User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: জীভস অভ অল ট্রেডস (The Code Of The Woosters) লেখক: পি.জি.ওডহাউস অনুবাদক: ডিউক জন প্রকাশনী: সেবা প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ২০১৬ পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৩২৮ পৃষ্ঠা মুদ্রিত মূল্য: ১১৮ টাকা . কেউ কি কখনো ভেবেছি, গম্ভীর মুখে একজন আমাদের উপদেশ দিচ্ছে, আর সেই উপদেশ শুনে আপনাআপনিই আমাদের ঠোঁটে ঝুলছে মস্ত বড় এক হাসি? সেই হাসির কাহিনি নিয়েই পি.জি. ওডহাউসের অনন্য সৃষ্টি—The Code Of The Woosters. সেবা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া এর সাবলীল অনুবাদ—জীভস অভ অল ট্রেডস। . কাহিনি-সংক্ষেপ: ধনী বারট্রাম উসটারের খানসামা জীভস। গত কয়েক বছরে বারট্রাম এমনভাবে জীভসের ওপর নির্ভর করতে শিখেছে যে, জীভসের কথা সে বিনাবাক্যব্যয়ে মেনে নেয়। জীভসও তার মগজ ধোলাই করে বারট্রামকে প্রতিনিয়ত বুদ্ধি সাপ্লাই দেয়। . কাহিনি শুরু হয় একজন জাঁদরেল আইনজীবীর মাধ্যমে। একবার এক অনুষ্ঠানে হেলমেট চুরি করার অপরাধে সেই আইনজীবী, অর্থাৎ স্যার ওয়াটকিন বেসেটের কাছে পাঁচ পাউণ্ড জরিমানা গুণতে হয় বারট্রামকে। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই বারট্রামের সঙ্গে মোলাকাত হয় তাঁর। . বারট্রামের ফুফু মিসেস ট্রেভার্স একটি ছোটখাটো কাজ দেন বারট্রামকে। কাজটা কিছুই না, মিস্টার ট্রেভার্স, তথা একজন একনিষ্ঠ অ্যান্টিক সংগ্রহীতের একটি গরুর মূর্তি দেখে আসা, এবং দোকানদারের সঙ্গে বাতচিত করে সেটার দাম কমানো। সেই দোকানে গিয়েই স্যার ওয়াটকিনকে দেখতে পায় বারট্রাম। অ্যান্টিক সংগ্রহের বাতিক আছে তারও। এর কয়েকঘণ্টা পরেই মিস্টার ট্রেভার্সকে লেটারস ক্লাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে লবস্টার খাইয়ে অসুস্থ করে ফেলে ওয়াটকিন। তারপর সে নিজেই কিনে নেয় মূর্তিটা। . প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো, স্যার ওয়াটকিন বেসেটের মেয়েকে ভালোবাসে বারট্রামের গোসাপপ্রিয় বন্ধু গাসি ফিঙ্ক নোটল। বেসেট ও তাঁর সহযোগী রডরিকের অপকর্ম নিয়ে সে একটা নোটবুক ভরিয়ে ফেলে। ভুলক্রমে সেই নোটবুক গিয়ে পড়ে বেসেটের ভাতিজি স্টিফির কাছে। স্টিফি ভালোবাসে গ্রামের সহজসরল পাদ্রী হ্যারল্ড পিঙ্কারকে, যে একই সাথে পাদ্রী এবং বারট্রামের আদি ও অকৃত্রিম বন্ধু। . গাসির সঙ্গে মেডেলিনের বাগদান প্রায় ভেঙে যাবার উপক্রম। গাসি তাই আমন্ত্রণ জানায় বারট্রামকে, স্যার ওয়াটকিন বেসেটের বাড়িতে যাবার জন্য। সেখানে যাবার আগে মিসেস ট্রেভার্স বারট্রামকে ব্ল্যাকমেইল করেন, এবং বলেন, বারট্রাম যদি ওয়াটকিনের কাছ থেকে গরুর মূর্তিটা ছিনিয়ে আনতে না পারে, তাহলে মহান রন্ধনশিল্পী আনাতোলের রান্নার স্বাদ চিরতরে তার মুখ থেকে মুছে যাবে। . স্যার বেসেটের বাড়িতে গিয়েই এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়ে বারট্রাম। স্টিফি নোটবুকটা দেবার বিনিময়ে বারট্রামকে সেই গরুর মূর্তিটা চুরি করতে বলে। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়ে যখন অস্থির বারট্রাম, তখন সে জানতে পারে, গাসির সঙ্গে মেডেলিনের বাগদান দ্বিতীয়বারের মতো ভেঙে গেছে। . এতসব সমস্যার মধ্যে হাজির হয় জীভস। নোটবুকটা উদ্ধার করার উপায় বাতলে দেয় সে। রডারিক স্পোডকেও ব্ল্যাকমেইল করার ব্যবস্থা করে। ফলে রডারিক চলে আসে বারট্রামের দলে। প্রিয়তমা স্টিফির মনজয় করার উদ্দেশ্যে কনস্টেবল ওটসের হেলমেট চুরি করে আনে হ্যারল্ড। সেই হেলমেট স্টিফি চাপিয়ে দেয় বারট্রামের সুটকেসে। . জীভসের বুদ্ধিমতো কাজ করে আশানুরূপ ফল পেলেও গাসির বোকামি আর স্টিফির শয়তানি মগজের ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে যায়। ওয়াটকিন নিজেই গাসির বিয়ে ভেঙে দেন। মিসেস ট্রেভার্স ওয়াটকিনের সংগ্রহশালা থেকে গরুর মূর্তিটা চুরি করে আনেন, এবং সেটি গছিয়ে দেন বারটির কাঁধে। . আবারও জীভস বাঁচায় বারটিকে। কিন্তু তাদের তখনও জানা ছিল না, বারটির সুটকেসে এখনও ওটসের হেলমেট আছে। শেষমেশ বারটিকে চুরির অপরাধে ধরে সাজা দেন স্যার বেসেট। . এরপর...? . পাঠ প্রতিক্রিয়া: উত্তমপুরুষের জবানিতে লেখা এই উপন্যাসটি পড়ে মনে হয়েছে খুবই উন্নত মানের রম্য গল্প। রম্য গল্প বলতে যা বোঝায়, ভাঁড়ামো, কিছু উদ্ভট কথা বলে লোককে হাসানোর ব্যর্থ প্রয়াস; এই উপন্যাসে সেটির ছিঁটেফোঁটাও ছিল না। এটাকে ক্লাসিক্যাল রম্য গল্প বললেও ভুল হবে না। পড়তে-পড়তে আমি জীভসের বুদ্ধি দেখে অকারণেই হেসে উঠেছি, আবার বারট্রামের দুর্যোগ দেখেও হেসেছি। প্রহসনের মতো হয়তো কিছুক্ষণ পরপরই পাঠককে হাসাতে পারেননি লেখক, কিন্তু যেভাবে সূক্ষ্ম হিউমারের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মানের বিচারে ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রম্য গল্প। . এবার অনুবাদ প্রসঙ্গে আসা যাক। অনুবাদের মান খুবই ভালো হয়েছে। পড়ে মনে হয় যেন অনুবাদ নয়, মৌলিক গ্রন্থ পড়ছি। ইচ্ছে করেই গল্পে কঠিন-কঠিন কিছু শব্দ ঢুকিয়ে দিয়েছেন অনুবাদক, যাতে গল্পটি আরো সরেস হয়। সবমিলিয়ে অনুবাদের মান ভালোই। . ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.৯/৫.০ . লেখক পরিচিতি: স্যার পেলহ্যাম গ্রেনভিল ওডহাউস ১৮৮১ সালের ১৫ অক্টোবর ইংল্যান্ডের গিলফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় রম্য লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট বাবার ছেলে ওডহাউস লেখাপড়া করেন ডালউইচ কলেজে। ব্যাংকের চাকরির একঘেয়েমিতা থেকে মুক্তি পেতে লেখালেখি শুরু করেন, এবং কালজয়ী চরিত্র জীভস-এর জন্ম দেন। মিউজিক্যাল কমেডিও তাঁর অন্যতম সাহিত্যক্ষেত্র। রাজনীতির রোষানলে পড়ে ১৯৪৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করতে হয় তাঁকে, যদিও তাঁর অধিকাংশ লেখার পটভূমি ইংল্যান্ড। ১৯৭৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কের সাউদাম্পটনে মৃত্যুবরণ করেন কালজয়ী এই সাহিত্যিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা: থ্যাঙ্ক ইউ জীভস, ক্যারি অন জীভস, লর্ড এমসওয়ার্থ।
Was this review helpful to you?
or
আমাদের ছোট বেলায় এত এত প্রকাশনী ছিল না। ভরসা ছিল সেবা প্রকাশনী। সেবার অনুবাদ একেবারে প্রথম থেকেই নাম্বার ওয়ান। এই বইয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধন্যবাদ জানায় অনুবাদক, সম্পাদক এবং অবশ্যই প্রকাশককে। জীভস এর কথা আর কি বলবো। আমার মনে হয় পি জি ওডহাউসের "জীভস" সংক্রান্ত বই পড়ে কেউই মুখ গোমড়া করতে পারবেন না। বেউলফ সিনেমাটা আগে দেখা ছিল; অনুবাদও ভালো লেগেছে। দুইটি ভিন্ন স্বাদের বই এক মলাটে। পাঠকদের প্রতি পড়ার অনুরোধ রইলো।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_নভেম্বর বইঃ জীভ্স্ অভ অল ট্রেডস লেখকঃ পি. জি. ওডহাউস রূপান্তরঃ ডিউক জন প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ২০১৬ ধরণঃ রম্য পৃষ্ঠাঃ ৩২৬ লেখক পরিচিতিঃ স্যর পেলহ্যাম গ্রেনভিল ওডহাউস(পি.জি. ওডহাউস) কে বিশ শতকের অনন্য রম্য লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮৮১সালে ১৫অক্টোবর ইংল্যান্ডের গিলফোর্ডে জন্ম নেন এই ইংরেজ ঔপন্যাসিক। ডালউইচ কলেজে কাটে ওডহাউসের সুখময় কৈশোরকাল। আর এই সুখস্মৃতিরই প্রভাব পড়ে তাঁর সারা জীবন হাস্য রসে ভরা রচনাগুলোতে। কিশোর উপন্যাস দিয়ে শুরু করলেও, পরবর্তী তে স্যাটোয়ারের দিকে ঝুঁকেন তিনি। সৃষ্টি করেন কালজয়ী কিছু কিছু চরিত্র। সে চরিত্রগুলোর মধ্য জীভস ও বারট্রাম উসটার বেশ জনপ্রিয়। কাহিনী সংক্ষেপঃ বিখ্যাত ইংরেজ লেখক পি. জি. ওডহাউসের সৃষ্ট অমর দুই চরিত্র হলো বারট্রাম উসটার ও জীভ্স। বারট্রাম ধনুকবের, প্রচুর টাকা ও ধন-সম্পদের মালিক। কিন্তু আদতে একদম অলস ও ভিতু। তাছাড়া বন্ধু বৎসল বিধায় প্রতিবারই সে নানান ধরণের সমস্যা জড়িয়ে যায়। আর জীভস হলো উসটারের খানসামা মানে পরিচারক। জুতো সেলাই থেকে শুরু করে চণ্ডীপাঠ সব কিছুতেই সে ওস্তাদ। ঠাণ্ডা মাথার জীভ্স মারাত্মক বিপদেও বিচলিত হয়না, সকল সমস্যার সমাধানকারী সে।উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এমন সব উপায় বাতলে দেয় যে রীতিমত অবাক হতে হয়। জীভ্সরই মজাদার সব কাণ্ডকারখানা নিয়ে এই বই। ভাঁড়ামো নয়, নির্ভেজাল হিউমারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বারটি অর্থাৎ বারট্রাম উসটার সবকিছুতেই নিজেকে বিসর্জন দিয়ে অন্যজনের বিপদআপদে দৌড়ায়। আর এটা করতে গিয়েই সে পরে মহাফাপরে। সে নিজেই তলিয়ে যায় গভীর বিপদে। সমস্ত বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য তার খানসামা জীভ্স এগিয়ে আসে। জীভসের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে রক্ষা পায় বারটি(বারট্রম উসটার)। কিন্তু কথায় আছে স্বভাব কখনওই পরিবর্তন হয়না আর কপালে বিপদ থাকলে কেউই ঠেকাতে পারেনা। তাই এক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আরেক সমস্যায় নতুন করে জড়িয়ে পড়ে বারটি। জরুরি ভিত্তিতে টেলিগ্রাম পেয়ে টটলেস টাওয়ার্সে গিয়ে প্রাচীন এক গরু মূর্তি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নোটবই কে কেন্দ্র করে একের পর এক জটিল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে সে। ভুল বোঝাবুঝি, হাতাহাতি, ব্ল্যাকমেইল, চুরি, বিয়ের প্রস্তাবসহ একের পর এক ঘটনার শিকার হয়ে জালে আটকা পড়ে। শেষ পর্যন্ত জীভসের বুদ্ধির জোরেই রক্ষা পায় সে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আপনি রিডার্স ব্লকে ভুগছেন?? অনেকদিন যাবত বই পড়তে পারছেন না? কিংবা আপনার মন খারাপ? খুব হাসির কোন বই পড়তে চান? যেটা ঠিক রম্য নয়, তবে পড়তে পড়তে ফিক করে হেসে ফেলবেন, এমন? তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। আগে কখনওই ওডহাউসের বই পড়া হয়নি। এটাই প্রথম। বইটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। পুরো বইটা লেখক এত সুন্দর সাবলীল ও হাস্যকর করে তুলেছেন যে ৩২৬পৃষ্ঠা বই পড়ে একটুও বোরিং লাগেনি। বইয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ হারানোর উপায় নেই। প্রতিবারই বারট্রাম উসটারের ঝামেলায় জড়ানো ও তা থেকে উদ্ধার হওয়া সবগুলোই লেখক কৌতুকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। জীভসের উপস্থিত বুদ্ধিতে রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি। ভাবছি এমন চমৎকার একটা বই আরো আগে পড়া উচিত ছিলো। এই বইটা পড়ে জীভস ও বারট্রাম উসটারকে নিয়ে লেখকের লেখা অন্যান্য বইগুলোও পড়তে ইচ্ছা করছে। আশা করছি ওগুলোও পড়ে ফেলবো। আর অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল ছিলো। পড়ার সময় মনেই হবেনা অনুবাদ পড়ছেন। মনে হবে কোন মৌলিক বই পড়ছেন। পড়ার ধ্যানে ছিলাম বলে বানান ভুল চোখেই পড়েনি। বইটা সব বয়সী এবং সকল ধরণের পাঠকেরই ভালো লাগবে আশা করি। রেটিং:- ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ চতুর্থ পর্বঃ ২ বইঃ জীভ্স্ অভ অল ট্রেডস লেখকঃ পি. জি. ওডহাউস রূপান্তরঃ ডিউক জন প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ২০১৬ ধরণঃ রম্য পৃষ্ঠাঃ ৩২৬ রকমারি মূল্যঃ ১০৪টাকা . #লেখক পরিচিতিঃ স্যর পেলহ্যাম গ্রেনভিল ওডহাউস(পি.জি. ওডহাউস) কে বিশ শতকের অনন্য রম্য লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮৮১সালে ১৫অক্টোবর ইংল্যান্ডের গিলফোর্ডে জন্ম নেন এই ইংরেজ ঔপন্যাসিক। ডালউইচ কলেজে কাটে ওডহাউসের সুখময় কৈশোরকাল। আর এই সুখস্মৃতিরই প্রভাব পড়ে তাঁর সারা জীবন হাস্য রসে ভরা রচনাগুলোতে। কিশোর উপন্যাস দিয়ে শুরু করলেও, পরবর্তী তে স্যাটোয়ারের দিকে ঝুঁকেন তিনি। সৃষ্টি করেন কালজয়ী কিছু কিছু চরিত্র। সে চরিত্রগুলোর মধ্য জীভস ও বারট্রাম উসটার বেশ জনপ্রিয়। . #কাহিনী_সংক্ষেপঃ বিখ্যাত ইংরেজ লেখক পি. জি. ওডহাউসের সৃষ্ট অমর দুই চরিত্র হলো বারট্রাম উসটার ও জীভ্স। বারট্রাম ধনুকবের, প্রচুর টাকা ও ধন-সম্পদের মালিক। কিন্তু আদতে একদম অলস ও ভিতু। তাছাড়া বন্ধু বৎসল বিধায় প্রতিবারই সে নানান ধরণের সমস্যা জড়িয়ে যায়। আর জীভস হলো উসটারের খানসামা মানে পরিচারক। জুতো সেলাই থেকে শুরু করে চণ্ডীপাঠ সব কিছুতেই সে ওস্তাদ। ঠাণ্ডা মাথার জীভ্স মারাত্মক বিপদেও বিচলিত হয়না, সকল সমস্যার সমাধানকারী সে।উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এমন সব উপায় বাতলে দেয় যে রীতিমত অবাক হতে হয়। জীভ্সরই মজাদার সব কাণ্ডকারখানা নিয়ে এই বই। ভাঁড়ামো নয়, নির্ভেজাল হিউমারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বারটি অর্থাৎ বারট্রাম উসটার সবকিছুতেই নিজেকে বিসর্জন দিয়ে অন্যজনের বিপদআপদে দৌড়ায়। আর এটা করতে গিয়েই সে পরে মহাফাপরে। সে নিজেই তলিয়ে যায় গভীর বিপদে। সমস্ত বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য তার খানসামা জীভ্স এগিয়ে আসে। জীভসের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে রক্ষা পায় বারটি(বারট্রম উসটার)। কিন্তু কথায় আছে স্বভাব কখনওই পরিবর্তন হয়না আর কপালে বিপদ থাকলে কেউই ঠেকাতে পারেনা। তাই এক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আরেক সমস্যায় নতুন করে জড়িয়ে পড়ে বারটি। জরুরি ভিত্তিতে টেলিগ্রাম পেয়ে টটলেস টাওয়ার্সে গিয়ে প্রাচীন এক গরু মূর্তি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নোটবই কে কেন্দ্র করে একের পর এক জটিল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে সে। ভুল বোঝাবুঝি, হাতাহাতি, ব্ল্যাকমেইল, চুরি, বিয়ের প্রস্তাবসহ একের পর এক ঘটনার শিকার হয়ে জালে আটকা পড়ে। শেষ পর্যন্ত জীভসের বুদ্ধির জোরেই রক্ষা পায় সে। . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আপনি রিডার্স ব্লকে ভুগছেন?? অনেকদিন যাবত বই পড়তে পারছেন না? কিংবা আপনার মন খারাপ? খুব হাসির কোন বই পড়তে চান? যেটা ঠিক রম্য নয়, তবে পড়তে পড়তে ফিক করে হেসে ফেলবেন, এমন? তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। আগে কখনওই ওডহাউসের বই পড়া হয়নি। এটাই প্রথম। বইটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। পুরো বইটা লেখক এত সুন্দর সাবলীল ও হাস্যকর করে তুলেছেন যে ৩২৬পৃষ্ঠা বই পড়ে একটুও বোরিং লাগেনি। বইয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ হারানোর উপায় নেই। প্রতিবারই বারট্রাম উসটারের ঝামেলায় জড়ানো ও তা থেকে উদ্ধার হওয়া সবগুলোই লেখক কৌতুকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। জীভসের উপস্থিত বুদ্ধিতে রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি। ভাবছি এমন চমৎকার একটা বই আরো আগে পড়া উচিত ছিলো। এই বইটা পড়ে জীভস ও বারট্রাম উসটারকে নিয়ে লেখকের লেখা অন্যান্য বইগুলোও পড়তে ইচ্ছা করছে। আশা করছি ওগুলোও পড়ে ফেলবো। আর অনুবাদ অত্যন্ত সাবলীল ছিলো। পড়ার সময় মনেই হবেনা অনুবাদ পড়ছেন। মনে হবে কোন মৌলিক বই পড়ছেন। পড়ার ধ্যানে ছিলাম বলে বানান ভুল চোখেই পড়েনি। বইটা সব বয়সী এবং সকল ধরণের পাঠকেরই ভালো লাগবে আশা করি। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪/৫ রিভিউ লিখেছেনঃ রাশেদা আররিন রুমি
Was this review helpful to you?
or
আপনি কি রিডার্স ব্লকে ভুগছেন? কিংবা বই পড়তে একঘেয়েমি এসেছে? তবে আপনার এখন জীভ্স্ এর সাথে পরিচয় একান্ত প্রয়োজন। এই জীভ্স্ আবার কে? সেটা একটু পরে বলছি। ব্যক্তিগতভাবে কিছুদিন যাবত একটানা ক্লাসিক আর থ্রিলার পড়তে পড়তে পড়ার আগ্রহে মরচে ধরেছিলো। ঠিক এমন সময় এই বইটি আমার জন্য হজমীকারক হিসেবে কাজ করেছে। মাথায় যে রিডার্স ব্লকের যে মেঘ ঘুরাঘুরি করছিলো, সেখানে "জীভ্স্ অভ অল ট্রেডস" - যেন এক পশলা বৃষ্টি বা দমকা হাওয়া। যার কারণে মেঘ উড়ে গিয়ে পুনরায় পড়ার উদ্দম ফিরে পেয়েছি। আসুন পরিচয় করিয়ে দিই জীভ্স্ নামের অদ্ভুত এই মানুষটির সাথে। সব কাজের কাজী বলতে যা বোঝায়,তা-ই হলো জীভ্স্। আদতে সে বারট্রাম উসটার নামক সম্ভ্রান্ত এক ধনী ব্যক্তির খানসামা। কিন্তু তার কর্মপরিধি জুতো সেলাই থেকে শুরু করে চন্ডীপাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত। জীভ্স্ ঠান্ডা মাথার এক রত্ন,বিপদেও যে সামান্যতম বিচলিত হয়না। কোন বিপদে আটকা পড়েছো,আরে জীভ্স্ আছে তো! কোন কুকর্ম করে ফেঁসে গেছো, ছুটো জীভ্স্ এর কাছে! কোন কিছুতেই বুদ্ধি পাচ্ছো না কীভাবে কী করবে? জীভ্স্ যা বলে শুনে যাও! কাঁধ থেকে কোন ঝামেলা নামাতে হিমশিম খাচ্ছো? জীভ্স্ এর কাঁধে তুলে দাও। জীভ্স্ উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এমন সব সমাধান বাতলে দেয় যে 'সাধু! সাধু!' না করে উপায় থাকেনা! মনিব বারট্রাম উসটার আর জীভ্স্ এর মজার সব কর্মকান্ড নিয়েই এই বই। উসটার তার ডালিয়া ফুফুর কারণে এক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার সংক্রান্ত ব্যাপারে জড়িয়ে যায়। আর মরার ওপর খারার মত যোগ হয় একটি বিস্ফোরক নোট বই।কীভাবে কী হবে? জীভ্স্ এবার কীভাবে এই মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করবে তার মনিবকে? প্রথমেই বলেছি বইটি আমার জন্য হজমী বড়ির মতো। এত বেশি মজা পেয়েছি যা বলার নয়! ভাঁড়াবো না,বুদ্ধি আর কৌতুক যে এতটা হাসির উদ্রেক করতে পারে তা অবিশ্বাস্য! বইটি পড়ার মুহূর্তে পুরোটা সময় মুখে মুচকি হাসি লেগেই ছিলো। আর একটু পরপর হো হো করে ঘর ফাটানো হাসি তো আছেই! আচ্ছা আপনারাই বলুন, যদি দুইজন মানুষ একে অন্যকে সম্বোধন করে এসব বলে - তরুণ ফিতাকৃমি,প্রাচীন কলকব্জা কিংবা কিম্ভুত! তখন কি না হেসে উপায় আছে? ডিউক জন ভাইয়ের অনুবাদ আগেও পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানেও তিনি দুর্দান্ত কাজ দেখিয়েছেন। বুঝতেই পারছেন রম্য কাহিনীতে রস ঠিকমতো বজায় রাখতে না পারলে এতটা মজা পেতাম না। মনে হবে মৌলিক পড়ছেন। অবশ্য সেবার বই অসাধারণ অনুবাদ,সেটা উল্লেখ না করলেও চলে। আমি জীভ্স্ কে বলি মগজ সম্রাট। আপনাদেরকেও এই মজার মানুষটির সাথে পরিচিত হবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। লেখক পরিচিতিঃ গুগোল করে পি.জি.ওডহাউস - এর ব্যাপারে তেমন কিছু জানতে পারিনি। বাধ্য হয়ে বইয়ের প্রথমে উল্লেখিত অংশটুকু থেকে কিছুটা তুলে ধরলাম। পুরো নাম পেলহ্যাম গ্রেনভিল ওডহাউস। তাঁকে গণ্য করা হয় বিংশ শতকের অনন্য রম্য লেখক হিসেবে। প্রতিভাবান এই ইংরেজ ঔপন্যাসিকের জন্ম ইংল্যান্ডে। সুখময় কৈশোরকাল কেটেছে তাঁর। এই সুখস্মৃতিরই প্রভাব পড়েছে তাঁর সারাজীবনের হাস্য রসে ভরা রচনাগুলোতে। কিশোর উপন্যাস দিয়ে লেখক জীবনের শুরু হলেও পরবর্তীতে স্যাটায়ারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সৃষ্টি করেন কালজয়ী কিছু চরিত্র। তারই একটি হচ্ছে - জীভ্স্। সেবা থেকে তার তিনটি বই অনুদিত হয়েছে - ১.থ্যাঙ্ক ইউ, জীভ্স্ ২. ক্যারি অন,জীভ্স্ ৩.লর্ড এমস্ওয়ার্থ