User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, অতুলনীয়, অসামান্য। ???
Was this review helpful to you?
or
কোথাও একটা চাপা কষ্ট, অব্যক্ত অনুভূতি, একটা অপূর্ণতা রয়ে গেলো গল্পের শেষে। গল্পটা বেশ সুন্দর। I like It.
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া রেবেকা ও আমেরিকায় থাকা এক অবৈধ অভিবাসী পাশা র গল্প। সেই সাথে বিদেশের মাটিতে প্রবাসী মানুষগুলোর একাকীত্ব ও অসহায়তার গল্প। গল্পের শেষের দিকে একটা চিঠি পড়ে মুগ্ধতায় ডুবে গেছি। আহা, কি প্রেম, বিশ্বাস, সমর্থন! প্রিয়তমেষু, তুমি পিএইচ,ডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছ শুনে বেশ অহংকারই হলো।সাধারণ এক বি এ পাশ ছেলের পিএইচডি স্ত্রী। কি সর্বনাশ! রেবেকা, এটা একটা চমৎকার সুযোগ! আমার মতো দরিদ্র মানুষ তো তোমাকে আমেরিকা পাঠিয়ে পড়াশোনা করাতে পারবে না।নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতায় তুমি তা অর্জন করেছো।কি করে তুমি ধারণা করলে তোমার এই যোগ্যতার আমি দাম দেব না? এই দীর্ঘদিন একা একা থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে,তোমারও হবে।দুঃখ তো পৃথিবীতে আছেই বলো?" যখন পৃথিবীর সবাই একটা মেয়েকে তার স্বপ্ন পূরণ করতে সমর্থন করছে না , তার পরিবারের মানুষগুলো সরে যাচ্ছে তার পাশ থেকে তখন মেয়েটার জীবনসঙ্গীটি এত দূর থেকেও শক্ত করে মেয়েটাকে চাঁদকে স্পর্শ করার স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করছে। এটাই তো ভালোবাসা!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
শোঅফ এর জন্য কিনেছি শুধু ?
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "নক্ষত্রের রাত" প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের এই অসম্ভব সুন্দর বইটি এই মাত্র পড়ে শেষ করলাম। খুব ভালো লাগেছে। সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে নাসিম এর চরিত্র টি। খুব কম ছেলেই এমন হয়। এক কথায় অসাধারণ একটি বই। হুমায়ূন আহমেদের জন্যেই আমারা পাঠকরা এতো ভালো, সুন্দর বই পড়তে পারছি।
Was this review helpful to you?
or
'নক্ষত্রের রাত' উপন্যাসটি আগে একবার পড়েছিলাম। অনেকদিন আগে। সেবার এই উপন্যাসের কিছু বিশেষ দিক এবং ভালো লাগার দিক চোখ এড়িয়ে গেছিল। দ্বিতীয়বার পড়ার পর সেগুলো চোখে পড়ল। এই উপন্যাসটি রেবেকা নামক একটি মেয়ে আর পাশা নামের এক অ্যামেরিকা প্রবাসী প্রায় মধ্যবয়স্ক লোককে নিয়ে। বিশেষ একটি কোর্স কর্যে আমেরিকায় এসেছে রেবেকা। কিন্তু এয়ারপোর্টে পা রাখার পর থেকেই সে যেন অথৈ জলে পড়ে যায়। কি করতে হবে না হবে, কোন দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না সে। এয়ারপোর্ট থেকে এক তরুণী কর্মচারী বুদ্ধি করে বাংলাদেশী হিসাবে পাশাকে খবর দেয়। পাশা মধ্যরাতে রেবেকাকে নিতে আসে এয়ারপোর্টে। এভাবেই দুজনের পরিচয়। এরপর রেবেকা যোগ দেয় তায় কোর্সে। সেখানে দারুণ পারফর্ম করে সে। আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় সে। নিজে থেকে যেচে' পাশার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। একটা সময় হয়ত পাশার প্রতি তার মনে ভালোবাসাও জন্মায়। ওদিকে রেবেকা সুযোগ পায় পিএইচডি করার। কিন্তু সেজন্য তাজে চার পাঁচ বছর আমেরিকাতেই থাকতে হবে। রেবেকার বাড়ির লোক এতে রাজি না। কিন্তু রেবেকার নিজের খুব ইচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় ভূমিকা রাখবে তার স্বামী, যার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল আমেরিকায় আসার মাত্র সাতদিন আগে। রেবেকার পাশাপাশি পাশার ব্যক্তিগত কাহিনীও উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। পাশা একজন প্রোগ্রামার যে কম্পিউটারে গেম বানায়। তার কোন চাকরি নেই। ছয় মাস বসে একটা গেম বানিয়েছে সে। গেমিং কোম্পানি যদি তার গেম না কেনে, তাহলে মাত্র অল্পকিছু ডলার নিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হবে তাকে। অথচ তার ঘাড়ে দেশে ডলার পাঠানোর বিশাল বোঝা। তার উপরই নির্ভর করে আছে তার বড় ভাইয়ের বিশাল পরিবার। এখন কি করবে সে? যদি তার গেম বিক্রি না হয়, তাহলে তো সব দায়িত্ব এড়াতে তাকে 'ডুব' দিতে হবে! ডুব দেয়ার পেছনে আরও একটা কারণ আছে। সে নিজেও যে রেবেকা নামের মেয়েটির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। শেষ পর্যন্ত কি পরিণতি হবে তার? রেবেকা আর পাশা - এই দুজনের জীবন কাহিনী আর শেষ পরিণতি জানতে হলে পাঠককে পড়তেই হবে 'নক্ষত্রের রাত' উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের ভালোলাগার জায়গার কথা বলছিলাম শুরুতে। ভালোলাগাটা সৃষ্টি হয়েছে লেখকের কিছু ডিটেইল ওয়ার্ক থেকে। প্রথমত, প্রবাস জীবনে এসে দেশের প্রতি বাংলাদেশীদের মনে কতটা আবেগ তৈরি হয় সেটা দেখিয়েছেন লেখক। কিন্তু সেই আবেগ যে বড়ই ঠুনকো, সেটাও ফুটে উঠেছে কিছু ঘটনায়। যেমন রেবেকার উগ্র দেশপ্রেম দেখে তার এক অধ্যাপক যখন তার দেশের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের নিশ্চুপ অবস্থান কিংবা বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার কোন প্রতিবাদ না করার দিকগুলো তুলে ধরেন, তখন রেবেকাকে চুপ করে যেতে হয়। কারণ তার অধ্যাপক যা বলেছেন সেগুলো তো ঠিকই। বিদেশে এসে স্বভাবতই হোম সিকনেসের কারণে তার মনে দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তার মানেই তো এই নয় যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। তাই যদি হত তাহলে তারা নিশ্চয়ই এরশাদের সামরিক শাসন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিত। পরবর্তিতেও দেখা যায় দেশের প্রতি রেবেকার উথলে ওঠা আবেগ এক সময় স্তিমিত হয়ে যায়। প্রথমদিন আমেরিকায় এসে তার কিছুই ভাল লাগছিল না কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই জীবনে বড় কিছু হবার উচ্চাকাংখা নিয়ে সে আমেরিকায় পিএইচডি নিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, এই দুইটি ঘটনার মাধ্যমে হয়ত দেশপ্রেমকে কিছুটা ছোট করা দেখানো হয়েছে। কিন্তু আসলে তা না। কঠিন বাস্তবতাটাকেই অতি সাবলীল ভাষায় কিছু ঘটনার বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন লেখক। দ্বিতীয়ত, রেবেকার এক অধ্যাপকের স্ত্রী লুসির চরিত্রের মাধ্যমে অ্যামেরিকানদের শীতলতাকে তুলে ধরেছেন লেখক। কিন্তু তারাও যে কতটা আবেগপ্রবণ এবং তারাও যে ভালবাসতে জানে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে ক্রিসমাসের সময় সন্তানদের কাছে না পাওয়া এবং মৃত এক সন্তানের প্রতি লুসির মনে উদ্ভূত দুঃখের বহিঃপ্রকাশ থেকে। তৃতীয়ত, পাশার কাছে আসা তার আত্মীয়দের চিঠির মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন অ্যামেরিকা প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ও সাহায্যের উপর বাংলাদেশের কিছু পরিবার কিরকম ওতপ্রোতভাবে নির্ভরশীল। আর বেশি কথা বাড়াব না। যারা আলোচ্য উপন্যাসটি পড়েন নাই এখনো, আশা করি আমার এতক্ষনের আলোচনা তাদেরকে উৎসাহিত করবে বইটি পড়তে।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের "নক্ষত্রের রাত" -একই নামে টিভি নাটকটি আমার ভীষণরকম প্রিয়। প্রতিটি পর্ব বহুবার দেখা! বিশেষ করে শেষটুক। আমি কতদিন যে শমী কায়সারের কষ্টের অভিনয় দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছি তার হিসাব নেই। এখনো কাঁদি! খুব অবাক করার কথা হলো এই বইটার একদম শেষের দিকে এসে আমি একটা ছোট্ট চিঠি পড়ে আবার ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছি- তবে কষ্টে না মোটেও, আনন্দে!