User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good story
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহকর্মী তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে লেখা। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে তাজউদ্দীন আহমদ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন। তাঁকে পরবর্তীকালে গঠিত বাকশালে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন তাজউদ্দীন আহমদ। অন্য তিন জাতীয় নেতার সাথে তিনিও গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে নিহত হন। নিজের প্রাণের বিনিময়ে তাজউদ্দীন আহমদ প্রমাণ করেন যে, তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুগত ছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনসহ চার জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল একইসূত্রে গাথা-একই চক্রান্তের অংশ। স্বাধীনতার পরে এক অস্থির, সংকটময় সময়ে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল কেন? কাদের ভূমিকা ছিল এর পেছনে? তাজউদ্দীন আহমদ খ্যাতনামা রাজনীতিক ছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর কোনো তুলনাই হয় না। তারপরও তাজউদ্দীন আহমদ ক্ষমতা না ছেড়েই বঙ্গবন্ধুর সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে প্রকারান্তরে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কেন? এসব প্রশ্ন সেদিনের মতো আজো বিভিন্নভাবে ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইটিতে। সেই সাথে তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়কার আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
Was this review helpful to you?
or
দেশের ইতিহাসে এই লেখক বা বইয়ের স্থান কোথায় সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই। তবে পড়ে ফেলেছি রুদ্ধশ্বাসে! বঙ্গবন্ধু কিংবদন্তি, তাকে নিয়ে জানার শেষ নেই। কিন্তু সবসময়ই আমার কেন যেন তাজউদ্দীনকে নিয়েও জানতে অনেক ইচ্ছে হয়। দেশের অবিসংবাদিত নেতা বন্দী শত্রু শিবিরে, সে অবস্থা থেকে দেশকে রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এবং বিজয়ীর বেশে তার সমাপ্তি ঘটানো, কিছুটা হলেও সক্ষমতার ধারণা পাওয়া যায়। আহারে, মানুষগুলা বেচে থাকলে কি না জানি হতে পারতো! যাই হোক, বইয়ের প্রসংগে ফিরি। এই বইয়ের যা ভাল লেগেছে তার মাঝে আছে সাবলীল লেখা, রেফারেন্স আর মোটামুটি অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনাতেই লেখকের নিজের উপস্থিতি। যেমন তাজউদ্দীন আহমেদ যখন মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কৃত তখন অথবা বাকশালেও যখন তাজউদ্দীন সাহেবের জায়গা হয় না তখন ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুত্রেই তাজউদ্দীনকে লেখক কিছু প্রশ্ন করেন যার উল্লেখ আছে এই বইতে। ৬৬, ৬৯, ৭১ - এ যুদ্ধের সময় এবং স্বাধীনতা উত্তর সময়ে লেখক নিজে উপস্থিত ছিলেন অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে, যা বইটিকে আরো সুপাঠ্য করে তোলে। একজন সাংবাদিকের দৃষ্টিভংগি থেকে পুরো বইয়েই লেখক তাজউদ্দীন আহমেদকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন নানাভাবে, তাজউদ্দীনকে করা দুটো প্রশ্ন আর উত্তর তুলে ধরে শেষ করি - প্রশ্ন ১, এই প্রশ্নটা করা হয় তাজউদ্দীন আহমেদ মন্ত্রীত্ব হারানোর পর, প্রশ্ন ছিল তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাবেন কি না, উত্তরে তাজউদ্দীন সাহেব (ধমকের সুরে) বলেন "এ-প্রশ্ন তোমার মাথায় আসে কি করে? এই আওয়ামী লীগের জন্য আমি জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি, জেল জুলুম সহ্য করেছি। সে আওয়ামী লীগ ছেড়ে আমি আরেকটা দল করব এটা তোমরা ভাবতে পারছো কি করে?" প্রশ্ন ২ - এই প্রশ্নটা তাকে করা হয় যখন বাকশাল সরকারেও তার স্থান হয় না। উনি কি তাহলে রাজনীতি থেকে দূরেই সরে থাকবেন? তার জবাব ছিল "এতদিন খবরের কাগজে লিখে তোমার এই বুদ্ধি হয়েছে? একজন রাজনীতিক কি কখনো রাজনীতি ছাড়তে পারে? কে বলেছে আমি রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছি? আমি এখন মন্ত্রি নই, দলের কর্মকর্তা নই। কিন্তু দলে আছি, রাজনীতিতে আছি, রাজনীতিতে থাকবো।" আফসোস হয়, এই লেভেলের লোকেরা একসময় এই দেশে রাজনীতি করতেন আর এখন রাজনীতি শব্দটা একটা গালিতে পরিণত হয়েছে। এখন শাহজাহান খানকে প্রধান করে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কমিটি করা হয়!