User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
too much brilliant story
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটা।
Was this review helpful to you?
or
বইটি থ্রিলার বোটে, তবে আমার কাছে রোমান্টিক বেশি মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। হাতে নিলে শেষ না করে থাকাই যায় না...
Was this review helpful to you?
or
দারুণ থ্রিলার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
স্বামির অত্যাচার থেকে বাচতে ইয়াসুকো আর তার মেয়ে মিশাতো অনেকবার বাসা বদলেছে, কিন্তু তাও স্বামি টোগাশির হাত থেকে রেহাই পাইনি। কিন্তু এবার আর সহ্য করতে না পেরে দূর্ঘটনাবশত খুন করে ফেলে মা মেয়ে মিলে। কি করবে এখন লাশ ভেবে পাচ্ছিলো না যখন, তখনই পাশে দাঁড়ায় তার প্রতিবেশি ইশিগামি। এক রাতের মধ্যেই লাশ গুম করে দেয় ভদ্রলোক। এর একমাত্র কারন- অসম্ভব ভালোবাসত সে ইয়াসুকোকে। বরাবরের মতই লাশ খুজে পায় পুলিশ এবং সন্দেহও যায় ইয়াসুকোর উপর। কিন্তু পুলিশের তদন্ত পুরোটাই ইশিগামির ফাদ। তার পূর্বপরিকল্পিত নাটকের জন্য তারা শুধুমাত্র কিছু অভিনেতা। কেউ জানে না কিভাবে সে লাশ গুম করেছে। এ যেন বৃত্তের মত এক গোলকধাঁধা !!!!!! বই: দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স লেখক: কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদ: সালমান হক
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। ভালবাসার মানুষকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে নিজে আরেকটা খুন করে পুরো ঘটনাকে তার দিকে ঘুরিয়ে দিলো। অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশকে যাকে তার ভালবাসার মানুষ খুন করেছে তার লাশ বলে চালিয়ে দিলো।
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ বইয়ের নাম: " দ্যা ডিভোশন অব সাস্পেক্ট এক্স " লেখক:কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদ: সালমান হক প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী " Sometimes, all you had to do was exist in order to be someone's saviour. " কেইগো হিগাশিনোর যে কয়টি বই আমি পড়েছি ইংরেজি অনুবাদ অথবা বাংলা কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট তিনি এই জনরায় টিপিক্যাল গল্প বারবার বলেন না। তিনি এই জনরায় এমনভাবে লিখেন যেনো প্রতিটি বই, সেই একঘেয়ে তদন্ত নির্ভর থ্রিলার না হয় বরং প্রতিটি গল্পে ভিন্ন এক এপ্রোচ লক্ষ্য করা যায়। কখনো তা স্টোরিটেলিং এ,কখনো তা গল্পের অন্তর্গত মনস্তত্ত্বে অথবা টার্নিং পয়েন্ট বা টুই্যস্টে। তবে একটি বিষয় সবসময় একই থাকে আর তা হলো ক্যারেক্টর ডেভেলপমেন্ট। তার যেকোন বইয়ের মূল চরিত্র অথবা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো মনে রাখার মতো। তবে এই বইতে প্রতিটি চরিত্রই মনে রাখার মতো,তাছাড়াও বইয়ের গল্প, টুই্যস্ট অন্যান্য থ্রিলার বই থেকে অনন্য... লেখকের সৃষ্ট অপর একটি চরিত্র ডিটেকটিভ কাগা, যাকে মর্ডান ডে পোয়ারোও বলা হয়। তবে এই বইয়ে তিনি নেই কিন্তু আছেন গ্যালিলিও যার বুদ্ধিমত্তা, তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তে সাহায্য করে। ডিটেকটিভ কাগার কথা বললাম কেননা আমার মনে হয় আগাথা ক্রিস্টির প্রভাব তার লেখায় রয়েছে যা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয় না ঠিকই কিন্তু রয়েছে অবশ্যই। যেমন,ক্রিস্টির বইগুলোতে যেভাবে একইধরনের মার্ডার মিস্ট্রি থাকে না তাতে বিভিন্ন ভ্যারিয়েশন দেখা যায় তার লেখাতেও সেইম। আরো ভালোভাবে বললে স্টোরিটেলিং এর ভিন্নতা অথবা চমকপ্রদ টুই্যস্ট উল্লেখযোগ্য। যার কারণে তার বইগুলো আরো ভালো লাগে। আমার মতো অনেকেরই প্রথম জাপানিজ বই হয়তো এই সাস্পেক্ট এক্স। এরপর প্রায়ই জাপানিজ থ্রিলার অথবা অন্য জনরার জাপানিজ বই পড়া হয় কিন্তু এই বইটির মারাত্মক প্রভাব রয়েছে আমার উপর। বইটি নিয়ে আগেই লেখার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু কখনো লেখা হয় নি। তবে এই প্রতিযোগিতা আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। মার্ডার মিস্ট্রি জনরার এই জাপানিজ থ্রিলার শুধুই একটি থ্রিলার বই হয়েই থেকে যায় নি। এর সাথে রেখে যায় এক সুপ্ত অনুভূতির বুদ্ধিদীপ্ত প্রকাশ। বইটি নিয়ে আলোচনা করলে সবাই এর প্লট,চরিত্র,টুই্যস্ট এবং লেখকের গল্প বুননের ব্রিলিয়ান্সি নিয়ে কথা বলে কিন্তু সেই সুপ্ত বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কথা বলে না কেউ। প্লট,স্টোরিটেলিং এবং অন্যান্য এই বিষয়গুলো নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় যে.. " সাস্পেক্ট এক্স " একজন বুদ্ধিমান গণিত শিক্ষক এবং একজন ডিটেকটিভ এর মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য একদিকে যেমন মাইন্ড গেম চলে অন্যদিকে নিজেদের ভুলের জন্য সবসময় ভিতর থেকে আতঙ্কিত থাকে ছোট এক পরিবার। তাছাড়াও ভিন্নধর্মী এই গল্পের সাথে এর গল্প বলার ধরণও আলাদা। যেখানে মার্ডার মিস্ট্রি মানেই " হু ডান ইট " সেখানে এই বইটি " হাউ ডান ইট " এবং কিছুটা " ওয়াই ডান ইট " এর সংমিশ্রণ বলা যায়। " ওয়াই ডান ইট " এর উত্তর স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় তবে মূল চমক " হাউ ডান ইট " এর ব্যবচ্ছেদে বিদ্যমান। তাছাড়া এই স্টোরিটেলিং এর ক্ষেত্রে যেমন একটি বিষয় রিস্ক থেকে যায় যে, সবকিছু শুরুতে জানার পরও পাঠক সামনের দিকে পড়ে যাবে তো? কিন্তু তবুও লেখক দারুণভাবে গল্প এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ফলে বইয়ের শেষ পর্যায় গিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে পাঠক আরো মুগ্ধ হয়। তাছাড়াও গণিতের ব্যবহার, অতীতের বর্ণনা এবং প্লট ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে গল্পের সাথে পাঠককে যুক্ত করার বিষয়টিও ভালোভাবে করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলা অনুবাদের কথা অবশ্যই বলতে হবে কেননা বইটি অনূদিত না হলে আজ, আমরা পাঠকরা এই চমৎকার থ্রিলার বইটি এবং অন্যান্য জাপানিজ বইয়ের দ্বারস্থও হতে পারতাম না। এই বইয়ের পর থেকেই একে একে অনেক বইয়ের অনুবাদ আমাদের সামনে এসেছে, তাই অনুবাদক " সালমান হক " ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন আসা যাক সেই সুপ্ত বিষয়টি নিয়ে। " ওয়াই ডান ইট " এর উত্তর সবার জানা। ইশিগামির ইয়াসুকোর প্রতি " ডিভোশন " এর ফলেই সে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য অপর একটি সমস্যা তৈরি করে! এখানে ডিভোশন শব্দটাই ব্যবহার করলাম কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি মানুষ বাস্তবে ডিভোশনের জন্য এত দূর যাবে? তাও বিষয়টা সাধারণ হলে মানা যেতো কিন্তু বিষয়টা জটিল এবং বুদ্ধিদীপ্ত! এই বইয়ের ক্ষেত্রে অদ্ভুৎ এক বিষয় হচ্ছে এর নেগেটিভ দিকই এই বইয়ের সবচেয়ে পজিটিভ দিক। অদ্ভুৎ শুনাচ্ছে বিষয়টা কিন্তু আমি বিস্তারিত বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে তাই বই পড়া শেষ হলে নিজেই বিষয়টা বুঝতে পারবেন। তবে উপরের প্রশ্নটিই বইয়ের সবচেয়ে চমকপ্রদ এবং একমাত্র নেগেটিভ দিক.. অনেকের ক্ষেত্রে অন্যান্য নেগেটিভ দিক থাকতে পারে তবে আমার ক্ষেত্রে এই একটিমাত্র বিষয়ই নেগেটিভ মনে হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে একই সাথে পেজ টার্নার এবং উপভোগ্য এক বই " দ্য ডিভোশন অব সাস্পেক্ট এক্স " থ্রিলার অথবা অন্য যে জনরাই আপনি পড়েন না কেনো, সবার জন্যই মাস্ট রিড... বইটির অ্যাডাপ্টেশনগুলো নিয়ে বলতে হলে কোরিয়ান, জাপানিজ এবং সম্প্রতি হিন্দিতে এই বইয়ের উপর সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে প্রতিটি সিনেমাতেই বই থেকে কিছুটা চেঞ্জ করা হয়েছে কিন্তু মূল বিষয়বস্তু এবং অন্যান্য সব এক। অপরদিকে দৃশ্যাম ১,২ সিনেমার উপর যে অভিযোগ রয়েছে তা কিছুটা যুক্তিসঙ্গত। কারণ উভয়ে সেভাবে মিল নেই কিন্তু শুধুমাত্র একটি দিকে মিল রয়েছে, যার কারণে মনে হয় সিনেমাটি বই থেকে নেয়া। আর তা হলো অ্যালিবাই, বই এবং " দৃশ্যাম " উভয় ক্ষেত্রে সাস্পেক্ট এর ঘটনার অ্যালিবাই এর ব্যাপক মিল রয়েছে। আবার উভয় গল্পের টোন একই কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন..
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ বই: দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স জনরা : রহস্য, থ্রিলার লেখক: কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদস্বত্ব : বাতিঘর প্রকাশনী অনুবাদ : সালমান হক প্রথম প্রকাশকাল: জুন, ২০১৬ ⚠️ লেখক পরিচিতি : ➡️ জাপানিজ বেস্ট থ্রিলার লেখকের নাম যদি উঠে আসে তাহলে সেখানে প্রথম সারির লেখকের নামে "কিয়েগো হিগাশিনোর" নাম চলে আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না । প্রখ্যাত এই থ্রিলার লেখকের জন্ম জাপানের ওসাকা' তে হলেও বর্তমানে টোকিও শহরে বসবাস করেন। কেইগো হিগাশিনোর "দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স" বইটি তার লিখা গ্যালিলিও সিরিজের অন্যতম সেরা বই এবং এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে প্রশংসিত কাজ এই বইটি লিখার মাধ্যমে করে দেখিয়েছেন । এই উপন্যাসটি জাপানে ৬ষ্ঠ হনকাকু মিস্ট্রি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে, যা জাপানের রহস্য উপন্যাস বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। এছাড়াও অন্যান্য অনেক অর্জন আছে এই উপন্যাসের। কিয়েগো হিগাশিনো'র রহস্য থ্রিলার মিশ্রিত "দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স" বইটি থ্রিলার জগতে এই লেখককে এক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে তার অনবদ্য লিখনির মধ্য দিয়ে ।। তার লিখা বইটি শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ নয়, সারাবিশ্বে তার উপন্যাসটি পাঠ্য প্রিয় হয়েছে তেমনই বহুল প্রশংসনীয় ও হয়। ⚠️বইয়ের সারসংক্ষেপ: ➡️ ডিভোর্সি এক মেয়ে ইয়াসুকো সে তার এক মাত্র মেয়ে মিশাতো কে নিয়ে নিঃসঙ্গভাবেই দিন কাটাচ্ছিলো প্রানবন্ত ভাবে ।। একদিন হুট করেই দেখা হয়ে যায় ৫ বছর আগে ডিভোর্স হয়ে যাওয়া তার প্রাক্তন স্বামী টোগাশীর সাথে, যে কিনা মানুষ রুপী এক শয়তানের মত !! যার বিভিন্ন রকম, মানসিক ও শারিরীক অত্যাচার থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে, ঠিকানা,বাসা বদলে নিজেকে আলাদা করে দূরে চলে এসেছে। কিন্তু হঠাৎ প্রাক্তন স্বামী কি জন্য তাকে খোজে??এইটা তার বুঝে আসে না!! সে সে একটু চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে বুঝতে পারে নেশা করার জন্য তার স্বামীর চাই টাকা! সে টাকা দিবে বলেও সম্মতি জানায়। না হলে পিছু ছাড়বে না কখনো এইটা ইয়াসুকো ভালো করেই জানে !! কিন্তু কাহিনিচক্রে ঘটে গেলো এক ঘটনা, হঠাৎ করেই একদিন ইয়াসুকোর প্রাক্তন স্বামী খু*ন হয়ে যায়। মার্ডারের অদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশি ঝামেলায় পড়ে যায় ইয়াসুকো ও তার মেয়ে মিশাতো। কিন্তু এই দিকে সাহায্য কারী হিসেবে এগিয়ে আসে তার পাশের বাসার এক শিক্ষক যার নাম ইশিগামি। ➡️ ইশিগামি একটা হাইস্কুলের গনিত শিক্ষক! সাধারণ মানুষের মতই তার চলাফেরা, একা একা থাকেন। স্কুল কলেজ আর ভার্সিটি লাইফে গনিতের প্রতি ছিলো তার এক অদ্ভুত মোহমায়া! গনিতের প্রতি তার এতো টান যে, সহজেই জটিল অংক সমাধান করে ফেলে, বলতে গেলে এক প্রকার গনিতের জিনিয়াস! যার জন্যই তিনি এই পেশায় নিযুক্ত হন । কিন্তু একজন গনিত শিক্ষক এর কি স্বার্থ আছে প্রতিবেশীকে উদ্ধার এর জন্য এগিয়ে আসাটা? ➡️ অন্যদিকে উপর মহলের নির্দেশে দুই ডিটেকটিভ কুসাতানি ও কিশিতানি উঠে পড়ে লাগলো লাশ সনাক্ত করার কাজে। কিন্তু কোন কিছুর হোদিস খুজে পাচ্ছে না। যতই তদন্তের গভীরে যায়, ঘটনার খেই হারিয়ে ফেলে৷ গোলক ধাধায় পড়ে যায় দুই ডিটেক্টিভ। এ যেনো মনে হয় সাপে-বেজির খেলার মতন! খুনের ঘটনার কোন কিছু বুঝতে পারছে না বলে দুই ডিটেকটিভ শরনাপন্ন হয় ইউকাওয়া নামক এক প্রফেসরের যার আরেক নাম ডিটেকটিভ গ্যালেলিও । এইখানেই ঘটলো এক বিপর্যয় । অত্যন্ত বিচক্ষণ, চৌকশ ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ইউকাওয়া পেশায় একজন পদার্থবিদ হলেও তাকে সবাই চেনে ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও হিসেবে৷ । গ্যালেলিও খুবই বিচক্ষণতার, তীক্ষ্ণতার ও চিন্তাশীল একজন মানুষ!! তার কাজে কর্মে বুদ্ধিমত্তায় অবাক করার মত। রহস্যময় খুনের তদন্তে তিনি যদি না মিশে যেতেন তাহলে হয়তো কাহিনি টা অন্য সাধারণ গল্পের মতই সাদামাটা থেকে যেতো। গ্যালেলিও তদন্তে জড়িয়েই দেখা মিলে যায় ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে পড়া তার পুরনো সহপাঠীর সাথে এবং সহপাঠীর এই দেখাই যেনো আশার আলো দেখাতে শুরু করে ইউকাওয়াকে। এক পর্যায়ে খুনের সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে এবং সব বিবরণ শুনে প্রফেসর গ্যালেলিও নিখুত ভাবে ঘটনার সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে একা একা এমন কিছু তথ্য রহস্য উদঘাটন করে ফেলে যা তিনি সহজে কাউকে জানাতে চান না!! প্রফেসর গ্যালেলিও বুঝে গেছে পুরো ঘটনার পেছনে একজন ঠান্ডা মাথায় কাজ করার প্রতিভাবান, মাস্টারমাইন্ড কেউ আছে!! যার চিন্তাভাবনা কাজ কর্ম অনেক গভীর, সাধারণ কোন মানুষের মত না এবং দাবার গুটি কিভাবে চালতে হবে তার আগাম সব কিছু ভেবে রেখে দেয় । কিন্তু প্রফেসর গ্যালেলিও সে এমন কি রহস্যমুলক তথ্য খুজে পেয়েছে? সে কি আদৌ সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে? তা জানতে হলে বইয়ের পাতায় নজর দিতে হবে!! ⚠️ পাঠ প্রতিক্রিয়া: ➡️ এক কথায় যদি বলতে চাই তাই বলবো অসাধারণ এক রহস্য মার্ডার থ্রিলার বই এইটা নিঃসন্দেহে! কৌতুহলোদ্দীপক আর টেনশনে ভরপুর পুরো বইয়ে। বই পড়ার সময় পাঠকের মনে হবে এই তো সব শেষ। কিন্তু না কিছুক্ষন পরে পরে পাঠক কে অবাক করে দিয়ে কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে দেবে !! প্রতি পদে পদে টুইস্ট দিবে। লেখক কিয়েগো হিগাশিনো শেষ পর্যন্ত এক বিশেষ চমক রেখে দিয়েছে বইটিতে যা পাঠকের মনে নাড়া দিয়ে উঠবে। ➡️ তবে এই বইয়ের সব চেয়ে ভালো লেগেছে প্রফেসর গ্যালেলিও এর খুবই বিচক্ষনতার সাথে,চিন্তাভাবনা করে কাজ করার ব্যাপারটা! এতো সুক্ষ ভাবে সুস্থ মস্থিস্কে পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন, বলার উপেক্ষা রাখি না। পুরো বইটা পড়ে অন্তত কেউ নিরাশ হবে না। আর লেখক এর কথা কি বলবো লেখক শেষ পর্যন্ত যে কি রেখেছেন তা বইটা শেষ পর্যন্ত না পড়লে পাঠক/পাঠিকা বুঝবে না। ⚠️ অনুবাদক আর অন্যদিকে বইটার অনুবাদক "সালমান হক" ভাই এর কথা না বললেই নয়! তিনি "দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স" বইটার এক অনবদ্য, মসৃন ভাবে সাবলীল ভাষায় খুব চমৎকার ভাবে বইটা অনুবাদ করেছে। প্রত্যেকটা কথাই সাবলীল পরিপাটি ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। উনার অনুবাদের মানদন্ড খুবই চমৎকার। অনুবাদিত বই হিসেবে লিখার ভুলের মাত্রা খুবই কম। ভুল নাই বললেই চলে!!
Was this review helpful to you?
or
এত দুর্দান্ত যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না...সম্পূর্ণটা শেষ করার পরে কিছু সময় আপনার মাথা কিছু সময় ঘুরাবে।
Was this review helpful to you?
or
The Devotion of Suspect X is one of the best thriller books I have ever read. It is a well-written and suspenseful novel with complex characters and a plot full of twists and turns. The book also explores the themes of love, sacrifice, and redemption in a thoughtful and nuanced way.it is truly an excellent thriller, and i highly recommend it to anyone who enjoys the genre.
Was this review helpful to you?
or
best..nice
Was this review helpful to you?
or
"সমস্যাটি সমাধান করার চেয়ে এটি তৈরি করা আরও কঠিন। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা সমস্ত ব্যক্তিকে সর্বদা সমস্যার সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করতে হবে।" বইয়ের নাম: "দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স" লিখেছেন "কেইগো হিগাশিনো" এটি ছিল আমার প্রথম "কেইগো হিগাশিনো" এর বই এবং এটি যে কতটা ভালো তা দেখে আমি অবাক হয়েছি৷ এই বইটি সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি এটি পড়ব। রোকোমারি থেকে কিনেছি, কেনার সময় এর দাম ছিল 220 টাকা। প্রথমে পড়িনি, অন্য বই পড়তে ব্যস্ত ছিলাম। এমনকি কিছু পৃষ্ঠা পড়ার পরে প্রথমবার এটি সম্পর্কে ভুলে গেছি। তারপর অন্য বই শেষ হলে বই শুরু করে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেই। প্রথম দুটি অধ্যায় একটি মৌলিক একতরফা প্রেমের গল্প বলে মনে হয়েছিল কিন্তু যখন আমি চালিয়ে গেলাম, আমি হতবাক হয়ে গেলাম। একেবারে বইয়ের সাথে আঠার মত গেলে গেলাম। প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা কয়েক দিনের ব্যবধানে পড়েছি কিন্তু মূল গল্পটি শুরু করার পরে, দুই দিনের মধ্যেই বইটি শেষ করেছি। এটা এতটাই ভাল ছিল. এই বইতে সবকিছু আছে। এতে রোম্যান্স, সাসপেন্স, বন্ধুত্ব, ভক্তি, থ্রিলার এবং আরো অনেক উপাদান রয়েছে। প্লটটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আমি প্লট সম্পর্কে কিছু না জেনে এই বইটি পড়ার পরামর্শ দিবো। আমি তা করেছি, এবং আমি মনে করি যে অভিজ্ঞতাটি আরও ভাল করে তুলেছে। টুইস্ট খুব ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে কখন যে সময় কেটে গেল বলতেও পারিনি। আমি এই বইটি দেখে এতটাই মুগ্ধ যে আমি ইতিমধ্যে একই লেখকের লেখা অন্য দুটি বই অর্ডার করেছি। এখন অপেক্ষায় আছি কখন হতে পাবো। এবার আসা যাক বইয়ের কোয়ালিটি নিয়ে। প্রথমত বইটির কোয়ালিটি মোটামুটি ভালই ছিল। পাতাগুলো ক্রিম-সাদা ছিল। এটি ছিল "বাতিঘর" থেকে নেওয়া। অনুবাদ চমৎকার ছিল। আমি শুধুমাত্র একটি প্রিন্টিং ভুল দেখেছি। অনুবাদ স্বাভাবিক লেগেছে, এটি সহজ এবং আর্কষণীয় ছিল. অবশ্যই প্রত্যেকের কাছে এই বইটি সুপারিশ করব। 9.5/10, এমনকি 10 ও রেটিং দিতে পারি! ___English___ “It’s more difficult to create the problem than to solve it. All the person trying to solve the problem has to do is always respect the problem’s creator.” Book name: "The Devotion of Suspect X" written by "Keigo Higashino" This was my first "Keigo Higashino" book and I am amazed at how good this is. Heard a lot of things about this book so decided that I should read it. Purchased it from rokomari, and it was priced at 220 taka at the time of purchase. Didn't read it at first, was busy reading other books. Even forgot about it the first time after reading some pages. Then when other books were finished decided to start and finish the book. The first two chapters felt like a basic one-sided love story but when I continued, I was shocked. Totally glued to the book. Read the first few pages over the span of a few days but after hitting the main story, finished the book within two days. It was that good. This book has everything. It has elements of romance, suspense, friendship, devotion, thriller and whatnot. The plot is super intriguing. I will suggest reading this book without knowing anything about the plot. I did that, and I think that made the experience way better. Loved the twist. The book kept me turning pages. I couldn't even tell when the time passed. I'm so impressed by this book that I already ordered other two books from the same writer. Now Let's talk about the quality of the book. Firstly the book's quality was decent. The pages were cream-white. It was from "Batighor". The translation was superb. I think I only saw one printing mistake. The translation felt normal, it was simple and engaging. Will definitely recommend this book to everyone. 9.5/10, Might even rate it 10!
Was this review helpful to you?
or
এটা সত্যিই অসাধারণ থ্রিলার আর সাসপেন্স এ ভরপুর একটা বই।যতো বলি কম হয়ে যাবে আর ডেলিভারি সঠিক সময়ে পেয়েছি??
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ছিল।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বইয়ের অসাধারণ অনুবাদ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন,চিন্তা করার ক্ষমতাকে বাড়াবে বহূগুন
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
বই টা হাতে পেয়ে পড়া শুরু করলাম। অসাধারণ, হার কাপানো কাহিনীতে ভরপুর ?
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার গল্প
Was this review helpful to you?
or
অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে পালিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিস্তরঙ্গভাবেই কেটে যাচ্ছিল ইয়াসুকোর দিনগুলো। কিন্তু একদিন আবার দেখা দিলো সেই মানুষরূপী আতঙ্ক। নেশার জন্যে টাকা চাই তার। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলো ক্রমেই। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেলো সে। ত্রাণকর্তা হিসেবে এগিয়ে এলো পাশের বাসার নিরীহ এক গণিতের শিক্ষক। কিন্তু এর পেছনে কি স্বার্থ আছে লোকটার? এদিকে লাশ আবিষ্কারের পর উঠেপড়ে লাগলো এক ডিটেক্টিভ। ইয়াসুকোকে আপাত দৃষ্টিতে নির্দোষ মনে হলেও কোথাও যেন খুঁত আছে তার গল্পে। তদন্তের স্বার্থে সে সাহায্য চাইলো ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও নামে পরিচিত পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের কাছে। কিন্তু খুব দ্রুতই বুঝতে পারলো, ঠান্ডা মাথার এক প্রতিভাবান মানুষের মুখোমুখি হয়েছে তারা। প্রখ্যাত জাপানি থ্রিলার-লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর এই অনবদ্য থৃলারটি পাঠককে ভাবাতে বাধ্য করবে একদম শেষপৃষ্ঠা পর্যন্ত। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ "একটা সমস্যার সমাধান নিজে করা কঠিন নাকি সেই সমস্যাটার সমাধান সঠিক আছে কি না সেটা যাচাই করা কঠিন?".......বইটি পড়ার সময় এই প্রশ্নটি আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকবে। বইটি পড়ে প্রচুর অবাক হয়েছি। একেতো জাপানি থৃলার হিসেবে এই বইটা প্রথম পড়ছি তার উপর দুর্দান্ত প্লট। এক বড় ভাইয়ের অনুরোধে বইটা পড়া শুরু করি। প্রথম দিকে বইটি পড়ার সময় নিতান্ত সাদামাটা মনে হচ্ছিল। কিন্তু যতই পড়তে থাকলাম, আগ্রহ ততই বাড়তে লাগল। গণিত আর পদার্থে আমি বরাবরই দুর্বল তাই এগুলোকে এড়িয়েই চলতাম, তেমন গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু বইটা পড়ার পর বইতে উল্লেখিত গণিতবিদ আর পদার্থবিদের কৌশল, চিন্তাভাবনার ধারা দেখে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি। পাশাপাশি শ্রদ্ধাও বেড়েছে। বইটি মার্ডার মিস্ট্রি, থৃলার এবং সেই সাথে রোমান্টিক জনরার মধ্যেও পড়ে বলে মনে হয়েছে। অনেকটা সেবা রোমান্টিক সিরিজের বইগুলোর মত। তবে তার থেকে মান উচুদরের। বইটা পড়ার সময় বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাকে মনে হয়েছে অন্যভাবে সাজালে ভাল হতো। তবে এটা আমার অতিরিক্ত থৃলার, ডিটেকটিভ বই পড়ার ফল বুঝতে পেরেছি। এজন্য নিজের উপরেই বিরক্ত লাগছিল। অনুবাদের কথা বলতে গেলে বলতেই হচ্ছে অনুবাদের মান অনেক ভাল। সালমান হকের অনুবাদ এই প্রথম পড়ছি। ভবিষ্যতে তার অনুদিত থ্রি এম সিরিজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। আর বই হিসেবে এর কাহিনী অনেক গতিশীল। অতিরিক্ত কোন বর্ণনা পাইনি। বাতিঘরের অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এটায় বানান ভুল খুবই সামান্য পেয়েছি যার কারণে পড়ার সময় বিরক্তিবোধ হয়নি। কিছু বই আছে যেগুলো পড়ার শেষে পরিণতি দেখে মন বিষন্ন হয়ে যায়। এই বইটি সেই ক্যাটাগরিতে পড়ে। আর কিছু বলে লেখা দীর্ঘায়িত করছি না। আশা করছি যারা বইটি এখনও পড়েননি তারা অবশ্যই বইটি পড়ার চেষ্টা করবেন। বইটি পড়ে যদি আপনাদের ভাল লাগে তবে আমার এ লেখা স্বার্থক হয়েছে ধরে নেব।
Was this review helpful to you?
or
|| বুক রিভিউ || নাম :- দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স ধরন:-মার্ডার মিস্ট্রি মূল লেখক:-কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদ:-সালমান হক প্রকাশন:-বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল:-জুন ২০১৬ পৃষ্ঠা :-২৬৮ মূল্য:-২৬০/= কাহিনী সংক্ষেপ :- অত্যাচারি স্বামীর হাত থেকে পালিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিস্তরঙ্গভাবেই কেটে যাচ্ছিল ইয়াসুকোর দিনগুলো। কিন্তু একদিন অাবার দেখা দিলো সেই মানুষরূপী অাতঙ্ক। নেশার জন্যে টাকা চাই তার। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলো ক্রমেই। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেলো সে। ত্রাণকতর্তা হিসেবে এগিয়ে এলো পাশের ফ্ল্যাটের নিরীহ এক গণিতের শিক্ষক। কিন্তু এর পেছনে কি স্বার্থ আছে লোকটার? এদিকে লাশ অাবিষ্কারের পর উঠেপড়ে লাগলো ডিটেক্টিভ। ইয়াসুকোকে অাপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ মনে হলেও খুঁত আছে তার গল্পে। দৃশ্যপটে আবির্ভাব হলো ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও নামে পরিচিত পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের কাছে। কিন্তু খুব দ্রুতই বুঝতে পারলো ঠান্ডা মাথার এক প্রতিভাবান মানুষের মুখোমুখি হয়েছে তারা । অাপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে নিছক এক মার্ডার মিস্ট্রি। যাতে এক মধ্যাবয়স্কা মহিলার প্রেমে মজে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধারের প্রয়াসে এক স্কুলের গনিত শিক্ষকের সূক্ষ্ম রহস্যের জাল বোঁনা। মনে হতে পারে, "ইশ সবকিছু তো চোখের সামনেই সাজানো নিশ্চিত করেই বলা যায় ঘটনাটুুকু "। কিন্তু আপনার চিন্তাটাই ঘুরে যাবে যখন দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক যিনি ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও নামে পরিচিত। পর্যায়ক্রমে এমন সব সূক্ষ্ম, কৌতুহলোদ্দীপক প্রমাণ পাঠকের হাতে পড়বে মনে হবে পুরো রহস্যটাই আপনার জানা কিন্তু শেষটা মাথা ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট! এটা শুধু দুর্দান্ত একটা মার্ডার মিস্ট্রিই নয় অাসাধারন একটি ক্রিমিনাল কেস যা আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে অনেক কিছুই। অনুবাদের কথা বলতে গেলে মোটামোটি গড়পড়তা অনুবাদ। এখনো প্রচুর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে.... দু/এক জায়গায় একটু ছন্নছাড়া লেগেছি কিন্তু সবমিলিয়ে যথেষ্ট ভালো....... রেটিং ৪/৫। বাতিঘরের যেকোনো বইয়ের তুলনায় এটায় বানান ভুলের পরিমাণ অাশঙ্কাজনক। তাড়াহুড়োর প্রভাব যথেষ্ট দু/চারটা ছোট্ট প্রিন্টিং মিসটেক আর বেশকিছু বানান ভুল কিছুটা বিরক্তির কারন। সর্বোপরী, বাতিঘরের কাছে অনুরোধ রইল, "কিয়েগো হিগাশিনোর" অন্যান্য সেরা বইগুলোও অনুবাদ পাঠকদের পড়ার সুযোগ করে দেয়ার।
Was this review helpful to you?
or
প্রায় এক বছরেরও বেশী সময় ধরে উইশ লিস্টে থাকার পর পড়েই ফেললাম বইটা। শেষ করার পর প্রথমেই থট’টা ছিলো ‘ইশ, আগে কেনো পড়লাম না’! টিপিক্যাল সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে যে প্রসঙ্গ থাকে যেমন, হ্যালুশিনেশন, ইনসোমনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, স্কিজোফ্রেনিয়া এইসবের বাইরে ছিলো বইটা, অত্যান্ত স্ট্রং প্লটে লেখা। শেষের কয়েক পাতা পড়ার আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম শুধুই একটা মার্ডার-মিস্ট্রি থ্রিলার, শেষের দিকটা ছিলো একদমই আনপ্রেডিক্টেবল; শেষটা চলে আসে একদমই ধপ করেই, খারাপ লাগে নাই মোটেও। কোনান ডয়েলের হোমস বা আগাথা ক্রিস্টির এরকুল পোয়ারো টাইপের একটা কনক্লুশন পেয়ে যারপরনাই চমকিত হইছি, যদিও আমাকে জনরা ক্যাটাগরিলাইজড করতে দিলে ডিটেক্টিভ থ্রিলার বলেই চালিয়ে দিতাম। কখনও ভাবতেই পারিনাই জাপানি রাইটারের কোনো থ্রিলার পড়ে আগাথা ক্রিস্টি বা কোনান ডয়েলের ফিল পাবো! সালমান ভাইয়ের অনুবাদ নিয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না, অনুবাদ যতোটুকু প্রাঞ্জল হওয়া সম্ভব তারচেয়ে বিন্দু পরিমান কমতি মনে হয়নাই আমার কাছে।
Was this review helpful to you?
or
ঝোঁকের মাথায় একটা খুন করে ফেলেছেন? আত্মসমর্পণ করতে পারেন, অথবা চেপে যেতে পারেন! কোনটা করবেন? আপনি যাকে ভালোবাসেন, সে ভয়ংকর বিপদে পড়েছে? ভালোবাসার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কতটা মরিয়া হতে পারবেন আপনি? 'একটা সমস্যার সমাধান নিজে বের করা কঠিন, নাকি সেই সমস্যাটার ইতোমধ্যে করা সমাধানটা ঠিক আছে কিনা সেটা যাচাই করা বেশী কঠিন?' এই প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে 'দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স' উপন্যাসটি। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর, ইয়াসুকো তার মেয়েকে নিয়ে ভালোই ছিল। কিন্তু নেশায় মত্ত প্রাক্তন স্বামী টোগাশির উপদ্রব শুরু হলো নিস্তরঙ্গ জীবনে, টাকা চাই তার। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেল টোগাশি। পাশের ফ্ল্যাটের নিরীহ গণিতের শিক্ষক ইশিগামি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। গণিতের ফর্মূলার মতোই সাজানো ছকের সমাধান গোয়েন্দা পুলিশ কুশানাগির মগজে কুলোয় না, যদি না সাহায্য পায় 'ডিটেকটিভ গ্যালিলিও' খ্যাত পদার্থের অধ্যাপক মানাবু ইউকাওয়া'র। চললো বুদ্ধির খেলা। জাপানি থ্রিলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনো'র ডিটেকটিভ গ্যালিলিও সিরিজের তৃতীয় বই এই 'ব্রেইন নট মিস্ট্রি' উপন্যাসটি। গল্পটা সম্পর্কে যত কম বলা যায় তত-ই ভালো, কারণ এই অত্যন্ত প্যাঁচালো কাহিনীর গোলকধাঁধায় পাঠক একবার ঢুকে পড়লে নিজেই বের হওয়ার পথ খুঁজতে থাকবেন। শুরুতে গল্পটা ছিল সাধারণ এক খুনের ঘটনা; কে খুনী, কিভাবে খুন হয়েছে - সবই পাঠক জানেন। কিন্তু মাস্টারমাইন্ড ইশিগামির জাদুতে, সেটা অসাধারণ হয়ে উঠলো। ঘোল খাইয়ে ছাড়লো গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে, সেইসাথে পাঠকদেরও। এই দাবা খেলায় সব চরিত্র-ই সমানতালে ভূমিকা রেখে গেছে, কেউ জেনেশুনে, কেউ স্রেফ ঘুঁটি হয়ে। গোয়েন্দা সহকারী কিশিতানি, মি. কুগো, সায়াকো ও তার স্বামী, মিশাতো - প্রতিটি চরিত্র শক্তিশালী ও প্রয়োজনীয়। ইশিগামি আর ইউকাওয়ার চরিত্রগুলো আশ্চর্যরকম ভালো লাগার মতো। গল্পের শেষে এসে পাঠকের মনে দুজনের জন্যই একরকম খারাপ লাগা তৈরী হয়। দুই সমান মেধাবী পুরোনো বন্ধু, তারা ঠিক একে অন্যের প্রতিপক্ষও না, কিন্তু না চেয়েও সত্য আর মিথ্যার প্রশ্নে দুজনে মুখোমুখি হতে বাধ্য। বাতিঘর প্রকাশনীর বইটিতে এ দফায় ছাপার ভুল খুবই কম হলেও, বাঁধাইয়ের অবস্থা বেশ করুণ। ডিলানের করা প্রচ্ছদটির আগের মুদ্রনে সুন্দর ছিল, নতুনটা বিশেষ ভালো লাগলো না। জাপানি থ্রিলার পড়তে গিয়ে অনেক পাঠক পাত্র-পাত্রীদের ও স্থানের নাম মনে রাখতে সমস্যায় পড়েন। তবে গল্পে একবার ঢুকে গেলে এসব আর অসুবিধা হয় না বলেই আমি মনে করি৷ পাশাপাশি অনুবাদক সালমান হক উপন্যাসটির প্রতি পুরোপুরি সুবিচার করেছেন তার সাবলীল অনুবাদ দিয়ে। 'ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও'র আরো গল্প তিনি আমাদের জন্য অনুবাদ করবেন এই আশা থাকলো। বইঃ দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স লেখকঃ কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদকঃ সালমান হক প্রকাশনায়ঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রকাশকালঃ ২০১৬ পৃষ্ঠাঃ ২৬৭ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৬০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স লেখকঃ কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদকঃ সালমান হক ধরনঃ রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক,থ্রিলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী মূল্যঃ২৬০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ ১৮২ টাকা) বইটির উৎসর্গ পত্রঃ "সৈয়দ মোহাম্মদ রেজওয়ান ভাই এবং তাজিন আপুকে। নবদম্পতির জন্য শুভ কামনা থাকলো..." লেখক প্রসঙ্গঃ প্রখ্যাত জাপানি থৃলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনো ১৯৮৫ সালে নিপ্পন ডেনসো কর্পোরশনে কাজ করার সময় লিখে ফেলেন প্রথম উপন্যাস "আফটার স্কুল", পেয়ে যান থৃলার সাহিত্যের জন্য দেয়া সম্মানজনক 'এডোগাওয়া র্যাম্পো' অ্যাওয়ার্ডটি। এর পর পরই চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। পরবর্তী কালে আরো কিছু অ্যাওয়ার্ড পান তিনি, তবে 'ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স' তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। শুধু জাপানেই নয়, সারা বিশ্বে তার এই উপন্যাসটি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে এবং প্রশংসিতও হয়। রিভিউ নং- ০৮ঃ মার্ডার মিস্ট্রি বলতে আমরা কী বুঝি.? একটি মার্ডার হলো, কিভাবে হলো, তদন্ত হলো, খুনী বেড়িয়ে আসলো... এতটুকুই। এখন যদি এই বিষয়টাই আরো বিশ-ধাপ উপরে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে বিষয়টা কেমন হবে.? একটু কল্পনা করুনতো... দুর্দান্ত এই বইটাতে ঠিক এটাই দেখানো-বোঝানো হয়েছে। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কত ধরণের রোমান্টিক,একশান বই যে আছে তার কোনো হিসেব নেই। কিন্তু এই বইটা সবথেকে ব্যতিক্রম। মজার বিষয় হলো এই, এই বইটা যে ভালোবাসা কেন্দ্রিক পুরো বইটা শেষ করার পরেও তা একবারো মনে হবে না। শুধু অবচেতন মনে থেকে যাবে ভালোবাসা কথাটা। ভালোবাসায় কী না হয়... ক্রাইম-সিনটা টোকিওর পুরনো এডোগাওয়া নদীর পাশেই, পানি শোধনগার থেকে খুব একটা দূরে নয়। নদীর ওপাশেই চিবা ওয়ার্ফ। লাশটা ওদিকে ফেললে কি হত.? কুসানাগি কোটের কলারটা উঠিয়ে দিলো ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য। লাশটা পাওয়া গেছে নদীর পাশের ঢালু জায়গাটাতে। একটা নীল রঙের প্লাস্টিকের শিটে মোড়ানো। সাধারণত ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার করা হয় এমন শিট। একজন বুড়োমত লোক আবিষ্কার করেছে ওটা। সকালে জগিং করতে বেরিয়ে নদীর পাশে নীল শিটে মোড়ানো লাশটা দেখতে পান তিনি। "যে লাশটা আবিষ্কার করেছে তার বয়স কত হবে.? পঁচাত্তর.? এই শীতের দিনেও জগিং করতে বের হয়েছিলেন তিনি! লাশটা দেখার পরে বেচারার কি অবস্থা হয়েছিলো কে জানে।" জুনিয়র ডিটেক্টিভ কিশিতানি সবার আগে ক্রাইম-সিনে এসেছেন। সে-ই সবকিছু খুলে বলছে কুসানাগিকে। এখনও ভুরু কুঁচকে আছে সে। ওই বুড়োমত লোকটা... পাশের ফ্ল্যাটের ভদ্রলোকটি একজন হাইস্কুল টিচার। পেটানো শরীর, চোখগুলো গোলগোল, মুখের তুলনার চেয়ে একটু বেশিই ছোট। চুল খানিকটা পাতলা হয়ে এসেছে। পোশাক আশাক নিয়েও অতটা সচেতন মনে হয়না। ইয়াসুকোর ধারণা ভদ্রলোক চিরকুমার। সে মনে মনে বের করার চেষ্টা করলো ভদ্রলোকটি আসলেও তাকে কোনদিন আকার ইঙ্গিতে কিছু বুঝানোর চেষ্টা করছে কিনা। কিন্তু সেরকম কিছু মনে পড়লো না... ইয়াসুকো আর ওর একমাত্র মেয়ে এই দুজনের ছোট সংসার। অত্যাচারী স্বামীর কাছ থেকে পালিয়ে এসে এই ফ্ল্যাটে এসে থাকছে ইয়াসুকো। চাইলেই তো আর সব হয়না... অত্যাচারী স্বামীটি ইয়াসুকো যেখানেই ঠিকানা বদল করে সেখানেই হাজির হয়, টাকার জন্য। এবারও হাজির হয়েছে কিন্তু এবারের ঘটনা অন্য... "ছবির লোকটিকে চিনেন আপনি.?" - না। "ওনার নাম কুডো। একটা প্রিন্টিং কোম্পানি চালান তিনি।" - কুডো.? হ্যা! এই বলে কুসানাগি বানান করে নামটা শুনালো তাকে। সে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকলো। পুলিশ এর পেছনে লেগেছে কেন.? নিশ্চই ইয়াসুকোর সাথে কোনো সম্পর্ক আছে তার। পুলিশ বোধহয় কোনো যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে তাদের মাঝে। খুনটা তাহলে... ইয়াসুকোর স্বামী নিখোঁজ আজ কয়েকদিন যাবত। একটা লাশ পাওয়া গেছে নদীর পারে। কাপড়চোপড় দেখে ধারণা করা হয়েছে ইনিই ইয়াসুকোর স্বামী টোগাশি। কিন্তু ভিক্টিম... আবারো একটি মৃত্যু... আরও কোনো মৃত্যু হবে কী.? হিমশিম খাচ্ছে গোয়েন্দারা। তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দারা সাহায্য চাইলো পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের কাছে। খুব দ্রুতই তারা বুঝতে পারলো, ঠান্ডা মাথার এক প্রতিভাবান মানুষের মুখোমুখি হয়েছে তারা। চমৎকার এই বইটির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত থ্রিলার রহস্য। অসাধারণ এই গল্পের প্লটটি একেবারেই ইনোভেটিব, অভাবনীয় ভাবনায় বর্ণিত! প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার পর পাঠকের চিন্তা-চেতনা একদপম নতুন দিকে মোড় নেবে। পাঠককে নতুন করে ভাবতে শেখাবে এই বইটি! ভালোবাসার জন্য কতটুকু ত্যাগ করতে পারবেন আপনি.? পড়ে দেখুনতো এই বইয়ে বর্ণিত ত্যাগের চেয়েও বেশি পারবেন কিনা! এই বইটি আপনার বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে। বারবার নতুন নতুন বিষয়ে ভাবাতে বাধ্য করবে। সংগ্রহে রাখার মত একটা বই.... আর অনুবাদ সম্পর্কে বলতে গেলে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে সালমান হকের অনুবাদের একনিষ্ঠ ভক্ত। উনার অনুবাদ আমার কাছে সবচেয়ে সেরা মনে হয়। তাই আলাদা করে আর অনুবাদ নিয়ে কথা বললাম না। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫ হেপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স লেখকঃ কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদঃ সালমান হক ধরনঃঅনুবাদ:রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক,থ্রিলার প্রকাশনীঃবাতিঘর প্রকাশনী মূল্যঃ২৬০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ ১৮২ টাকা) . #প্রধান_চরিত্রঃইয়াসুকো_ইশিগামি_ ইয়াউকাওয়া_কিসুনাগি_মিশাতো এদের নিয়েই মূলত রহস্যের শুরু এবং শেষ। . #কাহিনী_সংক্ষেপঃ ইয়াসুকো হানাওকা একজন ডিভোর্সি মহিলা। মেয়ে মিশাতোকে নিয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। অত্যাচারি স্বামীর হাত থেকে পালিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিস্তরঙ্গভাবেই কেটে যাচ্ছিলো ইয়াসুকোর দিনগুলো।বেন্টেন টেই নামের এক লাঞ্চ শপে কাজ করে কোনোমতে দিনাতিপাত চলে যাচ্ছিল তার। অতীতকে মুছে ফেলে এক নিভৃত অঞ্চলে নির্ভেজাল জীবন যাপন করে যাচ্ছিল ইয়াসুকো। নেশাখোর স্বামীর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে একমাত্র মেয়ে মিশাতোকে নিয়ে ভালোই কাটছিল দিনগুলো। হঠাত একদিন দেখা দিলো সেই অত্যাচারী স্বামী, নেশার জন্যে টাকা চাই তার। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেলো সে। দিশেহারা ইয়াসুকো খুন করার কর কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলনা কি করবে।তখন তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন ইয়াসুকোর প্রতিবেশী গণিতের শিক্ষক ইশিগামী। কিন্তু এর পেছনে কি স্বার্থ আছে লোকটার? . লাশ আবিষ্কারের পর খুনিকে খোজে বের করতে উঠেপড়ে লাগলো ডিটেক্টিভ কিসুনাগি। ইয়াসুকোকে আপাত দৃষ্টিতে নির্দোষ মনে হলেও কোথাও যেন খুঁত আছে তার গল্পে।কিন্ত কোনো ভাবেই তা তারা বের করতে পারেন না। অসম্ভব মেধাবী গণিতের শিক্ষক ইশিগামি , গণিতের সূত্রের মত করে তিনি সবকিছু পুলিশের চোখের আড়াল করতে শুরু করেন। পুলিশকে বারবার হেনস্থা করে যান তার অতিসক্রিয় মগজ দিয়ে। তখন কিসুনাগি সাহায্যের জন্য আরেক প্রতিভাবান ব্যক্তি যে কিনা ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও (ইয়াউকাওয়া) নামে পরিচিত পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের কাছে। এদিকে ইয়াউকাওয়া আর ইশিগামি একই ভার্সিটির ছাত্র।কিসুনাগি কে কিছু সাহায্য করতে পারেন কিনা আর অনেকদিন পর পুরানো বন্ধুর খোজ পেয়ে ইশিগামির সাথে দেখা করতে যান ইয়াউকাওয়া। এরপর ঘটনা মোর নেয় আরেকদিকে। বেরিয়ে আসে অজানা আরেক রহস্য।কিসুনাগি আর ইয়াউকাওয়া কি পারবে খুনিকে ধরতে? নাকি অন্য কোনো রহস্যে জড়িয়ে হারিয়ে যাবে আসল খুনি?? . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ কিয়েগো হিগাশিনোর সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত বই দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স এ। বইটাতে ভিক্টিম, অপরাধী মোটামুটি জানাই থাকে, শুধু ছেঁড়া সুতোগুলো জোড়া লাগিয়ে অপরাধীকে ধরার প্রচেষ্টা করা হয়। এ বইয়ে মার মার কাট কাট অ্যাকশন নেই, নেই গা শিউরে উঠার মতো বিকৃত রুচির সিরিয়াল কিলার, ঘন ঘন পট পরিবর্তনের সমারোহও নেই। তবুও কিছু একটা আছে এ বইয়ে। সেই কিছু একটার টানে বইয়ের প্রথম থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাতা উল্টাতে বাধ্য হবেন আপনি। গল্পের পরিণতিও আপনাকে ভাবনার খোরাক যোগাবে যথেষ্টই।বই পড়ার ইশিগামি চরিত্রটার প্রতি মায়া পড়ে যায়।অসাধারণ একটি চরিত্র। সব মিলিয়ে বইটা অসম্ভব ভালো লেগেছে। পড়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে। হ্যাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
৪/৫ ⭐ বাইরের দেশের লেখকদের চমক এটাই তারা কাহিনী শুরু করেই এমন কিছু দিয়ে যেটা আমাদের দেশের বেশির ভাগ লেখকের শেষ টুইস্ট হয়। গল্পটা শুরু হয় এমন একটা ঘটনা দিয়ে যে পড়তে পড়তে আপনি ভাববেন মূল কাহিনীই তো জেনে গেলাম পরে সব পানি পানি লাগতে পারে। তবে একটু এগোলেই বুঝতে পারবেন কি সুন্দর ধারাবাহিকতার সহিত গল্পটা সাজানো হয়েছে। আপনি ধরতেই পারবেন না শেষটা কেমন হতে যাচ্ছে। অনুবাদের কথা বলতে গেলে সালমান হকের অনুবাদ ভাই.. বরাবরের মতো এবারও খুবই সাবলীল সহজবোধ্য ভাবে অনুবাদ করেছেন তিনি। অনুবাদ ভালো হলে বেশ দ্রুতই পড়ে ফেলা যায় যেকোনো বই। সালমান হক আমার পছন্দের লেখকগুলোর মধ্যে একজন ?
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই। প্রথমেই খুনি কে সেটা জানার পরেও বই শেষ না করে উঠতে পারবেন না। পুরো বই এ টানটান থ্রিল। আর শেষে রয়েছে সবচেয়ে বড় টুইস্ট। শুরুতে যা ভাববেন, শেষ টা মোটেও সেভাবে হবে না! আবার শেষটায় একটু কষ্টও হবে সেই প্রচন্ড মেধাবী গণিত শিক্ষকটার জন্য। সব মিলিয়ে সালমান হকের অনুবাদে কিয়েগো হিগাশিনোর লিখা এই বইটি পড়লে চমৎকৃত হতে আপনি বাধ্য❤️
Was this review helpful to you?
or
রহস্য বা গোয়েন্দা উপন্যাসের পাশাপাশি বইটি রোমান্টিক উপন্যাসগুলোকেও হার মানিয়ে দিবে।
Was this review helpful to you?
or
"পৃথিবীতে কোন মানুষই ফেলনা নয়। একটা ঘড়ির জন্যে যেমন সবগুলো কাঁটা প্রয়োজন তেমনি এই পৃথিবীতেও সব মানুষেরই সমান গুরুত্ব আছে।" ভালোবাসা। মানবিক এক অনুভূতির অপর নাম কিংবা আবেগে পূর্ণ এক অভিজ্ঞতার নাম। বিশেষ কারোর জন্যে স্নেহ আর মায়ার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা সংজ্ঞা যেমন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন রকম ঠিক তেমনি ভালোবাসার রকমও ভিন্ন ভিন্ন। কারো ভালোবাসা কামনাবাসনায়, কারো মানবিক অনুভূতি ভাগ করে নেয়ায়, কারো আবার নিষ্কাম ভালোবাসা, অথবা ধর্মীয় ভালোবাসা। ভালোবাসার তত্ত্বগুলোর মধ্যে সেরা বলা যায়, প্লেটোনিক প্রেম কে। প্লেটোনিক শব্দটির "প্লেটোনিজম" মতবাদ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যাতে বলা হয়, প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করবে কিন্তু সেখানে কামনা-বাসনা কিংবা শারীরিক প্রবৃত্তির কোন স্থান নেই। সহজভাষায়, এটি হচ্ছে সেই শুদ্ধতম ভালোবাসা যেখানে কেবল মনের মিলন হয়, শরীরের নয়। এ ভালোবাসা কামগন্ধহীন, নিজেকে বিলিয়ে দিয়েই সর্বসুখ অর্জিত হয় এখানে, বিনিময়ে নেয়া হয় না কিছুই। এ ভালোবাসায় কাউকে পাওয়ার জন্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর দুঃসহ যন্ত্রণাসমূহও সহ্য করা যায় মুখ বুজে। তার মানে এই না যে, যার জন্যে এত ত্যাগ তাকে নিজের করে পাবেই পাবে। হয়তোবা কখনো কখনো ব্যর্থ প্রেমিকের তকমাও কপালে জোটে। প্রেমের জন্যে স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে নিজের জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়- প্রেমের এমন ভয়ঙ্কর রূপের নামই বোধহয় প্লেটোনিক প্রেম। "যুক্তি আর প্রমানের তো দরকার আছেই, কিন্তু একজন গোয়েন্দার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো তার কল্পনাশক্তি।" ইংরেজি ডিভোশন শব্দটির বাংলা অর্থ ভক্তি, নিষ্ঠা, উপাসনা, আরাধনা, পূজা বা ভালোবাসা। কিয়েগো হিগাশিনোর দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স বইটার কথাই বলছি। ভালোবাসার মানুষটার জন্য আপনি কি কি করতে পারবেন? কতটা দূরত্ব অতিক্রম করলে পরে তার অজান্তেই তাকে পূর্ণতা দেয়ার সুখ অনুভব করবেন? স্বেচ্ছায় কারো জন্য খুনের আসামী হতে পারবেন? দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স এমনই একটা ব্রেইন-নট মিষ্ট্রি যা আপনাকে বইটার শেষ লাইন অবধি চুম্বকের ন্যায় আটকে রাখবে। বাতিঘর থেকে প্রকাশিত বইটার বাইন্ডিং, পেইজ ভালোই আর বরাবরের ন্যায় প্রচ্ছদে ডিলান সাহেবের সাফল্যতা। "কারো সমাধান ভুল প্রমান করার চেয়ে সেটা নিজে সমাধান করা বেশ কঠিন।" কাহিনীপ্রসঙ্গঃ ইয়াসুকো হানাওকা। একটা লাঞ্চশপে জব করে। একটাই মেয়ে মিশাতো। স্বামীর সাথে পাঁচ বছর আগে ডিভোর্স হয়ে গেছে তাই কোন ঝুট ঝামেলাও নেই। শিনজি টোগাশি। ইয়াসুকোর প্রাক্তন স্বামী যে সারাদিন মদ্যপ অবস্থায় থাকে আর টাকা না পেলে ইয়াসুকোর জীবনটাকে নরক বানানোর জন্যে উঠে পড়ে লাগে। নতুন শহরের এই লাঞ্চশপের চাকরীটা বেশ ভালোই ছিল ইয়াসুকোর জন্যে। কিন্তু একদিন ইয়াসুকোর প্রাক্তন স্বামীকে লাঞ্চশপে দেখে ইয়াসুকোর পিলে চমকে যায়। সন্ধ্যায় কাজের শেষে এক রেস্টুরেন্ট এ দেখা করে ইয়াসুকো তার প্রাক্তন স্বামীর সাথে। কিন্তু লোকটা নাছোড়বান্দা। ইয়াসুকো তাকে একা ফেলে রেখে বাসায় চলে আসলেও লোকটা ঠিকই পিছু নিয়ে ওর বাসায় এসে হাজির হয়। এর মধ্যে মিশাতোর স্কুল ছুটি হলে ও বাসায় এসেই আতংকিত হয়ে যায় লোকটাকে দেখে। এক পর্যায়ে মিশাতোকে নিয়ে কটুক্তি করায় ইয়াসুকো খুব রেগে যায় আর টোগাশিকে ঠেলে বাসার বাইরে বের করে দিতে চায় এমন মুহুর্তে মিশাতো পেছন থেকে এসে ভারী কিছু দিয়ে বাড়ি দেয় টোগাশির মাথায়। টোগাশি পড়ে গেলে মা-মেয়ে একসাথে মিলে খুন করে নিজেদেরকে তার অত্যাচার থেকে মুক্তি দেয়। ইশিগামি। গণিতের শিক্ষক এবং জুডো স্কুলের পরিদর্শক। ইয়াসুকোর প্রতিবেশী। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় একটা স্পেশাল লাঞ্চবক্স কিনে সেখান থেকে যেখানে ইয়াসুকো কাজ করে। ইয়াসুকোর সহকর্মী এবং বন্ধুসুলভ মালিক আর মালিকের বউ বলে ইশিগামি শুধুমাত্র ইয়াসুকোকে দেখতেই এই দোকানটাতে আসে। কিন্তু ইয়াসুকোর তা বিশ্বাস হয় না। খুনের দিন বুদ্ধি খাটিয়ে খুনটাকে ধরে ফেলে ইশিগামি। স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে নিজেকে খুনটার সাথে জড়িয়ে ফেলে। আর ইয়াসুকো এবং মিশাতোকে বলে দেয় কি কি করা লাগবে আর পুলিশ জিজ্ঞেস করলে কি কি বলা লাগবে? ডিক্টেটিভ কুসানাগিকে এই কেসটার দায়িত্ব দেয়া হয়। কুসানাগি আর তার সহকারী একেবারে শুরু থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সবগুলো অ্যালিবাই তদন্ত করে দেখে। সবকিছু একদম খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে। কুসানাগির খটকা লাগে বিষয়টা। একটা কিছু তো নড়বড়ে হওয়ার কথা। কিন্তু তারা যা যা বলছে তার সবকিছুই যদি ঠিক হয় তাহলে খুন করার আর লাশের ব্যবস্থা করার এত সময় কোথায় পেল মা-মেয়ে? ডিটেক্টিভ কুসানাগির ইয়াসুকোকে সন্দেহ হয়। কুসানাগি নিজেকে সতেজ রাখতে পদার্থবিদ বন্ধু ইউকাওয়ার কাছে যায় যিনি ডিটেক্টিভ গ্যালিলিও নামেই বেশী পরিচিত। কথায় কথায় ইশিগামির কথা বললে ইউকাওয়া বিশ বছর আগের বন্ধুকে ফিরে পায়। ঠিকানা নিয়ে ইউকাওয়া চলে যায় বন্ধুর কাছে। কিন্তু বন্ধুর কয়েকটা কথাবার্তা আর আচার ব্যবহারে খটকা লাগে ইউকাওয়ার। এই ব্যাপারে ইশিগামির সাথে কথা বলতে চায় ইউকাওয়া। কিন্তু ইশিগামি নিজেকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ইউকাওয়া আর কুসানাগির দুজনেরই সন্দেহ হয়, কোথাও বিশাল একটা ঘাপলা আছে। জিদের বশে আচমকা খুন করে সাময়িক শান্তি হলেও আসলেই কি ইয়াসুকো আর মিশাতো শান্তিতে ছিল বাকিটা জীবন? ইশিগামিই বা কেন স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে নিজেকে খুনের সাথে জড়িয়ে নেয়? অ্যালিবাইগুলো এত নিখুঁত হলো কিভাবে? আর ইউকাওয়া এমন কি জানতে পেড়েছিল যার জন্যে নিজের বন্ধুকেই সন্দেহ হয় তার? আর কুসানাগি কেন সাধারণভাবে মেনে নিতে পারছিলো না? এইসব কিছু উত্তর পাবেন কিয়েগো হিগাশিনো রচিত সালমান হক অনুদিত ২৬৮ পৃষ্ঠার বই দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স। লেখকপ্রসঙ্গঃ জাপানি থৃলার সাহিত্যের প্রখ্যাতদের মধ্যে কিয়েগো হিগাশিনো অন্যতম সেরা একজন। ওসাকাতে জন্ম আর বেড়ে উঠা এবং পড়াশুনা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। চাকরীতে যোগদান করেই প্রথম উপন্যাস লিখে ফেলেন শখের বসে। এবং পেয়ে যান থৃলার-সাহিত্যের জন্যে দেয়া সম্মানজনক পুরষ্কার 'এডোগাওয়া র্যাম্পো' অ্যাওয়ার্ড। এরপর চাকরী ছেড়ে পুরোদস্তুর লেখক হয়ে যান। দ্য ডিভোশন অভ সাসপেক্ট এক্স তাকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। অনুবাদপ্রসঙ্গঃ সালমান হকের অনুবাদ আগে না পড়া হলেও তার অনুবাদের পাঠকপ্রিয়তা আছে এটা জানা ছিল। এবার পড়লাম বেশ ভালোই লেগেছে। কিছু শব্দগত ভুল/প্রিন্টিং মিসটেক বাদে অনুবাদে কোথাও তেমন খটরমটর লাগে নি। থৃলার অনুবাদ বই পড়ার ক্ষেত্রে একটা স্বাভাবিক এবং ধারাবাহিক ধারায় পড়তে হয় কিন্তু অনুবাদ খটরমটর লাগলে তখন ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা বেশ দুর্বোধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। এই বইটার অনুবাদ এমন যে আপনি চাইলে স্বাভাবিক এবং ধারাবাহিক ধারা বজায় রেখেই এক নিমিষে পড়তে পারবেন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই। অনুবাদকের জন্যে শুভকামনা। "গতানুগতিক সব নিয়ম-কানুনকে প্রশ্ন করার মতো কেউ না থাকলে নতুন নতুন পথ আবিষ্কার হবে কীভাবে?" থ্রিলার বলতেই এক কথায় "হু ডান ইট"। ক্লু খুঁজে খুঁজে খুনীকে ধরতে পারলেই বেরিয়ে আসবে এর পেছনের ইতিহাস। কিন্তু, এদিক থেকে জাপানিরা একেবারেই ভিন্ন। জাপানিজ থ্রিলার বইয়ের শুরুতেই আপনি জেনে যাবেন "হু ডান ইট"। যেহেতু খুনীকে পেয়েই গেছেন শুরুতে তাই শেষ অবধি বইটা "হাউ ডান ইট" এই ধারায় যাবে। শুধুমাত্র খুনীর সাইকোলজি না খুনীর সাহায্যকারী, ডিটেক্টিভসহ প্রতিটা চরিত্রের সাইকোলজি বিশ্লেষণ করা হয় তাতে চরিত্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার দিকগুলো ফুটে উঠে। হোক সে ভালো কিংবা মন্দ সবার মধ্যেই একটা অন্ধকার দিক থাকে। জাপানিজরা মূলত সেদিকটাকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। এই বইটাও এর ব্যতিক্রম কিছু না। তবে হ্যা বইটাতে স্পষ্টভাবে একতরফা প্রেম/ভালোবাসা কত ভয়ানক হতে পারে সেটা দেখানো হয়েছে? মানুষের মনের অন্ধকার গহীনে কত জঘন্য অমানুষ বাস করতে পারে তা দেখিয়েছে! যুগে যুগে ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে মানুষ অনেক কিছুই করেছে সেসবের মধ্যে রূপকথা যেমন আছে তেমনি বাস্তব ঘটনাও আছে। কিন্তু, কিয়েগো হিগাশিনোর এই মার্ডার মিস্ট্রির অন্তরালে লুকানো রোমান্টিসিজম সত্যিই আপনাকে স্তব্ধ করে দিবে। এক নিমেষে পড়ে ফেলুন আশাহত হবেন না কথা দিচ্ছি। বাদ বাকি কিছু ভালো লাগা উক্তিঃ "চেষ্টা করেও সম্পর্কের বাঁধনগুলো সহজে কেটে ফেলা যায় না।" "কখনো আগে থেকে কিছু ধরে নেবে না। তাহলে চিন্তা করার ক্ষেত্রটা ছোট হয়ে আসে।" "বিপদ থেকে বাঁচতে যৌক্তিকভাবে গল্প সাজাতে হয়। আর যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে যে কোন সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।" "ঘড়ির মতো এই পৃথিবীরও চলার জন্যে ঐ কাঁটাগুলোর দরকার আছে। আর কাঁটাগুলো হচ্ছি আমরা। একটা ঘড়িতে কোন কাঁটাই যেমন অপ্রয়োজনীয় নয়, তেমনি এই পৃথিবীতে কোন মানুষই ফেলনা নয়।" "যখন একজন আনাড়ি কোন সত্যকে লুকানোর চেষ্টা করে তখন খুবই জটিল একটা ছদ্মবেশ তৈরী করে সে। আর এতেই কাল হয় তার। একজন দক্ষ লোক কিন্তু সেটা করে না, খুবই সাধারন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে সে।"
Was this review helpful to you?
or
বইঃ দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স লেখকঃ কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদকঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশকালঃ জুন ২০১৬ প্রচ্ছদঃ ডিলান পৃষ্ঠাঃ ২৬৮ মূল্যঃ দুইশত ষাট টাকা মাত্র প্রিভিউঃ অত্যাচারি স্বামীর হাত থেকে পালিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিস্তরঙ্গভাবেই কেটে যাচ্ছিলো ইয়াসুকোর দিনগুলো। কিন্তু একদিন আবার দেখা দিলো সেই মানুষরূপী আতঙ্ক। নেশার জন্যে টাকা চাই তার। পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলো ক্রমেই। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেলো সে। ত্রানকর্তা হিসেবে এগিয়ে এলো পাশের বাসার নিরীহ এক গণিতের শিক্ষক। কিন্তু এর পেছনে কি স্বার্থ আছে লোকটার? এদিকে লাশ আবিষ্কারের জন্যে উঠেপড়ে লাগলো এক ডিটেক্টিভ। ইয়াসুকোকে আপাতদৃষ্টিতে নির্দোষ মনে হলেও কোথাও যেন খুঁত আছে তার গল্পে। তদন্তের স্বার্থে সে সাহায্য চাইলো ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও নামে পরিচিত পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের কাছে। কিন্তু খুব দ্রুতই বুঝতে পারলো, ঠান্ডা মাথার এক প্রতিভাবান মানুষের মুখোমুখি হয়েছে তারা। প্রখ্যাত জাপানি থৃলার-লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর এই অনবদ্য থৃলারটি পাঠককে ভাবাতে বাধ্য করবে একদম শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। ----------------------------------------------------------------------------- নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিঃ বইটা পড়ে প্রথমেই যেটা মনে হয়েছিলো, “দৃশ্যম” সিনেমার সাথে এই বইয়ের কনসেপ্টের মিল আছে। খুব সামান্য মিল, তবে মিলটা গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের কাহিনীতে অনাকাঙ্খিতভাবে একটা খুন হয়, সেই খুনের সকল তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে দৃশ্যপটে আসেন অসম্ভব মেধাবী এক গণিতের শিক্ষক, গণিতের সূত্রের মত করে তিনি সবকিছু পুলিশের চোখের আড়াল করতে শুরু করেন। পুলিশকে বারবার হেনস্থা করে যান তার অতিসক্রিয় মগজ দিয়ে। দৃশ্যমেও এরকম এক খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা দেখেছিলাম। সেটাও আগাগোড়া বুদ্ধির লড়াই ছিলো। তবে, এ বইতে আরেকটা দিক আছেন, আরেকটা চরিত্র আছেন যিনি ঐ গণিতের শিক্ষকের এককালের বন্ধু, একইরকম মেধাবী। তিনি আবার নেমে পড়েন এই খুনের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে, বন্ধুর বিরুদ্ধে। মানে, যেমন কুকুর, তেমন মুগুর...টাইপের একটা ব্যাপার হয়ে যায় এখানে। দুই অসম্ভব মেধাবী শিক্ষক, এককালের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু... হয়ে যান একে অপরের প্রতিপক্ষ। লড়াই জমে যায়... অসাধারণ! কনসেপ্ট নিয়ে শুধু এটুকুই বলার। আর শেষটা শুধু যে অন্যরকম তা না, থ্রিলার কাহিনীতে এরকম ফিনিশিং আর দেখিনি। যথেষ্ট মানবিক একটা পরিণতি ছিলো কাহিনীর,যেটা বেশ লেগেছে। আগে জানতাম ,জাপানীরা শুধু ছোট ছোট বাড়ি, গাড়ি আর ক্যামেরা বানায়, তারা যে এত সুন্দর, এত নিখুঁত থৃলার লিখতে পারে, কে জানতো! ধন্যবাদ কিয়েগো হিগাশিনোকে। আরেকটা ধন্যবাদ অবশ্যই অনুবাদকের প্রাপ্য। যথেষ্ট সাবলীল অনুবাদ, টানটান অনুবাদ বুঝতেই দেয়নি, আমি অনুবাদ পড়ছি, মূল বই না। সবচেয়ে বড় কথা, এই জাপানি লেখকের বইটা যে তিনি অনুবাদ করার জন্যে বেছে নিয়েছেন, এটা যথেষ্ট প্রশংসনীয় একটা বিষয়। আশা করবো, তিনি এরকম অপ্রত্যাশিত চমক আমাদের নিয়মিতভাবে উপহার দেবেন। বাতিঘরের এ বইতে অনেক খুঁজেও ভুল পেলাম না, হাততালি হবে বাতিঘরের জন্যে। ডিলানের প্রচ্ছদটাও খুব সুন্দর ছিলো। প্রিমিয়াম, ক্ল্যাসিক একটা লুক ছিলো মলাটে। আবার হাততালি। সবমিলিয়ে, “দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স” শুধু একটা থৃলার কাহিনীই নয়, প্রেম, বিচ্ছেদ, মানবিকতা সবমিলিয়ে এক জমজমাট আয়োজন। ভালো লাগবে, নিশ্চয়তা দেয়াই যায়। Happy Reading :D বইয়ের রকমার লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/117287/দ্য-ডিভোশন-অব-সাসপেক্ট-এক্স
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই #বই_রিভিউ_১৯ #দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স #লেখক: কিয়েগো হিগাশিনো (অনুবাদ: সালমান হক) #বইয়ের_ধরণ: থ্রিলার, মার্ডার মিস্ট্রি #প্রকাশনী: বাতিঘর #পৃষ্ঠা: ২৬৮ #মুদ্রিত_মূল্য: ২৬০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৭.৫/১০ . . একমাত্র মেয়েকে নিয়ে দিনাতিপাত করা জাপানিজ এক ভদ্রমহিলা ইয়াসুকোর প্রাক্তন স্বামী প্রায় ই টাকার জন্য তার কাছে ধর্না দিত। বিরক্ত করতো। এক পর্যায়ে হঠাত করেই খুন হয়ে যায় তার সেই প্রাক্তন স্বামী। সন্দেহের তীরে বিদ্ধ হয় ইয়াসুকো। সে সময় তাদেরকে সাহায্য করে তারই এক প্রতিবেশি ইশিগামি যে কিনা পেশায় গণিত শিক্ষক। . . খুনের তদন্তে নেমে ডিটেক্টিভ কুসানাগি বার বারই কানাগলিতে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে সে সাহায্য নেয় তার এক বন্ধু ইউকাওয়ার। পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হলেও যাকে কিনা ডাকা হয় 'ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও'। শেষ পর্যন্ত কুসানাগি ব্যর্থ হলেও ইওকাওয়া ঠিক ই আবিষ্কার করে ফেলে প্রকৃত সত্য এবং প্রকৃত খুনিকে। শেষ দিকে এমন এক চমক আবিষ্কার করে ডিটেক্টিভ গ্যালেলিও যেটা পুরো উপন্যাসটিকেই একদম পাল্টে দিয়েছে! মানুষ তার ভালোবাসার মানুষের জন্য যে কতটা নি:স্বার্থ হতে পারে সেটার এক অকৃত্রিম উদাহরন 'ইশিগামি'। . . 'দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স' হলো আমার পড়া দ্বিতীয় জাপানিজ থ্রিলার। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম বইটি, যখন শুনেছিলাম এটা নিয়ে একটি জাপানিজ মুভিও রয়েছে। বিশেষত যখন এটার অনুবাদক নিজে জানালেন বইটি সম্পর্কে তখন আর নিজেকে বিরত রাখতে পারিনি। অসাধারণ! . . অনুবাদ ছিল যথেষ্ট ভালো এবং প্রাঞ্জল। প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, পেজ কোয়ালিটি সব ই ভাল ছিল। তবে যেহেতু বইটি বাতিঘরের বানান ভুল তো থাকবেই! . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স মূল : কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদ : সালমান হক প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : জুন, ২০১৬ ঘরানা : মার্ডার মিস্ট্রি/থ্রিলার পৃষ্ঠা : ২৬৮ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ২৬০ টাকা ইয়াসুকো হানাওকা একজন ডিভোর্সি মহিলা। মেয়ে মিশাতোকে নিয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করে। বেন্টেন টেই নামের এক লাঞ্চ শপে কাজ করে সরল সাধারণ ভাবে দিনাতিপাত করে। কিন্তু মানুষের জীবন কখনোই চলমান ভাবে নিস্তরঙ্গ না। ইয়াসুকো'র জীবনটাও যেন হঠাৎ করেই বদলে গেলো। সাবেক স্বামী, বলা ভালো জনাব মূর্তিমান আতঙ্ক আবারো ফিরে এলো ওর জীবনে। বরাবরের মতোই একই দাবী তার। নেশার জন্য টাকা চাই। কিন্তু ইয়াসুকো'র পিঠও যেন দেয়ালে ঠেকে গেছে এবার। ঘটনাচক্রে খুন হয়ে গেলো ইয়াসুকো'র সাবেক স্বামী টোগাশি। অদ্ভুত এক পন্থায় খুনের ঘটনাটা জেনে গেলো মহিলা'র পাশের ফ্ল্যাটে বসবাসরত গণিতের শিক্ষক ইশিগামি। অজানা কোন এক কারণে ইয়াসুকো ও তার মেয়েকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো সে। আশ্চর্য এক প্ল্যানিং নিয়ে মেতে উঠলো গণিতে আশ্চর্যরকম পারদর্শী এই মানুষটা। আর সেই প্ল্যানিংয়ের কার্যকরী দুই ঘুঁটিতে পরিণত হলো ইয়াসুকো হানাওকা ও তার মেয়ে মিশাতো। টোগাশি'র খুনের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই জড়িয়ে পড়লো ডিটেকটিভ কুশানাগি ও জুনিয়র ডিটেকটিভ কিশিতানি। ইয়াসুকো হানাওকা'র বলা গল্পটার মধ্যে কুশানাগি কোন ছিদ্র বের করতে পারলোনা। কিন্তু, সে নিজেও জানেনা কেন মহিলা'র বলা গল্পটা তার একেবারেই পছন্দ হলোনা। একরকম জোরেশোরেই তদন্তে নেমে পড়লো সে আর তার জুনিয়র ডিটেকটিভ। আর তদন্তের স্বার্থে সাহায্য চাইলো পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইউকাওয়া'র কাছে, যার আরেক নাম ডিটেকটিভ গ্যালেলিও। আর এখানেই ঘটলো অনন্য এক পটপরিবর্তন! অত্যন্ত চৌকশ অনুসন্ধান ক্ষমতা'র অধিকারী অধ্যাপক ইউকাওয়া যদি এই সাধারণ খুনের রহস্যের সাথে জড়িয়ে না যেতেন, তাহলে এই গল্পটা একেবারে সাদামাটাই থেকে যেতো। ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি'র পুরোনো দুই সহপাঠী'র বহু দিন বাদে হওয়া সাক্ষাৎ যেন নতুন এক দরজা খুলে দিলো অধ্যাপক ইউকাওয়া'র সামনে। তদন্তে নেমে হঠাৎ-ই তিনি বুঝতে পারলেন, সবকিছুর 'নাটের গুরু' সাধারণ বুদ্ধিমত্তা'র কেউ না। বরং ভয়াবহ এক মাস্টারমাইন্ডের বিপরীতে দাবা'র চাল চালতে হচ্ছে তাঁকে। জাপানি সাহিত্যের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনো'র সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত বই দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স এক অসাধারণ প্লট নিয়ে রচিত। সাধারণ একটা খুনের ঘটনাকে নানা রঙের রহস্যের পরতে মুড়িয়ে পাঠকের সামনে হাজির করেছেন এই লেখক। এই বইয়ে তাঁর সৃষ্ট প্রত্যেকটা চরিত্রই আশ্চর্যরকম শক্তিশালী। মি. কুডো, চিফ মামিয়া, ইয়ানোজাওয়া দম্পতি - কোন চরিত্রকেই এক মুহূর্তের জন্য অদরকারি বলে মনে হয়নি। পাশাপাশি কিয়েগো হিগানিশো'র সৃষ্ট গণিতবিদ ইশিগামি'র জীবনাচরণ ও গণিতের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মনে রাখার মতো একটা চরিত্র, নিঃসন্দেহে। প্রাসঙ্গিক বর্ণনা আর আদর্শ থ্রিলার উপন্যাসের উত্তেজনা মিলে একটা অসাধারণ অনুভূতি অনুভূত হয়েছে বইটা পড়ার সময়। এই লেখকের অন্যান্য লেখা গুলোর ওপরেও একটা স্বাভাবিক আগ্রহ তৈরি হয়েছে এই কারণে। বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের 'রত্ন' সালমান হকের স্বভাবজাত সাবলীল অনুবাদ দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্সকেও অলংকৃত করেছে। প্রাঞ্জল অনুবাদের জন্য অনুবাদককে ধন্যবাদ। লেখক সম্প্রতি মৌলিক থ্রিলার লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। ব্যাপারটা সাধুবাদ পাওয়ার মতো। তবে, অনুবাদ জগৎ থেকে তাঁকে একেবারে বিদায় না ণেয়ার অনুরোধ করবো। এখনো অনেক পাওয়া বাকি কিনা! দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স বইটার প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান সাহেব। চমৎকার প্রচ্ছদ। তাঁকে ধন্যবাদ। ফেব্রুয়ারি'র ২৮ তারিখে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে লেখক কিয়েগো হিগাশিনো'র নতুন থ্রিলার The Name Of The Game Is A Kidnapping. এই বইটাও আশা করছি উপভোগ্য হবে। বইটা বাতিঘরের মলাটে পেলেও মন্দ হয়না। পাঠকের প্রাণের মেলা একুশে বইমেলা মুখরিত হোক সবার পদচারণায়। শুভেচ্ছা সবার জন্য। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫ সালমান হকের কিছু কাজ : ১. থ্রি এএম - নিক পিরোগ (অনুবাদ) ২. থ্রি : টেন এএম - নিক পিরোগ (অনুবাদ) ৩. থ্রি : টোয়েন্টিওয়ান ও থ্রি : থার্টিফোর এএম - নিক পিরোগ (অনুবাদ) ৪. দ্য বয় ইন স্ট্রাইপড পাজামাস - জন বয়েন (অনুবাদ) ৫. থ্রি : ফোর্টিসিক্স এএএম - নিক পিরোগ (অনুবাদ - প্রকাশিতব্য) ৬. নিখোঁজকাব্য (মৌলিক থ্রিলার) সব গুলো বই-ই প্রকাশিত হয়েছে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে। © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
এমন রহস্য ও থ্রিলার বই আমার জীবনে দ্বিতীয়টি পড়িনি। বইটি পড়া শেষ করেই মনে হয়, এতক্ষণ তাহলে কী পড়লাম!!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ তৃতীয় পর্বঃ ০১ বইয়ের নামঃ দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স লেখকঃ কিয়েগো হিগাশিনো অনুবাদকঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৬৫ মূল্যঃ ২৬০ (মুদ্রিত) ভূমিকাঃ থ্রিলার বলতে যে শুধু মারমার কাটকাট আর টুইষ্টে ভরা বই তা নয়। হতে পারে থ্রিলারটি মানবমনের গভীরে গিয়ে আঘাত হানে। পাঠককে চিন্তার খোরাক যোগায়। ঠিক এমনই একটি থ্রিলার হলো- দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স। প্রখ্যাত জাপানি লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর অনন্য সৃষ্টি। পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত ও সমাদৃত একটি থ্রিলার বই। বইয়ের আকার খুব বড় নয় তবে এর ভেতরের উপাদানগুলোর আকার অনেক বেশি। পাঠ সংক্ষেপঃ পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন স্কুলশিক্ষক ইশিগামি এবং বিধবা ইয়াসুকো। অত্যন্ত মেধাবী ইশিগামি একটু দূরেই ছোটখাট স্কুলে গণিত পড়ান। আর ইয়াসুকো বেন্টেন-টেই নামক হোটেলে কাজ করেন৷ ইয়াসুকো এর পূর্বে একটি নাইট ক্লাবে চাকরি করতো। কিন্তু একমাত্র মেয়ে মিশাতো এর সুন্দর একটি পরিচয়ের জন্য সেখানকার কাজ ছেড়ে চলে আসেন পূর্বের সহকর্মী দম্পতিদের তৈরী করা এই বেন্টেন-টেই তে। দিনকাল ভালোই কাটছিল মা-মেয়ে দুজনের। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের ঠিকানা জেনে গেলো শিনজি টোগাশি। টোগাশি হলেন ইয়াসুকোর দ্বিতীয় স্বামী। নাইটক্লাবে কাজ করার সময় তার সাথে পরিচয় হয় এবং তারা বিয়ে করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই টোগাশি তার চাকরি হারিয়ে ফেলেন এবং দেউলিয়া হয়ে যান। অর্থকষ্টের কারণে আবার নাইটক্লাবে যোগ দেন ইয়াসুকো। এরপরও শান্তি আসে না তাদের মধ্যে, টোগাশি প্রায়সময়ই ইয়াসুকোকে মারধর করেন। টোগাশির হাত থেকে বাঁচতে ইয়াসুকো ডিভোর্স নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তবে এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে টোগাশি তাদেরকে খুঁজে পায় এবং টাকা দাবি করে। এবার যখন সে বাসায় চলে আসলো তখন এক প্রকার অনিচ্ছাকৃতই মা-মেয়ে মিলে মেরে ফেললো টোগাশিকে। দুজনেই হতবিহ্বল হয়ে পরলো। তখন তাদের এই অবস্থা থেকে বের করে আনতে সাহায্য করলেন তাদের প্রতিবেশী অত্যন্ত মেধাবী স্কুলশিক্ষক ইশিগামি। তিনি আবার বিধবা ইয়াসুকো হানাওকাকে ভালবাসেন। নিজের না বলা ভালবাসার মানুষটিকে সাহায্য করলেন তিনি। পরদিন সকালে এডোগাওয়া নদীর তীরে পাওয়া গেল টোগাশির লাশ। তদন্তে নেমে পরলেন সরকারী গোয়েন্দা কুসানাগি ও তার সহকর্মী কিশিতানি। কিশিতানি কেসটার ব্যাপারে আলোচনা করলেন 'ডিটেকটিভ গ্যালিলিও' খ্যাত তার বন্ধু মানাবু ইউকাওয়ার সাথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইউকাওয়া ঘটনাক্রমে জানতে পারলেন যে, এই ঘটনার সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী বন্ধু ইশিগামি জড়িত। তিনিও মনোযোগ দিলেন এই কেসে। এবং জড়িয়ে পরলেন রহস্য সমাধানের জটিল ধাঁধায়। পুলিশ আর গোয়েন্দা যেদিক দিয়েই আগাচ্ছে না কেন ফলাফল শূন্য। কোনভাবেই সমাধানে পৌছানো যাচ্ছে না। তীব্র মেধার অধিকারী মানাবু ইউকাওয়া বুঝতে পারলেন, ঘটনার পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন এমন একজন, যিনি মানুষকে বাজিয়ে দেখতে পছন্দ করেন৷ সমস্ত ঘটনাই তার অনেকগুলো সাজানো ঘুঁটি। যেভাবে তিনি চাল চালছেন, পুলিশও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পতিত হচ্ছে অন্ধকারে। কুসানাগি এবং ইউকাওয়া কি পারবে রহস্যের সমাধান করতে? এই তীব্র প্রহেলিকা দূর করে আসল সত্যটা বের করে আনতে? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমি যখন বইটি শুরু করি তখন একটা সাধারণ উপন্যাস মনে হয়েছিলো। কিন্তু আমি যত এর গভীরে প্রবেশ করেছি ততই হারিয়ে যাচ্ছিলাম কাহিনীর ভেতর। সমস্ত সাসপেক্ট সামনেই ছিল অথচ মূল ব্যাপারটাই আপনি ধরতে পারবেন না৷ সবসময় যা দেখা যায়, তা ঘটে না। আড়ালে রয়ে যায় অনেক অজানা গল্প। ঠিক যেন মরীচিকা। লেখক নিজে একজন ইন্জিনিয়ার। তাই উপন্যাসে গণিত বিষয়টা বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে। এছাড়া প্রতিমুহূর্তে নতুন চমক তো ছিলই। শেষের কয়েকপৃষ্টা পড়ার সময় মূল চমকটায় গিয়ে আমি স্তব্ধ হয়ে ছিলাম৷ এত বড় চমক থাকতে পারে সেটা আমার ধারণাতেই ছিল না। এটাকে নির্দ্বিধায় একটি পারফেক্ট থ্রিলার বলা যায়। বইটি পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। একটা অন্যরকম বর্ণনাভঙ্গি এবং অনুবাদক সালমান হকের চমৎকার অনুবাদ মন ছুঁয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে তিনি একজন ভালো অনুবাদক। পড়ার সময় কখনোই এটাকে অনুবাদ মনে হয়নি। অনুবাদ নিয়ে যদি আপনার খুঁতখুঁতে ভাব থাকে তবুও এই বইটা নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন। সুন্দর, সাবলীল অনুবাদ। প্রিয় চরিত্রঃ মানুষ অতি আবেগপ্রবণ। এই বইটা পড়ার সময় আপনি কখনো কখনো আবেগে ভেসে যাবেন। আবার কখনো রহস্যের ঘোরে মাতাল হবেন। একটা চরিত্রের জন্য কখনোই মায়া ফেরাতে পারবেন না। ইশিগামি চরিত্রটি আপনাকে আটকে ফেলবে কঠিন মায়ায়৷ আমি নিজেও সেই মায়ায় আটকে গেছি। অত্যন্ত রহস্যময় চরিত্র। প্রচ্ছদ এবং অনুবাদঃ ডিলানের আঁকা প্রচ্ছদটাও অত্যন্ত চমৎকার। সালমান হকের অনুবাদের ব্যাপারে একটা কথাই বলবো- অসাধারণ। নিশ্চিত দশে দশ দেওয়া যায়। এছাড়া তিনি যে বিখ্যাত এই জাপানি লেখককে আমাদের সামনে এনেছেন তার জন্যও ধন্যবাদ প্রাপ্য। রেটিং- ৯.৯৯/১০। অসাধারণ একটি বই। এর চেয়ে কম রেটিং দেওয়ার সাহস হয়নি। আপনিও পড়তে পারেন বইটি এবং হারিয়ে যেতে পারেন রহস্যের জালে আটকা পরে জাপানের একটি ছোট্ট শহরে। কি নেই এতে? ভালবাসা, বিচ্ছেদ, ক্লান্তি, দুঃখ সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস। জমজমাট এবং উপভোগ্য পাঠ্য। আশা করি হতাশ হবেন না। শুভ পঠন। রকমারি লিংকঃ https://googleweblight.com/i?u=https://www.rokomari.com/book/117287
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়তে পারেন, অসাধারণ থ্রিলার। আমার পড়া বেস্ট বই। পড়লেই লেখার প্রেমে পড়ে যাবেন। আপনার ভাবনাকে বদলে দিবে। যা ভাববেন তা সত্য নয়, যা সত্য নয় তাই আপনার ভাবনা। ?
Was this review helpful to you?
or
মাঝে মাঝে কিছু গল্প মাথায় অনেক দিন থাকে, সেগুলো খুব ভাবায়। “দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স” বইটি তেমনই একটা গল্প নির্ভর বই।
Was this review helpful to you?
or
খুবই চমৎকার একটি বই।গোয়েন্দা থ্রিলার বই আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই বইয়ের কাহিনি মারাত্মক ভালো । Ending এ এসে আপনি হতবাক না হয়ে পারবেননা ।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই দেশের মানুষকে; অনুবাদককে ধন্যবাদ। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সুন্দর টানটান কাহিণী। আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ। সংগ্রহে রাখার মতো বই। বই প্রেমিকদের বইটা পড়ার অনুরোধ করছি।