User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ১৬ বই : মনোসরনি লেখক : একুয়া রেজিয়া ধরণ : জীবনধর্মী প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী মূল্য : ২০০টাকা অজান্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক অষ্টাদশী তরুণী। থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে। অনেকটা শান্ত স্বভাবের অজান্তা, আনমনে স্বপ্নচারিতা। জীবনের বাঁকে বাঁকে সে একাকীত্ব কে প্রবল ভাবে অবিষ্কার করে। অথচ আপাত দৃষ্টি তে সে মোটেও একা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার বন্ধুর অভাব নেই। অজান্তার খালাতো ভাই জামান। শহরের নামকরা চোখের ডাক্তার সে। তার স্ত্রী শাহানাও চাকুরীজীবি। বাইরের সকলের কাছে তাদের সুন্দর সুখের সংসার হলেও, ভেতরে ভেতরে তাদের কোন সম্পর্কই নেই। শাহানা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে তেমন ভাবে পছন্দ করেনা। অজান্তা জামানের বাসায় বেড়াতে এলে সে কথা বেশ ভালভাবেই বুঝতে পারে। শাহানা নিজ কর্মক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী। নিজের সংসার, স্বামীকে সে ভালবাসে। কিন্তু নিজের ডাক্তার স্বামী কে নিজের প্রয়োজনে, সুখে দুখে সে কখনোই পাশে পায়নি। এই নিয়ে তার মধ্যে তীব্র কষ্ট দানা বেধে আছে। সেই কষ্টই এক সময় তাকে করে তোলে সংসার বিমুখ। জামান, নিজ কাজের প্রতি ভিষণ ভাবে দায়িত্বপ্রবন। এই নিয়েই শাহানার সাথে তার ঝামেলা। শাহানা কেন যেন তার কিছুই বুঝতে চায় না। তার মতের বিরোধ হলেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় কলহ। জামানের ভিষন অসহ্য লাগে এইসব। সে মুক্তি চায় এই জীবন থেকে। নিজ নিজ যন্ত্রণা, ক্লান্তি কষ্টের আবর্তে ঘুরপাক খেতে থাকে কয়েকটি শহুরে চরিত্র। কি ঘটে শেষ অব্দি তাদের জীবনে? পাঠ প্রতিক্রিয়া : বেশ কয়েকবছর ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একুয়া রেজিয়া ভিষণ পরিচিত একটি নাম। ফেসবুকে তার বিভিন্ন স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার লেখার সাথে আমার পরিচিতি। সে হিসেবেই তার বই কেনা। এইবার আসা যাক বইয়ের কথায়। প্রতিটি মানুষ নিজের জীবনে ভিষণ ভাবে একা। সামাজিক দায়বদ্ধতার যাঁতাকলে আমাদের জীবন হয়ত কেটে যায়। কিন্তু আসলেই কি কেউ সুখ পায়? লেখক তার আপন মনের মাধুরী দিয়ে আমাদের আশেপাশের চরিত্র গুলো কে তুলে ধরেছেন অপূর্ব কারুকার্যে। যাদের নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। কিন্তু বইটি পড়ার সময় মনে হয়েছে, এ তো আমাদের নিজস্ব অনুভূতিরই বর্ননা। এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে, আমরা যত আধুনিক হছি, ততই যেন হারিয়ে ফেলছি আমাদের নিজেদেরকে। হারিয়ে ফেলছি কাছের মানুষদের। ব্যস্ততার সাথে সাথে বাড়ছে দুরত্ব। সমসাময়িক এই কঠিন বাস্তবতারই প্রতিচ্ছবি মনোসরণী। তবে লেখক কাহিনী নির্মানের থেকে তার লেখনীশৈলীর দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। শব্দ নিয়ে খেলায় যে তার নিপুণতা আছে তা উপন্যাস টি পড়ে বেশ বোঝা যায়। লেখায় প্রবল ভাবে হুমায়ূন আহমেদের প্রভাব, লেখকের নিজস্ব ধারাকে আড়াল করে ফেলেছে, এইটা একটু খারাপ লেগেছে। পড়তে ভাল লাগলেও, শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, কোন চরিত্রই ঠিক মত পরিপূর্ণতা পায়নি। এই ক্ষেত্রে লেখকের একটু দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন। আশাকরি ভাল লাগবে
Was this review helpful to you?
or
#রকামারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিজোগিতা বই: মনোসরণি লেখক: একুয়া রেজিয়া ঘরানা: জীবনধর্মী উপন্যাস প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ প্রকাশক: অন্য প্রকাশ প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পৃষ্ঠা: ৮৬ মলাট মূল্য: ২০০ টাকা কাহিনি সংক্ষেপ: দুটো কাহিনি সমান্তরালে এগিয়েছে । জামান-শাহানা আর অজন্তা-শিহাবের গল্প । এই দুই গল্পের মাঝে সেই অর্থে কোনো যোগসূত্র নেই । যোগসূত্র শুধু এক জায়গায় । এরা সবাই আমাদের শহরের মানুষ, এরা সবাই আমাদের সময়ের মানুষ—ব্যস, এতটুকুই । এটুকু বাদ দিলে এই দুই কাহিনিতে কোনো সংযোগ নেই । প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা । আলাদা তাদের চিন্তাচেতনা আর কাজকর্ম । তবু সবাই যেন কোথাও একটা যোগসূত্রে বাধা । কী সেই যোগসূত্র? জানতে হলে হেঁটে জতে হবে বহুদূর । ঠিকানা—মনোসরণি । পাঠ প্রতিক্রিয়া: প্রাথমিকভাবে বলব, বইটি আমার ভালো লেগেছে । আমি রিভিউতে শুধু ভালো লেগেছে বলেই শেষ করে দিই না বরং কেন ভালো লেগেছে, তার পেছনের কারণটা ব্যাখ্যার চেষ্টা করি । এই বইটি ভালো লেগেছে কারণ লেখক এই বইটাতে আমাদের বর্তমান জীবনের জটিলতাকে অনেকটাই সার্থক রূপদান করতে পেরছেন । বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ । প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবন অতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে । এর একটা প্রভাব আমাদের জীবনে পড়ছে । আমরা সময়ের চেয়ে দ্রুত ছোটার চেষ্টা চালাচ্ছি । ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি, তাও ছুটছি; ছুটতে ছুটতে একসময় হারিয়ে ফেলছি নিজেদেরই । ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে পুরোনো সংস্কারবোধ, জন্মাচ্ছে নতুন সংস্কার । এখন জীবনের প্রয়োজনে নারীদেরও ঘর ছেড়ে বের হতে হচ্ছে । পুরুষের পাশাপাশি নারীও হয়ে উঠছে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী । এর সাথে সাথে মনোজগতে আসছে সূক্ষ্ম একটা পরিবর্তন । সবাই ভাবছে, আমি তো সাবলম্বী, অর্থনৈতিকভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল নই । এই ভাবনা থেকে জন্ম নিচ্ছে ব্যক্তিগত অহংবোধ । এই অহংবোধ থেকে ছিঁড়ে যাচ্ছে সম্পর্কের সুতো । ভাঙছে পরিবার । একসময় আমাদের নাগরিক সমাজে যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবার গড়ে ওঠার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল; ছোট ছোট মফস্বল, এমনকি গ্রামেও এর ছোঁয়া লেগেছিল । বর্তমান জটিল জীবন তাঁর হিংস্র নিঃশ্বাসে সেই একক পরিবারগুলোকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে । মানুষ হয়ে যাচ্ছে একা । ভীষণ একা । এই ভাবটার একটা সুন্দর রূপ পেয়েছে উপন্যাসের জামান আর শাহানা চরিত্র দুটোর মাঝে । এর মাঝেই আমাদের নাগরিক সমাজে গড়ে উঠছে আরেকটি প্রজন্ম । বাইরে থেকে যাদের দেখে মনে হয় এরা অনেক “কুল” । কিন্তু ভেতরে ভেতরে এদেরও আছে নিজস্ব কিছু কষ্ট । সেই কষ্ট থেকে পালিয়ে বেড়াতেই নিজেকে খুব সুখী প্রমাণ করতে চায় এরা । সেই প্রজন্মের প্রতিনিধি শিহাব । এটা তো গেল ভালো লাগার কথা । এবার আসি মন্দ লাগার বিষয়গুলোতে । ‘উপন্যাসের শিল্পরূপ’ বলতে একটা কথা আছে, লেখক সেই বিষয়ে একেবারেই মনোযোগ দেননি । লেখার ভঙ্গি এতটাই ক্যাজুয়াল(সঠিক বাংলা শব্দ মনে পড়ছে না, এজন্য দুঃখিত) যে মাঝে মাঝে আমার মনে হচ্ছিল, ফেসবুকের স্ট্যাটাস পড়ছি, উপন্যাস নয় । উদাহরণ দিই; হয়েছে কে লেখা হলো ‘হইসে’(‘হইছে’ও না), করেছে কে লেখা হয়েছে করসে (‘করছে’ও না) । প্রত্যক্ষ উক্তি বলে যা খুশি তা তো করা যায় না । ‘ছ’ আর ‘স’ এর মাঝে উচ্চারণগত পার্থক্য একজন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী গুলিয়ে ফেলতে পারে । লেখক গুলিয়ে ফেললে চলবে কেন? এছাড়া বইয়ে মাত্রাতিরিক্ত ইংরেজি শব্দের ব্যবহার আমার বিরক্তির উদ্রেক করেছে । ‘ইগনোর করা’র মতো কিছু শব্দ অহরহ ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলোর সুন্দর সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ আছে । আর প্রত্যক্ষ সংলাপে না হয় তাও ইংরেজির ব্যবহারটা মেনে নিলাম, কিন্তু লেখকের বর্ণনায়? একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিত, ভাষা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এক জিনিস আর ভাষা বিকৃতভাবে ব্যবহার করা অন্য জিনিস । লেখকদের বলা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান । কারণ তাঁরা সভ্যতাকে যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখেন । তাঁরাই যদি এমন ভাষার ভুল রীতি প্রয়োগ করেন তো আর পঞ্চাশ থেকে একশত বছর পর বাংলা ভাষার কোনো অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না । খারাপ লাগার কথায় আরেকটি বিষয় আসে, তা হলো ভূমিকা । আমার মনে হয় বইয়ের ভূমিকা লেখাও সাহিত্যের অন্তর্গত একটা বিষয় । এই বইয়ে লেখক যে ভূমিকা লিখলেন, সেখানে একটা দীর্ঘ অংশ জুড়ে ‘স্বাধীনতা’কে নিয়ে কথা বলা হলো, যার সাথে আমি উপন্যাসের তেমন কোনো প্রত্যক্ষ সংশ্লেষ পাইনি । এরপর হুট করেই লেখক ‘স্বাধীনতা’ বাদ দিয়ে চলে গেল ‘বেঁচে থাকায়’ । মোদ্দা কথা, এই বইয়ের ভূমিকাটা যথেষ্ট খাপছাড়া । এছাড়া আরও কিছু ছোটখাট খারাপ লাগা আছে । যেমন উপন্যাসের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অজন্তার ছোটবেলাকে লেখক কেন নিয়ে এলেন তা আমি ঠিক বুঝলাম না । এই অংশটিকে আমার কাছে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে । উপন্যাসের শেষ দিকে এসে আমার কেন যেন মনে হলো, লেখক খুব দ্রুত কাহিনি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন । যেন তাড়াহুড়া করে শেষ করে দেওয়া হয়েছে । সাড়ে পাঁচ ফর্মার এই বইটা নিঃসন্দেহে আরেকটু বড় হতে পারত । আমি এই প্রথম এই লেখকের কোনো বই পড়লাম । তাই তাঁর লেখনীর সাথে আমার পরিচয় নেই । শুরুর দিকে লেখনী প্রভাবমুক্তই মনে হচ্ছিল । যত এগোচ্ছিলাম, ততই হুমায়ূন আহমেদের প্রভাব বাড়ছিল । শেষদিকে হুমায়ূন আহমেদ রীতিমতো জেঁকে বসেছিল । বিশেষ করে, অজন্তা চরিত্রটির সেই অর্থে কোনো পরিণতি দেখানো হয়নি । পরিণতিবিহীনভাবে এভাবে হুট করে উপন্যাস শেষ করে দেওয়ার ধারাটা হুমায়ূন আহমেদই শুরু করেছিলেন । এই ব্যাপারটা আমার কাছে অত একটা ভালো লাগে না । একটা গল্প পড়ার পর যখন জানা না যায়, চরিত্রগুলো শেষ পর্যন্ত কেমন আছে, কোথায় আছে, কীভাবে আছে; তখন কেন জানি খুব বিরক্ত লাগে । আমার কাছে মনে হয়েছে, লেখক যদি ভাষারীতির ও উপন্যাসকে শিল্পরূপ দেওয়ার জন্য সচেতন হয়, তবে ভবিষ্যতে আমরা একজন সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন লেখক পাব । উপন্যাসের নামটা আকর্ষণীয় । বাঁধাই-মুদ্রণ বেশ ভালো । বানানে তেমন কোনো ভুল আমার চোখে পড়েনি । প্রচ্ছদটা ভালো, তবে আলাদা করে আকৃষ্ট করার মতো কিছু নেই । ধ্রুব এষের প্রচ্ছদগুলো কেন জানি এখন খুব ‘ক্লিশে’ হয়ে যাচ্ছে । হয়তো বেশি প্রচ্ছদ করেন বলেই । একজন শিল্পী যতই ভালো হোক, তাঁরও তো ভালো কাজ দিতে পারার একটা সীমাবদ্ধতা আছে । সবই তো বলা হলো, তবু একটা ব্যাপার না বললে অপরাধ হবে । আমাদের অনেকেরই বোধহয় একটা ধারণা আছে, বর্তমান প্রজন্ম খুব ‘কুল’ আর ‘ক্রেজি’ একটা প্রজন্ম, এদের কোনো দুঃখ নেই, জীবনবোধ নেই; আর ঠিক একারনেই এদের জীবনের কোনো গল্পও নেই । যারা এমনটা মনে করেন, তারা এই বইটা একবার পড়ে দেখতে পারেন ।
Was this review helpful to you?
or
just awsmeeeee
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা উপন্যাস । প্রত্যেকটা চরিত্র খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । সামনের দিনগুলিতে এমনভাবে লিখে যাবেন এই কামনা করি । ( কাব্যপ্রেমী উজ্জ্বল )
Was this review helpful to you?
or
মাত্র শেষ করলাম, Aqua Rezia আপুর লেখা মনোসরণি-Monoshoroni মানুষের গল্প, তাদের জীবনে কিছু কাঙ্ক্ষিত আশা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত বেদনার কেচ্ছা। সংসার জীবনে দুটি মানুষের মধ্যে মনোবল, সংকল্প, জিদের যে ব্যাপার, এইসব ব্যাপারই উঠে এসেছে বইটাতে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেই যে জীবনের সকল সুখ হাতে এসে ধরা দিবেতা যে সত্য নয় সকল ক্ষেত্রে, জামানের জীবন থেকে আমরা তা দেখতে পাই। আবার, শাহানা নিজেকে আত্নঅবলম্বী বললেও, ভাবলেও, ভেতরে ভেতরে যে সেও একটা মানুষের ছায়া চায়, ভালবাসা চায়, তা প্রকাশ পেয়েছে। জামানের বাবা জামানকে উপন্যাসের শেষ দিকে এসে জীবনবোধ নিয়ে যে উপদেশগুলো দিয়েছে, তা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। ভালবাসার ক্ষেত্রে দুজনকেই ছাড় দিতে হয়, তেমনি নিজেদের ভিতরকার সব ব্যাপারগুলোও শেয়ার করতে হয়। শিহাব মেয়েদের প্রতি যে অশ্রদ্ধা রেখে চলতো, যা করতো, তার নতুন মা এসে তাকে যে ভালবাসা, আদর দিয়ে সঠিক পথে এনেছে, এটা পজিটিভ, আনন্দ দিয়েছে আমায়। তবে উপন্যাসটা শেষ হয়েছে অনেকটা পাঠকের নিজের উপরে ছেড়ে দিয়ে...অজন্তার আসলে কি হয়! ওর জীবনে কি দুঃখ দূর করার বৃষ্টি আর আসবেই না! ...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #মাসুম_আহমেদ_আদি মনোসরনি।উপন্যাসটি পড়লেই মনে প্রবেশের ভাব আসে। উপন্যাসটিতে দূরত্বের কথা বলেছে, সম্পর্কে টানাপোড়নের কথা বলেছে, ব্যক্তির আত্মনির্ভরতা এবং পারপস্পরিক সমঝোতার সূক্ষ্ম সীমারেখাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। উপন্যাসেএর শোভা বাড়িয়েছে শাহানা ও শিহাব। এছাড়া ও অজান্তা মাহতাব জামানার মত চরিত্র উপন্যাসটিকে সৌন্দর্য আরো ফুটিয়ে তুলেছে। উপন্যাসের শিহাবের চোখে ভালবাসার রূপ আরও শতশত যুবকের প্রেমের মত, তন্বী মেয়েটির নির্ভরশীলতাও যেন অনেক আপন। মানুষের গল্প, তাদের জীবনে কিছু কাঙ্ক্ষিত আশা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত বেদনার কাহিনী । সংসার জীবনে দুটি মানুষের মধ্যে মনোবল, সংকল্প, জিদের অভিমানের যে ব্যাপার, এইসব ব্যাপারই ধরা দিয়েছে গল্পটিতে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেই যে জীবনের সকল সুখ হাতে এসে ধরা দিবে এ সত্য নয় সকল ক্ষেত্রে, জামানের জীবন থেকে আমরা তা দেখতে পাই। আবার, শাহানা নিজেকে আত্নঅবলম্বী বললেও, ভাবলেও, ভেতরে ভেতরে যে সেও একটা মানুষের ভালবাসা চায়, তা প্রকাশ পেয়েছে। জামানের বাবা জামানকে উপন্যাসের শেষ দিকে এসে জীবনবোধ নিয়ে যে উপদেশগুলো দিয়েছে, তা সত্যি মনকে ছুয়েঁ যাওয়ার মত। আরেক দিকে শিভাব যেভাবে মেয়েদের অশ্রদ্ধা করত তা শুধরেছে তার নতুন মা এসে। তাকে যে ভালবাসা, আদর দিয়ে সঠিক পথে এনেছে তাও অন্যান্য। এছাড়াও দেখেছি মাহাতাবের মত এক শ্রেণীর মানুষকে যারা নিজেদের দুর্বলতা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়, এবং অনেক ক্ষেত্রে হয়তোবা সফলও হয়ে যায়। গল্পের বিভিন্ন ধরনের উপমা এবং লেখিকার আত্মোক্তি দারুণ সত্য। ঝুম বৃষ্টির মাঝে বৃষ্টি ফুঁড়ে এদের মতোই কেউ হয়ত আমাদের জীবনে চলে আসতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারে তাঁদের সুখ-দুখ ভরা হাত। সেই হাত আমরা স্বেচ্ছায় ধরব নাকি ধরব না তা একান্তই আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। বেশ সাজানো ঘুছানো সামাজিক উপন্যাস। তবে এই উপন্যাস এ হাসির খোরাক এ বাধঁতে চায় নি লেখিকা। বাস্তববোঝাতে আটকিয়েছে এবং এবং চোখের সামনে খানিকটা বাস্তবভাবেই চিত্রায়নও করেছে। তবে উপন্যাসটি শেষ হয় একধরনের আপেক্ষিক ভাব। আসলে অজান্তানর কি হয়। তার জীবনে কি দুক্ষ করার বৃষ্টি আর আসবে না?? পাঠকগন আপনাদের কি মনে হয়??
Was this review helpful to you?
or
স্বপ্ন জমা থাকে মুঠোর ভেতর। যেই স্বপ্ন থেকে সৃষ্টি হয় গল্প। যা আমাদের ঘিরে বেড়ে ওঠে বুনোলতার মতো।আমাদের অজান্তেই, কিন্তু প্রগাঢ় মায়ায়। কোন গল্প থাকে ফেলে আসা সময়ের র্দীঘশ্বাসের। কোন গল্প থাকে দু’জনের, অযুত নিযুত দূরত্বের। কিছু গল্প থাকে ছেঁড়া ছেঁড়া আনমনা স্বপ্নে বোনা। যেখানে কখনও জমে মোহাবিষ্ট শিশিরকণা, আর কখনও ভিড় করে আসে নরম কোমল সন্ধ্যা। মনের অতলে থেকে থেকে ডুবুরী হয়ে ভেসে আসে পুরানো স্মৃতি, ভীষণ পরিচিত কোন মুখের। যাকে কেউ মুছে ফেলেছিলো এমনই এক সন্ধ্যাবেলায়। যেখানে নীড় বাঁধে না শব্দ, ফিরে আসে না স্বপ্ন। কিন্তু বেলাশেষে বিশাল এক বেগুনী আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ খুঁজে পায় জীবনের নতুন অর্থ, কেউবা এই ছোট্ট সময়ের ছোট্ট জীবনে খুঁজে ফিরে এক পশলা বৃষ্টি... নিতান্ত ব্যক্তিগত আপন এক অন্যরকম বৃষ্টি... ব্যক্তিগত বৃষ্টি...