Our User Product Reviews

The writer was a sailor in the Ottoman Navy. This book is a travel memoir. It talks about his struggle, what he went through after losing a battle & what he saw during traveling. If you like medieval history, then this book will give you a good insight about the culture, tradition & political situation of Indian subcontinent through a foreigner lens like Ibn Batuta.

আমার জীবনের কয়েকটি সেরা বইয়ের একটি হলো এই বই। আমি এক বেলায় পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। এরকম আরো কিছু বইয়ের নাম আমাকে কেউ জানলে বলতে পারেন, আরো পড়তে চাই।

মাশাআল্লাহ অসাধারণ একটি বই

বইটির প্রথম সংস্করণ কিনেছিলাম। পুরোটা পড়তে পারি নি, হারিয়ে ফেলেছিলাম। খুব খারাপ লেগেছে। আজকে কিনলাম আবার। নতুন প্রিন্ট, সুন্দর কাগজ, ভালো বাধাই। অনেক খুশি হলাম।

Good services from Rokomary

Valo boi sobgula

সাইয়িদি আলি রইস বা সিদি আলি। তিনি ছিলেন উসমানীয় খেলাফতের একজন (এডমিরাল) নৌসেনাপতি। বিধর্মী পূর্তগিজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে ভারত মহাসাগরে ঝড়ের কবলে পড়েন। সেখান থেকে তিনি গুজরাটের কোন এক বন্দরে জাহাজ নোঙ্গর করেন। সেখান থেকে তিনি নিজের মাতৃভূমি কনস্টেনন্টিনোপল বর্তমানে ইস্তানবুলের দিকে যাত্রা শুরু করেন। সেই যাত্রা পথের বিস্তর বর্ণনা দিয়ে এই ভ্রমণ কাহিনী লেখা। সেই যাত্রা পথে বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহ, আবহাওয়া পরিস্থিতি। বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কবর জিয়ারত। তিনি অনেক সুলতানের কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের গভর্নর হওয়ার প্রস্তাব পান, সেই সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন, শুধুমাত্র নিজের মাতৃভূমির কাছে, পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার টানে। ইতিহাসের অনবদ্য এক রচনা উনার ভ্রমণ কাহিনী।

Excellent book of a journey of unfortunate adventure

তুর্কীদের ইতিহাস, গর্বের ইতিহাস

Just wonderful

❤️❤️❤️

বইটি খুবিই চমৎকার।।।

This book every one can read.

nice

very good

Great Book and I have been enjoying.

journey and first muslim navy history

Good book, but the cover can misguide you

good

Nice book

khob valo lagce

দুঃসাহসিক সমুদ্র অভিযানের এক অসাধারণ উদাহরণ বইটি। সাথে মুঘল আমলের ঘটনাসমূহ বিশেষ করে সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু এবং সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারা যায় এই বই থেকে।

এক কথায় বেষ্ট একটা বই। সবারই পড়া উচিৎ এটা

thanks a lot !!!

অসাধারণ বই। রোমাঞ্চ আর এডভেঞ্চারে ভরপুর। বহুদিনপর এমন একটা বই পড়লাম এবং পুর্ণ তৃপ্তি পেলাম। এরকম বই আরো চাই।

Good

মিরআতুল মামালিক বইটি তদানীন্তন উসমানি খেলাফতের একজন অ্যাডমিরালের (নৌসেনাপতি) ভ্রমন কাহিনি। বিধর্মী পর্তুগিজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে ভারত মহাসাগরে তিনি কীভাবে ভাগ্যবিড়ম্বনার সম্মুখীন হন, পনেরো শতকের সেই বিস্তর সফরনামা বিবৃত হয়েছে অ্যাডমিরালের নিজ জবানিতে। বইটি আমার কাছে দারুন লেগেছে কিন্তু বইটির গল্প খুবই ছোট। ইতিহাস আগ্রহী যেকোন পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে বইটি অধ্যয়নে।

অসাধারণ একটি ভ্রমণ কাহিনী .যার অন্তরালে ইতিহাসের ছাপ পাওয়া যায় তৎকালীন মুসলিমদের কতটা চৌকস থাকতে হতো সম্মিলিত কাফেরদের প্রতিরোধের জন্যে একদিকে ইউরোপের খ্রিস্টান শক্তি অপরদিকে ভারতের মূর্তি পূজারী .এখানে আরেকটা দিক লক্ষণীয় উসমানীয় সাম্রাজ্যের নৌসেনা ভারতে মুসলিম শাসকদের রোষানলে পড়েননি অর্থন ভারত ও উসমানীয় বা আরব মুসলিমদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ ছিল যা এখনকার মুসলিমদের নেই ...

দ্য অ্যাডমিরাল বইটি এক কথায় অসাধার। এই বইটি পড়ে ভারত উপমহাদেশের মুসলিমশাসকদের সম্পকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।

বইটি একজন মুসলিম নৌ সেনার আত্মজীবনী হলেও মূলত ভ্রমণকাহিনী হিসবেই বিবেচনা করা যায়। এতটা রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক অভিযান কাহিনী সত্যিই বিরল । এই বই পাঠক কে সন্দেহাতীত ভাবে এক অভুতপূর্ব অভিজ্ঞতার মুখোমুখী করবে। ভারত মহাসাগরের ভয়াল ঝড়, জলদস্যু, প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহ নানা শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার এক অপূর্ব মিশেল এই বইটি ।

অসাধারণ একটি বই,

বইটায় বিস্তারিত নাই,,, শুরু ধারনা দেওয়া,,,,

সাধারণ পাঠকের ইতিহাসের প্রতি অনাগ্রহের কারণ সম্ভবত কে, কবে, কী কাজ করেছে তার প্রেক্ষাপট বিহীন এক শুষ্ক বর্ণনা। সে অর্থে এধরণের বই ইতিহাসের প্রতি অনাগ্রহী ব্যক্তিকে আগ্রহী করে তুলবে। অসাধারণ একটি বই। অনুবাদককে আন্তরিক ধন্যবাদ বইটি অনুবাদের জন্য। অল্প কিছু পাতায় প্রায় ৫০০ বছর আগের ইতিহাস ও সামাজিক চিত্র এমন জীবন্ত আর অর্থপূর্ণ হয়ে ধরা দিয়েছে যে তা এক কথায় অন্যবদ্য। খুব ভাল হত যদি একটি বিশ্ব মানচিত্র সংযোজন করে লেখকের ভ্রমণপথ ধারাবাহিকভাবে দেখানো থাকতো। পুরো বর্ণনা সেক্ষেত্রে আরো সহজে কল্পনায় দেখে নেয়া যেত, সেই সাথে তখনের বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতা অঞ্চলের আশপাশের প্রভাব ও দ্বন্দ্ব সম্বন্ধে আরো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেত। আশাকরি এবিষয়টি পরবর্তি সংস্করণে বিবেচনা করা হবে।

মধ্যযুগের ভ্রমণ বিষয়ক বই।

দ্য এডমিরাল----- হার না মানা এক সাহসী বীর নৌসেনাপতি সাইয়্যিদি আলি রইসের এডভেঞ্চারধর্মী এই বইটি রকমারির বিজ্ঞাপনে এক দেখাতেই মনে ধরে। তখনি অর্ডার করি। বইটা হাতে পেয়েই পড়া শুরু করে দেই।এটি ব্যাক্তিকেন্দ্রিক বই হলেও এতে রয়েছে ইতিহাসের উপাদান।সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো তিনি কখনো আল্লাহকে ভুলে যান নাই। সমুদ্রের সেই ভয়ংকর ঘুর্নিঝড়ের সময় তিনি সব কিছুকে আল্লাহর উপর সোপর্দ করেছেন। এছাড়াও জানা যায় সম্রাট হুমায়ুনের শাসন কালের ইতিবৃত্ত।এছাড়াও লেখকের কবিসত্তার দক্ষতার প্রমান পাওয়া গিয়েছে। থ্রিলারধর্মী এই বইটি পাঠকের মনে ক্ষনে ক্ষনে উত্তেজনার শিহরন জাগবে।সব মিলিয়ে পড়ার মতো একটা বই

অসাধারণ একটি বই,, ভারত মহাসাগরের একটি অসাধারণ ভ্রমন কাহিনী,, সেনাপতি রইস এর ভারত মহাসাগরে অবস্থার কালে ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চল এর আবহাওয়া এবং ততকালীন রাজনীতির কাহিনী বর্ননা করেছেন,, পড়লে অবশ্যই ভালো লাগবে।।

খুবি ভালো লেগেছে। বইটিকে বিশুদ্ধ ইতিহাসের গ্রন্থ, ভ্রমণ কাহিনী গ্রন্থ, বা এডভেঞ্চার গ্রন্থ ও বলতে পারেন । অনুবাদ অনেক ভালো ।

আমার ভ্রমণ বিষয়ক পড়া বই সমূহের মধ্যে চমৎকার একটি বই হলো মিরআতুল মামালিক । যেমন চাঞ্চল্যকর তেমনি উত্তেজনাকর পাশাপাশি ভয়ংকরও । এক কথায় সবই পেয়েছিলাম বইটিতে ।

তুর্কি খিলাফাতের সময় মুসলিম নৌশক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটে। একটি রাজ্য পরিচালনা করেতে যেয়ে বিবিধ কর্মকান্ড করতে হয়। যারা কর্মকান্ড করেন তারা রেখে যান বিশাল ইতিহাস। মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল ' বইটি ও তেমনি এক সাহসী সৈনিকের সমুদ্র অভিযানের ঘটনা। বইটি পড়ে বেশ ভালো লাগবে ।

লেখক এবং অনুবাদক পরিচিতিঃ সাইয়িদি আলি রইস বা সিদি আলী জন্ম গ্রহন করেন ১৪৯৮ সালে তুরস্কের গালাতা অঞ্চলে। কর্মজীবনে তিনি উসমানি খেলাফতের খলিফা সুলতান সুলেমানের একজন এডমিরাল (নৌসেনাপতি) ছিলেন। পর্তুগীজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে তিনি ভারত মহাসাগরেও উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলেন। এবং এরই কোন এক ফাকে তার পা পড়েছিলো বাংলাদেশেও। সফলতাই ভরা এবং পদে পদে রোমাঞ্চে পূর্ণ বিশাল এই জীবনযজ্ঞ শেষ হয় ১৫৬৩ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বইটি অনুবাদ করেছেন তরুণ লেখক এবং আলিমে দ্বীন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। কর্মজীবনে প্রধান সম্পাদক ছিলেন ইসলামিক মিডিয়া সেন্টারে। সাড়াজাগানো সাপ্তাহিক লিখনীর সহযোগী সম্পাদকও ছিলেন বেশ কিছু দিন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বিষয়বস্তুঃ দ্য এডমিরাল বইটি সায়্যিদি আলি রইস এর আত্মজীবনী মূলক। এতে যেমন একাধারে রয়েছে আলি রইসের বীরত্ব ও সাহসগাঁথা অন্যদিকে রয়েছে ইতিহাসপ্রেমী ব্যক্তিদের আত্মার খোরাক। মধ্যএশিয়ার বৃহদাঞ্চল চষে বেড়িয়েছে তার নৌবহর। তার সেই সব ভ্রমন কাহিনী নিয়েই আমাদের এইবারের বই মিরআতুল মামালিক: দ্য অ্যাডমিরাল। রিভিউঃ মিরআতুল মামালিক বইটি তদানিন্তন উসমানি খেলাফতের একজন নৌসেনাপতির ভ্রমণকাহিনী। বিধর্মী পর্তুগীজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে ভারত মহাসাগরে কিভাবে তিনি ভাগ্যবিড়ম্বনার সম্মুখীন হন, পনেরো শতকের সেই বিস্তর সফরনামা বিবৃত হয়েছে এডমিরালের নিজ জবানিতে। এর প্রতিটি বাক্যে বাক্যে রয়েছে টান টান উত্তেজনা, একজন সৈনিকের দৃঢ় মনোভাব, কাব্যের বিস্ময়কর ক্ষমতা, সর্বোপরি কঠিন বিপদেও আল্লাহর সাহায্যের বাস্তবিক নমুনা। পাঠক হারিয়ে যাবেন ইতিহাসের প্রাচীনতর তৃপ্তিদায়ক পাতায়। এ এক নতুন ভুবন যা ইতিহাসপ্রেমী সকল পাঠককে দিবে এক অদ্ভুত তৃপ্তি। এতে বর্ণিত হয়েছে কিভাবে তিনি ভাগ্যগুণে নিশ্চিত মৃত্যু হতে ফিরে এসেছেন, কিভাবে ভাগ্যক্রমে ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছেন এবং শেষে তিনি বেঁচে ফিরে যেতে পেরেছিলেন কিনা এমনসব প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে এই বইটিতে। সায়্যিদি আলি রইসের এই বইটি এমনিতেই বিখ্যাত। মুল তুর্কি থেকে আরবী ইংরেজী রাশান স্প্যানিশ পর্তুগীজ সহ প্রায় পনেরোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তাছাড়া নৌপথের বিভিন্ন রেফারেন্স হিসেবে বইটি পৃথিবীর অনেক নৌবাহিনীর বিশেষভাবে পাঠ্য। যে সময়টাতে তিনি ভারতসহ বিস্তীর্ণ মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া সফর করেন সে সময়টা রাজনৈতিক নানা কারনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ। যেমন হিন্দুস্থান তিনি এমন সময় সফর করেন যখন সম্রাট হুমায়ুন তার হারানো দিল্লির সিংহাসন পুনর্দখল করেন। আবার তিনি দিল্লির শাহী প্রাসাদে মেহমান থাকাকালীন সম্রাট হুমায়ুন মৃত্যুবরণ করেন। হুমায়ুন এবং তার পুত্র আকবরকে তিনি সিংহাসনে সমাসীন দেখেছেন খুব কাছ থেকে। দেখেছেন সিংহাসন রক্ষার অনেক শাহী কূটচাল। যা ইতিহাসে আগ্রহী সকল পাঠককে বইটি অধ্যয়নে আগ্রহী করে তুলবে। বইটির তেমন কোন নেতিবাচক দিক আমার চোখে পড়েনি। তবে একটি বিষয়, কাহিনী খুব দ্রুত এগোয়েছে। অর্থাৎ লেখক বলেছেন এই এই জায়গায় গিয়েছি কিন্তু জায়গার বর্ণনা তেমন একটা করা হয়নি। এবং মুল বাক্যের নির্দেশিত স্থানগুলোর সাথে টিকার অসমঞ্জস্য হওয়ায় খানিকটা খারাপই লেগেছে। এছাড়া অনুবাদ প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে সবকিছুই বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বইটি সাহিত্যপ্রেমি বিশেষ করে ইতিহাসপ্রেমীদের আনন্দ জোগাবে। এবং আত্মার খোরাক হয়ে রইবে।

An awesome book! A must-read for those who love real adventure, history and ethics. Such books and writers should be encouraged to produce more and more to enrich our literature.

উত্তাল সাগরের এতো বিশাল বিশাল ঢেউ দেখলেই তো ভয় পেয়েই যাই। বিশেষ করে আমরা চট্টগ্রামের মানুষেরা সাগরকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারি। সাগরের সাথে আমাদের আলাদাভাবে একটা সখ্যতা আর জানাশুনা আগে থেকেই রয়েছে। তারপরও কেমন জানি সাগরের উত্তালতা দেখলেই মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করে। স্পীডবোটে ছড়ে সাগরের কিছুদূর গেলেই তো নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। হাত পা কাঁপতে আরম্ভ করে দেয়। যখন আমি ‘মিরআতুল মামালিক দ্য অ্যাডমিরাল’ বইটি পড়ছিলাম! তখন আমার এসব অনুভূত হয়েছে। আচ্ছা এর আগে লেখক ও বইয়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু বলে নিই… মূল বইটির লেখক হচ্ছেন ‘সাইয়িদি আলি রইস’ তিনি ছিলেন ষোড়শ শতকের উসমানি খেলাফতের একজন জানবাজ প্রসিদ্ধ মুসলিম নৌসেনাপতি। সেসময় তিনি ভারত মহাসাগরে দায়িত্ব পালনকালে বিধর্মী পর্তুগিজ দস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত সমুদ্র-অভিযানে ব্যর্থতার কারণে অভিযান সমাপ্ত করে আর ফিরে আসতে না পেরে। একটানা তিন চারটি বছর অজানা অচেনা পথে দীর্ঘপথ পাড়ি দেন। ভ্রমন করেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানসহ মধ্য এশিয়ার বহু বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এডভেঞ্চার ও ভয়ংকর অভিজ্ঞতায় ভরপুর সে ভ্রমণকাহিনীই লেখক নিজ হাতে লিখে গেছেন ‘মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল’ এই বইটিতে। মিরআতুল মামালিক অর্থ সাম্রাজ্যের দর্পণ। এ বিখ্যাত বইটি মূল তুর্কি ভাষায় লেখা। পরবর্তীতে আরবি, ফারসি, উর্দু, ইংরেজি, ফরাসি, ইতালি, জার্মান, গ্রিক ও রাশানসহ মোট ১৫টি ভাষায় এটি অনূদিত হয়েছে। চলুন লেখকের সাথে আরেকটু সাগরের বুক থেকে ঘুরে আসা যাক। এরিমধ্যেই হঠাৎ আমাদের দিকদর্শী নাবিক জোরকণ্ঠে ঘোষণা দিলো- মৃত্যু আমাদের সন্নিকটে। খুব শিগগির আমরা একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিপাকের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। এবং এটা কোন রূপকথা বা অজানা রহস্য নয়, বাস্তব সত্য। পৃথিবীর মধ্যে সমুদ্রের দুটো জায়গায় এমন ঘূর্ণিজল রয়েছে, যেখানে কোন জাহাজ তো দূরের কথা কোন মাছ বা পাখিও যদি উড়ে যায়, সেটা আর কখনো জীবিত ফিরে আসতে পারে না। কিন্তু আল্লাহর অসীম কুদরতে লেখক সাইয়িদী আলী রাইস (নৌসেনাপতি) কিভাবে সেখান থেকে আমাদের/পাঠকদের সহ নিয়ে ফিরে আসতে সক্ষম হবেন? এবং পরবর্তীতে লেখক কি কারণে কাদের জন্য নিজ হাতে তার এই ভ্রমণকাহিনীটি রচনা করে গেলেন? যার জন্য লেখক এখনো ইতিহাসের পাতায় সারা বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে আছেন। একজন সফল সাহসী অ্যাডমিরাল এর এরকম চিত্তাকর্ষক আরো বহু তথ্য ও ঘটনাপ্রবাহ জানতে চাইলে আপনি অবশ্যই বইটি পড়ুন। অবশ্যই বইটি পড়ুন।

সারসংক্ষেপঃ ষোড়শ শতকের এক তুর্কি অ্যাডমিরালের (নৌসেনাপতি সাইয়িদি আলি রইস) চিত্তাকর্ষক ভ্রমণকাহিনি। পর্তুগিজ জলদস্যুদের তাড়া করতে গিয়ে কীভাবে তিনি আরব সাগরের বুকে হারিয়ে যান, আবার ভারত মহাসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যুমুখে পতিত হন, কীভাবে সামুদ্রিক ঘুর্ণি ট্রায়াঙ্গলে গিয়ে আছড়ে পড়েন… এসব টান টান উত্তেজনার কাহিনি দিয়েই শুরু হয়েছে এ দিগ্বীজয়ী ভ্রমণবৃত্তান্ত। মূলত ঝড়ের কবলে পড়ে অবশেষে উপকূলে নেমে আবার তার স্বদেশের জন্য যাত্রা এবং পথিমধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ এবং বাধার বর্ণ্না রয়েছে এই বইতে।লেখক নিজের ভ্রমন অভিজ্ঞতাকেই মূলতে এই বইয়ে তুলে ধরেছেন। তার ভ্রমন বর্ণ্নার উঠে এসেছে ভারত অঞ্চল থেকে তূর্কি যাওয়ার পথে অনেক স্থানের বিবরন পাশাপাশি সেসব এলাকার মানুষের জীবন যাপন। সে সময়ে চলাকালিন যুদ্ধের বর্ণনা এবং রাজনৈতিক প্রভাব এসবের বিবরন পাওয়া যাবে এই বইতে। আমার অভিজ্ঞতাঃ আমি খুব সময় বই পড়ি ।বলতে গেলে খুব কম পড়ি। তবে ইসলামিক ইতিহাস আমার পছন্দের একটি পড়ার বিষয়। রকমারীতে খুজে আবার পড় থেকে আগ্রহ ছিলো বইটি পড়ার। বইমেলা উপলক্ষে কেনা বইগুলোর মাঝে এটা দিয়ে শুরু করেছিলাম। টানা পরেছি প্রায় ২ ঘণ্টা। শেষ করার পড় নিজেকে বাহবা দিলাম এমন সুন্দর বই নির্বাচনের জন্য। লেখক যেহেতু নিজের ভ্রমন অভিজ্ঞতাকে বর্ণনা করেছেন সে হিসাবে লেখনী খুবই সাবলীল লেগেছে। লেখক একজন নৌসেনাপতি হবার সাথে সাথে কবি ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে লিখা কবিতা তিনি বইতে যোগ করেছেন। আরো আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে লেখক তারা যাত্রাকালে বিভিন্ন স্থান যেমন নবীদের কবর, পীর আউলীয়াদের কবর যিয়ারত করতেন। এতে করে ধর্মীয় অনেক তথ্য এতে যোগ হয়েছে। অনুবাদক সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি বই খুজে আমাদের জন্য মাতৃভাষায় অনুবাদের জন্য। আপনার শ্রমের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা। বিভিন্ন টিকা যোগ করায় বিষয়গুলো আরোও সহজবোধ্য হয়ে গিয়েছে। একটি তথ্য যোগ করতে চাই বইটি GOODREADS এর তালিকায় ছিলো না। আমি যোগ করে দিয়েছে। সেক্ষত্রে কিছু ভুল থেকে থাকলে জানিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিবেন।

ইমতিয়াজ বিন মাহতাব-এর রিভিউ একটা সময় আমি ছিলাম বইয়ের পোকা। ঠাকুরমার ঝুলি থেকে শুরু করে ওয়েস্টার্ন, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার ছিল পাঠ্যবিষয়। ক্লাসের মধ্যে কিংবা রাতে মশারির ভেতর লুকিয়ে লুকিয়ে দুঃসাহসিক অভিযান কাহিনী পড়তে গিয়ে শিহরিত হতাম। এ বিষয়টি আবিষ্কার করে পুলকিত হতাম যে, অভিযানের নায়ক যেন আমি নিজেই। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে উদ্ধার করে আনার মজাই আলাদা। সেই আমি এখন বই পড়ার সময় পাই না। নানা ঝামেলা, নানা ব্যস্ততা। এসবের মাঝেও অনেক দিন পর একটি বই পড়লাম- ‘মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল’। দ্য অ্যাডমিরালের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বছর খানেক আগে থেকে। অনুবাদক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর ফেসবুকে উসমানি খেলাফতের নৌ-সেনাপতি সাইয়িদি আলি রইস ও তার বিখ্যাত ‘মিরআতুল মামালিক’ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তিনি বইটির বাংলা অর্থ কী করা যায় তা জানতে চেয়েছিলেন। আমি কমেন্টে বলেছিলাম, ঐতিহাসিক বই, মূল নাম ঠিক রেখে নাম রাখা যেতে পারে। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর আলোকিত বাংলাদেশে এর কিছু অংশ ছাপা হয়। সে অংশটুকু পড়েই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি পুরো ‘মিরআতুল মামালিক’ এর জন্য। অতঃপর যখন জানতে পারলাম বইটির অনুবাদ শেষ। ছাপা হয়ে আসছে। আমি যোগাযোগ করে প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই বইটি জোগাড় করলাম। নতুন বইয়ের একটা গন্ধ আছে। বইটি হাতে নিয়ে সেই গন্ধ শুঁকলাম। বহুদিন পর পড়লাম একটি বই। হারিয়ে গেলাম সমুদ্রের অ্যাডভেঞ্চারে। উফ, কী শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বইটির লেখক সাইয়িদি আলি রইস নয়, নায়ক নৌ-সেনাপতি যেন আমি নিজেই। আমিই দ্য অ্যাডমিরাল। প্রতিটি পদে পদে, প্রতিটি পথে পথে আমিই যেন বিচরণ করছি। কখনও যুদ্ধের সাগরবক্ষে, কখনও সমুদ্রের ঘূর্ণাবর্তে, কখনও স্থলপথে। দারুণ এক ঝরঝরা অনুবাদ। দৃশ্যায়ন এতই স্পষ্ট যে, যেন সবকিছুই দেখছি এবং অনুভবে ছুঁয়ে যাচ্ছি। সাইয়িদি আলি ছিলেন ষোড়শ শতকের উসমানি খেলাফতের নামকরা মুসলিম নৌ-সেনাপতি। ভারত মহাসাগরে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলা, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানসহ মধ্য এশিয়ার বিশাল অঞ্চল ভ্রমণ করেন। সে ভ্রমণকাহিনী নিয়েই এ ‘মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল’। মিরআতুল মামালিক অর্থ সাম্রাজ্যের দর্পণ। আর নৌ-সেনাপতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য অনুবাদক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘দ্য অ্যাডমিরাল’। এ বিখ্যাত বইটি মূল তুর্কি ভাষায় লেখা। আরবি, ফারসি, উর্দু, ইংরেজি, ফরাসি, ইতালি, জার্মান, গ্রিক ও রুশসহ মোট ১৫টি ভাষায় এটি অনূদিত হয়েছে। এতদিন বাংলা ভাষায় এর কোনো অনুবাদ ছিল না। তরুণ লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর সে শূন্যতা পূরণ করে দিলেন। মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল শুধু একটি ভ্রমণ কাহিনী হলেও এতে রয়েছে ইতিহাসের উপাদান। ইসলামী খেলাফতের ঘোর শত্রু পর্তুগিজদের কথা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর সঙ্গে এর বড় পার্থক্য হলো, এখানের নায়ক তার সব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মহান রাব্বুল আলামিনকে সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। এক সাচ্চা ঈমানদার নৌ-সেনাপতির কাহিনী পড়তে গিয়ে নিজের ঈমানটাও যেন একটু মজবুত মনে হয়। যাযাবর তার দৃষ্টিপাতে যেভাবে ধর্মীয় স্থাপনা ও বিষয়গুলো বড় আবেগ, গভীর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, আমরা দেখতে পাই সাইয়িদি আলি রইস তার ভ্রমণ কাহিনীতে মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা, পবিত্র স্থান, বিখ্যাত বুজুর্গদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান বা মাজার, ধর্মীয় রীতিনীতি গভীর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বর্ণনা করেছেন। আরবি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করেছেন বেশ সচেতনতার সঙ্গে। প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক হামিদ মীর বলেন, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সেনাবাহিনী মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা করে না। তারা মুসলমানদের গুলি করতে বেশ পারদর্শী। সে ক্ষেত্রে সাইয়িদি আলি রইস মুসলমানদের জন্য বেশ গৌরবের। তিনি মুসলমান ও মুসলিম সালতানাতের জন্য নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা বিলিয়ে দিয়েছেন। অনুবাদক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর লেখেন ভালো। তার গদ্য বেশ চমৎকার। দুই-এক জায়গায় যে মুদ্রণপ্রমাদ হয়েছে ভালো করে প্রুফ দেখলে তা সম্ভবত হতো না। আশা করি আগামীতে সেটা শুধরে নেয়া হবে। তারপরও গদ্যের সাবলীলতায় মনে হবে সাইয়িদি আলি রইস নয়, আমিই যেন দ্য অ্যাডমিরাল, নৌ-সেনাপতি। মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল বইটির বহুল প্রচার ও সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি। বই : মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল লেখক : সাইয়িদি আলি রইস অনুবাদক : সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর প্রকাশক : নবপ্রকাশ, ১১/১, বাংলাবাজার, ঢাকা প্রকাশকাল : জুন, ২০১৬ মুদ্রিত মূল্য : ১৫০ টাকা বিক্রয় মূল্য (বিশেষ ছাড়) : ৭৫

অবশেষে এডমিরাল বইটি পড়লাম। কেনার আগে ভেবেছিলাম এটি মুসলিম নৌ বাহিনীর বীরত্বের বিজয় গাঁথা কিন্তু পর্তুগিজ বাহিনীর সামনে আমরা (মুসলিমরা) দাঁড়াতেই পারিনাই উপরন্তু বলা যায় পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। তবে বইটি ইব্ন বতুতার ভ্রমণকাহিনীর মতো এডমিরাল ভ্রমণকাহিনী হিসাবে ভীষণ ভালো লেগেছে বতুতার বইটি ছিল সামাজিক বর্ণনা আর এটি সামাজিকের পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থার বর্ণনা এসেছে সবচাইতে যেই অংশটি আমার রিদয় স্পর্শ তাহলো খলিফা পদ্ধতির একটা ছবি কল্পনায় দেখতে পেয়েছি। খারেজম এর যে কথা এসেছে সেটা কোন খারেজম বুঝতে পারলাম না কারণ এক খারেজম তো চেঙ্গিস খান ধ্বংস করেছে। এডমিরালের মাজার প্রীতি একটু চিন্তার খোরাক দেয় কারণ এখন আমরা মাজারপ্রীতি বলতে শিরক বুঝি। বইটা কিনে এবং পড়ে আমি তৃপ্ত