User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "ভূতের বাচ্চা সাপুফো" কাহিনী সংক্ষেপ : 'কিরা মাতা লেকাসো ফা?'- (আসলে হয়েছেটা কি?) 'মাকাসো ফামা নাসো!'- (নিশ্চয়ই ভয়াবহ কিছু!) ভূতের রাজ্যে এমন গুনগুনানি অার মুখরোচক গল্পের কানাঘুষো চলছে। রাজা রাণী ভীষণ দুশ্চিন্তায় অাছেন তাদের একমাত্র ভূত রাজপুত্র কিনা দেখতে একদম মানুষের মত বিচ্ছিরি চেহারার! যাকে নিয়ে ভূত রাজ্যে চলা মুশকিল। যদি মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য সুন্দর লাল মার্বেল চোখ, কুচকুচে কালো গায়ের রং, লাউয়ের মত লম্বা মাথা অার হাতির কানের মত কানই না থাকে তবে তো সে ভূত জাতির কলঙ্ক। রাজ্যের সম্মান অার ভালোর কথা চিন্তা করে রাজ্যের সব জ্ঞানী অার বিজ্ঞদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হল এ ভূতের বাচ্চাকে এ রাজ্যে রাখা যাবে না। তবে ভূত রাজার ছেলে বলে কথা, কোথায় থাকবে সে? রাজপুত্র সাপুফো কে সাইলাস ভূত নিয়ে গেল মানুষের রাজ্যে। মানুষের রাজ্য এসে কেমন করে কাটছে তার দিন, সাপুফো কী অার ভূতের রাজ্যে ফিরে যেতে পারবে? নাকি ভূত জাতির কলঙ্ক হিসেবে মানুষের রাজ্যেই থাকতে হবে? এসব জানতে হলে অবশ্যই অসম্ভব মজার এ বইটা পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
বই: ভূতের বাচ্চা সাপুফো জনরা: শিশুতোষ উপন্যাস লেখক: বদরুল মিল্লাত প্রকাশক: জিনিয়াস পাবলিকেশন্স প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৬ পৃষ্ঠা: ৭৯ প্রচ্ছদ: সাজিদ শুভ মুদ্রিত মূল্য: ১৫০৳ কাহিনী সংক্ষেপ : 'কিরা মাতা লেকাসো ফা?'- (অাসলে হয়েছেটা কি?) 'মাকাসো ফামা নাসো!'- (নিশ্চয়ই ভয়াবহ কিছু!) ভূতের রাজ্যে এমন গুনগুনানি অার মুখরোচক গল্পের কানাঘুষো চলছে। রাজা রাণী ভীষণ দুশ্চিন্তায় অাছেন তাদের একমাত্র ভূত রাজপুত্র কিনা দেখতে একদম মানুষের মত বিচ্ছিরি চেহারার! যাকে নিয়ে ভূত রাজ্যে চলা মুশকিল। যদি মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য সুন্দর লাল মার্বেল চোখ, কুচকুচে কালো গায়ের রং, লাউয়ের মত লম্বা মাথা অার হাতির কানের মত কানই না থাকে তবে তো সে ভূত জাতির কলঙ্ক। রাজ্যের সম্মান অার ভালোর কথা চিন্তা করে রাজ্যের সব জ্ঞানী অার বিজ্ঞদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হল এ ভূতের বাচ্চাকে এ রাজ্যে রাখা যাবে না। তবে ভূত রাজার ছেলে বলে কথা, কোথায় থাকবে সে? রাজপুত্র সাপুফো কে সাইলাস ভূত নিয়ে গেল মানুষের রাজ্যে। মানুষের রাজ্য এসে কেমন করে কাটছে তার দিন, সাপুফো কী অার ভূতের রাজ্যে ফিরে যেতে পারবে? নাকি ভূত জাতির কলঙ্ক হিসেবে মানুষের রাজ্যেই থাকতে হবে? এসব জানতে হলে অবশ্যই অসম্ভব মজার এ বইটা পড়তে হবে। নিজস্ব মতামত : বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত কারনে বই থেকে দূরে থাকতে হয়েছে, এমনকি টাইমলাইনের ছোটগল্প গুলোতেও চোখ বোলানের সময় বা ইচ্ছা হয় নি। পিডিএফ পড়ার মত ধৈর্যশীল না হলেও অনলাইনে স্যারের টাইমলাইন থেকে ঠিকই একবসায় পুরো উপন্যাস শেষ করে উঠলাম। দীর্ঘ বিরতির পর এমন মজার গল্প ছোটবেলার মধুর স্মৃতি মনে করিয়ে দিল যেন। ভূতের ভাষায় মত অামাদেরও নিজস্ব কিছু মনগড়া ভাষা ছিল যেমন, নাকি স্বরে টুনি যোগ করা 'কেঁটুনি মঁটুনি নঁটুনি অাঁটুনি ছঁটুনি'- (কেমন অাছ?) অাবার কখনোবা সব শব্দ 'ল' দিয়ে উচ্চারন করা। "লুলি লি লল?" - (তুমি কি কর?) ভূতের বাচ্চা সাপুফোর গল্পটা তাই কেবল বাচ্চাদের না বড়দের স্মৃতিচারনের। মনের প্রশান্তি নিতে নিজে পড়ুন ভবিষ্যৎ পাঠক তৈরিতে বাচ্চাদের বই পড়ায় উৎসাহ দিন। গল্পটা খুব দ্রুতই যেন শেষ হয়ে যায়! তাই পাঠক প্রিয়তা অার ভালোবাসায় 'ভূতের বাচ্চা সাপুফো' এর সিকুয়েল হিসেবে এবারের বই মেলায় বের হয়েছে "সাপুফো ও সাইলাসের অদ্ভুতুড়ে অভিযান" লেখক পরিচিতি: লেখক বদরুল মিল্লাত মূলত একজন অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। দীর্ঘ তিরিশ বছর দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। পেশা সূত্রে এবং বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ভ্রমন করছেন পাঁচটি মহাদেশের তিরিশটি বিশ্বের দেশে। সে সব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি লেখার অনুপ্রেরণা নেন।
Was this review helpful to you?
or
ভূতের বাচ্চা সাপুফো (শিশুতোষ তবে সব বয়সীদেরই ভাল লাগবে) ভূতের রাজা রাণীর একটা পুত্র সন্তান হয়েছে। কিন্তু ওটা দেখতে এতোই কুৎসিত আর বিশ্রী হয়েছে যে, তাকে ‘ভূত জাতীর কলঙ্ক’ হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। দেখতে তাকে একটা মানুষের বাচ্চার মতো মনে হয়! তার চোখগুলি টেনিস বলের মতো বড় বড় না, ছোট ছোট, কানগুলি হাতির মতো বিশাল না, ছোট ছোট, মাথার আকারটা লাউয়ের মতো লম্বাটে না, গোলগাল, গায়ের রঙ কুচকুচে কালো না, দুধে আলতায় মেশানো... কি বিশ্রী, কি বিশ্রী...! এমন ভূত জাতীর কলঙ্ককে ভূত রাজ্যে রাখা যাবে না বলে রাজ্যের সব জ্ঞানী ভূত এবং মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাকে মানুষের কাছে দিয়ে আসতে হবে। তাই একদিন সাইলাস নামের রাজার সবচেয়ে কাছের ভূত, ভূতের বাচ্চা সাপুফোকে তার তিন মাস বয়সে মানুষের লোকালয়ে রেখে আসতে চলল। দেড় বছরের ইউশী বাবা মায়ের সাথে পার্কে বেড়াতে গিয়ে গাছ গাছড়ার ভেতরে সাপুফোকে দেখে বলে উঠলো, ‘মাম্মা, পাপা, একতা বেইবী...ওকানে...ওকানে... আমি বেইবীটাকে নেব।‘ সারিকা আর রাশেদ এগিয়ে গিয়ে ঠিকই দেখেন গাছপালার ভেতরে বসে খুবই সুন্দর ছোট্ট একটা বাচ্চা পাতা নিয়ে খেলছে, ছেলেটা ওদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিল। সাপুফোকে ইউশীদের বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। সাপুফো যে ভূত এটা ইউশীর বাবা মা ছাড়া আর কেউই জানে না। সাপুফো মানুষের বাড়িতে মানুষের মতোই বড় হতে লাগলো। সে তার নুতন বাবা মা’কে ইউশীর মতোই মাম্মা, পাপা ডাকে, তারাও সাপুফোকে খুবই আদর করেন। ভূতরা খেয়ে, ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করে না, তা না হলে তাদের প্রধান কাজ - মানুষকে ভয় দেখাবে কখন? কিন্তু সাপুফো যেহেতু মানুষের বাড়িতে বড় হচ্ছে, সে খাওয়া, ঘুমানো শিখে গেছে, ইউশীর সাথে স্কুলেও ভর্তি হয়েছে। প্লে-গ্রুপে ওরা ‘এলোমেলো পি’ ছড়াটা শিখেছে। তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার হলো পিৎজা আর কোক। কি মজার ব্যাপার, মাম্মা একটা ফোন করে দেন, আর একটা লোক কিছুক্ষণের মধ্যেই পিৎজার প্যাকেট নিয়ে হাজির হয়! মানুষের মতো থাকলেও সাপুফো ভূতদের প্রায় সব কিছুই জানে, তাই বাসায়, স্কুলে, খেলার মাঠে নানা ধরণের মজার কান্ড ঘটতে থাকে।