User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Manna Chakraborty

      20 Jul 2023 02:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By Hasibul Hasib

      16 Oct 2020 02:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      very nice

      By Topu

      02 Oct 2020 11:08 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      wow

      By Laxmi Akter

      25 Sep 2020 01:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মরুভূমির ধুলিগর্ভে হারিয়ে যাওয়া এক অভূতপূর্ব নগরী উবার, যাকে ডাকা হয় মরুর আটলান্টিস। একে ইরাম নগরীও বলা হয়। কথিত আছে, শাদ্দাত বিন আদ নামের এক ব্যাক্তি ছিল এ শহরের রাজা, তার নির্দেশেই নির্মিত হয় এক ভূস্বর্গ। এটি কোন রুপকথা নয় কুরআনেও এর উপস্থিতির প্রমান আ’দ শহর হিসেবে পাওয়া যায়। তবে এই বইটিতে মূল ঘটনা শাদ্দাতকে নিয়ে না হলেও ঘটনার সূত্রপাত তাকে ঘিরেই। এই বইতে উবার শহরকে ঘিরে বিভিন্ন রহস্য নিয়ে জানা যাবে এবং পাঠকেরা এমন কিছু রহস্যর ব্যাপারে জানতে পারবে যা আসলেও তাক লাগানোর মত।

      By Moshiur Rahman

      30 Jan 2020 08:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের বায়োলজী ল্যাবে একটা কৌতুক আছে, ইদুরের মত বাচ্চা প্রসব করা। ইদুররা এক জোড়া থেকে বছরের মাঝে হাজারের উপর পৌঁছাতে পারে। এই অনুবাদ দেখে তাই মনে হয় । অরিজিন প্রকাশের ১৫ দিনের মাঝেই দুই প্রকাশনীর মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লাগে কে কার আগে বই বের করবে। ফলাফল তাড়াহুড়া করে কোনো কাজ মন দিয়ে না করে করলে যা হয় তাই, জঘন্য জগাখিচুড়ী যা দেখাটাও দৃষ্টিকটু। টাকা আয় করার জন্য কলম ধরা মহান পেশা। একজন সঠিক মানুষের হাতে কলম তরবারির চেয়ে শক্তিশালী। অনুবাদকের!! কাছে অনুরোধ থাকবে ইদুরের মত বাচ্চা প্রসব না করে অন্তত একটা বই একটু মন প্রাণ লাগিয়ে উপযোগী করে বের করুন। তাতে আয় কম হতে পারে, কিন্তু পাঠক মনে জায়গা করে নেওয়া যাবে। যেই টাকা দিয়ে অনুবাদ কিনে টাকা খরচ করি, মাঝে মাঝে মনে হয় নীলক্ষেত থেকেই তো সেই বই অরিজিনাল টা ই কিনা যায়।

      By Tamjid Shajol

      10 Dec 2019 09:43 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের শুরুতে দেখা যায় লন্ডন মিউজিয়ামের একটা ব্যাক্তিগত গ্যালারিতে ব্যাখ্যার অতীত একটা বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুন লেগে যায়। ক্যানসিংটন গ্যালারি। লেডী ক্যানসিংটন ওটার মালিক। বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে যেটা বের করা হয় সেটা একটু অদ্ভুত। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় একটা বল লাইটেনিং ঐ গ্যালারিতে ছোটাছুটি করছে। তারপর একটা মূর্তির সংস্পর্শে যাওয়া মাত্রই বিস্ফোরণটা ঘটে। বল লাইটেনিং এ স্থির বিদ্যুৎ থাকে, আর সেটা মূর্তির কাছে যাওয়া মাত্রই বিস্ফোরণ হয়, তারমানে ঐ মূর্তিটাতে এমন কিছু ছিল যা স্থির বিদ্যুৎ এর সংস্পর্শে এলেই বিস্ফোরণ ঘটবে। ঐ গ্যালারির কিউরেটর ড. সাফিয়া আল মায়াজ এবং মালিক কারা কেনসিংটন পুরনো একটা ঘটনার সাথে এই ব্যাপারটা মিলাতে চাচ্ছিলো যার সাথে কারা কেনসিংটন এর বাবা রেজিনাল্ড কেনসিংটনের মৃত্যুর ব্যাপারটা জড়িত। কিন্তু ডারপা (DARPA-Defense Department’s Advanced Research Projects Agency. সিগমা ফোর্স মূলত ডারপারই একটা অঙ্গপ্রতিষ্ঠান) এরমধ্যে অসম্ভব এক প্রকার শক্তির আভাস পাচ্ছে। এমন একটি শক্তি যা বদলে দিতে পারে পৃথিবীর সভ্যতা আবার ধ্বংস করে দিতে পারে পৃথিবী। লেডী কারা কেনসিংটন, ড. সাফিয়া আল মায়াজ, রওনা দিল কারার বাবার মৃত্যুর রহস্য খুঁজে বের করতে। যার সাথে হারানো শহর "উবার"কে খুঁজে পাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তাদের দলে আছে ড. ওমাহা ডান ও তার ভাই। ছদ্মবেশে তাদের সাথে আরও একজোড়া মানুষ আছেন। পেইন্টার ক্রো এবং কোরাল। পেইন্টারকে চিনেছেন? বর্তমান সিগমা ফোর্সের ডিরেক্টর হলেন পেইন্টার ক্রো। বর্তমানে ডিরেক্টর হলেও তখন ছিলেন একজন ফিল্ড এজেন্ট। এটুকুতেই শেষ? তাদের সাথে আরও গোপন কয়েকটা সংগঠন যাচ্ছে হারানো শহর উবারকে খুঁজে বের করতে। উবার পাওয়া গেলেই পাওয়া যেতে পারে অসীম ক্ষমতার সেই উৎস। কারণ, সেই উৎসের কিছু অংশ যেটা লন্ডন মিউজিয়ামে বিস্ফোরিত হয়েছিল সেটা যে মূর্তির ভিতর ছিল সেটা হারানো শহর উবারেরই একটা অংশ ছিল। দেখা যাক কার হাতে পরে সেই ক্ষমতার উৎস। এই বইয়ের প্রতিটি পাতা পড়তে পড়তে শিহরিত হতে হয়েছে আমাকে। মাঝে মধ্যে এমনও হয়েছে যে পড়তে পড়তে এমন একটা টুইস্ট পেয়েছি, থেমে গিয়ে আবার কয়েকলাইন পিছন থেকে পড়েছি। টুইস্টগুলো হজম করতে বেগ পেতে হয়েছে। এমনকিছু তথ্য জানতে পেরেছি যেটা আমার জানার মধ্যে ছিল না আগে। মাদার মেরীর বাবা নবী ইমরান থেকে শুরু করে, নূহ (আঃ) এবং আয়ূব (আঃ) এর কথাও বলা আছে এই বইতে। এই বইয়ের কাহিনীর সাথে রাণী সেবাও জড়িত আছে। ভাবা যায়? কত প্যাঁচ শুরু থেকে লাগিয়েছেন রোলিন্স সাহেব? বইয়ের মাঝামাঝি থেকে একটু একটু করে প্যাঁচগুলো খুলতে থাকে আর নড়েচড়ে বসা লাগে। রোলিন্স সাহেবের লেখার সাথে প্রথম পরিচিত হয়েছি আমাজনিয়া পড়ে। তারপর পড়েছিলাম সিগমা ফোর্সের আই অভ গড। সিগমা ফোর্সের প্রথম বই স্যান্ডস্টর্ম হলেও আই অফ গড দিয়েই সিগমার সাথে আমার পরিচয়। আই অফ গড পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাকিগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী পড়ব। সে ধারাবাহিকতায় স্যান্ডস্টর্ম পড়ে শেষ করলাম। অনেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সিরিয়াল অনুযায়ী পড়া বাধ্যতামূলক কি না। আমি উত্তরে বলবঃ না বাধ্যতামূলক না, প্রত্যেকটা কাহিনী আলাদা। সিরিজের অন্যান্য বই পড়া না থাকলেও বুঝতে সমস্যা হবে না। তবে ক্যারেক্টার বিল্ডাপটা বুঝতে সহজ হবে সিরিয়াল অনুযায়ী পড়লে। সিগমা ফোর্সের দুটা বই পড়ে এখন পর্যন্ত যা বুঝলাম প্রত্যেকটা বইয়ের কাহিনী আধুনিক সময় থেকে শুরু করে প্রাগৈতিহাসিক সময় পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এক সময় থেকে আরেক সময়ে যেতে রোলার কোস্টারে চড়তে হয়। এই বইয়ের অনুবাদক ফুয়াদ ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচয় মূলত তার রিভিউ দিয়ে। তারপর যখন তার প্রথম অনুবাদ ট্রল মাউন্টেন বের হয় সেটা তখন সংগ্রহ করতে পারিনি। এবারের মেলায়ই ট্রল মাউন্টেন এবং তার মৌলিক থ্রিলার রাত এগারোটা সংগ্রহ করি। সেই ফেব্রুয়ারিতে তার দুটা বই সংগ্রহ করে থাকলেও প্রথমে পড়লাম এই স্যান্ডস্টর্ম বইটা। তার অনুবাদের মান নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই, বরং প্রশংসা আছে। এটুকু বলতেই হয়, এরপর ফুয়াদ ভাইয়ের কোনও অনুবাদ অথবা মৌলিক বই কেনার সময় আমার ভিতরে কোনও দ্বিধা কাজ করবে না। চোখ বন্ধ করেই কিনে নিতে পারব :) কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন, এতবড় বইয়ে কোনও বানান ভুল বা অন্য কোনও ভুল পাননি? উত্তরে বলব, সামান্য যে কয়টা বানান ভুল আছে সেটা কাহিনীর কারণে উৎরে যাবে :) বইয়ের মান অনেক ভালো, বাধাই অনেক ভালো। দামের ব্যাপারটা তাই গায়ে লাগেনা। আচ্ছা, যে ক্ষমতার উৎসের দিকে সবাই ছুটে চলেছে, সেটা কি? আঁচ করতে পেরেছেন কেউ? ড্যান ব্রাউনের এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস পড়েছেন কেউ?

      By Tamjid Shajol

      04 Oct 2019 06:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি ব্যক্তিগত গ্যালারির মালিক কেনসিংটন পরিবার । এক ঝড়ের রাতে ঐ গ্যালারী ব্যাখ্যাতীত এক বিস্ফোরণে কেপে উঠে। ধ্বংস হয়ে যায় পুরো গ্যালারী। জানা যায়, বল লাইটেনিং এর ছোটাছুটির ফলে ঘটে গেছে সেই বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের রহস্যের সাথে অনেক বছর আগের এক ঘটনার মিল খুঁজে পায় গ্যালারীর বর্তমান মালিক লেডী কারা কেনসিংটন । সে এই বিস্ফোরণের রহস্যের সমাধান বের করতে চায়। সাহায্য যায় ঐ গ্যালারীর কিউরেটর আর তার বান্ধবী প্রত্নতাত্ত্বিক ড. সাফিয়া আল মায়াজের কাছে। ড. সাফিয়া আল মায়াজ আর লেডি কারা কেনসিংটন একসাথে বেড়ে উঠেছে, বোন হিসেবেই তাকে দেখে কারা কেনসিংটন। তিক্ত এক অভিজ্ঞতায় কারণে সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে ড. সাফিয়া আল মায়াজ। বিধ্বস্ত গ্যালারী তাদের সূত্র দেয় দেয় মরুভূমির আটলান্টিস নামে পরিচিত কিংবদন্তি উবা'র নামের এক পুরানো শহরের, যা হারিয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার বছর আগে। এই শহরকে ঘিরে রয়েছে নানারকম মিথ, রানী শেবার নাম জড়িয়ে আছে এই শহরে সাথে। আরো আছে বিপুল সম্পদের আধারের মিথ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের উদ্দেশ্যে এই শহর সন্ধানের জন্য বেরিয়ে পড়ে কারা কেনসিংটন। সহযোগী হিসেবে সাথে নেয় সাফিয়া আল মায়াজ, ওমাহা আর ড্যানি ডান ভাতৃদ্বয়, মায়াজের শিক্ষানবিশ সহকারী ক্লে আর ঘটনাচক্রে যুক্ত হওয়া ছন্মবেশী পেইন্টার ক্রো আর কোরাল নোভাক। আবার, একসময় সাফিয়া আল মায়াজ ছিল ওমাহা ডান-এর বাগদত্তা। ডারপা প্রোগ্রাম যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অভ ডিফেন্সের অধীনে কাজ করে । ডারপার একটি বিশেষায়িত বিভাগ হচ্ছে সিগমা ফোর্স। সেই সিগমা ফোর্সের এক জীবন্ত কিংবদন্তী বলা চলে পেইন্টার ক্রোকে। ডারপা লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংঘটিত সেই বল লাইটেনিং এর ঘটনায় আভাস পায় এক প্রকার অসম্ভব শক্তিশালী শক্তির। যা বদলে দিতে পারে মানবসভ্যতা, আবার ধ্বংস করে দিতে পারে পুরো পৃথিবী। যার জন্য তারা লেডি কারা কেনসিংটনের এই উদ্ধার অভিযানে যুক্ত করে পেইন্টার ক্রো আর তার সহযোগী কোরাল নোভাককে। অন্যদিকে, এই অসম্ভব শক্তিশালী শক্তিকে নিজেদের কাছে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো। শত্রু হিসেবে কারা কেনসিংটনের অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যদের উপর তারা শুরু করে হামলা। কখনো আলাদাভাবে, আবার কখনো সবাইকে একসাথে হামলা করে। এইসব প্রতিবন্ধকতা সাথে নিয়েই উবা'র আবিষ্কারের নেশায় এগিয়ে চলে অনুসন্ধানকারী দল৷ আবার, শত্রুরা সবসময় এক ধাপ এগিয়ে চলছে পেইন্টার ক্রোদের কাছ থেকে। পেইন্টারদের সবকিছু শত্রুর নখদর্পনে। কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করছে তাদের সাথে। কে এই বিশ্বাসঘাতক? কারা এই শক্তিশালী গোষ্ঠী, যারা ক্ষমতার জন্য পাগল হয়েছে? পেইন্টার ক্রো'রা শেষ পর্যন্ত কি উদ্ধার করতে পারবে কিংবদ্ধন্তি শহর উবা'র ? নাকি শত্রুরা তার আগেই ধ্বংস করে দিবে তাদের? কি পাওয়া যাবে সেখানে? বিপুল সম্পদ নাকি কোন শক্তিশালী শক্তির আধার? সেই শক্তি কি বদলে দিবে মানবসভ্যতা, নাকি ধ্বংস করবে পৃথিবী? আর বইয়ের নাম স্যান্ডস্টর্ম-ই বা কেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর ও উবা'র শহরের বাকি অংশ জানতে পড়ে ফেলুন, জেমস রোলিন্স রচিত সিগমা ফোর্সের প্রথম বই " স্যান্ডস্টর্ম " রিভিউ : জেমস রোলিন্সের বই মানেই দূর্দান্ত অ্যাকশন, অসংখ্য টুইস্ট আর জমজমাট থ্রিলারে পরিপূর্ণ বই। এই বইও এসকল কিছুর ব্যতিক্রম নয়। জেমস রোলিন্স এই বইয়ে মিথ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, অ্যান্টিম্যাটার আর মরুভূমিতে সৃষ্টি হওয়া বালুঝড়/স্যান্ডস্টর্মের যথাযথ ব্যবহার করেছেন এই বইয়ে। শেষের টুইস্টটাও অভাবনীয় ছিল। অনন্য সুন্দর, গতিময়তায় পূর্ণ এই বই। বইয়ের প্রতিটি পাতা রহস্য আর থ্রিলারে ভরপুর, টুইস্টে পরিপূর্ণ এই বই। এই বই পড়ার সময় আমি মুগ্ধ হয়ে ডুবে ছিলাম। ভালবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা রহস্য সবকিছুই বেশ সাজানো-গোজানো ভাবেই ছিল এই বইয়ে। আমার কাছে, অনেক ব্যাপারেই ভাল লেগেছে এই বইয়ের। যেমন : প্রথমে যাকে গল্পের মূল চরিত্র বলে মনে হয়, শেষে দেখা যায় ঘটনা উল্টো। আবার, নারী ভিলেনের ব্যাপারটাও ভাল ছিল। পেইন্টার ক্রোর চেয়ে কোন অংশে কম করে দেখানো হয়নি তাকে, বরং অনেকবার বেশিই মনে হয়েছে তাঁকে। লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে শুরু হয় এই বই শেষ হয় ওমানে। বইটি পড়ার সময় ড. সাফিয়া আল মায়াজ এর সঙ্গী হয়ে কখন যে ওমানের রাজ-পরিবাহীর রণতরীতে চড়বেন, নবী ইমরান (আ:) এর কবর হয়ে আইয়ুব (আ:) এর কবরে যাবেন টের পাবেন না আপনি। এরই মাঝে আপনি পেইন্টার ক্রো'র সাথে মোকাবেলা করবেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের। জেমস রোলিন্স আপনাকে শোনাবে অনেক বছর আগের মিথ আর হাজার বছরের পুরাতন ইতিহাস। সাথে আপনাকে জ্ঞান দিবে বিজ্ঞানের নানা অজানা বিষয়ে । মরুভূমির বালুঝড় সম্পর্কেও জানবেন বিস্তারিত। সমাধান করতে থাকবেন একের পর এক রহস্যের। এবার আসুন অনুবাদ নিয়ে। এই বইয়ের সুন্দর ও প্রাঞ্জল অনুবাদ করায়, অনুবাদক ফুয়াদ আল ফিদাহকে ধন্যবাদ। কিছু জায়গায় বানান ভুলকে আমি প্রিন্টিং মিসটেক হিসেবে মনে করেছি। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে সময়ের হিসেবে AM আর PM এর ভুল থাকলেও গল্পের গতিশীলতার কারণে তা উহ্য রাখা যায়। বইয়ের অনুবাদের ভাষা বেশ সহজ, সরল ও সুন্দর ছিল। বইটি পড়ার সময় কখনো বিরক্ত হয় নি। বেশ সুখপাঠ্য হিসেবেই মনে হয়েছে আমার কাছে।

      By BookHunter

      09 Jun 2021 09:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ☆☆☆☆

      By Ema Khan

      28 Nov 2020 10:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      was difficult to understand even when its translated to our native language

      By Shibli Sadik

      30 May 2016 11:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Not Yet complete, but lots of adventure in this book

    • Was this review helpful to you?

      or

      আর মাত্র তেরো মিনিট পর মারা যাবে হ্যারি মাস্টারসন। একথা যদি জানত, তাহলে জীবনের শেষ সিগারেটটা একদম গোঁড়া পর্যন্ত টানত সে। হয়তোবা পালানোর পথও খুঁজতো, রেডিও নিয়ে হয়তো তখনই শিফট লিডারকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে যেত সে। কিন্তু আফসোস, তার এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই! তাই মাত্র তিন টান দিয়েই নিভিয়ে ফেলল সিগারেটের আগুন, হাত নেড়ে মুখের সামনে থেকে সরিয়ে দিল ধোঁয়া। রেডিও টার দিকে তাকালো ও, পড়ে আছে অযত্মে, অবহেলায়, যেন তার কোন কাজ নেই, সময় হলেই ডাক পড়বে। . অনেকক্ষণ ধরেই আলোটাকে লক্ষ্য করছিল হ্যারি। গম্বুজাকৃতি ঘরটার ঠিক মাঝখানে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে আধ - মিটার ব্যাসের একটা নীল আলো। কাঁপছে ওটা, দেখে মনে হচ্ছে প্রিজম্যাটিক নীল তেল ব্যবহার করে জ্ব্লানো হয়েছে আলোটা। শেষ পর্যন্ত কাঁপতে কাপঁতে লোহার উটের উপরে গিয়ে থামলো ওটা, ভাসছে এখনো। বুমম.. উটটাকে ঘিরে থাকা কাঁচ বিস্ফোরণে ফেটে গেলো! আঘাত হানল হ্যারি'র বাম দিকে। পরের বিস্ফোরণটা ওকে ছুঁড়ে ফেলে দিল গ্যালারির অন্য মাথায়। তবে, গেটের সাথে বাড়ি খেলো কেবলমাত্র ওর জ্বলন্ত হাড়। কাপড় আর মাংস পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। . পুলিশি ব্যারিকেডের ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে আছে সাফিয়া আল মায়াজ। হাত দু'টো ভাঁজ করে আছে, চিন্তিত। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ধোঁয়া আর মাংস পোড়ার গন্ধ। পরবর্তীতে বিস্ফোরণের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় একটা বল লাইটেনিং গ্যালারিতে ছোটাছুটি করছে। অবশেষে ওটা একটা ডিসপ্লে-এর বেদীর উপর এসে স্থির হল। কিন্তু, বিপত্তি বাধলো আরেক জায়গায়। মূর্তিটিকে স্পর্শ করামাত্র ওটা উল্কাপিণ্ডের মত বিস্ফোরিত হয়। তাঁর মানে দাঁড়াচ্ছে, ঐ মূর্তিটাতে কিছু একটা ছিল, কেননা লাইটিং-এ স্থির বিদ্যৎ থাকে, আর ওটা মূর্তিটাকে স্পর্শ করামাত্র ওটা বিস্ফোরিত হয়। গ্যালারির মালিক কেনসিংটন আর সাফিয়া ব্যাপারটাকে চাপাতে চাইছিল সৌদি রাজ পরিবারের উপর। কেননা, মাত্র দু'মাস আগেই কেনসিংটন গ্যালারি সৌদি রাজপরিবারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল! . কিন্তু, DARPA (The Defense Advanced Research Projects Agency) ব্যাপারটাকে নিচ্ছিল একটু আরেকভাবে। এখানে বলে রাখা ভালো সিগমা ডারপা'র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। ওদিকে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, বিদূষী সাফিয়া আল - মায়াজ এবং নামকরা প্রত্মতত্ত্ববিদ ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য সারা দুনিয়া জুড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক - এমন এক ক্ষমতার উৎস খুঁজে বের করা, যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত? . প্রতিক্রিয়াঃ বর্তমান সময়ে থ্রিলার জনরার রাজপুত্র ই বলে যায় জেমস রোলিন্সকে। তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুটা সন্ধিহান যে, ওনার বইগুলোকে কোন জনরায় ফেলা যায়? কি নেই এতে? মরুভূমির বালু ঝড়, কিংবা অ্যাণ্টিম্যাটার বিস্ফোরণ - সবকিছুই আপনাকে ভুলিয়ে রাখবে কয়েকটা ঘণ্টার জন্য। তো দেরী কি? তৈরী হয়ে নিন, সিট বেল্ট বেঁধে নিন, রোলার কোস্টার অপেক্ষা করছে আপনার জন্য! অনুবাদ প্রসঙ্গে আসি। ফুয়াদ আল ফিদাহ ভাইয়ের অনুবাদ ভালোই। বর্তমান তরুণ অনুবাদকদের মধ্যে বেশ ভালো একটা স্থান করে নিয়েছেন তিনি। সাবলীল অনুবাদ, সহজবোধ্য ভাষা - সবকিছুই তার অনুবাদকে করে তুলেছে প্রাঞ্জল। তবে কিছুটা বিরক্তি যে একদম লাগেনি তা নয়! বানান ভুল বেশ চোখে পড়েছে (বর্তমান সংস্করণে হয়তো ওসব ঠিক করা হয়েছে), তাছাড়া 'নড' শব্দটিও অনেকবার এসেছে, এর বদলে 'মাথা ঝাঁকানো' কিংবা 'মাথা নাড়ানো' অনায়াসেই ব্যবহার করা যেত..

      By mahmud shafayet zamil

      07 Nov 2016 11:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জেমস রলিন্সের বই সব সময় তথ্যবহুল হয়। এটাও ব্যতিক্রম নয়। সুন্দর কাহিণী। রোমাঞ্চকর থ্রিলারের সবকিছুই পুরন করেছে এই বই। আমার আগে যারা রিভিউ লিখেছেন তাদের লেখা পড়লেই ধারণা করতে পারবেন আপনাদের জন্য দুই মলাটের মাঝে কি অপেক্ষা করছে। তাই বেশি কথা নয়। শুধু বলতে চাই বইটা পড়ুন, হতাশ হবেন না।

      By মাদিহা মৌ

      13 Oct 2016 09:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ স্যান্ডস্টর্ম (সিগমা ফোর্স #১) কাহিনী সংক্ষেপঃ ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডী কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। যাদের উদ্দেশ্য-সারা দুনিয়া জুড়ে বয়ে আনবে বিশৃংখলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক-এমন এক ক্ষমতার উৎস খুঁজে বের করা, যেটা দুনিয়াকে পড়িণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত? . পাঠ প্রতিক্রিয়া রোলিন্সের বই মানেই অন্য ধরনের কিছু। - এটা হল রোলিন্স সম্পর্কে বহুল ব্যবহৃত বাক্য। ঠিক যেন বিজ্ঞানের সাথে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম আর থ্রিলের অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ। . কী জীবন্ত বর্ণনা! মরুভূমির সূর্যাস্তের বর্ণনাটা - আমি যেন চোখের সামনে দেখছি! লাল সূর্য ডুবছে, আর বালিতে মরীচিকায় সূর্যের রিফ্লেক্সনটা, বালিঝড়ের ওই নীলাভ আলোটা একদম পরিস্কার দেখতে পেলাম। যে দৃশ্যটা জীবনে কখনো দেখিনি, সেটা চোখের সামনে একদম বাস্তবরূপে ফুটিয়ে তোলা কি চাট্টিখানি কথা? খুব ইচ্ছে হচ্ছে বালুঝড় দেখি। বালুঝড়ের নিচে তৈরি হওয়া নীল রঙের স্থির বিদ্যুৎ দেখি। ভয়াবহ সেই মরুঝড় দেখার প্রচন্ড সাধ জেগেছে। দুর্যোগ যতোই ভয়াবহ হোক, ওটাকে আমি ভয় পাই না। কিন্তু দুর্যোগের ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখার সাধ জাগিয়ে তুলেছে রলিন্স। (বইয়ের মলাটে বালুঝড়কে ছোঁয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা) . বিবি মরিয়মের বাবা যে নবী ছিলেন, জানতামই না। . ফিজিক্সের স্টুডেন্ট হওয়ায় ফিজিক্সের টার্মগুলি পড়ে খুব মজা পেয়েছি। অনেকগুলো ব্যাপার জেনেছি, যার নামই শুনিনি আগে। . কিছু কিছু ঘটনা এত আচমকা ঘটেছে যে পড়তে গিয়ে রক্ত ছলকে উঠেছে। বইটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। হৈ-হট্টগোলের মধ্যে কিংবা বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে এই বই পড়ে আরাম পাওয়া যাবে না। . ইতিহাস তো এম্নিতেই প্রচন্ড ভালো লাগে, সেই সাথে এই থ্রিল- বই ছেড়ে নড়াই দায়! মাঝামাঝি পর্যন্ত পড়ে দিন দুয়েকের জন্য বইটা পড়া স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম, প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যেও বইটার কথা বার বার মনে পড়েছে। পড়তে পারছিলাম না বলে আফসোস হয়েছে। . রূপান্তর সত্যিই চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে কিছু কিছু ইংরেজি শব্দ, যেগুলির এক্সেক্ট বাংলা হয়না, সেসবের ব্যাখ্যা ব্র‍্যাকেটে লিখে দেওয়ার আইডিয়াটা বেশ ইউনিক। আর হেল্পফুলও। সময়ের পাশে এএম-পিএম না লিখে সকাল-দুপুর-রাত লিখলে মনে হয় বেশি ভালো হত। বাংলা সংখ্যার সাথে বাংলিশ শব্দ কেমন যেন উদ্ভট লাগে। জীবাশ্ম বানান কি এখন হ্রস্ব-ইকার দিয়ে লেখা হচ্ছে? দায়িত্ব, পরে-পড়ে, সিঁড়ি, হকচকিয়ে, ছোরা, … বানানগুলি … ইয়ে মাদিহা, বই পড়তে বসছো, নাকি প্রুফ দেখতে? আসলে ইদানিং অদ্ভুত রোগ হয়েছে। বই পড়ার সময় ভুল বানানগুলি খুব বেশি চোখে লাগে। কানে, কে জানে? অন্য সব ইংরেজি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কিছু বলবো না। কিন্তু 'নড করা' শব্দটা এত বেশিবার এসেছে যে এটা খুব চোখে লেগেছে। এর বদলে অনায়াসেই মাথা ঝাঁকানো বা মাথা দোলানো লেখা যেত। . সবশেষে একটা ব্যাপার না বলে পারছি না। বইটা পড়ার সময় কোন একটা জায়গায়, এতোটাই চমকে গিয়েছিলাম কাপ থেকে চা ছলকে পড়ে গেছে। সাথে সাথে তড়িঘড়ি করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিলেও দাগ পড়ে গেছে। আমার নতুন বই টা! :'( :'( :'( . বই পরিচিতি বইঃ স্যান্ডস্টর্ম (সিগমা ফোর্স #১) লেখকঃ জেমস রলিন্স রুপান্তর: মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রচ্ছদ: সামিউল ইসলাম অনিক পৃষ্ঠা: ৪৩২ মূল্য: ৪৮০ প্রকাশনীঃ আদী প্রকাশন প্রকাশকালঃ মার্চ, ২০১৬

    • Was this review helpful to you?

      or

      প্রারম্ভিক কথাঃ রিভিউটা কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিনা। মাথা এখনও হ্যাং হয়ে আছে। ভেবেছিলাম কয়েকদিন পর রিভিউ লিখব, কিন্তু রিভিউ না লিখলে চুলকানি থামবেনা আমার। শুরু করা যাক, খারাপ হলে বকাবকি করবেন না প্লিজ :( রিভিউঃ নামকরণে আসি প্রথমে। বইয়ের নাম স্যান্ডস্টর্ম, মানে বালুঝড়। প্রচ্ছদেও বালুঝড়ের ছবি দেয়া আছে। তারমানে বইটির মেইন কেন্দ্রবিন্দু নিশ্চয় বালুঝড় বা স্যান্ডস্টর্ম? আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। কাহিনীর সাথে বালুঝড়ের গুরুত্ব অনেক বেশি হলেও মূল কাহিনী মূলত অন্যরকম এক প্রকার শক্তি নিয়ে। যে শক্তি পারে পৃথিবীকে স্বর্গে পরিণত করতে আবার পৃথিবীকে ধ্বংস করতে। গল্পের শুরুতে দেখা যায় লন্ডন মিউজিয়ামের একটা ব্যাক্তিগত গ্যালারিতে ব্যাখ্যার অতীত একটা বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগুন লেগে যায়। ক্যানসিংটন গ্যালারি। লেডী ক্যানসিংটন ওটার মালিক। বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে যেটা বের করা হয় সেটা একটু অদ্ভুত। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় একটা বল লাইটেনিং ঐ গ্যালারিতে ছোটাছুটি করছে। তারপর একটা মূর্তির সংস্পর্শে যাওয়া মাত্রই বিস্ফোরণটা ঘটে। বল লাইটেনিং এ স্থির বিদ্যুৎ থাকে, আর সেটা মূর্তির কাছে যাওয়া মাত্রই বিস্ফোরণ হয়, তারমানে ঐ মূর্তিটাতে এমন কিছু ছিল যা স্থির বিদ্যুৎ এর সংস্পর্শে এলেই বিস্ফোরণ ঘটবে। ঐ গ্যালারির কিউরেটর ড. সাফিয়া আল মায়াজ এবং মালিক কারা কেনসিংটন পুরনো একটা ঘটনার সাথে এই ব্যাপারটা মিলাতে চাচ্ছিলো যার সাথে কারা কেনসিংটন এর বাবা রেজিনাল্ড কেনসিংটনের মৃত্যুর ব্যাপারটা জড়িত। কিন্তু ডারপা (DARPA-Defense Department’s Advanced Research Projects Agency. সিগমা ফোর্স মূলত ডারপারই একটা অঙ্গপ্রতিষ্ঠান) এরমধ্যে অসম্ভব এক প্রকার শক্তির আভাস পাচ্ছে। এমন একটি শক্তি যা বদলে দিতে পারে পৃথিবীর সভ্যতা আবার ধ্বংস করে দিতে পারে পৃথিবী। লেডী কারা কেনসিংটন, ড. সাফিয়া আল মায়াজ, রওনা দিল কারার বাবার মৃত্যুর রহস্য খুঁজে বের করতে। যার সাথে হারানো শহর "উবার"কে খুঁজে পাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তাদের দলে আছে ড. ওমাহা ডান ও তার ভাই। ছদ্মবেশে তাদের সাথে আরও একজোড়া মানুষ আছেন। পেইন্টার ক্রো এবং কোরাল। পেইন্টারকে চিনেছেন? বর্তমান সিগমা ফোর্সের ডিরেক্টর হলেন পেইন্টার ক্রো। বর্তমানে ডিরেক্টর হলেও তখন ছিলেন একজন ফিল্ড এজেন্ট। এটুকুতেই শেষ? তাদের সাথে আরও গোপন কয়েকটা সংগঠন যাচ্ছে হারানো শহর উবারকে খুঁজে বের করতে। উবার পাওয়া গেলেই পাওয়া যেতে পারে অসীম ক্ষমতার সেই উৎস। কারণ, সেই উৎসের কিছু অংশ যেটা লন্ডন মিউজিয়ামে বিস্ফোরিত হয়েছিল সেটা যে মূর্তির ভিতর ছিল সেটা হারানো শহর উবারেরই একটা অংশ ছিল। দেখা যাক কার হাতে পরে সেই ক্ষমতার উৎস। এই বইয়ের প্রতিটি পাতা পড়তে পড়তে শিহরিত হতে হয়েছে আমাকে। মাঝে মধ্যে এমনও হয়েছে যে পড়তে পড়তে এমন একটা টুইস্ট পেয়েছি, থেমে গিয়ে আবার কয়েকলাইন পিছন থেকে পড়েছি। টুইস্টগুলো হজম করতে বেগ পেতে হয়েছে। এমনকিছু তথ্য জানতে পেরেছি যেটা আমার জানার মধ্যে ছিলনা আগে। মাদার মেরীর বাবা নবী ইমরান থেকে শুরু করে, নূহ (আঃ) এবং আয়ূব (আঃ) এর কথাও বলা আছে এই বইতে। এই বইয়ের কাহিনীর সাথে রাণী সেবাও জড়িত আছে। ভাবা যায়? কত প্যাঁচ শুরু থেকে লাগিয়েছেন রোলিন্স সাহেব? বইয়ের মাঝামাঝি থেকে একটু একটু করে প্যাঁচগুলো খুলতে থাকে আর নড়েচড়ে বসা লাগে। রোলিন্স সাহেবের লেখার সাথে প্রথম পরিচিত হয়েছি আমাজনিয়া পড়ে। তারপর পড়েছিলাম সিগমা ফোর্সের আই অভ গড। সিগমা ফোর্সের প্রথম বই স্যান্ডস্টর্ম হলেও আই অফ গড দিয়েই সিগমার সাথে আমার পরিচয়। আই অফ গড পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাকিগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী পড়ব। সে ধারাবাহিকতায় স্যান্ডস্টর্ম পড়ে শেষ করলাম। অনেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সিরিয়াল অনুযায়ী পড়া বাধ্যতামূলক কিনা। আমি উত্তরে বলবঃ না বাধ্যতামূলক না, প্রত্যেকটা কাহিনী আলাদা। সিরিজের অন্যান্য বই পড়া না থাকলেও বুঝতে সমস্যা হবেনা। তবে ক্যারেক্টার বিল্ডাপটা বুঝতে সহজ হবে সিরিয়াল অনুযায়ী পড়লে। সিগমা ফোর্সের দুটা বই পড়ে এখন পর্যন্ত যা বুঝলাম প্রত্যেকটা বইয়ের কাহিনী আধুনিক সময় থেকে শুরু করে প্রাগৈতিহাসিক সময় পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এক সময় থেকে আরেক সময়ে যেতে রোলার কোস্টারে চড়তে হয়। এই বইয়ের অনুবাদক ফুয়াদ ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচয় মূলত তার রিভিউ দিয়ে। তারপর যখন তার প্রথম অনুবাদ ট্রল মাউন্টেন বের হয় সেটা তখন সংগ্রহ করতে পারিনি। এবারের মেলায়ই ট্রল মাউন্টেন এবং তার মৌলিক থ্রিলার রাত এগারোটা সংগ্রহ করি। সেই ফেব্রুয়ারিতে তার দুটা বই সংগ্রহ করে থাকলেও প্রথমে পড়লাম এই স্যান্ডস্টর্ম বইটা। তার অনুবাদের মান নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই, বরং প্রশংসা আছে। যেহেতু তাকে ট্যাগ দিয়ে রিভিউটি পোস্ট করব তাই আর তার সামনে তার প্রশংসা করলাম না। ব্যক্তিগতভাবে তাকে যতটা চিনি, প্রশংসা করলে ভিষন লজ্জা পান তিনি :D তবে এটুকু বলতেই হয়, এরপর ফুয়াদ ভাইয়ের কোনও অনুবাদ অথবা মৌলিক বই কেনার সময় আমার ভিতরে কোনও দ্বিধা কাজ করবেনা। চোখ বন্ধ করেই কিনে নিতে পারব :) কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন, এতবড় বইয়ে কোনও বানান ভুল বা অন্য কোনও ভুল পাননি? উত্তরে বলব, সামান্য যে কয়টা বানান ভুল আছে সেটা কাহিনীর কারণে উৎরে যাবে :) বইয়ের মান অনেক ভালো, বাধাই অনেক ভালো। দামের ব্যাপারটা তাই গায়ে লাগেনা। আচ্ছা, যে ক্ষমতার উৎসের দিকে সবাই ছুটে চলেছে, সেটা কি? আঁচ করতে পেরেছেন কেউ? ড্যান ব্রাউনের এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস পড়েছেন কেউ?

      By Sawon Ahmed

      19 Jul 2016 12:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      কাহিনী সংক্ষেপঃ ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম।পুরোপুরি ভাবে ধব্বংস হয়ে গিয়েছে 'কেনসিংটন গ্যালারী’। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। ডায়পার স্পেশাল ইউনিট সিগমা ফোর্স থেকে রহস্য উন্মোচনের জন্য পাঠানো হল কমান্ডার পেইন্টার ক্রো ও ড. কোরাল নোভাক কে। বাবার অন্তর্ধান আজো তাড়া করে ফেরে কারাকে। তাইতো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডী কারা কেনসিংটন সাথে জুটিয়ে নিল বান্ধুবী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ কে এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান যে কিনা কারার কাছে জীবন্ত ইন্ডিয়ানা জোন্স সেও হল ওদের যাত্রার সাথী। সবাই মিলে প্রবেশ করল এমন এক শহরে যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে গিল্ড নামে আরেক দল। ঐ দলের দ্বায়িত্বে আছে আবার পেইন্টার ক্রোর এক্স পার্টনার কাসান্দ্রা সানচেয। যাদের উদ্দেশ্য-সারা দুনিয়া জুড়ে বয়ে আনবে বিশৃংখলা।সবার উদ্দ্যেশ এক। রহস্য ময় উবার নামের শহর। কিন্তু আসলেই কি আছে সেই শহরের অস্তিত্ব???? তাহলে পদে পদে কেন গোলকধাঁধা রয়েছে উবারের পথে??? কি আছে এই উবারের মাঝে???? গিল্ড কেন মরিয়া উবারের খোঁজে??? কারা কেনিসটংন কি শুধুই বাবার অন্তর্ধানের রহস্য উন্মোচনের জন্য এসেছে উবারের খোঁজে???? এদিকে পেইন্টারের চেয়ে চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে কেন কাসান্দ্রা সব সময়??? আচ্ছা সরিষার ক্ষেতেই ভুত নেই তো!!!!!!!!!!!! এদিকে গোদের উপর বিষ ফোড়া হিসেবে কাসান্দ্রা কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল ড. সাফিয়া আল-মায়াজ কে !!!!! আবার সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। ওদের সবার লক্ষ্যই এক-এমন এক ক্ষমতার উৎস খুঁজে বের করা, যেটা দুনিয়াকে পড়িণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত? কিভাবে সব দিক সামাল দিবে ওরা। নাকি তীরে এসে তরী ডুবে যাবে??? জেমস রলিন্স কে এক কথায় তুলে ধরতে হলে কি বিশেষনের বিশেষায়িত করা উচিত??????? অতীতের সাথে বর্তমানের আধুনিক সাইন্সের মেলাবন্ধনের সুত্রিকার হলেন বিখ্যাত লেখক জেমস রলিন্স। উনার লেখনীর সাথে সর্বপ্রথম পরিচয় হয় সিগমা সিরিজের দুই নাম্বার বই ‘ম্যাপ অভ বোনস’ এর মাধ্যমেই । বইটি পরে রলিন্সের অন্ধ ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। খুজতে থাকি সিগমার বাকি বই গুলোর সন্ধান। সন্ধান পেয়ে গেলেও শান্তি মেলেনি । সিরিজের মাত্র একটা বই যে অনুদিত হয়েছে । কিন্তু বই পড়ার জেদ চেপে গিয়েছিল তখন। ভেবেছিলাম শুরু থেকেই শুরু করা ভাল। তাই স্যান্ড স্টর্মের ইংলিশ কপিই বাগিয়েছিলাম। দাঁত কামড়ে নিয়ে শুরু করেছিলাম বইটা। কিন্তু বিধিবাম ,অর্ধেকের বেশী আর আগাতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। মনের মাঝে আফসোস ও কম ছিল না। এত ভালো একটা বই কি আর তাহলে পড়া হবে না!!!!!!!!!!!!!! কিছু দিন আগে জানতে পারি বইটির অনুবাদ আসছে। তাও ফুয়াদ ভাইয়ের কাজ। ফেসবুকের বদৌলতে উনার পোষ্ট করা অনুবাদ পড়েই বুঝতে পারি উনি আসলেই একজন জাত অনুবাদক। আর টিজার হিসেবে প্রথম অংশ টুকু পড়ে বুঝেছিলাম বেশ ভালো ভাবেই রূপান্তর করেছেন স্যান্ডস্টর্ম বইটা।এক টা কথা আছে ‘যদি থাকে নসিবে ঘুইরা ঘুইরাই আসিবে’ :P :P বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে টানটান উত্তেজনা। দৌড় শুরু করলে থামার উপায় নেই। তাই অবসর নিয়ে বসাই ভালো।

      By Wazedur Rahman Wazed

      19 Dec 2017 10:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জেমস রলিন্সের সাথে পরিচয় হয় তার লেখা 'আমাজনিয়া' বইটা দিয়ে। বইটা পড়া শুরু করার পর কিছুটা থেমে থেমে পড়লেও একটা সময় অনুভব করি আমি নিজেই আমাজনের বনের মধ্যে নাথান আর কেলীর সাথে হাটছি। অ্যাকশন, এডভেঞ্চার আর থ্রিলার এর সংমিশ্রণ খুব ভালো ভাবেই করতে জানেন তিনি। এই তিন ক্যাটাগরির রাজপুত্র যিনি তার লেখা না পড়ে থাকা যায় না তাই শুরু করলাম তার লেখা জনপ্রিয় সিরিজ সিগমা ফোর্স। প্রথম পর্বেই মুগ্ধ করে দিলো। গল্পের ভাজে গল্প, কাহিনীর পিছনে লুকিয়ে থাকা হাজার বছরের ইতিহাস, যুদ্ধ বা ধ্বংসাবশেষ এর মাঝেও ভালোবাসার আক্ষেপ বা পূর্ণতা কিংবা হারিয়ে যাওয়া কোন শহরের মাঝে নিজের পরিবার খুঁজে পাওয়া সব মিলিয়ে বলা যায় মাস্টারপিস বই হলো 'স্যান্ডস্টর্ম'। বিস্ফোরণ দিয়ে যার শুরু তার শেষ মেগাস্টর্মে। আপনি কি পছন্দ করেন...? অ্যাকশন..? থ্রিলার..? এডভেঞ্চার..? মিথ..? সাই-ফাই..? আর্কিওলজি..? বায়োলজি..? আধুনিক প্রযুক্তি..? প্রকৃতির নির্মমতা/আর্শীবাদ..? আশা করি এই সবকিছুই পাবেন এই এক কালো মলাটে ঢাকা হাতে লেখা মুভিতে। কাহিনীচিত্র : কোন এক রাতে বৃটিশ মিউজিয়ামে অদ্ভুত অথচ খুব শক্তিশালী এক বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু এর ব্যাখ্যা কেউ খুঁজে পায় না। আর বিস্ফোরণটা ঘটে মিউজিয়ামের কেনশিংটন গ্যালারীতে। সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গ্যালারীর কিউরেটর ডা. সাফিয়া আল মায়াজ জানতে পারে বল লাইটেনিং এর মাধ্যমে এই বিস্ফোরণটা ঘটেছে আর যে মূর্তিতে এই এন্টিম্যাটার বা প্রতি পদার্থের বিস্ফোরণটা হয়েছে তা আজ থেকে প্রায় দু হাজার বছর আগের মূর্তি যা কিনা এই গ্যালারীর অন্যতম কর্ণধার লেডি কারা কেনশিংটন এর বাবা খুঁজে পেয়েছিলেন নবী ইমরানের সমাধিতে আর বিশ্বাস করেছিলেন "আটলান্টিস অফ ডেজার্ট" খ্যাত হারিয়ে যাওয়া সহস্র পিলারের শহর 'উবার' এর অস্তিত্বে। লেডি কারা কেনশিংটন এর মনে কেন যেন বারবার উদয় হতে থাকে এই বিস্ফোরণের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত আছে তার বাবার মৃত্যুর কারন। শুরু হলো হারানো শহর খোজার অভিযাত্রা। লেডি কারা, ডা. সাফিয়া আর সাফিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক বিশিষ্ট আর্কিওলজিস্ট ডা. ওমাহা ডান সহ আরো কয়েকজন মিলে ওমানের শালালাহ এর দিক ছুটে উদ্দেশ্য পুরানো শহর উবারের প্রবেশদ্বার খুঁজে বের করা। কিন্তু এরিমধ্যে বিক্ষিপ্ত আর বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তারা জানতে পারে তারা একাই এই শহরের খোজ করছে না সাথে আছে আরো দুইটা বৃহৎ সংগঠন। একটা আমেরিকার ডারপার বিশেষ টিম 'সিগমা ফোর্স' তত্বাবধানে আছে পেইন্টার ক্রো আর নোভাক কোরাল আর অন্যটা গিল্ড যাদের টাকা ক্ষমতা কিংবা অস্ত্র কোনটারই কমতি নেই এমনকি উবারের রহস্য জানার জন্য তারা মানুষ মারতেও দ্বিধাবোধ করে না আর এই দলে আছে পেইন্টার ক্রো'র সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা সাবেক ডারপা এজেন্ট ক্যাসান্দ্রা। ধারনামতে এন্টিম্যাটারের উৎস স্থল উবারের খোজ যদি গিল্ডের মতো সংস্থার হাতে পড়ে তাহলে এই ভূস্বর্গ নরক হয়ে যাবে তাই ডারপা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসে। ওদিকে বাবার মৃত্যুর কারন জানতে মরিয়া কারা ও অপ্রতিরোধ্য আর এদিকে কাজের মাঝে হুট করে সাবেক ভালোবাসার মানুষটার আনাগোনা সাফিয়াকে ভাবিয়ে তুললেও দুই দুইবার নিজের জীবন বাচানোর জন্য পেইন্টারের প্রতিও একধরনের আবেগ জমে সাফিয়ার মনে। অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে সাফিয়া সহস্র পিলারের শহর শেবার রাণীর শহর উবারের প্রবেশদ্বার খুঁজে পায়, খুঁজে পায় শেবার রাণী বিলকিসের রেখে যাওয়া বংশধরদের, খুঁজে পায় তার নিজের রক্ত নিজের পরিবার, কারা খুঁজে পায় তার বাবার মৃত্যুর কারণ, যে শহরের রহস্য সমাধানে এত মৃত্যু এত ধ্বংসযজ্ঞ তার সমাধান হয় কিন্তু ক্যাসান্দ্রা এখনো জীবিত আছে গিল্ডের কাছে ভয়ানক যন্ত্রনায় মরার চাইতে ওদের সাথে লড়াই করে মরাটাই ভালো। ওদিকে ইতিহাসের সবচাইতে বড় আর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় টা ওদের দিকেই বয়ে আসতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড় আর বালুঝড় মিলে এক মেগাস্টর্মের সৃষ্টি করে। এই মেগাস্টর্ম আর উবার শহর প্রাকৃতিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে উবারের কাচের শহরে কেউ নড়াচড়া করা মাত্রই উপর থেকে বজ্রপাত এসে নড়াচড়া করা বস্তুটার উপর পড়ে আর সাথে সাথে গলিত কাচ সে বস্তুটাকে নিজের করে নেয় হোক তা অর্ধেক কিংবা পুরো। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরো খারাপ হতে থাকে কোন কারণে যদি মেগাস্টর্মটা উবারে এসে পড়ে তাহলে হয়তো শুধু ওমান ডেজার্ট নয় বরংচ পুরো বিশ্বই হয়তো ধ্বংস হয়ে যাবে। সবাই সাফিয়ার দিকে তাকায় যেহেতু সাফিয়ার ছোয়াতেই হাজার বছরের পুরানো উবার নিজেকে মেলে ধরেছে সেহেতু সাফিয়াই নিজেকে মেলে ধরে সবাইকে বাচাবে কিন্তু ক্যাসান্দ্রার হাতে থাকা ডিটেনোটরে সাফিয়ার জান আটকে আছে। ডিটেনোটর থেকে আঙ্গুল সরানো মানেই সাফিয়ার কাধে সার্জারী করে সেট করা ছোট্ট অথচ শক্তিশালী সি-ফোর বোমার বিস্ফোরণ আর সাফিয়ার মৃত্যু। কি করবে সাফিয়া এখন...? ক্যাসান্দ্রাই বা কি করবে..? পেইন্টার কি ক্যাসান্দ্রা বা গিল্ডকে প্রতিরোধ করতে পারবে..? ওমাহা কি পাবে তার হারানো ভালোবাসার মানুষ সাফিয়াকে..? কি হয়েছিল ওদের..? যদি জানতে চান এক নিমিষে পড়ে শেষ করুন জেমস রলিন্সের সিগমা সিরিজের প্রথম পর্ব 'স্যান্ডস্টর্ম'। লেখকের কথা আর নাই বা বললাম। এত সুন্দর কথার বুনন আর সবচাইতে যে বিষয়টা জেমস রলিন্সের ভালো লেগেছে এই বইতে তা হলো প্রতিটা মিনিটের বিস্তারিত বর্ণনা। এক মিনিটে যে কতকিছু হয়ে যেতে পারে তার বিস্তারিত এর চাইতে অন্য কোন বইতে আমি পাইনি তেমন করে। আর একটা ব্যাপার তা হলো বইয়ের শেষে বই সম্পর্কিত সত্য/মিথ্যা যাচাই এর ব্যাপারগুলা। অনন্য এক মাস্টারপিস বানানোর জন্য পশু ডাক্তার জেমস রলিন্সের মেধা, পরিশ্রম, রিসার্চ আমার মতে বিফলে যায় নি। এবার আসি অনুবাদকের কথায়। অনুবাদটা ভালো ছিলো। শব্দ চয়ন আর শব্দের বুনন ভালো ছিলো। তবে দুইটা কথা বলতে চাই। প্রথমটা হলো, বারবার নড কথাটা কেমন যেন ওড লেগেছে আর দ্বিতীয়টা হলো মাঝে মাঝে ক্যারেক্টারের খেই হারিয়ে ফেলা যেমন কথা বলছে একজন অথচ নাম চলে এসেছে অন্যজনের। এছাড়া বাদ বাকি পুরো অনুবাদ অসম্ভব ভালো ছিলো। আবার আসি আমার কথায়। জেমস রলিন্সের স্ট্যান্ডস্টর্ম বইটা হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও কেন যে এতদিন পড়িনাই তাই আফসোস হচ্ছে। মাত্র তিনদিন টাইম নিয়েছি পুরোটা গিলে খেতে। এর আগে ড্যান ব্রাউনের লেখাগুলো এভাবে গিলে খেয়েছিলাম। এখন জেমস রলিন্সের লেখাগুলো সব গিলে খেলে পরেই শান্তি হবে। যারা এখনো পড়েন নি পড়ে ফেলেন আশা করি ভালো লাগবে।

      By Shuvagoto Dip

      14 Jun 2017 05:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : স্যান্ডস্টর্ম (সিগমা ফোর্স # ১) মূল : জেমস রোলিন্স রূপান্তর : মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশক : আদী প্রকাশন প্রকাশকাল : মার্চ, ২০১৬ ঘরানা : অ্যাডভেঞ্চার/হিস্টোরিক্যাল/মিস্ট্রি/থ্রিলার পৃষ্ঠা : ৪৩২ প্রচ্ছদ : সামিউল ইসলাম অনিক মুদ্রিত মূল্য : ৪৮০ টাকা ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো পুরো ব্রিটিশ মিউজিয়াম। পুড়ে কয়লা হয়ে গেলো মিউজিয়ামের একটা অংশ। যে নির্দিষ্ট অংশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে বিখ্যাত কেনসিংটন পরিবার। রহস্যময় এই বিস্ফোরণ-ই যেন বহু বছর ধরে খুঁজে ফেরা একটা ধাঁধাঁ'র উত্তরের মুখোমুখি হতে মরিয়া করে তুললো কারা কেনসিংটনকে। ধাঁধাঁটা ওর বাবা'র মৃত্যুরহস্যের সময়ে সৃষ্ট। প্রত্নতাত্ত্বিক ড. সাফিয়া আল মায়াজ নিজেরই বানানো খোলসে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। তিক্ত একটা স্মৃতি তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ওকে। কিন্তু ব্রিটিশ মিউজিয়ামের এই বিস্ফোরণ তাকে আবারো উদ্ভূত পরিস্থিতি'র মুখোমুখি হতে বাধ্য করলো। ওর সাহায্য দরকার ছোটবেলা থেকে একইসাথে বেড়ে ওঠা কারা কেনসিংটনের। বিধ্বস্ত জায়গাটা ড. সাফিয়া আল মায়াজ ও কারা কেনসিংটনকে এমন একটা সূত্র দিলো, যা অবাক করে দিলো ওদেরকে। দুই সহস্রাধিক বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মরুভূমি'র আটলান্টিস নামে পরিচিত কিংবদন্তি'র উবার নগরীর দিকে আঙুল তাক করলো সূত্রটা। নানারকম মিথ যে নগরীকে ঘিরে, যে নগরী'র সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রাণী শেবা'র নাম আর যে নগরী একইসাথে বিপুল সম্পদের আধার - সেই নগরীকে খোঁজা'র আকাঙ্ক্ষা যেন প্রবল হয়ে ধরা দিলো। কমান্ডার পেইন্টার ক্রো। সিগমা ফোর্সের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। উপরওয়ালাদের নির্দেশে সে আর তার সহকারী কোরাল তদন্তে নামলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংঘটিত বিস্ফোরণের। আর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে অকস্মাৎ বেরিয়ে আসা সাপটা ধরা পড়লো ওদের চোখেও। ঘটনাচক্রে উবারকে খুঁজতে যাওয়ার মিশনে সাফিয়া আর কারা'র সঙ্গী হলো ক্রো আর কোরালও। আর এই টিমে একে একে এসে যোগ দিলো ওমাহা আর ড্যানি ডান ভ্রাতৃদ্বয়, শিক্ষানবিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ক্লে, রেহেম গোত্রের রহস্যময় নারীরা, ডেজার্ট ফ্যান্টম নামে পরিচিত দুঃসাহসী যোদ্ধাদল সহ আরো অনেকে। ওমানে অবস্থিত যিশু'র কুমারী মাতা মেরী'র পিতা নবী ইমরানের সমাধি থেকে শুরু করে নিসনাসদের (কালো জ্বিন) রাজত্ব ভয়াবহ মরুভূমি পর্যন্ত এক অদ্ভুত যাত্রা শুরু হলো কিছু মানুষের। তাদেরকে বাধা দেয়ার জন্য আগে থেকেই নিয়োজিত আছে গিল্ডের সুশিক্ষিত কমান্ডোরা। আর এই কমান্ডোদের নেতৃত্বে আছে সিগমা ফোর্স কমান্ডার পেইন্টার ক্রো'র-ই এক বিশ্বাসঘাতক সাবেক সহকর্মী। পদার্থ-প্রতিপদার্থ, বিজ্ঞান, মিথ, ইতিহাস আর সর্বোপরি শতাব্দী'র সবচেয়ে ভয়াবহ স্যান্ডস্টর্ম তথা বালিঝড়ের মধ্য দিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে যেতে লাগলো 'স্যান্ডস্টর্ম'-এর কাহিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যার পরতে পরতে ঠাসা আছে রহস্য আর রোমাঞ্চ। ব্যক্তিগত মতামত : আমি এর আগে জেমস রোলিন্সের দুটো মাত্র বই পড়েছি। দুটোই স্ট্যান্ড অ্যালোন। আমাজনিয়া এবং অল্টার অভ ইডেন। বিশ্বজুড়ে থ্রিলার পাঠকদের কাছে সমাদৃত সিগমা ফোর্স সিরিজটা পড়ার ইচ্ছা ছিলো অনেকদিন আগে থেকেই। অবশেষে সিরিজের প্রথম বই 'স্যান্ডস্টর্ম' পড়ে ফেললাম। ৪৩২ পৃষ্ঠা'র বিশাল কলেবরের এই বইটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাকে মুগ্ধতায় ডুবিয়ে রেখেছিলো। ইতিহাস আর মিথোলজি'র সাথে সম্পর্কিত যেকোন ব্যাপারেই আমার আগ্রহের কখনো কোন কমতি হয়না। আর এই বইয়ে এই দুটো উপাদানের সাথেও লেখক বিজ্ঞানের অনন্য এক সমাবেশ ঘটিয়েছেন। আর সবকিছু'র পাশাপাশি আদর্শ থ্রিলার বলতে যা বোঝায়, সেটার আবহ তো ছিলোই। কেন সিগমা ফোর্স সিরিজটা পাঠক মহলে এতো জনপ্রিয় তার আন্দাজ 'স্যান্ডস্টর্ম' শেষ করে ভালো ভাবেই পেয়েছি। মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ'র রূপান্তর নিয়ে আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই মানুষটা এর আগের রূপান্তরকর্ম গুলোতেও সোনা ফলিয়েছেন, 'স্যান্ডস্টর্ম'-এ এসেও তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয়নি। বরাবরের মতোই সুখপাঠ্য করে তুলেছেন এই অসাধারণ থ্রিলারটাকে। বেশ কিছু ভুল দারুন চোখে লেগেছে। যেমন ১৯৭ পৃ্ষ্ঠায় ধার নেয়া ট্রাককে চুরি করা ট্রাক লেখা হয়েছে। আবার ২৫৯ পৃষ্ঠায় ক্যাসান্দ্রাকে সাফিয়া হিসেবে দেখানো হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ঘড়ির সময়ের ক্ষেত্রে বেশ অনেকবার AM ও PM - এ গণ্ডগোল খেয়াল করেছি। আর ছোটখাটো প্রিন্টিং মিসটেক তো ছিলোই। যাই হোক, বিশাল কলেবরের একটা থ্রিলার রূপান্তরের সময় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে পরবর্তী সংস্করণে এই ভুল গুলো যথাসম্ভব কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছি। সামিউল ইসলাম অনিকের প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ চমৎকার হয়েছে। মনোযোগ ধরে রাখতে পারা'র এটাও একটা কারণ। সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বই 'ম্যাপ অভ বোনস'। এই বইটাও অচিরেই পড়া শুরু করবো। রেটিং : ৪.৫/৫ © শুভাগত দীপ

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!