User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
sundr boi,recommended ?
Was this review helpful to you?
or
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের চাওয়া, পাওয়া, শখ,বাসনা,ভালোলাগা এই সবকিছু সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। রাবেয়ার মতো বোন প্রতিটি ভাইয়ের থাকা প্রয়োজন। এই উপন্যাস পড়েছি আর আবেগ আপ্লূত হয়েছি। কি সুন্দর একটি পরিবারের মিলব্ন্ধন ও চাওয়া পাওয়া। মন্টু,রাবেয়া,খোকা..... কতই না সুন্দর তাদের একে অপরের প্রতি আগলে রাখার টান। হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম উপন্যাস এটি।
Was this review helpful to you?
or
boi ar story sundor, but aro besi kichu asa koresilam
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
one of the best works of this legendary writer
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
আপনার মন যদি খুব বেশি ভালো থাকে, মন খারাপের কোনো উপকরণ যদি না পান তাহলে এই পইটি পড়ে দেখতে পারেন। তাঁর অধিকাংশ বই ই সাধারণ মানুষের সাথে রিলেইটেবল। তাই বইটি পড়ার সময় বাহু বার কেঁদেছি।
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় বই
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বইটি জীবন থেকে নেওয়া
Was this review helpful to you?
or
গুদ
Was this review helpful to you?
or
the story was really great
Was this review helpful to you?
or
ওনার প্রথম প্রকাশিত দুইটি বই এর মাঝে এইটা ও একটি.... অনেক ভালো লাগলো..
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো।
Was this review helpful to you?
or
মন খারাপের কারন
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই। সাবলীল ভাষায় রচিত।
Was this review helpful to you?
or
fabulous fiction❤️
Was this review helpful to you?
or
দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে লেখা
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
very interesting family drama
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book
Was this review helpful to you?
or
নন্দিনী নরকের পর হুমায়ূন আহমেদের এটি শ্রেষ্ঠ বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
One of the best books by H.A.
Was this review helpful to you?
or
Best story I read among the writings of Humayun Ahmed
Was this review helpful to you?
or
অন্য রকম একটি বই,ভালো লাগল।
Was this review helpful to you?
or
Shonkhonil Karagar is one of the most mentionable books of Humayun Ahmed, written in his student life. This book gained high praise during that time. Even now, people love to mention this book at their first priority list. Shonkhonil Karagar is written upon the middle-class family of Bangladesh. The ups and downs of a joint family are portrayed through the plot. The story is centered around the family of Shirin Sultana and Azhar Hossein. They have poverty derived from money, but they have no poverty in their heart. The family was full of happiness with their children Rabeya, Khoka, Jhontu, Montu, Runu, Jhunu and the younger sister Ninu. But one day, the family falls in darkness. A vicious storm distracted them. But why? How was that? If you want to know, you should read Shonkhonil Karagar.
Was this review helpful to you?
or
"দিতে পার একশ' ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।" উপন্যাসের শুরুতেই হাহাকারময় বাক্যগুলো যেন বুঝিয়ে দেয় কোনো ইচ্ছেকে পূর্ণ করার প্রবল আকুতি।গল্পের রাবেয়া আপাকে আমার নিজের বড়দির মতোই মনে হয়েছে। বড় বোনগুলো কীভাবে যে হত স্বার্থহীন হয় কে জানে? পঞ্চম অধ্যায়ে এসে হঠাৎ করে রুনু মারা গেল! লেখক কত সহজ ভাষায় লিখে দিয়েছে "রুনু মারা যাবার পরে" এত কষ্টকর, হৃদয় বিদারক,কঠিন কথাটা লেখক এত সহজ ভাবে কি করে লিখলেন আমি এখনো সেটাই ভাবছি। বইটা কেন আগে পড়লাম না সেটা নিয়েও বিস্তর ভাবনা-চিন্তা চলছে। খুব কষ্টময়,হৃদয়-বিদারক একটা বই ঘোর কাটতে অনেকটা সময় লেগে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
কারা কানন’ নামের বাড়ী থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। সেই বাড়ীর উনিশ বছর বয়সী মেয়ে যে রোজ সকালে ছাদে উঠে হারমোনিয়ামে গলা সাধতেন। ছাদের চিলেকোঠায় আশ্রিত থাকতেন বি.এ পাস চাকরি প্রার্থী আজহার হোসেন। গোপনে মনে মনে পছন্দ করতেন ছাদে তালিম নেওয়া মেয়েটিকে। হয়তো অনেক ভালোবাসতেন আর নিজের করে চাইতেন বলেই একদিন তিনি পেয়ে যান স্বপ্ন-কন্যা শিরিন সুলতানাকে। হতদরিদ্র, বেকার আজহার দেড়শো টাকা ভাড়ার এক বাসায় বিবাহিত জীবন শুরু করেন স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে। অবশ্য কন্যা সন্তানটি শিরিন সুলতানার আগের সংসারের। তার আগের স্বামীর নাম ছিল আবিদ হোসেন। শিরিন সুলতানার অতীত বলতে কন্যা সন্তানটি (রাবেয়া)। দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে সংসারে আসে বড় ছেলে খোকা, তারপর রুনু, ঝুনু, মন্টু এবং শেষমেশ নিনু। নিনু জন্ম নেওয়ার সময় ২৩ বছর সংসার জীবনের ইতি টানেন শিরিন সুলতানা। এই ২৩ বছরে তিনি কখনো বাবার বাড়িতে যাননি, গানপাগল মানুষটি ভুলেও গান গায়নি। বিবাহ বিচ্ছেদ আর অপূরনীয় স্বপ্নের জন্যই হয়তো স্বাভাবিক হতে পারেনি। আজহার হোসেন একঘেয়েমি ধরনের মানুষ। সবসময় হিনমন্যতা এবং চুপচাপ স্বভাবের মানুষ। স্ত্রী গত হওয়ার পর তিনি হাসি-খুশি জীবনে ফিরে আসে। সম্ভবত তিনি ভাবতেন উচ্চবংশের এম.এ পড়া গানপাগল মেয়ের স্বামী হওয়ার যোগ্য নন। এজন্যই এতোদিন আড়ালে ছিলেন। বড় ছেলে (খোক) কলেজের প্রফেসর। কিটকি নামের খালাতো বোনকে ভালবাসত, কিন্তু প্রকাশ করতে পারেনি। সে ভেবেছিলো কিটকিও তাকে ভালবাসে। কিন্তু হঠাৎই কিটকির বিয়ে হয়ে যায়। মায়ের ভালবাসা অনুভব করার সুযোগ হয়নি খোকার। এজন্য তার মনে গভীর বেদনা ছিল। কাছের বন্ধু বলতে বড় বোন রাবেয়া। বিয়ের বয়স পাড় হলেও বিয়ে হয়নি রাবেয়ার। সেকারনেই তার আগে ছোট বোন রুনুর বিয়ের কথা ওঠে। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির জন্য মনসুরের সাথে বিয়ে হয়না। বিয়েটা হয় ঝুনুর সাথে। সেই কষ্টে ভুগতে থাকে রুনু। বুক ভরা কষ্টে পরপারে চলে যায় রুনু। কালো চেহারার জন্য ছেলেরা রাবেয়াকে মা কালী বলে ডাকতো। এদুঃখে সে আর কলেজে যায়নি। পড়াশুনা বাদ দিয়েও আবার নতুন করে কলেজে ভর্তি হয়, পড়াশুনা করে চাকরি নেয় স্কুলে। আজহার হোসেন মেয়ের জন্য ফর্সা করার ক্রীম sevenday beauty programme কিনে দেন। যেটা ছিল রাবেয়ার কাছে প্রচন্ড মূল্যবান। ঠিক যেন বিশ টাকার এক কৌটো ভালবাসা। কিন্তু সে জানতো আজহার হোসেন তার জন্মদাতা নয়। এগারো বছর বয়স থেকেই সে এই সত্যটা জানে। বুক অবধি কষ্ট চেপে, বুকের হাড়গুলো কষ্টের চাপায় ক্ষয়প্রাপ্ত হলেও সে কখনো প্রকাশ করেনি। শুধু কষ্টে পুড়ে পুড়ে দেহের পর্দাগুলো ছাই করে ফেলেছে। তবে এক হৃদয়স্পর্শী চিঠিতে বহুদিনের পুরনো কষ্টের কথা লিখে জানায় তার সবচেয়ে কাছের মানুষ খোকাকে। সে চিঠির প্রতিটি শব্দে থাকে তার নিজের কষ্টের ইতিহাস, অনুতপ্তের ইতিহাস, মায়ের কথা, বাবার কথা, আবিদ হোসেনের কথা, রুনু, ঝুনু, মন্টু, নিনু আর খোকার কথা। সংসারের মধ্যে মন্টু একেবারেই ভিন্ন। পত্রপত্রিকায় তার লেখা ছাঁপা হয়। দুইটা বইও রয়েছে তার। ছোট্ট নিনুও নিজের দুনিয়ায় নিজের মত করে বেড়ে উঠছে। ‘দিতে পারো একশো ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ – একদিন আকাশে কিছু ফানুস ওড়াই’। পুরো বইটিতে চুপচাপ মানুষের ভেতরেও যে কতগুলো অব্যক্ত চাহিদা থাকে, ভালবাসার তাগিদে দেহের মধ্যে যে হাহাকার, দেহের কলকব্জাগুলোয় যে ঝং পরা, মনের থোকেথোকে অসঙ্গতিগুলোই যেন প্রকাশ পায় দুটো লাইনে। দুটো পঙক্তিমালা প্রতিটি চরিত্রের ভাস্কর্য। পরিবারের এতগুলো মানুষ কাছাকাছি থেকেও জানতে পারেনি কারো না পাওয়ার ব্যাথা, বিরহের কথা, অনুতপ্তের কথা, প্রিয়মুখের হারিয়ে যাওয়া মিষ্টি কথা। কারণ উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রই নিজেকে ঘিরে এক অদৃশ্য দেয়াল তৈরী করেছিলো। যে দেয়ালের মধ্যে কেউ কখনো প্রবেশ করতে পারেনা, যে দেয়ালের ভেতরের কথাগুলো প্রকাশ পায়না, অনুভূতিগুলো ধুঁকে ধুঁকে শ্বাসকষ্টে মরে, ইচ্ছা আকাঙ্খাগুলো ছুঁয়ে দেখার কেউ নেই – এই অদৃশ্য দেয়ালের নামই ‘শঙ্খনীল কারাগার’।
Was this review helpful to you?
or
এখানেই হুমায়ূন আহমেদ।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটি মানুষের জীবন যেন এক একটি চার দেয়ালে ঘেরা ঘর। যে ঘরে যেকারো অনধিকার প্রবেশ নিষেধ, একদম নিষেধ। সে ঘরে জীবনের সকল সাদ আহ্লাদ, হাসি কান্না কুঁড়ে কুঁড়ে মরে। তবু কেউ তা দেখতে পারবেনা। যেন কোনো অদৃশ্য দেয়াল দিয়ে একটি কারাগার তৈরী করে রেখেছে। আর এই কারাগার-ই হল "শঙ্খনীল কারাগার"। যেসব মানুষরা কষ্ট করতে পারে, দুঃখ পেতে পারে, কিন্তু সেসব কথা কারো কাছে বলতে ভীষণ লজ্জাবোধ করে এ গল্প তাদের। যেসব মানুষরা নিজেদের সমান্যতম আনন্দোও সবার সাথে ভাগাভাগি করতে পারে, এ গল্প তাদের। গল্পে তেমনই একটি নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। রাবেয়া হঠাৎ করে একদিন কলেজ থেকে এসে বলে 'আমি আর কলেজে যাবো না। বাবা বললেন, কেন যাবে না? কেউ কিছু বলেছে? কোনো ছেলে চিঠি ফিঠি দিয়েছে? রাবেয়া বলে না এমনি যাবো না। অনেক কথার পর মার কাছে বলে, ছেলেরা আমাকে মা কালি বলে। বলেই সে কি কান্না। রাবেয়ার গায়ের কালো ছিলো। আর ছেলেরা তাঁর গায়ের রংটাই দেখলো। রাবেয়া এমনিতে সারা বাড়ি হইহই করলেও ভীষণ লাজুক একটা মেয়ে'। রাবেয়া এই সংসারের বড় মেয়ে। রাবেয়া এমন একটি মেয়ে, যে মেয়ের মুখ বাংলার প্রায় প্রতিটা নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে দেখা যায়। সেকি মমতা, আদর, যত্ন, সবার প্রতি নজর রাখা। আহা! গল্পের কথক 'খোকা'। খোকারা ছয় ভাই বোন। রাবেয়া, খোকা, মন্টু, রুনু, ঝুনু, নিনু। প্রতিটা চরিত্র আমার কাছে খুব আপন লাগে। খোকার বাবা আজাহার সাহবে একজন সাধারন এবং সামান্য আয়ের সরকারি চাকুরে। বিয়ে করেছেন শিরীন সুলতানা নামের অভিজাত এক মেয়েকে। তাদের সম্পর্কটাও শুরু হয় খুব অদ্ভুত ভাবে। শিরীন সুলতানা যেমন ছিলেন সুন্দরী তেমনি ছিলেন না না গুনের অধিকারীনি। তিনি রোজ সকালে তাদের 'কারা কানন' নামের বিশাল বাড়ির ছাদে গানের রেওয়াজ করতেন। সে বাড়ির চিলেকোঠায় ভাড়া থাকতেন আজাহার সাহেব। ঐদিন আজাহার সাহেবের শিরীন সুলতানার একটা গান মনে ধরে। গান শেষ হতেই তিনি তাঁর কাছে গিয়ে বলেন 'প্লিজ এই গানটা আবার গান না, প্লিজ' তারপর থেকে কোনোদিন তিনি আর গান গাননি। এমনকি বিয়ের ২৩ বছরেও গান গাননি। অদ্ভুত না? শিরীন সুলতানা অভিজাত ঘরের মেয়ে বলেই হয়তো আজাহার সাহেবের সাথে ঠিক তেমন ভাবে মিশতে পারেনি। কিন্তু তবু এসেছিলো আজাহার সাহেবের সাথে 'কারা কাননের' সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২৩ বছরে একটি বারও যায়নি বাবার বাড়ি। শুরু হলো ১৫০ টাকার ভাড়া ঘরে তাদের নতুন সংসার। আজাহার সাহেবের সাথে শিরীন সুলতানার সম্পর্ক যেমনই থাকুক, আজাহার সাহেব কিন্তু তাঁকে ভীষণ ভাবে পছন্দ ও শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর ছোটোবেলায় একটি গানের রেকর্ড বের হয়। সেটা তিনি শেষ সময়ে এসে শুনতে শুনতে দুফোঁটা চোখের পানি ফেলেন। খোকা বড় হয়, একটা কলেজের প্রফেসরি করে। ছোট বোনকে বিয়ে দিলো। সংসার দেখ ভালো করে যাচ্ছে। কিন্তু নিজে? হ্যা সেও পছন্দ করে খালাতো বোন কিটকি কে। কিটকিও পছন্দ করে তাঁকে। তারপরও কোথাও যেন এক অদৃশ্য দেয়াল থাকে। রুনুর বিয়ে ভেঙে যায় খুব সামান্য একটা কারনে। কিন্তু রুনু তার দাদাকে (খোকা কে তার ভাই বোনরা দাদা ডাকতো) উল্টো শান্তনা দেয়। খোকা সহ পরিবারের সকলে তাতে আঘাত পান। কিন্তু রুনু তার চার দেয়ালের ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দিলো না। সোবহান সাহেব নামের এক ভদ্রলোক ছোটোবেলা থেকেই রাবেয়ার সাথে পরিচয়। সেই ক্লাস থ্রি থেকে। সোবহান সাহেব খুবই বড়লোক এক মানুষ। প্রায় তাঁর গাড়িতে করে রাবেয়া ঘুড়ে বেড়াতো। প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর রাবেয়া তাঁর দেখা পেত। কিন্তু মনেহত যেন রাবেয়ার জন্যই এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন তিনি। এই সোবহান সাহেবকে দেখে আজাহার সাহেব চমকে যান কেন? আর প্রায় ৩০ বছর পর বিদেশ আবার কেন সোবহান সাহেব দেখা করতে আসেন? কি সম্পর্ক রাবেয়ার সাথে? ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖ আসলে আমি বইটার সম্পর্কে কি লিখবো, কতটুকু লিখবো সেটা নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। কারন এখানে প্রতিটা চরিত্র এত গুরুত্বপূর্ণ যে কাকে বেশী প্রাধান্য দিবো বুঝতে পারিনা। ৮৫ পৃষ্ঠার বইটা হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই। প্রকাশ করা হয় ১৯৭৩ সালে অন্য প্রকাশ থেকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো স্যারের প্রথম লেখা এই 'শঙ্খনীল কারাগার'। কিন্তু প্রথমে প্রকাশ করা হয় 'নন্দিত নরকে' (১৯৭২ সালে) বইটি। কি দাপটের সাথে বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করেন এই লেখক তার প্রমান তো নন্দিত নরকের পাঠক প্রিয়তা দেখেই বলা যায়। কিন্তু একটু ভাবুনতো কোনো লেখের প্রথম লেখা কেমন হবে? হ্যা ঠিক, একটু সাদামাটা। হ্যা একদম ঠিক, শঙ্খনীল কারাগার তেমনই একটি সাদামাটা কাহিনী। কিন্তু কি আশ্চর্য লেখন শৈলী, হালকা চালে বলে যাওয়া কাহিনী, কিন্তু পড়তে পড়তে চোখের কোনে কখন যে গরম নোনা পানি চলে আসলো সেটা টেরই পেলাম না।
Was this review helpful to you?
or
মাঝে মাঝে নিজেকে খোকা মনে হয়
Was this review helpful to you?
or
বই: শঙ্খনীল কারাগার লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: অন্য প্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০০৯ পৃষ্ঠা: ৮৫ প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী মুদ্রিত মূল্য: ২০০৳ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন উপজীব্য খুব সাদামাটা কাহিনী তবে যেন প্রতিদিনকার রুটিন মাফিক চিত্র চোখের সামনে ভাসমান শঙ্খনীল কারাগারে। বাবার বাড়ি থেকে চলে আসার পর আর তেমন কোন যোগাযোগ হয় নি খোকার মায়ের ২৩ বছরে। চার পয়সার দূরত্বে হাতের নাগালে থেকেও যেন অনেকটা দূরের ছিল সে সম্পর্ক। একদিন যেমন কোন শিকড়ের টান ছাড়া বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিল নিনুর জন্মের মধ্য দিয়ে সব টান আকারহীন করে সেখানেই নিশ্চিতে ঘুমিয়ে গেছে। মেয়েদের গায়ের ররং যতটা কালো হলে মায়েরা মেয়েদের শ্যামলা বলে তার থেকেও কালো ছিল রাবেয়া। তবে খুব লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে, বাবার সংসারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের কোন সংসার গড়া হয়নি। নিনুকে মানুষ করতে করতে মাতৃত্বের স্বাদ নিয়েছে। রুনু, ঝুনু, বাবা আর খোকার সংসারে যেন চাঁদের হাট ছিল। উত্তম পুরুষে বর্ণিত খোকার জীবনে হাজার সুখ অনেকটা অপ্রাপ্তি আবার এক চিলতে ভালবাসা ছিল খালাত বোন কিটকী। ছোট বেলার খুনসুটি থেকেই যেন মনের এককোনে ভালবাসার খুপরি ঘর বেঁধেছিল। মেয়েটাও হয়ত ভালবাসত খোকাকে তবে তা কেবল বড় ভাইয়ের স্থানেই তার অবস্থান। রুনু, ঝুনু যেন এক বিন্তের দুটো ফুল। একজনের হাসি কান্না যেন অন্যজনের চোখে মুখে মিশে একাকার। রুনুর প্রেমিক পুরুষের সাথে দেখা যায় ঝুনুর একসময় বিয়ে হয়ে যায়। কি এক অচানা রোগে রুনুটাও সকলের মায়া ত্যাগ করে মায়ের পথে পাড়ি জমায়। 'দিতে পার একশ ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।' মন্টুর লেখা এ দু'চরণেই যেন পুরো উপন্যাসের কাহিনীটাই প্রকাশ পায়। প্রথম প্রথম নিজের লেখা নিয়ে লজ্জা সংকোচ থাকলেও বেশ কয়টি কবিতার বই বের হয় পুরস্কারও অাসে। এতকিছুর পরেও কোথায় যেন একটা সূক্ষ্ম শূণ্যতা ছিল। মায়ের বিয়ের ঘোর লাগা কাহিনীটা বরাবরই অস্পষ্ট ছিল। যা সুদীর্ঘ এক চিঠিতে খোলসা করে বড় বোন রাবেয়া, রাবেয়ার জন্ম পরিচয়ও সেই গোপনীয়তার একটা অংশ। প্রাঞ্জল কাহিনী অার অকপট বর্ণনাভঙ্গির মাত্র ৮৫ পৃষ্ঠার শঙ্খনীল কারাগার যেন সমাজের এক বাস্তব চিত্র।
Was this review helpful to you?
or
কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষন্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: শঙ্খনীল কারাগার লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রথম প্রকাশ: ১৯৭৩ প্রকাশক: খান ব্রাদার্স (প্রথম প্রকাশক) প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী মূল্য: ১৭৬ টাকা পৃষ্ঠাঃ ৮৬ ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম উপন্যাস এটি হলেও ১৯৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় “নন্দিত নরকে” এর মাস ছয়েক পর প্রকাশিত হয় “শঙ্খনীল কারাগার” ১৯৭৩ সালে ...। কাহিনী সংক্ষেপঃ উপন্যাসের শুরু দিকে খোকা, রাবেয়া, মন্টু ঝুনু,রুনুর মা আর আজাহার হোসেনের স্ত্রী শিরিন সুলতানা তার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান নিনু কে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। শিরিন ছিলেন বেশ অভিজাত পরিবারের মেয়ে, নিজেদের বাড়িতে আশ্রিত আজাহারকে বিয়ে করে দেড়শ টাকার একটা ছোট্ট ভাড়া বাসায় ওঠেন ... কেবল মাত্র এই কারনেই শিল্পী হয়ে ওঠা হয়নি তার হয়তোবা। গান ভালবাসা এই মানুষ মনের ভুলেও গুন গুন করেননি...। নিজেকে কোন এক অজানা খোলসে আবৃত করে রেখেছিলেন। বাবার বাড়ির কেউ বলতে ছোটোবোনের সাথে ও তার মেয়ে কিটকির শিরিনের যোগাযোগ রয়েছে... বড় ভাই মাঝে মধ্যে আসেন। দীর্ঘ ২৩ বছরের সংসারে বাবার বাড়িতে পা রাখেননি কেন যেন।। আপন বলতে কেবল বড় মেয়ে রাবেয়ার প্রতি এক অন্যরকম টান।। যেদিন শ্রিন মারা গেলেন, তার বাবা এসে মেয়ে কে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন...। ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন “কারা কানন” এ, শিরিনের নিজের দেয়া নাম “কারা কানন” ...............।। জেলখানার শিকের ফাকে বন্দী বাগান??? হঠাৎ চুপচাপ থাকা আজাহার সাহেব আমূল বদলে যান...... খোকা ভালবাসে খালাতো বোন কিটকিকে, হয়তো কিটকিও।। কেউ কাউকে কিছু না বলার জন্য বিয়ে হয়ে যায় তার একদিন...... কালো মেয়ে বলে অবিবাহিত থেকে যায় রাবেয়া, পুরো সংসারের ছায়া হয়ে ছিল... রুনুর বিয়ে মনসুরের সাথে ঠিক হলেও ভেঙ্গে যায়?? কেন?? রুনুর বদলে বিয়ের পিঁড়িতে কে বসবে?? একদিন রুনু হারিয়ে যায় গল্প থেকে... ছোট ছেলে মন্টু কবি, বইয়ের পর বই বের হতে থাকে তার... আজাহার সাহেব নতুন নতুন কাজে মন দেন......।। এরপরে রাবেয়া পড়ালেখা শুরু করে দীর্ঘদিন পরে। পড়াশোনা শেষে সব ছেড়ে চলে যায় ময়মনসিংহ। এক গার্লস কলেজের হোস্টেলসুপার হয় রাবেয়া? কেন??? কি থেকে সে পালাল?? কিসের থেকে ? কার থেকে?? সেখান থেকে এক চিঠি লেখে খোকা কে। চিঠিতে রহস্য উন্মোচিত হয় এক বড়রকমের? কি আছে সেই চিঠিতে? প্রতিক্রিয়াঃ মধ্যবিত্ত জীবনের এক সুনিপুন প্রতিচ্ছবি। প্রতি শব্দ, প্রতি লাইন মধ্যবিত্তদের জীবনের এক একটি দিন...।। ভালো লাগার মত একটা বই......।। অদ্ভুত মুগ্ধতার একটা বই.........। কোন বাড়তি অনুষঙ্গ নাই, বাড়তি প্রলাপ নেই......।। একটা লাইন বোধহয় সবার খুব প্রিয়, সবারই ..................।। "দিতে পারে একশ ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই!" আসলেই ১০০ ফানুস উড়াতে চাই আমি, কেমন লাগবে দেখতে??? ১০০ ফানুসে রাতের আকাশ? এই বইটি অবলম্বনে নাটকও আছে। নাটক টি দেখলাম, কিন্তু বইটা শেষ করে, বেশ পরিবর্তিত আছে, তবে বই পড়ার মত অনুভূতি নাটক-সিনেমা কভার করেনা............ নাটকটি সুন্দর কিন্তু বই থেকে অনেক অনেক আলাদা বলেভালো না লাগতেও পারে, তবে খারাপ ও না, কেউ আগে নাটক দেখে থাকলে বইটা ভাল লাগবে না। পড়া উচিৎ সবার বইটা ।। রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: শঙ্খনীল কারাগার লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রথম দিব্য প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০০৫ প্রকাশক: দিব্যপ্রকাশ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ প্রধান চরিত্র: খোকা, রাবেয়া, আজহার হোসেন, শিরিন সুলতানা, আবিদ হোসেন, রুনু, ঝুনু, মন্টু, নিনু, কিটকি কাহিনী সংক্ষেপ: "কারা কানন" নামের এক অভিজাত বাড়ির মেয়ে ছিলেন শিরিন সুলতানা। অনেক বড়লোক বাড়ির মেয়ে ছিলেন তিনি। আবিদ হোসেন নামের এই ভদ্রলোকের সাথে প্রথম তার বিয়ে হয় এবং রাবেয়ার জন্ম হয়। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি ঘটে। আজহার হোসেন শিরিন সুলতানাদের বাড়িতে আশ্রিত থাকতেন। গ্রামের কলেজ থেকে বি.এ পাস করে চাকরি খুজঁতে আসেন শহরে। আশ্রিত এই ছেলেটিকে বিয়ে করে দেড়শ টাকার এক ভাড়া বাসায় মেয়েকে নিয়ে উঠে আসেন শিরিন। তারপর একে একে জন্ম হলো খোকা, রুনু, ঝুনু, মন্টু আর সবার শেষে নিনু। কিন্তু এই নিনুকে জন্ম দিতে গিয়েই মারা যায় শিরিন সুলতানা। দীর্ঘ এই তেইশ বছরে একদিনের জন্যও নিজের বাবার বাড়ি পা রাখেন নি তিনি। নিজের ভেতর গুটিয়ে নিয়ে ছিলেন নিজেকে। গান পাগল এই মানুষটি ভুলেও কোনদিন গান করেন নি এই তেইশ বছরে। ভালবাসতে পারেন নি স্বামী, সন্তানদের। শুধু মাত্র রাবেয়ার জন্য এক ধরনের মমতা ছিলো তার। আজহার সাহেব মানুষটি এই সংসারে থেকেও যেন ছিলেন না। চুপচাপ আর সারাক্ষণ কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকতেন। শিরিন সুলতানা মারা যাওয়ার পর তিনি হাসিখুশি ব্যক্তিতে পরিণত হন। খোকা যে কিনা এ সংসারের বড় ছেলে। কলেজের প্রফেসর। মনে মনে ভীষণ ভালবাসত খালাতো বোন কিটকিকে। কিন্তু মুখ ফুটে বলার সাহস কখনো হয় নি। বিয়ে হয়ে যায় কিটকির। রাবেয়ার বিয়ের বয়স পার হয়ে যায় কিন্তু বিয়ে হয় না কালো বলে। তার বিয়ে যে আর হবেও না সবাইই তা জানে। তাই ছোট বোন রুনুর বিয়ে ঠিক হয় ছোট বেলার খেলার সাথী মনসুরের সাথে। কিন্তু কোন এক কারণে বিয়েটা ভেঙে যায় এবং ঝুনুর সাথে মনসুরের বিয়ে হয়। মানসিকভাবে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে এক সময় মৃত্যুবরণ করে রুনু। ছোট ছেলে মন্টু পড়াশোনায় ভালো না হলেও সে এখন একজন কবি। তার বই প্রকাশিত হয়, পত্রিকায় লেখা ছাপা হয়। সে তার নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। রুনুর মৃত্যুর পর রাবেয়া আবার পড়াশোনা শুরু করে। পড়াশোনা শেষে সব ছেড়েছুড়ে চলে যায় ময়মনসিংহ। এক গার্লস কলেজের হোস্টেলসুপার হয় রাবেয়া। সেখান থেকে এক হৃদয়স্পর্শী চিঠি লেখে খোকাকে। কি আছে সেই চিঠিতে????? পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন স্যারের এই বই নিয়ে আসলে কিছুই বলার নেই। ভীষণ সুন্দর একটি বই। যে কখনোই হুমায়ূন স্যারের লেখা পড়ে নাই সে এই বই পড়ে স্যারের ভক্ত হয়ে যাবে। বইটি মধ্যবিত্ত সংসারের এক প্রতিচ্ছবি। মনের অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমে। বইয়ের রেটিং ১০/১০। ভালো লাগার লাইন: "দিতে পারে একশ ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই!"
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা "কারা কানন" বাড়িটির বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে উপন্যাসটির গড়ে উঠা। বেশকিছু চরিত্র তাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা করে নিয়েছে। শিরিন সুলতানা,আজহার সাহেব, রাবেয়া আপা,খোকা। শিরিন সুলতানা উনিশ বছর বয়সী গানপ্রেমী বড়লোক ঘরের মেয়ে আজীবন বন্ধনে বেধেঁ যায় এক নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে আজহারের সাথে। বিয়ের এতো বছরেও শিরিন সুলতানা বাবার বাসায় যায়নি,গানপ্রেমি গানের প্রেমে আর পরেনি নিজের সামনে তৈরি করে নিয়েছিল এক বিশাল অদৃশ্য দেয়াল। শিরিন আর আজহারের সংসারে একে একে খোকা,রুনু,ঝুনু,মন্টু এবং সবশেষে নিনু যাকে জন্ম দিতে যেয়ে তেইশ বছরের সম্পাতি ঘটিয়ে শিরিন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায়। শিরিন সুলতানা যাওয়ার পর আজহার সাহেব খোলামেলা হওয়া শুরু করে তার এক আপন আলাদা জগৎ তৈরী হতে থাকে। বাড়ির বড় মেয়ে রাবেয়া আপা বা রাবু আপা। যিনি মায়ের মৃত্যুর পর পরম মমতায় মায়ের মতো করে তার পাঁচ ভাই বোনকে আগলে রাখেন। বাড়ির বড় ছেলে খোকা সবার অভাব অভিযোগ শোনা যার কাজ। কলেজে ছাত্র পড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে বাড়ি ফিরলে সবাই সবার যতরকম সমস্যা আছে তা নিয়ে বসে পরে খোকা ভাইকে শোনাবে বলে। খুব চুপচাপ আর লাজুক বলে কখনো নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেনা। মা মারা যাবার সময়ও বলতে পারেনি মাকে কত্ত ভালোবাসতো। খালাতো বোন কিটকিকেও কোনদিন মনের কথা সাহস করে বলতে পারেনি। তার একমাত্র বন্ধু তার বড় বোন রাবেয়া। আর পিঠাপিঠি দুই বোন রুনু-ঝুনু। রুনুর বিয়ে ঠিক হয় মনসুর এর সাথে কিন্তু এক ভুল বুঝাবুঝির কারনে মন্সুর এর সাথে ঝুনুর বিয়ে হয়ে যায়ে। ফলে একসময় রুনু পাগলের মতো হয়ে যায়, সারাক্ষণ হাসে, হঠাৎ কাঁদে। কিন্তু কেওই বুঝতে পারত ন না। রুনুর পরিণতিটাও হয় খুব করুণ। তারপর ছোট দুটা ভাই-বোন মন্টু আর নিনু। মন্টুও একসময় বড় হয়ে পত্রিকা অফিসের সহ-সম্পাদক হয়। বেশ ভালো বেতন, নামী ব্যাক্তি সে। নিনুও নিজের আলাদা জীবন গড়ে তুলে। তার সামনেও তৈরি করে নেয় এক নিজস্ব অদৃশ্য দেয়াল। একসময় রাবেয়া নতুন করে পড়াশোনা শুরু করে দূরের স্কুলে চাকরী নেয়। একদিন একটি চিঠির মাধ্যমে তার একমাত্র বন্ধু খোকাকে তার জীবনের করুণ ঘটনা সব বলে। কিন্তু বড়ই আশ্চর্যনীয় একই পরিবারে একইসাথে থেকেও কেও কারোর কথা বুঝতে পারেনা।সবাই সবার বিশাল ব্যস্তময় জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই।মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ।আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষন্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি। উপন্যাসটি পড়ার পর বিষণ্ণ মন ভীষণভাবে একটি কথাই মনে করে "দিতে পারো একশ ফানুশ এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ-একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই!!" হুমায়ুন আহমেদের অমর সৃষ্টি শঙ্খনীল কারাগার এর পরিবারের মানুষগুলোর সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে চিনতে বইটি পড়ুন
Was this review helpful to you?
or
Good Book!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ ? কেন জানি রাবেয়ার চরিত্রটির মাঝে বারবার যেতে ইচ্ছে করছে। রাবেয়ার চিঠিতে কেমন জানি একটা মায়া আছে যা চোখের অশ্রুর বাদকে খুলে দেয়।পাশাপাশি রুনুর হটাৎ মৃত্যু পাঠকের পড়ার স্পৃহা বাড়িয়ে তোলে। ............................মো.ফাহিম ইসলাম।
Was this review helpful to you?
or
This book is classic.
Was this review helpful to you?
or
পারিবারিক কাহিনী আত্নার সর্ম্পক মাঝে মাঝে রক্তের সর্ম্পকেও হার মানায়
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
অতি সামান্য একটা গল্প কত সহজে অসামান্য হয় তার বাস্তব প্রমাণ এই উপন্যাসটি। এতে হুমায়ূন আহমেদ যে গল্পটি বলেছেন মনে হয় আমাদেরই গল্প। এই গল্পে কোথাও মিশে আছি আমি নিজেই খোকা কিংবা মন্টু। আমার বোন রাবেয়া, রুনু, নিনু। শিরিন আক্তার যেন আমাদেরই কারো মা। বাবার তুলনা নাই করলাম। এই গল্পটা অনেকদিন বেঁচে থাকবে বাঙালি হৃদয়ে। সব মিলে পড়ার মতো একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
Onno rokom ekta boi. Tobe pore valo lagse.Real life based story. Kono hero heroine nai ,main character nai. Kintu porte moja lagse.
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউঃ বইঃ শঙ্খনীল কারাগার লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরিঃ উপন্যাস প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ৮৫ মূল্যঃ ১৭৬ টাকা রিভিউঃ উপন্যাসটির কথক খোকা, যে উপন্যাসের শুরুতে ছিল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া এক ছাত্র। কথক তথা খোকার বড় পরিবার। তাদের বাড়ির নাম- "কারা কানন"। বাবা মা সাথে বড় বোন রাবেয়া, ছোট এক ভাই মন্টু, আর ছোট দুই বোন রুনু, ঝুনু। বড় বোন রাবেয়ার বয়স হলেও বিয়ে হয়নি। সে দেখতেও ভালো নয়। তাই হয়তো তাকে পছন্দ করে না। বা সে নিজেও পছন্দ করে না। তাই তার এখনো বিয়ে হয়নি। তার বিয়ে করার ইচ্ছেও নেই। খোকার মা শিরিন সুলতানার বাড়িতেই আশ্রিত ছিলেন খোকার বাবা। তারপর ঘটনাক্রমে বিয়ে হয়ে যায় তাদের। সেই থেকে ছোট একটা বাড়িতেই আছেন তারা৷ দীর্ঘ সংসার জীবনে আর কখনো বাবার বাড়ি জাননি তিনি। শুধু ছোট খালার সাথে এখনো সম্পর্ক আছে খোকাদের। আর বড় মামা হয়তো আসেন মাঝে মাঝে। ছোট খালার মেয়ে কিটকিকে ভালো লাগে খোকার। কে জানে হয়তো কিটকিরও ভালো লাগে। নিনুকে জন্ম দিতে গিয়ে হাসপাতালে মারা যান শিরিন সুলতানা। তারপর কেমন বদলে যান বাবা। হাসিখুশি হয়ে উঠেন। মায়ের অভাব তারা ততখানি বোধ করে না। হয়তো মা তাদের দূরে দূরে রেখেছিল বলেই এমনটা হয়েছে। রুনুর বিয়ে ঠিক হয় মনসুর নামের ছেলেটার সাথে। কিন্তু ঘটনাক্রমে বিয়ে হয় ঝুনুর সাথে। বিয়ের দিন সব থেকে বেশি আহ্লাদ করে রুনু। কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়ে রুনু। শেষে সবাইকে রেখে চলে যায়। তারপর কেমন বদলে যায় সব কিছু। বড় হয় যায় সবাই। মন্টু কবিতা লেখে, সে এখন পত্রিকার সম্পাদক। ঝুনু শ্বশুর বাড়িতে। বিয়ে হয়ে গেছে কিটকির। নিনুটা কেমন পাকা পাকা কথা বলে। বড় হচ্ছে সেও। আর রাবেয়া- সে এখন একটি মেয়ে হোস্টেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট। কেমন বদলে গেল সব। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ- দূঃখের কথা, বদলে যাওয়ার কথা জানতে পড়ে ফেলুন- হুমায়ূন আহমেদের লেখা- "শঙ্খনীল কারাগার"। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একটি অসাধারণ গল্প। যেখানে আছে সুখ-দূঃখের মিশেল অনুভূতি। অসম্ভব ভালো একটি উপন্যাস। শুধু খাপছাড়া লেগেছে নিনুর বড় হওয়াটা। হুট করেই যেন বড় হয়ে গেল সে। লেখক তেমন কোনো বর্ণনা দেন। যাইহোক লেখকের প্রথম লেখা তাই এটা মার্জনীয়। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
কি অসামান্য একটি বই! বইটির কাহিনী আমাদের জীবন থেকেই নেওয়া। নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের দৈনন্দিক টানাপোড়েনের গল্প। লেখক তাঁর অনবদ্য লেখনীর মাধ্যমে পুরো বইটিকে একটা মায়ার চাদরে জড়িয়েছেন। তবে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেছে রাবেয়া। বইটি পড়ার পর মনে এক ধরণের হাহাকার তৈরী হয়েছে। ৮৫ পৃষ্ঠার একটা বইয়ে এত আবেগ কিভাবে থাকা সম্ভব? পড়ে শেষ করার পর অন্যরকম এক তৃপ্তিতে ভরে উঠবে মন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ একটি সাহিত্যকর্ম"শঙ্খনীল কারাগার" ।নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের সুখ-দুঃখের গল্প নিয়ে এর কাহিনী।ছয় ছেলে-মেয়ে নিয়ে শিরিন সুলতানা ও আজহার হোসেনের সংসার। উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে শিরিন সব ছেড়েছুড়ে দরিদ্র আজহার হোসেনের সঙ্গে তাঁর সংসার শুরু করেন। জীবনের অনেক শখ-আহ্লাদই তাঁর পূরণ হয়নি অথবা হওয়ার আগেই তিনি ষষ্ঠ সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। আজহার হোসেনও চুপচাপ স্বভাবের। ছয় ভাই-বোনসহ বাবাকে নিয়ে পরম মমতায় সংসার সামলায় রাবেয়া। কিন্তু কালো হওয়ায় তার মনে বড় কষ্ট। লাজুক ছেলে খোকা সবার অভিমান-অভিযোগের কথা হজম করে নিলেও তার মনের কথা জানাতে পারে না মনের মানুষটিকে। এরপর পিঠাপিঠি দুই বোনের জীবনেও বাস্তবতা এক বিস্তর ফারাক এনে দেয়। মন্টু কিছুটা প্রতিষ্ঠিত আর নিনু পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। একই পরিবারের মানুষগুলো কাছাকাছি থেকেও যেন কেউ কারোর কষ্ট সম্পর্কে জানে না। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের চারপাশে এক অদুশ্য দেয়াল তৈরি করে রেখেছে। যে দেয়াল টপকে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। ওটা যেন একটি কারাগার, শঙ্খনীল কারাগার।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাস: শঙ্খনীল কারাগার। লেখক:হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ। মূল্য: ২০০ টাকা। রিভিউ: সাগর মল্লিক। দিতে পারো একশো ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস ওড়াই! " শঙ্খনীল কারাগার হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা প্রথম উপন্যাস। কিন্তু প্রকাশ হয় দ্বিতীয় গ্রন্থ হিসাবে। শুধুমাত্র তাঁর অসামান্য চিন্তাশক্তি ও প্রতিভার মধ্য দিয়ে সাহিত্য জগৎকে জানান দেয় তার আগমনী বার্তা।কাঁচা হাতে অসামান্য বর্ণনায় লেখা হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার। প্রতিটি মানুষই তার নিজের চারপাশে এক অদৃশ্য দেয়াল তৈরী করে রাখে, যে দেয়ালের মধ্যে কখনো কেউ প্রবেশ করতে পারে না, যে দেয়ালের ভেতরের কথা গুলো কখনো কেউ জানতে পারে না। এই অদৃশ্য দেয়ালের নামই ‘শঙ্খনীল কারাগার’। উপন্যাসের শুরু হয় প্রকান্ড একটি বাড়ির ছাদে শিরিন সুলতানার গান দিয়ে।সেই বাড়ির চিলেকোঠায় আশ্রিত থাকেন আজহার আলি।হইতো মনে প্রাণে দু জন দুজনকে চাইতো। তাইতো দরিদ্র,সাধা-সিধে সাধারণ আজহার দের’শ টাকা ভাড়ার এক বাসায় তাঁর সংসার শুরু করেন— স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তান কে নিয়ে! এই কন্যা সন্তান টি শিরিন সুলতানার আগের সংসারের। নতুন বাড়িতে অতীত দুঃখ মনে পুষে সংসার শুরু করেন শিরিন সুলতানা। নতুন সংসারে আসে বড় ছেলে খোকা,তারপর রুনু, ঝুনু, মন্টু এবং সর্বশেষ নিনু। নিনু হওয়ার সময় সংসার জীবনের সমাপ্তি করে মারা যান শিরিন সুলতানা। এই তেইশ বছরে তিনি কখনো একবারের জন্যেও তার বাবার বাড়িতে যান নি। গান যার ভালবাসা, সেই মানুষটি ভুল করেও আর কখনো গান করেন নি। আজহার হোসেনও অনেকটা চুপচাপ ধরনের মানুষ।সবসময় হিনমন্যতায় ভোগেন,খুব চুপচাপ স্বভাবের মানুষ হলেও প্রায় সন্ধায় গুনগুন করে গাইতেন তিনি।স্ত্রী মারা যাবার পর তিনি খোলস থেকে বেড়িয়ে আসেন।হাস্যেজ্জ্বল,আড্ডা, গল্পে নতুন ভাবে সংসারে ফেরেন তিনি।উচ্চবংশের এম.এ. পড়া,গান জানা আধুনিক একটা মেয়ের স্বামী হওয়ার যোগ্যতা সত্যিই তার ছিল না।সে জন্য তিনিও নিজেকে চিরকাল আড়াল করে এখন খোলস ছাড়া মানুষ। যার জবানিতেই সমগ্র উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে তিনি হলেন উপন্যাসের বড় ছেলে খোকা।সে এখন কলেজের প্রফেসর।কিটকি নামের তার খালাতো বোনকে ভালবাসতেন তিনি, কিন্তু কখনো ব্যাপার টা প্রকাশ পায় নি। তার ধারনা কিটকিও তাকে ভালোবাসত।সেই কিটকির অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায়।মায়ের ভালবাসা অনুভব করার সুযোগ হয় নি তার। নিজের কথা আর সবার মত সেও লুকিয়ে রাখে।জগৎে তার বন্ধু বলতে বড় বোন রাবেয়া।সেই রাবেয়া জানে খোকার মনে বড়লোক হওয়ার বিশাল বাসনার কথা। বড় বোন রাবেয়া কালো বলে তার বিয়ে হওয়ার সম্ভবনা নেই। সেকারনেই রুনুর বিয়ের কথা হয় মনসুরের সাথে।এক চিঠিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়।সেই বিয়েটা আর রুনুর হয় না। বিয়েটা হয় ঝুনুর। সেই থেকে বদলে যেতে থাকে রুনু। বুক ভরা কষ্ট নিয়েই একসময় মৃত্যু হয় রুনু’র।রুনুর পরিবর্তন এতো ধীর ছিলো যে, কেউ বুঝতে পারেনি সে দিনদিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আজহার আলি মাঝে মাঝে বলতেন রুনুর কথা। সংসারের মধ্যে মন্টু একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির ছেলে।মন্টু যেন তার নিজস্ব দুনিয়ার মানুষ। সে লেখালেখি করে। পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখা ছাঁপা হয়। এমনকি তার দুইটা বইও বের হয়েছে।নিজের দুনিয়া নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে।এখন সে মস্ত বিরাট মানুষ। ছোট্ট নিনুও নিজের এক দুনিয়ায় নিজের মত করে বেড়ে উঠছে। নিজের একটা আলাদা জগতে ধীরে ধীরে তৈরী হতে থাকে। স্বামী স্ত্রীর সাথে নতুন সংসারে যে কন্যা সন্তানটিকে নিয়ে আসে তার নাম রাবেয়া।আগের সংসারের মেয়ে হলেও তার বাবা তাকে খুব ভালোবাসতেন।পাড়ার কোন এক ছেলে তাকে কালো বলায় ফর্সা হওয়ার ক্রিম এনে দেয় বাবা। রাবেয়া চরিত্রটির মাঝে বাংলাদেশের যেকোন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েই খুব সহজে নিজের ছায়া খুঁজে পেতে পারে।উপন্যাসের শেষ দিকে রাবেয়ার চিঠিটি হৃদয়স্পর্শী বর্ণনায় বহুদিনের বহু কষ্টের কথা লিখে জানায় তার সবচেয়ে আদরের ভাই-বন্ধু খোকাকে। সে চিঠি তে থাকে তার নিজের অতীত ইতিহাস।তার পরিবারের কথা। কাহিনী চক্রে ভেসে আসে বড় খালা,বড় মামা,রাবেয়ার বাবা সহ আরো কিছু চরিত্র।কিন্তু প্রতি চরিত্রের মাঝে যেন এক দেয়াল।সকলে সকলকে চিনে।কিন্তু কেও কাওকে বুঝে উঠতে পারে না। উপন্যাসে প্রকাশ পেয়েছে একটি পরিবারের বর্ণনা।একটি পরিবারের হাসি-কান্না,সুখ-দুঃখ।যে পরিবারে এতগুলো মানুষ কাছাকাছি থেকেও কেউ কখনো বুঝতে পারে না কার মনে কি চলছে। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার অবলম্বনে ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার সামাজিক চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মুস্তাফিজুর রহমান।উপন্যাসটি লেখকের অসামান্য প্রতিভার প্রতীকী মাত্র।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-শঙ্খনীল কারাগার লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৫ মূল্য-২০০ প্রকাশনী-অন্যপ্রকাশ নন্দিত নরকের রাবেয়া চরিত্রটা আমার ভীষন পছন্দ । এমন কি আমি তাকে অনুকরন করতাম প্রায়ই। ও যেমন হাতের ছড়ি নাড়িয়ে নাড়িয়ে বার বার বলতো, আজ আমার মন খারাপ। আমি সেটা বলতাম মন খারাপ, আমার শুধুই মন খারাপ। মুখ ভার করে থাকা মেয়েটি মন খারাপের সময় চোখে লেগে থাকতো। বেশ ছোটবেলার কথা। প্রথম যখন নন্দিত নরকে হাতে পাই তখন ক্লাস ফোর-এ পড়ি। খেলতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলেছি। বাসা বন্ধি হয়েছিলাম অনেক দিন। তখন পড়েছি, কিন্তু এখনও আমার মনে পড়ে আমি তখন কিছুই উপলব্দি করিনি। সামনে পেয়েছি, শুধু অক্ষর গুনে পড়ে গেছি এই যা। শঙ্খনীল কারাগার পাই তারও কিছুদিন পর, যখন হুমায়ূন আহমেদকে চিনি। লেখক কে চিনিয়েছিলো আমার ভাইয়া, তার হিমু গিরির ভাব দেখিয়ে। আম্মু তখন উঠতে বসতে লেখক আর আমার ভাইয়ের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধার করেন। শঙ্খনীল কারাগার পড়ার সময়ও আমার কোন বিকার ছিলো না। এরপর যখন আমি বই চিনতে শিখেছি, কিছু সময় গেছে তখন আবার শঙ্খনীল ধরলাম। একটু বুঝেই কেমন জানি পরিচিত লাগলো। আরে এ তো আমি আরো আগে পড়েছি কিন্তু তখন কিচ্ছুই বুঝি নাই। সে সময় আমি হুমায়ূন বলতে অজ্ঞান। মানুষটা এতো সুন্দর লেখে! আমার ছু্ঁয়ে দিতে ইচ্ছা করতো। তখন ধীরে ধীরে বুঝেছিলাম শঙ্খনীলের কারাগার আসলে কি। একটু একটু করে সত্যিই আমাকে অবাক করে দিলো, এই শঙ্খনীল কারাগারের কয়েদি তো আমি নিজেও একজন। গল্পে লেখক একটা পরিবার দেখিয়েছেন। বাবা-মা, ভাই-বোন। সবাই মিলে ৮ জন মানুষের গল্প। সংসারের বড় মেয়ে রাবেয়া। কালো বলে যার বিয়ে হয় নি। তার যে আর বিয়ে হবে, সে সম্ভাবনাও নেই। এর পর খোকা, রুনু, ঝুনু, মন্টু আর নিনু। বাবা আজাহার হোসেন আর মা শিরিনের বিয়েটাও একটা গল্প। শিরিন দের বাড়িতে আজাহার হোসেন থাকতেন। সে সুত্রে আজাহারের সাথে শিরিনের পরিচয়। এরপর বিয়ে। কিন্তু কোন একটা অজানা কারনে, বিয়ের পর শিরিন আর বাবার বাড়ি গেলেন না একদিনও। তাঁর গানের গলা ছিলো বেশ সুন্দর। অথচ বিয়ের পর তার কন্ঠে কোন সুর খেলতে শোনা যায় নি। কোথাও চাপা ছিলো একটা স্পষ্ট অভিমান। কিন্তু কেউ তা টের পায়নি মোটেও। শিরিনের আগে একবার বিয়ে হয়েছিলো। রাবেয়া সে ঘরের মেয়ে। রাবেয়া জানে আজাহার হোসেন তার বাবা নয়, তবুও লোকটা যখন তার জন্য রংফর্সা কারী ক্রিম এনে দেয়। তখন মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসা বেশ তীক্ষ্ণ ভাবেই চোখে পড়ে। তবুও কি নিজের বাবার অভাবোধটা কমে যায়! কেউ কি তা বুঝতে পারে? রাবেয়া তা কাউকে বলেনিও কখনো। একই পরিবারের সব গুলো মানুষ, কিন্তু তাদের মাঝে নিজেরাই নিজেকে নিয়ে বাকিদের থেকে আড়াল থাকে। একই ছাদের নিচে থেকেও কেউ কারো মনে অবস্থা বুঝে না। যেমন, শিরিন যে কেন বিয়ের পর এরকম একপেশে হয়ে গেলেন, তার উত্তর কিন্তু আজহার হোসেন দিতে পারেন না। কারণ, বড় ঘরের মেয়ে হওয়ায় শিরিনকে তিনি সব সময় সমঝে চলতেন। রাবেয়ার বিয়ে হবে না বলেই রুনুর বিয়ের তোড়জোড় চলছিলো, কিন্তু কিছু একটা কারনে যার সাথে রুনুর বিয়ের কথা হচ্ছিলো তার সাথে বিয়ে হলো ঝুনুর। ঝুনু তার শ্বশুর বাড়ি নিয়ে পড়ে রইলো নিজের মতো, এদিকে রুনুর মনে তখন কি চলছে কেউ টের পায় নি পর্যন্ত। মন্টুর কথা যদি বলা যায়, সে একেবারে গন্ডির বাইরের মানুষ। তার নেশা লেখালেখি করা, এ নিয়েই সে পড়ে থাকে। বাকি থাকে নিনু আর খোকা। নিনু তো একেবারে ছোট, তবুও দেখা যায় সেও থাকে তার নিজের মতো। খোকা, এই পুরো গল্পটাই তার জবানিতেই লেখা, সে কলেজের প্রফেসর। তার মাঝেও থাকে কিছু পাওয়া না পাওয়ার গল্প। তা সে কাউকেই বলে নি। এরকম করেই সংসারের প্রতিটি মানুষ থাকে নিজের মতো। খোলসের আবরনে লুকিয়ে রাখে নিজেদের অভাব, মলিন কষ্ট গুলো। যেখানে আর কারো কোন প্রবেশাদিকার নেই। আমরা কি তেমন নই, মধ্যবিত্ত জীবন কি এর থেকে অন্যরকম কিছু? আমরা কি নিজেদের গুটিয়ে রাখছি না অন্যদের থেকে? কাকে জানাচ্ছি নিজের মনের অবস্থা? কে ই বা বুঝতে পারছে আমি কি নিয়ে সময় পার করছি। কেউ না। সত্যিই তো একই ছাদের নিচে দুজন অথচ একটা অদৃশ্য দেয়াল দিয়ে নিজেদের এমন ভাবে আড়াল করে রাখি, কারো বুঝার কোন উপায় নেই কি চলছে সেখানে। উপন্যাসের শেষের দিকে রাবেয়ার একটা চিঠি, তার ছোট ভাই খোকাকে দেয়। সেই চিঠিতে লেখা থাকে রাবেয়ার অব্যক্ত কথা। যা সে এতোদিন কাউকে বলে নি। আর সে চিঠি পড়ে আমার মতো পাঠককে আবেগ স্পর্শ করাটা একদমি স্বাভাবিক। কি বলব! আমি ভাবি এরকম একটা কাহিনী লেখকের প্রথম জীবনে মাথায় আসে কি করে! একেবারে মধ্যবিত্তদের ভেতরকার কথা এতো সহজ ভাবে প্রকাশিত করেছেন।যার প্রতিটি অক্ষর মায়া আর আবেগ দিয়ে মুড়ানো। যেখান থেকে চাইলেও আড়াল করা যায় না। নিজেকে কয়েদি হিসেবে চিহ্নিত করতে এতটুকুও কষ্ট হয়না তখন। প্রতিবার একটা হাহাকার নিয়ে শেষ করি বইয়ের পৃষ্ঠা গুলো।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের প্রথমদিকের উপন্যাস। ছোট হলেও খুবই সুন্দর একটি উপন্যাস। আপনার মন খারাপের দিনে পড়তে পারেন ?
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রথম উপন্যাস। তাই কোনো অবজেকশন নেই।এক কথায় অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
শঙ্খনীল কারাগার বাংলাদেশী লেখক হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের একটি দুর্দান্ত কাজ। ক্লাসিক উপন্যাস বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের পারিপার্শ্বিক জীবনধারা প্রকাশ করে। সহজ এবং আকর্ষণীয়। “সোমেন চন্দের লেখা অসাধারণ ছোট গল্প ‘ইঁদুর’ পড়ার পরই নিম্ন মধ্যবিত্তদের নিয়ে গল্প লেখার একটা সুতীব্র ইচ্ছা হয়। ‘নন্দিত নরকে’ , ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘মনসুবিজন’ নামে তিনটি আলাদা গল্প প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লিখে ফেলি। নিজের উপরে বিশ্বাসের অভাবের জন্যেই লেখাগুলি দীর্ঘদিন আড়ালে পড়ে থাকে। যাইহোক জনাব আহমদ ছফা ও বন্ধু রফিক কায়সারের আগ্রহে ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় মাস ছয়েক আগে। এবারে প্রকাশিত হল ‘শঙ্খনীল কারাগার’। ‘নন্দিত নরকে’র সঙ্গে এই গল্পের কোনো মিল নেই। দুটি গল্পই উত্তম পুরুষে বলা এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের গল্প এই মিলটুকু ছাড়া। নামধাম দুটি বইতেই প্রায় একই রেখেছি। প্রথমত নতুন নাম খুঁজে পাইনি বলে, দ্বিতীয়ত এই নামগুলির প্রতি আমি ভয়ানক দুর্বল বলে। কার্যকারণ ছাড়াই যেমন কারো কারো কিছু কিছু দুর্বলতা থাকে, এও সেরকম। আন্তরিক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু ছাপার ভুল রয়ে গেছে। ভুলগুলি অন্যমনস্ক পাঠকের চোখ এড়িয়ে যাবে এইটুকুই যা ক্ষীণ আশা।” —হুমায়ূন আহমেদ, বৈশাখ ১৩৮০
Was this review helpful to you?
or
স্যার হুমায়ুন আহমেদের সেরা উন্যাস মনে করা হয় এটিকে, পড়ে দেখুন আপনিও তাই মনে করবেন! উপন্যাসটি উত্তম পুরুষে লেখা, এর কথক খোকা- তার বাড়ির নাম ‘কারা কানুন’ তার বাবা মা, বড় বোন রাবেয়া ছোট ভাই মন্টু দুই বোন রুনু ও ঝুনু! রাবেয়া চরিত্রটি বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত প্রা য় চরিত্রের সাথে মিলে যায়! দিতে পারো একশ ফানুশ এনে আজন্ম সজ্জল সাধ, একদিন কিছু ফানুশ আকাশে উড়াই!! একজন লেখক কী করে এতো সুন্দর করে মধ্যবিত্ত পরিবারে জীবন তুলে ধরে আমাদের কল্পনার বাহিরে! মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো কতটা অভীনয় করে জীবন যাপন করে বইটি না পড়লে মনেও আসত না হয়তো কখনো...!! আমাদের যাপন করা জীবন যে এতো কঠিন, বইটি পড়ার পর আসলেও ভাবায়! ‘শঙ্খলীল কারাগার’ নামেই কী যেনো আছে! কী যেনো আছে!!♥️
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই পর্যালোচনা ---------------------- শঙ্খনীল কারাগার লেখক:হুমায়ুন আহমেদ -------------------------- হুমায়ুন আহমেদ এর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস যদিও নন্দিত নরকে কিন্তু প্রথম লেখা উপন্যাস হলো শঙ্খনীল কারাগার। অনেকের মতে এটি লেখকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা আমার মতেও তাই! এই বইটি আমি বারবার পড়ি অবাক হয়ে শব্দগুচ্ছ, প্লট এবং কবিতা টা পড়ি। লেখক হুমায়ুন এই গল্পে একদম আটপৌরে মধ্যবিত্ত জীবনকে সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন। বড়বাড়ির মেয়ে শিরিন, তেইশবছর আগে শিরিনের বিয়ে হয়েছিলো এর ভেতর একবারও যায়নি সে বাবার বাড়ি।খুব গান ভালোবাসতেন রেকর্ডিংও বের হয়েছিলো অল্প বয়সে তবুও এর ভেতর সে আর গান গায়নি।শেষ বাচ্চা জন্মানোর সময় মারা যায় শিরিন। রাবেয়া ছিলো শিরিনের বড় মেয়ে একটু পাগলাটে স্বভাবের রাবেয়ার জন্য পাঠকের মনে আবেগ সৃষ্টি হবে আহারে মেয়েটা।খোকা শিরিনের বড় ছেলে নির্বিবাদী চরিত্র সব সয়ে যায় নীরবে। কিটকির সাথে খোকার বিয়ে না হওয়ায় একটু খারাপ লাগা কাজ করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের টুকিটাকি ঘটনা গল্প সেক্রিফাইজ এগুলোর খুব নিখুঁত বর্ণনা শঙ্খনীল কারাগার। গল্পের মাঝপথে রুনুর মৃত্য একটু ধাক্কার মতো লাগে মনে হয় আহারে বেচারি! ভীষণ অন্যায় হয়েছে ওর সাথে। ছোট ভাই মন্টুর কবি প্রতিভা ছিলো। কবি মন্টুর জীবনযাপন আগ্রহজনক ছিলো। কবি মন্টুকে দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ লিখিয়েছেন "দিতে পারো একশ' ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ,একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই" একদম শেষে যখন খোকার কাছে রাবেয়া চিঠি পাঠায় সেখানে রাবেয়া খোকাকে অনেক টাকার একটা চেক পাঠায় এই টাকা রাবেয়াকে দেয় আবিদ সাহেব যার সাথে শিরিনের আগে বিয়ে হয়েছিলো এবং রাবেয়া ঐ ঘরের সন্তান ছিলো… কিটকির প্রসঙ্গে বলে কিটকি ভুল করেছে কি করবি? ভুলে যেতে বলবোনা ভালোবাসা কি ভুলার জিনিস? এরপর খোকা যেভাবে বর্ণনা দেয় তাতো হৃদয় পুরো হাহাকার করে দেয়… "কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়।সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে।ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো।আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেনো বাইরের উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হাহা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কি বিপুল বিষণ্ণতাই না অনুভব করি। জানালার অপাশ থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি" ______________________________ বই: শঙ্খনীল কারাগার লেখক: হুমায়ুন আহমেদ
Was this review helpful to you?
or
রাবেয়া চরিত্রটির মাঝে বাংলাদেশের যেকোন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েই খুব সহজে নিজের ছায়া খুঁজে পেতে পারে, উপন্যাসের শেষ দিকে রাবেয়ার চিঠিটি কিভাবে যেন চোখের কোণে পানি এনে দেয়, বই এর শেষেও রাবেয়ার প্রতি সহানুভূতিটুকু মনে রয়ে যায় অনেকক্ষণ.........