User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুব বেশি ভালো লাগে নাই
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_ডিসেম্বর_২০১৮ || সরল প্রেমের সরস পাঠ || সোহেল নওরোজ ★ বোকারাই প্রেমে পড়ে? নাকি প্রেমে পড়লেই মানুষ বোকা হয়ে যায়?- লেখক চিরায়িত এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজেছেন, পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য লিখেছেন বই। রম্য আইডিয়া, রম্য গল্প, রম্য ছড়া কিংবা কবিতার সঙ্গে আমরা যারা কম-বেশি পরিচিত, তাদের কাছে ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’ একটা চমকই বটে! এটা যে পুরোদস্তর একখানা রম্য উপন্যাস! ভূমিকাতে জনপ্রিয় রম্য লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব সে প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন, ‘আমি নিজে রম্য লেখার চেষ্টা করি তাও গল্প। কিন্তু উপন্যাস লেখার সাহস কখনও হয়নি। অভিবাদন রিয়াজকে সে শুরু করেছে। সাহসী কর্মকাণ্ড তরুণদেরই মানায়।’ পত্র-পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে রিয়াজুল আলম শাওন তাঁর হাতকে যথেষ্ট পরিণত ও ক্ষুরধার করতে পেরেছেন, ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’ যেন তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এক সরল যুবকের সহজ জীবনবোধের চেনা এক অধ্যায়ের দেখা মেলে রম্য উপন্যাসটিতে। যেখানে লেখক নিজের নামের আড়ালে রম্যচ্ছলে জীবনের গল্প বলতে চেয়েছেন। যে গল্পে অফিস, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, প্রেম, আবেগ আর বোকামি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। অনুভূতির প্রকাশে হিউমারের প্রয়োগ আর আটপৌরে বর্ণনায় লেখক মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, যা উপন্যাসটিকে সুখপাঠ্য করে তুলতে পেরেছে। উপন্যাসের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে রিয়াজুলকে ঘিরে। যাকে লেখক ‘বোকা’ হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তার সরলতার গল্পগুলোই উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রসঙ্গে, নানাভাবে। বর্ণনার গুনে তা হয়েছে রসালো, মজাদার। বসের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া রিয়াজুল যেমন বলেছেন- ‘বাসে দাঁড়িয়ে, লেগুনাতে ঝুলে এবং রিকশায় চেপে লালমাটিয়া পৌঁছালাম। ঘেমে নেয়ে হাঁসফাঁস করছি, আর বসকে গালি দিচ্ছি। আমি আবার গালিও ঠিকমতো দিতে পারি না। ছোটবেলার একটা বেদনাদায়ক স্মৃতি আছে গালি বিষয়ে। আমার আব্বা-আম্মা মহৎ হৃদয়ের মানুষ। তারা ছেলেকে মহাপুরুষ বানাতে চাইলেন। ছেলেকে এমনভাবে বড় করার চেষ্টা করলেন যেন সে কাউকে গালি দিতে না পারে। তারা আমাকে শৈশবে শিখিয়ে দিলেন কারো উপর রেগে গেলে তাকে দুষ্টু বলবে। আমার কাছে দুষ্টুই হয়ে উঠল ভয়ংকর গালি। ছোটবেলায় প্রায়ই দেখা যেত, কেউ যখন আমাকে বিভিন্ন প্রাণীর বাচ্চাযুক্ত গালি দিচ্ছে, তখন আমি তাকে বলছি ‘তুই একটা দুষ্টু’। সেই ধারা বর্তমানেও ধরে রেখেছি। বসকে খুব খারাপ কিছু বলতে পারলাম না। বললাম , ‘বুড়ো তুমি একটা দুষ্টু’ (পৃষ্ঠা-১৫)।’ তেমনি সোনিয়ার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কলিগের কথামতো আতর বাবার আস্তানায় যাওয়া, পীরের আস্তানায় ডেবিট কার্ড পাঞ্চ করে হাদিয়া পরিশোধ করা, আতরের উৎকট গন্ধে তার গা ভরে সোনিয়ার বমি করা কিংবা মিথ্যা অভিনয়ের প্রলোভনে নায়িকা গুল্টুসের গাড়ি ঠেলা- এমন টুকরো ঘটনায় রিয়াজুলের সারল্য এবং হাস্যরসের সঙ্গে লেখকের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্র প্রয়োজনের তাগিদে নিজের ভূমিকায় কথা বলে উঠেছে। আনন্দ থেকে বেদনা আবার বেদনা থেকে আনন্দে উত্তরণে লেখকের সচেতনতা প্রশংসনীয়। লেখার মাধ্যমে মানুষকে হাসানো বা বিনোদিত করা যথেষ্ট কঠিন কাজ। সেটি উপন্যাসের মতো বড় ক্যানভাস হলে আরও দুরূহ হয়ে যায়। প্লট থেকে বিচ্যুত না হয়ে চরিত্রগুলোকে বাস্তবসম্মত ও প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করে কাহিনি বলে যেতে হয়। সময়কে ধরতে অভিজ্ঞতার কাছে হাত পাততে হয়। সে অভিজ্ঞতা হতে পারে লেখকের নিজের বা পারিপার্শ্বের। তাতে পাঠক নিজের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেলে তবেই সার্থকতা। এ সবই লেখকের জন্য চ্যালেঞ্জ। ‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’ উপন্যাসে রিয়াজুল আলম শাওন সে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। এটি লেখকের প্রথম রম্য উপন্যাস হলেও পরিণত ও পরিমিতবোধের মিশেলে দুর্বলতাগুলো চোখে পড়তে দেননি। হাস্যরসের মধ্যেও সোনিয়ার সঙ্গে বিবাহপূর্ব নাটকীয়তায় জীবনের এক কঠিন সত্য উচ্চারিত হয়েছে ফরিদ ভাইয়ের মুখ দিয়ে- ‘আসলে জীবনে এমন এমন অনেক কিছু ঘটে যায়, যা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার অসুবিধা হলো না চাইলেও অনেক কিছু মেনে নিতে আমরা বাধ্য হই। একটি ঘটনা হয়ত এই মুহূর্তে তোমাকে দুঃখ দেবে, আবার অন্য সময় অন্য একটি ঘটনায় আনন্দে তোমার জীবন ভরে উঠবে (পৃষ্ঠা-৬৪)।’ পরিণতিটা অবশ্য অনুমিতভাবেই সোনিয়ার সঙ্গে রিয়াজুলের বিয়ের মাধ্যমে ঘটেছে, তাতে স্বাদের বিন্দু-বিসর্গ হেরফের হয়নি। বোকাদের ভেতর সীমাবদ্ধ না থেকে লেখক অতি বোকার সন্ধানও করেছেন। ‘আগে মনে হতো বোকারাই প্রেমে পড়ে, এখন বুঝতে পারছি অতি বোকারাই বিয়ে করে’- এমন বাক্য উচ্চারণের পরও লেখক কিন্তু বোকা হয়ে থাকার ইচ্ছাটাই প্রকাশ করেছেন বারবার। খোলস ভাঙার সমূহ বিপদ জেনেই হয়ত এই কামনা। বইটি পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই কখনো কখনো লেখকের মতো ‘বোকা হওয়াটা খারাপ কিছু না’ বা ‘আমি চিরকাল বোকাই থাকতে চাই’ অনুভূতিতে সংক্রমিত হয়েছি। আপন ভাবনাকে পাঠকের মনে ছড়িয়ে দেওয়াই যদি হয় লেখকের লক্ষ্য, তবে এ যাত্রায় রিয়াজুল আলম শাওনকে সফল বলতেই হচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
‘বোকারাই প্রেমে পড়ে’ বইটি এই সময়কার তরুন জনপ্রিয় লেখক রিয়াজুল আলম শাওন এর লেখা একটি বই । অল্প সময়েই হরর ও রম্যসাহিত্য লেখালেখি করে তিনি পাঠক প্রিয় হয়ে গেছেন । তিনি মুলত হরর বই লিখে থাকেন । তার লেখা গল্প অবলম্বনে ক্লোজ আপ কাছে আসার সাহসী গল্প তে নাটক তৈরী হয়েছে । তিনি রহস্য পত্রিকায় ৫ বছর ধরে লেখালেখি করেছেন । লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একজন সফল বিতার্কিক এবং সংগঠক । তার লেখা প্রথম রম্য উপন্যাস বোকারাই প্রেমে পড়ে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় এই বছরের একুশে বইমেলা তে । বইটি প্রকাশিত হয় ভাষাচিত্র প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রকাশক খন্দকার মনিরুল ইসলাম । বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন আহসান হাবীব । প্রেমে পড়লে কি মানুষ বোকা হয়ে যায় ? নাকি যে মানুষ টা আগে থেকেই বোকা সেই মানুষ ই প্রেমে পড়ে ? এই ব্যাপার টা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই । তবে প্রেমে পড়া একজন মানুষের মাঝে যে বোকামী করার প্রবনতা থাকে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই । এইরকম প্রেমে পড়া একটা বোকা ছেলের কাহিনী নিয়েই লেখা এই রম্য উপন্যাস টি । ছেলেটি বোকা , তাই ছেলেটির স্বভাবের জন্য ছেলে টি কে দিয়ে অনেকেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে নেয় । বস ছেলে টি কে দিয়ে তার বাসার বাজার করিয়ে নেন । এইরকম অনেকেই ছেলেটির বোকামির সুযোগ নিয়ে থাকে । বইটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সরলতা ও ভালোবাসার সমন্বয়ে লেখা হয়েছে যা পাঠক দের মাঝে অনেকের সাথেই মিলে যাবে এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই । রম্য রচনা প্রিয় ও উপন্যাস প্রিয় সকল পাঠকের কাছেই ভালো লাগবে এই রম্য উপন্যাস টি ।