User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
fine.
Was this review helpful to you?
or
Fantastic
Was this review helpful to you?
or
পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
ফাউন্টেন পেন লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ মূল্যঃ ১৭৬৳ প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১১ প্রকাশনী ঃ অন্যপ্রকাশ ধরণঃ আত্মজীবনী /স্মৃতিচারণ #### বলপয়েন্ট, কাঠপেন্সিল-এর পর ফাউন্টেনপেন। পেন, পেন্সিল সিরিজের তৃতীয় বই। অন্য বই গুলোর মত এটির ছোট ছোট অনেক পরিচ্ছেদ। প্রথম পরিচ্ছদ শুরু হল বইমেলা কে নিয়ে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে কেবল বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনেই বইমেলা করতে হবে, এটা নিয়ে আয়োজকদের জেদ । এটায় লেখকের মনের একটা ক্ষোভ , একটা চাপা কষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। বইমেলা , আর তার আয়োজন নিয়ে। খারাপ লেগেছে খুব এই অংশে এসে। উল্টোগীত গাওয়া কিছু মানুষের কাজ নিয়ে লিখেছেন, শেষে একটা কথা বলেছেন, তা হল “পোকারা আমাদের উপর রাগ করে কামড়ায় না। তারা বেঁচে থাকতে চাই বলেই কামড়ায়।“ এরপরে এসেছে ধর্মকর্ম , সুফিবাদ নিয়ে কিছু কথা তিনি এখানে বলেছেন, ধর্ম নিয়েও কিছু বলেছেন। আর যারা লেখকের কাছ থেকে পড়ার জন্য বই নিয়ে গেছে আর ফেরত দেয়নি তাদের নাম বলে গেছেন। এখানে আমার একটা কথা প্লীজ, কে নাস্তিক কিংবা কে আস্তিক এই তর্কে যাবেন না । যাবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে নিয়েন আপনি নিজে কত টা ধর্ম আসলে মানেন। বিখ্যাত লেখকদের লেখার মধ্যে অনেক পুরোনো ইতিহাস জানা যায়, এটা অনেক মজার একটা ব্যাপার। এরপরে আসল “ছাইঞ্চ মিয়া” নামের এক ব্যক্তি , এই ছাইঞ্চ মিয়া কিভাবে চাইঞ্চ নাম হল সেটার ইতিহাস ও মজার। এই ছাইঞ্চ মিয়ার কথার রেশ ধরেই বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। এরপরে এসেছে পড়াশোনা। এখানে আপনি জানতে পারবেন আরো কিছু ইতিহাস, যেমন “স্নান” শব্দ থেকেই “স্নাতক” শব্দের উৎপত্তি। লেখক লিখতে বসেছেন নিজের জীবনী । কিন্তু সুনীল, চার্লস ডিকেন্স, আইজ্যাক আজিমভ এর কিছু কথা লিখেছেন, যদিও তা প্রসঙ্গক্রমে এসেছে। অনান্য লেখকের মতই তিনিও প্রচুর বই পড়তেন। এইখানে বলা আছে “বাদশাহ নামাদার” নামে একটা বই লিখবেন বলে বাবরনামা পড়েছিলেন। এরপরে ধর্ম অংশ, হাসপাতাল অংশে লেখক নিজে অনেক বড় একটা সত্য বলেগেছেন। যারা লেখক কে , লেখকের পরিবার কে নাস্তিক নাস্তিক বলে ফেনা তুলে ফেলেন তাদের জন্য “আমি নাস্তিক না বলেই ডিস্কাউন্টের প্রার্থনায় বিশ্বাস করিনা”। এরপরে আরো বেশ অনেকগুলো পর্ব আছে, সব গল্প আপনার মন খারাপ করাবে, আবার হালকা হাসিও এনে দেবে। লেখক সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। লেখককে অনেক জানা আসলে আমাদের এখন ও বাকী আছে। আসলে উনার কিছু কাজের জন্য উনার প্রতি একটা প্রশ্ন আছে, থাকবে, কাজটা আমার নিজেরও পছন্দ না। সেইটুক বাদ দিয়ে উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, যেমন রবীন্দ্রনাথের প্রতি একটা প্রশ্ন এসেছে, একটা খটকা এসেছে “আমি মৃণালিনী নই” বইটা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পছন্দের একটি বই । লেখকের পেন রিলেটেড সিরিজ তিনটাই আমার দারুন লাগে । এটার বড় একটা কারন আত্মজীবনীমূলক বই আমি বেশি বেশি পছন্দ করি ।
Was this review helpful to you?
or
‘ফাউন্টেনপেন’ বইটি মূলত হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনী মূলক লেখা। তবে শুধু আত্মজীবনী মূলক লেখা বলে এই বইটির মহিমা পুরোপুরি বোঝানো সম্ভব নয়। আর লেখক এই বইয়ে যে ধাঁচের লেখনী ব্যবহার করেছেন তাও কোন আত্মজীবনী মূলক লেখা হিসেবে নতুন ধরনের। এই বই পড়তে গিয়ে কখনও মনে হবে হুমায়ূন আহমেদের জীবনদর্শন পড়ছি। বিভিন্ন জটিল জটিল বিষয় নিয়ে তার একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনাগুলো পড়ছি। আবার কখনও মনে হবে হুমায়ূন আহেমেদ ব্যক্তিগত ডায়েরী পড়ছি। আবার কোন কোন অংশ নিখাদ আত্মজীবনীর মতই তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নানা মজার ঘটনা দিয়ে সাজানো। ‘ফাউন্টেনপেন’ বইটি লেখক শুরুই করেছেন তাঁর বইয়ের সমালোচকদের নিয়ে। তিনি অত্যন্ত হাস্যরসের সাথে তাঁর বইয়ের সমালোচকদের চিন্তা-ভাবনা এবং কথা-বার্তা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, তাঁর ধারণা এ সব সমালোচকেরা মনে করেন, তারা নিজেরা যে সব সাহিত্য রচনা করছেন সে সব কালজয়ী। তাই তিনি তাঁর বইয়ের সমালোচকদের নাম দিয়েছেন ‘কালজয়ী’। এরপরের পরিচ্ছেদে লেখক ধর্মের প্রসঙ্গ এনেছেন। সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যদিও আলোচনার শুরুতেই লেখক বলে নিয়েছেন সুফিবাদ নিয়ে তাঁর জ্ঞান খুবই ভাসাভাসা। তবে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে এই পরিচ্ছেদের আলোচনাগুলো যথেষ্টই গভীর। তারপরে লেখক তাঁর ব্যক্তিগত কিছু অভ্যাসের কথা বলেছেন। লেখকের একটি অভ্যাস হল, তিনি যখন দেশের বাহিরে যান তখন এক সুটকেস ভর্তি বই সাথে করে নিয়ে যান। লেখক তাঁর পাঠ্যভাস সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্যে শেষবার যখন মিশর যাওয়ার কথা উঠেছিল তখন তিনি সুটকেসে যে সব বই তুলেছিলেন তার কয়েকটির নামও দিয়েছেন। তারপর একটি পরিচ্ছেদে লেখক জ্বিন এবং পাখি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য দেন। এটা পড়ে আমি জানতে পারি, কোন প্রাপ্তপবয়স্ক পাখিকে কখনও লোকালয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় না। কারণ পাখিরা তাদের মৃত্যুর আগেই আন্দাজ করতে পারে। তখন তারা লোকালয় ছেড়ে গভীর বনের দিকে চলে যায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার জন্যে। লেখকের নিরাপত্তার জন্যে একবার সরকারিভাবে গানম্যানের ব্যবস্থা করা হয়। লেখক তাঁর সেই গানম্যানকে নিয়ে বন্দুক-মানব নামে একটি পরিচ্ছেদ এই বইয়ে লিখেছেন। এছাড়া লেখক বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর কিছু ভাবনার কথা এই বইয়ে লিখেছেন। লেখকের ধারণা বৃক্ষেরা অনেক কিছু জানে। কিন্তু মানুষেরা তাদের কাছে থেকে সে জ্ঞান আহরণ করতে পারছে না। এভাবে আমাদের আশেপাশের জীবন-জগত সম্পর্কে লেখকের একান্ত কিছু ভাবনাও এই বইয়ে পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে বলতে হয়, ‘ফাউন্টেনপেন’ একটি অসাধারণ বই। এই বই পড়তে পড়তে পাঠক কখনও স্যারের রসিকতায় হাসবেন। কখনও অজানা তথ্য জেনে সমৃদ্ধ হবেন। আবার কখনও স্যারের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অজানা কথা জেনে মনের খোরাকও মিটবে। 'ফাউন্টেনপেন' এক নিঃশ্বাসে শেষ করার মতই একটি অসাধারণ বই।