User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
amr fvrt boi. :D
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পটিকে কোন সাইন্স ফিকশন বললে ভুল হতে পারে কিন্তু এইটা অনেকটা সাইন্স ফিকশনের মতই। ৪০০৯ সালের ভবিষ্যত পৃথিবী নিয়ে বইটি লেখা। তখন মানুষদের জীবন কেমন হবে, তাদের আবেগ এবং চাল চলন কেমন হবে এগুলোর উপর ভিত্তি করে অসম্ভব সুন্দর করে গল্পটি বানানো।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ন আহমেদের লেখা এই বইটি মূলত ভবিষ্যতের পৃথিবীকে নিয়ে লেখা। যেখানে সব ক্ষমতার অধিকারী সুপার কম্পিউটার। মানুষকে সব কাজ থেকে রেহাই দিয়ে ছোট্ট ঘরে বন্ধী করে দেয়া হয়েছে। মানুষদের সব কাজ করছে রোবট। তাও দেখতে অবিকল মানুষের মত। বইটা আমি কয়েকবার পড়েছি। প্রতিবারই মনে হয়েছে প্রথমবার পড়ছি। বইটি আমি খুবই আনন্দ নিয়ে পড়ে শেষ করেছি। যারা পড়েননি তারা আজই সংগ্রহ করে নিন। পড়ে খুব মজা পাবেন আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
From: রহস্যময় বিজ্ঞান জগত Writer: Asif Tanzeem বাংলাদেশে সাইন্স ফিকশন কিন্তু এই কিংবদন্তীর হাত ধরে এসেছিল । পুরো তিন যুগেরও বেশি সময় উনি উনার লেখনী দ্বারা বাঙালীর রসনা তৃপ্ত করেছেন। . বরাবরের মতই, হূমায়ুন আহমেদের সাইন্স-ফিকশন যতটা না সাইন্স নিয়ে তার চেয়েও বেশি মানবীয় আবেগ নিয়ে। নাম করন দেখলেই বোঝা যায়। . আক্ষরিক অর্থে এই সাইন্স-ফিকশনে বৈজ্ঞানিক তেমন কিছু জানার নেই । কাহিনীর শুরু রোবট শাসিত মানব সমাজ নিয়ে।মানব সমাজ ধ্বংসের মুখোমুখী, পৃথিবী মনুষ্য বসবাসের অনুপুযুক্ত প্রায়। সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয় সিডিসি নামক মূল কম্পিউটার দ্বারা। . মানুষ বাস করে মাটির নিচে শহরে , সব ধরনের কাজ থেকে মানুষ মুক্ত । জীবাণু মুক্ত পরিবেশ আর উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থার কারণে মানুষ প্রায় ৩০০-৪০০ বছর বেঁচে থাকে। . পুরো কাহিনী শুধু দুজন মানব কুন আর নিনীতাকে নিয়ে এগিয়ে গেছে। মাঝে গায়ক আহান বা বৈজ্ঞানিক শেন কে ও দেখা গেছে, তবে তাদের চরিত্র তেমন শক্তিশালী ছিল না। . হঠাৎ করেই নিনীতা সন্তান ধারণের অনুমতি পায়। . অথচ তার স্বামীর কাছে পাঠানো হয়, মীন নাম সুপার হিউম্যনয়েড নারী রোবট মীন কে। যারা নাকি সম্পূর্ণ মানুষের মত এমন কি এরা পুরুষ সঙ্গও দিতে পারে। নিনীতা তো এমনটা চায় নি! . মানব সমাজের বিভিন্ন ঘাটিতে ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে , আর এভাবেই মানব সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্তির দিকে। এমনকি মঙ্গল বা বুধে যে বসতি আছে সেগুলুও মুক্তি পাচ্ছে না। . হেল্থ চেক আপের জন্য স্বাস্থকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে , নিনীতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লাল-কুঠিতে। যেখান থেকে কেউ জীবিত ফিরে আসে না । . কি ছিল তার অপরাধ?নাকি সে গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার ? . সর্বশেষ আসলে কি হয়? মীনকেই বা কেন পাঠানো হয় বা নিনীতাকেই বা কেন বন্দী করা হয়, আর মানব সমাজেরই বা কি হাল হয় তা শেষ পর্যন্ত না পড়লে আন্দাজও করা যায় না । . শেষের দিকে কাহিনী দ্রুত এগিয়ে গেছে , পুরো কাহিনীতে বুঁদ হয়ে যাওয়ার পর এত দ্রুত এন্ডিং কিছুটা বিষাদ-ময় বটে। . পুরো উপন্যাসে অনেকগুলু ছোট ছোট কবিতা/গান ব্যাবহার করা হয়েছে, যা শব্দে সাধারণ কিন্তু কাহিনীতে বিশাল, যেমন . কে কাঁদে গো ? 'কেউ না। ' কে কাঁদে গে? 'কেউ না। ' মানুষ নাকি? 'না না না। ' . উপন্যাসে কিছু বস্ত ও রোবটের কথা বলা হয়েছে যা বর্তমানের অন্যতম গবেষণার বিষয় যেমন ন্যানো চিপস বা সেলফ-টকিং ফুড প্রেসসর, বা আবেগ সম্পন্ন রোবট। . তবে, উপন্যাসে ভাইরাস ভি-৩০৫ এর তেমন কোন বর্ণনা নেই। হূমায়ুন আহেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতই এটিও এক বসাতে শেষ না করে উঠতে পারবেন না । . শুভ বই পড়া।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লাগলো পড়ে
Was this review helpful to you?
or
সবই ঠিক ছিল সময়ের আগেই বই পেয়েছি কিন্তু বই গুলো আরও যত্ন সহকারে পাঠানো দরকার ছিল। মলাট কাভার পেইজ ভেঙে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
মানবশিশু মানে কি? মানবশিশু এমন এক শিশু যে আকাশের মতো ভালোবাসতে জানে। " মানবী " লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কল্পনা রূপ।বর্তমান পৃথিবীকে অনুধাবন করে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কল্পনা করে লেখা এই বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী।বাংলাদেশের প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এবং এর জনপ্রিয়তাও হুমায়ূন আহমেদের হাত দিয়ে শুরু হয়।তাঁর রচিত প্রথম সায়েন্স ফিকশন 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা'। মানুষ নিজেদেরকে মহাবিশ্বের সবথেকে বুদ্ধিমান প্রাণী মনে করে।কিন্তু মানুষের ধারনা ভুল প্রমাণ করে এই মহাবিশ্বে আগমন ঘটে সিডিসি রোবটের।মানুষ ত্রুটিপূর্ণ হলেও এদের কোন ত্রুটি নেই।এই রোবটের মানুষের মতো আবেগ আছে, অনুভূতি আছে।রূপ,গুণ এমনকি যৈনক্রিয়া শেষে সন্তান উৎপাদনে সক্ষম এই রোবট।দিন দিন যন্ত্রনির্ভর মানবজাতি অলস্যে পরিনত হয়ে পৃথিবীর উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।এই মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন সিডিসি কম্পিউটার।যন্ত্র নির্ভর ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কল্পনায় এই উপন্যাসে মানবিক আবেগ অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে ৪০০৯ সালের ঘটনা।সেই সময় মানুষের নামের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে পিন নম্বর।কিন্তু উপন্যাসকে পাঠকের বোধগম্য করার জন্য নাম ব্যবহার করা হয়েছে। নিনিতা এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।স্বামীর প্রিয় জিনিস উপহার দিতে সে মরিয়া।কিন্তু তার স্বামীর পছন্দ অতি মানবী অথ্যাৎ রোবট।সিডিসি স্বামীর জন্য উপহার পাঠায়।কিন্তু সে তাকে দেখে জেলাসি ফিল করে।সন্তানের জন্য আকুল নিনিতার বয়স সন্তান ধারনের বয়স ছাড়িয়ে যায়।কিন্তু সিডিসি তাকে সন্তান ধারনের টিকিট দেয়।সে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজের ডিম্বানু দিয়ে যায়।সেখান থেকে তাকে মুক্ত হয়ে বেড়ানোর পাশ দেওয়া হয়।সে পাশ হারালে তাকে নিল কুঠি নামের বন্ধী শিবিরে নেওয়া হয়।সেখান থেকে সংসারে কেও ফেরে না।কিন্তু তার ভালোবাসা তাকে স্বামির কাছে ফিরিয়ে আনে। কুন নিনিতের স্বামী।প্রতিদিন সকালে স্ত্রীর ডাকে যার ঘুম ভাঙে।কিন্তু স্ত্রির সাথে তার রসায়নে জমে না।ঠিক অবজ্ঞা নয়,কিন্তু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়।এক পর্যায়ে স্ত্রীর উপহার অতি মানবীর সাথে যার বসবার শুরু হয়।রোবট তাকে নানা ভাবে আকৃষ্ট করতে চায়।কিন্তু পারে না।তাকে সে পছন্দ করে কিন্তু মায়ায় পড়ে না। ফুড প্রসেসর এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র।সকাল বিকাল চাইলে ক্রেডিট দিয়ে মুহুত্বে খাবার পাওয়া যায়।খাবার সময় কম্পিউটারের বোতম টিমে চারপাশের পরিবেশ পরিবর্তন করা যায়।পাহাড় কিংবা সমুদ্র যা ইচ্ছা।খাবার পরিবেশন শেষে সুন্দর করে ময়লা পরিষ্কার এবং প্রক্রিয়াজাত করে নেই এই যন্ত্র।সর্বদা বাধ্যগত এই যন্ত্রের দেওয়া ভুল ঔষধে উপন্যাসের নায়ক নায়কার মৃত্যু ঘটে। মীন হলো উপন্যাসের অতি মানবী চরিত্র।যে মূল কম্পিউটার সিডিসি এর নির্দেশে পৃথিবীতে এসেছে বিশেষ উদ্দেশ্যে।পৃথিবীতে আগমন হয় অভিনব ভাবে - কুনের উপহার হিসাবে।যে সবসময় কুনের সাথে লেগে থাকতো।স্বামী স্ত্রীর রসায়নে যেন উত্তম সন্তান জন্ম হয় সেই উদ্দেশ্যে সে চালিত হয়।উপন্যাসের শেষে বিশ্বে যে একমাত্র মানব শিশু জিবীত থাকে তার প্রতিপালক এই অতি মানবী মীন। ভাইরাসে মানব জাতীর ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করে সিডিসি।কিন্তু সৃষ্টিশীল মানব জাতীর বিস্তৃতি অনন্তকাল ধরে চলছে চলবে। অপরপক্ষে রোবট শক্তির এই সৃষ্টিশীলতা নেই।এখানেই মানবের কাছে বর্শতা স্বিকার সিডিসির। অহনের চন্দ্র সংগীত কিংবা নীলকুঠির মাজার সব কাহিনী আর চরিত্রে বর্নিত হয়েছে এই উপন্যাসে।আসলে এই উপন্যাস মানব মনের অতি প্রাকৃতিক ঘটনা।যা আমাদের মনের সাথে সবমসময় ঘটতে থাকে।
Was this review helpful to you?
or
আমি কী আয়না মেয়ে মা? মীন ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলল, তুমি সত্যি মেয়ে। আয়না মেয়ে না। তুমি মানবশিশু। মানবশিশু মানে কী মা? মীন বলল, মানবশিশু এমন এক শিশু যে আকাশের মত ভালবাসতে পারে। মা! আমি কী আকাশ? অবশ্যই তুমি আকাশ মা। গল্পটা রোবটের যুগের, গল্পটা নামবিহীন শহরের, গল্পটা লটারির যুগের, গল্পটা ক্রেডিটের যুগের, গল্পটা ৪০০৯ সালের এবং গল্পটা ননিতা, কুন ও মীনের। ভবিষ্যতের পৃথিবী। মানুষের কথা হবে, শুধু কম্পিউটারের সাথে। নিজের থেকে কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই মানুষের। সব কিছু কম্পিউটার নির্ভর। মানুষ থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সব কাজ রোবটরা করবে, এমনকি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্তটি তারা নিবে। পৃথিবীতে প্রতি চার বছর পর পর একদিন ছুটি থাকে। সেদিন রাত এগারটা পর্যন্ত মানুষ বাইরে ঘুরতে পারে। অন্যাথায় বাইরে ঘুরতে চাইলে সিডিসিকে ১০০ ক্রেডিট দিতে হবে। সিডিসি হল এই যুগের প্রধান। আজ চন্দ্রাবতীর দিন, তাই মানুষ বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । এই দিনে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোন মহিলা সন্তান জন্ম দিবে। ননিতার বয়স, ৪১ এই কাজ তার দ্বারা সম্ভব না। কারন লটারিটেতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে কোন মহিলার নাম আসে না। কিন্তু কীভাবে যেন ননিতার নাম চলে আসে। রোবট নিয়ন্ত্রিত এই যুগে এই রকম হওয়ার কোন সুযোগ নেই! তাহলে এমন কী করে হল? ননিতা একদিন ভুল করে পথ হারিয়ে ফেলে। তাকে লাল কুটিরে নিয়ে আসা হয়। লাল কুটির এমন একটি জায়গা যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখানে মূলত অপারাধীরা থাকে। কিন্তু ননিতা ত কোন অপারাধী নয়। লাল কুটিরে অপারাধীদের হত্যা করা হয় না বরং তাদের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়। সবুজ গাড়ী এসেছে ননিতাকে নিয়ে যেতে আজই তার স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেওয়া হবে। না এবারও রোবট জগতে ব্যতিক্রম কিছু হল। কিন্তু রোবটরা সবসময় নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে। এই রকম ব্যতিক্রম হওয়ার কোন প্রশ্ন হতে পারে না। সিডিসি মীন নামের এক SF রোবট বা আয়না মানবীকে পাঠিয়েছেন ননিতার স্বামী কুইনকে হত্যা করতে। কিন্তু মীন তা করতে অস্বীকার করে। একজন রোবট কী কখনও তার নির্দেশের ব্যতিক্রম করতে পারে না! কখনও করতে পারে না। কিন্তু ননিতার বেলায় কেন সব নির্দেশের ব্যতিক্রম হচ্ছে। ননিতাদের শহরে V305 ভাইরাসের আক্রমন হয়েছে। এই ভাইরাস আক্রমন হয়েছে। এই ভাইরাস আক্রমন করলে শহরের কোন বাসিন্দা বেচে থাকতে পারে না। এই ভাইরাসটা না কী রোবটরা বানিয়েছে। কিন্তু রোবটরা এমন কোন কাজ করতে পারে না, যার কারনে মানুষের ক্ষতিসাধন হয়। তাহলে রোবটরা এই ভাইরাস কেন বানিয়েছে? এই ভাইরাসে কী আয়না মানবীরাও কী মারা যাবে, যেহেতু তারা,দেখতে অবিকল মানুষের মত, তাদের আচরনও মানুষের মত, আর ননিতা কী আগের মত এইবারও কী ভিন্ন ভাবে বেচে যাবে? লেখক গল্পে আমাদের দেখিয়েছেন, রোবট যুগের মানুষদের জীবন। তাদের জীবনে নেই স্বাধীনতা, তারা খাচায় বন্দি পাখির মত। যদি তাদের কোন কাজ করতে হয় না, তবু তারা এই জীবন নিয়ে সুখী নয়। গল্পে আমার মীনের চরিত্রটি ভাল লেগেছে। সে সবসময় ননিতাকে যন্ত্রনা দিত। গল্পে মহান শিল্পী আহানের চরিত্রটিও বেশ ভাল লেগেছে, যার গান শুনার জন্য মানুষ পাগল ছিল। তবে আর লালকুটিরে বিজ্ঞানী শেনের চরিত্রটি হয়ত আরেকটু সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলা যেত। সবকিছু মিলিয়ে বইটি বেশ, দারুন ছিল, আপনারাও পড়ে নিতে পারেন। বইয়ে যে লাইনটি সবচে ভাল লেগেছে তা হল, গাদা নামক প্রানীটি অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু তাকে জড়িয়ে গালিটা এখনও রয়ে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশে সাইন্স ফিকশন কিন্তু এই কিংবদন্তীর হাত ধরে এসেছিল । পুরো তিন যুগেরও বেশি সময় উনি উনার লেখনী দ্বারা বাঙালীর রসনা তৃপ্ত করেছেন। বরাবরের মতই, হূমায়ুন আহমেদের সাইন্স-ফিকশন যতটা না সাইন্স নিয়ে তার চেয়েও বেশি মানবীয় আবেগ নিয়ে। নাম করন দেখলেই বোঝা যায়। . আক্ষরিক অর্থে এই সাইন্স-ফিকশনে বৈজ্ঞানিক তেমন কিছু জানার নেই । কাহিনীর শুরু রোবট শাসিত মানব সমাজ নিয়ে।মানব সমাজ ধ্বংসের মুখোমুখী, পৃথিবী মনুষ্য বসবাসের অনুপুযুক্ত প্রায়। সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয় সিডিসি নামক মূল কম্পিউটার দ্বারা। মানুষ বাস করে মাটির নিচে শহরে , সব ধরনের কাজ থেকে মানুষ মুক্ত । জীবাণু মুক্ত পরিবেশ আর উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থার কারণে মানুষ প্রায় ৩০০-৪০০ বছর বেঁচে থাকে। পুরো কাহিনী শুধু দুজন মানব কুন আর নিনীতাকে নিয়ে এগিয়ে গেছে। মাঝে গায়ক আহান বা বৈজ্ঞানিক শেন কে ও দেখা গেছে, তবে তাদের চরিত্র তেমন শক্তিশালী ছিল না। হঠাৎ করেই নিনীতা সন্তান ধারণের অনুমতি পায়। অথচ তার স্বামীর কাছে পাঠানো হয়, মীন নাম সুপার হিউম্যনয়েড নারী রোবট মীন কে। যারা নাকি সম্পূর্ণ মানুষের মত এমন কি এরা পুরুষ সঙ্গও দিতে পারে। নিনীতা তো এমনটা চায় নি! মানব সমাজের বিভিন্ন ঘাটিতে ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে , আর এভাবেই মানব সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্তির দিকে। এমনকি মঙ্গল বা বুধে যে বসতি আছে সেগুলুও মুক্তি পাচ্ছে না। হেল্থ চেক আপের জন্য স্বাস্থকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে , নিনীতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লাল-কুঠিতে। যেখান থেকে কেউ জীবিত ফিরে আসে না । . কি ছিল তার অপরাধ?নাকি সে গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার ? . সর্বশেষ আসলে কি হয়? মীনকেই বা কেন পাঠানো হয় বা নিনীতাকেই বা কেন বন্দী করা হয়, আর মানব সমাজেরই বা কি হাল হয় তা শেষ পর্যন্ত না পড়লে আন্দাজও করা যায় না । . শেষের দিকে কাহিনী দ্রুত এগিয়ে গেছে , পুরো কাহিনীতে বুঁদ হয়ে যাওয়ার পর এত দ্রুত এন্ডিং কিছুটা বিষাদ-ময় বটে। . পুরো উপন্যাসে অনেকগুলু ছোট ছোট কবিতা/গান ব্যাবহার করা হয়েছে, যা শব্দে সাধারণ কিন্তু কাহিনীতে বিশাল, যেমন . কে কাঁদে গো ? 'কেউ না। ' কে কাঁদে গে? 'কেউ না। ' মানুষ নাকি? 'না না না। ' . উপন্যাসে কিছু বস্ত ও রোবটের কথা বলা হয়েছে যা বর্তমানের অন্যতম গবেষণার বিষয় যেমন ন্যানো চিপস বা সেলফ-টকিং ফুড প্রেসসর, বা আবেগ সম্পন্ন রোবট। . তবে, উপন্যাসে ভাইরাস ভি-৩০৫ এর তেমন কোন বর্ণনা নেই। হূমায়ুন আহেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতই এটিও এক বসাতে শেষ না করে উঠতে পারবেন না ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- মানবী। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- সায়েন্স ফিকশন। পৃষ্ঠা- ৯৬। প্রধান চরিত্র- নিনিতা, কুন, আহান, কম্পিউটার সিডিসি, মীন(এসএফ টাইপ হিউমোনয়েড রোবট), ফুড প্রো(রোবট)। সাল ৪০০৯। পৃথিবী ততোদিনে অনেক উন্নত পর্যায়ে চলে গেছে। মানুষের সমস্ত কাজ করে দেয় রোবটরা। মানুষের কাজ হচ্ছে শুধু আনন্দ করা। আর এ সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রন করে প্রধান কম্পিউটার সিডিসি। নিনিতা প্রধান কম্পিউটারের সাথে কথা বলছে। তার স্বামী কুনের জন্মদিন কিন্তু সে বুঝতে পারছেনা কুনকে কি উপহার দেওয়া উচিত। প্রধান কম্পিউটার উপহারের বিষয়টা নিয়ে ভাবার জন্য কিছুদিন সময় নিলো নিনিতার থেকে। নিনিতার বয়স একচল্লিশ হয়ে গেছে। যদিও তাকে তেমন বয়সী দেখায় না। কারন সেই সময়ের পৃথিবীতে মানুষ জড়াকে জয় করেছে। তবে এখনও সে মা হওয়ার লাইসেন্স পায়নি। তার পাওয়ার আর আশাও নেই কারন চল্লিশ পেরিয়ে গেলে কাউকে মা হওয়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়না। তবে নিনিতা ও কুন দুজনকেই অবাক করে দিয়ে সিডিসি ওকে মা হবার লাইসেন্স দিয়ে দেয়। এদিকে কুনের জন্মদিনের দিন নিনিতাকে জিজ্ঞেস না করেই একটি উপহার পাঠিয়ে দেয় প্রধান কম্পিউটার সিডিসি। উপহারটি হচ্ছে একটি সুন্দরী এসএফ মেয়ে রোবট। তার নাম মীন। তাকে কিছুদিন কুনের সাথে থাকার জন্য পাঠানো হয়েছে। আর এরফলে নিনিতা তার প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। সে চায় না মীন কুনের সাথে সময় কাটাক। কিন্তু উপহার হিসেবে কুন মীনকে বেশ পছন্দ করে। রাগ করে সে কুনকে মীনের সাথে একা বাসায় রেখে মা কেন্দ্রে চলে যায়। মা কেন্দ্রে সে জানতে পারে তাকে গর্ভধারন করা লাগবেনা। বাচ্চা কৃত্রিমভাবেই জন্ম নেবে। নিনিতার মনটা অস্থির হয়ে থাকে যারফলে মা কেন্দ্রে কর্মরত একজন রোবট কাউন্সিলর তার মনোচিকিৎসা করেন। সে নিনিতা ও কুনের জন্য একটি মাদার পাস দেয়। রাস্তায় একা একা হাটার সময় হঠাৎই নিনিতা তার পাস হারিয়ে ফেলে। ততোক্ষনে বাড়ি থেকে সে অনেক দুরে। তাকে একটি পুর্ণবাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মূলত অপরাধীদের আনা হয়। তাদের ওপর প্রয়োগ করা এতকিন নভেলা রড যার মাধ্যমে অপরাধী সর্ম্পূণ স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন বন্দী রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং পৌছে দেওয়া হয় কুনের কাছে। ওদিকে একটার পর একটা শহর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ভাইরাসের আক্রমনে। এদিকে সিডিসি নির্দেশ পাঠায় মীনের কাছে। হত্যা করতে হবে কুনকে। আর সেসময় আরো দুটো ঘটনা ঘটে। সমস্ত এসএফ রোবটরা সিডিসির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসে। ওদিকে সেই শহরেও চলে এসেছে মরণঘাতী ভাইরাস। কুন আর নিনিতার সামনে সেচ্ছামৃত্যুর ট্যাবলেট দেওয়া আছে। ভাইরাসের আক্রমনের যন্ত্রণাকর মৃত্যুর চেয়ে ট্যাবলেট খেয়ে আরামদায়ক মৃত্যুই বোধহয় ভালো। কিন্তু সেই সময়ই কিছু একটা হয়ে যায়। কুন ও নিনিতার মধ্যে যেকোনো একজনই কেবল বেচে যায়। আর তখনই এসএফ রোবটদের কাছে গোপন কথা ফাসঁ করে সিডিসি। কথাগুলো কুন ও নিনিতাকে নিয়েই। সায়েন্স ফিকশন বইয়ের মধ্যে পড়া অন্যতম সেরা একটি বই এটি। অত্যন্ত অসাধারন, সুন্দর, ভালোলাগার একটি বই। বিজ্ঞানের সাথে উঠে এসেছে চমৎকার মানবিকতা। গল্পের শেষটা কিন্তু ভীষন ট্র্যাজিক। এমন একটা এন্ডিং যা পাঠক কল্পনাই করতে পারবেনা। হুমায়ূন আহমেদ অসাধারন কল্পনাশক্তি ব্যবহার করেছেন। পাঠকদের ভালোলাগার জন্য বইটার কিছু সু্ন্দর উক্তি আমি তুলে ধরলাম। “মানুষ আর্শ্চায্য এক সম্প্রদায়, যার প্রধান কাজ অপেক্ষা করা”। “পূর্ব নির্ধারিত বিষয় নিয়তি হতে পারেনা। নিয়তি সেই ঘটনা যা কখনো কোনো অবস্থাতে বদলানো যাবেনা”। “মহা দুঃসময়ে নগণ্য সংখ্যাই অনেক বড় সংখ্যা”। “অপরাধ একটি আপেক্ষিক বিষয় যা পাপপূণ্য বোধ নামক মানবিক আবেগ নির্ভর”। “মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে একা থাকার বিষয়টি নেই। সে একা থাকা পছন্দ করেনা। যখন সে বাধ্য হয়ে একা থাকে তখনও তার কল্পনায় থাকে অনেক মানুষ”। “মানব সম্প্রদায় বিপরীতমুখী স্বভাবের মিশ্রণ। তার দুঃখেও অশ্রু বর্ষণ করে। আনন্দেও অশ্রু বর্ষন করে”। আশা করি যারা পড়েননি তারা এবারে বইটি আর মিস করবেন না। রেটিং- ৫.০০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
বইটার কাহিনীর প্রেক্ষাপট ৪০০৯ সনের।গ্যালাকটিক যুগের সময়ের কথা। সেখানকার পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে মহাশক্তিধর কম্পিউটার 'সিডিসি'।যার কাজ হল মানবজাতি কে বিভিন্ন দুর্যোগ বা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। -------------------------------------- কাহিনীর মূল চরিত্র হল নিনিতা নামের এক নারী। যার স্বামীর নাম কুন।নিনিতা নামটি আসল নয়।বর্ণনার সুবিধার্থে নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে নাম দিয়ে নয়, পিন নাম্বার দিয়ে সবাই পরিচিত হয়। নিনিতার পিন নাম্বার হচ্ছে,০০২৮৩৮৪১/০৩৭/২৩৮১। প্রথম ডিজিট ০ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে সে একজন মেয়ে।পুরুষ হলে প্রথমে ১ থাকত।পরের ০২৮৩৮ হল তার DNA code। ৪১ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে তার বয়স।বয়স বাড়ার সংগে সংগে তার ডিজিট ও পাল্টাতে থাকবে। অবলিকের পরে আছে ০৩৭,এটা তার পেশা এবং মেডিকেল প্রোফাইল।সর্বশেষ চারটি সংখ্যা হল ২৩৮১,এটা সরকার তথা কম্পিউটার সিডিসি কর্তৃক দেওয়া গোপন সংখ্যা। যা শুধু সিডিসিই জানবে। কোন ব্যক্তির প্রোফাইল অনুযায়ী পিন নাম্বার নির্ধারিত হয়। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে মানুষের পরিচয় হিসেবে পিন নাম্বারের বিকল্প নেই। নিনিতা আর কুন ডিনার করছে।তাদের ডিনার পরিবেশন করছে 'ফুড প্রো' নামক অত্যাধুনিক একটি যন্ত্র।ডিনার শেষ হলে 'ভ্যাক' এসে তাদের সব কিছু গুছিয়ে দিয়ে গেল। কুনের ঘরে থাকতে দমবন্ধ লাগছে।হটাৎ ফুড প্রো জানালো আজ বিশেষ একটি রাত।প্রতি চার বছর পর এ রাতে লটারি হয়।লটারিতে নাম ওঠা ভাগ্যবান মেয়েদের সন্তানধারনের অনুমতি দেওয়া হয়। নিনিতা বিমর্ষ হয়ে পড়ল। কারন চল্লিশ বছরের পর কাউকেই সন্তানধারণের অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন ফুড প্রো জানাল, আজ আবহাওয়া খুব আরামদায়ক। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাস বইছ,আর চেরী গাছে ফুল ফুটেছে।রাস্তার মোড়ে মোড়ে কনসার্ট হচ্ছে। তখন আর নিনিতা না বেরিয়ে পারল না। ঘুরতে ঘুরতে তারা বিশাল একটা চেরীগাছের কাছে এসে পড়ল।এখানে মহান শিল্পী 'আহান' গান করেন।তার বিখ্যাত চন্দ্রগীতি! যার চন্দ্রগীতি শুনে শ্রোতারা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনা। তার গানে থাকে গভীর দুঃখবোধের ছোঁয়া! মহান শিল্পী সুরের জাদুকর আহান হবু মা'দের উদ্দেশ্যে ভাষণ শেষে গান শুরু করলেন। (চন্দ্রগীতি) হে চন্দ্র! আজ রাতে তোমাকে বিদায়। আলো নেই অন্ধকার। চন্দ্রবৃক্ষে হাহাকার। অশ্রুর কারাগার। আমরা কাঁদিতেছি গভীর মায়ায় হে চন্দ্র! আজ রাতে তোমাকে বিদায়। . গানের প্রথম অন্তরা শেষ হল।আহান শিষ দিতে দিতে সুর করছেন।সুরের উঠানামায় সবার মনে হচ্ছে,বিষাদের গভীর সমুদ্রে সবাই ভাসছে।এক সময় বিষাদ খুব তীব্র হবে।সবাই বিষাদ সমুদ্রে ডুবে যাবে। নিনিতা চোখ মুছে ঘরে ফিরল।ঘরে পোঁছতেই ফুড প্রো জানাল, নিনিতা মা হবার লাইসেন্স পেয়েছেন। নিনিতা ঘোরের মাঝে চলে গেছে। তার কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবীটা দুলছে।তার ঘাম বের হচ্ছে।চিৎকার করে কুনকে টিভি চালু করতে বলল।কুন ছুটে গিয়ে টিভি চালু করল।টিভিতে মহান শিল্পী আহান প্রতিটি হবু মা কে 'চন্দ্রমাতা' আর আগত শিশু কে 'চন্দ্রশিশু' বলে সম্বোধন করে তাদের কে শুভেচ্ছা জানালেন। কাহিনীর এই পর্যায়ে নিনিতা আর কুনের জীবনে 'মীন' নামের এক আয়না মানবী এসে পড়ল।সেন্ট্রাল কম্পিউটারের পক্ষ থেকে পাঠানো উপহার হিসেবে।মীন হল SF টাইপ হিউমেনয়েড রোবট।দেখতে অবিকল মানুষের মত।আচার আচরণেও মানুষের মত। প্রথম দর্শনেই নিনিতা সুপার কম্পিউটার সিডিসির পাঠানো আয়না মানবী মীন কে অপছন্দ করল।কোন নারীই চায় না যে,তার উপস্থিতিতে তার স্বামী অন্য কোন মেয়ের কাছে থাকবে। নিনিতা এখন মা-কেন্দ্রে আছে। এখানে তার জরায়ু থেকে ডিম্বাণু নেয়া হবে।শিশু নিষিক্তিকরণ হবে টেস্টটিউবে।সেখান থেকে চলে যাবে কৃত্রিম গর্ভাশয়ে।গর্ভাশয়ের সময় শেষ হলে শিশুকে বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়া হবে। নিনিতা এখন ঘরে ফিরছে। তার কাছে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগছে।কুন তার সাথে থাকলে আরো ভাল হত।সে এখন শহরের যেকোনো স্থানে যেতে পারবে।মা-কেন্দ্রের কাউন্সিলর আয়না মানব বৃদ্ধ চার্ন তাকে বিশেষ মাদার পাস দিয়েছে। ঘুরতে ঘুরতে নিনিতা সুপারওয়েতে উঠে পড়ল।এক স্থানে এসে একজন অস্ত্রধারী রোবট শান্ত গলায় পাস দেখাতে বলল।নিনিতা হাতের মুঠো খুলে দেখে পাস নেই।রোবটটি তাকে শহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গেল। এখানে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের নিয়ে আসা হয়। এখানে তার দেখা হল পদার্থবিদ শেন এতকিনের সাথে। যিনি 'এনকিন নভেলা রড' এর জনক। এই রড দিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের সম্পূর্ণ স্মৃতি মুছে ফেলা হয়।ভয়ংকর আসামীদের সমাজে পুনর্বাসিত করতে এই রড ব্যবহার করা হয়। নিনিতাকে এখানে আনার পর অনেক দিন কেটে গেছে।তার অপরাধ কি সে তা জানে না।কিন্তু তাকে শাস্তিভোগের জন্য দিন গুনতে হচ্ছে। হয়ত কোন এক দিন সবুজ রঙের গাড়ি এসে তাকে নিয়ে যাবে।নিনিতা এই লালকুঠিতে কত দিন পার করেছে তার কোন হিসেব রাখতে পারেনি। এখানে কোন ক্যালেন্ডার নেই,ঘড়ি নেই।সময় জানার কোন উপায় ও নেই। জায়গাটা যেন সময়ের বাইরে কোথাও।তাকে সঙ্গ দিচ্ছে পদার্থবিদ বিজ্ঞানী শেন এতকিন।এটাকে সঙ্গ না বলে বিরক্ত করছে বলাটা ভাল। কারন প্রতিদিন তিনি যে উদ্ভট চিন্তা করেন,সেটা নিনিতাকে শোনাতে আসেন। আজ যখন তারা ডাইনিংয়ে খাবার খাচ্ছিল তখন নিনিতা কে নিতে সবুজ রঙের গাড়ি এসেছে।শেন এতকিন গাড়িটার চালক আয়না মানবীর দিকে রেগে প্লেট ছুড়ে মারলেন।কারন সে মিটিমিটি হাসছিল। নিনিতা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলল।পথে হটাৎ আয়না মানবী বলল, তুমি আজ মুক্ত। নিনিতা তার কথা বিশ্বাস করতে পারল না।যখন তাকে আয়না মানবী পুরো ঘটনা কেন ঘটানো হল খুলে বললল তখন নিনিতা আনন্দে কেঁদে ফেলল। প্রিয় পাঠক, আমরা ক্লাইমেক্সের চরম পর্যায়ে এসে গেছি। এর পর কি হল তা বলে দিয়ে কাহিনীর মূল মজা নষ্ট করে দিতে চাই না।বইটা পড়লে ঠকবেন না বলে দিচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
I hear a sudden cry of pain! There is a rabbit in a snare: Now I hear the cry again, But i cannot tell from where. But i cannot tell from where He is calling out for aid; Crying of the frightened air, Making everything afraid. Making everything afraid, Wrinkling up his little face. As he cries again for aid; And i cannot find the place! And i cannot find the place Where his paw is in the snare; Little one! Oh, little one! I am searching everywhere. কথা গুলো দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ শুরু করেছেন তার লেখা । অনেকদিন পর হুমায়ুন আহমেদ আবার সায়েন্স ফিকশন লিখলেন। ভবিষ্যতের পৃথিবী। যেখানে কারো নাম নেই। সবার নম্বর। যেখানে মানুষের কোনো ভূমিকা নেই। সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে কম্পিউটার ও রোবট রা। যেখানে রোবট রাও বাস করে মানুষ এর অধিকার নিয়ে।মানুসের মতো। যেখানে বাচ্চা হওয়া ও নিয়ন্ত্রন করে কম্পিউটার লটারির মাধ্যমে। একি সাথে ধবংস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মানব নগরী এক ভাইরাস এ যার কোনো প্রতিষেধক নেই। এমনি এক সময়ে নিনিতা এবং কুন দম্পতি বাচ্চা নেয়ার অধিকার পায়। প্রচণ্ড খুশির মধ্যে তারা দিন কাটাতে থাকে । কিন্তু তাঁদের সাথে ঘটতে থাকে একের পর এক অদ্ভুত ঘটণা। এক সময় রোবটরা বিদ্রোহ করে সিডিসি কম্পিউটার কে সরিয়ে ফেলে।নিনিতার একটি মেয়ে হয়। মেয়েটী লালিত পালিত হয় তার রোবট মার কাছে। আর মানব সভত্যা বেচে যায় কারন ভাইরাস এর প্রতিষেধক আবিস্কার হয়। সব কিছু মিলিয়ে সফল সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস একটি
Was this review helpful to you?
or
খুবই আধুনিক এবং শিক্ষণীয় একটি বিজ্ঞানসম্মত উপন্যাস। বইটি সকলেরই পড়া উচিত।