User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দারুন বই
Was this review helpful to you?
or
মাসুদ রানা নামক অমর চরিত্রের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন 'সেবা প্রকাশনী' থেকেই কিশোর উপন্যাস সিরিজ বের করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার অভাবে সেই সিরিজটি তিনি নিয়মিতভাবে কন্টিনিউ করতে পারেন নাই। সিরিজটি 'সেবা'র অন্যান্য সিরিজের মত খ্যাতির চূড়ায় উঠতে না পারলেও, এই সিরিজের একটি বিশেষ বই কিন্তু পাঠকদের মনে চিরকালের জন্য জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছে। হ্যাঁ, সেই বইটিই হল 'ক্লাস এইট'। অন্তত ৯০% পাঠকই যেই বইটিকে মনে করে কাজীদার কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে অবিসংবাদিত সেরা। উল্লেখ্য যে, 'সেবা'র অপরাপর বইগুলোর মত এই বইটিও কোন মৌলিক সাহিত্যকর্ম নয়। এই বইটি কাজীদা লিখেছেন এরিখ কেস্টনারের 'দ্যা ফ্লাইং ক্লাসরুম'র ছায়া নিয়ে। কিন্তু কাজিদার অসামান্য লেখনি আর গোটা কাহিনীকে বাংলাদেশী প্রেক্ষাপট ও এদেশি চরিত্রের সঠিক সমন্বয়ে যেভাবে তিনি এডাপ্ট করেছেন, তা সত্যিই এক কথায় অসাধারণ। নিশ্চিতভাবেই এই বই পড়ে পাঠকরা বইয়ে উল্লেখিত কোন না কোন একটা চরিত্রের মধ্যে নিজেদের ছায়া খুঁজে পাবেই। তাহলেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, লেখক এই বইয়ের চরিত্রগুলোকে কতটা নিখুঁতভাবে এদেশি কিশোরদের আদলে গড়ে তুলেছেন! ক্লাস এইট পড়ুয়া কয়েকটা ছেলের কাহিনী নিয়ে এই বই, যারা পড়ে মফস্বলের এক নামকরা স্কুলে। আবাসিক স্কুলগুলোর যে স্বাভাবিক চিত্র, তা দেখা যাবে এই বইয়েও। যথারীতি এই ছেলেদের কিছু প্রতিপক্ষও আছে। তাদের সাথে এক বিশেষ কারণে ঝামেলা বাধে ঐ প্রতিপক্ষদের। ফলশ্রুতিতে, স্কুলের নিয়ম ভাঙ্গায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে। তবে সেই শাস্তি বড় বিচিত্র। স্কুলের সুপারের রুমে গিয়ে নেমন্তন্ন খেতে হবে! কেন সুপার এরকম মজার শাস্তি দিলেন, তা বলতে গিয়ে তিনি স্মৃতিচারণ করলেন তার অতীতের। বললেন এক হারানো বন্ধুর কথা। ছেলেরা সেই বন্ধুকে তাদের প্রিয় শিক্ষকের নিকট ফিরিয়ে দিল। অন্যদিকে, স্কুলে একটি বার্ষিক নাটক হবে। সেই নাটককে ঘিরেও নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটল। কিন্তু এই কাহিনীর সব আলো কেড়ে নিল সৈকত নামের ছেলেটি, যে কিনা অর্থের অভাবে ঈদে বাড়ি যেতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত কি সে বাড়ি যেতে পারবে, দেখা করতে পারবে বাবা মায়ের সাথে নাকি একা একা বিশাল এক স্কুলে ঈদের আনন্দের বদলে চোখের জল ফেলে কাটাতে হবে? দারুণ ইমোশনাল একটা গল্প। ফিনিশিংটা যেমন পাঠককে কাঁদাবে, তেমনি মুখে হাসিও ফোটাবে। কিশোর পাঠকেরা গোটা কাহিনীর সাথে নিজেদেরকে রিলেট করতে পারবে, আর বড়রাও ফিরে যাবে তাদের ফেলে আসা কৈশোরে।