা পড়ে শেষ করা জরুরি ছিল। অগত্যা আজ সকালেই হাতে নিলাম এই বই। বইটি হুমায়ূন আহমেদের এবং বলাই বাহুল্য যে লেখকের হিমু সিরিজের বাইরে গিয়ে আমি অধিকাংশ উপন্যাসই পড়িনি, হু কিছু পরেছি যেমন এই শুভ্র এই, আজ আমি কথাও যাবো না, দেবী, কে কথা কয়, কবি, লীলাবতী, স্বনির্বাচিত উপন্যাস সংকলন, এই ধরণের কিছু বই। তবে সব মিলিয়ে তার কাজের দশ ভাগের দুই ভাগও পরেছি কিনা সন্দেহ। এর পেছনে একটা কারণ প্রবল, কেননা হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভালো হলেও ওনার অধিকাংশ গল্পের একটি অসমাপ্ত পরিণতি রেখে দেবার বিষয়টা ব্যক্তিগত ভাবে আমার অত্যান্ত অপছন্দের। ব্যাপারটা হিমু সিরিজে মেনে নেওয়া যায় কিছুটা, কারণ সেটা একটা সিরিজ এবং সরাসরি ধারাবাহিকতা না থাকলেও কেবল চরিত্রগুলোকে ফিরে পাবার লোভে অনেকিছুই মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু একক উপন্যাসে এই বিষয় আমার চূড়ান্ত অপছন্দের, আমি উপন্যাস পড়ি কাহিনীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানার জন্য, নানাবিধ পরিণতির আবরণে আপাদমস্তক জড়িয়ে ঝুলে থাকার জন্য নয়। যাই হোক, এই বইয়ের কথায় আসি। বইটি স্বভাবতই গতানুগতিক হুমায়ূন ধারার উপন্যাস। এবং ওনার শেষ দিকের উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। সুতরাং গল্পের প্লটে বরাবর একটা উড়নচণ্ডী ভাব লক্ষণীয়। তবে গল্পের চরিত্রগুলো অত্যান্ত প্রাঞ্জল। গল্পটি এগিয়ে চলেছে একটি বিচক্ষন কিন্তু পাগলাটে মেয়ে কে কেন্দ্র করে। তার চারপাশের মানুষগুলোকে প্রাথমিকভাবে সাদাসিধে মনে হলেও তারা হয়তো আদতে তা নয়। তাছাড়াও যেহেতু মেয়েটা বেপরোয়া, পাগলাটে তাই তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েও স্বাভাবিকভাবেই অন্য চরিত্র গুলোও কদাচিৎ নিজেদের খোলসের বাইরে যেতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। এভাবেই গড়িয়ে চলে কাহিনী, খোলামেলা খাপছাড়া, সাদামাটা মানুষের জীবনকে ঢেকে রাখা দুঃসহ সমস্যাগুলো অনেক সময় তাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। মানুষ মন্দ জেনেও সেই কাজ বহুবার করে, ভালো জেনেও কিছু কিছু কাজ করতে একবারে সাহস করে উঠতে পারেনা। আর সব কিছু জেনে বুঝেও চুপচাপ দেখে যাওয়াটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মের মধ্যে পড়ে। তরুর বহুমাত্রিক চরিত্রের মধ্যে দিয়ে লেখক অনেক সমস্যাকেই সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন, সেসবের কখনো সমাধান হয়েছে, কখনওবা হয়নি। কিন্তু সেসব নীরবে পাঠকের স্বত্বাকে ছুঁয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট। গল্পটি আমার যথেষ্ট ভালো লেগেছে, তাছাড়া এই গল্পে পরিপূর্ণ সমাপ্তি নেই বললেও কিছুটা ভুলই বলা হবে, গল্পটি যেখানে সমাপ্ত হয়েছে সেটাই যৌক্তিক, কারণ লেবু বেশি কচলান ভালো নয়, আমরা সবাই সেটা জানি, কিন্তু মানতে পারিনা। লেখকে বিষয়টা মাথায় রেখেছেন, এবং একটা যথার্থ সমাপ্তি টেনেছেন। রেটিং ৫/৫, দারুণ বই। :)

      By Mashqurur Sabri

      02 Nov 2016 12:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটা কথা কিন্তু মানতেই হবে। হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব নারীচরিত্রই রহস্যময়। রহস্যময়ও ঠিক না, আসলে তারা আর দশটা সাধারণ মেয়ের মত না। তারা জনসম্মুখে উদ্ভট কাজ করতে কুণ্ঠাবোধ করেনা। এই গল্পের নারীচরিত্র তরুও ঠিক সেরকম একটি মেয়ে। ওর ভালো নাম শামসুন নাহার। তরুর বাবা তরুকে রেগে গেলে শামসুন নাহার নামে ডাকেন। আজকেও ডাকছেন। নিশ্চয় তরু এমন কিছু করেছে যেটা খুবই গুরুতর। অন্তত ওর বাবার চোখে তো গুরুতর হবেই। গুরুতর ব্যাপারটি হলো ওর টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট পাওয়া গেছে। যারা হুমায়ূন আহমেদের বই নিয়মিত পড়েন তাদের কাছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগতেই পারে। আগেই বলেছি উনার নারীচরিত্রগুলো একটু উদ্ভট টাইপেরই হয়। এই গল্পে একটা রহস্য দেখা যায়। তরুর বাবা প্রথমে তরুর মাকে বিয়ে করেন। সে মারা যাবার পর তরুর খালাকে বিয়ে করেন। সেও কয়দিন পর মারা যায়। তরুর কাছে ব্যাপারটা রহস্যময় মনে হয়। যদিও তারা বাবা প্রতিবছর ঘটা করেই দুই স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন। তরুদের ছাদের ঘরে ওসমান চাচা নামে এক পঙ্গু ব্যক্তি থাকে। স্ত্রী সন্তান ফেলে উনি কেন তরুদের বাসায় থাকেন এটাও তরুর কাছে রহস্যময় মনে হয়। তরু একটা ডিটেক্টিভ উপন্যাস লিখছে। উপন্যাসের প্লটটা অনেকটা বাস্তবের মতই। প্লট টা ওকে দিয়েছে ওসমান চাচা। তিনি এত থাকতে এরকম একটা প্লটই বা কেন দিলেন? ব্যাপারটা রহস্যময় নয়? তরুর চোখে রহস্য সমাধান করার তৃষ্ণা। হুমায়ুণ আহমেদের এই টাইপের বই পড়ার সময় খুব ভালো লাগে। কিন্তু পরবর্তীতে দাগ ফেলে যাওয়ার মত কিছুনা। যতক্ষণ পড়বেন ততক্ষণ ভালো লাগবে। চরিত্রগুলো মাথায় ঘুরবে, কিন্তু পড়া শেষ তো সব শেষ। কিছু বই আছেনা, পড়ার পর সপ্তাহখানেক মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে? চরিত্রগুলো জ্যান্ত মনে হয়? এটা সেরকম বই না। শেষ মানেই শেষ, আপনাকে আর জ্বালাবে না। তবে এটুকু জোড় গলায় বলা যায়, পড়ার সময় বোরড হবেন না। যতক্ষণ পড়বেন ততক্ষণ মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে। বইয়ের প্রচ্চদটা ভালো লেগেছে খুব। বাধাইও ভালো ছিল।

      By Bibi Rasheda Afrin Rumi

      06 Dec 2017 10:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বরঃ (৯) বইঃ চক্ষে আমার তৃষ্ণা লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশকালঃ ২০০৯ প্রকাশকঃ অনুপম প্রকাশনী ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস পৃষ্ঠাঃ ৯৫ রকমারি মূল্যঃ ১৩২ . "চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো,তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে, আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন,সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে।" উপরের লাইনগুলো রবী ঠাকুরের।হুমায়ূন আহমেদ রবী ঠাকুরের ভক্ত ছিলেন,সেটা উনার বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।উনার প্রায় বইয়ে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন উক্তি,কবিতা বা গানের লাইন দেয়া থাকে।এমনকি উনার প্রায় বই রবী ঠাকুরের গান/কবিতা থেকে নেয়া।এটাও ঠিক তাই।তবে নামের ক্ষেত্রে আরো ব্যাপক সার্থকতা রয়েছে।উপন্যাসে মূল চরিত্র তরু।যার চোখ জুড়ে তৃষ্ণা,জানার তৃষ্ণা,ভালোবাসার তৃষ্ণা।তরুর নিজস্ব বয়ানেঃ "আমি কিছুই জিজ্ঞেস করি নি।যে তরু প্রশ্ন করতো সে নেই।আমি অন্য তরু।আমার চক্ষে তৃষ্ণা।ভালোবাসায় ডুবে থাকার তৃষ্ণা।ডুব দিতে হয় চোখ বন্ধ করে।আমি চোখ বন্ধ করেছি।" . রিভিউঃ তরুর বিচারসভা বসেছে।ঘটনা তেমন মারাত্মক কিছু না।তরুর টেবিলে এক প্যাকেট সিগারেট পাওয়া গেছে।তরুর এক বান্ধবির মামা অস্ট্রেলিয়া থেকে এটা পাঠিয়েছিলেন।ওর বান্ধবি এটা ওকে দিয়ে দিয়েছিল।প্যাকেটের একেকটা সিগারেট একেক কালারের।তরুর ভাল নাম শামসুন নাহার।তরুর বাবা আব্দুল খালেক মেয়েকে নিয়ে বিচারসভা বসালে ভালো নামে ডাকেন।আজও সেই নামে ডাকছেন।বোঝাই যাচ্ছে আজকের অপরাধটি তিনি গুরুতর অপরাধ হিসেবে নিচ্ছেন। তরুর বাবা যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছেন এই প্যাকেট সে কোথায় পেয়েছে তখন সে ভয়ে বলেছেন এটা ওসমান চাচা দিয়েছেন। নিকোটিন ছাড়া সিগারেট।তরু জানে ওসমান চাচার কথা বললে বাবা কিছু বলবেনা।কারণ ওসমান চাচার প্রতি তার বাবার বিশেষ দূর্বলতা আছে।তার বাবার ধারণা ওসমান চাচা পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ও ভালো মানুষ।তিনি অন্যায় কাজ করলেও তার বাবার মনে হয় সেই অন্যায়ের মধ্যেও নিশ্চয় ন্যায় রয়েছে।তাই তরু যখন ওসমান চাচার কথা বললেন তার বাবা তেমন কিছু বলতে পারেননি। ওসমান সাহেব তরুদের তিনতলার ছাদে থাকেন।পঙ্গু মানুষ,হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন।মাঝে মধ্যে উনার স্ত্রী উনাকে দেখতে আসেন।সাথে তার ৮ বছরের ছেলে আবির আসে।ওসমান সাহেবের বাড়ি থাকতেও তিনি কেন তরুদের বাসার ছাদে থাকেন এটা তরুর কাছে একটা রহস্য। তরুর উপন্যাস লেখার ঝোঁক চাপে।সেই ব্যাপারে উসমান চাচার পরামর্শ নেয়।উনি তরুকে প্রথমে আত্মজীবন দিয়ে শুরু করতে বলেন।তরু সেটাই করে।প্রথমে নিজের কথা,তারপর বাবা ও তার আশেপাশের মানুষ সম্পর্কে লিখতে শুরু করে।তরু উপন্যাস লিখার বিষয়ে একটা ঔপন্যাসিকের পরামর্শ চেয়েছিল,কিন্তু ঔপন্যাসিকের স্ত্রী সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত মহিলা আর ঔপন্যাসিকের চরিত্র নিয়েও তরুর মনে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তরুর মা নেয়।সে আর তার বাবা এই দুজন নিয়ে তাদের সংসার।তরুর বাবা খালেক সাহেব ব্যবসায়ী মানুষ।নানা রকম ব্যবসা নিয়েই তিনি থাকেন।তার প্রথম স্ত্রী তরুর বড় খালা মারা যাবার পর তিনি তরুর মাকে বিয়ে করেন।তরুর জন্মের একবছর পর তিনিও মারা যান।তরুর দৃঢ় বিশ্বাস যদি তার আরেকটা খালা থাকতো তিনি তাকেও বিয়ে করতেন।খালেক সাহেব তার দুই স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা করে পালন করেন।ঐদিন মাওলানা ডেকে তওবা করেন।এটা তিনি কেনো করেন এটাও তরুর কাছে রহস্য। তরু প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের সম্পর্ক খোঁজে,তাদের পেছনের কথা জানতে চায়,তার জীবনে কে কেন এবং কিভাবে জড়িয়ে আছে সেই রহস্যগুলো সে খুঁজে বের করতে চায়।তরুর কাছে এখন অনেকগুলা রহস্য।তরুর দুচোখ জুড়ে রহস্য সমাধানের তৃষ্ণা। . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এই বইয়ের প্রচ্ছদের হলুদ রংটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মতো তরু চরিত্রটিও বেশ রহস্যময়।তরুর বহুমাত্রিক চরিত্রের মধ্যে দিয়ে লেখক অনেক সমস্যাকে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন,হয়তো সবগুলোর সমাধান হয়নি।কিঞ্চিৎ রহস্য লেখক উপন্যাসটি।এটা হয়তো লেখকের মাস্টারপিস বই নয়,তবে নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটি বই।বইয়ের ভাষা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও সুন্দর।বইটা একবার পড়া শুরু করে কাহিনীর মধ্যেই ঢুকে গিয়েছিলাম।উপন্যাসে কিছু কিছু উক্তি ছিলো যেগুলো অসাধারণ লেগেছে। রেটিং:- ৪.৫/৫

    • Was this review helpful to you?

      or

      এটা তরুর গল্প। তরুর ভালো নাম শামসুন নাহার। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য নারী চরিত্রের মতই তরুর চরিত্রও রহস্যময়। তরুর বাবা খালেক সাহেব তরু কে রাগের মুহূর্তে শামসুন নাহার নামে ডাকেন। আজকেও ডাকছেন। আজকে রাগের কারন আছে। তরুও এটা নিয়ে খুব ভয়ে আছে। তরুর বিচারসভা বসেছে। ঘটনা তেমন মারাত্মক কিছু না। তরুর টেবিলে এক প্যাকেট সিগারেট পাওয়া গেছে। তরুর এক বান্ধবির মামা অস্ট্রেলিয়া থেকে এটা পাঠিয়েছিলেন। ওর বান্ধবি এটা ওকে দিয়ে দিয়েছিল। প্যাকেটের একেকটা সিগারেট একেক কালারের। তরুর বাবা যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছেন এই প্যাকেট সে কোথায় পেয়েছেন তখন সে ভয়ে বলেছেন এটা ওসমান চাচা দিয়েছেন। নিকোটিন ছাড়া সিগারেট। তরু জানে ওসমান চাচার কথা বললে বাবা কিছু বলবেনা।এভারও তেমন কিছু বলতে পারেনি। ওসমান সাহেব তরুদের তিনতলার ছাদে থাকেন।পঙ্গু মানুষ, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন।মাঝে মধ্যে উনার স্ত্রী উনাকে দেখতে আসেন। সাথে তার ৮ বছরের ছেলে আবির আসে। ওসমান সাহেবের বাড়ি থাকতেও তিনি কেন তরুদের বাসার ছাদে থাকেন এটা তরুর কাছে একটা রহস্য। তরুর বাবা খালেক সাহেব ব্যবসায়ী মানুষ। নানা রকম ব্যবসা নিয়েই তিনি থাকেন।তার প্রথম স্ত্রী তরুর বড় খালা মারা যাবার পর তিনি তরুর মাকে বিয়ে করেন। তরুর জন্মের একবছর পর তিনিও মারা যান। তরুএ দৃঢ় বিশ্বাস যদি তার আরেকটা খালা থাকতো তিনি তাকেও বিয়ে করতেন। খালেক সাহেব তার দুই স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীই ঘটা করে পালন করেন।এবং ঐদিন মাওলানা ডেকে তওবা করেন। এটা তিনি কেনো করেন এটাও তরুর কাছে রহস্য। তরুদের বাসার একতলায় সনজু রা ভাড়া থাকে। সনজু ওর আপা দুলাভাইয়ের সাথে থেকে ভার্সিটি তে পড়ে।সনজুর দুলাভাই খুবই খারাপ প্রকৃতির একজন মানুষ।কারনে অকারনে সনজুকে এবং ওর বোনকে মারধর করেন।তারপরেও সনজু কেনো এখানে পরে আছে এটাও রহস্য। তরু কিছুদিন থেকে উপন্যাস লিখছে।প্রথমে উত্তমপুরুষে নিজের জীবনের ঘটনা নিয়ে শুরু করেছিল।কিন্তু এখন ডিটেক্টিভ উপন্যাস লিখছে। প্লট হচ্ছে একজন লোক তার দুই স্ত্রী কে খুন করে বেপারটা দুর্ঘটনা হিসেবে সাজায়।কিন্তু ওই লোকের মেয়ে বড় হয়ে রহস্যের সমাধান করে। প্লট টা অবশ্য ওসমান চাচার কাছ থেকে ধার করা। তিনি এতো থাকতে এরকম একটা প্লট নিয়ে কেনো লিখতে বললেন সেটাও একটা রহস্য। তরুর কাছে এখন এনেকগুলা রহস্য।তরুর দুচোখ জুড়ে রহস্য সমাধানের তৃষ্ণা। ব্যক্তিগত মতামতঃ অনেকদিন পর একটা ভালো বই পড়লাম। তরু চরিত্রটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া আমি বরাবরই রহস্যের পাগল। তরুর চরিত্রটা রহস্যময় বলেই হয়তো আমার ভালো লেগেছে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!