User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Recommended
Was this review helpful to you?
or
Name : Therapy. Author : Sebastian Fitzek . Genres : Thriller, Mystery, Crime, Fiction, German Literature. মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মত একটা মনস্তাত্তিক বই। বাজি ধরে বলতে পারি এরকম একটা সমাপ্তি কেউই আশা করতে পারবে না।
Was this review helpful to you?
or
ভিক্টর লরেঞ্জ, পেশায় সাইক্রিয়াটিস্ট। শহরের বেশ পরিচিত মুখ। খুব সহজ ভাবে জটিল সমস্যাগুলোর ব্যখ্যা করেন বলেই অনেকের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর স্ত্রী ইসাবেল আর ছোট্ট মেয়ে জোসেফাইন, আছে তাঁর পরিবারে। ১২ তম জন্মদিনের পরে জোসি মানে জোসেফাইন হঠাৎ করেই অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। নানা পরীক্ষা, নানা ডাক্তার দেখানোর পরেও কোন সমাধান মিলছিল না। প্রায় এক বছর ধরে ডাক্তারের কাছে ছুটছেন মেয়ে কে নিয়ে। এরকমই একদিন ডাক্তার দেখাতে এসে এক হাসপাতালের লবি থেকে হারিয়ে যায় জোসেফাইন। মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য মেয়েকে লবিতে রেখে একটু কাজে গিয়েছিলেন। কারন এই হসপিটাল তাঁর খুব চেনা। সবাইকে সে চেনে, সবাই তাকেও চেনে। মা ইসাবেলা কিছুক্ষন আগেই জোসির এপয়েনমেন্ট করেছে ফোন করে, এরপরেই লরেঞ্জ মেয়ে কে নিয়ে হসপিটালে আসে।কিন্তু মেয়ে কি কিডন্যাপ হয়ে গেল? কোথায় ছোট্ট মেয়েটা? যে নিজে থেকে ঠিকমত চলতেও পারেনা সে কিভাবে গায়েব হয়ে গেল?রিসিপশনে বসা অদ্ভুত লোকটি কে ছিল? তাকে খুঁজেও আর পাওয়া গেল না। তাঁকে নাকি হাসপাতালের কেউ চিনছেই না। কিসের ষড়যন্ত্র চলছে এই হাসপাতালে? খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল এক অদ্ভুত তথ্য। ডাক্তার-নার্স সবার ভাষ্যমতে হাসপাতালের কেউ মেয়েটাকে বছর খানেক ধরে দেখেইনি। তাহলে কাকে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য আনত লরেঞ্জ? কোথায় নিয়ে যেত? আজকেই বা কাকে নিয়ে এখানে এসেছিলেন? কি অর্থ এর? সবাই লরেঞ্জ কে পাগল বলছে, কিন্তু সে কি আসলেই পাগল? এত অসুস্থ মেয়ে কে কেন কেউ গায়েব করবে? তাহলে কি হাসপাতালের সবাই জড়িত?জলজ্যান্ত একটা মেয়ে গায়েব, যেন জোসির অস্তিত্ব কোথাও নেই! কোথাও না।এমন ভাবে সে হারিয়েছে, যেন জোসি নামের কেউ ছিলই না কোনদিন। জোসি কে আজো খুঁজে বেড়ান, ভিক্টর লরেঞ্জ। হারানোর প্রায় চার বছর পার হয়ে গেছে। মেয়েকে হারিয়ে পাগল্প্রায় ইসাবেলা, স্বামীকে ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছেন। নিজেকে ব্যস্ত রাখেন কাজে। মেয়ে হারানোর পরে ঠান্ডা মাথায় পুলিশের কাছে এফ আই আর করা থেকে সব ধরনের কাজ মা একা হাতেই করে গেছেন। যেন শোকে পাথর এক মূর্তি। সেই সময় লরেঞ্জ বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে কি করবেন, আর সেই থেকেই প্রচন্ড মানসিক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন এই সাইক্রিয়াটিস্ট। আজ মেয়েকে হারিয়ে খ্যাতনামা, সাইক্রিয়াটিস্ট ভিক্টর লরেঞ্জ পারকুম নামে এক নির্জন দ্বীপে আশ্রয় নিলেন । পৈত্রিক বাড়ি সেই পারকুম দ্বীপে। কাউকে না কাউকে তো সাথে চায়, বেঁচে থাকতে তাই সাথে নিলেন একমাত্র কুকুরকে, সিন্দাবাদ। এক তুষার ঝড়ের রাতে সেই দ্বীপে সুন্দরী সাংবাদিক আনা গ্লাসের দেখা পান লরেঞ্জ। সে মেয়ে কিভাবে তাঁর ঘরে ঢুকল, কিভাবে তাঁর খোঁজ পেল সে অজানা । অদ্ভুত ব্যাপার হল, এই অদ্ভুত মেয়েটির অস্তিত্ব লরেঞ্জ ছাড়া আর কেউ জানেনা ! গ্রামের কেউ সে মেয়েকে দেখেনি,জানেওনা সে মেয়ে সম্পর্কে। মেয়েটিযে থাকার জায়গার কথা বলে গেল, সেখানেও সে নেই। মেয়েটি কি তবে মানুষ নাকি অতিপ্রাকৃতিক কোন প্রাণী? নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করা মেয়েটি নিজের চিকিৎসার জন্য নিজে খুঁজে বের করেছে লরেঞ্জকে। অনেক পথ পাড়ি দিয়েই এখানে এসেছে সে। কিন্তু, জোসি নিখোঁজ হবার পর থেকে লরেঞ্জ আর সেভাবে কারো চিকিৎসা করেন না। একদিন রহস্যময়ী সেই মেয়ে শার্লট নামে একজনের গল্প শোনায়, ভিক্টরকে। গল্প শুনে তিনি বুঝতে পারেন এই শার্লট আর জোসির মধ্যে কোথাও না কোথাও অনেক মিল, আবার কোথাও বেশ আলাদা। শার্লটের সাথে সেই নারীরই বা কি সম্পর্ক। তবে এই মেয়ের আগমন লরেঞ্জ এই দ্বীপের জীবন একেবারেই বদলে দিল। যাকে বলে আকাশ পাতাল তফাৎ। জোসির হারিয়ে যাওয়া, শার্লট নামের কোন এক অজানা মেয়ের গল্প, রহস্যময়ী নারী, নির্জন দ্বীপ, সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত লরেঞ্জ । দিনের পর দিন একা থাকতে থাকতে আরো বেশি ভয়, একাকীত্ব গ্রাস করেছে তাঁকে । সবকিছু ছেড়ে পালাতে চাইছেন, কিন্তু আরো বেশি অতীতে ফিরে যাচ্ছেন বারবার। সাইক্রিয়াটিস্ট ভিক্টর লরেঞ্জ এখন নিজেই সাইকিক পেশেন্ট । যে মানুষ,আর সবার চিকিৎসা করত, তাঁর চিকিৎসা করছেন আরো কিছু সাইক্রিয়াটিস্ট। চিকিৎসকের কাছেই তাঁর আকুতি বাইরে বের হবার, সে কি সুস্থ হবে? বের হতে পারবে এই চার দেয়াল থেকে? তাঁকে কেন আটকে রাখা হল? কে রাখল? এটাও কি আরেক ষড়যন্ত্র? খুব দ্রুত এমন কিছুর সামনে পড়তে যাচ্ছেন পাঠক, বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, কেউ এটার জন্য প্রস্তুত নয়।এই বইটার পড়া নিয়ে মজার একটা গল্প আছে। একদিন গুডরিডসে ঘুরছিলাম, আগে ঘুরতাম ভালোই, এখন আর সেভাবে ঘোরা হয় না, যায় হোক, প্রতিক্রিয়াতে আসি। এই থেরাপি বই এর নাম আমি পেয়েছিলাম গুডরিডসে। খুব ছোট্ট একটা রিভিউ পড়েই বইটা পড়ার জন্য অস্থির হয়ে যাই। সেদিনই বইটা খুঁজে বের করে পড়েছিলাম! থ্রিলার-গোয়েন্দা-রহস্যের বই আমার প্রথম পছন্দ! মোটামুটি এক নিঃশ্বাসেই বইটা শেষ করে ফেলি। বইটা আপনার মাথায় এমন ভাবে গেঁথে যাবে যেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। সাবলিল অনুবাদ ছিল, যার জন্য মনে হয়নি কোন অনুবাদ পড়ছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুবাদ পড়লে এত বেশি আক্ষরিক অনুবাদ করে সবাই, যেটা পড়তে গেলে মনে হয়, কি পড়ছি? তবে এই বই পড়ে নিজেকে সাইকিক পেশেন্ট মনে হয়েছে ! যদিও পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকের কিছুনা কিছু সাইকোলজিক্যাল সমস্যা আছে। সত্যি বলতে, আমি বেশ ভালো প্রেডিকশন করে ফেলি, এই বই এর অপ্রত্যাশিত টুইস্টে আমি আসলে নিজেই চমকে গেছি! যদিও অনেকে বোধহয় আগেই বুঝতে পারবেন কি হয়েছিল, তবে আমার জন্য শকিং ছিল এটা আমি বলব। আমি যেটা ভেবেছিলাম সেটা ঘটেনি, যেহেতু স্পয়লার দেয়া সম্ভব না, তাই আমার ভাবনাও শেয়ার করতে পারছি না। এই বই পড়তে গেলে মাথা খুব ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে, প্রতি লাইন, ছোট ছোট ঘটনা মাথায় রেখে আগাতে হবে, নাহলে মিস করে যাবেন, আবার ঘুরে এসে আগের পেইজ পড়তে হবে। পারকুম দ্বীপে নিজেকে একবার রেখে দেখবেন কেমন লাগে? তূষার ঝড়ের রাত, টেম্পারেচার প্রায় মাইনাসে, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, ফায়ার প্লেসের সামান্য আগুন, এক কাপ কফি নিয়ে বসে আছেন, আপনি জানেন, ঘরে কেউ নেই, কিন্তু হঠাৎ করে আপনার সামনে এসে দাঁড়ালো মিস অ্যানার মত কোন নারী। কি করবেন তখন? সে কি মানবী নাকি! যে আকুল হয়ে সাহায্য চাইছে, ব্যাক গ্রাউন্ডে “গুমনাম হ্যায় কয়ি” গানটা যদি কোনভাবে বাজানো যায়, তাহলে আর পায় কে? যায় হোক, রাতের বেলা লাইট অফ করে পড়তে পারেন, আমি পিডিএফ পড়েছিলাম, কাথা মুড়ি দিয়ে, হার্ডকপি পড়লে মোবাইলের আলোতে পড়েন, দেখেন তো কেমন লাগে। অনুবাদকের অনুবাদ পড়ে বোঝা যায় নি যে এটা তার প্রথম অনুবাদ করা বই। খুব দক্ষতার সাথে অনুবাদ করেছেন, যার কারনে মূল গল্পের এসেন্স টা রয়ে গেছে। জার্মান লেখক সেবাস্টিয়ান ফিটজেক আইন বিষয়ে পড়াশোনার পরে, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। পাশাপাশি লেখালেখির কাজ চালিয়ে যান। তাকে জার্মানির সেরা এবং অন্যতম লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়। সব বই এর নামকরণে, বই এর মূল গল্প বা সারমর্মের একটা ভূমিকা থাকে, এখন পাঠকের কাছে প্রশ্ন এই বই এর নাম থেরাপি কেন হল? আমি যদি বলেই দেই তাহলে স্পয়লার হয়ে যাবে যে। থাক না তোলা পাঠকের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সেবাস্টিয়ান ফিটজেকের এই বই পড়েই আমি তার ভক্ত হয়ে গেলাম। অসাধারন। মনস্তাত্তিক থ্রিলার। অনুবাদ ভালো। অবশ্যই পড়বেন।
Was this review helpful to you?
or
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরার বই প্রায় সময়েই আমার পড়া হয়ে থাকে। গল্পের অর্ধেক পড়েই বুঝে গিয়েছিলাম শেষটুকু কি হতে চলেছে। যারা সাইকোলজিক্যাল বই অনেকদিন যাবত পড়ে চলেছেন তারাও ফট করে ধরে ফেলতে পারবেন। নবীনদের ক্ষেত্রে বইটি মনস্তাত্ত্বিক জনরা শুরুর জন্যে দারুণ হবে। শেষের দিকে টুইস্টটি অসাধারণ লেগেছে। অনুবাদ চলনসই, পড়ে কপালে ভাঁজ পড়েনি।
Was this review helpful to you?
or
দুর্ধর্ষ উপন্যাস। অতুলনীয় অনুবাদ। অবশ্যপাঠ্য।