User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
ভাল লেগেছিল?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই?
Was this review helpful to you?
or
Suvro Humayun Ahmed er r ekti srestho Characte. Suvro suddhotomo ekjon manus je boi portr valobashe. Shuvro khub taratari cokh er dristy harabe bol ekhn thekri ektu ektu kore ondho hoye Thakte cesta korche. Babs mar ekmatro chele, kintu tar mone hazar prosno. Ki niye? Keno?
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাস পড়েই প্রথমবারের মতো আমি পরিচিত হই হুমায়ূন আহমেদের তৈরি শুভ্র চরিত্রটির সাথে। কয়েক পৃষ্ঠা উল্টোতেই তাঁর এই হাবাগোবা সহজ সরল সৃষ্ট চরিত্রের প্রতি একটা মায়া কাজ করতে থাকে। এটা হয়তো শুভ্রের সাথে পরিচিত প্রত্যেক বই পড়ুয়াদেরই কাজ করে। তবে, তার চেয়েও বেশি আমার মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছিলো যুথী। ঠিক যেই সময়টায়, আমরা বাস্তবিক এবং কাল্পনিক চরিত্রদের নিজের আদর্শ হিসেবে দেখা শুরু করি, সেই সময়টায় এই উপন্যাসে যুথী আমাকে অনুপ্রেরিত করে ফেলে। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইগুলোতেও ভিন্ন নামে প্রায় একই রকম চরিত্র অনেক আছে, কিন্তু আমার কাছে প্রথম ছিলো যুথী। তাই, এখনো এই চরিত্রটি আমার পছন্দের তালিকায় বিশেষ রয়ে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
শ্রমিক লীগের আন্দোলনে শুভ্রর বিএমডাব্লিউ গাড়িটা পুড়ে ছাই,শুভ্র পুড়ে নাই এই বড় কথা কিন্তু তার চশমাটা পুড়ে গেছে। এরি সুবাদে যুথীর সাথে তার পরিচয়। যুথীর বড় ভাই টুনু গোপনে বিয়ে করে ফেলে। টুনু সকলের কাছে র্যাবের ক্রস ফায়ারে মৃত কিন্তু সে ছদ্মবেশে ভিন্ন নামে আছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে সে জড়িত। শুভ্রও বাড়ি ছাড়া। সে এখন বাস্তবতার সম্মুখীন। পাতানো বোনের সাথে বসবাস তার। এক্টা চরে তার বসবাস। চরটার নাম শুভ্রের চর,তার নামানুসারেই করা হয়েছে। শুভ্রকে মেরে ফেলার জন্য তাকে ধরে নেওয়া হয়েছে,কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মেরে ফেলে হবে। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সে যুথীর কাছে চিঠি লিখেছে। সেটা টুনু পড়েছে, টুনুই তাকে মেরে ফেলার জন্য ভাড়াই এসেছে। তার বোনের নাম দেখে সে শুভ্রকে না মেরে ছেড়ে দেয়। শুভ্রর বাবা, মা,যুথী,মর্জিনা ও চরের সকলে শুভ্রকে দেখে খুবই খুশি কারন তারা তাদের ধলা মিয়াকে ফেরত পেয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ২৮ উপন্যাস: শুভ্র গেছে বনে লেখক:হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনঃঅন্যপ্রকাশ ধরনঃসমকালীন মুল্যঃ২৭০ টাকা বই আলোচনাঃ আজহার অফিসে যান নি। গতকাল রাতে দুবার খাওয়ায় শরীর বিগড়ে গেছে। ঘনঘন বাথরুমে যেতে হচ্ছে। অ্যাসিডিটিতে বুক জ্বলে যাচ্ছে। দুধ খেলে অ্যাসিডিটির আরাম হয়। যুথী মোড়ের দোকান থেকে এক প্যাকেট মিল্কভিটা নিয়ে এসেছে। তিনি পুরোটা খেয়ে কিছুক্ষণ আগে বমি করেছেন। বমির পর মাথা ঘুরছে। এই উপসৰ্গ দুধ খাওয়ার আগে ছিল না। আজহার যুথীকে বললেন, আমি তো মনে হয় মারা যাচ্ছিরে মা। যুথী বাইরে যাবে। শাড়ির কুচি ঠিক করতে করতে নির্বিকার গলায় বলল, এত সহজে কেউ মারা যায় না। বাবা।আজহার বললেন, মানুষ সহজেই মারা যায়। আলেকজান্ডারের মতো মহাবীর ইলিশ মাছ খেয়ে মারা গেছে। কাল রাতে তোর বান্ধবীর বাড়ি থেকে যে খাবার এসেছে, সেখানে ইলিশ মাছের আইটেম ছিল। স্মোকড় হিলসা। আমি ঐ আইটেমটাই বেশি খেয়েছি। মহাবীর আলেকজান্ডারের ইলিশ মাছ খেয়ে মৃত্যুর গল্প আজহার তাঁর বস ইমতিয়োজ সাহেবের কাছে শুনেছেন। ইমতিয়োজ সাহেব সুন্দর সুন্দর গল্প করেন। তাঁর সব গল্পই আজহার সুযোগমতো ব্যবহার করেন। যুথী বলল, বেশি খেলেও তুমি মরবে না। বাবা। কারণ তুমি মহাবীর আলেকজান্ডার না। তুমি কাপুরুষদের একজন। সালমা মাছ কুটছিলেন। মাছ ফেলে উঠে এসে বললেন, এইসব কী ধরনের কথা? বাজারের নটিরাও তো বাপের সঙ্গে এইভাবে কথা বলে না। যুথী বলল, বাজারের নটিদের বাবারা নটিদের সঙ্গে বাস করে না। কাজেই নটিরা এ ধরনের কথা বলে না। আজহার বললেন, বাদ দাও। কথা চালাচালি বন্ধ। তুই যাচ্ছিস কোথায়? চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি। তাঁর কোনো বড় সমস্যা যাচ্ছে। সমস্যার প্রধান লক্ষণ, তিনি খবরের কাগজ পড়ছেন না। কাগজ পড়া তার নেশার মতো। প্রথম একবার চা খেতে খেতে কাগজ শেষ করবেন। তারপর কাগজ নিয়ে বাথরুমে ঢুকে যাবেন। দ্বিতীয় দফায় বাথরুমে কাগজ পাঠ হবে। সেই কাগজ অতি যত্নে ভঁাজ করে তুলে রাখা হবে। অফিস থেকে ফেরার পর কাগজ আবার পাঠ করা হবে। এমন যার নেশা তিনি কাগজ পড়ছেন না। ঘরে বাজার নেই। তিনি বাজারে যাচ্ছেন না। গত দুদিন ডাল, ভাত আর ডিমের তরকারি দিয়ে খাবার তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়েও তার কোনো বিকার দেখা যাচ্ছে না। খেতে ডাকলে যাচ্ছেন। সামান্য কিছু মুখে দিয়ে উঠে যাচ্ছেন। ভালো-মন্দ কিছু বলছেন না। খাবার টেবিলে বসে লবণ বেশি হয়েছে বা কম হয়েছে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না তা হয় না। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ শুভ্র চরিত্রটিকে লেখক এই প্রথম তার খোলস থেকে বের করে এনেছেন, সেটাই এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট এবং সেই কারণেই শুভ্র সিরিজের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল এমন পাঠকদের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপন্যাসটি আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে উঠবে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাস: শুভ্র গেছে বনে লেখক:হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনঃঅন্যপ্রকাশ ধরনঃসমকালীন মুল্যঃ২৭০ টাকা শুভ্র র পরিচয় আমরা আগেই জানি। তাই পরিচয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। কিন্তু তারপর ও এই বইয়ের আলোচনার জন্য যেটা বলা লাগে, সেটা হচ্ছে শুভ্র চশমা ছাড়া কোন কিছুই চোখে দেখেনা কারন শুভ্র র রয়েছে অনেক বড় একটা অসুখ। তার কর্নিয়া তে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, আর সম্পুর্ণ যখন পানি শুকিয়ে যাবে সে পুরোপুরি একজন অন্ধ হয়ে যাবে।। উপন্যাস টি শুরু হয়েছে খুব সুন্দর প্রাকৃতিক বর্ননার মধ্য দিয়ে।বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরে আকাশে যে রৌদ্রজ্জ্বল দিনের সুচনা হয় চৈত্র মাসে সেখান থেকেই শুরু হয়েছে গল্প। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য গুলো মনোমুগ্ধকর হলেও পরিস্থিতি ও কি মনোমুগ্ধকর হতে পারে??? এই সুন্দর দিনেই হঠাৎ এলোমেলো হয়ে গেলো সব। শুভ্র র গাড়িতে কারা যেন হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দিলো, নিজের জীবন বাচাতে বের হতে গিয়ে সে নিজের মানিব্যাগটা আর চশমাটা গাড়ি থেকে নিতে পারলোনা।। চারপাশে শুধু চিৎকার চেচাঁমেচি আর এদিক ওদিক ছোটাছুটির শব্দ শুনে শুভ্র ভয়ে কোন তাল ঠিক করতে পারলোনা।। এদিকে চশমার অভাবে শুভ্র কিছু দেখতে পারেনা বলে, বোমের আওয়াজ শুনে, ঝাপসা চোখে একটি মেয়ের শাড়ি ধরে মেয়েটার পিছুপিছু দৌড়াতে থাকলো।। আচ্ছা কে এই মেয়েটি?? আর মেয়েটা শাড়ি ধরে কোন ছেলের পিছুপিছু চলে আসার ব্যাপারটা কি সে স্বাভাবিকভাবেই নেবে??? অন্যদিকে হঠাৎ একদিন শুভ্র র সাথে পরিচয় হলো একটি নতুন মেয়ের।। মেয়েটি প্রথমে শুভ্র কে খারাপ ভাবলেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারলো তার সামনের ফর্সা ছেলেটি কতোটুকু সহজ সরল।। পৃথিবীর কোন জটিলতায় যেন তাকে স্পর্শ করেনা। তাহলে এই মেয়ের সাথেই বা শুভ্র র কি সম্পর্ক???? কোন একদিন শুভ্র হঠাৎ তার বাড়ি ছেড়ে চলে গেল।। এদিকে তার মা দুশ্চিন্তায় শেষ!!! কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা তাকে।। তার বাবা পর্যন্ত বের করতে পারছেনা। তাহলে কি শুভ্র সত্যিই বনে চলে গেল?? নাকি বনের নাম করে অন্যকোথাও আশ্রয় নিলো?? আর যদি সত্যি নিয়ে থাকে, সে কি পারবে নিজেকে খাপ খাওয়াতে নাকি পরাজয় মেনে নিয়ে আবার নাড়ি চলে আসবে??? নাকি আর কখনোই ফিরবেনা?? সকল প্রশ্নের উত্তর খুজতে বইটি পড়তে হবে।। আশা করি খুব ভালো লাগবে এই বইটিও।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়তে গিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো লেগেছে। পুরোটা সময় বইতে মুখ ডুবিয়ে ছিলাম। যারা এখনো পড়েনি, আশা করি পড়ার পর তাদের ও ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাস শুরু হয় চৈত্রের এক ঝকঝকে দিনে । শান্ত সুন্দর বিকেলে হঠাৎ হাঙ্গামা শুরু হয় । হঠাৎই একদল কোথা থেকে আসে, আর একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। যুথী এসেছিল বান্ধবীর জন্মদিনের জন্য ফুল কিনতে। কেনার পরপরই গন্ডগোল বাধে আর দোকানদার দোকানের ঝাপ বন্ধ করে গায়েব হয়ে যায়। এদিকে চশমা ছাড়া অসহায় শুভ্র যুথীর সাহায্য প্রার্থনা করে। যে গাড়িটা পুড়ছে ওটা শুভ্রর বাবার আর ওর চশমা , মানিব্যাগ সব ছিল গাড়ির ভেতরে। তাই আর কোন উপায় না দেখে যুথী শুভ্রকে সাথে নিয়ে বান্ধবীর পার্টিতে যোগ দেয়। কিন্তু শুভ্রকে দেখে কে বলবে, সে আমন্ত্রিত অতিথি না। দিব্যি সে করিম আঙ্কেলের বক্তৃতা শোনে, অধিরে অপেক্ষা করে জলকেলী প্রতিযোগীতায় কে বিজয়ী হয় দেখার জন্য। অন্যদিকে যুথীর বাবা মিথ্যা অসুস্থতার কথা বলে যুথিকে তাড়াতাড়ি ফিরতে বাধ্য করে। যুথী একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায় আর অপ্রত্যাশিত ভাবে চাকরিটা পেয়েও যায়। বেতন বিশ হাজার টাকা সাথে আরো সুবিধা আছে। কিন্তু প্রথম দিনে অফিসে জয়েন করতে গিয়ে জানতে পারে কোন কারণ না জানিয়েই তাকে এই পদে চাকরি দেয়া হচ্ছেনা। বাসায় ফিরে জানতে পারে তার বড়ভাই টুনুর কাছে লাইলি নামে একটা মেয়ে সুটকেস সহ এসে হাজির হয়ছিল। টুনু লাপাত্তা আর যুথীর বাবা আজহার সাহেব মেয়েটাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। মেয়েটা অনেক্ষণ বসে বসে কাদছিল তারপর কোথায় চলে গেছে। লাইলি আসলে ভালই আছে। প্রথমে তাকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল শুভ্র। তারপর তার মা লাইলিকে বের করে দেয়। শুভ্রও সেই সাথে বের হয়ে যায়। লাইলিকে যুথীর বান্ধবী নীপার বাড়িতে রেখে সে বেড়িয়ে পরে। শেষ পর্যন্ত একটা পার্কে এসে বসে থাকে, যেখানে সর্বদা নিশিকন্যাদের আনাগোনা। অন্যদিকে যুথীদের বাসায় একদল পুলিশ তল্লাশি চালায়। ফ্রুট ফোটন নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী খোঁজার জন্য আসে তারা। ফ্রুট ফোটন কে তাতো যুথী জানে না। এখন কি হবে? টুনুই বা কোথায়? শুভ্রর গন্তব্যই বা কোথায়? আমার কথা : শুভ্রকে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ মোট ছয়টি উপন্যাস লিখেছেন। এই ছয়টির মধ্যে শুভ্র গেছে বনে আমার সবচেয়ে প্রিয়। কেন প্রিয়? জটিল প্রশ্ন। ভাললাগার কি কোন কারন থাকে? হয়তো শুধু শুভ্রর জন্যই ভাল লাগে। এই উপন্যাসে শুভ্র তার বাবা-মায়ের তৈরি নিরাপদ আবেশ থেকে বের হয়ে এসে পৃথিবীর আসল রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। চরাঞ্চলের আসল পরিবশটা নিজ চোখে দেখতে পারে। হয়তো তাই। হয়তো যুথীর জন্য। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও যে তার নিজস্বতা বজায় রাখতে পারে। অপদার্থ বাবা আর ততোধিক বাধ্য মায়ের সাথে থেকে থেকে তার মনটাও নির্লিপ্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে সত্যভাষনে তার ক্ষমতা দেখে আমি মুগ্ধ। নির্দিধায় সে পুলিশের কাছে তার মনের কথা বলে যায়। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং আয়েশা ফয়েজ এর বড় ছেলে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ শুধু স্ব-দেশে নয় বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজের লেখনি এবং নমনীয়তা দিয়ে একদিকে যেমন সুনাম অর্জন করেছেন, অন্যদিকে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথমে ঢাকা কলেজ, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তিতে নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন প্রখ্যাত এই লেখক। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। তাঁর সৃষ্ট চরিত্র গুলোর মধ্যে হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। "শুভ্র গেছে বনে" বইটি তার জনপ্রিয় চরিত্র শুভ্রকে নিয়ে লেখা। বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে ২০১০ সালের বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক লেখকের পরম মিত্র মাজহারুল ইসলাম এবং প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। শুভ্র হুমায়ুন আহমেদের একটি অনন্য সৃষ্ট চরিত্র। আধুনিক যুগের ছেলে হয়েও সবার থেকে ব্যতিক্রম এই শুভ্রর আশেপাশের ঘটনা নিয়েই তার লেখা শুভ্র কেন্দ্রীক বইগুলো। এই বইটির কাহিনী অনেক টা এরকম: শুভ্রর বেঞ্চের কোণায় এক অল্প বয়সী মেয়ে এসে বসে, স্বভাবগত কারণেই শুভ্র খানিক টা নড়েচড়ে বসে। ১৫/১৬ বছরের মেয়েটি লাল একটা ভ্যানিটিব্যাগ থেকে লিপস্টিক বের করে সাজুগুজু করে, লাল টিপ টা কপালে লাগিয়ে শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে জানতে চায় টিপ টা সোজা হয়েছে কিনা। শুভ্রর মাথায় নানান প্রশ্ন ঘুড়পাক খায়, এত রাতে মেয়েটি পার্কে কি করছে, তাকেই বা কেন প্রশ্ন করছে। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়। হুমায়ুন আহমেদ এর এই চরিত্র পাঠক দের একটু বেশিই মনোরঞ্জিত করে। জনপ্রিয় এই লেখক সবাই কে কাঁদিয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই সত্যিকারের অচিনপুরে চলে যান।
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র চরিত্রটি আমরা প্রথম দেখতে পাই ‘দারুচিনি দ্বীপ’ উপন্যাসের মাধ্যমে। শুভ্রকে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ মোট পাঁচটি উপন্যাস লিখেছিলেন। ১. দারুচিনি দ্বীপ; ২. রূপালী দ্বীপ; ৩. শুভ্র; ৪. এই শুভ্র এই... ; এবং ৫. শুভ্র গেছে বনে। ৬. মেঘের ছায়া শুভ্রকে লেখক সৃষ্টি করেছেন শুদ্ধতম মানুষ হিসেবে। এটুকু পরিস্কার বোঝা যায় শুভ্র প্রতিটি উপন্যাসে পড়ুয়া মানুষ, সে কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়নি। তার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সে ভীষণ সুদর্শন তরুণ! বাবার অঢেল সম্পত্তি আছে। মানুষ হিসেবে শুভ্র যে কোনো সময় যে কারো সহায়তার জন্য প্রস্তুত। এই বইয়ে যেটা সবচেয়ে বেশী চোখে লেগেছে তা হল এই একবিংশ শতকে একই শহরে বাস করা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হল চিঠি। এদের কারো সেল ফোন নেই। হয়তো চিঠিতে লেখকের যে মুন্সীয়ানা ফুটে ওঠে, কথোপকথনে তা সম্ভব না। তবে লেখকের সাফল্য হল এত কিছুর পরেও তিনি মানুষের ভালো দিকটাকে তুলে ধরেন। তাই দরিদ্র বণিকা মর্জিনা মুহুর্তেই শুভ্রকে ভাই পাতিয়ে ফেলতে পারে। চরের মানুষ শুভ্রর জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে কিংবা সন্ত্রাসী টুনুও ভালো হয়ে যেতে চেষ্টা করে। যে কাজ গুলো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ পারে না। এই চরিত্রগুলো তা করে ফেলে অবলীলায়। তাই সব ছাপিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস গুলো হয়ে উঠে মানুষের ইচ্ছা পূরণের গল্প। শুভ্র গেছে বনেও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবু শুভ্র চরিত্রটিকে যে লেখক এই প্রথম তার খোলস থেকে বের করে এনেছেন, সেটাই এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট এবং সেই কারণেই শুভ্র সিরিজের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল এমন পাঠকদের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপন্যাসটি আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে উঠেছিল।
Was this review helpful to you?
or
'শুভ্র গেছে বনে' উপন্যাসের মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদ শুভ্র চরিত্রটিকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছেন। শুভ্র সিরিজের আগের উপন্যাসগুলোর সাথে তুলনার্থে এই উপন্যাসটির ব্যাপক বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। আগের উপন্যাসগুলোতে দেখা গেছে, শুভ্র শারীরিকভাবে তার বাবার থেকে যত দূরেই থাকুক, সর্বদা বাবার হাতের পুতুল হয়েই থেকেছে। শুভ্রর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারবুদ্ধি যে ছিল না তা না। কিন্তু সেগুলোর প্রয়োগ খুব কমই করেছে শুভ্র। শুভ্রর সব কাজকর্মেই বিশাল ভূমিকা রেখেছে তার বাবা মেরাজউদ্দিন। কিন্তু এই উপন্যাসের শুরু থেকেই শুভ্রকে দেখা গেছে সে তার বাবার প্রভাব মুক্ত অবস্থান বজায় রাখছে। আর সেজন্য শুভ্র সিরিজের আগের বইগুলোয় পাঠক যে ফ্লেভার পেয়েছিল, তার থেকে এই বই পড়ার অনুভূতিতে আকাশ পাতাল তফাৎ থাকবে। আরেকটা দিক থেকে এই উপন্যাসটি অন্যরকম। এই উপন্যাসের সিংহভাগ জায়গা জুড়ে শুভ্রর চাইতে বেশি হাইলাইট করা হয়েছে যুথি নামের চরিত্রটির ওপর। তাই উপন্যাসের মাঝামাঝি এসে পাঠকের মনে হতে বাধ্য যে এটি বুঝি শুভ্র সিরিজের কোন বই না। শুভ্র নিছকই এই উপন্যাসের অনেকগুলো চরিত্রের অন্যতম। সেটা যদি পাঠক ভাবে, তাহলে তাদের সেই ভাবনা ভুল হবে না। শুভ্র সিরিজের আগে পরের যেকোন বইয়ের তুলনায় এই বইয়ে চরিত্র সংখ্যা অনেক বেশি। অসংখ্য চরিত্রের ভীড়ে শুভ্রের উপস্থিতি তাই নিতান্তই নগন্য। শুভ্র ভক্তদের কাছে এটা খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু একটি একক উপন্যাস হিসেবে যদি 'শুভ্র গেছে বনে'কে বিবেচনা করা হয়, তাহলে মানতেই হবে যে লেখক সমান মমতার সাথে প্রতিটি চরিত্রকে গঠন করেছেন এবং তাদের গল্প তুলে ধরেছেন যে কারণে এটি একটি স্বয়ংসিদ্ধ উপন্যাসে পরিণত হয়েছে। শুভ্রকে নিয়ে লেখা আগের উপন্যাসগুলোর ব্যাপ্তি খুবই কম। সেজন্য সেগুলোকে উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলাই শ্রেয়। কিন্তু 'শুভ্র গেছে বনে' বাস্তবিকই একটি পরিপূর্ণ উপন্যাস। উল্লেখ্য, শুভ্র সিরিজের সবচেয়ে বড় উপন্যাস হল 'শুভ্র' যেটি সিরিজের ক্রমানুসারে এই উপন্যাসের ঠিক পরেই প্রকাশিত হয়েছিল। 'শুভ্র গেছে বনে'র বিশেষত্ব নিয়ে যদি বলতে বলা হয়, তাহলে প্রথমেই আমার মাথায় আসবে এই উপন্যাসে সংযোজিত একাধিক চিঠি। অনেকগুলো চিঠির দেখা মিলবে এই উপন্যাসে। একটি প্রকৃত চলচ্চিত্রের কাহিনী এগিয়ে নিতে গান যেমন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, ঠিক তেমন ভূমিকাই এই উপন্যাসে নিয়েছিল ঐ চিঠিগুলো। প্রতিটি চিঠির ভাষাকে লেখক চিঠির লেখকের চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করেছেন বলে চিঠিগুলো বাস্তবসম্মত হয়েছে এবং উপন্যাসকে বেশ ভালোভাবেই প্রভাবিত করেছে। একটি উপন্যাস হিসেবে 'শুভ্র গেছে বনে' আমার কেমন লেগেছে সেটা বলা একটু কঠিন। এই উপন্যাসের কাহিনী, চরিত্র, ঘটনা ও সেসবের বর্ণনাভঙ্গি কোন কিছুই আহামরি ধরণের নয়। হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসে ঘুরেফিরেই এগুলোর দেখা মেলে। তারপরও এই উপন্যাসের কাহিনীকে একেবারে ফেলে দেবার মত না। কিন্তু কাহিনীতে অভিনবত্বের অভাব যে বারবারই প্রকট হয়ে উঠেছে সেটা অনস্বীকার্য। তবু শুভ্র চরিত্রটিকে যে লেখক এই প্রথম তার খোলস থেকে বের করে এনেছেন, সেটাই এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট এবং সেই কারণেই শুভ্র সিরিজের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল এমন পাঠকদের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপন্যাসটি আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে উঠেছিল।
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র গেছে বনে লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী - অন্যপ্রকাশ দাম - ২৭০/- বুক রেটিং - ৩.৫/৫ .... প্রথমেই বলে রাখি হুমায়ূন স্যারের আজ অবধি পড়া যেকোন বইয়ের তুলনায় এই বইটা আমাকে সবচে বেশি হতাশ করেছে। ঠিক কেন যেন বইটা পড়ে খুব বেশি তৃপ্তি পাইনি। শুভ্র ছেলেটা খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে 'বিশুদ্ধ আঁতেল।' নিজের গাড়ি পুড়ে গেলেও সে নির্বিকার। কারণ, গাড়ি তার বাবার। আবার, বিপন্ন অবস্থায় সাহায্য করতে আসা যুথীর প্রতিও তার ব্যবহার যথেষ্ট উদ্ভট। কেবল গলা ভাল বলে হারমোনিয়াম উপহার দেয়ার মত মানসিকতা যার তাকে যুথীর ভাষ্যমতে 'মানসিক প্রতিবন্ধী' না বললেও 'খামখেয়ালি' বলা চলে অনায়াসে। যুথীর ভাই একজন সন্দেহজনক চরিত্র। কখনো বাবার বাধ্য সন্তান, কখনো ফলের ব্যবসায়ী, কখনো প্রেমিক আবার কখনো সে শীর্ষ সন্ত্রাসী। যুথীর বাসা থেকেই একদিন অসহায় লাইলিকে নিজের ঘরে আনে শুভ্র। কিন্তু বাবা মার কথায় তাকে ঘরছাড়া হতে হয়। লাইলিকে রেখে দেয় যুথীর বান্ধবী নিপা। আর শুভ্র ভাইবোন সম্পর্ক পাতিয়ে নেয় একজন পতিতার সাথে। ঘটনার বিবর্তনে শুভ্র চলে যায় পাতানো বোন মর্জিনার পৈত্রিকভূমিতে। সেখানেই ফিরে আসে যুথীর ছোটভাই 'ফ্রুট ফোটন' হয়ে। চরবাসী একাট্টা শুভ্রের মুক্তির জন্য। সাথে আসে যুথী, শুভ্রের বাবা এবং তার পাগল হয়ে যাওয়া মা। কিন্তু 'শুভ্র গেছে বনে' সে কি আদৌ ফিরবে? .... বইটার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ইফতেখার ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার হাতে 'চাঁদের পাহাড়' ছিল। তার কাছে 'শুভ্র গেছে বনে।' ট্রেনেই আলাপ। বই অদল বদল। পড়ে ফেলা। সময় কাটাবার জন্য বইটা যে অসাধারণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বইয়ের প্রাপ্তিস্থান হিসেবে 'রকমারি ডট কম' তো আছেই।
Was this review helpful to you?
or
”শুভ্র গেছে বনে” হুমায়ুন আহমেদের লেখা “শুভ্র” সিরিজের পঞ্চম বই। এটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ। একুশের বইমেলা ২০১০-এ। এই বইটি নিয়ে পাঠকদের মাঝে ভিন্নমত রয়েছে। যেমন- একজন পাঠক চরিত্রগুলোর ভিন্নপাঠের চেষ্টা করেছেন।”কামুক বৃদ্ধ - যে তরুণী মেয়েদেরকে সাথে নানা আদিরসাত্মক ঠাট্টা করবে। মেয়েরা আবার তাকে খুবই পছন্দ করবে/ মাঝ বয়সী শঠ বাবা, শাশুড়ী আথবা দাদী - এরা বেশিরভাগ সময় পাগলের অভিনয় করে। এই চরিত্রটির প্রধান কাজ খিস্তি খেউর এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা। শেষদিকে এরা সাধারণত নিজের ভুল বুঝতে পেরে নানা মহৎ কাজ করে থাকে।/ নারিকেল মানবঃ এরা বইয়ের প্রধান চরিত্র। নায়ক অথবা নায়িকা। এদের বাইরেটা ইস্পাত কঠিন কিন্তু ভিতরটা খুবই নরম”। এই বইয়ে একবিংশ শতকে একই শহরে বাস করা গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হল চিঠি। লেখক “শুভ্র”কে নিয়ে লেখা বইগুলোতে মানুষের ভালো দিকটাকে তুলে ধরেন। তাই দরিদ্র বণিকা মর্জিনা মুহুর্তেই শুভ্রকে ভাই পাতিয়ে ফেলতে পারে। চরের মানুষ শুভ্রর জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে কিংবা সন্ত্রাসী টুনুও ভালো হয়ে যেতে চেষ্টা করে। যে কাজ গুলো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ পারে না। এই চরিত্রগুলো তা করে ফেলে অবলীলায়। তাই সব ছাপিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস গুলো হয়ে উঠে মানুষের ইচ্ছা পূরণের গল্প।শুভ্র গেছে বনেও এর ব্যাতিক্রম নয়।/শুভ্র বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ। বেচারার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকে।হুমায়ূন আহমেদের এই জনপ্রিয় চরিত্রটিকে বিটিভির পর্দায় বেশ কয়েকবার নিয়ে আসা হয়েছে। অনেক খ্যাতিমান টিভি অভিনেতা অভিনেত্রীরা শুভ্র উপন্যাস-কেন্দ্রিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে অধিকাংশ সিনেমায় শুভ্র চরিত্র রূপায়ণে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা রিয়াজ।