User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো লাগলো বই নিতে পারেন
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
অন্যান্য গল্পের মত এ গল্পেও বহুচরিত্র, কল্পবিজ্ঞান আর মানবিক গল্পের সমন্বয় ঘটেছে। যদিও এর আগেও এ ধরনের গল্প পড়া হয়েছে তবুও পড়তে খারাপ লাগেনি। আসলে অদ্ভুতুড়ের গল্পগুলোই এমন যে, খারাপ লাগার কোনো অবকাশ নেই। বইয়ের প্রচ্ছদ বেশ সুন্দর। কাগজের মান, বাঁধাইও বেশ উন্নত। ছোট্ট বইটি এক বসাতেই পড়ে ফেলা যায়।
Was this review helpful to you?
or
Interesting Book. Thanks to Rokomary
Was this review helpful to you?
or
কালীতলা হাটের হাড়কেপ্পন মহীধর চৌধুরীর বাড়িতে দেড়শো বছরের পুরনো দেয়ালঘড়ি অচল হয়ে পড়ে আছে। খরচ হওয়ার ভয়েই তিনি সারাই করার নাম মুখেও আনেন না। বাড়ির ঝি চাকররা আশঙ্কা করছে দেড়শো বছরের পুরনো ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেছে যখন, তখন এ বাড়িতে অমঙ্গল কিছু ঘটবে। একদিন সকালে না ডাকতেই যাত্রার পার্ট করা গনশা মিস্ত্রি হিসাবে হাজির। আসল উদ্দেশ্য ছলে বলে কৌশলে ঘড়িটা হাতানো। মহীধর বাবুকে সে জানায় ঘড়িটা এক মেমের রুপ ধারন করে তার কাছে এসে কান্নাকাটি করছে। মেমসাহেবের কান্না সহ্য করতে না পেরে সে ঘড়িটা নিতে এসেছে। বাড়ি গিয়ে মেরামত করবে। অবশ্য ফ্রি সে নেবে না। নিমরাজি হওয়া মহীধর চৌধুরি যখন দরদাম ঠিক করে ফেলেছেন তখনই ভিতর বাড়ি থেকে হুকুম আসলো গনশাকে তাড়িয়ে দেবার জন্যে। গিন্নির কথা হাইকোর্টের রায় সমান, অমান্য করার সাহস কারো নেই। কালীতলা হাটের দক্ষিনে বটেশ্বরের ভাঙা মন্দির। একসময়ে পুজোটুজো হত। এখন সেখানে জঙ্গল এবং সাপখোপের আড্ডা এবং গাঁয়ের মানুষের ভয়ের জায়গা। অনেক বছর আগের মরা মানুষগুলো এখানে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। রাখাল ছেলের দল, গোবর কুড়ুনি, কাঠকুড়ুনি, চোর ছ্যাচড়ারা শুধু নয়, গাঁয়ের গন্যমান্য মানুষরাও তাদের দেখা পান। এ হেন জঙ্গলে পটল এবং গজা নামে দুজন দাবার ছক পেতে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত। তাদের আলোচ্য বস্তু মহীধর বাবুর ঘড়ি। সকালবেলা গনশাকে দিয়ে টোপ ফেলে তারা সফল হয়নি। তাই তাদের এবারের প্লান তারা নিজেরাই ঘড়িটা চুরি করবে। হঠাৎ ঝোপের পাশ থেকে মানুষের হাঁচি শোনা গেল। তারা দুজনে ছাড়া এখানে কেউ নেই। তাহলে হাঁচল কে? দানুবাবু হলেন গুণের সমুদ্দুর। একদিকে যেমন গরীবের মা-বাপ, তেমনি বড়লোকদের ঘরজামাই। আবার চোর ডাকাতদের মাসতুতো ভাইতো খুনে গুন্ডাদের ভাইরাভাই। তার টাকার লেখাজোকা নেই। আয়ের হিসাব রাখতেই তিনজন ক্যাশিয়ার হিমসিম। চরণদাস নামের একজনকে তিনি পটল ও গনশার পিছনে আড়কাঠি হিসাবে লাগিয়েছেন। চরণদাশ ধুরন্ধর হলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল। পটল গনশার আলোচনা সে হুবহু খাতায় টুকে রাখছিল, কিন্তু গনশার কাছে ধরা পড়ায় পটল খাতাখানা পুড়িয়ে ফেলার হুকুম দেয়। দেশলাই জ্বালানোর আগ মুহুর্তে গাছের উপর থেকে হুড়মুড় করে পড়ে খাঁদু। একঘড়ি চুরি করতে লোক লাগিয়েছেন লালবাবু। আর চোরের উপর বাটপারি করতে দানুবাবু আড়কাঠি চরণদাসকে লাগিয়েছেন ওদের ফন্দিফিকির টুকে আনতে। আবার অন্যপক্ষে চরণদাসের কাজ শেষ হলে তার খাতাখানা ছিনতাই করার জন্যে পাঁচশোটাকা কবুল করে খাঁদুকে পাঠিয়েছেন নীলকান্তবাবু। হাবু ভুঁইমালি আধপাগল লোক। নাওয়া- খাওয়া, দিন-রাত্তির, শীত- গ্রীষ্মের কোনো বোধই তার নেই। তার সারা ঘরখানায় ছড়িয়ে রয়েছে নানান কিসিমের যন্ত্রপাতি। পুরনো তালাচাবি, অচল পাম্পসেট, বিকল টিউবওয়েল, ভাঙা ক্যামেরা, বন্ধ ঘড়ি, চাকাহীন সাইকেল, মরচেপড়া মোটর বাইক, শব্দহীন কলের গান, পুরনো রেডিয়ো, এমনকী মোটরগাড়ির ইঞ্জিন পর্যন্ত। কলকব্জার মিস্ত্রি হিসাবে একসময় তার ভালোই নামডাক ছিল। আজকাল আর কেউ তেমন হাবুর খোঁজ করে না। সে একাবোকাই তার ঘরখানায় বসে নানান যন্ত্রপাতি ঘাঁটাঘাঁটি করে। মানুষের চেয়ে যন্ত্রের সঙ্গেই তার বন্ধুত্ব বেশি। গুনময় ঘোষ একদিন রাতে শুনতে পেলেন উপরোক্ত অদ্ভুত ভাষায় কেউ যেন তার সাহায্য চাইছে। ভাষার উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখলেন একটা পুতুল মাটিতে পড়ে আছে আর ক্ষীনগলায় উঃ আঃ করছে। কয়েকদিন পর পুতুলের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার পর বুঝলেন পুতুলটা একটা জরুরী কাজে এসেছে। ইশারায় গুনময়ের কাছ থেকে কাগজ পেনসিল চেয়ে নিয়ে একটা আশ্চর্য ছবি এঁকে দিল। পুরনো আমলের এক বিদেশি দেয়ালঘড়ি। যাতে সাতটা বেজে দশ মিনিট হয়ে কাটা অচল। কি সম্পর্ক এই পুতুলের সঙ্গে ঘড়ির? ছাতুলাল পুরনো দিনের বেশ উঁচুদরের হাতসাফাইয়ের ওস্তাদ। বদন হাওলাদার তাকে দশ হাজার টাকা দিয়েছে এই পুতুলটাকে গুনময় ঘোষের বাড়ি থেকে সরিয়ে আনতে। পাহারাহীন, খোলামেলা বাড়ির থেকে সামান্য এক পুতুল সরানোর জন্যে ছাতুলালের মতো ওস্তাদকে নিয়োগ করার মানে কি? ছাতুলাল চুরি করতে গিয়ে এক আশ্চর্য জিনিস দেখে চোখ উল্টে ভিরমি খায়। কী সেই আশ্চর্য জিনিস? সাতসকালেই মহীধর চৌধুরি ঘুম থেকে উঠে দেখেন অজ্ঞাতকুলশীল এক ব্যক্তি তার বৈঠকখানার পাশের ঘরে ভোঁসভোঁস করে নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। মহীধর চৌধুরির গাঁইগুই সত্ত্বেও চৌধুরীবাড়িত সে স্থায়ী হয়। আস্তে আস্তে গিন্নির বিশ্বাস ভাজন হয়ে একসময় ঘড়ি সারাবার নাম করে ঘড়ি নিয়েই চম্পট দেয়। পথে যেতে যেতে বুঝতে পারে ঘড়ির ভেতর থেকে কেউ একজন কথা বলছে। ঘড়ি খুলে দেখে তার চক্ষু চড়কগাছ। কে ছিল ঘড়ির ভেতর? পুতুলটার শেষ পর্যন্ত কি হল? ঘড়িটার সাথে কি সম্পর্ক পুতুলের? সব মানুষরা কেন ঘড়ির পিছনে পড়ল? তাদের উদ্দেশ্য কি সফল হল? সব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে পড়তে হবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "হাবু ভুঁইমালির পুতুল"।
Was this review helpful to you?
or
বই : হাবু ভুঁইমালির পুতুল। লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। পৃষ্টা : ৫২। প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স। #কাহিনী_সংক্ষেপ গল্প টা মহীধরের যে কিনা বেজায় কিপটে লোক। সে প্রতিদিনের খরচা, দান-দক্ষিণা যাই হোক বাঞ্চারাম কে দিয়ে হিসেবের খাতায় তুলে রাখায়। এমন কি এক জোড়া ছেড়া জুতা দানের কথাটাও! তবে সে কিন্তু যে সে লোক নয়। দেড়শ বছরের জমিদারির গৌরব রয়েছে তার পূর্বপুরুষের। কিন্তু সে এমনই কিপটে যে, মাসে দুই কেজি সরিষার তেল খরচের সংবাদেও মূর্ছা যায়। তাই দেড়শত বছরের পুরনো, প্রায় দেড় দুই মণ ওজনের এর এক বিশাল ঘড়ি বন্ধ হয়ে যাবার খবর ও তাকে দেয়ার সাহস পায় না বাড়ির কেউ। কিন্তু কথায় কথায় বাঞ্চারামের মুখে এই খবর শুনে সে খুব নরম গলায় বলে, " তাই বলে আমায় একটা খবর টা জানাবিনে?" ভাবখানা এমন যে, জানালেই যেনো সে ঘড়ি সারিয়ে আনায়। ঐদিকে দলে দলে লোক লেগেছে এই ঘড়ি হাতিয়ে নিতে। লালবাবু লাগিয়েছেন পটল আর গজা কে, দানুবাবুর আড়কাটি চরণদাস নজর রাখছে তাদের উপর। আর নীলকান্তবাবুর পাঠানো লোক খাঁদু নজর রাখছে পটল, গজা আর চরণদাসের উপর। এ যেন এক গোয়েন্দাগিরির মহোৎসব। সবাই ঘাপটি মেরে আছে, কে কাকে ডিঙ্গিয়ে ঘড়িটা হাতিয়ে নেয়া যায় এই ভাবনায় ! কিন্তু কেন? কি আছে এই ঘড়িতে? সবাই কেন পড়িমরি করে ছুটছে এই ঘড়ির পেছনে? আর যন্ত্রমিস্ত্রী হাবুর সাথেই বা এর কি লেনাদেনা? সে যদি মিস্ত্রীই হয় তাহলে সে পুতুল দিয়েই বা করে টা কি? আর না হয় হাবুর একটা পুতুল আছেই! তাতে হাবুর পুতুলের সাথেই বা কি সম্পর্ক এই ঘড়ির? এত প্রশ্নের খিচুড়ি না পাকিয়ে বই টা পড়েই নিন না জনাব/জনাবা। #পাঠানুভূতি : আমি কোলকাতার লেখা খুব একটা পড়িনা। কিন্তু এই অদ্ভুতুড়ে সিরিজের বই পড়তে গিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখার প্রেমে পড়ে গেছি। অনেকেই বলতে পারেন কি এমন আহামরি লিখে? কিন্তু আমার ভীষণ মনে ধরেছে। পাঠকমণ্ডলী চাইলে পরখ করে দেখতে পারেন। কিশোর উপন্যাস হলেও আমায় ব্যাপক আনন্দ দানে সক্ষম ছিল প্রতিটা গল্প। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। বই হোক ভালবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল মহীধর চৌধুরীর বিশাল পুরনো বাড়িতে আগের সেই বাহার নেই যদিও, তবু বাড়িখানা দেখলেই ভক্তি হয়। বাহার থাকবেই বা কি করে। সকলেই জানে মহীধরবাবু লোকটা হাড় কেপ্পন। কাউকে কিছু দিতে গেলে তার বুক ধড়ফড় করে, জলতেষ্টা পায়, হাত-পা কাঁপে! খরচা আর ঝাঁটপাটের ভয়ে বাড়ির অগুনিত ঘরগুলো তিনি বন্ধই রাখেন। চৌধুরী বাড়ির বিশাল বৈঠকখানাটাও বহুকাল হল তালাবন্ধ পড়ে আছে। তবে সেই বন্ধ ঘরের ভিতরে আছে এক সাত ফুট লম্বা, দেড়শো বছরের পুরনো ঘড়ি। বিদেশী ঘড়িটা ঘণ্টায় ঘন্টায় সুরেলা আওয়াজ দেয়। একদিন সকালে মহীধর বাবু জানতে পারলেন, গিন্নির অনিদ্রা হয়েছে, ছোট খুকি খেলা বাদ দিয়ে কেবল কাঁদছে, খোকাবাবুর পড়ায় মন নেই। এমনকি কাজের মেয়ে সর্বমঙ্গলাও কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলছে। কেন? কেন? কারণ সকলের প্রিয় বৈঠকখানার ঘড়িটা কদিন হলো নষ্ট হয়ে পড়েছে। ঘড়িটা কিনে নিতে আবার বাড়িতে হাজির হলো গনশা বলে এক উটকো লোক। ক্রমে ক্রমে দেখা গেল কেবল গনশা নয়, ঘড়ির পেছনে লেগেছে আরো অনেকেই। লালসাহেব, দানুবাবু, নীলকান্তবাবু সকলেই ঘড়িটা হাতিয়ে নেওয়ার তাল করছেন! এদিকে হাবু ভুঁইমালি যে একটু আধ পাগল গোছের সবাই জানে। নাওয়া খাওয়া, দিন রাত্রির হুঁশ নেই। যন্ত্রপাতি নিয়ে পড়ে থাকে। হাবু নাকি যন্ত্রের কথা বুঝতে পারে। হেন জিনিশ নেই যা সে সারাতে পারে না। হাবুর কাছে একদিন হাজির হলো গুণময় ঘোষ বলে এক লোক। গুণময় ঘোষ একাবুকো মানুষ, কিন্তু কান তার খুব খাড়া। নিশুতি রাতে ক্ষীণ শব্দ শুনে, সদর দরজা খুলে দেখে একটা পুতুল পড়ে আছে। পুতুলটা ভারী অদ্ভুত, বিজাতীয় ভাষায় কথা কয়, তার ডান পা-টা আবার জখম। সেই পুতুল গুণময় ঘোষকে একটা ছবি এঁকে দেখিয়েছে। একটা সাত ফুট উঁচু দেয়ালঘড়ির ছবি! এখানে সেখানে আবার ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা লিকলিকে রোগা, কাঠিসার, হলুদ রঙের ভূত! সে কি ভূত নাকি অন্য কিছু? পুতুলটার সাথেই বা মহীধর বাবুর ঘড়ির কি সম্পর্ক? এতো মানুষ কারা যারা ঘড়িটা পেতে চাইছে? উত্তর জানতে পড়তে হবে শীর্ষেন্দু মুখ্যোপাধ্যায় এর অদ্ভুতুড়ে গল্প 'হাবু ভুঁইমালির পুতুল '। অদ্ভুতুড়ে সিরিজ এর অন্য গল্পগুলোর মতই এটাতেও আছে কল্পবিজ্ঞান, মহাকাশের আগুন্তুক, চোর- ডাকাত। নতুন অদ্ভুতুড়ের মধ্যে এই গল্পটা মোটামুটি ভালো লেগেছে। মহীধরের দানের হিসেব, পটল-গজার ঝগড়াঝাঁটি বেশ হাসিয়েছে। গল্পে ব্যবহৃত যন্ত্র আর সময়ের কনসেপ্টটা চমৎকার। তবে মহাবিদ্যাধর 'ময়'কে আরেকটু বিশদভাবে রাখা যেত, এই অংশটায় শীর্ষেন্দু মনে হলো একটু তাড়াহুড়ো করেছেন। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ যথারীতি দেবাশীষ দেবের। বইয়ের পাতা ও বাইন্ডিং ঠিকঠাক, মুদ্রণ প্রমাদ ও নেই। বই: হাবু ভুঁইমালির পুতুল (অদ্ভুতুড়ে সিরিজ) লেখক: শীর্ষেন্দু মুখ্যোপাধ্যায় প্রকাশনায়: আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০১৬ পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১০৪ ভারতীয় মূল্য: ১০০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
Service of Rokomari.com was good. This book is not as enjoyable as other books of the author.