User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ফালতু অনুবাদ। আগা মাথা কিছুই পাবেন না
Was this review helpful to you?
or
ব্রাজিলিয়ান জনপ্রিয় লেখক পাওলো কোয়েলহোর বেস্ট সেলার বই দ্য আলকেমিস্ট। ৮০ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে বইটি। বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ মিলিয়ন কপি। সান্তিয়াগো নামের এক ছেলেকে নিয়েই গল্পটির শুরু। সে একজন মেশ পালক। সান্তিয়াগো তাঁর বাবাকে জানায়, সে পৃথিবী ঘুরে দেখতে চায়। দেখতে চায় মিশরের পিরামিড। সে জন্য মেষ পালক হতে চায়। তাঁর বাবারও এক সময় এই ইচ্ছা ছিল। সান্তিয়াগো মেষ চড়াতে শুরু করে। দেখতে থাকে বিভিন্ন শহর। মেষের লোম বিক্রি করতে গিয়ে একবার একটি মেয়েকে পছন্দ হয়ে যায় তাঁর। মেয়েটিকে নিয়ে ভাবে সারাক্ষণ। এক বছর আগে তাঁকে দেখেছিল। আর ৩ দিনের পথ পাড়ি দিলে আবার দেখতে পারবে তাঁকে। এই চিন্তা মাথায় নিয়ে একটি ভাঙ্গা গির্জার পাশে গাছের নিচে শুয়ে পড়ে সান্তিয়াগো। রাতে স্বপ্ন দেখছে, একটি বাচ্চা তাঁকে গুপ্তধনের সন্ধান দিচ্ছে। এগেও কয়েকবার দেখেছে এই স্বপ্ন সে। স্বপ্নের ব্যখ্যার জন্য এক মহিলার কাছে যায়। মহিলাটি জানায়, গুপ্তধন পেতে হলে যেতে হবে মিশরে। পিরামিডের পাশে খুজলেই পাবে গুপ্তধন। আর যদি গুপ্তধন পেয়ে যায় তাহলে ১০ ভাগের ১ ভাগ দিতে হবে স্বপনব্যখাকারীকে। সেখান থেকে বেড়িয়ে গুপ্তধনের কথা ভুলে মেয়েটিকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। এমন সময় এক বৃদ্ধ তাঁর সাথে কথা বলতে চায়। বৃদ্ধের পোষাকের অবস্থা ভালো না। তাই তাঁর সাথে কথা বলতে মন সায় দেয়না ছেলেটির। বৃদ্ধ জানায় সে একজন রাজা। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বৃদ্ধ সান্তিয়াগোকে তাঁর লক্ষে পৌছানোর জন্য উথসাহ দেয়। ছেলেটি তাঁরা সকল ভেড়া বিক্রি করে গুপ্তধনের পেছনে ছোটে। এর মধ্যে মেয়েটিকে ভুলে গেছে সান্তিয়াগো। সব বিক্রি করে বেড়িয়ে পড়েছে স্বপ্নের খোঁজে। প্রথম দিনেই ধান্দাবাজের পাল্লায় পড়ে হাড়িয়ে বসল সব। বাধ্য হয়ে কাজ নেয় সিরামিকের দোকানে। বছরখানেক কাজ করে বেশ কিছু টাকা পয়সা অর্জন করেছে। এবার বাড়ি ফিরতে চায়। শুরু করতে চায় আবার মেষ চড়ানো। কাজ ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ে আগের ঠিকানার উদ্দেশ্যে। আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে পুরনো স্বপ্ন। বাড়ি না ফিরে চলতে শুরু করে মরুভূমির দূর্গম পথ ধরে পিরামিডের দেশে। সেখানে যাওয়ার পথে দেখা হয় একজন ইংরেজের সাথে। যে দশ বছর ধরে খুজছে একজন অ্যালকেমিস্টকে। তাঁর কাছে থেকে শিখবে কিভাবে যে কোন বস্তুকে সোনায় পরিণত করা যায়। পথে থেমে যায় তাঁরা। যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এগানো যাবেনা সামনে। সেখানে সান্তিয়াগোর দেখা হয় ফাতিমা নামের অপরুপ সৌন্দর্যের একটি মেয়ের সাথে। দেখেই প্রেমে পরে ছেলেটি। ফাতিমার কাছ থেকে অ্যালকেমিস্টের খোঁজ পাওয়া যায়। ইংরেজ ভদ্রলোক দেখা করে তাঁর সাথে। অ্যালকেমিস্ট তাঁকে জানায় ১০ বছর আমাকে না খুঁজে নিজে চেষ্টা করলেই বানাতে পারতে পরশপাথর। এখন যাও। গিয়ে কাজে লেগে পড়। তুমি নিজেই পাড়বে। কয়েকদিন পরে সান্তিয়াগো দেখল দুটি পাখি মারামারি করছে। বুঝলো এখানে বিপদের সম্ভবনা আছে। জানালো গোত্রপতিকে। আসলেই সত্যি হলো তাঁর ভবিষ্যৎবানী। সান্তিয়াগোকে পুরষ্কৃত করে একটি পদে নিযুক্ত করা হলো। এবার সান্তিয়াগো ঠিক করে ফেলেছে, সে ফাতেমাকে বিয়ে করে স্থায়ী হয়ে যাবে মরুর দেশে। ফাতিমাকে জানায় সে কথা। ফাতিমা তাঁকে বলে, আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। তুমি তোমার লক্ষ অর্জনের জন্য এগিয়ে যাও। অ্যালকেমিস্টকে সাথে নিয়ে সান্তিয়েগো বেড়িয়ে পড়ে। পথে আটকায় তাঁদের। বাঁচার জন্য অ্যালকেমিস্ট দস্যুদের বলে, এই ছেলেটি বাতাস হয়ে তোমাদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে। তাঁরা তাচ্ছিল্যের সুরে জানায়, ৩ দিন সময় দিলাম। বাতাস হয়ে দেখা। আসলে কিন্তু বাতাস হতে জানেনা সে। অ্যালকেমিস্ট বলে, তুমি মন থেকে চাইলে বাতাসে পরিণত হতে পারবে। তৃতীয় দিন সত্যি সান্তিয়াগো বাতাসে পরিণত হয়। ছেলেটি অ্যালকেমিস্টকে প্রশ্ন করে, তুমি সব কিছুকে সোনায় পরিণত করোনা কেন? সে জানায়, লোহার কাজ লোহা করবে, সোনার কাজ সোনা। সবকিছু সোনায় পরিণত হলে লোহার কাজ কে করবে। তাছাড়া সব সোনা হলে সোনার দাম তো লোহার থেকে কমে যাবে। এরপর সান্তিয়াগোকে একা ছেড়ে চলে আসে অ্যালকেমিস্ট। খুড়তে থাকে পিরামিডের পাশের মাটি। সেখানে আবার ধরা পড়ে সে দস্যুদের হাতে। আসলেই কি গুপ্তধন আছে সেখানে? সেই গুপ্তধন পেয়েছিল সান্তিয়াগো? সে কথা আর না বললাম। পড়েই জানুন। এই গল্পে প্রচুর শিক্ষানীয় বিষয় আছে। তাই সবারই পড়া উচিৎ। স্বপ্ন দেখে ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে সেমত কাজ করতে হবে। সেই কাজের মধ্যে থাকবে হতাশা, আসবে নানা বাঁধা। সকল বাঁধা পেরিয় এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ :০৬ বই বিবরণ : নাম:দ্য অ্যালকেমিস্ট লিখা:পাওলো কোয়েলহো অনুবাদ :রাকিবুল রকি প্রচ্ছদ :অমর্ত্য আতিক প্রকাশনী :চর্চা গ্রন্থ পৃষ্ঠা সংখ্যা:১১১ মূল্য :১৮০টাকা প্রথমেই বলবো লেখক পাওলো কোয়েলহোকে নিয়ে।যার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট ব্রাজিলে।১৯৭০সালে কোয়েলহো তার পড়াশুনো বাদ দিয়ে ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন।মেক্সিকো, পেরু,বলিভিয়া, চিলি সহ ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ঘুড়ে বেড়ান। তারপর ই লেখালিখি শুরু করে দেন।তার লিখা এই দ্য অ্যালকেমিস্ট বইটি এ পর্যন্ত ৮০ ভাষায় অনুবাদ হয়েছে এবং ১৫০মিলিয়ন কপির অধিক বিক্রি হয়েছে।দ্য অ্যালকেমিস্ট এমন এক জাদু করি বই যা পড়ে মানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা পেয়েছে। সারসংক্ষেপ : ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো।যার কাজ হচ্ছে ভেড়ার পাল চড়ানো মাঠে মাঠে।যদিও তার মূল উদ্দেশ্য দেশে দেশে ঘুড়ে বেড়ানো। তার বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিলো সান্তিয়াগো ধর্মযাজক হবে।তাদের সব স্বপ্নে পানি ঢেলে সে বেড়িয়েছে পৃথিবীকে জানার জন্য।ঈশ্বর এবং মানুষের পাপের চেয়ে পৃথিবী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ছিল তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অধিকতর আকর্ষণীয়। সেই থেকেই সে ভেড়া নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছে এক দেশ থেকে এক দেশে চলে যায় ভেড়া নিয়ে আর সাথে থাকে বই।ভেড়ার পশম বিক্রি করেই তার জীবন চালায় সান্তিয়াগো। একদিনের ঘটনা ------ সন্ধ্যা নামছে।সে তার ভেড়ার পাল নিয়ে এক পরিত্যক্ত গির্জায় আশ্রয় নিলো।গির্জার ছাদ ভেঙে গেছে অনেকটাই।যে জায়গায় একদিন ধার্মিকের পদচারণায় মুখর ছিলো আজ সে জায়গায় সাইকামোর গাছ মাথা উঁচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।আজকের রাতটা এই গির্জায় ই পার করার সিদ্ধান্ত নিলো সান্তিয়াগো।তার হাতে থাকা চিকন বইকে বালিশ হিসেবে আর সাথে থাকা জ্যাকেট কে কাথা হিসেবে ভালই কাজে লাগায় সান্তিয়াগো।হুট করেই ঘুম ভেঙে গেলো অসম্পূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে।এর আগেও এই স্বপ্নটি দেখেছিলো তখন ও সেটি অসম্পূর্ণ ছিলো।রাতের অল্প বাকি আর। শোয়া থেকে উঠে বসলো সান্তিয়াগো জানে এখন আর ঘুম আসবে না তার।ভেরা গুলিকে জাগিয়ে হাটা দিলো পশম বিক্রির উদ্দেশ্যে, হুট করেই মন পড়ে গেলো তায়িফায় এক বৃদ্ধ মহিলার কথা যে কিনা স্বপ্নের মানে বলতে পারে। বুড়ির কাছে সান্তিয়াগো স্বপ্নের মানে জানতে চাইলে বুড়ি তার হাতের মাঝে সান্তিয়াগোর হাতটি নিয়ে নিঃশব্দে প্রার্থনা করতে লাগলো।ছেলেটির কাছে মনে হলো বুড়ি জিপসি লোকেদের মতো।যারা কিনা লোকদের ঠকিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।বুড়িটি হাত থেকে চোখ না সরিয়েই বলে "বড় উদ্ভুত ব্যাপার"।ছেলেটি খুব ভয় পেয়ে যায়। তার কাছে স্বপ্নটা এখন তুচ্ছ মনে হতে থাকে।বুড়িটি ছেলেটিকে বলে স্বপ্নটা বিস্তারিত বলার জন্য।ছেলেটি বলতে শুরু করে--- আমি দেখলাম,মাঠে ভেড়া চড়াচ্ছি, তখন এক বাচ্চা এসে ভেড়া ভুলোর সাথে খেলা করতে লাগলো।আমি যা একেবারেই পছন্দ করিনা,কারণ ভেড়া অপরিচিত লোক দেখলেই ভয় পেয়ে যায়।অথচ এই বাচ্চাটা ভেড়াদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশে গেছে দেখে মনে হচ্ছে ওরা অনেকদিনের পরিচিত। বাচ্চাটি কিছু সময় খেলা করার পর বিষণ্ণ হয়ে যায়।হুট করেই বাচ্চাটি আমার হাত ধরে মিশরের পিরামিডের কাছে নিয়ে যায়।বাচ্চাটি বললো তুমি যদি এখানে আসো গুপ্তধন খুঁজে পাবে।তারপর সে যখন গুপ্তধনের জায়গাটি দেখাবে তখন ই আমার ঘুম ভেঙে গেছে।বুড়িটি তাকে বললো যদিও মিশরের পিরামিডের নাম আমি শুনিনি, তবুও বাচ্চাটি তোমায় যেহেতু এটির কথা বলেছে তাহলে সেখানে গুপ্তধন আছে।আর তা পাওয়ার পর তুমি ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হবে।সান্তিয়াগো খুব বিরক্ত হলো এত টুকু কথা শোনার জন্য সে বুড়িকে তার গুপ্তধনের ১০ভাগের এক ভাগ দিতে হবে সেই প্রতিজ্ঞা করলো! সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে পুরনো বইটি বিক্রি করে নতুন মোটা একটা বই কিনলো।নতুন কেনা বইটি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলো আর সন্ধ্যে নামার অপেক্ষায় রইলো।পড়া কিছু দূর যেতেই একেবারে ডুবে গেলো বইটিতে।এমন সময় তার পাশে থাকা এক বৃদ্ধ লোক ছেলেটির সাথে আলাপ জমানোর চেষ্টা করলেন।ছেলেটির চোখ এবার বইয়ে থাকলেও সে ভাবছে পশম ক্রেতার মেয়ের কথা।যে কিনা সান্তিয়াগোর দেখা এক অপরূপ সুন্দরী নারী। মূলত তাকে দেখার জন্যই ছেলেটি সে শহরে যাচ্ছে।আর বৃদ্ধ লোক নানা ভাবে আলাপের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।বৃদ্ধ জানালেন,তার খুব তেষ্টা পেয়েছি। ছেলেটি তার কাছে থাকা ওয়াইনের বোতল বৃদ্ধের দিকে বাড়িয়ে দিলো।আর ভাবলো এবার হয়তো বৃদ্ধ চুপচাপ থাকবে।কিন্তু তার আশায় বালি দিয়ে বৃদ্ধ কথা বলতে আরো আগ্রহী হয়ে উঠলো।তাই সে জানতে চাইলো ছেলেটি কি বই পড়ছে।কিন্তু ছেলেটি বিরক্ত হলেও কিছু বললো না।হাতে রাখা বইটি বৃদ্ধের দিকে বাড়িয়ে দিলো ভাবলো বৃদ্ধ পড়াশোনা জানেনা এমন নাম উচ্চারণ না করতে পেড়ে চুপ করে যাবে।বৃদ্ধ বইটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে বললেন বইটি খুব গুরুত্বপূর্ণ,তবে বিরক্তিকর। ছেলেটি এবার ও হতাশ হলো তার মানে লোকটি পড়াশোনা জানা এবং বইটি সে পড়ে ফেলেছে। এবার ছেলেটি তার প্রতি আগ্রহী হলো, জানতে চাইলো বৃদ্ধ লোকটি কোন জায়গা থেকে এসেছে? লোকটি বললো, আমি অনেক জায়গা থেকে এসেছি। বৃদ্ধ তাকে জানালো সে সালেমের রাজা।ছেলেটি তার দিকে ভালো করে নজর দিয়ে ভাবলো কিছু লোকজন আছে যারা আউল -ফাউল কথা বলে এই লোকটিও বোধহয় তেমন ই। বৃদ্ধ লোকটি বললেন,আমি মেলচিজডিক।তোমার কত গুলো ভেড়া আছে??"যথেষ্ট"ছেলেটি বললো। ভাল।তবে তুমি যদি ভাবো তোমার যথেষ্ট আছে তবে আমি তোমাকে কোনো সাহায্য করতে পারবো না। এবার ছেলেটি বেশ বিরক্ত হলো,সে তো তার কাছে কোনো সাহায্য চায় নি। বরং বৃদ্ধ ই তার কাছে ওয়াইন চেয়েছে।ছেলেটি বৃদ্ধ কে তার বই ফেরত দিতে বললো ভেড়া গুলো নিয়ে সে যাত্রা করবে এই বলে। এক কাজ করো তোমার ভেড়া গুলোর থেকে দশ ভাগের এক ভাগ আমায় দাও বৃদ্ধ বললো।তাহলে তোমাকে আমি গুপ্তধন কোথায় আছে বলে দিব। ছেলেটির স্বপ্নের কথা মনে পড়ে গেলো।ছেলেটি বৃদ্ধকেও জিপসি মনে করতে লাগলে,সে কিছু বলার আগেই বৃদ্ধ বালিতে ঝুকে কিছু একটা লিখিলো।হুট করেই কিছু একটা আলো ছিটকে এলো বৃদ্ধের বুক থেকে যাতে ছেলেটির চোখ ধাঁদিয়ে গেলো।চোখ মেলেই ছেলেটি মাটিতে তার নাম,বাবার নাম,নায়ের নাম,এবং সে এখন যেখানে বসে আছে সেই শহরের নাম দেখতে পেলো।অবাক করা ব্যাপার সে সেখানে ব্যবসায়ীর মেয়ের নাম ও দেখতে পেলো এবং এমন অনেক কথায় দেখতে পেল যা সে কখনো ই কাউকে বলে নি। বৃদ্ধ ছেলেটিকে আরো অনেক কথা বললো সাথে কিছু ঘটনা বলে কথা শেষ করে বই ফিরত দিয়ে দিল।আর পরের দিন ঠিক এক সময়ে এক জায়গায় ছেলেটিকে থাকার জন্য বলে চোখের পলকেই হাওয়া হয়ে গেলো।ছেলেটি বই পড়াই মন দেবার চেষ্টা করলো,কিন্তু পারলো না বার বার বৃদ্ধার কথা গুলোই মনে ভাসতে লাগলো। বৃদ্ধ যথা সময়ে এসে হাজির হলেন, কিছু কথা বলার পর সে ছেলেটির থেকে পাওনা মত ভেড়া দিয়ে দিলো।যদিও ভেড়া গুলিকে ছেড়ে যেতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে।বৃদ্ধ তার বক্ষ্যবন্ধনী থেকে সাদা দুটি পাথর খুলে দিলেন যার একটির বাম "উরিম"অন্যটি"থুমিম"।কালো পাথর মানে "হ্যা"আর সাদা পাথর মানে "না"।যখন কোনো পূর্বাভাস না বুঝতে পারবে তখন এই পাথর ই তোমাকে পথ দেখাবে।তবে তুমি সব সময় এদের বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্ন করবে। সব চেয়ে ভালো যদি তুমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই দাও।ছেলেটি পাথর গুলি ব্যাগে ভরে নিলো আর বললো সে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবো। বৃদ্ধ তাকে আবার মনে করিয়ে দিলেন তার লক্ষ্যের কথা।তাতে হাজারো বাধা এলে যেনো লক্ষ ত্যাগ না করে চেষ্টা চালিয়ে যায়।এই বলে সে চলে গেলো। সান্তিয়াগো ছুটে চললো তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।আচ্ছা সে কি পারবে গুপ্তধনের সন্ধান??নাকি কোনো অজানা ঝড়ে বিলীন হয়ে যাবে??? হুম জানতে ইচ্ছে করছে তাই না??আমি জানতাম জানতে ইচ্ছে করবেই।অদ্ভুত আরো কত্ত চরিত্র আছে,যদি তাদের দেখা পেতে চান তাহলে এই অসাধারণ বইটি পড়ে ফেলেন।আশা করি জীবনের মোড় পাল্টে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
দ্য আলকেমিস্ট বইটি ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর একটি বেস্টসেলার উপন্যাস। যাযাবর হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এক বালকের ভ্রমণযাত্রার কাহিনী সুন্দরভাবে উঠে এসেছে বইটিতে। একসময় সে টারিফার এক বৃদ্ধের কাছে জানতে পারে, মিশরের পিরামিড এলাকায় গুপ্তধন রাখা আছে। সে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সে মুখোমুখি হয় নানা বাধার। সব বাধা কাটিয়ে সে কি পৌছুতে পারবে গন্তব্যে? পাবে কি গুপ্তধনের খোঁজ? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে বইটির পাতায় পাতায়। রোমাঞ্চকর এক উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য আলকেমিস্ট’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সর্বাধিক বিক্রিত পাউলো কোয়েলো এর লেখা অসাধারন একটি অনুপ্রেরনা মুলক উপন্যাস , বইটি কে ভাগ্য অনুসন্ধানের অনবদ্য এক জাদুকরী উপন্যাস বলা হয়ে থাকে । লেখক পাউলো কোয়েলোর জন্ম ব্রাজিলে । তিনি তার অসাধারন লেখালেখির মাধ্যমে অনেক দ্রুত প্রসিদ্ধি লাভ করেন । এছাড়াও বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত লেখক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন । তিনি তার জীবনে বহু অনুপ্রেরনা মুলক বই লিখেছেন । এর স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছেন । তার লেখা অন্যতম সেরা বই । তার লেখা দ্য আলকেমিস্ট বইটি বাংলাতে অনুবাদ করেছেন টাইটান। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালের ফেবুয়ারী মাসে মুক্তচিন্তা প্রকাশনী থেকে । বইটির প্রকাশক শিহাব বাহাদুর । এইরকম বই যুগে যুগে আসে । বইটি পড়লে পাঠকের জীবন বদলে যেতে পারে । বইটি পৃথিবী জুড়ে ২০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে । উপন্যাস টি সান্টিয়াগো নামের আব্দুলেশিয়ান অঞ্চলের এক রাখালের কাহিনী । যে একদম শুন্য হাতে তার ভাগ্য অনুসন্ধানে মিশরের মরুভুমি তে রত্নভান্ডার আবিষ্কার করতে ভ্রমন করতে শুরু করে । সে অদ্ভুত একটি সপ্ন দেখে যা তার সকল চিন্তা ভাবনা কে উলটা পালটা করে দেয় , যার কাছেই সে সপ্নের ব্যাখ্যা চায় সকলেই বলে যে তার গুপ্তধন রয়েছে পিরামিড এর কাছে । বাড়ি স্পেন দেশে ,তার যাত্রা পথে তার সৌভাগ্য হয় একজন আলকেমিষ্ট এর সাথে সাক্ষাত হওয়ার । এরপর কি হয় জানার জন্য পড়তে হবে বই টি । বইটি পাঠক দের কাছে অসাধারন লাগবে এইটা নিশ্চিত এবং বইটি পড়ে পাঠকরা প্রচুর অনুপ্রেরনা পাবেন জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে সেটিও অবশ্যই বলা যায় ।
Was this review helpful to you?
or
পাওলো কোয়েলহোর এই বইটা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে নতুন করে কিছু বলার নেই। গল্প নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না এককথায় দুর্দান্ত। তবে আমি বলবো গল্পটার অনুবাদ নিয়ে। মানে খুব সাবলীল আর মূল ইংরেজি গল্পের সাথে একদম মিল আছে এমন ভাবানুবাদ। যাইহোক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার অভিযান প্রিয়দের মন ভালো করতে পারে এমন এক স্টোরি
Was this review helpful to you?
or
বিশ্বের সাহিত্যজগতে এক অন্যতম সেরা সংযোজন হলো এই 'দ্য আলকেমিস্ট'। ব্রাজিলিয়ান নোবেলজয়ী সাহিত্যিক পাওলো কোয়েলহোর এই উপন্যাসটি সম্বন্ধে কোনো বিশেষণ ব্যবহার করতে চাইলে শুধু 'অসাধারন' কথাটাই যথেষ্ট। একই বইয়ে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার মূলক যাত্রা, জাদুকরী কাহিনীর সমাবেশ ও দার্শনিক চিন্তাধারা যতোটা সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। যেকোনো ধরণের পাঠকের খোরাক মেটাতে সক্ষম। অনুপ্রেরণাদায়ক এই বইটি সকলের অবশ্য পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই ঘটে,,,এসব ঘটনার বাস্তব চিত্র এই বই।শুধু তাই নয় জীবনের কিছু চরম সত্য জানতে পারবেন এই বই থেকে।এমন বইই সবারই পড়া উচিত। তবে মরুভুমির ঘটনা গুলো মাঝখানে কিছুটা বিরক্ত করেছিলো,,,সেগুলো আমার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হয় নি।তবুও অনেক সুন্দর একটি বই।পড়ার সুযোগ হলে কেউ মিস করবেন না
Was this review helpful to you?
or
বইটি সম্পর্কে পত্রিকায় পড়েছিলাম।বইটি সম্পর্কে পড়ে রকমারিতে অর্ডার করি।বইটি এক কথায় অসাধারণ।অনেকসময় অনুবাদ বই ভাষান্তর এর জন্য পড়তে ভালো লাগে না।কিন্তু এই বই এ তা হয় নি।সবকিছু মিলে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে এই বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য আলকেমিস্ট' বইটির কাহিনী একটি বালককে নিয়ে যে ভেড়ার রাখাল । সে একটা স্বপ্ন দেখে যে তার জন্য মিশরের পিরামিডের কাছে গুপ্তধন রাখা আছে। স্বপ্নে একটি শিশু তাকে সেটা বলেছে। টারিফার এক বৃদ্ধা মহিলার কাছে এসে সে তার দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা চায় । মহিলাও তাকে বলে যে তার সম্পত্তি মিশরের পিরামিডের কাছে আছে। টারিফায় এক বৃদ্ধলােকের সাথেও তার পরিচয় হয়। যে সালেমের রাজা। বৃদ্ধরাজাও বলে তার সম্পত্তি মিশরে পিরামিডের কাছে রাখা আছে। সে সেই স্বপ্নকে বিশ্বাস করে রাখালী জীবন ছেড়ে গুপ্তধন অনুসন্ধান করতে মিশরে যেতে চায়। মিশর আফ্রিকায় অবস্থিত। তাকে আফ্রিকা যেতে হবে । আফ্রিকার বন্দর শহর তানজিয়ারে সে আসে । তানজিয়ারে এসে সে প্রথমে তার টাকা-পয়সা হারায়, তারপর কাচ-বণিকের দোকানে কাজ করে টাকা অর্জন করে। সেখান থেকে সে দেশে ফিরে যাবার চিন্তা করে । কিন্তু আবার সেই স্বপ্ন মিশরের পিরামিডের কাছে যাবার-যেখানে তার গুপ্তধন আছে। সে কাফেলায় মরুভূমি অতিক্রম করে মিশর যাবে । মরুদ্যানের মধ্যেই সে তার প্রেমিকার খোজ পায়, একজন আলকেমিস্টের সাথে পরিচয় হয়, একজন উটচালকের সাথে কথা হয়। এই যে পরিচয় আর তার অভিজ্ঞতা তাকে অন্যরকম মানসিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে, যেখানে সে বাতাসের সাথে কথা বলতে পারে, কথা বলতে পারে সূর্য, বালি এমনকি প্রকৃতি সবকিছুর সাথে...
Was this review helpful to you?
or
Eto Baje Anubad ami jibone porini.........