User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
An emotional rollercoaster that tugged at my heartstrings. I'm already looking forward to reading more from this talented author.
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
দাওয়াম বই খুব ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন বই, সবার এইটা পড়া দরকার বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
felling good
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
Good. Recommend to buy.
Was this review helpful to you?
or
নাজমুদ্দিন এরবাকান এমন এক সময়ে তুরস্কে রাজনীতির মঞ্চে পা দিয়েছিলেন যখন তুরস্ক তার শত বছরের খেলাফত এর ঐতিহ্যকে ভুলে সেক্যুলার সমাজ ব্যবস্থায় আপাদমস্তক ডুবে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন সেখানে আযান নিষিদ্ধ, পর্দা নিষিদ্ধ, আরবি শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল। এই সময়ে নাজমুদ্দিন এরবাকান অসীম সাহস নিয়ে তৌহিদের বাণী নিয়ে তুরস্কের রাজনীতির মঞ্চে আবির্ভুত হন। কিন্তু তিনি কি হুট করেই এসেছিলেন এই অসম লড়াইয়ে? না, তার আগে তিনি জ্ঞান ও পান্ডিত্যের এমন এক স্তরে পৌঁছেছিলেন যা প্রকৃতপক্ষেই ঈর্ষণীয়। তুরস্কে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ব্যাচেলর ডিগ্রী নিয়ে তিনি জার্মান যান উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য। তারপর তুরস্কে ফিরে প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম ভারী শিল্প কারখানা, এর পেছনে উনার অনুধাবন ছিল যে নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য ছাড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের আশা করা দুরূহ। এরপর ধীরে ধীরে আসেন চেম্বার অব কমার্সের নেতৃত্বে, এরপর প্রয়োজনের তাগিদে শুরু করেন আদর্শিক আন্দোলন ও রাজনীতি। বারবার সেনা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বারবার স্ব-মহিমায় ফিরে আসেন রাজনীতিতে। তাঁর প্রভাব তখনকার রাজনীতিক সহ বর্তমান সময়ের রাজনীতিকদের উপরেও দেখা যায়। এজন্য তিনি সর্বমহলে পরিচিত 'হোজা' নামে যার অর্থ নেতা। এই মহান নেতার আদর্শ, সংগ্রাম নিয়ে তাঁর নিজস্ব আত্মজীবনী "দাওআম"!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অনন্ত এটুকু বুঝতে পেরেছি যে জীবনে কিছু করতে হলে আগে নিজেকেই লেখাপড়ায় ভালো করতে হবে। তারপর নাহয় সমাজ,দেশ বা পৃথিবীর উন্নতির জন্য ভাবা,,,,,,
Was this review helpful to you?
or
আসাধারন একটি বই। তিনি যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। তা বর্তমান তুর্কীরা ভোগ করছেন । জানি না আমাদের এরবাকান কে হবে আর কবেই বা আসবে। তিন বলেছেন, আমাদের উন্নতি করতে হলে আগে আমাদের মানসিক চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করতে হবে । তাদের ঠিকই চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আসছে । যার জন্য তারা তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ফিরে পাচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
The book is an extraordinary auto-biography. On general, it sheds light on the contemporary world politics as well as politics within and outside of a Muslim country. In particular, the book demonstrates an ordinary student's journey to an extraordinary level of leadership. It guides the reader on personal, moral, philosophical and political basis.
Was this review helpful to you?
or
বিশ্ব রাজনীতি, বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ, তুরস্কে ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে অসাধারন একটি বই। লেখক সাবেক প্রধান মন্ত্রী হওয়ায় অনেক বিষয় তিনি অসাধরণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Was this review helpful to you?
or
তুর্কি উসমানী খিলাফাতের পতনের পর মুসলিম দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। মুসলিম নামধারী কামাল পাশা তুরস্ককে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বানাতে গিয়ে ইসলাম কে সমাজ ও রাষ্ঠ থেকে ইসলামী আইন কানুন বাদ দিয়ে সুইজারল্যান্ড এর আইন কে গ্রহন করেন। যাকে সুইস কোড বলে। তুরস্কের এ দুর্দিনে যে কয়জন মুসলিম নেতা তুরস্ক কে বাচাতে এগিয়ে আসেন তার মাঝে প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান অন্যতম । আরবাকানের চিন্তা-দর্শন এবং প্রায়োগিক রাজনীতির চর্চা সবাইকে প্রেরণা জোগাবে। তার কাছে লক্ষ্যভেদী উদ্দেশ্যের গুরুত্ব ছিল বেশি। দলীয় চিন্তা এবং ক্ষুদ্র ভাবনা তাকে কখনো কক্ষচ্যুত করেনি; লক্ষ্যভ্রষ্ট করেনি। তিনি চেয়েছিলেন সমৃদ্ধ তুরস্ক ও ঐক্যবদ্ধ উম্মাহ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও তিনি ছিলেন বাস্তবে কিংমেকার, অসাধারণ সংগঠক ও সময়ের এক সাহসী সন্তান। যারা ভাবেন ইনসাফের সমাজ নিয়ে, প্রায়োগিক রাজনীতির কর্মকৌশল ও ধরন নিয়ে, তাদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুদ্দিন আরবাকান এ সময়ের একজন আদর্শ পথপ্রদর্শক ও মডেল হতে পারেন। তার জীবনভিত্তিক লেখা ‘দাওয়াম’ বা ‘আমার সংগ্রাম’ প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমেই লেখক সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া দরকার। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। জীবনের কোনো পরিক্ষায় দ্বিতীয় হননি। তার মেধার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষেই তাকে ভর্তি করানো হয়। পেশায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। গবেষণা করেছেন অটোমোবিল ইঞ্জিন নিয়ে। জার্মানির বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত লিওপার্ডো ট্যাংক নিয়ে। এবং গবেষণায় উৎকর্ষতার সাথে সফলতা লাভ করেন। তিনি তুরস্কের ভারী শিল্পায়নের অগ্রদূত ছিলেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে উপলদ্ধি করেন যে, দেশের সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ভারী শিল্পায়ন তথা স্বাবলম্বী তুরস্ক চায় না। তাই তিনি রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিল্লি গুরুশ’ পার্টি। এর মাধ্যমে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী আন্দোলন যাত্রা শুরু করে। ‘মিল্লি গুরুশের’ উদ্দেশ্য হল- ১. আধ্যাত্নিক উন্নতি ২. অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা ৩. সকল মুসলিমদের একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা নানা প্রতিকূলতা, জেল-জুলুম পার হয়ে নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভ করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে মিল্লি গুরুশ পার্টি। কিন্তু ইয়াহুদী ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষমতায় থাকতে পারে মাত্র ১১ মাস । এই ১১ মাসেই তুরস্কের ঈর্ষণীয় উন্নতি করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন D-8 (বাংলাদেশ এর সদস্য)। কমিয়েছেন সুদের হার। বেতন বৃদ্ধি করেন ১০০ ভাগ, কোনো ক্ষেত্রে ১৫০ ভাগ। শিল্পায়নের গতি ফিরিয়ে আনেন, মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে কমন মার্কেট চালু করেন। চক্ষুশুলে পরিণত হন ইয়াহুদী গোষ্ঠীর। এই মহান নেতা ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তুরস্কের বর্তমান ক্ষমতাসীন একে পার্টির তাত্ত্বিক নেতা তিনি। তার জানাযায় সমাগত হন ৩৫-৪০ লাখ মানুষ। লাশের খাটিয়া বহন করেন তার ছাত্রদ্বয় বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও আব্দুল্লাহ গুল। ড. এরবাকান ছিলেন একজন বিজ্ঞানের ছাত্র। মহাবিশ্বের এই বিপুল সৃষ্টি যে আল্লাহর মহিমা প্রকাশ করছে তা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বইটিতে তিনি দেখিয়েছন। বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য অবশ্য পাঠ্য এই বইটি। বিজ্ঞান যে আমাদের গতানুতিক চিন্তাধারার উর্ধ্বেও আরেকটি জিনিস তা দেখিয়েছেন তিনি। আজ জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিমরা পিছিয়ে, প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা নতি স্বীকার করতে চায় যেন পাশ্চাত্যকে। কিন্তু পাশ্চাত্যের এই জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি মুসলিমরাই তৈরি করে দিয়েছে। তাই মুসলিমদের তিনি নিজস্ব চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে বলেছেন। আপনি কি মনে করছেন? এই বিশ্ব শাসন করছে কে? আমেরিকা, ইউরোপ? না, এই বিশ্ব শাসন করছে ইহুদী নিয়ন্ত্রিত গোপন বিশ্ব সরকার। যারা সংখ্যায় অল্প, কিন্তু প্রভাব অপরিসীম। এই বিশ্ব সরকার সম্পর্কিত অবিশ্বাস্য তথ্য পাবেন বইটিতে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও লেখক যখন একজন বরণ্যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তখন বিশ্বাস আপনাকে করতেই হবে। মুসলিম বিশ্বকে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হলে জিহাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে রাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব সমাজ। তিনি ছিলেন একজন মুজাহিদ। মানুষের ন্যায়ভিত্তিক অধিকার বাস্তবায়ন করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বইটি মূলত বর্তমান শিক্ষিত যুবকদের নিজেকে তৈরি করার জন্য একটি পাথেয়। একটি ইসলামী বিশ্বসমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রামরত একজন মুজাহিদের জীবনী থেকে বর্তমান যুবকেরা নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেয়ার মত বই এটি, যা সৃষ্টি করে শিহরণ। বইয়ের শেষে লেখক বলেছেন, “যা কিছু করেছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করেছি।”