User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ ছোটবেলা উনি এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যেন বই পড়ছিনা বরং সিনেমা দেখছি। কতই স্মৃতির ছিলো এ ছোটবেলা ?
Was this review helpful to you?
or
Owo
Was this review helpful to you?
or
" কিছু শৈশব - হুমায়ূন আহমেদ " মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে তখন সে ব্যাকুল হয়ে পেছনে তাকায়। লেখকের ঠিক তেমন টা-ই হয়েছে। সারাক্ষণই শৈশবের কথা মনে পড়ে। পঞ্চাশ পার হয়ে সেই সব সৃতি গুলো এখন ঝাপসা হয়ে গেছে। যায়গা গুলো, বন্ধু গুলো, পরিচিত সব কিছুই কেমন জানি অস্পষ্ট। লেখকের স্বাধীনতা যেটুকু ব্যবহার না করলেই নয় শুধু ততটুকুই ব্যবহার করে লেখক বইটিতে তার শৈশবের সৃতি এঁকেছেন। প্রিয় লেখক সম্পর্কে জানার আগ্রহের সীমা থাকে না। কেমন ছিলেন তিনি? কেমন ছিলো তাঁর শৈশব? কেমন তাঁর বেড়ে উঠা? তাঁর কাছের মানুষ গুলো? লেখক হয়ে উঠার রহস্য? এমন হাজারো প্রশ্ন পাঠক মনে সবসময় খেলা করে। প্রিয় লেখকের লেখা আত্মজীবনী মূলক কোন বই থাকলে লুফে নিতে পাঠক সদা প্রস্তুত। সহজ সাহিত্য রহ আর লেখক নিয়ে পাঠকের জানার আগ্রহের খোরাক মেটাবে হুমায়ূন আহমেদের কিছু শৈশব বইটি। ষোল টি অঙ্কে বিভক্ত উপন্যাসে আছে লেখকের সৃতি বিজড়িত সেই সব যায়গা, খেলার সঙ্গী, বাবা-মা, মামা সহ প্রিয় সব মানুষের বর্ণনা। পঞ্চাশ বছর আগের শৈশব, সেই সময়ের সিলেট শহর, সেই পুরান বাড়ি, কুয়া তলা, লেখক মনের সবথেকে বড় ঘড়ি, মাজারের বড় ঢেগ, খিচুড়ি, হালুয়া। মোদ্দা কথা একজন লেখক হয়ে বেড়া উঠার সমস্ত উপকরণ এর বর্ণনা আছে বইটিতে। বইটিকে ঠিক উপন্যাস বললেও যেমন ভুল হবে তেমন গল্প বললেও সঠিক ব্যাখা দাড়াবে না। কিছু গল্প ( লেখক স্বাধীনতা) আর কিছু আত্মকথা মিলিয়ে চমৎকার এই বইটি পড়তে যদি কারো মিস হয়ে যায় তবে হয়তো প্রিয় এই লেখক সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। লেখক সুলভ মনের পাঠকদের হইতো মনকে আরো বেশি বিমোহিত করবে হুমায়ূন আহমেদের কিছু শৈশব। মধ্যবিত্ত সরকারি চাকুরির একটা পরিবার। মা, বাবা, ভাই, বোন সাথে বাড়তি মামা। মায়ের সংসারী স্বভাব আর বাবার সংস্কৃতি সুলভ মন। ভাই বোনদের মধ্য নিবিড় সম্পর্ক। আর মামার আনমনা মন। এমন এক পরিবারে বেড়ে উঠা দুরন্ত এক কিশোরের গল্প নিয়ে লেখা বইটি পাঠকের তৃপ্তির সাথে একটু বাড়তি ভালোলাগা অবস্যই জুটাবে। কি আছে বইটিতে? জানতে হলে অবস্যই পড়তে হবে। বই: কিছু শৈশব লেখক: হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ। মূল্য: দুইশত টাকা।
Was this review helpful to you?
or
✔️✔️
Was this review helpful to you?
or
শৈশব মানে অন্যরকম এক ভালোলাগা, কিছু মজার স্মৃতি, ডাংগুলি খেলা,পুসকুনিতে ডুবানো , বৃষ্টিতে ভেজা। বইটি পড়ে শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।আগে থেকেই হুমায়ুন আহমেদ আমার পছন্দের লেখক। তাঁর লেখনিতে যাদু আছে। তিনি তার শৈশবের কিছু স্মৃতি খুব সাবলিল ভাষায় লিখেছেন । আশা করি বইটি বইপোকাদের জন্য যথেষ্ট তৃপ্তিদায়ক হবে ।
Was this review helpful to you?
or
নিজের বোকা শৈশবকে ভোলা বড্ড কঠিন৷ যদি সেই শৈশবকাল বিভিন্ন ঘটনায় রঞ্জিত থাকে তাহলে তো কথাই নেই৷ হুমায়ূন আহমেদের শৈশবকাল অনেক বেশি রঙিন ছিল, অম্ল-মধুর স্মৃতিতে আকীর্ণ ছিল। তাই বোধকরি পড়তে গিয়ে পাঠক হিসেবে এতটা উপভোগ করেছি। প্রতিটি ঘটনাই তিনি কতো চমৎকারভাবে লিখেছেন ভাবলে অবাক লাগে। এই বই পড়ে মনে হয়েছিল, আপাতদৃষ্টিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ঘটনাও অনেকটাই উজ্জ্বল করে তোলা যায়, যদি কলমে সে তেজ থাকে। হুমায়ূন আহমেদের কলমের সেই গুণ ছিল। যারা পড়েন নি, তারা শিগগির পড়ে ফেলুন। অবশ্যই সময়টা ভালো কাটবে। হয়তো নিজের শৈশবের সঙ্গে একটু-আধটু মিল পাবেন!
Was this review helpful to you?
or
বই অালোচনা: একটু বয়স হলেই শৈশবের প্রতি এক অমোঘ অাকর্ষন কাজ করে অামাদের মানব মনে। অার সেই শৈশবের স্মৃতি চারণ করতেই যেন লেখক চলে গেলেন তার শৈশবের অতি পরিচিত প্রিয় বাড়িতে। বাবার চাকরি সূত্রে বিভিন্ন জেলায় থাকলেও লেখক হুমায়ন আহমেদ তার ৫০ বছর বয়সে শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত মীরাবাজার বাড়িতে যান, এক বৃদ্ধ তার সে বাড়ি দেখাশোনা করে রাখত। ৫০ বছর পরে শৈশবের সে বাড়িতে গিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কি ছিল, বাড়ির অবস্থা সবটা বর্ননা করেছেন। শৈশবের সিলেটের সে বাড়িতে বর্ষার জলে ভিজে বাড়ির উঠোনে খেলা অার মায়ের ভালোবাসার বকুনি কথা মনে করতে করতে ঘুরে বেড়ায় সে বাগির উঠোনে। শৈশব কালে বন্ধুদের সাথে করা দুষ্টামি,খেলা মায়ের বকুনি সবটাই আছে তার স্মৃতিগ্রন্থে। যদিও কিছু কিছু খেলার বর্ননা দিতে গিয়ে ভুলে গেছেন সেই সব বন্ধু অার খেলার সাথীদের নাম। এছাড়া সিলেটে শহরের খুঁটিনাটি বর্ণনা অাছে, অাছে শাহজালাল মাজারের বর্ননা। বাবা,মা,নানাজান,দাদী,মামা আর ভাইবোনের সাথে স্মৃতিময় ছোটবেলার অনেক গল্পই লেখক ঐখাননে বর্ননা করেছেন তার জবানীতে। কিভাবে একজন সাধারন মানুষ হুমায়ূন অাহমেদ পাঠক হৃদয়ে যায়গা করে নিয়েছেন তা ভাবকে গেলে হয়তো সবার অাগেই তার লেখক হবার গল্প জানকে ইচ্ছে করবে। হ্যাঁ শৈশবের প্রথম পাঠের মতোই প্রথম লেখক হয়ে ওঠার গল্প। লেখক হবার মূল প্রেরনা মামার গল্প অাছে তার শৈশবের এই গ্রন্থে। পাঠ প্রতিক্রিয়া : বই পড়ার তেমন সময় না পেলেও এ বইটা পড়ে অনেক ভালো লাগছে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক হুমায়ুন অাহমদের ভক্ত অাছে অগনিত। তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু অার রূপার প্রতি অন্ধ ভালোবাসা অার ভক্তের অভাব নেই এদেশে। প্রদি পূর্নিমায় শত শত হিমু গৃহহারা হয়। কদম হাতে কোন এক বর্ষায় হয়তো চলে যায় রূপার কাছে। এত ভক্ত অার পাঠক প্রিয়তা যে মানুষটার সে মানুষটা কেমন ছিল। কিভাবে কেটেছে তার শৈশব কাল সে সব কথা জানার অাগ্রহ থেকেই মুলত বইটা হাতে নেওয়া। অার পূর্ন তৃপ্তি নিয়েই বরাবরের মতো তার বই শেষ করলাম। সাথে জানতে পারলাম এক বিশিষ্ট কিংবদন্তি হূমায়ুন আহমেদের শৈশব কালের অনেক অজানা তথ্য গল্পকারে। বই: কিছু শৈশব জনরা: আত্নজীবনী লেখক: হূমায়ন আহমেদ প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০০৭ পৃষ্ঠা: ৯৫ প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা মুদ্রিত মূল্য: ১২০ টাকা রেটিং :৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বই: কিছু শৈশব জনরা: অাত্মজীবনী লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০০৭ পৃষ্ঠা: ৯৫ প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা মুদ্রিত মূল্য: ১২০৳ কাহিনী সংক্ষেপ : হুমায়ূন অাহমেদের শৈশবের কিছু ঘটনা বর্ণনা করছেন তিনি বইয়ে, তবে সব ঘটনা হুবহু মনে না থাকলেও বেশ কিছু মজার স্মৃতি তিনি পাঠকের জন্য দিয়ে গেছেন উপহার। ১৬ অধ্যায়ে ভাগ করে শৈশবের খুঁটিনাটি স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন এখানে। ৫০ বছর বয়সে লেখক গিয়েছিলেন তার শৈশবের বাড়ি সিলেটের মীরাবাজার শৈশবের মত নিজেকে ভেজাতে সিলেটে বৃষ্টিতে। কেমন ছিল সে বাড়ি ৫০ বছর পরেও। শিশু বয়সের কিছু বন্ধু অার তাদের মজার সব খেলার বর্ননা। কখনো বা বন্ধুদের নাম সঠিক ভাবে মনে করতে না পারলেও স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা মনে করে হয়েছেন অাবেগ অাপ্লুত। অাছে সংসারের নিত্য দিনের অানন্দ বেদনার কাব্য। বাবার গল্প, মায়ের কথা, ভাই- বোন অার বড় মামা শেখ ফজলুল করিমের কথা। তার লেখক হওয়ার পেছনে মামা কতটা ভূমিকা ছিল সে কাহিনী। প্রথম পাঠক হওয়ার গল্প। নানাজান অার দাদী ভালোবাসার স্মৃতি। তার ফাঁকে ফাঁকে তখনকার সিলেটের নিখুঁত বর্ণনা। সিলেটের মীরাবাজার থেকে জগদ্দলে চলে যাওয়ার ঘটনা। নিজস্ব মতামত: অাত্মজীবনী মূলক বই অামার সব সময়িই প্রিয়। তারপর যদি তা হয় প্রিয় লেখক সম্পর্কে, তবে তো জানার অাগ্রহ অারও প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পায়। সেজন্য হাতের কাছে পাওয়ার পরই বসে গেলাম লেখকের সাথে সাথে নিজেরও শৈশব স্মৃতিতে। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল লেখকের সাথে অামিও বুঝি রান্নাবাটি খেলছি, কখনো বা বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি। বইটা চোখ বন্ধ, খোলা দু'অবস্থতেই বেশ মনোমুগ্ধকর। বইয়ের প্রিয় একটা লাইন না বললেই নয়, "সব মেয়ের ভেতর যেমন একজন পুরুষ বাস করে, সব ছেলের মধ্যেও একটি নারী বাস করে। নারী-পুরুষের বিভাজন রেখা দুর্বল।"
Was this review helpful to you?
or
বই : কিছু শৈশব। লেখক : হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ। মূল্য : ১৫০ টাকা। প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা। #লেখক_পরিচিতি বাংলাসাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক, সুনিপুণ শিল্পের দক্ষ কারিগর, অনবদ্য সৃষ্টির রূপকার ও প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচিত্রনির্মাতা। হুমায়ুন আহমেদ তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে বহুমাত্রিক সৃষ্টির জন্য নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলা কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে লেখক শিবির পুরস্কার, বাংলা উপন্যাসে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি মাইকেল মধুসুদন পদক এবং ১৯৯০ সালে হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকও লাভ করেন। ১৯৯২ সালের শঙ্খনীল কারাগার চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে তাঁর প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৯৪ সালে দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন। একই বছর আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মাত্র ৬৩ বছর বয়সে ভুবনজয়ী, অপরাজেয় এ গুণী লেখক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। #কাহিনী_সংক্ষেপ লেখক বইয়ের ভূমিকাতে লিখেছেন " মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে তখন সে ব্যাকুল হয়ে পেছনে তাকায়। আমার মনে হয় তাই হয়েছে। সারাক্ষণই শৈশবের কথা মনে পড়ে। কী অপূর্ব সময়ই না কাটিয়েছি। " নিঃসন্দেহে লেখকের শৈশব ছিল বর্ণীল। আর সেই বর্ণীল শৈশবের কিছু খণ্ড চিত্র এই বইয়ে তুলে ধরেছেন তিনি। ছোট ছোট শিরোনামের গভীর আবেগ আর মায়ায় গেঁথে গিয়েছেন "কিছু শৈশব"। এতে স্থান পেয়েছে লেখকের ছেলেবেলার দুরন্তপনা। দুরন্তপনা করার জন্য প্রচলিত শাস্তির ব্যবস্থাও, পারিবারিক আবহ, বই পড়া, গান শোনা কবিতা আবৃতি ও নাটক মঞ্চায়ন করার মত ঘটনাও। শুধু কি তাই? শৈশবের পাশাপাশি রয়েছে বড় এবং বুড়োবেলার কিছু খণ্ড চিত্র। স্মৃতিচারণমূলক এই বইয়ে লেখক তার পিএইচডির ফলাফল প্রদানকালীন সময়ের ভয়াবহতম দুঃসময়ের কিছু স্মৃতিও উল্লেখ করেছেন। রয়েছে বড়মামার স্মৃতিময় গল্প। যেমন লেখক এক জায়গায় লিখেছেন, " আমার লেখক হয়ে ওঠার পেছনে বড়মামা শেখ ফজলুল করিমের কিছু ভূমিকা আছে। তিনি কবিতা ও গান লিখতেন। কাব্যনাট্য লিখতেন। তাঁর লেখা নাটক আমাদেরকে দিয়ে করাতেন।" লেখক এই বইয়ে নিজ পরিবারের আবেগময় অনেক অজানা গল্প বলে গেছেন। আর খুব সূক্ষ্মভাবে দেখিয়েছেন দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর আগের সামাজব্যবস্থার সামাজিক রূপ। লেখক তাঁর টুকরো টুকরো স্মৃতিকথা গুলোর শিরোনামও দিয়েছেন ভীষণ মজার। যেমন :শুধুই খেলা। প্রাণসখা। পিতা শৌখিনদার। মা প্রসঙ্গ। মা'র ঘড়ি। আনন্দ বেদনার কাব্য। বড়মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণরেখা। নানাজানের আগামন শুভেচ্ছার স্বাগতম ইত্যাদি। লেখকের এই বড় মামার গল্প আমরা তাঁর বিভিন্ন লেখায় পড়েছি তো বটেই; এই বইয়েও রয়েছে ছোটছোট দুই খণ্ড স্মৃতিকথন। লেখকের শৈশবের অনেকগুলো দিন কেটেছে সিলেটের মিরাবাজারে। লেখাতে সেই বর্ণনাও ফুটে উঠেছে প্রাণবন্ত হয়ে। রয়েছে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দময় বর্ণনা। অনেক ভাইবোন মিলে কোলাহলময় পরিবেশে বেড়ে উঠা আনন্দময় শৈশব পেড়িয়ে তাই তো দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পরে লিখেছেন "কিছু শৈশব"। #পাঠপ্রতিক্রিয়া দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। আমার প্রাণের গানের ভাষা শিখবে তারা ছিল আশা উড়ে গেল, সকল কথা কইল না সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। নানা রঙের সেই দিন গুলি লেখক দুই মলাটের খাঁচায় বন্দি করেছেন তার সুনিপুণ লেখনশৈলী দিয়ে। আত্মজৈবনিক গ্রন্থগুলো সাধারণ ভারিক্কি ধরণের হয়ে থাকে। কিন্তু লেখকের সুগভীর মননশীলতা আর গল্প বলার ঢংএ "কিছু শৈশব" হয়ে উঠেছে হাস্যরসাত্মক এক আনন্দময় রচনা। যা আপনাকে উদ্বেলিত করবে, উদ্ভাসিত করবে আনন্দের জোয়ারে। লেখকের টুকরো টুকরো রঙিন শৈশব-স্মৃতির বর্ণনা আপনাকেও প্রজাপতির ডানায় করে নিয়ে যাবে নিজের রঙিন শৈশবে। বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইটা হাতে নিয়ে প্রচ্ছদটা খুব করে দেখলাম। এরপর ঘ্রাণ নিলাম অনেক্ষণ ধরে। পৃষ্ঠার গায়ে যেন শৈশবের ধুলাবালি লেগে আছে। এই যে রিভিউটা লিখছি আর ঘ্রাণ নিচ্ছি, আহ্ কি মধুর ঘ্রাণ! শৈশবের ছায়াটা এখন আর দেখা যায়না। যেন মিশে গেছে কোনো এক মেঠোপথে কিংবা কোনো পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে। শহুরে জীবনে কি আর গাঁয়ের শৈশবটাকে মনে রাখা যায়! হুমায়ূন আহমেদের 'কিছু শৈশব'-এ ডুব দিয়ে নিজের শৈশবটাকে একটু খুঁজতে চেষ্টা করেছি। বাসের জানালা দিয়ে বারবার বাহিরে তাকিয়েছি, আকাশের দিকে তাকিয়েছি যদি শৈশবের একটু দেখা পাই। বৃষ্টিতে ভিজেছেন কখনো- যেমন ধরুন ঝুম বৃষ্টিতে, টুপটাপ বৃষ্টিতে? স্লিপ খেতেন কখনো- পিচ্ছিল মাটিতে? লেখক ৫০ বছর পর সাত-আট বছরের হুমায়ূনকে ভিজাতে সিলেটের মীরাবাজারে গিয়েছিলেন। আমরা কি যাই? গেলেও কি এখন বৃষ্টিকে পাই, ভিজতে? ছেলেবেলাটায় কৌতূহলের সীমা থাকেনা। কোনো কিছু দেখলেই দাঁড়িয়ে থেকে কৌতূহল মেটাবার চেষ্টা থাকে। আচ্ছা, সবার শৈশব কি একই রকমের হয়? সম্ভবত। আম চুরি করেছেন কখনো? মেঠোপথ ধরে বাজারে গেছেন কখনো? মারবেল, জোলাবাতি, বিয়ে বিয়ে খেলেছেন কখনো? মনে নেই বুঝি? আপনাকে খুব আদর করতো, কোলে কোলে রাখতো শৈশবের এমন কারো কথা মনে পড়ে কি, যিনি এখানে-ওখানে, এবাড়ি-ওবাড়ি নিয়ে যেতো? আমার কিন্তু পড়ছে। ভীষণ মনে পড়ছে। তাই তো বাসের জানালা দিয়ে এখনো তাকিয়ে আছি। দাদা-দাদীর কথা মনে পড়ছে কি? দাদার সাথে মাঠে, হাটে গিয়েছিলেন কখনো? কিংবা দাদীর সাথে ঘুমিয়ে গল্প শুনেছেন কখনো? আমি শুনেছি। শিশু হুমায়নও শুনেছিলো। নানার বাড়ি থেকে কেউ আসার অপেক্ষা করেছিলেন? কিংবা নানার বাড়িতে যখন বেড়াতে যেতেন সে সময়টি? নানা-নানীর আদর ভালোবাসা, মামার সাথে কাটানো সময়গুলো- আহ্, কি সুখের দিনগুলো। শৈশবের এমন কোনো কথা কি মনে করতে পারছেন, যা মনে হলে হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা শুরু হয়। একদিন হুমায়ন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটা দৃশ্য দেখছিলেন। খুবই কৌতূহল নিয়ে। কি এমন ছিলো সেই দৃশ্যটিতে! থাক্, এতো কথা বলতে নেই। আপনারটা মনে করে একবার হাসুন। এমন কোনো চিত্র মনে পড়ছে, দেখুনতো! যেটা দেখে আপনার মনটা কেঁদে উঠেছিলো, ডুকরে কেঁদে উঠেছিলো? শিশু মন! কত কিছু তে সে মন সায় দেয়। কখনো হাসায়, কখনো ভয় দেখায়, কখনো বা কাঁদায়! ভাই-বোনদের সাথে মারামারি, জড়াজড়ি ভালোবাসার ছবিটি... আহ্, কত মধুর! কত সুখের! আচ্ছা, এখন কি আর ঝগড়া হয়? এবার একটু মায়ের স্নেহমাখা বকুনী আর বাবার পরম ভালোবাসার ধমকটি কিংবা একটা ধোলাই খেয়েছেন জনমের মতো- সব স্মৃতিতে একটু ডুব দিয়ে আসুন! কিছু পেলেন কি? শৈশব, তোকে দেখে বড় কষ্ট পাই! খুব কষ্ট পাই! শৈশবটা সব সময় মনে থাকুক, এক চিলতেও যেন ভুলে থাকা না হয়! পুনঃশ্চ- হুমায়ুন আহমেদ শাওনকে বিয়ে করেছিলেন। এটিকে মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। এমনকি ভালোবাসার বোনটিও। আচ্ছা মেনে নিলে কি এমন হতো? অন্তত শৈশবের ভালোবাসাটুকুন তো বেঁচে থাকতো! এতে কি সম্মান চলে যেতো? গেলেও বা কি এমন হতো! ভাই-বোন সম্পর্কটি তো অনন্য! পারিবারিক বন্ধনগুলো টিকে থাকুক, অন্তত শৈশবের সোনালি সময়ময়গুলোকে ভালোবেসে। লেখকের ধর্মীয় বিশ্বাস, পরকালের প্রতি বিশ্বাস- এখান থেকে দারুণভাবে বুঝা যায়। কত গভীর সেই উপলব্ধি! হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বইটি প্রকাশ করেছে 'অন্যপ্রকাশ'। রকমারি লিংক→ https://www.rokomari.com/book/1150/কিছুশৈশব #TM_BR
Was this review helpful to you?
or
"জিনিস তুলিবে জিনিস পাইলে তুলিবে তুলিবে তুলিবে তুলিবে যদি না হইবে পরে হইবে দরকার " কি পাঠক কবিতার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছেন না তাইনা? তবে বলি বইটা হুমায়ূন আহমেদের শৈশব স্মৃতির মজার সব ঘটনা নিয়ে লেখা। কবিতাটা যেরকম আজব এর অর্থ টাও কিন্তু ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা বইটায় অধ্যায় ভিত্তিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যদি আপনি এই ঘটনা জানতে চান তাহলে আপনাকে পড়তে হবে আর পড়লেই পাবেন আরো অসংখ্য সব ঘটনা। তবে এই ঘটনাগুলোকে ১৬ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। কিছু কিছু অধ্যায় মৃত্যুর প্রবল যন্ত্রনার কথা উল্লেখ আছে যেগুলো সত্যি, এবং সেগুলো পড়লে পাঠকের চোখে এমনিতেই পানি আসবে। শুধু পানি আসবে তানা খলখলিয়ে হাসির জন্য বইটা যথেষ্ট। একটা মানুষকে কিছুতেই ভালো লাগেনা, তার আাচার ব্যবহার কিছুই না তবে সেই মানুষটার একটা কথায় তাকে ভালো লাগা শুরু করল। তার সাময়িক বিদায়ে কত অশ্রু বিসর্জন হল তার ইয়াত্তা নেই। এই ঘটনা আরো বিস্তারিত রুপে আলোচনা করা আছে। হুমায়ূন আহমেদ আজ অনেক বড় লেখক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন তবে এর জন্য অনেক কেই তিনি ভক্তি সহ স্বরন করতেন। তিনি মনে করতেন তাদের জন্যই লেখকের পথে বাড়ানো। এসব মানুষের কথা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সত্যিই ছোটদের মন কত বিচিত্র। আর হুমায়ূন আহমেদের মত মানুষের জীবন এত বিচিত্র আর এত মজাদার তা জেনে প্রত্যেক পাঠক আফসোস করবে কেন তার এরকম শৈশব হলনা। সত্যি বলতে আফসোসের জন্য নয় বরং বইটা অসম্ভব ভালো। আশাকরি আপনাদেরও লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
‘কিছু শৈশব’ প্রথমে সিলেটের মীরাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা সংশোধন করে একে বই আকারে প্রকাশ করেন। এখানে লেখকের শৈশব কালের নির্জলা আনন্দ-মাখা দিনগুলোর কথাই উঠে এসেছে। ‘কিছু শৈশব’ আত্মজীবনী মূলক লেখা। বইয়ের শুরুতেই আমরা এক বৃষ্টি দিনের বর্ণনা দেখতে পাই। লেখক বৃষ্টিভেজা হয়ে বাড়ি ফেরার পর তাঁর মা তাঁকে শাস্তি দেন। পরে এ নিয়ে লেখকের মা তাঁর বাবার কাছে বিচার দেন। কিন্তু লেখকের খেয়ালী বাবা তার স্ত্রীর কথা আমলেই নেন না। এর পরেই লেখক আনেন, কিছুদিন আগে তাঁর সিলেট ভ্রমণের প্রসঙ্গ। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, আজিজুর রহমান নামে এক সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ, লেখক ছোটবেলায় যে বাড়িতে ছিলেন সে বাড়িটি অবিকৃত রেখে দিয়েছেন। এরপর লেখক আবার তাঁর ছেলেবেলায় ফিরে যান। সে সময় ছেলেবেলা মানে ছিল শুধুই খেলাধুলা। তখন এখনকার মত এত পড়াশুনার বাড়াবাড়ি ছিল না। আর তখনকার মায়েরা এখনকার মায়েদের মত সব সময় সন্তানদের নিয়ে ব্যস্তও থাকতেন না। তখন শৈশব কাল মানেই ছিল অবাধ স্বাধীনতা। লেখক তাঁর জীবনের সেই সময় পর্ব সিলেটে বেশ আনন্দের সাথেই কাটিয়েছেন। সে সব গল্প এই বইয়ে পাওয়া যাবে। এরপর লেখক তাঁর ছোটবেলার কিছু বন্ধুদের স্মৃতি স্মরণ করেছেন। তারপর লেখক তাঁর বাবার প্রসঙ্গ এনেছেন। তাঁর বাবা ছিলেন অত্যন্ত খেয়ালী মানুষ। তার বিভিন্ন রকম শখ ছিল। গান করার শখ, বই পড়ার শখ, ফটোগ্রাফির শখ। এসব কথা এই বইয়ে উঠে এসেছে। লেখকের বাবা ‘রিক্তশ্রী পৃথিবী’ নামে একটি বইও লিখেছিলেন। যেটার প্রচ্ছদ করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তবে বইয়ের কোন কপি আর এখন খুঁজে পাওয়া যায় নি। এই ঘটনা নিয়ে লেখক ‘আনন্দ-বেদনার কাব্য’ নামে একটা ছোটগল্প লিখেছিলেন। সেই গল্পটিও এই বইয়ে বিধৃত করা হয়েছে। এরপর লেখক তাঁর মা’র প্রসঙ্গ এনেছেন। তিনি একবার তাঁর মা’র একটা দামী ঘড়ি চুরি করে খুলে নষ্ট করে ফেলেছিলেন। লেখকের বাবা তাঁর মাকে অনেক আগ্রহ করে ঘড়িটি উপহার দিয়েছিলেন। তাই সে ঘড়ি নষ্ট হতে দেখে তিনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে লেখক যখনই বিদেশে যেতেন তখনই সেই ঘড়িটি খুঁজতেন। অবশেষে পঞ্চাশ বছর পরে লেখক ব্যাংকক থেকে সেই রকম হুবহু একটি ঘড়ি কিনে মাকে উপহার দেন। এরপর এই বইয়ে লেখকের বড় মামা শেখ ফজলুল করিমের কথা এসেছে। এভাবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে ‘কিছু শৈশব’ বইয়ে লেখকের শৈশব আর তাঁর শৈশবকে রঙিন করেছিলেন যে সব মানুষেরা তাদের কথা উঠে এসেছে। ‘কিছু শৈশব’ বইয়ের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হল, এখানে প্রতি অধ্যায়ে লেখকের শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত একটি করে ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ ভক্তরা এই বই পড়ে লেখকের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। এই অসাধারণ বইটি সবারই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃকিছু শৈশব লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্যপ্রকাশ মূল্যঃ১৭৬টাকা এ উপন্যাসটি হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যরকমের একটি সৃষ্টি বলে মনে হয়েছে। বিগত শৈশবকে খুঁজে ফিরছেন পরিণত হুমায়ূন আহমেদ। শৈশব কে ফিরে পেতে লেখকের যে কাতরতা তা দৃশ্যায়ন হয়েছে বইটিতে। কিছু সুখ-দুঃখ, কিছু হাসি-কান্না কে দুই মালাটের ভেতর আবদ্ধ করেছেন। শৈশব যেমন হয় তেমনই। আর চার-পাঁচজন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ের মতই অভাব-অনটনের বেড়াজালে পড়েছেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখক হুমায়ূন আহমেদ হওয়ার পিছনে যে তার সাহিত্য-সংস্কৃতি মনস্ক পরিবারেরও যে একটা বড় প্রভাব আছে তা অনায়াসেই বোঝা যায়।মানুষ যখন মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকে তখন সে ব্যাকুল হয়ে পেছনে তাকায়। আমার মনে হয় তাই হয়েছে। সারাক্ষণই শৈশবের কথা মনে পরার যে ব্যাথা তা তিনি এ বইটিতে প্রকাশ করেছেন। শৈশবের স্মৃতিচারণ ভিত্তিক এ উপন্যাসটি বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
আমাদর এই বাংলাদেশ।