User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুখপাঠ্য বই।
Was this review helpful to you?
or
কবিতাকে শেষপর্যন্ত নৈরাশ্যের জায়গায় নয়, আশার জায়গায় উত্তীর্ণ করে তুলতে হবে– এরকম একটি ধারণায় সম্ভবত তিনি আশাকে, স্বপ্নকে কবিতাসমূহে আরোপ করেছেন। সেই আশা, সেই স্বপ্নের কথা, রাত্রিশেষের চূড়ান্ত বার্তা পাওয়া যায় 'রেড্ রোডে রাত্রিশেষ' নামক কবিতায় এবং এটিই এ গ্রন্থের শেষ কবিতা। যেখানে কবি বলেছেন- "নদীর জলে ঝলকে উঠবে মুক্তি,/ বন্যা আসবে রেড্ রোডের প্রান্তে/ কেন না/ এদিকে আবার জাগবে নতুন সূর্য।" ১৯৪৭ এ দাঁড়িয়ে কবি কোন নতুন সূর্যের কথা, কোন মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন- স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা আলোচনা করতে গেলে সে সময়কার সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আনতে হবে। তখনকার উপনিবেশিকতা ও সামগ্রিক বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে অবশ্য সহজেই অনুমেয় কবির সেই কাঙ্খিত রাত্রিশেষের কথা।
Was this review helpful to you?
or
১৯৪৭ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাত্রিশেষ’ প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতা থেকে। রাত্রিশেষের কবিতাগুলো ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৬ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল। বাঙলা কবিতা যখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিবর্তন, পরাধীনতা, বৈষম্য, দাঙ্গা ও মহামারী, ছাড়াও রাজনৈতিক জটিলতার মধ্যে আবর্তিত সে সময় বাংলাদেশের বরেণ্য আধুনিক ধারার ঔপন্যাসিক, গল্পকার সৈয়দ ওয়ালীউল্ল্যাহর প্রকাশনা সংস্থা কমরেড পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থে আহসান হাবীব সমকালীন সমাজের জীবনযাপনের নানান অনুষঙ্গ গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে চিত্রিত করেছেন তার লেখনিতে। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশের প্রথম উল্লেখযোগ্য কবিতা সংকলন ‘নতুন কবিতা’র মধ্য দিয়ে যে নতুন পথ নির্মাণ হয় সে সময়ে সংকলনের সব কবিতাই নতুন আধুনিকতার প্রতিনিধি ছিল। তাদের রচনাতে ভাষার দক্ষতা, রুচিবোধ, বিষয় বৈচিত্র্যতা নতুন আঙ্গিকে উঠে আসে। পরবর্তীতে নতুন কাব্যর নিজস্বতার পথ ধরে কাব্য সংকলনের দিক নির্দেশনায় এগিয়ে গেছে কবিদের কাব্য আন্দোলন।বাংলা কবিতার ক্রমবিকাশের পথ ধরে তিরিশোওর কালের কবিতার ধারায় কবি আহসান হাবীব এক অনিবার্য নাম। প্রথম প্রকৃত আধুনিক কবি হিসাবে তিরিশের আধুনিক চিন্তাশৈলী, স্বতন্ত্র কাব্যভাষা ও তার পথ ধরে কবিতায় অনন্ত দর্শন ও কাব্যও আধুনিক মননশৈলী নির্মাণে আহসান হাবীব নতুন পথ সৃষ্টি করেছিলেন। পঞ্চাশের কাব্য আন্দোলনের উওর পুরুষ হিসেবে আধুনিক কবিতার উওরাধিকার অনিবার্য করে তুলে ছিলেন আহসান হাবীব। কবিতায় জীবন দর্শনের শিল্পরীতি, চৈতন্যে জুড়ে তীব্র দহন, অস্তিত্বের সংকট, মধ্যবিও জীবনের আকাক্সক্ষার স্বরূপ নির্মাণে নিজস্ব শক্তিমত্তায় ঋদ্ব করেছেন আহসান হাবীব। কবি হুমায়ুন আজাদ এক মূল্যায়নে আহসান নিয়ে বলেছেন- ‘আহসান হাবীবের কবিতাই আমাদের আধুনিকতা চর্চার প্রকৃত সোপান তৈরি করেছেন। তিরিশের কবিরা কবিতায় যে রবীন্দ্রোত্তর ধারা প্রবাহিত তরেছেন আহসান হাবীব তাতে অবগাহন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আহসান হাবীব তার রচনাকর্মে আশাবাদ, সচেতনতা, ভাষাশৈলীতে আধুনিকতার সজ্ঞাকে মুক্ত ও সম্প্রসারিত করেছেন। কবি হিসেবে বরেণ্য কেবল আমাদের কাছে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কারণে নয়, তিরিশোত্তোরকালে আবির্ভূত তিনিই আমাদের শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবিদের একজন’।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-রাত্রিশেষ জনরা-কবিতা কবি-আহসান হাবীব মোট কবিতা-২৭ পৃষ্ঠা-৭২ মূল্য-১২৫ আহসান হাবীব একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী কবি ও সাহিত্যিক। তিনি চল্লিশের দশকের অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশের আধুনিক কবিতার পথনির্মাতাদের মধ্যে আহসান হাবীবের ভূমিকা অন্যতম। তিরিশের কাব্যধারা এবং চল্লিশের প্রগতিবাদী জীবনচেতনার সমান্তরালে তিনি ঐতিহ্য, মিথ এবং সমাজভাবনায় স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার কবিচৈতন্য একেবারে প্রথম থেকেই সভ্যতা আর শিল্প স্পর্শ করে বার বার আন্দোলিত হয়েছে। বাংলা কবিতার মূল ঐতিহ্য বা সমকাল কবিদের থেকেও গভীর সত্তা স্থাপনের অধিকারী ছিলেন তিনি। সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় বিচরণ করলেও কবিতাই ছিল তাঁর মূল আগ্রহের জায়গা। তাঁর প্রথম কবিতার বই 'রাত্রি শেষে' প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে কমরেড পাবলিশার্স থেকে। প্রকাশক ছিলেন বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।এতে তিরিশোত্তর কাব্যধারা এবং সমকালীন প্রগতি সম্পন্ন চিন্তাধারা যেমন সুস্পষ্ট হয়ে ধরা পরেছে, তেমনি নতুন স্বপ্ন নির্মাণের আকুতিও প্রকাশ পেয়েছে। আহসান হাবীবকে বলা হয় মৃদুভাষী কবি। সাহিত্যের বিষয় হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন দেশ, মাটি, মানুষ, প্রকৃতিও প্রেম। নিরীহ মানুষের জীবন, বৈষম্য, বণ্টন, পরাধীনতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রভৃতি বিষয় ফুটে উঠেছে 'রাত্রি শেষে' কাব্যে। এই কাব্যে মোট কবিতা ২৭ টি। "রাতের পাহাড় থেকে খ’সে যাওয়া পাথরের মত অন্ধকার ধসে ধসে পড়ছে। এখানে এই বিশাল পথ জড়িয়ে অন্ধকার প’ড়ে আছে দীর্ঘকায় সাপের মত। তার দেহে লাগলো মৃত্যুর মোচড়। নদীর জলে ঝলকে উঠবে মুক্তি, কেননা এদিকে আবার জাগবে নতুন সূর্য" -(রেড রোডে রাত্রিশেষ) রাত্রিশেষ রচনার সময়ের ক্ষুদ্ধতা উপেক্ষা করে, কবিকে করে তুলে আশাবাদী "ভেসে যায় সে প্রবাহে একক অথর্ব জীবনের দুস্তর দুঃসহ বাধা। এক স্বপ্ন সহস জনের।" -(‘মুত্যু’) পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি হয়ে নতুন সমাজগঠনের স্বপ্নও তার কবিতায় উদ্দীপিত হয়। ‘দ্বারপ্রান্তে তোমাদের বন্দী আমি দুই শতকের আমার আত্মার তলে অগ্নিশিখা সাতান্ন সনের আজো অনির্বাণ’, -('সেতু-শতক’) প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি বারবার আশায় উদ্দীপিত হয়েছেন। ‘এই নিয়ে বারবার নতুন দিনের বাসনায় বেঁধেছি অনেক বাসা মৃত্যুমুখী দিনের সীমায়।’-(ঝরাপলাশ) ‘ঝরাপালকের ভস্মস্তূপে তবু বাঁধলাম নীড় তবু বারবার সবুজ পাতার স্বপ্নেরা করে ভীড়।’ ('এই মন-এই মৃত্তিকা’) এছাড়াও উল্ল্যেখ যোগ্য কবিতা হলো, কাশ্মির মেয়েটি, বাইশে শ্রাবণ, অপঘাত, হাসি, কয়েদি প্রভৃতি। দারিদ্র্যের মুখোমুখি প্রখর আত্মমর্যাদা বোধে দীপ্ত এ মানুষটিকে অকৃত্রিমভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে ‘রাত্রিশেষ’-এর কবিতায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থেই নৈরাশ্য অতিক্রম করে আশার বানী শুনিয়েছেন। সমাজ জীবনের দ্বন্দ্ব জটিল বিবর্তন একের পর এক কবিতায় রূপান্তরে সমর্থ হয়েছেন। সাহিত্য সাধনায় স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার ও একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও আদমজী পুরস্কারে, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, একুশে পদক এবং আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হন। https://www.rokomari.com/book/110817/রাত্রিশেষ