User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বিদীর্ণ দর্পণে মুখ’ কাব্যগ্রন্থের কবিতায় কবি পাখি, বাতাস, নদীর নিবাস কোথায় জিজ্ঞেস করতে করতে একদিন আয়নায় নিজের মুখ দেখে হঠাৎ নিজেই প্রশ্ন করেনÑ কোথায় নিবাস? মূলত এ প্রশ্ন আত্মজিজ্ঞাসু সব মানুষেরই। ধর্মেও বলা আছে, নিজেকে চেনো। লালন বলেছেন, ‘একবার আপনারে চিনতে পারলে রে, যাবে অচেনারে চেনা!’ আহসান হাবীবের দার্শনিকতা এভাবেই নির্দিষ্ট বলয় ভেঙে সামগ্রিক রূপ লাভ করেছে। আহসান হাবীব শব্দসচেতন কবি। শব্দ ব্যবহারে তিনি বিশেষ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তিনি তাঁর প্রথম কিছু কবিতায় বিদেশী বা তৎসম শব্দের প্রয়োগ করলেও পরবর্তী সময়ে তা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সহজ, সরল ও আটপৌড়ে শব্দে তাঁর কবিতার অবয়ব নির্মাণ করেন। দুর্বোধ্য কবিতার যুগ থেকে কবিতাকে আধুনিকায়নে আহসান হাবীব শিকের ভূমিকা পালন করেন। ‘তাঁর সহজ, সরল, আটপৌড়ে শব্দাবলির গভীরে অবতরণের পর কবিতার তাৎপর্যগত অনুভব কবিতা পাঠকের জন্য অনেক সময়ই আনন্দের হয়ে ওঠে। সহজ, সরল ও সাধারণ শব্দও পাঠককে বোধের গভীরে নিয়ে যায়। ট্রিটমেন্টের গুণে আপাতবিচারে সামান্য তখন অসামান্য হয়ে ওঠে। ব্যবহারিক ব্যঞ্জনায় আটপৌড়ে কিছু গ্রামীণ শব্দকে তিনি যেমন অসামান্য করে তুলেছেন, তেমনি কিছু শব্দকে নিজস্ব শব্দাবলিতে পরিণত করেছেন, যেগুলো তাকে চিনিয়ে দিতে সাহায্য করে। শব্দের এই গুণমাত্রিক ব্যবহার তিনি তাঁর কবিতায় সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন, বিশেষ করে পরিণত পর্যায়ে।’ এ ছাড়াও ‘তাঁর কবিতায় অলঙ্কার, চিত্রকল্প ও ছন্দের যথার্থ প্রয়োগ তাঁর ভাষাকে করেছে ঋজু, প্রাঞ্জল ও শিল্পিত।’ তিনি অলঙ্কার প্রয়োগে ছিলেন সাবধানী ও কুশলী। তাঁর চিত্রকল্প প্রতীক ধর্মীতায় ভাস্বর। সত্যিকারের কবিতা সৃষ্টির জন্য তিনি ছন্দ ব্যবহারে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর কবিতায় অরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত, গদ্যছন্দ ও মিশ্রছন্দে তাঁর শক্তিমত্তার পরিচয় বহন করে। আহসান হাবীবের কবিতা বহুলপঠিত ও নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ষাট দশক থেকে তাঁর কবিতা বিভিন্ন শ্রেণীতে পাঠ্য করা হয়।