Our User Product Reviews

ফ্যান হয়ে গেছি?

ভাল, অনুবাদ হওয়ায় পড়তে যা একটু সমস্যা করে। তবে অনুবাদ টা খারাপ না। মোটামুটি ভাল।

My favourite thriller book

গল্পটি ভালো, কিন্তু আহামরি তুইলা না। তবে গল্পটা লাস্টের দিক থেকে ??

কাহিনী সংক্ষেপ: হেনরি বিনস নামক এক ব্যক্তির একটা রোগ আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টাকে ঘুমিয়ে কাটাতে হয় তাকে এবং রাত ৩ টার দিকে ১ ঘন্টার জন্য সজাগ থাকেন। হেনরি জড়িয়ে পড়ে এক মেয়ের হত্যারহস্যে। হেনরি কি রহস্য সমাধান করতে পারবে? এই নিয়েই উপন্যাসিকাটি। অনুবাদ: সালমান হকের অনুবাদ খুবই ভালো ছিল। মনেই হয়নি কোনো বিদেশি লেখকের বই পড়ছি। মন্তব্য: আমার কাছে concept বেশ ভালো লেগেছে। আর শেষের টুইস্টগুলো ভালো ছিলো। হেনরি চরিত্রের comedy টাও উপভোগ্য ছিল। খুব ছোট একটা বই। beginners এর জন্য must read!! Happy Reading ? (বি:দ্রঃ বইয়ে কিছু 18+ জিনিস শেষে আছে)

বইমেলা ২০২৫ থেকে সংগৃহীত। বই টি আমি এক বসায় শেষ করেছি, এখন বলব বই টি কেমন লাগল- "3:00 AM" – Nick Pirog-এর লেখা এই উপন্যাসটি একটি অনন্য থ্রিলার, যেখানে প্রধান চরিত্র হেনরি বিনস একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। তিনি প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা (রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত) জেগে থাকতে পারেন, এরপর তার শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। হেনরি তার এই সীমিত সময়ের মধ্যে একটি মারাত্মক রহস্যের মুখোমুখি হন, যা তার জীবনকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। রাত ৩টায় তার অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিনি এমন কিছু দেখেন, যা তাকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। কেন পড়বেন? •ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয় কাহিনির ধারণা •উত্তেজনাপূর্ণ ও দ্রুতগতি সম্পন্ন গল্প •হেনরি বিনসের চরিত্রের ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য এই বইটি মূলত সাসপেন্স ও থ্রিলার প্রেমীদের জন্য আদর্শ, বিশেষ করে যারা একটি নতুন ও অনন্য কনসেপ্টের গল্প খুঁজছেন।

অসাধারণ একটা বই পড়ে দেখতে পারেন

বইটা আসলে অনেক অসাধারণ ছিল ?

Ostir thriller boi.Pore onek balo lagce.

#Book_Insights 49 মাত্রই পড়ে শেষ করলাম পাঠকপ্রিয় হেনরি বিনস সিরিজের প্রথম বই 'থ্রি এএম'। কারো কারো কাছে এটি 'থ্রি এএম সিরিজ' নামেও খ্যাত। হেনরি বিনস এমন এক রোগে আক্রান্ত যাতে, দিনে কেবল এক ঘণ্টাই সে জেগে থাকতে পারে। এই এক ঘণ্টায়ই একবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হত্যার সাক্ষী হয়ে গেলো সে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া এমন একজনকে বিশ্বাস করবে কে? এমনই একটা প্লটের গল্প এটা। • ব্যক্তিগত অনুভূতি: • আমার কাছে শুরু থেকেই প্লটটা ইউনিক লেগেছিলো। ডিটেকটিভ জনরার একটা ছাপ আছে। হেনরির এই অল্প সময়ের মাঝেই নিজে নিজে অনুসন্ধান চালানো, সেটারই ইঙ্গিত দেয়। হেনরির এ রোগের সীমাবদ্ধতার জন্য যথেষ্ট প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে তাকে দেখা যায়নি, সবটাই এড়িয়ে যেতে পেরেছে সে। • উপন্যাসটা হয়তো টেনে আরো বড় করা যেতো, কিন্তু পাঠককে একঘেয়ে করে দিতে পারে বলেই হয়তো বরাবরই মূল ঘটনায় চলে গেছেন লেখক। তাই উপন্যাসটাও আকারে খুব একটা বড় হয়নি। ক্লিফ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে না রেখে ঠিকঠাক সমাপ্তি ঘটানোও বইটি পছন্দের আরেকটি কারণ।

Quite good ?

বইটি hard cover এবং গল্পটা বেশ ভালো লাগলো পড়ে

Interesting book

বইটি হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই পড়া শুরু করেছি এবং একেবারে শেষ করে তবেই উঠেছি।Thank u rakomari.❤️❤️❤️

Unnecessary adult part bhalo lage na tai 4/5 dicchi nahole 5/5 i deoya jeto, but onek unnecessary adult jinish dise.

অসাধারণ !

অসাধারন একটি থ্রিলার বই। One of the best books that I had ever read...

"ঘুমে ঢলে পড়তে পড়তে আমার দেখা শেষ দৃশ্যটা ছিল আমার দিকে তাকিয়ে থাকা একজোড়া চোখ। লোকটা আর কেউ নয়, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট!" কাহিনি সংক্ষেপ গল্পের মূল চরিত্র হেনরি বিনস, তার একটি অদ্ভুত রোগ রয়েছে। সে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৩ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটায়, রাত তিনটা থেকে চারটা - এই এক ঘন্টা শুধু জেগে থাকে। এই একটি ঘন্টাই তার কাছে এক একটি দিন! একদিন যখন সে জেগে ছিল, পাশের বাড়ি থেকে একজন নারীর চিৎকার শুনতে পায়, তৎক্ষনাৎ জানালার ধারে দাঁড়িয়ে দেখতে পায় একজন মানুষ, তাকিয়ে আছে তারই জানালার দিকে, তাকে চিনতে পারে হেনরি বিনস, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান! পাঠ প্রতিক্রিয়া থ্রি এ এম সিরিজের বইগুলোকে রোলারকোস্টারের সাথে তুলনা করা হয় এর টানটান উত্তেজনার জন্য! সত্যি বলতে বইটি পড়ার সময় আমি নিজেও এই উত্তেজনাটুকু উপভোগ করেছি দারুণভাবে। নিক পিরোগ এই বইয়ের অসাধারণ প্লট আর ছোট ছোট ডিটেইলস এর সমন্বয়ে যা লিখেছেন তা এককথায় অনবদ্য। বইটি বেশ অনেকগুলো চ্যাপ্টারে বিভক্ত। প্রতিটি অংশে নতুন নতুন প্লট টুইস্ট এসে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছিল! একারণে আমার মনে হয় বইটিকে রোলারকোস্টারের সাথে তুলনা করা যেতেই পারে। চমৎকার থ্রিলারের স্বাদ পেয়েছি বইটি পড়ে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাও কম, মাত্র ১০৯ পৃষ্ঠা। একারণে একবার থ্রিলের স্বাদ পেয়ে গেলে পুরো বইটি শেষ না করে ওঠা যায় না! তবে একটি কথা জানিয়ে রাখতে চাই, হয়তো অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হবে এই অংশটুকু। বইটির কাহিনির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু অংশে গালি/স্ল্যাং ও এমন কিছু বিষয় আছে যা একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু কিশোর পাঠকদের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। এছাড়া বইটি দুর্দান্ত! অনুবাদ, বানান ও অন্যান্য "থ্রি এ এম" বইটি সালমান হকের প্রথম অনুবাদ বই। প্রথম অনুবাদ বই হিসেবে তিনি বেশ ভালো অনুবাদ করেছেন। শুধু অল্প কিছু অংশে সামান্য বেখাপ্পা লাগতে পারে। তবে তার অনুবাদের আলাদা একটা স্টাইল আছে, যা অনুবাদকে পাঠকের কাছে সহজবোধ্য করে তোলে। এছাড়া বইটিতে বানান ভুলের সংখ্যা প্রচুর! পাঠককে এই বিষয়টি মানিয়ে নিয়ে পড়তে হবে। বইয়ের কোয়ালিটি টপনচ। বই: থ্রি এ এম (3 AM) লেখক: নিক পিরোগ অনুবাদ: সালমান হক প্রকাশনী: বাতিঘর পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯ ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩

উপন্যাস মারাত্মক থ্রিলিং, কিন্তু শেখার মতো জ্ঞান নেই বললেই চলে, তাই যাদের হাতে সময় কম আবার থ্রিল আর জ্ঞান একসাথে পেতে চান তাদের জন্য ড্যান ব্রাউনের উপন্যাসই ঠিক আছে, যারা অবসরে উপন্যাসের মজা নিতে চান, তাদের জন্য এটা সেরার তালিকায় থাকবে....

বইয়ের নাম : থ্রি এ এম নিক পিরোগ অনুবাদ : সালমান হক হেনরি বিনস এক অদ্ভুত চরিত্র। এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত। সেদিন এ মাত্র একঘন্টা জেগে থাকে বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমায়। এভাবেই চলছিল তার জীবন। কিন্তু এক রাতে পাল্টে যাইতে সবকিছু। পাশের বাড়ি থেকে বেশি আসে চিৎকার। এমন ই এমনই এক টুইস্টে ভরপুর এই থ্রিলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে।

so good ant thrilling

Good

বইটি দূর্দান্ত মনে হলেও বারংবার অশ্লীলতা আমায় বিষিয়ে তুলেছে।সবারই চরিত্রগত সমস্যা।

ভৌতিক নয়।গোয়েন্দাগিরি শুধু।

nice book

অসাধারণ। অনুবাদও অসাধারণ।

thriller story like korle apnake akbar ai bookta portei hobe.Matro 3 page porar por amr moddhe ato curiosity kaj korse j 2 din a finish kore felsi.Twist gula asle apnar mone hobe j kiii aita to asa kori nai ..... must buy

good

one of the best book I ever read!..?? i really love it's story!..?

best one ?

দারুণ।

অসাধারণ একটি বই।

অসাধারণ

সময় মূল্য বুঝতে চাইলে এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিত। আপনার চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

দারুণ

khob sondor ar roller coaster ride

excellent series❤️

vary good book

অনুবাদ খুবই ভালো, পড়তে পারেন, গল্পোটাও ভালো লাগবে।

অনেক ভালো লেগেছে। ঘটনাপ্রবাহ খুব দ্রুত এগিয়েছে❤️

এই সিরিজের প্রথম বই এটি। গল্পের প্রধান চরিত্র হেনরি বিনস এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত যার ফলে সে দিন শুধুমাত্র এক ঘন্টাই জাগতে পারে। এই রোগ সে ছাড়া আর মাত্র দুইজনের আছে এই পৃথিবীতে। এমনকি তার শরীরে প্রথম ধরা পড়ে বলে তার নামেই এই রোগের নামকরণ। সে সারাদিন ঘুমায়। এবং রাত ৩-৪ টা জেগে থাকে। এই এক ঘণ্টার মধ্যেই সে তার সবকিছু করে ফেলে। একদিন তার ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সে একটি মেয়ের শব্দ শুনতে পায়। জানালা দিয়ে দেখে মেয়েটি খুন হয়েছে। আর সেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। সে কি যা দেখেছে সত্য দেখেছে? প্রেসিডেন্ট কি আসলেই তাকে খুন করেছে? কি সেই মেয়ের পরিচয়? আর কেনই তাকে খুন হতে হলো এই সব মিলিয়েই এই নভেলার গল্প। গল্পের শুরুতে একটা পর্যায় পর্যন্ত লেখকই ছিলেন প্রধান সাসপেক্ট। এরপর একে একে জট খুলতে শুরু করে। গল্পটি যখনই মনে হবে এক ঘেঁয়ে হয়ে যাচ্ছে সেই সময়েই একটি করে টুইস্ট আসতে থাকে। অত্যন্ত সুন্দর একটি গল্প এইরকম প্লটে যেটি কিনা আবার এক ঘণ্টার ভেতরেই শেষ করে দেওয়া যায়। গল্পের মধ্যে কিছু পয়েন্ট একটু অবাস্তব লেগেছে যেইগুলো বলতে গেলে স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে ওভারঅল সবকিছুই ভাল ছিল। অনুবাদও বেশ সাবলীল লেগেছে আমার কাছে তবে কিছু ক্ষেত্রে লেখক ভাষার গাম্ভীর্য ধরে রাখতে পারেনি বলে মনে হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের ব্যবহত আধুনিক কিছু শব্দের সংমিশ্রণ হয়েছে। তবে সেইটা খুব একটা বেশি না।

আহ অবশেষে বইটা পেয়েছি। এখন পরার পালা???

“সকাল তিনটা হয়তো দিনের সবচেয়ে শান্ত সময়। এমনকি নিশাচর রাতের লোকেরাও ফিরে এসেছে।" বইয়ের নাম: থ্রি এএম ( 3:00 AM) লিখেছেন নিক পিরগ (অনুবাদক সালমান হক) প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা জেগে থাকলে কী হবে? থ্রি এএম হল নিক পিরোগের লেখা একটি খুনের রহস্য/থ্রিলার বই। প্রধান চরিত্র হলো হেনরি বিনস। যার একটি মেডিকেল অবস্থা আছে যা তার নামে নামকরণ করা হয়েছে, হেনরি বিনস। এটি একটি এমন মেডিকেল অবস্থা যেখানে একজন ব্যাক্তি মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে এবং বাকি সময় ঘুমায়। হেনরি শুধুমাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে, যা সাধারণত তিনটায় শুরু হয় এবং চারটায় শেষ হয়। তাই বইটির নাম থ্রি এএম। একদিন হেনরি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন কারণ তখন ভোর চারটার কাছাকাছি কিন্তু হঠাৎ একটি মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পায় সে, তিনি জানালার কাছে গিয়ে দেখেন যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার পাড়ায়। কিছু করার আগেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরের রাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে একটি মেয়ের লাশ দেখতে পান। পরের দিন রাতে যেখান থেকে চিৎকার শোনা গিয়েছিল সেখানে গিয়ে একটি মেয়ের লাশ খুঁজে পায় হেনরি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি এই মেয়েকে মেরেছেন? এই এক রাত হেনরির জীবন অনেকাংশে বদলে দেয়। বইটা কেমন ছিল? সত্যি বলতে, আমি বইটি ভালোই এনজয় করেছি। ছোট ছিল তাই একদিনের মধ্যেই শেষ করে ফেলেছি। গল্পটা ভালো ছিল, একটু অদ্ভুত কিন্তু তবুও মজাদার। বইটি পড়লে পাঠক একটি ভালো সময় কাটাবেন বলে মনে করি। এতে থ্রিলার, সাসপেন্স এবং প্রেমের গল্পের কিছু উপাদান রয়েছে। এটি ফাস্ট পেস এর বই তাই আপনি যদি বন্ধের দিন পড়তে চান তবে এই বইটি বেশ ভালো চয়েজ হবে। গল্পটি ব্যালান্সড ছিল। আমার পছন্দের অংশ ছিলো বিড়াল লুসি এর সাথে। এই বিড়ালটি কোনো কারণে কুকুরের মতো কাজ করছিল। কিন্তু যাই হোক, বিড়ালটি কে অনেক ভালো লেগেছে, কমেদিক রিলিফ। বইয়ের প্রিন্টিং মান বেশ সুন্দর ছিল, তবে, পাতাগুলো হালকা হলুদ রং এর ছিল। ১৮০ টাকায় এর চেয়ে বেশি আশা করা উচিত ও না। তবে হ্যা, পেজ গুলো ভালোই ছিলো। এটি একটি ছাড় থাকা কালীন কেনা, তাই এটি ১০০ টাকার নিচে পেয়েছি, যা সত্যই একটি দারুন ডিল ছিল। কোনো প্রিন্টিং ভুল খুঁজে পাইনি। অনুবাদটি করেছেন সালমান হক। অনুবাদটি ভালো ছিল। সহজে বোঝা যায় এবং ভালভাবে অনুবাদ করা। এটি তার অনুবাদ করা প্রথম বই ছিল এবং এখন তিনি অন্যান্য বইগুলো দুর্দান্ত ভাবে অনুবাদ করছেন৷ সব শেষে, আমি বলব এই বইটি মজাদার এবং সাসপেন্সপূর্ণ। সেরা থ্রিলার বা খুন রহস্যের বই বা মোটামুটি না বরণ ভালোই। রেটিং এ 10 এর মধ্যে 7.5-8 দিবো এই বইটি অবশ্যই সাজেস্ট করবো, কেউ এটি এক দিন বা তার কম সময় মধ্যে পড়তে পারে। এখন সিক্যুয়েল বই অর্থাৎ ৩:১০ শুরু করবো। ___English___ “Three in the morning must be the quietest time of the day. Even the nocturnal night people have turned in and the crazy, morning folk are still tucked away.” Book Name: Three AM ( 3:00 AM ) written by Nick Pirog ( Translator Salman Hok) What would happen if you had only one hour every day? Three AM is a murder mystery/thriller book written by Nick Pirog. The main protagonist is Henry Bins. Who has a medical condition named after him, henry bins. It is a medical condition where one stays awake for only one hour and sleeps the rest. Henry only stays awake for one hour, which usually starts at three am and ends at four am. Hence the name of the book is three am. One day Henry was getting ready to sleep as it was close to four am but suddenly hears a screaming voice of a girl, he goes to the window and sees the president of America in his neighborhood before he could do anything he falls asleep and woke up the next night. After that, he went to the house where he heard the scream last night and finds a body of a girl. Did the president of America kill this girl? this one night changes the aspect of henry's life to a great extent. How was the book? Honestly, I enjoyed the book. It was short so finished it within a day. The story was fine, a bit weird but fun nonetheless. The book provides a good time for the reader. It has some elements of thriller, suspense, and a bit of a love story. It's fast pace so if you like to have a read on a weekend this book will be perfect. The story wasn't over the top nor was it underdeveloped, it was balanced. My favorite parts were with the cat. Which for some reason was acting like a dog. but whatever, it was really a fun read. The book print quality was quite nice, however, the pages were yellowish. Which at the price of 100 taka was expected. Bought this at a sale. so got it for under 100 taka, which was a great price honestly. Didn't find any printing mistakes. The pages felt nice if I'm telling the truth. About the translation, it was done by Salman Hok. It was good. An easy to understand and well-executed translation. This was the first book he translated and it was awesome now he's doing great translating other books. In conclusion, I would say this book is both fun and suspenseful. Not the best thriller or murder mystery book nor is average. Will rate it somewhere between 7.5-8 out of 10. Will definitely recommend this book, one can read it within a day or so.

Good.

অনেক চেষ্টার পর বইটি হাতে পেয়েছি সত্যি বলতে চমৎকার।

It was very interesting

এই বইটা পড়ে এত ভলো লাগলো! এই সিরিজের প্রতিটি বই-ই অসাধারণ! ❣️অনুবাদককে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো <3

Best Thriller book ever..??

great! i really liked it very much.

good

এটিই ছিলো জীবনের ফাস্ট থ্রিলার সিরিজ ❤️ খুবই অসাধারন লেগেছিলো । নেশার মতো একটি পার্ট পড়ার পর অন্যটি না পড়ে থাকতে পারিনি

Great book

ভালো ছিল

খুব ভাল লেগেছে

Excellent book! Had so much fun while rearing it. Need the next part asap!

not that good

চমৎকার

koto page ar book

Ak kothay osadharon akta boi chilo

Excellent

অসাধারণ একটি বই

it's a very nice book . full of twists and thrills

Good enough

good

best of best

Good delivery timing. good quality book.

Good one

পড়ে ভালো লাগলো। তবে ভাষা গুলো একটু শালী হলে ভালো হতো।

সত্যি বলতে গ্রুপে অনেক দিন ধরেই বইটি নিয়ে রিভিউ দেখতে ছিলাম, তো থ্রিলার প্রেমী হিসেবে বইটি না কিনে থাকতে পারলাম নাহ। কিছু না শুধু বলবো এই থ্রি এ.এম সিরিজের বইগুলা জাস্ট আগুন?

অনুবাদ এর মান ভাল হয়েছে । গল্পটা অসাধারন

সবার পড়া উচিত যারা এডভেঞ্চার প্রিয়

Awesome ?

স্বল্প সময়ে শেষ করার মতো দারুণ একটি থ্রিলার। তবে এখানে গল্পের থেকে গল্পের মূল প্রোটেগনিস্টই আকর্ষণীয়

Love

sei akta boi.. must read ?

রহস্যময় গল্প

I think it will be a great book. But I am not satisfied with rokomari delivery service. It took about 10 days to get.

Very Nice book

গল্পের টুইস্ট মারাত্মক!

valo cilo

নিঃসন্দেহে অনেক ভালো বই।

good

joss?

প্লিজ বইটা ১৫ বছর এর কম বয়সী কেউ পড়বে না।

Thanks..

awesome thriller series!

অনেক ভালো একটা বই,অনেক ইন্টারেস্টিং,থ্রিলিং।।??

দারূণ রোমাঞ্চ কর একটি উপন্যাস

Best service ?

Great thriller book..

good

The story was so awesome and I enjoy it very much.....

Amazing content with amazing translation...

Onk valo

কিছু বলার নেই

I like the book

valo

3:00 a.m Boi ta khub sundor ekta boi..pritita oddhay seshe ekta tan tan uttejona royeche j na porbe sey bujhbe nah❕ sobai k boita Porte paren

সত্যি অসাধারণ ছিল বইটা।

I like this book and want to read the next book of this series

Best Book......Full Series Ase.....

love it

থ্রি এম আমার দেখা সবচেয়ে ভালো একটি থ্রিলার।এই থ্রিলার টি অনেক রোমাঞ্চে ভরা।প্রত্যেকটি পাতায় রহস্য❤️।এক কথায় আমার অনেক ভালো লেগেছে

Valo chilo

অনেক যে ভাল তা বলবো না কিন্তু মোটামুটি ভালই লেগেছে এই থ্রিলার বইটি। অনুবাদটি খুবই ভাল ছিল। আশা করি এই সিরিজের বাকি বইগুলোও পড়ে শেষ করবো।

great series I've read, waiting for the last 2 books of the series

3.am সিরিজের কথা কি আর বলবো, অসাধারণ একটা সিরিজ। পড়া শেষ করে মনে হচ্ছে সিরিজটা আরো একটু বড় হলে মন্দ হতো না

অনেক দ্রুত ডেলিভারির জন্য ধন্যবাদ।

দারুণ

সাধারণের মধ্যে অন্যরকম.. তবে যতটা এক্সাইটেড ছিলাম বই টা নিয়ে তেমন টা না.. personal opinion :)

অসাধারণ বই

One of the best book i have ever bought from rokomari

বইটা আসলেই ইন্টারেস্টিং, বইয়ের ব্যপ্তি হয়তো খুব বেশি না, তবে থৃলার সাহিত্যের সব উপকরণই আপনি এখানে পাচ্ছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে, থ্রিলার, টুইস্ট, সাসপেন্স, এ্যাকশন সবই ছিলো সঠিক মাত্রায়। সবমিলিয়ে, দারুণ উপভোগ্য বই “থ্রি এ এম।“ সময় পেলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি। ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।

ze keo porte paren. awesome

বইটি অসাধারণ একটি বই। আমার নিক পিরোগ এর পড়া প্রথম বই এটি। এই বইটির একটি সিরিজ ও রয়েছে। আমি সর্বচ্য চেষ্টা করবো সিরিজটি পড়ার। ডেলিভারি সার্ভিস অত্যন্ত ভালো ছিলো। অর্ডার করেছি বিকেলে আর ডেলিভারি পেয়ে গিয়েছি পরের দিন দুপরেই। এক কোথায় বইটি অসাধারণ ছিলো। অবশ্যই রেকমেন্ড করছি কেনার জন্য।

বইয়ের নামঃ থ্রি এ এম। লেখকঃ নিক পিরোগ। অনুবাদকঃ সালমান হক। অদ্ভুত এক মেডিকেল কন্ডিশনে আক্রান্ত এক ব্যাক্তি হেনরি বিনস। দিনে মাত্র এক ঘণ্টা জেগে থাকতে পারে, বাকি তেইশ ঘণ্টা থাকে গভীর ঘুমে। সেই এক ঘণ্টা সময় হলো রাত ৩ টা থেকে ৪ টা, এর মধ্যেই তার অনেক কাজ করতে হয়। একদিন এই সময়েই সে শুনতে পায় পাশের বাসার এক নারীর চিৎকার এবং বেড়িয়ে আসতে দেখেন তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান কে। মূলত এই ঘটনা কে ঘিরেই পুরো গল্প টা। বেশ কিছু টুইস্ট এবং রহস্য ঘেরা এই বইটি পরে সব বয়সের মানুষ ই আশা করি বেশ উপভোগ করবেন। রেটিংঃ ৯/১০ দামঃ ১০৫ টাকা।

থ্রীলার গল্প বা উপন্যাস আমার সবসময়ই প্রিয়। থ্রীলার পাঠক হিসেবে এই সিরিজটি আমাকে নিরাশ করে নি। একজন মানুষ ২৪ ঘন্টার মাঝে শুধু মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে আর তার জীবনেই ঘটে যায় নানা ঘটনা। সেই ১ ঘন্টা জেগে থেকে সে কি নিপুন ভাবে রহস্য গুলো সমাধান করে তা লেখক দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বই এর কোয়ালিটি খুব ভালো, পৃষ্টা গুলো মোটামুটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির আর ছাপা অনেক পরিষ্কার। আর রকমারির ডেলিভারি নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই, সবসময় ঠিক সময় আমি পন্য হাতে পেয়েছি, ধন্যবাদ রকমারি টিম কে।

আমার ভালো লাগেনি

just wow....????

It’s a awesome book..I like it

300 is a Best Book

Average

কি বলবো..... এক কথায় অসাধারণ একটি উপন্যাস।

It's a fun and interesting thriller to read. I really enjoyed reading the book.

রকেট গতির থ্রিলার❣️

ভালোই,,,, ?

pretty good

অনেক অনেক ভালো লেগেছে

Interesting.

⭐⭐⭐⭐

book ta sotti joss.khub sigrohi ai siriz ar baki book gulo kinbo. Inshaallah?

অসাধারণ থ্রিলার উপন্যাস৷ পড়তে গিয়ে আপনি বার বার ভাবতে থাকবেন খুনটা কে করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হতে থাকবেন প্রতিবারই।

Loved it... amazing book.. well written... nice story...

Boring

অসাধারণ একটি বই।

good

রকমারি রিভিউঃ বইঃ থ্রি এ এম । লেখকঃ নিক পিরোগ । অনুবাদকঃ সালমান হক । প্রকাশনীঃ বাতিঘর । মূল্যঃ ১৫০ টাকা । পৃষ্ঠাঃ ১০৯ । ‘থ্রি এ এম’ নিক পিরোগের লেখা অসাধারণ একটি উপন্যাস । আর সালমান হকের অনুবাদটাও অনেক ভালো । এই বইটি হেনরি বিনস সিরিজের প্রথম বই । হেনরি বিনস তার নামানুসারের অসুখ হেনরি বিনসে ভোগে । এই অসুখ সর্বপ্রথম তার মধ্যে ধরা যাওয়ায় তার নামে এই অসুখ । এই অসুখ হলে দিনে তেইশ ঘন্টায় ঘুমিয়ে কাটায় আর মাত্র একঘন্টা জেগে থাকে । শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে জীবন চালায় সে । একরাতে হেনরি এক মেয়ের চিৎকার শুনতে পায় । জানালায় গিয়ে দেখে এক লোক পাশের বাড়ি থেকে বের হচ্ছে । একী! এ যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট । পরে হেনরি দেখে মেয়েটি মৃত । তাহলে কি প্রেসিডেন্টই কি মেয়েটাকে খুন করেছে? হেনরি লেগে যায় রহস্য সমাধানে । কিন্তু যা জানতে পারে তা কখনো ভাবতেও পারেনি । কী জানতে পারে হেনরি? আর কীভাবেই বা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কিছু করবে? আসলে কে খুন করেছে মেয়েটাকে? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে ।

Awesome

অসাধারন থ্রিলার

very good srory...

good

Very good

এই বই সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এক কথায় অসাধারণ। আর অনুবাদ ও সুস্পষ্ট।।।।।।

best

মোট মুটি ভালো ।

Great

Just awesome thriller book ever seen.! I have been reading 3 part.❣

excellent book

ভাষা চয়ণ দেখলে আর পড়তে ইচ্ছা করে না, আর কাহিনী ও অতিসাধারণই লেগেছে রহস্য রোমাঞ্চের তেমন ছোয়া নেই বুঝাই যাচ্ছে ফেইক রিভিও, কেন ভাই? ফেইক রিভিও দিয়ে বই কিনানোর কোন মানে আছে?

খুব ই ভালো সুন্দত বই।এবং অনুবাদ ও ভালো হয়েছে।

শ্বাস রুদ্ধকর একটি বই

Great Thriller Book . Love it.

চমৎকার

Really good book. Unique idea ever. How can one come up with this absolute masterpiece? I always wondered how can one do all this stuff in just an hour. love nick pirog for writing this thrilling story. I am still waiting for his latest release of this series (if he does).

ভালোই তবে খুব বেশি এন্টারটেইনমেন্ট পাইনি। এটা আমার মতামত

Good

ভালো একটা বই

Good book

চমৎকার কন্সেপ্ট আর টুইস্টের একটা গল্প কেমন করে অসংগতিপূর্ন, ফাঁকফোকরে ভরা আর হাস্যকর হয়ে হয়ে চলে গেলো ...

বইটি সত্যিই অসাধারণ। একজন মানুষ ইচ্ছে করলেই যে অনেক কিছু করতে পারে, তা শত প্রতিবন্ধকতা স্বত্ত্বেও। তা এই বই না পড়লে বোঝা যাবে না। বইয়ের পুরোটা জুড়েই একটা থ্রিল কাজ করবে নিজের মাঝে, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি...!

পুরো সিরিজটা ৩ দিনেই পড়ে ফেলছি, দুর্দান্ত একটা থিলার।

Good service

A nice book, pleasant reading. It is actually a kind of a detective story with some uniqueness in its characters. A good one to read and pass a good time in home quarantine during the pandemic.

বইটি পড়তে আশা করি সবার ভালো লাগবে।

Awesome

All over a good book!

Great storyline! Interesting and thrilling. Has a nice flow as well as suspense . Really loved reading this one.

অসাধারন এক থ্রিলার বই। একবার পড়তে বসলে অার উঠতে মন চাই না।❤

যারা থ্রিলার সিরিজ খুঁজছেন,তাদের জন্য পারফেক্ট। হ্যাপি রিডিং ?।

Good Book. Rokomary is the best

এই সিরিজের বইগুলোর মধ্যে প্রথমটি (থ্রি.০০ এ এম) ছাড়া বাকিগুলো তেমন একটা ভালো লাগে নি। শুধুশুধু কাহিনি দীর্ঘ করা হয়েছে।

Alhamdulillahvalo

দারুণ একটি বই । পড়বার মত একটি বই। অনেক উপভোগ করেছি বইটি । হেনরি বিনস অনেক ভিন্ন একটি চরিত্র । আশা করি সবার ভালো লাগবে ।

অসাধারণ বই। এক বসায় পড়ে শেষ করেছি।

অপেক্ষার পালা এবার শেষ হতে যাচ্ছে

অসাধারণ একটা বই

বুইটি অন্যরকম। একজন যিনি দিনে শুধুমাত্র একঘ্ণটা জেগে থাকেন। বাকি ২৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়। এর মধ্যেই সে নেমে পড়ে এক মার্ডার কেইস সমাধান করতে। এর সাথএ জড়িত কে আছে শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। তবে গল্পের গতি এক্টু বেশি। আরেক্টু বড় করলে ভালো হত

লেখক এবং অনুবাদকের জন্য ৫ স্টার।অসাধারণ একটি থ্রিলার সিরিজের প্রথম বই এটি।তবে বাতিঘর প্রকাশনীর মতো নামকরা প্রকাশনীর বইয়ে বানান ভুল এটা অাসলেই মানা যায় নাহ্।অাশা করছি পরবর্তী সংস্করণে ভুল গুলো সংশোধন করা হবে।

বেশ ভালো লেগেছে পড়ে।

The best thriller book! The story is funny but amazing! There are also twists in the story though! Those who loves thrilling ,thriller books This book is for them I enjoyed a lot reading this book!

Too much clumsy and too much overrated !

good book..full of twists

কাহিনী সংক্ষেপ:- ৩৬ বছর বয়সী হেনরি বিনস জীবনের প্রথম নিজ চোখে সূর্যোদয় দেখতে যাচ্ছে আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে ৩০০০মাইল দূরে, আলাস্কার ফেয়ারব্যাংকসে। সাথে সব সময়ের সঙ্গী পোষা বিড়াল ল্যাসি আর হেনরির প্রেমিকা ডিটেকটিভ অফিসার ইনগ্রিড। আপনারা হয়তো ভাবছেন ৩৬ বছরের একজন মানুষ জীবনে প্রথম সূর্যোদয় দেখতে যাচ্ছে! তাহলে এর আগে কি সে সূর্যোদয় দেখেনি? না দেখেনি,কারন সে হেনরি বিনস,আর সে হেনরি বিনসে আক্রান্ত।হেনরি শুধু রাত ৩ টা থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত জেগে থাকে, আর বাকি সময়টা ঘুমায়।আর সে জন্যই হেনরি তার ৩৬ বছরের জীবনে কখনো স্বচোখে সূর্য দেখেনি, সূর্যোদয় দেখেনি। সাতদিনের প্রোগ্রাম নিয়ে হেনরি,ল্যাসি আর ইনগ্রিড গেল আলস্কায় সূর্যোদয় দেখতে।৩:০৭ মিনিটে হেনরি জীবনের প্রথম দেখতে পেল একটুকরো সাদা আলোর ঝলকানি, আর তারপর পরবর্তী বিশ মিনিট ঘোরের মধ্যে উপভোগ করলো জীবনের প্রথম সূর্যোদয়। কিন্তু হেনরি বিনস থাকবে আর সমস্যা থাকবে না তা কি হয়। আলাস্কার দ্বিতীয় দিনে জানতে পারল ইনগ্রিড প্রেগন্যান্ট,সে মা হতে চলেছে।এটা তো খুশির খবর, কিন্তু হেনরি রেগে গেল‌।সে কিভাবে এই একঘন্টার জীবন নিয়ে মানুষ করবে সন্তান কে? ইনগ্রিডের কী আক্কেল নেই। রেগে গিয়ে ল্যাসিকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়ে গেল হেনরি।'সেইনা' নদীর পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে 'কুশম্যান' ব্রীজের উপর আসার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে থেমে গেল হেনরি। ফিরে যাওয়ার জন্য ঘুরতে গিয়ে মনে হলো কাঁপছে ব্রীজ টা। ধীরে ধীরে ভয়ংকর ভাবে কাঁপতে শুরু করলো পুরো ব্রীজ।শুরু হল ভয়ংকর ভূমিকম্প। ভেঙ্গে পড়লো ব্রীজ, জীবন বাঁচাতে ল্যাসিকে নিয়ে নদীতে লাফ দিল হেনরি। হাবুডুবু খেতে খেতে কোন মতে একটা ক্যানোতে উঠার পর পরই ঘুম। পরদিন যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন সে সেইনা নদীতে ভাসতে ভাসতে চলে এসেছে প্রায় ১০০মাইল। হেনরি স্বাভাবিক মানুষ হলে হয়তো ফিরে যাওয়া টা কঠিন কিছু হতো না কিন্তু সে সারাদিন সময় পাবে মাত্র একঘন্টা করে। এখন কি হবে? কিভাবে ফিরে যাবে ফেয়ারব্যাংসে? ইনগ্রিডের কী হলো?সেকি বেঁচে গেছে এই ভয়ংকর ভূমিকম্পের হাত থেকে? তাদের বাচ্চাটার কোন ক্ষতি হয়নি তো?? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কিন্তু তার আগে বাঁচতে হবে হেনরি কে।১০০ মা‌ইল দূরে কেউ তাদের খুঁজতে আসবে না।তাই নিজেই নিজেকে উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু কিভাবে?? হাতে তো মাত্র সময় একঘন্টা,,,,,!! ❣️ আমার কাছে সেরা হ‌ওয়ার কারণ:- হেনরি বিনস সিরিজের প্রতিটি ব‌ই আমার খুব প্রিয়। কিন্তু এই ব‌ইটা সবচেয়ে বেশি চমকে দিছে আমাকে।ব‌ইটা শেষ করার পর প্রায় আধঘন্টা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। একজন লেখক কতটা শক্তিশালী হলে এমন লেখা বের হয় মাথা থেকে তা ভেবে অবাক হই। আপনি যখনি মনে করবেন রহস্যটা ধরে ফেলেছেন ঠিক সেই সম‌য়‌ই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন একটা চমক,,,,,,

~বুক রিভিউ ~ থ্রি এ.এম সিরিজ নিক পিরোগ মনে করুন আপনার এমন একটি রোগ আছে যেখানে আপনি সারাদিন 24 ঘণ্টার মাঝে সময় পাবেন মাত্র এক ঘণ্টা। ভাবুন তো এই এক ঘণ্টা আপনি কি করে কাটবেন? কি করবেন আপনি! ভাবুন সারাদিন মাত্র এক ঘণ্টা আপনার জন্য! আবার ভাবুন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট খুন করেছে আর আপনি তা দেখে ফেলছেন। আপনার হাতে সারাদিনে 1 ঘণ্টা সময় এই সমাধান করতে। কিভাবে করবেন? ভাবুন….. নিক পিরোগের থ্রি এ. এম সিরিজের কাহিনি এখান থেকেই শুরু। যার পরতে পরতে শিহরন। থেকে থেকে আঁতকে উঠবেন “এ কিভাবে সম্ভব!” আপনি একটা অংশ শেষ করবেন তো আরেকটা না পড়ে উঠতে পারবেন না। আপনাকে গল্পই এর শেষে নিয়ে যাবে। এফ.বি.আই, সিআইএ সহ জিজ্ঞাসাবাদের কিছু ভয়ংকর উদাহরণ আপনাকে বারবার ভাবাবে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বনাম ভ্লাদিমির পুতিনের স্নায়ুযুদ্ধও এখানে পাবেন। ও হ্যাঁ আরও একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় আছে। হেনরি বিনসের(গল্পের আসল চরিত্র, যার নামে তার রোগের নাম 'হেনরি বিনস') সাথে তার বিড়ালের কাল্পনিক কথোপকথন। মনে হবে যেন একদম সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছে। তবে অনুবাদক সালমান হকের অনুবাদ প্রথম হিসেবে খারাপ না। প্রথম দিকে কিছুটা খাপছাড়া লাগলেও পরের অংশগুলা অত্যন্ত সাবলিল। শুরু করলে শেষ না করে উঠার জো নাই।

The story was original given the MC, Henry Bins, has a rare condition named after him that has him awake for only one hour (3-4 a.m.) everyday. One night, he hears a scream and sees a man leaving and then later learns, a woman is dead. Salman tried his best to translate it accordingly. I appreciate his efforts. Hopefully he will bring some better works in future.

আমি হেনরি বিনস আর আমার হেনরি বিনস আছে! বাহ। মাত্র এক ঘন্টায় যে এতো কিছু করা সম্ভব তা না পরলে জানা যাবে না। নিক পিরোগ এর যে সৃষ্টি তার জন্য প্রশংসার দাবিদার। লেখকের কনসেফ্ট একবার ভাবতে আপনাকে বাধ্য করবে আমরা ২৪ ঘন্টাও যা করতে পারিনি অথচ হেনরি বিনস তার হেনরি বিনস নিয়েও সেগুলো করার চেষ্টা করছেন।

অসাধারণ একটি বই। থ্রিলার লাভারদের জন্য রিকামান্ড থাকলো।

বইয়ের নাম:থ্রি এ এম লেখক:নিক পিরোগ অনুবাদক:সালমান হক প্রকাশনী:বাতিঘর পৃষ্ঠা:১০৯ মূল্য:১৩০(মুদ্রিত মুল্য) এক ঘণ্টা, ষাট মিনিট বা তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। এই সময়টুকুই বরাদ্দ থাকে হেনরি বিনসের জন্য। বাকি তেইশ ঘণ্টা সে বেঘোর ঘুমায়। এরকমই এক অদ্ভুত রোগে আক্রন্ত সে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার এই এক ঘণ্টার জীবন এক রহস্যের জালে জরিয়ে পরে। খুন হয় যায় ক্যালি ফ্রেইগ নামে এক তরুণী। কিন্তু কে এই ক্যালি ? কে তাকে খুন করে ? প্রেসিডেন্ট সুলিভান ? ..................... থ্রিল আর সাসপেন্সে ভরপুর বইটি থেকে পাঠক এক মুহূর্তের জন্যও মনোজোগ ফেরাতে পারবেন না। আর অনুবাদও বেশ সাবলীল ভাবে করা হয়েছে। তাই দেরি না করে ডুব দিতে পারেন নিগ পিরোগের থ্রিলার ও সাসপেন্সে ভরপুর বই থ্রি এম এ।

nice but artificial

One of the best detective book.

বই রিভিউ-3 am নিক পিরোগের লেখা দুর্দান্ত একটি বই এটি। এই গল্পের মূল চরিত্র এক বিরল রেগে আক্রান্ত যার কারণে তিনি দিনের ২৩ ঘন্টা ঘুমান আর এক ঘন্টা জেগে থাকেন যা হলো রাত ৩টা থেকে ৪টা। কিন্তু প্রতিদিনের এই এক ঘন্টার মধ্যে একদিন তার সাথে এমন এক ঘটনা ঘটে যার ফলে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে পর্যন্ত নাড়িয়ে দেন।। কি ছিলো সেই রহস্য জানতে চাইলে কিনে ফেলুন বইটি,টাকা বৃথা যাবেনা।।

কয়েক পৃষ্ঠা পড়তেই চুম্বকের মত আকড়ে ধরল বইয়ের কাহিনী। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১ ঘন্টা জেগে থাকা হেনরী বিনস বইয়ের শুরেতেই আবিষ্কার করে একটা খুনের ঘটনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জড়িত। এরপরে এই কাহিনীর শেষ না দেখে ছাড়া অসম্ভব। হেনরী বিনসের আজব রোগ সবাইকে ভিন্ন রকম অনুভুতি দেবে নিঃসন্দেহে। আর অনুবাদের কথা বলতেই হয় সালমান হক অসাধারন দক্ষতার সাথে কাজটা করেছেন।

This is a exciting thriller novel to those readers who are busy in life and do not have enough free time. The timeliness, observation and intelligence of Henry, hero of this novel, was really fantastic. He was an strange man who woke up only at 3:00 am. That was the routine of his disturbing life until he became the only witness of a murder. Everyone thought that the killer was US president, but after that the twist of the story was just begun. I think this type of short detective thriller can be enjoyable to any thriller lover reader.

শুরু থেকেই ইন্টারেস্টিং বইটা। ক্রাইম থ্রিলারভিত্তিক নভেলা। গল্পের টুইস্টগুলো বেশ ভালই। আধুনিক অ্যামেরিকান পটভূমিতে পারফেক্ট থ্রিলার বলা যায় একে। এবং লেখার মধ্যেও বেশ সাবলীল একটা ভাব। এর কৃতিত্ব অবশ্য অনুবাদকেরও প্রাপ্য। থ্রি এ এম যে অনুবাদকের প্রথম বই সেটা মনে হয় নি পড়তে গিয়ে। গল্পের ক্লাইমেক্সগুলোতে কয়েক জায়গায় অতিনাটকীয় মনে হয়েছে। বিশেষ করে শেষের দিকে এসে। তবে সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে। ঘটনাবহুল প্রতিটা পৃষ্ঠাই।।

হেনেরি বিনস। লোকটি কেবল রাত তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত মাএ একঘন্টা জেগে থাকে,  আর বাকী তেইশ ঘন্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। তার এই অদ্ভুত রোগটির নামকরণও করা হয়েছে তার নাম দিয়ে "আমি হেনেরি বিনস আর আমার হেনেরি বিনস আছে"।  হেনেরি বিনস এই এক ঘন্টায় গোসল করে, শেয়ার বাজারের স্টক চেক করে, বাবার সাথে কথা বলে,  হাটতে বের হয় আবার গেম অফ থ্রন্সও দেখে এক কথায় সে ২৪ ঘন্টার কাজ এক ঘন্টায় করে। এক রাতে সে ঘুমাতে যাবে এমন সময় সে এক নারীর আত্মনাদ শুনতে পায় কৌতুহল বশত হেনেরি জানালার কাছে যায়। রাস্তার পাশে সে দেখতে পায় আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভানকে যেকিনা একটা মেয়ের বাড়ি থেকে বের হচ্ছে । পরের দিন হেনেরি ঔ বাড়িতে গিয়ে দেখলো একটি মেয়ের লাশ পরে আছে। প্রেসিডেন্টই কি মেয়েটাকে খুন করেছে? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য। একবার বইটি পড়া শুরু করলে শেষ অবধি পড়তে আপনি বাধ্য হবেন। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বইটি আপনার ভালো লাগবে।

awesome thriller

অসাধারণ রোমাঞ্চকর এক বই। এই বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠা মুশকিল। এই বইয়ে একজন অদ্ভূত রোগীর কথা বলা হয়েছে যে রাত্রে শুধু ১ ঘন্টার জন্য জেগে থাকতে পারে তাও রাত ৩ টার সময়। যেহেতু জীবন থেমে থাকে না, তাই সে তার এই অসুখের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় এবং যাবতীয় সব কাজ এমনকি তার ব্যাবসার কাজও সেই এক ঘন্টায় করে ফেলে। কিন্তু একদিন হঠাত একটা ঘটনায় সে জড়িয়ে যায় খুনের মামলার সাথে। তাও খুনি যে কেউ না, একেবারে প্রেসিডেন্ট সাহেব। খুনের ঘটনা প্রমান করতে তার হাতে আছে ১ ঘন্টা। সে কি পারবে খুনের রহস্য সমাধান করতে?

রুম্মেট থেকে ধার নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম বইটি। থৃলার বই ভালবাসি বলেই হাতে তুলে নিলাম পড়ার উদ্দেশ্য। নিক পিরোগ এর অদ্ভুদ চরিত্র আমাকে খুবই আকৃষ্ট করে। মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থেকে হেনরি বিনস এর সময় বিন্যাস খুবই দারুন। "হবে নাকি আর একবার এই ৫ মিনিটে'' তবে আমি দেরি না করে শুরু করব এই সিরিজ এর ২য় বই ৩ঃ১০

Amazing thriller story. Worthy buy. Salman haque is a very good translator

দুর্দান্ত থ্রিলারে ভরপুর এই বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে সময়ের এমন এক দুনিয়ায় যেখানে সবকিছু শুধুমাত্র এক ঘন্টার মধ্যে ঘটে চলেছে। কি ঘটে চলেছে? তা জানতে হলে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে।

এ যাবৎকালে যত উপন্যাস পড়েছি ও চরিত্র সম্পর্কে জেনেছি তার মধ্যে অন্যতম অদ্ভুত ও বিস্ময়কর চরিত্র হেনরি বিনস! থৃলার এই উপন্যাসের নায়কের নাম হেনরি বিনস, যার আছে হেনরি বিনস সিন্ড্রোম। একটা মেডিকাল কন্ডিশন। যাতে মানুষ ২৩ ঘন্টা ঘুমায় ১ ঘন্টা জেগে থাকে। সে রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই এক ঘন্টাই জেগে থাকে। এই সময়ের মধ্যেই সে তার যাবতীয় কাজ করে। অদ্ভুত ভাবে সে এই ১ঘন্টার মধ্যেই যাবতীয় সব কাজের সাথেও নিউজ পড়া,বই পড়া, ইউটিউব,ফেসবুক ব্রাউজিং,শেয়ার বাজার বিজনেস,প্রেম সব কিছুই করছেন! কিন্তু একদিন তার এই এক ঘন্টার নরমাল জীবন বিঘ্নিত হয় পাশের বাসার এক মহিলার চিৎকারে। সে উঁকি দিয়ে দেখে সামনের বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে খুনী। কিন্তু খুনীর চেহারা দেখেই চমকে উঠে সে। স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। শুরু হয় তার অদ্ভুত মার্ডার ইনভেস্টিগেশন। তারপরে ঐ ১ঘন্টা জেগে থাকা মানুষটাই অদ্ভুত সেই খুনের রহস্য উন্মোচন করে।

গল্পের মূল চরিত্র হেনরি বিনস, যার আছে হেনরি বিনস সিন্ড্রোম। একটা মেডিকাল কন্ডিশন। যারা প্রভাবে তাকে টানা 23 ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকতে হয়। 23 ঘন্টা ঘুমিয়ে থেকে মাত্র এক ঘন্টার জন্য রাত 3:00 জেগে উঠে হেনরি বিনস। রাত চারটা বাজতে না বাজতেই আবার ঘুমিয়ে পড়ে। এই একঘন্টার স্বল্পতম সময়ে সে তার সব কাজ করে থাকে। এরকমই একদিন রাত চারটার ঘুমানোর আগে তার পাশের বাসা থেকে এক মেয়ের চিৎকার শুনে থাকে এবং তারপর পরই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। কৌতূহলবশত সে খোঁজ নিয়ে দেখে তার পাশের বাসার সেই মেয়েকে কেউ খুন করে রেখেছে। সে যাকে এই বাসা থেকে বের হতে দেখেছে অর্থাৎ স্বয়ং প্রেসিডেন্টই কি খুনটা করেছে নাকি অন্য কেউ..?? হেনরি বিনস অনেক চেষ্টা করে বের করতে পারে আসল খুনিকে যদিও তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকা। পাঠপ্রতিক্রিয়া: বেশ কিছুদিন দেখে নিক পিরোগের থ্রি এ এম সিরিজের রিভিউ এই সিরিজের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলাম। অবশেষে পড়েও ফেললাম।আসলেই ভালো লাগার মতো একটা সিরিজ। মাত্র একঘন্টার পুঁজি নিয়ে কিভাবে খুনিকে বের করে তার পর্যন্তও পৌঁছেও যায়। বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে এগুলোর থেকে হেনরি ও বিড়ালের মধ্যকার কথোপকথন গুলো বেশি মজার ছিল। সিরিজের বাকি বইগুলো পড়তে শুরু করেছি।

নিক পিরোগ এর লেখা কোনো বই আমি আগে কখনো পড়ি নাই।একদিন থ্রিলার বই পড়ার ইচ্ছা হওয়াতে এই বইটি পরতে বসলাম।।আর তখন এক অদ্ভুত চরিত্র হেনরি বিন্সের সাথে পরিচিত হলাম।।তারপর বই তে এক এর পর এক টুইস্ট আসতে লাগলো।।বই টি এক কথায় অসাধারন উপভোগ্য।থ্রি এম সিরিজ এর প্রতিটি বই ভালো।।এই বই এর গল্পে একবার প্রবেশ করলে বের হওয়ার অবকাশ থাকে না।

Interesting little novella about Henry Bins, who has Henry Bins, a syndrome named for him. He is awake only one hour per day, always from 3 a.m. to 4 a.m., then he just shuts down. And he may have witnessed a murder . Setting aside the scientifically difficult premise this was actually OK. Henry is a cool guy, takes life as it comes, is kind to animals and really lives his life to the fullest....in one hour increments. The crime itself was all rather unlikely, but kudos to Pirog for not trying to stretch out the premise into a full-blown novel. The Bangla translation was also fluid which made for a great fast reading experience.

নিক পিরোগ রচিত ‘থ্রি এ এম’ বইটি হালকা ধাঁচের থ্রীলার ধর্মী একটি উপন্যাস। আরো চারটি বই নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম বই থ্রি এ এম। বাতিঘর প্রকাশনী থেক প্রকাশিত বইটি শুরু থেকেই পাঠক নন্দিত। অদ্ভূত এক রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনস কাহিনীর মূল চরিত্র। তাঁর সাথে রয়েছে তার আদরের বিড়াল ল্যাসী। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকার সামর্থ্য রয়েছে এই যুবকের তাও নির্দিষ্ট একটি সময়ে, রাত ৩টায়। প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘটে যাওয়া কান্ডকে কেন্দ্র করে হেনরির জন্য দূর্লভ সেই এক ঘন্টার মধ্যেই এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে প্রতিদিন; যার ফলে তার নিত্য অভ্যাস ও জীবন হুমকীর মুখে পড়ে যায়। একশন ও টুইস্টে ভরপুর ছোট পরিসরের বইটি এক বসায় পড়ে শেষ করার মতই। সালমান হকের অনুবাদের ধরণ দেখে বোঝা মুশকিল তিনি এই কাজে নবীণের সাড়িতে পড়েন। ঝরঝরে সাবলিল অনুবাদের ফলে বইটি পাঠকের সামনে মূল কাহিনীর ইমেজ ধরে রেখেছে সফলতার সাথে। বানান ভুল বাতিঘর প্রকাশনির থেকে অযাচিত কিছু না। বাতিঘরের প্রায় সব বইতেই এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করা যায়। এখানেও তেমনটা হয়েছে। তবে তা খুব বেশি না। এতে পাঠকের বই উপভোগে কোন বাঁধা নেই। বইয়ের কাগজের মান ও মলাট বাঁধুনি বেশ সন্তুষ্টজনক। বইটি প্রকাশের সাথে সাথে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সত্যি প্রাপ্ত!

Boi porata amar shokh-er o valolagar bisoy . Sai shokh o valo laga hote amra gore tulesi amader office library . Thanks Rokomari amader sokol boi thik quality te ena dewar jonno . And aro thanks alokito bangladesh gorar proyash newar jonno . Thanks the all team member of Rokomari .

বইয়ের প্রধান চরিত্রের নাম হেনরি বিনস।হেনরি বিনস এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত। রোগের নামও হেনরি বিনস।সর্বপ্রথম হেনরি বিনসেরের মধ্যেই রোগটি ধরা পরে তাই নাম অনুসারেই রোগের এমন নামকরণ। এই অদ্ভুত রোগের কারণে হেনরি বিনস মাত্র ১ ঘণ্টা জেগে থাকতে পারে বাকি ২৩ ঘণ্টাই ঘুমে কাটাতে হয়।এক রাতে প্রতিবেশী এক মেয়ের আর্তচিৎকার শুনলে হেনরি বিনস জানালা দিয়ে দেখে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বের হচ্ছেন।পরে গিয়ে হেসরি বিনস দেখতে পায় মেয়েটি খুন হয়েছে। মাত্র এক ঘণ্টা জেগে থেকে হেনরি বিনস কীভাবে এই খুনের রহস্য সমাধান করবে তা আবার স্বয়ং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে জানতে হলে পড়ে ফেলুন বইটি।পারসোনাল রেটিং ৫/৫

Nice thriller written by pirog. Become fan of him.

অসাধারণ একটি বই...নিক পিরোগ খুব ভালমত কাহিনি গুলো তুলে ধরেছেন.. সবচেয়ে মজার ব্যাপার এইখানে এরকম একটা চরিত্রের কথা আপনি পড়তে পারবেন যে শুধুমাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে ও ২৩ ঘন্টা ঘুমায়...Highly recommended

There is a saying that "Translation is like a woman. If it is beautiful, it is not faithful. If it is faithful, it is certainly not beautiful." This book is a very beautiful translation yet awesome thriller. It certainly challenges your imagination.

রহস্য উপন্যাস আমার সব সময় ভাল লাগে।আর এই উপন্যাসে রহস্যের কোন ঘাটতি নেই। ## ক্যালি ফ্রেইগ কে? তার সত্ত্যিকার পরিচয় কি? সেকি সত্ত্যিই কনর সুলিভান আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মেয়ে? প্রেসিডেন্ট কি সত্যি তাকে খুন করেছে? এমনই অনেক রহস্য রয়েছে উপন্যাসের প্রতিটা ক্ষেত্রে। যাদের রহস্য পছন্দ তারা পড়তে পারেন বইটি।

বুক রিভিও এর সোজাসুজি অর্থ পুস্তক সমালোচনা। আর আমি প্রশংসা ছোঁড়ার পাশাপাশি এই যাত্রায় সমালোচনাকেও বেছে নিচ্ছি। প্রথমত, প্রশংসার ভাগটুকুই শেয়ার করছি-আশা রাখছি তা সমালোচনাকে গালি হিসেবে গ্রহণ না করার অনুরোধে সহায়ক হবে। জ্বি হ্যাঁ এই বইটি মূলত লেখা হয়েছে ইংরেজি ভাষায়, এটি একটি নোভেলার যার মূল আকর্ষণ প্রধান চরিত্রে যিনি রয়েছেন -- 'হেনরি বিনস'। তিনি একটি অদ্ভুত মেডিকেল কন্ডিশনে রয়েছেন যা তার নামেই রাখা হয়েছে 'হেনরি বিনস'। তিনি ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকেন তাও রাত ৩টা থেকে ৪টা অবধি। বাদবাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমান। সাধারণত আমি যেকেনো গ্রন্থের মূল গ্রন্থই পড়ার চেষ্টা করি, এই বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রথমে একই কসরত করি। অতপর,অ্যামাজন ছাড়া কোথাও পাই নি। তাই একটা পিডিএফ ফাইল নিয়ে যথারীতি পড়াশোনা গুছিয়ে পড়া চালালাম; মজার বিষয় হলো এটা পড়া শুরু করলাম তো রাখতেই ইচ্ছে করছে না। মনে হয় যেন কোথা হতে এক চৌম্বকীয় শক্তি এসে আমার ওঠার শক্তি বশ করে নিয়েছে। অতপর অতপর.......... এইবার সমালোচনার চ্যাপ্টারে আসা যাক, প্রথমত অনুবাদক সালমান সাহেবের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি তিনি সম্ভবত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বানানের প্রতি উদাসীন ছিলেন অথবা টাইপ রাইটারের সমস্যা-প্রতি জায়গায় 'হ্যাঁ' এর স্থলে 'হ্যা' লেখা। আর বাক্য সংযোগ ও সংহতির প্রতি আরেকটু মনোযোগী হওয়াই শ্রেয়। সবমিলিয়ে বলাযায় আলোচনা বা প্রসংসার বিষয়ই আগলাব। তাই ধন্যবাদ অনুবাদক কে।

ভালোই লেগেছে

মাত্র ১০০ পৃষ্ঠার একটা বই। প্রতিটি পৃষ্ঠাই টান টান উত্তেজনায় ভরপুর। এক বসাতে শেষ না করে উঠা যাবেনা এমন একটা বই। আর অনুবাদের কথা কি বলব! সত্যি বলতে কি, বইটা পড়ার সময় আমার একবারও মনে হয়নি আমি অনুবাদ পড়ছি! এত সাবলীল অনুবাদ আমি এর আগে আর কখনো পড়িনি। এই একটা বই পড়েই অনুবাদক সালমান হকের অনুবাদের ভক্ত হয়ে গেছি। শুধু সাবলীল অনুবাদই নয়, হিউমারও দেখিয়েছেন যথেষ্ট। বাতিঘরের অনুবাদ নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানোর অভ্যাস আছে। তাদের প্রতি অনুরোধ রইল থ্রি এএম টা একবার পড়ে দেখার। আপনার ধারণা পাল্টাতে একটুও সময় লাগবে না।

এক কথায় অসাধারণ

থ্রি এ এম । লেখক নিক পিরোগ । আনুবাদক সালমান হক । হেনরি বিনস এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত ।তিনিই প্রথম ব্যক্তি যে এই রোগে আক্রান্ত তাই তার নামেই এই রোগের নাম করণ করা হয়েছে ।হেনরি বিনসের হয়েছে হেনরি বিনস । প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি এক ঘন্টা জেগে থাকেন ।এই ঘন্টার মধ্যে তাকে করতে হয় সব কাজ ; শেয়ার বাজার এর শেয়ার দেখা , গোসল করা , গেম অফ থ্রোনস আর অনেক কাজ । এক মিনিট আমাদের জীবনে কোন গুরুত্বপূর্ন না হলেও হেনরি এর জীবনে তা খুবই গুরুত্বপূর্ন । তার প্রতিটি কাজকে এই ঘন্টার মধ্যে হিসাব করে করতে হয়।রোজ রাত ৩ থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত তার জেগে থাকে হেনরি । এক রাতে সে ৩.৫৯ মিনিটে বিছানায় ঘুমের প্রস্তুতি নিয়ে শুয়েছেন ,হঠাৎ এক মেয়ের আর্তচিৎকার ,সে জানে কিছুক্ষণ এর মধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়বেন তাও সে জানালার সামনে দাড়ালেন ।দেখলেন তার প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট । তিনি এত রাতে নিরাপত্তা পহরী ছাড়া এখানে কি করছে,মেয়েটির সাথে তার সর্ম্পক কি ,মেয়েটি কি মারা গেছে এই রকম অনেক প্রশ্ন মাথায় আসতে আসতে হেনরি ঘুমে ঢলে পড়লেন । খুবই রোমাঞ্চকর একটি উপন্যাস । একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে পাঠক বইটি রাখবে না । থ্রিলার বইয়ের মধ্যে অসাধারণ এক বই থ্রি এ এম ।

আমি সাধারনত থ্রীলার বা উপন্যাস এরকম বই পড়িনা কিন্তু সেদিন থ্রী এ এম নামটা দেখে আমার কাছে মনে হল এটা একটা মটিভেশন বই পড়া শুরু করে দেখআল এটা একটা থ্রীলার বই কিন্ত ততক্ষনে বইটা প্রতি একটা আসক্তি চলে এসেছে তাই একটানা তিনঘন্টা বা একটু বেশী সময় বসে শেষ করেছি ঘটনাটা কি ঘটনা তা বলবনা। কিন্তু কেউ যদি বই পড়ার অভ্যাস গড়তে চান তাহলে আমার মনে হয় এটা একটা সেরা বই।

হেনরি বিনস যে অসুখে আক্রান্ত সেই রোগটা বড় অদ্ভুত। কি সেই রোগ? ২৩ ঘন্টা ঘুমানো। হ্যাঁ, এই অসুখে আক্রান্ত হলে রোগী কেবল এক ঘন্টাই জেগে থাকে। অবশ্য এমন অদ্ভুত রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে নাকি সেটা জানা যায়নি। শুধু একজন ছাড়া- প্রথমে যার কথা বললাম সেই হেনরি বিনস ছাড়া। তাই তার নামের সাথে মিলিয়ে অসুখের নাম রাখা হয়েছে হেনরি বিনস। এই সিরিজের মূল চরিত্র সে। গল্পের কথক, নায়ক। মাত্র তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত জেগে থাকে সে এবং এই এক ঘন্টাতেই আমরা সাধারণ মানুষ যে কাজগুলো করি তার সেসব করতে হয়। এই এক ঘন্টার অদ্ভুত জীবনে সে সাক্ষী হয় এমন এক ঘটনা যা পুরো দেশ কাপিয়ে দিতে পারে। পাশের বাসা থেকে এক মেয়ের আর্তচিৎকার এবং কিছুক্ষণ পর সেই বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো দেশের প্রেসিডেন্ট। ঘটনা কী? এদিকে চারটা বেজে আসছে। রাজ্যের ঘুম নেমে আসছে হেনরি বিনসের চোখে। এরপর কী হবে? সেটা জানতে হলে পড়তে হবে চমৎকার এই থ্রিলার বইটা।

Name : 3 a.m. (Henry Bins #1). Author : Nick Pirog. Genres : Mystery, Thriller, Fiction, Suspense.

আলেক্সান্দ্রিয়ার ৩৬ বছর বয়েসী, হেনরী বিনস “হেনরী বিনস রোগে আক্রান্ত। গোটা দুনিয়ার মোটে তিনটে মানুষের এই রোগ আছে। হেনরী সাহেবের নাম থেকেই এই রোগ এর নামকরন করা হয়েছিল । পুরো ২৩ ঘন্টা ঘুমোবার পর ঠিক রাত তিনটা থেকে চারটা, মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে সে। সূর্যের আলো কি জিনিস সে দেখেনি, জানেও না। আমরা কত সময় নষ্ট করে ফেলি, আর প্রতি এক সেকেন্ড এর দাম এই হেনরীর কাছে আমাদের চেয়ে শত কোটি গুন বেশি। এই রোগের কারনে হেনরীর নিজের মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, কেবল তার বাবা এত কাল ধরে, ছেলেকে সামলে যাচ্ছে। হেনরী কে এই ১ ঘন্টার জেগে থাকার মধ্যেই পড়াশোনা শিখিয়েছে। এখন হেনরী নিজেই নিজের আয় করে। নিজের ফ্ল্যাটে থাকে । বাবা থাকেন থাকেন একটু দূরেই। প্রতিদিন এই এক ঘন্টার মধ্যেই সে জগিং করে, মুভি কিংবা সিরিজ দেখে, খবরের কাগজ পরে, গোসল সারে, খাওয়াদাওয়া সারে। প্রতি বুধবার বাবা আসেন মারডক নামে কুকুর কে সাথে করে এখানে, হেনরীর ফ্লাটে,তাস খেলতে। কি বিচিত্র মানুষের জীবন। এরকম একদিন সে দেখে আর বাসার সামনের ফ্ল্যাটে একটা খুন হয়। আর খুন টা করে আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান। একটা আর্তচিৎকারের পর জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, সেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন কনর। এদিকে কনর ও দেখে ফেলেন হেনরীকে। অন্যদিকে পরেরদিন রাতে হেনরী সেই বাড়িতে ঢুকে, দেখতে পারে এক মেয়ের লাশ, অন্যদিকে খুঁজে পায় এক বেড়াল কে, নাম রাখে ল্যাসি। নিহত মহিলার নাম ক্যালি ফ্রেইগ। এদিকে ৪টা প্রায় ছুঁই ছুঁই , নিজেকে বাঁচাতে কাবার্ডে আশ্রয় নিল হেনরী। পরদিন কাবারড থেকে বেড়িইয়ে যথা সম্ভব চেষ্টা করল হাতের ছাপ মুছে দিতে। কিন্তু ভুল করে সাথে নিয়ে এল এক গোলাপী ফোন। নিহত নারীর ফোন। এই খুনের তদন্ত করতে গিয়েই ইনিগ্রিড রে, নামের এক নারী তদন্তকারীর সাথে পরিচয় হয়। খুনী আর খুনের রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে ফেসে গেল হেনরী। অন্য দিকে কনর এর বিয়ে তে ঝামেলা হয় বেশ অনেক বছর আগে। এ আর এস শব্দের গোলমেলে অনেক কিছুই গোলমেলে হয়ে যায়। আবার রিকি, সুলিভানের ছেলের সাথে জেসিকা নামের এক মেয়ের সম্পর্ক। সেই মেয়েটিও খুন হল। আবার সেই খুনের সাথেও হেনরীকে জড়িয়ে ফেলা হল। সব খুনের রহস্য কি সমাধান হবে?এই এক ঘন্টার মধ্যেই? প্রতিক্রিয়াঃ বেশ কিছু এডাল্ট কন্টেন্ট আছে বইতে। তাই কিশোর দের না পড়া ভাল, তবে আজকাল কিশোর সম্প্রদায় একটু বেশিও এডাল্ট হয়ে যাচ্ছে। যায় হক। মদ্দা কথায় আসি, অনুবাদ আমার কাছে ভালই লেগেছে, দু’ একটা জায়গা ছাড়া। ২০১৭ সালে প্রথম পড়েছিলাম। অনেকদিন পর আবার পড়ছি। ভালই লাগছে। ল্যাসি আর হেনরীর কথোপকথন আমার বেশ পছন্দের, অনেক কে বলতে শুনেছি বিড়াল -মানুষের কথা বার্তা কিভাবে হতে পারে? এটা ফিকশন, সব অসম্ভবের সম্ভব। যাই হোক তদন্তে ল্যাসির ভূমিকা কে অগ্রাহ্য কোনভাবেই করা যাবেনা। বাতিঘরের বই এ টুকটাক বানান যে ভুল থাকে এই সেগুলো ছাড়া বইটা ভালই লেগেছে, এক বসাতেই পড়া সম্ভব।

আমি নিগ পিরোগের লেখা থ্রি এএম বইটি উপহার হিসেবে পাই আমার ১৬ তম জন্মদিনে। আমাকে বইটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড ওর নাম সাজিদুর রহমা। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো চমচমৎকার একটি বই। এই বই আমাদের সময়কে মূল্য দিতে শেখায় । আমাদের কাছে রয়েছে ২৪ ঘন্টা আমারা চাইলেই ইচ্ছেমতো সময় ব্যয় করতে পারি। কিন্তু এই উপন্যাসটি যাকে কেন্দ্রকরে লেখা সে চাইলেই সময় নষ্ট করতে পারে না। কারন তার হাতে থাকে মাত্র ১ ঘন্টা বাকিটা বইখানা পড়লে বুঝতে পারবেন

Really an interesting book. Nobody will avoid this ?

এই বই টি যেমন করে আপনাকে দিবে অসাধারণ একটি থ্রিলার এর স্বাদ। তেমনই দিবে সময় এর এক অনন্য পরিচয়। happy reading

থ্রি এ এম এমন একটি বই যার প্রতিটি পাতায় রয়েছে টান টান উত্তেজনা। বইয়ের প্রধান চরিত্র হেনরি বিনস। হেনরি বিনস এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত তিনি দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায়। দিনে মাত্র ১ ঘন্টা সে জেগে থাকে আর সে সময় টা হলো রাত ৩ টা থেকে ৪টা। এই ১ ঘন্টার মধ্যেই তাকে তার দৈনন্দিন সকল কাজ সম্পন্ন করতে অই এক ঘন্টা তেই। যেমন: খাওয়া-দাওয়া,গোসল,গানশোনা ইত্যাদি। প্রতিদিনের মতোই চলছিলো হেনরি বিনসের জীবন হঠাৎ একদিন রাতে তার পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো একটি মেয়ের আর্তচিৎকার, কৌতূহলবশত সে জানালা দিয়ে উকি দেয় তখন সে দেখতে পায় বাড়ির দরজা থেকে বেরিয়ে আসছে একজন ব্যক্তি এবং সে আর কেউ নয় স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! পরবর্তীতে হেনরি বিনস জানতে পারলো খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে তবে কি প্রেসিডেন্ট খুন করেছে মেয়েটিকে? কেনোই বা সে রাতে এ বাড়ীতে এসেছিল প্রেসিডেন্ট?? এদিকে ঘটনা চক্রে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় নাম উঠলো হেনরি বিনসের। দিনে মাত্র এক ঘন্টা জেগে সে দায়িত্ব নিলো রহস্য উদঘাটনের। হেনরি বিনস কি পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে?? জানতে হলে আপনাকেও নামতে হবে হেনরি বিনস এর সাথে তার এডভেঞ্চারে।। খুবই চমৎকার ও একটি রহস্যজনক বই! পড়তে শুরু করলে পড়া শেষ না করে উঠতেই ইচ্ছে করবে না! অনুবাদকের অনুবাদের কোনো তুলনাই হয় না খুব সুন্দর ভাবে তিনি বইটি ফুটিয়ে তুলেছেন!

#বুক_রিভিউ বই : থ্রি এএম লেখক : নিক পিরোগ অনুবাদ : সালমান হক প্রকাশনায় : বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদ : ডিলান পৃষ্টা সংখ্যা : ১১০ মূল্য : ১৩০ টাকা রেটিং : ৪.৫/৫ পৃথিবীতে মাত্র তিনজন ব্যক্তি আছে, যারা ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে। বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায়। এর মধ্যে হেনরি বিনস একজন। আমেরিকার আলেক্সান্দ্রিয়ার বসবাস তার। হেনরি বিনস তার ৩৬ বছর বয়সে প্রায় ২০০০০০ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন, আর জেগে থেকেছেন ১৪০০০ ঘন্টারও কম সময়। ১৮ এপ্রিল। রাত তিনটায় ঘুম ভাঙ্গলো হেনরি বিনস এর। বিছানা ছেড়ে প্রতিদিনের মতো ফ্রিজ খুলে একটা বিফ স্যান্ডউইচ পাকস্থলীতে পাচার করছে আর ল্যাপটপে গেম অব থ্রোন্স দেখছে। তখনই নিস্তব্ধতার বুক ভেদ করে বাসার উল্টো দিকের একটা পুরনো ধাঁচের একতলা বাড়ি থেকে কর্ণকুহরে প্রবেশ করলো একটা মেয়ের আত্মচিৎকার। দৌড়ে জানালার দিকে এগিয়ে গেলো হেনরি বিনস। স্ট্রিটলাইটের আলোয় দেখা গেলো পুরনো সেই বাড়িটা থেকে বের হয়ে ফোর্ড গাড়িটার দরজা খুলে আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভন দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে গেলো। পরদিন রাত তিনটায় হেনরি বিনস ঘুম থেকে জেগে কৌতুহল বশতঃ সেই বাড়িতে প্রবেশ করলো, যেখান থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বেড়িয়ে যেতে দেখেছে। পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করেই দেখতে পেল ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী একটা মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে গাড়ির হুডের উপর। মেয়েটার নাম জেসিকা। পাশে পড়ে আছে গোলাপী রঙের স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৪ মডেলের একটা মোবাইল ফোন। মোবাইলটা পকেটে ঢুকিয়ে ৪ টা বাজার আগেই হেনরি বিনস ফিরে এলো নিজের বিছানায়। পরদিন রাতে আবার একই সময়ে ঘুম ভাঙলো হেনরি বিনস এর। একটা ফোন বুথ থেকে নিজেই ফোন করলো আলেক্সান্দ্রিয়ার ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের নাম্বারে। নিজের পরিচয় গোপন করে জানালো সিকামোর স্ট্রিটের বাড়িতে একটা মেয়ের লাশ পড়ে অাছে। মুহুর্তেই শুরু হলো হৈচৈ। প্রচন্ড সাইরেন বাজানোর শব্দ করে ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের একটা বড়সড় ভ্যান এসে হাজির। সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত অনলাইন পোর্টালে নিউজও হয়ে গেলো। রাত তিনটা তেত্রিশ। হেনরি বিনস এর রুমে প্রবেশ করলো আলেক্সান্দ্রিয়া হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান 'রে'। সাথে রয়েছেন অফিসার পল ক্যালোমেটিক্স। নানাবিধ প্রশ্নে জর্জরিত করলো হেনরি বিনস কে। ঘটনা এগুতে থাকলো নানাবিধ রহস্যকে সঙ্গে নিয়ে। জেসিকার পাশে ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন, হেনরি বিনস এর জবানবন্দী আর বিছানায় পাওয়া চুলের ডিএনএ টেস্টের রেজাল্টের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হলো আমেরিকার ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভনকে। একের পর এক জটলা পাকাতে থাকলো রহস্যকুন্ডলী। খুন হওয়া জেসিকার সাথে শারিরীক সম্পর্ক ছিল প্রেসিডেন্ট পুত্র রিকির। আবার মেয়েটির মা কিম ছিল প্রেসিডেন্টের ডিভোর্সী স্ত্রী। জটলা এখানেই শেষ নয়। মেয়েটির ডিএনএ টেস্ট মিলে যায় পুলিশ অফিসার পল ক্যালোমেটিক্সের সাথে। তাহলে খুন হওয়া জেসিকা কার ঔরসজাত সন্তান? প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভন? নাকি পুলিশ অফিসার পল ক্যালোমেটিক্সের? হেনরি বিনস রাত তিনটার পর জেসিকার বাড়ি থেকে বের হতে দেখলো প্রেসিডেন্টকে। সে রাতেই খুন হলো জেসিকা। তাহলে কি জেসিকা প্রেসিডেন্টের হাতে খুন হয় নি? প্রেসিডেন্টইবা এতে রাতে জেসিকার বাড়িতে কি করেছিল? জেসিকাকে তাহলে কে খুন করলো? প্রেসিডেন্ট পুত্র আবার এর সাথে জড়িত নাতো? এরকম হাজারো থৃলে ভরপুর সালমান হকের অনুবাদ করা থ্রি এএম বইটি। রোলারকোস্টার গতির টুইস্টে সমৃদ্ধ এই থৃলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রেখেছিল আমাকে। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। যারা থৃলার রাজ্যে আবারো একবার অবগাহন করতে চান বুক ধড়ফর করা অচিনপুরীতে, তাদেরকে স্বাগতম। পড়তে পারেন থ্রি এএম। হেনরি বিনসের চরিত্রটিও ছিল অসম্ভব আকর্ষণীয় ও ব্যতিক্রমধর্মী। বইয়ের প্রচ্ছদটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। কাগজের মান ছিল মোটামুটি গোছের। বানান ভুল ছিল নামমাত্র। তবে বরাবরের মতো বাঁধাইয়ের ব্যাপারে উদাসীন ছিল বাতিঘর। তবুও ধন্যবাদ বাতিঘর প্রকাশনীকে চমৎকার একটা থৃলার বইপোকাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

love to read this book....

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন #বই_রিভিউ_০৮ #থ্রি এ এম #লেখক: নিক পিরোগ (অনুবাদ: সালমান হক) #বইয়ের_ধরণ: থ্রিলার, ডিটেকটিভ #প্রকাশনী: বাতিঘর #পৃষ্ঠা: ১০৯ #মুদ্রিত_মূল্য: ১৩০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৭.৫/১০ . . বইটার নামটাই খুব অদ্ভুত তাইনা? হেনরি বিনস যার কিনা একটা অদ্ভুত রোগ আছে। সারাদিনে সে ২৩ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়, বাকি ১ ঘন্টা জেগে থাকে। সেই এক ঘন্টা হল রাত ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থেকেই সে মারাত্মক একটা মার্ডার মিস্ট্রির সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং সবথেকে চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে সে সেই মিস্ট্রিটা সলভ ও করে ফেলে! . . এক রাতে সে তার পাশের ফ্ল্যাট থেকে এক তরুনীর চিৎকার শুনতে পায়। সাথে সাথে সেই তরুণীর ঘর থেকে সে বেরিয়ে যেতে দেখে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে! পরবর্তীতে দেখা যায় সেই তরুণী খুন হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই সবার সন্দেহ হয় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেই। কিন্তু আসলেই কি খুনটা প্রেসিডেন্ট ই করেছিল? . . আকারে ক্ষুদ্র হলেও হেনরি বিনসের হাস্যকর ক্যারেক্টারটি এই অনবদ্য থ্রিলারটিকে দিয়েছে প্রাঞ্জলতা। প্রতিটি পরিচ্ছেদেই ছিল টান টান উত্তেজনা। এখন ঘড়িতে রাত তিনটা। থ্রি এ এম এ 'থ্রি এ এম' পড়াটা আসলেই একটু অন্যরকম। নিজেকে হেনরি বিনস মনে হয়। :p . . বাতিঘরের বই নিয়ে আর কি বলব। পেজ, প্রিন্ট ছিল ঝকঝকে তবে বরাবর এর মতই বানান ভুলের ও অভাব নেই। সব মিলিয়ে বইটি উপভোগ্য। . #হ্যাপী_রিডিং

#বই_পর্যালোচনা নাম : থ্রি এ এম (3:00 AM) লেখক : নিক পিরোগ অনুবাদ : সালমান হক। প্রচ্ছদ : ডিলান (কাহিনী এবং নামের সাথে একদম খাইখাই একটা প্রচ্ছদ) *নিক পিরোগ আমেরিকান ঔপন্যাসিক। থ্রি এ এম তার ব্যতিক্রম একটি রচনা। *সালমান হক বর্তমানে ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত। নিক পিরোগের থ্রি এ এম তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। *হেনরি বিনস। প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় তার জন্যে শুধু একঘণ্টা বরাদ্দ। এই একঘণ্টা তিনি জেগে থাকেন। মাত্র ষাট মিনিট। তিনি বিনস নামক রোগে আক্রান্ত। এক-দুই মিনিটে গোসল, পাঁচ-সাত মিনিট গেম অব থ্রোন্স দেখা। এই একঘণ্টার মধ্যে তিনি আবার প্রতিদিন বাইরেও বের হন। হেনরির জীবনে রাত তিনটা থেকে চারটা আলো, উজ্জ্বল হলেও পৃথিবী তখন চুপচাপ, সাড়াশব্দহীন, অন্ধকার। এভাবেই তার জীবন চলছিল। হঠাৎ এক রাতে পাল্টেযায় সব কিছু। পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো ক্যালি ফ্রেইগ নামের এক মহিলা প্রতিবেশীর আর্তচিৎকার। হেনরি বিনস দেখল দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে সম্ভাব্য আক্রমণকারী। যে আততায়ী কোন সাধারণ লোক নয় স্বয়ং আমেরিকারর প্রেসিডেন্ট। হেনরি খুঁজে বের করতে চাইলে এই রহস্য। মেরিল্যান্ড এর ওয়েবসাইট থেকে ক্যালি ফ্রেইগ নামের দুজন হারিয়ে যাওয়া মানুষের ছবি খুঁজে পায়। দম বন্ধ হয়ে আসা একের পর এক সুত্র ধরে অসম্ভব এই কাজে হেনরি এগিয়ে চলে। একসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হন। তারপর........ তারপর জানতে পড়ুন নিক পিরোগের থ্রি এ এম (3:00 AM) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোলারকোস্টার গতির এবং টুইস্টে ভরপুর এই থ্রিলারটি আপনাকে জমিয়ে রাখবে অপরিমিত ঘোরে।

বই - থ্রি এ এম (3:00 AM) লেখক - নিক পিরোগ অনুবাদক - সালমান হক ঘরানা - রহস্য উপন্যাস প্রকাশনী - বাতিঘর প্রচ্ছদ শিল্পী - ডিলান পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১১০ মুদ্রিত মূল্য - ১৩০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপ: নিক পিরোগ লেখা থ্রিলার ধর্মী বইয়ের 3:00 এ. এম. এ সিরিজের প্রথম বই। থৃলার প্রিয় পাঠক মানেই থ্রি এ এম সিরিজ এক ভালোবাসার নাম। গল্পের নায়ক হেনরি বিনস যিনি নিজে হেনরি বিনস রোগে আক্রান্ত। এটা এমন এক অদ্ভুত রোগ যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টা তার কাটে ঘুমের মধ্যে। তবে সেই এক ঘন্টা সময়েই হেনরি বিনসের জীবন কাটে আর পাঁচ জন সাধারন মানুষের নিত্য দিনের কর্মের মত। খাওয়া গোসল থেকে শুরু করে নিয়মিত শরীর চর্চা আর শেয়ার মার্কেটে নিজের ব্যবসার কাজও করে হেনরি। ৩ টা থেকে ৪ টা এই এক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই তার পুরোটা দিনের কর্ম সাধন করতে হয়। প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক ছিল তার জীবন কিন্তু হঠাৎ একদিন রাতের ঘটনা তার নিত্য দিনের রুটিনে আসল পরিবর্তন। পাশের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে জানালা দিয়ে তাকাতেই চোখাচোখি হয় এক লোকের সাথে। তবে সে লোক যে কোন সাধারন লোক নয় তিনি ছিলেন স্বংয় আমেরিকার প্রেসিডেন্টে কনর সুলিভান। খবর পাওয়া যায় চিৎকার দেওয়া মেয়েটি খুন হয়েছে আর সে খুনের দায় পরে হেনরির উপর কেননা পুরো বাড়িতে হেনরির হাতের ছাপ পাওয়া যায়। এদিকে প্রেসিডেন্টের নিজের মেয়ের খুনের দায় তার উপরই বা বর্তায় কী করে? ঘটনার জট পেকে যায় এখানেই। নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে উঠে পরে লাগে হেনরি কিন্তু মাত্র একঘন্টা যে জেগে থাকে সে কি পারবে তার নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে নাকি সত্যি সত্যিই প্রেসিডেন্ট খুন করেছে তার মেয়েকে? এ রহস্য জট খুলতে পাঠককে পড়তে হবে শ্বাসরুদ্ধ কর কাহিনী 3:00 AM নিজস্ব মতামত: নিক পিরোগ এর লেখা থ্রি এ এম এক রুদ্ধ শ্বাস কাহিনী। যা পাঠককে বইয়ের সাথে গ্লু এর মতো আটকে রাখতে বাধ্য করে। সালমান হক এর অনুবাদ বেশ সহজ সাবলীল ছিল। আগ্রহী পাঠক তাই দেরি না করে দ্রুত পড়ে নিতে পারে রোমাঞ্চকর এই সিরিজ।

One of the best book. Read it. And enjoy the adventure.

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ৩ বইঃ থ্রি এ এম লেখকঃ নিক পিরোগ অনুবাদঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা: ১১২ মুদ্রিত মূল্যঃ১৩০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপেঃ হেনরি বিনস এক অদ্ভুত চরিত্র- অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে । দিনে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে, বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায় ।প্রতিদিন হেনরির ঘুম ভাঙে রাত ৩ টায় এবং সে ৪ টা পর্যন্ত জেগে থাকে তার পরের বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, এপ্রিলের কোন এক রাতে যখন ও ঘুমাতে যাবে ঠিক তখনি শুনতে পায় তার পাসের বাড়ি থেকে এক মেয়ের আর্তচিৎকার এবং তার কিছুক্ষণ পরই দেখে সেই বাসা থেকে বের হয়ে আসছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কিছু করার আগেই তাকে ঘুমিয়ে পরতে হয় তার রোগের কারনে! পরবর্তী দিনগুলোতে হেনরি নিজেই কিভাবে সমাধান করে এই খুনের তাই এই নভেলার মূল আকর্ষন বলে মনে হয়েছে আমার। দিনে যে মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে সে খুঁজে বের করতে চাইলো এই রহস্য । তার পক্ষে কি এই অসাধ্য কাজটা করা সম্ভব? রোলারকোস্টার গতির, টুইস্টে ভরপুর এই সিরিজটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে । পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ প্রতিটি নভেলাই দারুন গতিশীল আর মজাদার, সাসপেন্সের সাথে সাথে আছে হিউমার, টকের সাথে ঝালের কম্বিনেশনের মত। নিক পিরোগের সৃষ্টি কিছুটা অদ্ভুত ধরনের মেডিকেল কন্ডিশনে ভোগা নায়কের নাম হেনরি বিনস আর আর এই পুরো সিরিজটা হেনরি বিনস সিরিজ নামেই বেশ বিখ্যাত, আমি এখন পর্যন্ত ৫ টি অনুবাদ হাতে পেয়েছি – অনুবাদক সালমান হক অসাধারণ কাজ করেছেন, খুবই সাবলীল এবং সুখপাঠ্য অনুবাদ বলতেই হবে! যাইহোক হেনরি বিনস ২৪ ঘন্টার দিনে শুধু ১ ঘন্টা জেগে থাকে আর বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমায়, এই অদ্ভুত ধরনের মেডিকেল কন্ডিশন যেহেতু তারই প্রথম তাই তার নামানুসারে এই কন্ডিশনের নাম ও ” হেনরি বিনস” তাই সে শুরুতেই বলে আমি হেনরি বিনস এবং আমার হেনরি বিনস আছে। হেনরির একটা পোষা বেড়াল আছে যার নাম ল্যাসি এবং সে খুব স্বাছন্দে তার সাথে কথা বলে! সবশেষে আমি খুব উপভোগ করেছি এই ছোট্ট উপন্যাস সমৃদ্ধ সিরিজ, যতটুকু জানতে পারলাম লেখক আরো দুটি উপন্যাস লিখবেন এই সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম!

৩ রাতে বইটা পড়ে শেষ করেছি। আমার থ্রিলার ধরণের বই খুব একটা পড়া হয়নি, তাই বলবো এই বইটা আমার পড়া সেরা থ্রিলার বই। বেশি কিছু না লিখে শুধু বইয়ের পেছনের লেখাগুলোই যদি শুধু তুলে ধরি তাহলেই সবাই বুঝতে পারবেন বইটা কতটা আকর্ষণ করবে পাঠক সমাজকে। হেনরি বিনস এক অদ্ভুত চরিত্র- অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে। দিনে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে,বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায়। এভাবেই চলছিল তার জীবন। র্নিঝঞ্ঝাট,নিরিবিলি। কিন্তু একরাতে পালটে যায় সবকিছু। পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো এক মহিলার আর্তচিৎকার। সে দেখে দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে সম্ভাব্য আততায়ি। সে আততায়ি কোনো সাধারণ লোক নয়, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! দিনে যে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে সে খুঁজে বের করতে চাইলো এই রহস্য। তার পক্ষে কি এই অসাধ্য কাজটা করা সম্ভব? রোলারকোস্টার গতির, টুইস্টে ভরপুর এই থ্রিলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে।

ভালো লাগলো।

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ৮ বই :থ্রি এ এম (3:00 AM) লেখক :নিক পিরোগ অনুবাদক :সালমান হক জনরা : রহস্য উপন্যাসিকা প্রকাশনী:বাতিঘর প্রচ্ছদ :ডিলান পৃষ্ঠা সংখ্যা :১১০ মুদ্রিত মূল্য :১৩০ টাকা। . ভূমিকা: হেনরি বিনস সিরিজের প্রথম বই হচ্ছে এই থ্রি এম বইটি। এই সিরিজের অনেক প্রশংসা শুনেই সিরিজের সবগুলো বই সংগ্রহ করি। না পড়লে বুঝতেই পারতাম না কত দারুণ এই সিরিজের বইগুলো। আমেরিকান লেখক নিক পিরোগের এই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন সালমান হক। আজ আলোচনা করবো সিরিজের প্রথম বইটি নিয়ে। . লেখক পরিচিতি: আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে পড়াশুনা করেছেন তিনি। বেস্টসেলার ১১ থ্রিলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। হেনরি বিনস তার সৃষ্টি ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। বর্তমানে তিনি আমেরিকার সান ডিয়েগোতে বসবাস করছেন। . অনুবাদক পরিচিতি: সালমান হকের পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জ। তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এবং রাজউক কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করছে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বইপোকা। নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজের থ্রি এম তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। . কাহিনী সংক্ষেপ : হেনরি বিনস নামক একজন লোকের অদ্ভুত একটা রোগ আছে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে জেগে থাকে কেবল এক ঘণ্টা। রাত তিনটা থেকে চারটা, এই সময়টুকুর মধ্যে তার সব কাজকর্ম করতে হয়। পৃথিবীতে তারই প্রথম এই রোগটি দেখা দেয়। আর সেজন্যই তার নামানুসারে রোগটির নাম হয় "হেনরি বিনস" । অর্থাৎ হেনরি বিনসের হেনরি বিনস আছে । অদ্ভুত না ব্যাপারটা? হেনরির ছয় বছর বয়সের সময় তার মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার বাবা ও হেনরি দুজন আলাদা জায়গায় থাকলেও তার বাবা সন্তানের প্রতি বেশ যত্নবান৷ ওই রাত তিনটা থেকে চারটার মধ্যে হেনরিকে খাওয়া, ঘুম, গোসল, ব্যবসাসহ যাবতীয় সবকিছু সামলাতে হয়। তবে সে বেশ চঞ্চল এবং চতুর প্রকৃতির লোক৷ এই এক ঘণ্টাতে সে এতকিছু করে যা কি না অন্যসব সাধারণ লোকেরাও হয়তোবা করতে গিয়ে হিমশিম খাবে । সে তার প্রিয় 'গেম অফ থ্রোন্স' খেলাও বাদ দেয় না এই স্বল্প সময়ের মধ্যে । একদিন হুট করেই সে একটি মহিলার চিৎকারের আওয়াজ পায়। পাশের বাড়ি থেকে আসা চিৎকারটাকে লক্ষ্য করে সে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পায় যে, চিৎকার আসা বাসা থেকে বের হয়ে আসছে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পরদিন রাত তিনটায় আবার সে যখন জেগে উঠলো, সে ঘটনাটি ভুললো না । সে ওই মহিরার খোঁজে ওই বাড়িতে গেল । কিন্তু সেখানে গিয়ে তো সে অবাক। তার প্রতিবেশী ক্যালি ফ্রেইগ মরে পড়ে আছে । এই খুনের জন্য দায়ী করা হয় হেনরি বিনসে আক্রান্ত হেনরি বিনসকে । এই খুনের তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ইন্সপেক্টর ইনগ্রিড এবং ক্যাল। একজন সাধারণ মহিলার খুনের সাথে প্রেসিডেন্ট জড়িয়ে আছে বলেই ধারণা হেনরি বিনসের। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় ফেঁসে যায় সে নিজে। তাকে গ্রেফতার করা হয়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তেইশ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকা হেনরি বিনস কী করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে! আর বলবো না । তবে স্পয়লার হয়ে যাবে। . পাঠ প্রতিক্রিয়া : আমেরিকান লেখক নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজের এই বইটি অনুবাদ করেছেন সালমান হক৷ অনুবাদের ভাষা বেশ সাবলীল। বইটা পড়ার প্রথম থেকেই টানটান একটা উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। সবচেয়ে অদ্ভুত হচ্ছে একজন মানুষ এক ঘণ্টা সমযে কী করে নিজের সবকিছু সামলায়? আবার তেইশ ঘণ্টাই বা ঘুমিয়ে থাকে কী করে? এমন জঞ্জালপূর্ণ জীবনে যদি আবার মার্ডার কেসের আসামী হওয়া যায়, তবে মুক্তির কি আর কোন উপায় থাকে? চমৎকার এই বইটি পড়ে মুহুর্তে মুহুর্তে থ্রিল অনুভব করেছি আমি। অসাধারণ একটি বই। একদম টেনে ধরে রেখেছিল আমাকে । ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৯৯ । এর কম দিলে বইটির সাথে অবিচার করা হবে। . রিভিউ লেখক : তানজিনা তানিয়া

বই : 3:am মূল : নিক পিরোগ। রূপান্তর : সালমান হক। মূল্য : ১৩০ টাকা। প্রচ্ছদ : ডিলান। প্রকাশনী : বাতিঘর। #কাহিনী_সংক্ষেপ ৩৬ বছর বয়সী হেনরি বিনসের হেনরি বিনস আছে। সে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়। জেগে উঠে রাত ৩টায়। আবার ঠিক একঘণ্টা পরে আপনা আপনিই ঘুমিয়ে যায়। ডাক্তারদের মতে, পুরো পৃথিবীতে মাত্র তিনজন মানুষ আছে যারা হেনরির মত একই মেডিকাল কন্ডিশনের ভুক্তভোগী। মেডিকেল কন্ডিশন কারণ এটা কোনো রোগ নয়, কোনো অসুস্থতা নয় শুধুই একটা মেডিকেল কন্ডিশন। এর নামকরণ করা হয়েছে হেনরি বিনস কারণ সবার প্রথমে ওর ব্যাপারটাই নজরে আসে। হেনরির জীবন কাটে একটা নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক। সব কিছু গোছানোই থাকে। সে প্রায় প্রতিদিন রাতে ঠিক ৩.১ কি ৩.২ ঘুম থেকে জেগে উঠে। তারপর চলে যায় রান্নাঘরে। ফ্রিজ খুলে স্যান্ডউইচ আর পিনাট বাটার প্রোটিন শেক খেতে খেতে তার প্রিয় প্রোগ্রাম গেম অব থ্রোন্স দেখে। তার মেক্সিকান মেইড, ইসাবেল খাবার বানানো থেকে শুরু করে ঘরদোর ঝাড় দেয়া মোছা ও অন্যান্য সব কাজ করে রেখে যায়। ওভাবেই চুক্তি করা আছে। তারপর হেনরি বিনস শেয়ার বাজারে তার স্টকগুলো চেক করে। বাবার ফোনের উত্তর দেয়। এরসব কাজ সেরে সে বাইরে দৌড়াতে যায়। চার মাইল দৌড়ে সে বাড়ি ফিরে তিন চার মমিনিটের গোসল দেয়। মুরগির মাংস দিয়ে বানানো সালাদ, আপেল চকলেট চিপস দুধ নিয়ে বসে বই পড়তে থাকে। খেয়ে নিয়ে ঠিক ৩.৫৯ এ বিনায় উঠে যায়। কিন্তু ১৮ এপ্রিল এই সময় সে একটা চিৎকার শুনতে পায়। তড়াক করে উঠে সোজা জানালার দিকে দৌড়ে যায়। যদিও এ সময় ওর বিছায়ায় থাকা উচিত, কারণ যে কোনো সময় ও ঘুমিয়ে পড়বে। কিন্তু জানালার কাছে পৌঁছে ও যা দেখে তাতে ওইখানেই জমে যায়। স্ট্রিটলাইটের আলোয় ফোর্ড গাড়ির দরজা খুলে যে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল, সে আর কেউ না, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান! আর ঠিক তখনই অচেতন হয়ে পড়ে ঘুমে। পর দিন ঘুম থেকে জেগে হেনরি ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করলেও ব্যাপারটা কে পাত্তা দিল না। নিজের কিছু কাজ সেরে জগিং এর জন্যে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ফেরার পথে বাড়িস সামনে চাপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। আর হুট করেই গেট খুলে ঢুকে পরে পাশের বাড়িটাতে। যেখান থেকে গত রাতে চিৎকার শুনতে পেয়েছিল। এক দুর্নিবার আকর্ষণে হেনরি বিনস এগিয়ে যায় বাড়ির ভেতরে। সারা বাড়ি খুঁজে ও লাশ টা আবিষ্কার করে গাড়ির গেরেজে। আর পায় স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-ফোর মোবাইল। আরো খোঁজাখুঁজি করতে করতে আনমনে পকেটে রেখে দায় ফোনটা। ঐদিক চারটা প্রায় বাজে বাজে! বাড়ি ফেরাও সম্ভব নয়! ওর দৌড়ে কাপরের কাবার্ডে শুয়ে পড়ে। পর দিন জেগে উঠে কোমরে ব্যথা নিয়ে। ফিরে আসে নিজের বাসায়! ৯১১-এ কল করে জানায় "১৫৬১", সিকোমার স্ট্রিটের বাড়িতে একটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। টেলিফোন বুথ থেকে কল করে বাড়ি এসে দেখতে পায় গাড়ি ভর্তি পুলিশ বাড়িটার সামনে। কিন্তু বাড়ি ফিরেই ওর মনে হতে থাকে কোথাও একটা ভুল হয়ে গেছে! কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারেনা হেনরি বিনস। আর তখনি বেজে উঠে ওর পকেটে থাকা দ্বিতীয় মোবাইলটা। যাহ! যা ভুল হবার তা হয়ে গেছে। এখন আর কিছু করার নেই ওর। সুতরাং শুয়ে পড়ো! পরদিন দরজায় ধাক্কায় ঘুম ভাঙ্গের ওর। হোমিসাইড পুলিস কথা বলতে এসেছে। পুলিশ সন্দেশ করছে হেনরি বিনসকে যার আছে হেইনি বিনস! এখন ও এই বিপদ থেকে কিভাবে নিজে রক্ষা পাবে? যার জীবন দৈনিক একঘণ্টার সে কি ভাবে প্রামণ করবে যে সে নিরপরাধ ? মাত্র একঘন্টা সময়ে ও কিভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে? তাহলে কি খুনটা করছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট!? এ যে অসম্ভব! কারণ কাউকে খুন করতে চাইলে তার নিজের সশরীরে আসার কোনো প্রয়োজনই নেই। শুধু তার একটা ইশারাই যথেষ্ট! তাহলে খুনটা করলো? জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে নিক পিরোগ রচিত হেনরি বিনসের অদ্ভুত গল্প 3:00am. #পাঠপ্রতিক্রিয়া ছোট একটা নভেলা হলে কি হবে, লেখক অল্প পরিসরে অপূর্ব সুন্দর করে গল্পের ক্লাইম্যাক্স তৈরি করেছেন। গল্প বলার ধরণটা ছিল সাদামাটা । কিন্তু একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতেই পারবে না পাঠক। চুম্বকের মত তীব্র এর আকর্ষণ। গল্পটা আমার আগেও পড়া ছিল, তবুও আমার একবারো মনে হয়নি পরের পাতার কাহিনী আমি জানি! থ্রি এএম দুর্দান্ত সাসপেন্সে ঠাসা এক সুখপাঠ্য নভেলা। সুতরাং পাঠক চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। আমাকে যদি একটা বিশেষণে পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে বলতে হয়, আমি বলবো " দুর্দান্ত!" এবার আসি অনুবাদকের কাছে। ঝরঝরে আর সাবলীল অনুবাদ পড়তে মোটেই খারাপ লাগেনি। বরং দারুণ লেগেছে। এজন্য অনুবাদককে জানাই ধন্যবাদ । অনুবাদকের অনুবাদ পড়া এই প্রথম। আশা করি বাকিগুলাও দুর্দান্ত হবে।

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_২০১৮ বই আলোচনা: ১৩ বইয়ের নাম: থ্রি এএম লেখক: নিক পিরোগ। জনরা: থ্রিলার অনুবাদক: সালমান হক প্রকাশনা: বাতিঘর প্রকাশনী। প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পৃষ্ঠা সংখ্যা :১১০ মুদ্রিত মূল্য : ১৩০/- কাহিনী সংক্ষেপ: হেনরি বিনস এক চরিত্র-অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত। দিনে সে মাত্র এক ঘণ্টা জেগে থাকে। বাকি ২৩ ঘণ্টা ঘুনিয়ে কাটায়। এভাবেই চলছিল তার জীবন। নির্ঝঞ্ঝাট, নিরিবিলি। কিন্তু এক রাতে পাল্টে যায় সবকিছু। পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো এক মহিলার আর্তচিৎকার। সে দেখে দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে সম্ভাব্য এক আততায়ী। সে আততায়ী কোনো সাধারণ লোক নয়, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! দিনে যে মাত্র ১ঘণ্টা জেগে থাকে সে খুঁজে বের চাইল এই রহস্য। তার পক্ষে কি এই অসাধ্য কাজটা করা সম্ভব? রোলারকোস্টার গতিতে, টুইস্টে ভরপুর এই থ্রিলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে।

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃ ৩.০০ এম লেখকঃনিক পিরোগ।। অনুবাদঃসালমান হক প্রকাশনঃ বাতিঘর ধরনঃরহস্য,গোয়েন্দা, ভৌতিক ও থৃলার মুল্যঃ১৩০ টাকা আমি "হেনরি বিনস" আর আমার "হেনরি বিনস" আছে। " কথাটা শুনে পাগলের প্রলাপ বলে মনে হতে পারে। না, এটা কোন পাগলের প্রলাপ নয় বরং হেনরি বিনস একটা রোগের নাম। হেনরি বিনস নামক লোকটার এক অদ্ভুত ধরনের রোগ আছে। তার নামের অনুযায়ী রোগটার নামকরণ করা হয়েছে হেনরি বিনস কন্ডিশন।পৃথিবীতে যত লোক আছে তাদের মধ্যে কেউ দিনে পাচ ঘন্টা, কেউ ছয় ঘন্টা, কেউবা আট থেকে পনের ঘন্টা অবধিও ঘুমায়। কিন্তু হেনরি বিনস জেগে থাকে মাত্র এক ঘন্টা। দিনের চব্বিশ ঘন্টা সময়ের মধ্যে রাত্রি ৩.০০ টা থেকে ৪.০০ টা পর্যন্ত বাদে, বাকি তেইশ ঘন্টাই তার ঘুমানোর সময়। কীভাবে কাটে তার এই এক ঘন্টা?? হঠাৎ করেই একদিন ঘটে যায় এক রহস্যময় ঘটনা। পাশের বাসা হতে ভেসে আসে তরুণীর আত্নচিৎকার। হুড়মুড়িয়ে যতক্ষনে সে জানালার কাছে এসে দাঁড়ায়, ততক্ষণে সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য অবলোকন করে। পাশের বাসার মেয়েটিকে খুন করে পালিয়ে যায় স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজে! পালানোর সময় হেনরি বিনসের সাথে তার চোখাচোখি হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে খুনের দায় বর্তায় হেনরি বিনসের উপরে। সে কি পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নাকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রমাণের অভাবে পার পেয়ে যাবে?? সে কিভাবেই বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে, যেখানে তার হাতে দিনে মাত্র এক ঘন্টা সময় পাওয়া যায়। জানতে হলে পড়তে হবে অসাধারন এই বইটি।" পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ এই সিরিজের সবগুলোর মধ্যে এই বইটা অনেক ভালো লাগছে, প্রতি পৃষ্ঠায় মুখ ডুবিয়ে ছিলাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।।।

কোন কথা হবে নাহ ...... দুর্দান্ত

josss

#রবিজ_রকমারি_বই_রিভিউ প্রতি টি সেকেন্ড, প্রতি টি মিনিট মানুষ, প্রতি টি ঘণ্টা মানুষ উপভোগ করে কাটাতে চায়। কত কাজ কত কিছু করে একেকটা দিন বাস করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করেও কাটিয়ে দেয়। কিন্তু এমন একজন মানুষ এর কথা বলতে যাচ্ছি যার কাছে একটা দিনের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬০ টা মিনিট। তাও আবার দিন না, রাত তিন টা। ভাবা যায়? সেই যুবক এর নাম হেনরি বিনস। এক টা ঘণ্টাই যার ২৪ ঘণ্টার সমান। সেই এক ঘণ্টায় এই যুবক টি সারাদিনের যাবতীয় কাজ করে ফেলে অবসর ও কাটায়। ভাবা যায়? বাকি ২৩ ঘণ্টা যেই যুবক ঘুমিয়ে কাটায় তার জীবনেও নেমে আসে খুনের অভিযোগ! এরপর? হেনরি বিনস এমন একজন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যার নাম কেও চিন্তাতেও আনতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট অফ আমেরিকা কনর সুলিভান!!! এভাবেই প্রতি টি পাতায় পাতায় রহস্য ও অন্য রকম ভালো লাগায় ভরা এই বই টি থ্রিলার প্রিয় দের কাছে অবশ্যই আকর্ষণীয় হওয়ার কথা। এক ঘণ্টার হেনরি বিনস এর রাজ্যে ঘুরে আসা গেলে মন্দ কি? বই - থ্রি এ এম লেখক -নিক পিরোগ অনুবাদ -সালমান হক প্রকাশনী - বাতিঘর প্রকাশনী by আসাদুল্লাহ হিল গালিব

#রবিজ_রকমারি_বই_রিভিউ এমন যদি হয়, এমন এক রোগে আক্রান্ত হলেন যে সারাটা দিন আপনি গভীর নিদ্রায় মগ্ন কিন্তু ঠিক রাত তিনটায় মাত্র এক ঘণ্টার জন্য আপনার ঘুম ভাঙ্গে আপনার অনুভূতি কেমন হবে? প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিট আপনার জন্য মূল্যবান। হাস্যকর লাগছে তো? তবে ঘুরে আসুন নিক পিরোগের থি এ এম উপন্যাস থেকে। হেনরি বিনসের এক আশ্চর্য এক ঘণ্টার জগতে থ্রি এ এম আপনাকে স্বাগত জানাবে যেখানে প্রতি পাতায় পাতায় থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার এবং কৌতূহল। আশ্চর্য এক রোগে আক্রান্ত হেনরি বিনস কিভাবে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের মেয়ে জেসিকা রেনয়ের খুনের রহস্য উদ্ভাবন করে যেখানে খুনী খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান!!! প্রেসিডেন্ট!! আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই প্রেসিডেন্ট কিনা শেষ পর্যন্ত খুনী??? আসকেই কি কনর সুলিভান খুনী? না ষড়যন্ত্র এর শিকার? নাকি কলকাঠি নাড়ছে কাছের ই কেও? এইসব রহস্য উদঘাটন করতে চলে আসুন সেই রাত তিনটায় যখন হেনরি বিনস জেগে ওঠে এক ঘণ্টার জন্য।।। ব্যক্তিগত মতামত : বাতিঘরের অন্যান্য বই গুলোর মত এই বইটির প্রচ্ছদ ও আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে গল্পের ভেতরে কিন্তু এবার আমি অনুবাদক কে নেগেটিভ রিভিউ দিতে বাধ্য হচ্ছি, আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানিনা আমার অনুবাদ টা মানসম্মত লাগেনি। তরুণ অনুবাদক আরো গভীর শব্দের মিশেল দিতে পারতেন কিন্তু তিনি কিছু হালকা শব্দ ব্যবহার করে উপন্যাস টাকে কেমন যেন হালকা করে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে উপন্যাস টা আমার কাছে তেমন জমেনি, অনুবাদকের ব্যর্থতা না উপন্যাস টাই এমন তা বোধগম্য হয়নি। যেমন এমন কিছু বাক্য - যদি আমাদের কাছে এমন কোন ভিডিও ও থাকতো যেটাতে প্রেসিডেন্ট মেয়েটার গলা টিপে ধরেছে তাও নাকি আমরা তার বালটাও ছিড়তে পারতাম না।। এরকম শব্দের ব্যবহার পড়ার ইচ্ছে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।। বই টা কি সংগ্রহে রাখার মত? থ্রি এ এম সিরিজ ইদানিং কালের আলোচিত এক উপন্যাস, তার প্রথম বই এটি। আপনি হেনরি বিনসের এক ঘণ্টার সাক্ষী হতে চাইলে অবশ্যই সংগ্রহ করুন চমৎকার থ্রিলার টি। By: Muhammad Tanjim Farhat

বইটির কাহিনী ব্যতিক্রম অবশ্যই। অনুবাদ ভাল হয়েছে। তবে এটাকে থ্রিলার উপন্যাস না বলে ছোটগল্প বলা চলে। আর শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, শেষটা একদমই সাদামাটা। আর বইটা পড়া শুরু করে একটু গভীরে না যেতেই কাহিনী শেষ। থ্রিলার উপন্যাস এত অল্পতেই শেষ হয়ে গেলে মোটাও জমে না। তবে বইটা খারাপ তা বলবো না। রেটিং ২.৫/৫।

ভালো লেগেছে অনেক। ব্যতিক্রম ধর্মী বই।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই:- থ্রি এ এম লেখক:- নিক পিরোগ অনুবাদক:- সালমান হক রকমারি মূল্য:- ৯১ টাকা ঘরানা:- রহস্য, গোয়েন্দা ও থ্রিলার প্রকাশনী:- বাতিঘর পৃষ্ঠা:- ১২০ রেটিং- ৪/৫ বই এর প্রধান চরিত্র হেনরি বিনস্। তিনি অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত। দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে যিনি ২৩ ঘন্টা ঘুমায় এবং মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে। রাত ঠিক তিনটার সময় তার ঘুম ভাঙ্গে এবং ঠিক চারটায় ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি যেখানে যেই অবস্থাতেই থাকে সেখানে সেই অবস্থাতেই ঘমিয়ে পড়েন। এই রোগটি যে তার একটা আছে তা নয়। আরো দুইজনের আছে তবে তাদের এতোটা প্রবল নয়। তাই এই অদ্ভত রোগটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে হেনরি বিনস্। তার জেগে থাকার সময় রাত তিনটা থেকে চারটা তাই বইয়ের নাম হয়েছে থ্রি এএম। দিনের ২৩ ঘন্টা যিনি ঘুমিয়ে কাটান। তার দৈনন্দিন সব কাজ (ট্রকবাজারের খবর নেয়া, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ইত্যাদি।)তাকে সম্পন্ন করতে হয় ওই এক ঘন্টার মধ্যে। এই এক ঘন্টার মধ্যেই তিনি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। একদিন রাতে হটাৎ তার পাশের বাড়ী থেকে এক মেয়ের আর্তনাত শুনে কৌতূহলী হয়ে সে জানালা দিয়ে উকি দেয়। এবং দেখে সেই বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেদিন হেনরির ঘুমের সময় হয়ে গিয়েছিলো। তাই সেদিন আর যাওয়া হয় না মেয়েটিকে উদ্ধার করতে। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তিনি গেট ঘুলে ঢুকে পড়েন মেয়েটির বাসায়। তিনি জানেন "কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া অন্যের বাসায় প্রবেশ করা অন্যায়"। তবু তিনি প্রবেশ করলেন যদি মেয়েটিকে কোন ভাবে প্রাণে বেঁচে থাকে তাহলে তাকে উদ্ধার করার আশায়। বাসায় প্রবেশের পরে হেনরি যা দেখলেন তার জন্য তিনি তৈরি ছিলেন না। মেয়েটির লাশ পরে আছে গেরেজে। সেখানে গাড়ির নিচে হেনরি একটি মোবাইল ফোন পান নিজের পকেটে রেখে দেন মোবাইল ফোনটি। পরে আর যথাস্থানে রাখা হয় না ফোনটি। তার ঘুমের সময় হয়ে যাওয়াতে সেই বাড়ির আলমারি খুলে ভিতরে ডুকে ঘুমিয়ে পরেন। তার পকেটে রাখা ফোন এবং বাড়িময় তারর হাতের ছাপের জন্য আইনি জালে ফেসে যায় হ্যানরি বিনস্। তার হাতে দিনের একটি মাত্র ঘন্টা সময় এর মধ্যেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে তাকে। প্রেসিডেন্ট কি করতে এসেছিলেন এখানে?? কি করবেন এখন হ্যানরি বিনস্? কি করে নিজেকে মুক্ত করবেন সেই জাল থেকে??? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- চমৎকার একটা বই। বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় রয়েছে টান টান উত্তেজনা। প্রতিটি পৃষ্ঠায় মনে হয়েছে কি হবে এরপর, কি হবে এরপর??? গতরাতে পড়া শুরু করার পরে হুস করে ঘুম উধাও হয়ে গেলো চোখ থেকে। আমার বিশ্বাস আপনারাও পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। আমি বিড়াল একদমই পছন্দ করি না। বিড়ালকে এই বইয়ে যেমন ভাবে পোষমানানো হয়েছে তা একেবারেই কাল্পনিক। বিড়াল এতোটা ভদ্রপ্রানী হলে আমি সবার আগে বিড়াল পুষতাম। বিড়াল পছন্দ না করার পিছনে একটাই কারন "বিড়াল ঘর নষ্ট করে"। তবে হ্যানরি বিনস যেভাবে বিড়ালটা পেয় তা অযৌক্তিক বলেই মনে হয়। একজনের বিড়াল হুট করে তার কাছে চলে আসবে???? "ডিটেক্টিভ রে" এবং হ্যানরির বাবা এই দুজন কে বেশি ভালো লেগেছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট মানুষ হিসাবে ততটা খারাপ মনে হলো না। তবে একটু রহস্যে ঘেরা মানুষ তিনি। বাবা হিসেবে কতটা পার্ফেক্ট সে বিষয়েও প্রশ্ন আছে। আমার পড়া সেরা রহস্য গল্পের মধ্যে এই থ্রি এএম একটি। অনুবাদ আমি পড়ি না। সবসময় চেষ্টা করি মূলবই পড়ার। তবে এই বইটির অনুবাদ খারাপ ছিলো না। দুই একটি বানান ভুল আছে। তবে সেগুলা ভুল না বলে টাইপিং মিসটেকই বলা ভালো। এক কথায় অনুবাদকের অনুবাদ খারাপ লাগেনি। তবে এর থেকে কম আশা করেছিলাম। আশা অনুয়ায়ী অনুবাদ অনেক ভালো। প্রচ্ছদ এবং বাইন্ডিংও পার্ফেক্ট। ভাবছি অনুবাদ পড়ার অভ্যাস করবো। এই সিরিজের বাকি বইগুলো পড়বো এখন একে একে।

বই:থ্রি এ এম লেখক : নিক পিরোগ অনুবাদ: সালমান হক হেনরি বিনস,অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে। মাত্র ছয় বছর বয়সে মা ছাড়া জীবন শুরু করতে হয় তাকে এই রোগটির জন্য। খুবি অদ্ভুত এই রোগের কারনে দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র এক ঘণ্টা সে জেগে থাকে। সারা পৃথিবীতে মাত্র তার মত তিনজন হতভাগা আছে যার মধ্যে হেনরি বিনস ই প্রথম বলে এই রোগের নাম তার নামেই করা হয়েছে 'হেনরি বিনস'। বাবার কাছেই মানুষ হয়। প্রতিদিন ষাট মিনিট সময় এই প্রতিটি সেকেন্ড তার ছেলেকে মানুষ করার সবটুকু চেষ্টা তিনি করেছেন। সৃষ্টিকর্তা তার জেগে থাকতে না পারার অসুখটা পুষিয়ে দিয়েছেন তার মগজ অসম্ভব প্রখর ও গতিশীল। তার ষাট মিনিট কাটে গেম অফ থ্রোন্স,শেয়ার বাজার এর হিসাব নিকাশ কষে,বাইরে হেটে,ব্যায়াম, খাওয়া আর বাবার সাথে সপ্তাহের এক দিন তাস খেলে। অবশ্যই এই তিন হাযার ছয়শ সেকেন্ড এর প্রত্যেকটি সেকেন্ড এ কোনটা করবে সেটা ভাগ করা। এভাবেই জীবন কেটে যাচ্ছিল হেনরি বিনস এর সাচ্ছন্দে,নির্ঝঞ্জাট। কিন্তু একরাতে সব বদলে যায়। যেটুকু সময় দৌড়ের জন্যি বাধা সেটা শেষ করে গোসল করে কিছু খাবার মুখে নিয়ে গোগ্রাসে একটা চরম মার্ডার মিস্ট্রি পড়ছিল। একঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার দুইমিনিট আগেই উঠে বেডরুমে যাওয়ার সময়ই রাতের আাধার চিরে এক আর্তনাদ শুনতে পেল! জানালা এর কাছে দৌড়ে গিয়ে বাসার উলটো দিকের বাড়িতে দৃষ্টি রাখলো যদিও জানে যে এখন তার বিছানায় থাকা খুবি জরুরি নয়তো যেকোনো জায়গায় গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবু সে দাড়িয়ে রইলো।স্ট্রিট লাইটের আলোয় এক লোক কে বের হয়ে আাসতে দেখলো, লোকটা বাড়ির সামনে রাখা ফোর্ড ফোকাস টায় উঠতে যাওয়ার ঠিক আগের মুহুর্তে জানালার দিকে তাকালো, চোখাচোখি হলো তাদের। অতল ঘুমে ঢলে পড়ার আগে যার চোখজোড়া তার উপর সেটে রইলো সে আর কেও নয় সয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট!!! তার নিরিবিলি এই জীবনে রহস্যের শুরু সেখানেই। সে তার মাত্র তার এক ঘণ্টা জেগে থাকার সময়েই সে রহস্য ভেদ করতে চাইলো।সে রহস্য ভেদ করতে গিয়ে পরিচয় হয় এক বিড়াল এর সাথে যে পড়ে তার জীবনের অংশ হয়ে দারায়, ডিটেক্টটিভ দের ভুল বোঝায় কাটাতে হয় জেলে, সরাসরি কথা হয় প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান এর সাথে! এর সাথে জড়িত হতে পারে প্রেসিডেন্ট, তার ছেলে...... পেছনে পরেছে অজ্ঞাত কেউ যারা সবজায়গা এই ফলো করছে তাকে! কতখানি শক্তিশালী খুনি? সেকি পারবে তার এই দিনের মাত্র ষাট মিনিট সময়ে ধরতে খুনিকে?অসামান্য গতি আর টুইস্ট এ ভরপুর নিক পিরোগ এর এই থৃলারটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ঘোরের মধ্যে রাখবে পাঠক কে।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ থ্রি এ এম লেখকের নামঃ নিক পিরোগ অনুবাদঃ সালমান হক ঘরানারঃ থ্রিলার ব্যক্তিগত রেটিং:-৪.৫/৫ রিভিউঃ চরিত্রের নাম হেনরি বিনস। ভুগছেনও হেনরি বিনস নামক রোগে। কেমন আজব নাম হয়ে গেলো না! অসুখ টাও আজব। হেনরি বিনস দিনের ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে মাত্র! ভাবুন তো বিষয়টা, একজন মানুষের তিন বেলা খেতেই তো ১ ঘন্টা চলে যায় বলা চলে। আর বাকি কাজ তো পরেই রইলো! যাই হোক এরকম একজন অাজব ব্যক্তি নিয়ে এই গল্পের শুরু। রহস্য তো নাম থেকেই শুরু। থ্রি এ এম নাম কেন হলো? লোকটা রাত তিন টায় জেগে উঠে আর কাটায় কাটায় ৬০ মিনিট জেগে থাকে। তারপর আবারো ঘুমিয়ে যায়। এই মধ্যরাতে জেগে আবার মধ্যরাতেই ঘুম! এই লোকটা আর কিছুতে জড়াতে পরে বলে সম্ভব মনে হয়! কিন্তু এই অসম্ভব কাজটাই হলো। ১ ঘন্টা জেগে থাকা লোকটা জড়িয়ে গেলো এক মহিলার খুনের অভিযোগে। আরো আশ্চর্য জনক কথা হলো, এই খুনের সাথে জড়িয়ে আছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! হেনরি কি পারবে তার এই রোগ নিয়ে নিজেকে খুনের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে? লেখক পরিচিতিঃ নিক পিরোগ আমেরিকান ঔপন্যাসিক। তার রচিত ১১ টি থ্রিলার বেস্ট সেলার। পড়াশোনা করছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুবাদকের পরিচিতিঃ সালমান হকের প্রথম অনুবাদ থ্রি এ এম। এবং প্রথম অনুবাদেই তিনি বেশ ভালো করেছেন। সালমান হক পড়াশোনা করছেন ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে অনুজীববিজ্ঞান বিষয় নিয়ে। প্রকাশনীঃবাতিঘর পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ১১০ মূল্যঃ১৩০ প্রচ্ছদঃডিলান প্রথম প্রকাশঃ২০১৬ ব্যক্তিগত মতামতঃ ব্যক্তিগত অভিমত দিতে গেলে বলবো, "থ্রি এ এম" একটা অসাধারণ নভেলা বলা চলে। নভেলা (উপন্যাসিকা) যা উপন্যাস থেকে বেশ কিছুটা ছোট হয়, এতে সুবিধা হলো অল্পতে অনেক কিছু পাওয়া যায়। যেখানে এক্সট্রা মেদ থাকে না। এত ছোট বই হাতে নেওয়া মাত্র পড়ে ফেলা যায়। রহস্যময় চরিত্র, কর্মকান্ড এবং কাহিনীর গতি এতো বেশি তীব্রতর হওয়ায় চোখের দেখায় বইয়ে কোন ভুল চোখে পড়েই বলা যায়। বেশ ভালো করে লক্ষ করলে বাতিঘরের বানান ভুল যা বেশ সাধারণ এর সাথে কিছু ব্যকারণ গত সমস্যা রয়েছে। প্রচ্ছদ বেশ সুন্দর। আর হলো অনুবাদ। সালমান হক অনুবাদে বেশ পাকা হয়ে উঠেছেন। আর এই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষটার প্রথম অনুবাদটাও হয়েছিলো বেশ ঝরঝরে যা আপনাকে খুব তারাতারিই বইটা শেষ করতে সাহায্য করবে। এখন অব্দি যারা পড়েন নি, অতিসত্বর পড়ে ফেলুন। ও আচ্ছা আরেকটি কথা এটা কিন্তু সিরিজ ভিত্তিক বই। এই বইটা ছাড়াও আরো পাঁচটা গল্পের বই আছে। তো আরকি খুব তাড়াতাড়িই শুরু করে ফেলুন। রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/113845/থ্রি-এ-এম?ref=srbr_pg0_p1

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ বইয়ের নামঃ-থ্রি এ.এম লেখকঃ-নিক পিরোগ অনুবাদকের নামঃ-সালমান হক প্রকাশকঃ- বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ-১০৯ মূল্যঃ-১৩০ টাকা রকমারিতে ৪০% কম। ঘরানাঃ-থৃলার হেনরি বিনস একটি অদ্ভুত চরিত্র যা লেখক এই গল্পে ফুটিয়ে তুলেছে, সে একটা রোগে ভুগছে যা ঠিক তার মতোই অদ্ভুত। ৩৬ বছর বয়সী তরুণ কখনওই সূর্যের আলো দেখেনি কারন সে মাত্র এক ঘণ্টা জেগে থাকে তাও রাতে। তার কাছে প্রতিটি মুহুর্তের মূল্য অনেক। কারন সে আট-দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক না,সবার মত অফুরন্ত সময় তার কাছে নেই। একরাতে সে দেখে তার প্রতিবেশী একজন খুন হয়েছে। শুরু হল গল্পের টুইস্ট তার হাতে সময় মাত্র একঘণ্টা তাও দেখেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে খুন করতে কিন্তু কি করে সে তা প্রমাণ করবে? ভারী শক্ত কাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা তিনি পেরেছে আসলে কে সত্যিকার খুনি। গল্পের পরতে পরতে,প্রতিটি পৃষ্ঠায় রয়েছে.... অজানা রহস্য,ভয়, শ্বাসরুদ্ধকর ভালোলাগা। কখনো আপনার মনে হবে খুন করেছে প্রেসিডেন্ট, কখনো বা তার ছেলে, কখনো মেয়েটির মা নিজেই আবার কখনো আপনার মনে হতে পারে এই অদ্ভুত চরিত্রের মানুষ হেনরী বিনস। এক এক পৃষ্ঠা পরবেন আর গল্পের নতুন নতুন মোড়ে উপনীত হবেন। ব্যক্তিগত অভিমতঃ- অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করতে থাকে আমি যখন বই টি পড়ি। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি একটু আধটু জিরিয়ে চার ঘন্টা লেগেছে আমার পড়তে। মাঝেমধ্যে দম বন্ধ হবারও উপক্রম হয়েছে, মাথায় চিন্তারা গিজগিজ করছিল আসলে প্রকৃত খুনিকে দেখার জন্য, উদগ্রীব হয়ে পড়েছি আর হাসিও পেয়েছে হেনরীর বিচিত্র জীবন-যাপন। আবার আক্ষেপ লেগেছে মাত্র একঘণ্টা সময় পেয়ে সে কতশত রাজ্যর কাজ করে....... একান্তই নিজের মতামত এখন থেকে প্রতিটি মিনিট আমিও ভাল কাজে ব্যাবহার করবো, সারাদিন কত সময় নষ্ট করি! ...... #হ্যাপি_রিডিং

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম ঃ থ্রি এ এম মূলঃ নিক পিরোগ অনুবাদ ঃ সালমান হক পৃষ্ঠাসংখ্যা ঃ ১১০ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী মূল্যঃ ১৩০ টাকা রকমারি মূল্যঃ ৯১ টাকা মাত্র। ---" আমি "হেনরি বিনস" আর আমার "হেনরি বিনস" আছে। " কথাটা শুনে পাগলের প্রলাপ বলে মনে হতে পারে। না, এটা কোন পাগলের প্রলাপ নয় বরং হেনরি বিনস একটা রোগের নাম। হেনরি বিনস নামক লোকটার এক অদ্ভুত ধরনের রোগ আছে। তার নামের অনুযায়ী রোগটার নামকরণ করা হয়েছে হেনরি বিনস কন্ডিশন।পৃথিবীতে যত লোক আছে তাদের মধ্যে কেউ দিনে পাচ ঘন্টা, কেউ ছয় ঘন্টা, কেউবা আট থেকে পনের ঘন্টা অবধিও ঘুমায়। কিন্তু হেনরি বিনস জেগে থাকে মাত্র এক ঘন্টা। দিনের চব্বিশ ঘন্টা সময়ের মধ্যে রাত্রি ৩.০০ টা থেকে ৪.০০ টা পর্যন্ত বাদে, বাকি তেইশ ঘন্টাই তার ঘুমানোর সময়। প্রত্যহ কেমন কাটে তার জেগে থাকা এই এক ঘন্টা?? হঠাৎ করেই একদিন ঘটে যায় এক রহস্যময় ঘটনা। পাশের বাসা হতে ভেসে আসে তরুণীর আত্নচিৎকার। হুড়মুড়িয়ে যতক্ষনে সে জানালার কাছে এসে দাঁড়ায়, ততক্ষণে সে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য অবলোকন করে। পাশের বাসার মেয়েটিকে খুন করে পালিয়ে যায় স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজে! পালানোর সময় হেনরি বিনসের সাথে তার চোখাচোখি হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে খুনের দায় বর্তায় হেনরি বিনসের উপরে। সে কি পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নাকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রমাণের অভাবে পার পেয়ে যাবে?? সে কিভাবেই বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে, যেখানে তার হাতে দিনে মাত্র এক ঘন্টা সময় পাওয়া যায়। জানতে হলে পড়তে হবে অসাধারন এই বইটি।" নিক পিরোগ "-এর লেখা " 3.00 AM " বইটির বাতিঘর প্রকাশনীর ব্যানারে অনুবাদ করেছেন সালমান হক। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটির শুরু কেমন দেখতে বসেছিলাম, এরপরেরটুকু কেবল ইতিহাস। শেষ না করে আর উঠতেই পারিনি। কাহিনী প্লট ব্যতিক্রমধর্মী । চমৎকার কিছু সময় কাটাতে চাইলে পড়ে নিতে পারেন অসাধারণ এই থ্রিলার বইটি..... বইয়ের রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/113845/%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%ae

3 : 00 AM by Nick Pirog অনুবাদ : Salman Haque গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হেনরী বিনস স্যান ডিয়াগোতে বাস করে। তার একটি অদ্ভুত স্নায়বিক ডিজঅর্ডার রয়েছে বলে সে ২৪ ঘন্টার মাঝে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকতে পারে। সেই ১ ঘন্টার মাঝেই সে তার প্রাত্যহিক কাজকর্মগুলো সেরে নেয়। এক রাতে সে ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখনই সে পাশের এপার্টমেন্ট থেকে কোন মেয়ের আর্তচিতকার শুনতে পায়। মূলত এই অংশ থেকেই কাহিনী শুরু। পুরো বইটি ছিলো রোলার কোস্টার গতির, এজন্য কিছুটা বিরক্তিকর মনে হয়েছে। প্লট: হেনরি বিনস একরাতে ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখন পাশের এক এপার্টমেন্ট থেকে মেয়েলি গলার চিৎকার শুনে সে তাকালে দেখতে পায় আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান চোরের মতো পালিয়ে যাচ্ছেন। তার মনে ধারণা বদ্ধমূল হয় যে কনর সুলিভান কোন মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছেন। তখন সে মনস্থির করে যে করে হোক হত্যাকান্ডটির সমাধান সে করবে। সমাধান করতে করতেই উন্মোচিত হয় প্রেশিডেন্টের পরিবারের এক ভয়ানক কেলেঙ্কারি। বইয়ের প্লট খুবই ভালো। এধরণের প্লট থ্রিলার সাহিত্যে একেবারেই নতুন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় ফালতু মনে হয়েছে। লেখার প্রতিটি অংশে ডিটেলস কম। বইয়ের মাঝখানে উল্লেখ করা হয়েছে হেনরির সাথে এক নার্সের রিলেশনের কথা, কিন্তু শেষের পাতায় দেখা গেল হেনরি ডিটেকটেড রে-র সাথে শারীরিক মিলনে ব্যাস্ত। এটা কিভাবে সম্ভব হলো তা আমার বোধগোম্য নয়। প্লট রেটিং : ৪/৫ লেখনীর রেটিং : ১.৫/৫

এটা আমার পড়া প্রথম বিদেশী বই এর বাংলা অনুবাদ ছিলো... এক কথায় বলতে গেল বইয়ের গল্প অসাধারণ এবং সেই সাথে বাংলা অনুবাদ ও ছিলো সহজ ও সাবলীল, পড়তে বা কোথাউ বুঝতে কোনরকম অসুবিধা হয়নি।

বইটা পুরা ???, বলার কোনো ভাষা নেই ?।বইয়ের কোয়ালিটি ❤️ ভালো। থ্রিলারটির কাহিনি পুরা আগুন ?,। আমি ১ দিনেই পড়ে শেষ করলাম, একবার পড়া শুরু করে আর থামাতে পারলাম না, তাই একেবারেই পড়ে ফেললাম। কাহিনী টা ? ????।বইটা পড়ে নিক পিরোগ এর ভক্ত হয়ে গেলাম, থ্রিলারের কাহিনীটা বানাইছে পুরা ??। Thanks Rokomari.. ❤️

খুবই ভালো মানের একটি বই ছিলো, অনুবাদও যথেষ্ট ভালো। থ্রিলার লাভারদের জন্য বেস্ট বই

The book is good for thriller lovers. It's main character have some kind of disease. The disease is that he sleeps for the whole day except an hour. And that time is between 3 AM to 4 AM. Was it a disease or not? You will find out by reading it. it's full of twists and mysteries.

Gooood..

It's one of the most amazing thriller that I have ever read. The translation was very smooth and I didn't face any trouble. So, I think that every thriller lover should definitely try this book.

'হেনরী বিনস' সিরিজের সবকয়টি বই পড়েছি - থ্রিলার প্রেমীদের জন্যে অসাধারণ একটি সিরিজ উপহার দিয়েছেন লিখক 'নিক পিরোগ'। ***কিন্তু বইটির বাংলা অনুবাদক 'সালমান হক' সম্পূর্ণ সিরিজটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রের নাম এবং অবস্থান ভুলসহ এলোমেলো করে রেখেছে। অন্যদিকে অনুবাদের ভাষাগত দুর্বলতার কারণে অনেক জায়গায় লেখার মাধুর্যতা হারিয়েছে।

আমার পড়া সেরা বই গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বই এইটা ।

এই কোয়ারেন্টাইনে নিগ পিরোগের বইয়ের সাথে ভালো সময় কাটল। অসাধারণ একটি বই।

An interesting book,I have completed the book only in a day....

নিক পিরোগের লেখা কোনো বই আগে পড়িনি। তাই তার বই কিনার ব্যাপারে বেশ দ্বিধা-দন্দে ভুগছিলাম। তবে জ্ঞানী গুনীজনরা বলেন বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। তাই এই সিরিজের প্রথম দুটো বই কিনলাম। তো প্রথমেই পড়তে বসলাম থ্রি এ এম। আর যেই না পড়তে শুরু করলাম,অমনি মনের ভিতরে একটা অশান্তির সৃষ্টি হলো। আর সেটা হচ্ছে কৌতূহল জনিত অশান্তি। যেটা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে পুরো কাহিনীটা পড়ে শেষ করে ফেলা। বলাই বাহুল্য সেটাই করলাম। সত্যি বলতে নিক পিরোগের লেখা কাহিনি আর সালমান হকের অনুবাদ মিলেমিশে যেনো জমে ক্ষীর হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত যেই পড়বে,তারই ভালো লাগবে নিক পিরোগের হেনরি বিনসকে। আমি কখনোই কোনো বইয়ের স্পয়লার দেই না। এখানেও তার ব্যাতিক্রম হবে না। যে কোনো পাঠকের ভিতর কৌতূহলটা সম্পুর্ন মাত্রায় থাকুক সেটাই আমি চাই। তবে আমার কাছে কাহিনিটা অসাধারণ লেগেছে। এর বেশি কিছুই বলতে পারবো না। রেটিং: ৫ এর ভিতরে ৪

হেনরি বিনস যিনি একজন বিরল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। যিনি দিন-রাত মিলিয়ে 23 ঘন্টাই ঘুমায় কাটান, তিনি সেটা ইচ্ছে করেই করেন না বাধ্য হয়েই ঘুমাতে হয় তিনি ঘুমিয়ে, আর যে 1 ঘণ্টা তিনি জেগে থাকেন সেটা হলো রাত 03:00 থেকে 04:00 টা পর্যন্ত । এই 1 ঘন্টার মধ্যেই তিনি একটি খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হন এবং পরে সন্দেহভাজন হয়ে গ্রেপ্তার হন। এবং তিনি প্রতিদিনের এই 1 ঘন্টার মধ্যেই সেই খুনের রহস্য উন্মোচন ও খুনিকে প্রমাণ করেন।

ফালতু বই

One of the best thriller book I've ever read!!! So many twist in the story...

Such a wonderful novel! It was my first novel which is written by a foreigner writer. And the translation is excellent. Thank you so much Rokomari.

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হেনরি বিনস অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত। দিনে তেইশ ঘন্টা সে ঘুমিয়ে কাটায়। রাত তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত মাত্র একঘন্টা জেগে থাকে সে। হেনরিকে অতটুকু সময়ের মাঝেই খাওয়া, গোসল, শেয়ারের বিজনেস এমনকি বাইরে যাওয়ার মত নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারতে হয়। সে এরকম কেসের প্রথম রোগী, তাই তার নামানুসারে রোগের নামই "হেনরি বিনস"। হেনরির আক্ষেপ বোঝা যায় এই বাক্যে — "আমি হেনরি বিনস আর আমার হেনরি বিনস আছে- বাহ!” _______ হেনরির সেই একঘেয়ে জীবনে আচমকা মোড় এনে দিল পাশের বাড়িতে ঘটে যাওয়া খুন। খুনের সন্দেহভাজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যার একমাত্র সাক্ষী হেনরি বিনস! রহস্য সমাধানে হেনরির হাতে সময় দিনে মাত্র একঘন্টা। থ্রিলারধর্মী উপন্যাসটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে কেউ উঠতেই পারবে না।

থ্রি এএম। এটি এই হেনরী বিনস্ সিরিজের প্রথম বই। খুবই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ একটি উপন্যাস। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো হেনরী বিনসের অসুখ। সে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে ২৪ ঘন্টায়। ঠিক ৩:০০ থেকে ৪:০০ এএম পর্যন্ত। রিভিউর মাধ্যমে জেনে গেলে পড়ার এক্সাইটমেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্তত গল্প আর উপন্যাসের বেলায় খুব বেশি প্রযোজ্য তা। তবুও একটু বলতেই হয়। এটা মূলত একটি খুনের রহস্য উদঘাটন নিয়ে। হেনরী বিনসের প্রতিবেশি খুন হয়ে যায় এক রাতে। আর হেনরী তার সে প্রতিবেশিকে চিনেও না। কারন সে জেগে থাকে মাত্র এক ঘন্টা। বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ রক্ষা যেজন্যে দুঃসাধ্য। তার উপর প্রেসিডেন্ট এর মোবাইল ফোন হেনরির কাছে। যেটা সে পেয়েছিল মার্ডার স্পট থেকে অর্থাৎ তার প্রতিবেশির বাসা থেকে খুনের রাতে! যে বিষয়টা গল্পটাকে বেশ রহস্যময় বানিয়ে ফেলে। বাকিটা জানতে হলে পড়ে ফেলতে হবে থ্রিএএম বইটা। আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। একেবারে অন্যরকম কেটাগরির গল্প-ভাবনা। অনুবাদক খুবই সাবলীল ভাবে অনুবাদ করেছে। যা কিনা গল্পটাকে অনুভব করতে বেশি সহায়তা করেছে।

বাংলা অনুবাদটা অনেক সাদা সিদা ভাষায় হলেও উপন্যাসটার ধরণ,কাহিনি লেখার স্টাইলের জন্য যেকোনো মানুষের মন জয় করতে সক্ষম।। দুর্দান্ত একটা উপ্পনাস।।

সাহিত্য বিচারে কতটা সফল জানি না, জানার যোগ্যতাও নেই আমার, তবে বেশ সুখপাঠ্য। টান টান উত্তেজনা রয়েছে, নতুনত্ব রয়েছে। আর আছে অপ্রত্যাশিত কিছু মোড়, যা পুরো গল্পটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। বেশ ভাল লাগলো বইটি পড়ে।

Great book...for thrill lovers you can't leave it without finishing it.Every part will gives you a high voltage shocked.and the last finishing of the book is the final hit for the readers. 360° finishing is a main thing of the book just loved it

3.00 AM বইটি সম্পূর্ণ ভাবে রহস্য এ ভরা । এই বইটার যখন প্রথম পাতা পড়লাম তখনই বইটার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাই । বইটার ব্যাপারে আগেই শুনেছি , অবশেষে বইটি পড়লাম । বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয়ও চরিত্র হচ্ছে হেনরি বিন্স । হটাত করেই ভাবি সে কি রহস্য এর মাঝেই ঘুমিয়ে যাবে! আর বইটির শেষ অংশ টার অনুভুতি এক ভিন্ন ধরনের । ei বইটির শুরু থেকে শেষ পুরটাই রহস্যে ভরা ।

পৃথিবীতে মাত্র তিনজন ব্যক্তি আছে, যারা ২৪ ঘন্টায় মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে। বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায়। এর মধ্যে হেনরি বিনস একজন। আমেরিকার আলেক্সান্দ্রিয়ার বসবাস তার। হেনরি বিনস তার ৩৬ বছর বয়সে প্রায় ২০০০০০ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন, আর জেগে থেকেছেন ১৪০০০ ঘন্টারও কম সময়। ১৮ এপ্রিল। রাত তিনটায় ঘুম ভাঙ্গলো হেনরি বিনস এর। বিছানা ছেড়ে প্রতিদিনের মতো ফ্রিজ খুলে একটা বিফ স্যান্ডউইচ পাকস্থলীতে পাচার করছে আর ল্যাপটপে গেম অব থ্রোন্স দেখছে। তখনই নিস্তব্ধতার বুক ভেদ করে বাসার উল্টো দিকের একটা পুরনো ধাঁচের একতলা বাড়ি থেকে কর্ণকুহরে প্রবেশ করলো একটা মেয়ের আত্মচিৎকার। দৌড়ে জানালার দিকে এগিয়ে গেলো হেনরি বিনস। স্ট্রিটলাইটের আলোয় দেখা গেলো পুরনো সেই বাড়িটা থেকে বের হয়ে ফোর্ড গাড়িটার দরজা খুলে আমেরিকার ৪৪তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভন দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে গেলো। পরদিন রাত তিনটায় হেনরি বিনস ঘুম থেকে জেগে কৌতুহল বশতঃ সেই বাড়িতে প্রবেশ করলো, যেখান থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বেড়িয়ে যেতে দেখেছে। পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করেই দেখতে পেল ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী একটা মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে গাড়ির হুডের উপর। মেয়েটার নাম জেসিকা। পাশে পড়ে আছে গোলাপী রঙের স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৪ মডেলের একটা মোবাইল ফোন। মোবাইলটা পকেটে ঢুকিয়ে ৪ টা বাজার আগেই হেনরি বিনস ফিরে এলো নিজের বিছানায়। পরদিন রাতে আবার একই সময়ে ঘুম ভাঙলো হেনরি বিনস এর। একটা ফোন বুথ থেকে নিজেই ফোন করলো আলেক্সান্দ্রিয়ার ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের নাম্বারে। নিজের পরিচয় গোপন করে জানালো সিকামোর স্ট্রিটের বাড়িতে একটা মেয়ের লাশ পড়ে অাছে। মুহুর্তেই শুরু হলো হৈচৈ। প্রচন্ড সাইরেন বাজানোর শব্দ করে ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের একটা বড়সড় ভ্যান এসে হাজির। সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত অনলাইন পোর্টালে নিউজও হয়ে গেলো। রাত তিনটা তেত্রিশ। হেনরি বিনস এর রুমে প্রবেশ করলো আলেক্সান্দ্রিয়া হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান 'রে'। সাথে রয়েছেন অফিসার পল ক্যালোমেটিক্স। নানাবিধ প্রশ্নে জর্জরিত করলো হেনরি বিনস কে। ঘটনা এগুতে থাকলো নানাবিধ রহস্যকে সঙ্গে নিয়ে। জেসিকার পাশে ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন, হেনরি বিনস এর জবানবন্দী আর বিছানায় পাওয়া চুলের ডিএনএ টেস্টের রেজাল্টের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হলো আমেরিকার ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভনকে। একের পর এক জটলা পাকাতে থাকলো রহস্যকুন্ডলী। খুন হওয়া জেসিকার সাথে শারিরীক সম্পর্ক ছিল প্রেসিডেন্ট পুত্র রিকির। আবার মেয়েটির মা কিম ছিল প্রেসিডেন্টের ডিভোর্সী স্ত্রী। জটলা এখানেই শেষ নয়। মেয়েটির ডিএনএ টেস্ট মিলে যায় পুলিশ অফিসার পল ক্যালোমেটিক্সের সাথে। তাহলে খুন হওয়া জেসিকা কার ঔরসজাত সন্তান? প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভন? নাকি পুলিশ অফিসার পল ক্যালোমেটিক্সের? হেনরি বিনস রাত তিনটার পর জেসিকার বাড়ি থেকে বের হতে দেখলো প্রেসিডেন্টকে। সে রাতেই খুন হলো জেসিকা। তাহলে কি জেসিকা প্রেসিডেন্টের হাতে খুন হয় নি? প্রেসিডেন্টইবা এতে রাতে জেসিকার বাড়িতে কি করেছিল? জেসিকাকে তাহলে কে খুন করলো? প্রেসিডেন্ট পুত্র আবার এর সাথে জড়িত নাতো? এরকম হাজারো থৃলে ভরপুর সালমান হকের অনুবাদ করা থ্রি এএম বইটি। রোলারকোস্টার গতির টুইস্টে সমৃদ্ধ এই থৃলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রেখেছিল আমাকে। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। যারা থৃলার রাজ্যে আবারো একবার অবগাহন করতে চান বুক ধড়ফর করা অচিনপুরীতে, তাদেরকে স্বাগতম। পড়তে পারেন থ্রি এএম। হেনরি বিনসের চরিত্রটিও ছিল অসম্ভব আকর্ষণীয় ও ব্যতিক্রমধর্মী। বইয়ের প্রচ্ছদটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। কাগজের মান ছিল মোটামুটি গোছের। বানান ভুল ছিল নামমাত্র। তবে বরাবরের মতো বাঁধাইয়ের ব্যাপারে উদাসীন ছিল বাতিঘর। তবুও ধন্যবাদ বাতিঘর প্রকাশনীকে চমৎকার একটা থৃলার বইপোকাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

nice book

বুক রিভিউ : থ্রি এ এম

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- থ্রি এ এম লেখক- নিক পিরোগ অনুবাদ- সালমান হক ধরন- থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ১১০ মূল্য-১৩০ প্রচ্ছদ-ডিলান প্রথম প্রকাশ-২০১৬ বাতিঘর প্রকাশনী .. এক ঘন্টা, ষাট মিনিট, তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড মাত্র। একটা মানুষ এইটুকু সময় শুধু বেঁচে থাকে। দিনের বাকি ২৪ ঘন্টা সে মৃত। এটা মোটেও স্বাভাবিক কিছু না। তবুও হলো। ডাক্তার দের ভাষায় এই রোগের নাম হেনরি বিনস কন্ডিশন। পৃথিবীতে মাত্র তিনজন ব্যক্তির খোজ পাওয়া যায় যারা এই রোগে আক্রান্ত। এটাকে ঠিক রোগ ও বলা যায় না। যাই হোক, মৃত নয় ঠিক কিন্তু ঘন্টার কাটা ঘুরলেই সে অতল ঘুমে ডুবে যায়। আগামী ২৩ ঘন্টা তার মধ্যে কোন প্রানের চিহ্ন থাকে না। ২৩ ঘন্টা পর এমনি এমনি তার ঘুম ভেঙে যায়। এই রোগের প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন হেনরি বিনস। এবং তার নামেই এই রোগের নামকরন হয়। আলোচনার বিষয় বস্তু হলো এই অসাধারন ব্যক্তিটি। যিনি রাত তিনটায় জেগে উঠেন আবার রাত চারটায় ঘুমের দেশে হারিয়ে যান। তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, হোক রাস্তায় বা রান্নাঘরে বা ঝোপঝাড়ে। চারটা বাজতেই চোখ দুটো বন্ধ। এমন কোন ডাক্তার নেই যার পরামর্শ হেনরি নেয় নি এমন কি একটা মানুষের পক্ষে যতো ঔষুধ খাওয়া সম্ভব তিনি খেয়েছেন। কিন্তু কোন ব্যতিক্রম হয় নি। এভাবেই চলছে তার জীবন। এই একঘন্টার মধ্যে সে তার যাবতীয় কাজ শেষ করে। বলা যায় এই ষাট মিনিটের একেক টা মিনিট তার কাছে অমূল্য। খাওয়া, দৌড়ানো,লেপটপে কাজ, গেইম খেলা, ষ্টক মার্কেটের ব্যবসা, বাবার সাথে কথা বলা একে একে সব গুলো কাজ সে শেষ করে। তার বয়স এখন ৩৬। যখন তার বয়স ছিলো ছয়, তার মা তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরকম অসুখের জন্য। এর পর থেকে তার বাবাই তার সব। উনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন, ছেলের জীবনটাকে সহজ করতে। তিনি দিনে দুইটা চাকরি করতেন কিন্তু রাত তিনটায় হেনরি জেগে উঠে তার বাবা কে কাছে পেত। স্বাভাবিক চলছিলো তার সব কিছু। কিন্তু ঝামেলাটা যেদিন হলো সেদিন ছিলো ১৮ ই এপ্রিল। তিনটা ঊনষাট মিনিটে অন্যদিনের মতো বিনস বিছানায় গেলো। তখনি রাতের নিস্তব্ধতা চিড়ে ভেসে এলো একটা মেয়ের চিৎকার। লাফ দিয়ে জালানা দিয়ে দেখলো পালিয়ে যাচ্ছে এক লোক। বিনস তাকে দেখে অবাক হলো। কেন না সে ছিলো প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান। এর মধ্যেই সে ঘুমে হারিয়ে গেল পরদিন জেগে উঠে ব্যথা অনুভব করলো অনেকটা। ব্যথার অনুভূতি বাদে যে জিনিস টা মনে হলো, তা ছিলো গত রাতের কাহিনী। কৌতুহল বসত সেই রাতে সেখানে গিয়ে আবিস্কার করলো একটি সুন্দরী মেয়ের মৃতদেহ। কে করলো কিভাবে হলো, বা প্রেসিডেন্টের সাথে এর কি সম্পর্ক জানার জন্যই সে বাসার সব কিছু ঘাটাঘাটি করলো। কিন্তু কিছুই পেল না। কোন কিছু না পেয়ে বিনস ফোন বুথ থেকে পুলিশে খবর দিয়ে ব্যপার টা জানাল। ভেবেছিলো কাজটা এবার তাদের এক্তিয়ারেই চলুক। কিন্তু ভাগ্য বিরূপতা বলে একটা কথা আছে না.. সে রকম করেই তার উপরই পড়ল সব ঝামেলা। সে থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য তাকে জড়িয়ে পড়তে হলো। বলা চলে বাধ্য করা হলো। একটা মানুষ মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে। এর মধ্যে কি সম্ভব হবে ব্যাপারটা গোছানো..!? তবে কি সেই শুধু মাত্র ঝামেলার সম্মুখীন? মোটেও না , আরো একজন আছেন, যাকে এই কাজে ফাঁসানো হয়েছে। পুরো কাজে সাথী ছিলো তার বাবা। কি করে এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়েছিলো। তার জন্য পাঠক কে সবটাই পড়তে হবে। অদ্ভূত চরিত্রের মানুষটি কর্মকান্ড অার এই রহস্য উদঘাটনে তার যে ভূমিকা তা অবশ্যই পাঠক আকর্ষন করবে। কয়েক পৃষ্ঠার বইটা খুব অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাবে। কাহিনীর বর্নানাও বেশ সহজ ভাবেই এগিয়েছে। বুঝতে কষ্ট হবার কথা না মোটেও। ল্যসি নামে বিড়ালের সাথে কথপকথন বেশ ভালোই লেগেছে। বইমেলা থেকে পাওয়া এটা আমার প্রথম বই। সিরিজের বাকি বই গুলো চোখের সামনেই আছে। দুইটা শেষ। আমি বোধ হয় খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলব এই হেনরি বিনসের পুরো সিরিজ। ভালো লেগেছে এটা সত্যি। তবে ঢাক ঢোল শুনে যতোটা আশান্বিত হয়েছিলাম। না জানি কি আছে..! আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগ। পড়াশুনা করছেন এখনো কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেস্ট সেলার ১১টি থ্রিলার রচয়িতা তিনি। হেনরি বিনস তার ব্যতীক্রমি এক চরিত্র। অনুবাদ করেছেন সালমান হক যিনি ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত। এটা তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ।একেবারে সাবলীল ভাষায় তিনি এটা বর্ননা করেছেন বলে মনে হলো। তরুন এই লেখকের থ্রি এ এম সিরিজের অনুবাদ খুব দ্রুতই তাকে এনে দিয়ে অনুবাদক খ্যাতি। তার বই সুপাঠ্য, ভাষা ঝরঝরে গল্প বলার ভাষা সহজ সরল এবং জটিলতা বর্জিত। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/113845/থ্রি-এ-এম

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- থ্রি এ এম। লেখক- নিক পিরোগ। অনুবাদক- সালমান হক। ধরন- থৃলার। পৃষ্ঠা- ১১০। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- হেনরি বিনস, মিঃ বিনস, কনর সুলিভান, ক্যালি ফ্রেইগ, রিকি সুলিভান, ডিটেকটিভ রে, ডিটেকটিভ ক্যাল, রিকি সুলিভান, কিম ক্যালটোম্যাটিক্স, ক্যাপ্টেন রেড। এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হয়ে অদ্ভুত চরিত্রে পরিণত হয়েছে হেনরি বিনস। সে তেইশ ঘন্টা ঘুমায়। মাত্র একঘন্টা জেগে থাকতে পারে। তাই তার নামেই রোগটির নাম করা হয়েছে হেনরি বিনস কন্ডিশন। রাতের তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত তার জেগে থাকার সময়। আর এজন্যই বইটির নাম করা হয়েছে থ্রি এ এম। রাত তিনটা। ওই একঘন্টার মধ্যেই তাকে সব করতে হয়। খাওয়া, দৌড়ানো, দশমিনিট গেম অব থ্র্রোন দেখা, ষ্টক মার্কেটের ব্যবসা করা, বাবার সাথে কথা বলা ইত্যাদি। সব রাতই তার এমন যাচ্ছিলো। তবে একরাতে নিয়মের ব্যাতয় ঘটলো। জানালা দিয়ে পাশের বাসায় একটি মেয়ের চিৎকার শুনতে পেলো হেনরি বিনস। পরমুর্হুতেই সেই বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গেলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভানকে। পরদিন রাতে সেখানে গিয়ে একটি মেয়ের মৃতদেহ আবিষ্কার করলো হেনরি বিনস। ব্যাপারটা সে ভুলে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু কাটার মতো তা মনে গেথেই রইলো। এদিকে ডিটেকটিভ রে ও ক্যাল তাকেই খুনী সন্দেহ করতে লাগলো। হেনরি বিনস পড়ে গেলো ফ্যাসাদে। সাহায্যে এগিয়ে এলেন তার বুদ্ধিমান বাবা। বাবা ছেলে মিলে নেমে গেলো রহস্যের জট খুলতে। আর ওদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে শুরু হতে লাগলো আরেকটি বড় কেলেঙ্কারী। অত্যন্ত দ্রুতপঠনযোগ্য একটি উপন্যাস থ্রি এ এম। পৃষ্ঠাও অল্প। মাত্র ১১০। শুরু করতে না করতেই শেষ হয়ে যায়। কাহিনী এগিয়েছে একদম সহয আর সাবলীল ভাষায়। হেনরি বিনস সিরিজের এটি প্রথম বই এবং গ্রুপে আমার দেখা সবচেয়ে বেশী পিডিএফ চাওয়ার বই এটি। লেখকের কি প্রথম বই না পরের কোনো বই তা জানিনা। তবে ভালো লিখেছেন। যারা থৃলার বোঝেন না বা বুঝতে কষ্ট হয় তাদের জন্যও এটি পড়া খুব সহয হবে। শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখবে বইটি। তবে বইটি একদম পরিশুদ্ধ না। একটু গুমোট লাগে কেমন জানি। আর বিড়ালের সাথে হেনরির কথোপকথন অতিরিক্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কথোপকথনগুলো বিরক্ত ধরিয়ে দেয়। এছাড়া লেখকের একটা দিক এড়িয়ে গেছে। একঘন্টার মধ্যে তাকে সব করতে হবে। যেহেতু গোসলও করতে হবে তাই টয়লেটও অবশ্যই এর আওতায় পড়ে। কিন্তু সে ব্যাপারটা লেখক উল্লেখ্য করেননি। ছোট ছোট এরকম কিছু কারনেই বইটার কিছু দিক হয়েছে সিনেমাটিক। তবে সহয হওয়াতে পড়তে ভালো লাগে। আর খুব দ্রুত শেষ করা যায়। আশা করি সবার ভালো লাগবে পড়তে। রেটিং- ৪.৮০/৫.০০

‘থ্রি এ এম’ ইংরেজী ভাষায় লেখা একটি অসাধারন থ্রিলার উপন্যাস । মুল বইটি লিখেছেন নিক পিরোগ । তিনি বহু থ্রিলার লিখেছেন । থ্রি এ এম তার মধ্যে একটি । বইটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন সালমান হক । তার জন্ম ঢাকা শহরেই । বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যায়নরত । নিক পিরোগ এর লেখা থ্রি এ এম বইটি তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ । থ্রি এ এম বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান । হেনরী বিনস যে কিনা মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থেকে গোটা আমেরিকা ঝাকি দিয়ে গেছে। অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। প্রেসিডেন্ট সুলিভানের যুবক কালের প্রেমের একটি ভুল যে একটি বিশাল সমস্যার জন্ম দেবে এ কথা কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাববে না। সুলিভানের একটি বখে যাওয়া পুত্র ছাড়া অন্যান্য সবই ঠিক আছে। এর মধ্যে বিরল রোগে আক্রান্ত ঘুমন্ত মানব হেনরী বিনস তার পড়শী ক্যালির মৃতদেহ আর প্রেসিডেন্টের মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পর থেকে সব ঝামেলা লেগে গেলো। প্রেসিডেন্টের বিয়ের কাগজে নাম নিয়ে এক গরবরে পরিচয় ক্যালির মায়ের সাথে অর্থাৎ মৃত মেয়েটির মায়ের সাথে । হেনরি ওই মেয়েটির চিতকার শুনে যখন বের হয়ে আসে তখন সে দেখে ওই বাসা থেকে বের হয়ে আসছে আর কেউ না স্বয়ং প্রেসিডেন্ট । তার মানে কি প্রেসিডেন্টের হাতে খুনের শিকার মেয়েটি ? কি হয়েছিল এর পর জানা যাবে থ্রি এ এম বইটি পরলে । থ্রিলার উপন্যাসের পাঠক দের কাছে সত্যই অসাধারন লাগবে কারন গল্পের প্রতিটি সময়ই টান টান উত্তেজনা উপভোগ করা যায় ।

বইয়ের নামঃ থ্রি এ এম লেখকঃ Nick Pirog অনুবাদঃ সালমান হক প্রচণ্ড থ্রিলিং একটা বই। অনুবাদের বই আমার কম পড়া হয়। এটা পড়লাম। অসাধারণ লেগেছে। একটা মানুষ ২৪ঘণ্টার মধ্যে ১ঘণ্টা শুধু জেগে থাকে এবং ঐ এক ঘণ্টায় তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ঘটনা নিয়ে বইটা। সেই ঘটনার সমাধান শেষ পর্যন্ত কি হবে ? কে সেই খুনি? কেনই বা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বের হতে দেখে হেনরি বিনস তার পাশের বাড়ি মেয়ের আর্তচিৎকারের পরে? জানতে হলে পড়তে হবে বইটা... সবমিলিয়ে জমজমাট এক বই!

Translation could be better. But it's ok.

আমি মনে করি যেকোনো অনুবাদিত বইয়ের সবার আগে রিভিউ দিতে হয়, বইটির অনুবাদ কোয়ালিটি কি রকম!! এই বইটির অনুবাদ কোয়ালিটি ভালো! অনেকটাই ভালো! যদি কোন বইয়ের অনুবাদ কোয়ালিটি ভালো না হয়, আমি ভাই ঘড়ি ধরে 5 মিনিট গালি দেই। ? বইটি পড়তে কখনোই একঘেয়েমি লাগবে না। লেখক এর লেখার মান খুবই ক্লাসি!! Interesting thriller.

থ্রী এ এম সম্পূর্ন ভিন্ন রকমের একটি রোগের অর্থাৎ হেনরি বিনস এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ের বন্ধনে দৈনিক ষাট মিনিটের জীবন কত মূল্যবান হতে পারে তা অংকিত হয়েছে নিক পিরোগের এই সিরিজে। থ্রীলার প্রেমীদের জন্য ভালো লাগার মতোই এবং ল্যাসি, মারডক প্রভৃতি যে চরিত্র তাঁর লেখনীতে চিত্রিত হয়েছে তাহা উল্লেখযোগ্যই বটে। প্রতিটা সময় মূল্যবান যাহা আমাদের সহজপ্রাপ্য অজস্র মিনিটের মধ্যে হয়তো বোধগম্য নয়। একটা সীমার মধ্যে সময়টুকু বেঁধে দিলে কেমন হতো তার ধারনা পাবেন বইটিতে। পাঠকগণ নিজ পঠনীতে অনান্য রস আস্বাদন করবেন সেই আশায়, ব্যাক্তিগত রেটিং ৮/১০।

বইটিতে প্রচুর পরিমাণে ১৮+ কন্টেন্ট রয়েছে।কিশোর বয়সী কারো জন্যে বইটি উপযুক্ত নয়।আমার মনে হয় বইটিতে এই বিষয় উল্লেখ করলে ভাল হত।অভারঅল বইটি খুবই ভাল একটি থ্রিলার উপন্যাস।লেখক গল্পটি খুবই ভালভাবে উপস্থাপন করেছেন।নিক পিরোগের ব্যক্তিগত জীবন এবং বুদ্ধিমত্তা সত্যিই খুব রোমাঞ্চকর।ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য বইটি খুবই ভাল।যারা পড়তে ভাবছেন তারা একবার পড়ে দেখতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপঃ রোগটির নাম হেনরি বিনস, ৩৪ বছরের যুবক হেনরি বিনসের নামানুসারেই করা হয়েছে এই রোগের নামকরণ; কারণ পুরো পৃথিবীতে এই রোগের মাত্র তিনজন রোগীর মধ্যে সেই প্রথম আলিঙ্গন করেছে এই অসুখটিকে। তবে ডাক্তারদের মতে ভাষায় এটা কোন রোগ নয়, জাস্ট একটা মেডিকেল কন্ডিশন। এই মেডিকেল কন্ডিশনের ফলাফলস্বরূপ দিবারাত্রির ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায় হেনরি বিনস, জেগে থাকে মাত্র একটি ঘন্টা। তাও আবার রাত ৩ টা থেকে ৪ টা, যখন গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া বাকি সবাই ঘুমিয়ে। এই মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে হেনরি বিনসের জীবনে সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যার কোন অস্তিত্ব নেই; যেখানে তার বয়সী মানুষ জীবনের ২,০০,০০০ ঘন্টা জেগে কাটিয়েছে, সেখানে তার জীবনের ঝুলিতে জমা হয়েছে মাত্র ১৪,০০০ ঘন্টা। তাই এক একটা মুহূর্তও তার কাছে মহামূল্যবান সম্পদ। এক রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগ মুহূর্তে হেনরি বিনসের পাশের বাড়িটি থেকে ভেসে আসে একটি মেয়ের আর্তচিৎকার, কৌতুহলী বিনস জালানা দিয়ে উঁকি দেয় প্রতিবেশীর ঘরে, তারপর অবাক হয়ে লক্ষ্য করে প্রচন্ড ক্ষমতাধর একজন মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছেন সেই বাড়িটি থেকে। মানুষটি আর কেউ নয়, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান। বিনসের সাথে একবার মাত্র চোখাচোখি হয় প্রেসিডেন্টের, আর তার পরপরই জেগে থাকার নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় জানালার কাছেই ঢলে পড়ে হেনরি বিনস। পরদিন রাত তিনটা বিশ মিনিটে বিনস পা দেয় সেই প্রতিবেশি মেয়েটির ঘরে। যা আন্দাজ করেছিল তাই- খুন করা হয়েছে বিনসের দুর্দান্ত সুন্দরী প্রতিবেশিনীকে। কিন্তু কে খুন করল? প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান? নাকি অন্য কেউ? বিনসের সন্দেহের তালিকায় কনর সুলিভানের নাম সবার উপরে থাকলেও হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর ইনিগ্রিড রে কিন্তু বিনসকেই খুনি ভাবছেন। এমতাবস্থায় হেনরি বিনসের জীবনের প্রতিদিনকার বরাদ্দকৃত একটি ঘন্টা খরচ হতে থাকল এ খুনের রহস্য উদ্ধারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হেনরির মহার্ঘ্য মুহূর্তগুলো সফল হয়েছিল, নাকি ব্যর্থতার আঁধারে ডুবে গিয়েছিল হেনরি বিনসের সকল প্রচেষ্টা?? সেটা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে নিক পিরোগের ‘থ্রি এ এম’ বইটির পাতায়। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ‘থ্রি এ এম’ বইটির প্রশংসা এত বেশি শুনে ফেলেছিলাম যে এই বইয়ের প্রতি আমার এক্সপেকটেশনও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর সেজন্যই কি না কে জানে, আমার কাছে খুব বেশি আহামরি কিছু মনে হয়নি অন্যান্য ডিটেকটিভ বইয়ের তুলনায়। আমার কাছে মনে হয়েছে মূল কাহিনীর চেয়ে হেনরি বিনসের মেডিকেল কন্ডিশনটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তবে যেটা ভাল লেগেছে সেটা হল অনুবাদ। আমি সাধারণত অনুবাদ বই পড়িনা, কেমন যেন আর্টিফিশিয়াল লাগে, পড়ে মজা পাইনা। কিন্তু এই বইটির অনুবাদ আমাকে একটুও বিরক্ত করেনি। যাই হোক, আমার কাছে খুব বেশি ভাল লাগেনি বলে যে অন্য কারো কাছেও ভাল লাগবে না তা কিন্তু না, আমার আম্মুর খুবই পছন্দ হয়েছে বইটি, এবং অবশ্যই সেটি বিনসের অদ্ভূত মেডিকেল কন্ডিশনের কারনে।

থ্রিলার অনেক বই আছে,অনেক সিরিজ আছে কিন্তু এই সিরিজটি অন্যরকম।অন্যান্য সিরিজ গুলো সিরিজ হলেও সিক্যুয়াল নয় মানে একটি না পড়লেও অন্য বই পড়লে তা বোঝা যাবে।কিন্তু এই সিরিজটি সিক্যুয়াল,একটির সাথে অন্যটি রিলেটেড।আস্তে আস্তে একটি একটি করে জট খুলবে,আর সব রহস্য সমাধান হবে শেষ বই এ। একটি পড়লে আপনি অন্য গুলো পড়তে চাইবেন।

বইয়ের নাম:থ্রি এ এম লেখক:নিক পিরোগ অনুবাদক:সালমান হক প্রচ্ছদ:ডিলান প্রকাশনী:বাতিঘর পৃষ্ঠা:১০৯ মূল্য:১৩০(মুদ্রিত মুল্য) হেনরি বিনস।লোকটি আশ্চর্য্য ও এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত।রোগের লক্ষন হচ্ছে,প্রতিদিন মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকা!তারই প্রথম এই রোগ হয়,এই জন্য তার নামের সাথে মিল রেখে রোগের নাম 'হেনরি বিনস'রাখা হয়েছে। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেসব দৈনন্দিন কাজ করি,তাকেও সেইসব কাজ করতে হয়, শুধু আমাদের সাথে তার তফাত হচ্ছে তাকে ওই ১ ঘন্টার মধ্যে সব কাজ করতে হবে! প্রতিদিন রাত ৩ টা থেকে ৪ টা এই ঘন্টা সময় তার জন্য বরাদ্ধ থাকে।এই ১ ঘন্টার মধ্যে সে গোসল করে,তার শেয়ার বাজারের স্টক চেক করে,বাবার সাথে কথা বলে,হাটতে বের হয় আবার প্রতিদিন ১০ মিনিট করে গেম অফ থ্রন্স দেখে! এক রাতের ঘটনা। রাত ৪ টা বাজার কাছা-কাছি।অথাৎ এখন তার ঘুমাতে যাওয়ার সময়।খাটে উঠতে যাবে, এমন সময় শুনতে পেলো এক নারীর আত্মনাদ।কৌতুহলের কারনে বিনস দৌড়ে জানালার কাছে চলে যায়। আশে পাশে সব কিছু নিশ্চুপ।রাস্তায় একটা দামি গাড়ি দাড় করানো।হঠাৎ হেনরি বিনস দেখল সেই বাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে এলো, লোকটা গাড়ির দিকে যাচ্ছে এবং লোকটা যখন গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই তার সাথে বিনসের চোখাচখি হল।হেনরি বিনস লোকটাকে দেখে, একদম স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ল, কারন লোকটা আর কেও নই আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান!! পরের দিন বিনস মেয়েটার বাড়ি যেয়ে দেখল লাস পড়ে আছে।তারমানে কি আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্টই মেয়েটাকে খুন করেছে?তারমানে কি প্রেসিডেন্ট খুনি?বিনস কি এই প্রশ্নের উত্তর ১ ঘন্টার মাঝে খুঝে বের করতে পারবে?জানতে হলে পড়তে হবে থ্রি এ এম।

মাত্র ১০৯ পেইজ এর বইটিতে এমন কিছু আছে যা অনেক দীর্ঘ বইতে দেখা যায় না। Surprise - Mystery - Love, সব কিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি থ্রিলার। বইটি নিউ ইয়র্ক টাইম বেস্টসেলার হওয়ার যথাযথ কারণ হল surprising. পাশাপাশি সালমান হকের প্রথম অনুদিত বই হিসেবে অনুবাদও খুব ভালো হয়েছে।

#রবিজ_রকমারি_বই_রিভিউ এমন কারো কথা কি শুনেছেন যে একজন মানুষ দিনে ২৪ঘন্টার মধ্য ২৩ঘন্টাই ঘুমাই, মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে? আর এই ঘন্টার মধ্যেই তাকে সবকিছু করতে হয়? আচ্ছা আপনার জীবনটা যদি শুধুমাত্র এক ঘন্টায় আটকে যেত কি করতেন আপনি? আর সেই একঘণ্টা যদি নির্দিষ্ট একটা সময়, একটা ঘণ্টার মধ্যই আটকে যায়! তখন? . গল্পের মূল চরিত্র হেনরি বিনস ২৪ঘন্টার মধ্য ২৩ঘন্টায় ঘুমিয়ে থাকে। রাত তিনটায় তার ঘুম ভেঙে যায়, আবার কাটায় কাটায় চারটায় ঘুমিয়ে পড়ে। এটা একটা রোগ, তার এই রোগের নাম হেনরি বিনস। হেনরির মাধ্যমেই এটা আবিষ্কার করা হয় বলে তার নাম অনুসারে এই মেডিকেল কন্ডিশনের নাম রাখা হয় হেনরি বিনস। এই এক ঘন্টার মধ্যেই তাকে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এই একঘন্টার মধ্য সে খাওয়াদাওয়া করে, গোসল করে, গেমস খেলে, বিভিন্ন সিরিয়াল দেখে, বাইরে গিয়ে কিছু দৌড়িয়েও আসে, তবে সবগুলোই একদম সময় ধরে। কারণ প্রতিটা সেকেণ্ডই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রতিদিনই বরাবর ৩টাই উঠে আর ৪টা ঘুমাই,যদি কখনও ২/১মি. আগে উঠে তবে সে এই সময়টা বাড়তি কোন কাজে লাগায়। সেদিন তার নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। ছোটবেলায় এই একঘন্টার মধ্যই ও বাসায় ওর বাবার কাছে পড়াশুনা শেখে, ড্রাইভিং শিখে। সে একাই থাকে, আর সাথে থাকে একটা বিড়াল। বিনস তার জেগে থাকার পুরো সময়টাতে ল্যাসি মানে তার বিড়ালের সাথে কথা বলে। বিড়ালটাও যেন তার কথা বুঝতে পারে। সর্বক্ষণ বিনসের সাথে সাথে থাকে। একজন মহিলা রান্নাবান্না, ঘরদোর পরিষ্কার সবকিছু করে দিয়ে যায়। এমনকি কিছু বাড়তি কাজও করে দেয় যাতে করে বিনসের সময় সাশ্রয় হয়। এমনই একদিন রাতে তার ঘুম আসার কিছু আগে প্রায় শেষ মুহূর্তে পাশের বাড়িতে আর্তনাদ শুনে সে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন অবিশ্বাস্য এক ঘটনা দেখে, পাশের বাড়ি থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট!!! সেই বাড়িতে কি হয়েছে দেখতে গিয়ে ঘটনাক্রমে সে নিজেই ফেঁসে যায়। তাকে গ্রেফতার করা হয় এক খুনের মামলায়। এই এক ঘন্টার মধ্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আসল খুনিকে বের করতে হবে। কিন্তু কিভাবে? . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বইটার অনুবাদ ২০১৬সালে প্রকাশ হওয়ার পর এটার বিভিন্ন রিভিউ দেখে বইটা পড়ার জন্য অস্থির হয়ে ছিলাম। মূলত হেনরি বিনসের এই একঘণ্টা জীবনই আমাকে বইটি পড়ার প্রতি বেশি আকৃষ্ট করে। যখন জানতে পেরেছিলাম বইটির প্রধান চরিত্র মাত্র একঘণ্টা জেগে থাকে, অবাক হয়ে ভেবেছি কিভাবে এটা সম্ভব! আমরা তো কত একঘণ্টাই হেলায় ফেলায়, গল্পে আড্ডায় নষ্ট করে ফেলি। বইটি পড়ার সময়েও বিনসের এই একঘণ্টার মধ্যই তার নানা কাজ সম্পন্ন করা, শেয়ার মার্কেটে নিজের স্টক চেক করা সত্যি প্রভাবিত করেছিলো। বইটা একদম ছোটখাটো, পড়ার সময় একটুও বিরক্ত লাগেনি, কারণ এতে অতিরিক্ত কোন বর্ণনা দেয়া নেই। অতিরিক্ত কোন কিছু বলা নেই। আর অনুবাদও অনেক চমৎকার। সালমান ভাইয়ের অনুবাদ যারা পড়েছেন তারা এটা ভালভাবেই জানেন। পড়ার সময় মনেই হয়নি অনুবাদ পড়ছি। কোথাও অনুবাদের ছাপ পড়েনি। একদম ঝরঝরে অনুবাদ। টানটান উত্তেজনা আছে পাতায় পাতায়। আপনাদেরও ভালো লাগবে আশা করি। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৫/৫ By Imili Chowdhury

অনুবাদক বইটিকে খুব সুন্দর করেই অনুবাদ করেছেন। বইটি রহস্যময় এবং খুবই মজার... অনুসন্ধান মূলক বই পড়তে যারা ভালবাসেন তার সংগ্রহে রাখতে পারেন। :)

very good

হেনরি বিনস এক অদ্ভুত চরিত্র- অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে । দিনে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে, বাকি ২৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায় । এভাবেই চলছিল তার জীবন । নির্ঝঞ্ঝাট, নিরিবিলি । কিন্তু এক রাতে পাল্টে যায় সবকিছু । পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো এক মহিলার আর্তচিৎকার ।সে দেখে দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে সম্ভাব্য আততায়ি । সে আততায়ি কোন সাধারণ লোক নয়, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট! দিনে যে মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে সে খুঁজে বের করতে চাইলো এই রহস্য । তার পক্ষে কি এই অসাধ্য কাজটা করা সম্ভব? রোলারকোস্টার গতির, টুইস্টে ভরপুর এই থৃলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে ।

এতো সুন্দর একটা কনসেপ্টে এতো ম্যারম্যারে একটা কাহিনি হবে ভাবতে পারিনি! রকমারিতে ফেসবুক পোস্টের মতো যে বইগুলোতে অসংখ্য ফাইভ স্টার পড়ে, সেগুলোতে মনে করবেন ঘাপলা আছে।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই: থ্রি এ এম লেখক: নিক পিরোগ অনুবাদক: সালমান হক মূল্য: ১৩০ টাকা (রকমারি মূল্য: ৯১ টাকা) ধরন: রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক ও থ্রিলার। প্রকাশনী: বাতিঘর রিভিউ : প্রথমে আসা যাক বইয়ের নামকরনে। বই এর প্রধান চরিত্র হেনরি বিন স। অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত সে। দিনে মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকে সে। আর সে সময়টা হল রাত ৩ টা থেকে ৪ টা। এই জন্য বইয়ের নাম মূলত থ্রি এ এম। বাকী সময় টা তাকে ঘুমিয়ে কাটাতে হয়। তার দৈনন্দিন সব যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয় ওই এক ঘন্টাতেই। যেমন : খাওয়া-দাওয়া,গোসল,গানশোনা ইত্যাদি। তো প্রতিদিনকার মত চলছিল হেনরি সাহেবের জীবন। একদিন রাতে হটাত তার পাশের বাড়ী থেকে ভেসে এলো এক মেয়ের আর্তচিতকার। কৌতূহলী হয়ে সে উকি দিলো তার জানালা দিয়ে। আর তখন দেখলো সে বাড়ীর দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসছে এক লোক। সে আর কেউ নয়। সয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। পরে হেনরি জানতে পারলো খুন করা হয়েছে মেয়েটাকে। তবে কি প্রেসিডেন্ট খুন করেছে মেয়েটাকে?? কেনই বা সে রাতে এ বাড়ীতে এসেছিল প্রেসিডেন্ট?? এদিকে ঘটনা চক্রে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় নাম উঠলো হেনরি বিনস এর। দিনে মাত্র এক ঘন্টা জেগে সে দায়িত্ব নিলো রহস্য উদঘাটনের। হেনরি বিনস কি পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে? জানতে হলে আপনাকেউ নামতে হবে হেনরি বিনস এর সাথে তার এডভেঞ্চারে। খুবই চমতকার একটা বই। বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় রয়েছে টান টান উত্তেজনা।পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। আর অনুবাদকের অনুবাদের কোনো তুলনা হয় না। একদম ঝরঝরা অনুবাদ। অনেকে অনুবাদ পড়তে চাননা। বলেন সঠিকভাবে অনুবাদ করা হয় না, অনুবাদকরা মূল কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে পারেন না ইত্যাদি ইত্যাদি।তারা এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন।আশাকরি বইটি কিনলে টাকা বিফলে যাবে না। আমার যায়নি অন্তত।

Great thriller book! Many twist in the story. Translation is also good.

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ থ্রি এ এম লেখকঃ নিক পিরোগ অনুবাদকঃ Salman Haque Dhrubo প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ১১২ মূল্যঃ ১৩০ টাকা প্রিভিউঃ অদ্ভুত এক ছেলে হেনরি বিনস- অদ্ভুত তার অসুখ। ঘুমায় ২৩ ঘন্টা। প্রতিদিন রাত তিনটায় জেগে উঠে আবার এক ঘন্টা পর চারটায় ঘুমিয়ে পড়ে সে। এভাবেই চলছিল তার জীবন। নির্ঝঞ্জাট, নিরিবিলি। কিন্তু এক রাতে পালটে যায় সবকিছু। পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এলো এক মহিলার আত্মচিতকার। সে দেখতে পায় সম্ভাব্য আততায়িকে। কিন্তু সেই আততায়ি সাধারণ কোন মানুষ নয়- স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যে ছেলে দিনে মাত্র এক ঘন্টা জেগে থাকতে পারে, সে কীভাবে এই রহস্য সমাধান করবে? রোলারকোস্টার গতির, টুইস্টে ভরপুর এই থৃলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে? --------------------------------------------------------- নিজস্ব মতামতঃ প্রিভিউতেই বোঝা যাচ্ছে, কনসেপ্ট কতটা ইন্টারেস্টিং। বইটা আসলেই ইন্টারেস্টিং, বইয়ের ব্যপ্তি হয়তো খুব বেশি না, তবে থৃলারসাহিত্যের সব উপকরণই আপনি এখানে পাচ্ছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে, থ্রিলার, টুইস্ট, সাসপেন্স, এ্যাকশন... সবই ছিলো সঠিক মাত্রায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে কাহিনীতে জড়িয়ে যে কাহিনীর সূত্রপাত, তার শেষটাও দারুণ। নিক পিরোগের এই সিরিজটার ভক্ত হয়ে গেছি প্রথম বই পড়েই। অনুবাদকের সম্ভবত এটি অনুবাদ করা প্রথম বই। অনুবাদ ভালো লেগেছে, সাবলীল, গতিশীল। বইয়ের প্রচ্ছদ, বাঁধাই সুন্দর, বানান বিভ্রাট অতটা নেই। পৃষ্ঠার মানও ভালো। সবমিলিয়ে, দারুণ উপভোগ্য বই “থ্রি এ এম।“ সময় পেলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি। ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।

বইয়ের নাম:থ্রি এ এম লেখক:নিক পিরোগ অনুবাদক:সালমান হক প্রচ্ছদ:ডিলান প্রকাশনী:বাতিঘর পৃষ্ঠা:১০৯ মূল্য:১৩০(মুদ্রিত মুল্য) হেনরি বিনস।লোকটি আশ্চর্য্য ও এক অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত।রোগের লক্ষন হচ্ছে,প্রতিদিন মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকা!তারই প্রথম এই রোগ হয়,এই জন্য তার নামের সাথে মিল রেখে রোগের নাম 'হেনরি বিনস'রাখা হয়েছে। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেসব দৈনন্দিন কাজ করি,তাকেও সেইসব কাজ করতে হয়, শুধু আমাদের সাথে তার তফাত হচ্ছে তাকে ওই ১ ঘন্টার মধ্যে সব কাজ করতে হবে! প্রতিদিন রাত ৩ টা থেকে ৪ টা এই ঘন্টা সময় তার জন্য বরাদ্ধ থাকে।এই ১ ঘন্টার মধ্যে সে গোসল করে,তার শেয়ার বাজারের স্টক চেক করে,বাবার সাথে কথা বলে,হাটতে বের হয় আবার প্রতিদিন ১০ মিনিট করে গেম অফ থ্রন্স দেখে! এক রাতের ঘটনা। রাত ৪ টা বাজার কাছা-কাছি।অথাৎ এখন তার ঘুমাতে যাওয়ার সময়।খাটে উঠতে যাবে, এমন সময় শুনতে পেলো এক নারীর আত্মনাদ। কৌতুহলের কারনে বিনস দৌড়ে জানালার কাছে চলে যায়। আশে পাশে সব কিছু নিশ্চুপ।রাস্তায় একটা দামি গাড়ি দাড় করানো।হঠাৎ হেনরি বিনস দেখল সেই বাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে এলো, লোকটা গাড়ির দিকে যাচ্ছে এবং লোকটা যখন গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই তার সাথে বিনসের চোখাচখি হল।হেনরি বিনস লোকটাকে দেখে, একদম স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ল, কারন লোকটা আর কেও নই আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান!! পরের দিন বিনস মেয়েটার বাড়ি যেয়ে দেখল লাস পড়ে আছে। তারমানে কি আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্টই মেয়েটাকে খুন করেছে?তারমানে কি প্রেসিডেন্ট খুনি?বিনস কি এই প্রশ্নের উত্তর ১ ঘন্টার মাঝে খুঝে বের করতে পারবে?জানতে হলে পড়তে হবে থ্রি এ এম।

হাস্যকর হলেও সত্য এই বইটির জন্য ৫০ মিনিট বইমেলার স্টলে দাড়িয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত রকমারীই শেষ ভরসা। একটি দুর্দান্ত উপন্যাস। একটা ব্যাপার বুঝতে হবে গল্প উপন্যাস স্রেফ মানুষকে আনন্দ দেবার জন্য সেখানে বাস্তবের খুটিনাটি খুজলে চলবে না। নিঃসম্দেহে প্রথম যা ভাবা হয়েছিলো তা শেষ পর্যন্ত হয় না। আমি রিভিউ দিয়ে পড়ার মজা নষ্ট করতে চাই না। তবে মহা মজার অসুখ হেনরী বিনস যে কিনা মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থেকে গোটা আমেরিকা ঝাকি দিয়ে গেছে। অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। প্রেসিডেন্ট সুলিভানের যুবক কালের প্রেমের একটি ভুল যে একটি বিশাল সমস্যার জন্ম দেবে এ কথা কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাববে না। সুলিভানের একটি বখে যাওয়া পুত্র ছাড়া অন্যান্য সবই ঠিক আছে। এর মধ্যে বিরল রোগে আক্রান্ত ঘুমন্ত মানব হেনরী বিনস তার পড়শী ক্যালির মৃতদেহ আর প্রেসিডেন্টের মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পর থেকে সব ঝামেলা লেগে গেলো। প্রেসিডেন্টের বিয়ের কাগজে নাম নিয়ে এক গরবরে পরিচয় ক্যালির মায়ের সাথে অর্থাৎ মৃত মেয়েটির মায়ের সাথে। তারপর পরকিয়া। কিন্তু তারপর যা হলো তা একটু ভিন্ন রকম। জেসি উরফে ক্যালি উরফে জেসিকা রেনয় এর ছিলো পরিচয় বদলানোর বদভ্যাস। অবশ্য সেটা তার কুকর্মগুলোর প্রয়োজনেই করতো। তার ফাঁদে পা দিয়েছিলো স্বয়ং প্রেসিডেন্ট নিজেই। কিন্তু ব্ল্যাকমেলিং এর ২০ লাখ ডলার দিয়ে বেরিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট আর তারপরই মৃত জেসিকে খুঁজে পায় ১ ঘন্টার জেগে থাকা হেনরী। তারপর পুলিশ, প্রেসিডেন্টের লোক এবং নাম না জানা কিছু লোকের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার শিকার হেনরী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিভাবে হেনরী বা মৃত জেসির বিড়ালের গায়ে টোকা পর্যন্ত না লেগে সত্যের উদঘাটন হয় এটি হিসাবের বাইরে রাখতে হবে। খুবই একশন সাসপেন্সে ভরপুর নভেল তবে মূল লেখায় প্রচুর ফাঁক। তবে নির্দোষ আনন্দের জন্য পারফেক্ট বই।