User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Great book
Was this review helpful to you?
or
বৃক্ষকথা বইটি হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর আর অন্য ৮-১০টা বই থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বই। বই প্রথমে অনলাইনে পড়ে খুব ভালো লাগে তাই রকমারি থেকে অর্ডার দেই। বৃক্ষকথা বইটি মূলত হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর নুহাশ পল্লীর হাজারো গাছের সমাহার এর একটি লিখিত রুপ। বইটি তে আমাদের খুব নিকটে এবং পরিচিত গাছের বিভিন্ন উপকারীতা সম্পর্কে ৩ ধরনের মতামত দেয়া আছে। আমি মনে করি ভেষজ বইয়ের তালিকায় বৃক্ষকথা বইটি অন্যতম একটি বই। অসংখ্য ধন্যবাদ রকমারি ডট কম কে এত সুন্দর একটি বই সংগ্রহে রাখার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ শুধু উদ্ভিদ নিয়ে একটি বই লিখেছেন- তথ্যটি চমকপ্রদ। তবে তার চেয়েও বড়ো চমকপ্রদ তথ্যটি পাওয়া যাবে হুমায়ুন আহমেদ রচিত "বৃক্ষকথা" নামক গ্রন্থের ফ্লাপে- 'বাংলাদেশে বৈচিত্র্য ও প্রকার অনুযায়ী সবচেয়ে বড় ঔষধি বৃক্ষের বাগান রয়েছে গাজীপুরের হোতাপাড়ায় অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে।...এই ঔষধি বাগানটি গড়ে তুলেছেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ'। হুমায়ূন আহমেদের বৃক্ষপ্রেমের নজির মিলবে তাঁর "বৃক্ষকথা" বইটিতেও। এই বইটিতে জনপ্রিয় এই লেখক তাঁর স্বভাবসুলভ মজার ভঙ্গিতে প্রায় পঞ্চাশটি ঔষধি গাছের নানা তথ্য এবং গুণাগুণ নিয়ে লিখেছেন। যেহেতু হুমায়ূন আহমেদ উদ্ভিদবিদ নন, তাই তাঁকে বিভিন্নজনের লেখা বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে। আয়ুর্বেদ এবং ঔষধি গাছের ওপর যাঁদের লেখা বইয়ের সাহায্য তিনি নিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- নওয়াজেশ আহমেদ, মওলানা মোঃ মোস্তফা, আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য, নলিনীকান্ত চক্রবর্তী, সামসুদ্দীন আহমেদ, প্রশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, তপন কুমার দে এবং দু'এক জন বিদেশী লেখক। বিশেষ করে নওয়াজেশ আহমেদ, শিবকালী ভট্টাযার্য এবং নলিনীকান্ত চক্রবর্তীর লেখা বই থেকে তথ্য নিয়ে দু'হাত ভরে। অনেক লেখাতেই হুমায়ূন আহমেদ তথ্যসূত্র দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু রচনায় তিনি সূত্র উল্লেখ করে নি। কোথা থেকে তথ্য পাওয়া গেল তা যদি উল্লেখ করে দেয়া না হয় তাহলে উৎসাহী পাঠকের জন্য অধিকতর তথ্যের মালমসলা খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। যেহেতু উদ্ভিদ বিষয়ক তথ্যের বই, সেহেতু সব ধরনের তথ্যের সূত্র গ্রন্থে সরবরাহ করা উচিত ছিল। প্রতিটি লেখার সাথে না হলেও অন্তত বইয়ের শেষে একটি সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী যুক্ত করে দেয়া দরকার ছিল। এতে বইয়ের বাড়ত বৈ কমত না। উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং ঔষধি বৃক্ষের আরো অনেক বই-ই আছে বাজারে; তাহলে কেন মানুষ পড়বে হুমায়ূন আহমেদের “বৃক্ষকথা”? কী এমন আছে এতে যা অন্য বইগুলোয় নেই? যদি আমাকে তালিকা করতে বলা হয় তাহলে তা এমন হবে- (১) হুমায়ূন আহমেদের সরল গদ্য বাংলাদেশের পাঠকদেরকে মাতিয়ে রেখেছে চল্লিশ বছর। “বৃক্ষকথা”য় তাঁর সেই স্বভাবসুলভ হাস্যরসে পরিপূর্ণ গদ্যের দেখা পাবেন পাঠকেরা। উদ্ভিদ নিয়ে লিখতে গিয়ে শুধু সেই জগতেই আটকে থাকেন নি তিনি, ঢুকে পড়েছেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, কখনোবা সাহিত্যাঙ্গনে। আদা নিয়ে লিখতে গিয়ে তিনি ছোটবেলায় পড়া ‘আদা জল খেয়ে লাগা’ বাগধারার কারণ জানতে চান। কদম কিংবা গাঁজার প্রসঙ্গে যখন টেনে আনেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তখন কৌতূহলী হয়ে উঠতে হয়। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য বইটির প্রায় অনেক অংশ জুড়েই আছেন; কখনো তাঁর কবিতার প্রসঙ্গ টেনে আনায় কিংবা কখনো তাঁর বিভিন্ন গাছ ও ফুলের নামকরণ প্রসঙ্গে কবিগুরু বেশ উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে উঠেছেন “বৃক্ষকথা” গ্রন্থের। হুমায়ূন আহমেদ অত্যন্ত মুনশিয়ানার সাথে আপাত দূরবর্তী বিষয়গুলো পরস্পরের সাথে জুড়ে দিয়েছেন এমনভাবে যেন তারা সবসময়ই একসাথেই ছিল। (২)হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও ঠাই পেয়েছে “বৃক্ষকথা”য়। গাছপালা নিয়ে তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার বর্ণনা ফাঁকে ফাঁকে ঢুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। এসব অভিজ্ঞতার বিবরণ হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য স্মৃতিকথার বইয়ে মিলবে না। তাই হুমায়ূন-প্রেমীর কাছে এ বইয়ের অভিজ্ঞতাগুলো হবে একদমই আনকোরা। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নিজের অভ্যাস কিংবা পছন্দের বর্ণনাও দিয়েছেন অভিনবভাবে। যেমন: “ বাংলাদেশের একজন লেখক যার নামের আদ্যক্ষর ‘হু’, নিম সাবান ছাড়া অন্য কোনো সাবান ব্যবহার করেন না। তাঁর কাছে নাকি এই সাবানের গন্ধ অদ্ভুত লাগে”। আরো আছে- “বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিকের কদম গাছ অতি প্রিয়। তিনি তাঁর নিভৃত নিবাসে একশ’ কদমের চারা লাগিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন, ভরা বর্ষায় তিনি কদম্ববনে হাঁটবেন। দুঃখের ব্যাপার, অনেক চেষ্টা করেও তিনি কদম্ব-বন তৈরি করতে পারেন নি। চারটি গাছ শুধু রক্ষা পেয়েছে”। (৩) বিভিন্ন ঔষধি বৃক্ষের পৌরাণিক কিংবা লোকসাহিত্যের রেফারেন্স অন্যান্য সাধারণ বইয়ে পাওয়া যাবে না। এসব রেফারেন্সের উল্লেখ আলোচ্য গ্রন্থটিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে। ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্স, কালিদাসের পঙক্তি, লোকজ গান, কবিদের পদ্য, লোকজ বচন, খনার বচন, সংস্কৃত শ্লোক ইত্যাদির উপস্থিতি “বৃক্ষকথা”কে দিয়েছে অনন্যতা। বইয়ে মোটা কাগজে অনেক উদ্ভিদ এবং ফুলের ছবি ছাপা হয়েছে, এ যেন পাঠকের বাড়তি পাওয়া। কেউ বৃক্ষপ্রেমী এবং একইসাথে হুমায়ূনপ্রেমী হয়ে থাকলে তার জন্য “বৃক্ষকথা” অবশ্যপাঠ্য।