User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা কিনে টাকা টা নষ্ট না করে অন্য যেকোনো বই কিনতে পারেন।ফালতু একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
একাধিক হত্যা রহস্য, একাধিক কিডন্যাপ কেস, ফ্রি মেসনারি, ভ্যাম্পায়ার আর মিথরাস মিলে সৃষ্টি করেছে অন্যরকম এক মিথক্রিয়া। অশুভ এক মিথস্ক্রিয়া । সত্যি বলতে আমি এরকম ঐতিহাসিক কথাসাহিত্যতে মোটেও আগ্রহী নই। বইটি কেনা রিভিউ দেখে তবে ভুলটা সম্ভবত আমারই আমি ঠিক খেয়াল করিনি বইটা কি নিয়ে লেখা। যাকগে, আমার যেটা মনে হয়েছে যে লেখক পেইজ বাড়ানোর জন্য অনেক কথা একাধিক বার পুনরাবৃত্তি করে গেছেন যার কারনে অনেকটাই এক ঘেয়ামি তে কেটেছে পড়ার সময় গুলো আমার। বহুবার ভেবেছি মাঝপথেই থেমে যাবো আর পড়বো না। কিন্তু টাকা দিয়ে কেনা তাই নিজের ইচ্ছার বাইরে গিয়েও শেষ করতে হয়েছে। টাকা তো গেলোই জলে সাথে সময়ও নষ্ট করলাম দুইদিন। ভালো লাগেনি আমার কাছে বইটা তাও দুই তারা দিলাম :/
Was this review helpful to you?
or
Average
Was this review helpful to you?
or
excellent service thank you ?
Was this review helpful to you?
or
Khub shundor ekta boi.
Was this review helpful to you?
or
বিশিষ্ট বাংলাদেশি-আমেরিকান বিজ্ঞানীকে কারা যেন খুন করে ফেললো তার-ই গবেষণাগারের ভেতর। সেনাপ্রধানের সাথে তার সখ্যতার কারণে হোমিসাইডের সেরা দু'জন ডিটেকটিভকে আনা হল সেই রহস্যের সমাধান করতে। ধীরে ধীরে তারা বুঝতে পারলো, এখানে তাদের স্রেফ বলীর পাঁঠা বানানোর জন্য আনা হয়েছে। গোয়েন্দাদের চাকরি তো গেলই, তাদের মারার জন্য পেছনে লেগে থাকলো বাংলাদেশি-আমেরিকান বিজ্ঞানীর রহস্যভেদ করতে দেশে আসা দুই এফবিআই এজেন্ট। কিডন্যাপার ইরফান এদিকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অজ্ঞাত কাদের বুলেট থেকে। শেষ রক্ষা অবশ্য হলো না। গুলি খেয়ে বান্ধবীর বাড়িতে কোনমতে আশ্রয় নিতে পারলো সে। এরপরই শুরু হলো যুদ্ধ! - ভালো লেগেছে বিস্তারতি পড়াশোনা করার দিকটা। গুপ্তসঙ্ঘগুলোকে মানুষ যেভাবে দেখতে চান সেভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। তবে বাস্তবে তারা এতটা নাটকীয় হবে এমন আশা করা বাতুলতা। যেহেতু এটি একটি গল্প, তাই উপস্থাপিত তথ্যগুলো ইম্প্রেসিভ। (যদি এটা গবেষণামূলক লেখা হত, তবে এই তথ্যগুলোর অনেকগুলোর পেছনেই "যাচাইকরণ প্রয়োজনীয়" রেফারেন্স টানতাম। তবে গল্পে সব যাচাইক্রিত গবেষণার তথ্যই লেখা লাগবে এমন বাধ্যকতা নেই।) - ইরফানের চরিত্রটি ডিটেকটিভ আসিফ ও জিয়াকে ছাপিয়ে গেছে। পেশাদার কিডন্যাপার উইথ ভ্যালুজ। গরিবের রবিন হুড। - বেশ কিছু টুইস্ট ছিলো। এদের ভালোই লেগেছে। - বোনাস হিসেবে ছিলো সর্বশেষ টুইস্টটা। এটার জন্যই বইটিকে ৩.৫ বা ৪ না দিয়ে ৫ স্টার দিচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
Boring and unoriginal
Was this review helpful to you?
or
#মিথস্ক্রিয়া #লেখক: কিশোর পাশা ইমন #বইয়ের_ধরণ: থ্রিলার / হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার #প্রকাশনী: বাতিঘর #পৃষ্ঠা: ৩৫১ #মুদ্রিত_মূল্য: ৩২০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৮.৫/১০ . . হঠাত করেই খুন হয়ে যায় দেশের একজন নামকরা বিজ্ঞানী এবং কেমিস্ট তানভীর আহমেদ। খুনের ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব এসে পড়ে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট এর চৌকস ইনভেস্টিগেটর আসিফ আহমেদ এবং তার সহকারি জিয়ার ওপর। তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাক্রমে পরিচয় হয় তানভীর আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেমিস্ট ড. রমিজ খানের সাথে। যার আছে কেমিস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন এর ওপর অগাধ জ্ঞান। . . রমিজ খান দাবি করে তানভীর আহমেদ শুধু একজন কেমিস্ট না বরং একজন আলকেমিস্ট! ওদিকে আনোয়ার নামের একজন শিক্ষক এবং ক্রিশ্চিনা নামের এক তরুনীর জোড়া খুনের ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্বও এসে পড়ে আসিফের ঘাড়ে। ঘটনাক্রমে জানা যায় এ দুজনের খুনী এমন একজন যাকে খুন করেছে একজন ভ্যাম্পায়ার! আধুনিক যুগে এসেও কি তবে ভ্যাম্পায়ার এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে বাধ্য হবে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট? . . আলকেমি নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে কি তানভীর আহমেদ সত্যিই খোদ শয়তানের সাহায্য নেয়? অথবা জড়িয়ে পড়ে গুপ্তসংগঠন ফ্রি মেসন অথবা মিথরাসের মত প্রাচীন কোনো সংগঠনের সাথে? তানভীর জালালের ছেলে বিজয়কেই বা কেন কিডন্যাপ করা হয় একটা গুপ্ত সংগঠনের দ্বারা? অথবা যদি বলি বাংলাদেশের সংসদ ভবনের নিচে আছে গুপ্ত বাড়ি যেটা একটা মেসনারি লজ? . . 'মিথস্ক্রিয়া' হলো বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন, মিথ, বাস্তবতা, সিম্বলিজম, প্রাচীন বিশ্বাস, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর এক মিশেল। সহজ করে বললে রবার্ট ল্যাংডনের 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড' এর মতই গুপ্ত সংগঠন নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি! অনেক প্রাচীন বিশ্বাস, তাদের রীতি, ইলুমিনাতি, ফ্রি মেসনারি, মিথরাস এদের সম্পর্কে জানা যাবে বইটি থেকে। সাথে বেশ কিছু শ্বাসরুদ্ধকর টুইস্ট তো আছেই! . . প্রচ্ছদের কথা না বললেই নয়। বইয়ের কাহিনী তো বটেই প্রচ্ছদ টাও খুব চমৎকারভাবে মিলে গেছে বইয়ের কাহিনীর সাথে। বানান ভুল ও খুব একটা ছিলোনা। তো অপেক্ষা কিসের? শুরু করে দিন! . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেকটিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। সাথে যুক্ত হলো বিজ্ঞানীরই ছেলের কিডন্যাপ কেস। জট পাকিয়ে গেল রহস্য। শুরু হলো তদন্ত। চলে আসলো প্রাচীন গুপ্তসংঘের নাম। কী সম্পর্ক এই কেসের সাথে তাদের? ইলুমিনাতি, ফ্রিমেসন, মিথরাস। ঘটনাপ্রবাহে কিডন্যাপারকে ধরা গেলেও কূলকিনারা কিছুই পাওয়া গেল না। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে রয়েছে দুজন এফবিআই এজেন্ট। আবার আছে এক ভ্যাম্পায়ার। সে খুন করলো দুজনকে। কী মোটিভ তার? খোঁজার পর দেখা হলো সবগুলো কেস একে অপরের সাথে ইন্টারকানেক্টেড। কিন্তু এত ধাঁধাঁ ধোঁয়াশার মাঝেও ডিটেক্টিভ আসিফ একদম শান্ত মনে কাজ করে চলছে, উদঘাটন করছে রহস্য। সাথে আছে কিডন্যাপার, হুম, খ্যাতনামা কিডন্যাপার। কে সে? পড়ে দেখুন। সময় নষ্ট হবে না।
Was this review helpful to you?
or
এক বসাতে পড়ে শেষ করলাম।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_নভেম্বর বইয়ের নামঃ মিথষ্ক্রিয়া লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন বইয়ের ধরণঃ থ্রিলার/রোমাঞ্চপন্যাস প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০১৬ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ৩৫২ মূল্যঃ ৩২০ টাকা সার-সংক্ষেপঃ খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হলো একটি কিডন্যাপ কেস। তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পাল্টে গেলো ঘটনা প্রবাহ-রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে-কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্যের সমাধান লুকিয়ে আছে সামনে থাকা তথ্যগুলোর এক এবং কেবল একটিমাত্র অংশে। সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। স্বভাবতই এলো বিপত্তি। সার্বক্ষণিক বাধা আসছে অদৃশ্য কোন গুপ্তসঙ্ঘের ইশারায়। প্রধান সাসপেক্টকে হাতের নাগালে পেয়েও কেসটার মিমংসা করা গেলো না। প্রতিঘণ্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে থাকা সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়েও গলদঘর্ম হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ। কিন্তু কারও ধারণাও নেই, সত্যটা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাদেশকে। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ মিথষ্ক্রিয়া শব্দের মানে জানেন তো? এটির ইংরেজী প্রতিশব্দ হচ্ছে Interaction. সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানের কাজে এই শব্দ সবথেকে বেশী ব্যবহৃত হয়। তবে বাংলা ভাষাতেও এটির বেশ ভালোই ব্যবহার লক্ষনীয়। Interaction is a kind of action that occurs as two or more objects have an effect upon one another. এটির অর্থ হচ্ছে দুদিক থেকে সংঘঠিত একটি ঘটনা যার প্রতিক্রিয়া উভয়ের উপরই পড়ে। আলোচ্য উপন্যাসে সেরকম একটি ঘটনাই উঠে এসেছে... এখানে প্রথমে দেখা যায় ডিকেটিভ আসিফ আহমেদ ও তার সহকারী রেজা একসাথে একটি খুনের তদন্ত করছে। একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী খুন হন তার নিজের বাসায়। তার খুনের তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক অপরাধীকে শনাক্ত করে তারা। কিন্তু সেখান থেকে গল্পের মোড় যায় ঘুরে। সেই অপরাধী তাকে শোনায় আরেক গল্প। জানায় বিজ্ঞানী শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানী না। তিনি চর্চা করতেন আরো অনেক কিছু। এমন কিছু যা সমাজের কাছে অন্যায়। যা রাখতে হয় গোপন। রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। আসিফ আহমেদ ঝাপ দিতে যায় সেই ঘভীর রহস্যের জালে। ঠিক তক্ষুনি হাত থেকে ফসকে যায় কেস। কোন এক অজানা কারণে তাঁকে সরিয়ে ফেলা হয় কেস থেকে। হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় আরেকটি অদ্ভুত কেস। কে যেন ভ্যাম্পায়ার হয়ে খুনে করে বেড়াচ্ছে মানুষদের। ভাবা যায়??? অনুসন্ধিচ্ছু আসিফ এগিয়ে যায় সেই কেস নিয়ে। আর দেখা পায় এক ভয়ানক ঘটনার। এমন ঘটনা যা নাড়িয়ে দিতে পারে গোটা বিশ্বকে। কি সেই ঘটনা? তার জন্যে পড়তে হবে পুরো বইটি। লেখক কিশোর পাশা ইমনের প্রথম মৌলিক থ্রিলার এই “মিথষ্ক্রিয়া”! রুয়েটে অধ্যায়নরত এই তরুণ লেখকের এটি প্রথম হার্ডকভার বই হলেও অনলাইনে লেখালেখি করছেন অনেকদিন। ফেসবুকের বিভিন্ন বইপড়ুয়াদের গ্রুপে তার রচিত শত শত ছোটগল্প ছড়িয়ে আছে। ইমন সাহেব মূলত অনলাইনে লেখালেখি শুরু করলেও উপন্যাসের প্রকাশের মত বড় প্ল্যাটফর্মেও বেশ ভালো কাজ দেখিয়েছেন। এর আগে অনেক অনলাইন লেখকদের দেখা গেছে বড় প্ল্যাটফর্মে এসে কিছুটা হড়বড়িয়ে যেতে। তবে ইমন সাহেব সেক্ষেত্রে মোটামুটি সফল বলে মনে হয়েছে। মিথষ্ক্রিয়া উপন্যাসটির কনসেপ্টটা দারুণ। গল্পের গাঁথুনিও সুন্দর ছিল। তবে লেখক উপন্যাসটিতে তথ্যবহুলতা দেখাতে গিয়ে কিছুটা কাঁচা কাজ করে ফেলেছেন বলে মনে হয়েছে। জানিনা... হয়ত তিনি ড্যান ব্রাউনের মত কিছু করবার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ইন্টারনেটের তথ্যের বাইরে রিসার্চ করা সম্ভব হয়নি। তাই কিছু কিছু জায়গায় তার তথ্যগুলো হুবহু ইন্টারনেট থেকে অনুবাদকৃত মনে হয়েছে। এছাড়া লেখার মাঝামাঝির দিকে গল্পের গতি কমে গিয়েছিল। পাঠকের কাছে কিছুটা জোর করে টেনে লম্বা করা হয়েছে বলে মনে হতে পারে। তবে লেখক যদি তথ্য প্রদানের দিকটিতে আর একটু সতর্ক থাকতেন, কিছুটা নাটকিয়তা, কিছুটা ঘটনা প্রবাহের মাঝে মাঝে তথ্যগুলো বসিয়ে দিতেন, তাহলে মিথষ্ক্রিয়া হতো রহস্য প্রেমিকদের জন্যে একটি আদর্শ উপন্যাস। এবার আসি বইয়ের বাহ্যিক দিকে। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন বাতিঘর প্রকাশনীর নিয়মিত প্রচ্ছদশিল্পী ডিলান সাহেব। তার প্রচ্ছদ বরাবরই আকর্ষনীয় হয়, তাই এবারও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। বইয়ের ছাপা, মান, বাঁধাই বরাবরের মতই সুন্দর। সুতরাং বইপ্রেমীগণ, যারা এখনও বইটি পড়েন নি। পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ! হ্যাপি রিডিং! রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বইঃ মিথস্ক্রিয়া লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন ধরণঃ থ্রিলার প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৫১ মুদ্রিত মূল্যঃ ৩২০ টাকা রিভিউঃ খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. তানভীর আহমেদ জালাল গাজীপুরে তাঁর নিজ বাড়িতে খুন হন। একই সময়ে নিখোঁজ হয়ে যায় তার একমাত্র ছেলে বিজয় আহমেদ। বিজ্ঞানী তানভীর জালাল শুধু বাংলাদেশ নন, আমেরিকাতেও সমান ভাবে পরিচিত, তাই উপরমহল থেকে এ খুনের দ্রুত সমাধানের চাপ আসে। তাঁর খুনের রহস্য সমাধান করতে ডাক পড়ে হোমিসাইডের ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। ঠিক একই সময়ে শহরের অপর প্রান্তে আবির্ভাব ঘটে এক ভ্যাম্পায়ার খুনীর। শহরে আরও দুটি খুন হয়। সেই দুটি খুনের কেস সমাধানের দায়িত্ব পড়ে আসিফের প্রতিদ্বন্দ্বী, পরশ্রীকাতর ডিটেকটিভ রেজার কাঁধে। ঘটনা প্রবাহ রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান, ফ্রী মেসন ইত্যাদি একের পর এক রহস্য বেরিয়ে আসে। হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। প্রফেসর তানভীর জালালের কেস থেকে আসিফকে সরিয়ে তদন্তের ভার নিল এফবিআই। তারা বেছে নেয় রেজাকে। অন্যদিকে আসিফকে দেয়া হয় ভ্যাম্পায়ার কেসের দায়িত্ব। প্রধান সাসপেক্টকে হাতের নাগালে পেয়েও কেসটার মিমাংসা করা যায় না। কিন্তু আসিফ যখন দেখল দু’টো কেসই একটি অপরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত,তখনই সত্যটা তার সামনে পরিষ্কার হতে লাগল। কিন্তু তখনি কোনো এক অদৃশ্য বলে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল আসিফ ও তার সহকারী জিয়ার উপর।সাথে তাদের নামে হুলিয়া জারি করা হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা কুখ্যাত এক কিডন্যাপাররের সাথে কেসটার তদন্তে নামে আসিফ। বাংলাদেশের এক স্পর্শকাতর জায়গায় মেসনদের লজ আবিষ্কার করে তারা। শেষ পর্যন্ত কি হয়? কে খুন করে বিজ্ঞানীকে?কেন? অন্যদুটি খুনও কেন হয়? খুনের সাথে কিডন্যাপের কি সম্পর্ক? তাছাড়া আরো যত রহস্য আছে ফ্রী মেসন, অ্যালকেমি ইত্যাদি এগুলোরই বা কি সম্পর্ক এই খুনগুলোর সাথে? সবগুলো ঘটনাই কি আলাদা আলাদা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নািক একই সূত্রে গাঁথা? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বইটা পড়ে বেশ কয়েকটি শব্দের সাথে আমাকে নতুন করে পরিচিত হতে হয়েছি। সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি। মূলত ফ্রি মেসন শব্দটার সাথে আমি আগে কখনওই পরিচিত ছিলাম না। এটা পড়ে ফ্রি মেসনদের এবং আরো কয়েকটি গুপ্ত সংঘের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পায়। বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি ইন্টারনেটেও সার্চ দিয়ে দেখি। সেখানেও এগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে লেখা আছে। ইন্টারনেটে আরেকটি জিনিস চোখে পরে, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নাকি ফ্রি মেসনের সদস্য ছিলেন! সে যাহোক বইটা লেখার সময় লেখক প্রচুর পড়াশুনা করেছেন, প্রচুর শ্রম দিয়েছেন এই বইয়ের পেছনে তা বইটা পড়লেই বোঝা যায়। আর বইয়ের প্রচ্ছদটা কাহিনীর সাথে যথোপযুক্ত। নিঃসন্দেহে কাহিনীর সাথে মিল রেখেই প্রচ্ছদ করা হয়েছে। -Bibi Rasheda Afrin Rumi
Was this review helpful to you?
or
গাজীপুরে নিজ বাড়িতে খুন হলেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তানভীর আহমেদ জালাল । একই সময়ে নিখোঁজ হয়ে যান তার একমাত্র ছেলে বিজয় আহমেদ। কেসটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল জাহিদ ফরমান সরাসরি যোগাযোগ করেন হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান কমিশনার শাহেদ জামানের সাথে। কমিশনার কেসটি অর্পণ করেন হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের শ্রেষ্ঠ ডিটেকটিভ আসিফ আহমেদ এর ওপর। প্রফেসর তানভীর জালাল যখন নিহত হন, ঠিক একই সময়ে শহরের অপর প্রান্তে আবির্ভাব ঘটে এক ভ্যাম্পায়ার খুনীর। নিহত হয় দু’জন মানুষ। কেস সমাধানের দায়িত্ব পড়ে আসিফের চির প্রতিদ্বন্দ্বী, পরশ্রীকাতর ডিটেকটিভ রেজার কাঁধে। তদন্তের শুরুতেই আসিফের সন্দেহের তীর নিবদ্ধ হয় বিজ্ঞানী ড. রমিজ খানের উপর। শুরু থেকেই ড. রমিজ খান প্রফেসর তানভীর জালালকে ঈর্ষা করতেন। এমনকি তার গবেষণা নিয়েও একাধিকবার সন্দেহ তুলেছেন। কিন্তু আসিফ যখন তাকে প্রফেসরের মৃত্যুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলো, তখনই একে একে বের হতে থাকলো বিস্ফোরক সব তথ্য। অ্যালকেমী, ইলুমিনাতি, ফ্রী মেসনারি; এদের উৎপত্তি, ধর্মবিশ্বাস, কর্মপন্থা, প্রভাব বিস্তার, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ইত্যাদি বেরিয়ে আসতে লাগলো। তবে যে সত্যটা আসিফকে সবচেয়ে বেশি বিচলিত করে তুলল তা হচ্ছে, একশো বছরেরও বেশি সময় থেকে উপমহাদেশে সক্রিয় ফ্রী মেসনারি। এবার তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। খুব শীঘ্রই তারা চূড়ান্ত মরণকামড় বসাতে যাচ্ছে। যদি তারা সফল হয়, তবে এক অভাবনীয় বিপর্যয় নেমে আসবে বাংলাদেশের বুকে। হঠাৎ করেই ওলটপালট হয়ে গেল পরিস্থিতি। প্রফেসর তানভীর জালালের কেস থেকে আসিফকে সরিয়ে তদন্তের ভার নিল এফবিআই। তারা বেছে নিল রেজাকে। অন্যদিকে আসিফকে দেয়া হল ভ্যাম্পায়ার কেসের দায়িত্ব। কিন্তু আসিফ যখন দেখল দু’টো কেসই একটি অপরটির সাথে ক্রস করছে, তখনই সত্যটা তার সামনে পরিষ্কার হতে লাগল। আর একই সময়ে লোপাট হতে থাকল গুরুত্বপূর্ণ ক্লু, খুন হতে থাকল কেস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কোনো এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল আসিফের ওপর। সাথে তার নামে জারি করা হল হুলিয়া। কেন খুন হলেন ড. তানভীর জালাল? বিজয়ই বা কেন নিখোঁজ হল? অন্য খুনগুলোর সাথেই বা এর সম্পর্ক কি? কাদের মাধ্যমে ফ্রী মেসনারি বাংলাদেশে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছে? আসিফ কি পারবে ফ্রী মেসনারি আর তাদের এদেশীয় এজেন্টদের মুখোশ উন্মোচন করতে? নাকি তার আগেই তাকে আর বাংলাদেশকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে? এ পর্যন্ত আমি যতগুলো বাংলাদেশি মৌলিক ডিটেকটিভ থ্রিলার পড়েছি তার মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা এটি। বাংলাদেশের মত ছোট্ট একটি দেশে ফ্রী মেসনারির মত গুপ্ত সংঘের তৎপরতা থাকবে, বলতে গেলে তা ভাবাই যায় না। কিন্তু বইটা পড়ার পর মনে হচ্ছে সত্যিই যদি কখনো এদেশে এমন কোনো সংঘের উপস্থিতির কথা জানতে পারি, তবে আমার জন্য তা অবিশ্বাস করার কোনো অবকাশ থাকবে না। বইটি আকারে বেশ বড় সাইজের হলেও অযথা টেনে টেনে পৃষ্ঠা বাড়ানোর প্রয়াস চোখে পড়েনি। আপাতদৃষ্টিতে গুপ্ত সংঘগুলোর ব্যাপারে তথ্যসমূহ অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। তবে কাহিনী ভালোভাবে বোঝার জন্য সেগুলো প্রয়োজন ছিল। পুরো বইটাতেই অসংখ্য টুইস্ট আর সাসপেন্সে ভরপুর। আর একেবারে শুরু থেকেই কাহিনীতে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা বিরাজ করার কারণে পাঠকের মনোযোগ হারানোর কোনো সুযোগ নেই। এবার বানানের প্রসঙ্গে আসি। বর্তমানকালের বইগুলোতে বানান ভুলের যে প্রতিযোগিতা দেখা যায়, তা বলতে গেলে বইটিতে প্রায় অনুপস্থিত। সামান্য কিছু টাইপিং মিস্টেক ছাড়া বইটিতে তেমন কোনো বানান ভুল চোখে পড়েনি। তবে পরিচিত অনেক “ঈ” কার যুক্ত শব্দে লেখক “ই” কার ব্যবহার করেছেন। সম্ভবত তিনি বাংলা একাডেমীর বানানরীতি অনুসরণ করেছেন। সবশেষে প্রচ্ছদ নিয়ে কিছু বলি। বইটির প্রচ্ছদ কাহিনীর সাথে প্রাসঙ্গিক এবং আমার ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদের মাঝেই কাহিনী সংক্রান্ত কিছু তথ্যের আভাস দেয়া আছে। আগ্রহী পাঠক ভালোভাবে খেয়াল করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : মিথস্ক্রিয়া লেখক : কিশোর পাশা ইমন প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ঘরানা : কাল্ট থ্রিলার/মিস্ট্রি/হিস্টোরিক্যাল পৃষ্ঠা : ৩৫২ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা সদ্যস্থাপিত হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ আসিফ আহমেদ নিজ পরিমণ্ডলে সুপরিচিত একটা নাম। শিষ্য জিয়াকে নিয়ে বেশ কয়েকটা জটিল হত্যারহস্য সমাধান করে পরিণত হয়েছে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের উদীয়মান তারকা ডিটেকটিভ হিসেবে। সাম্প্রতিক একটা কেসের সমাধান শেষে আসিফ যখন কিছুদিনের বিশ্রামের কথা ভাবছিলো, ঠিক তখনই একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাঁপিয়ে দিলো সবাইকে। গাজীপুরে অবস্থিত নিজের অত্যাধুনিক ল্যাবে আবিষ্কৃত হলো জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী তানভীর জালালের লাশ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা অতিমাত্রায় সুরক্ষিত ল্যাবে তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু জন্ম দিলো বেশ কিছু প্রশ্নের। অদ্ভুত এই মৃত্যুরহস্যকে হত্যাকাণ্ড ধরে নেয়া হলো এবং স্বাভাবিকভাবেই সেটা সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়লো ডিটেকটিভ আসিফ আহমেদ ও তার সহকারী ডিটেকটিভ জিয়া'র ওপর। সাসপেক্ট ও মোটিভ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করার আগেই তানভীর জালাল হত্যারহস্যের মোড় ঘুরে গেলো। নিহত বিজ্ঞানী'র একমাত্র ছেলে বিজয় আহমেদ নিখোঁজ। বাংলাদেশের অপরাধজগতের প্রবাদপুরুষ ইরফানকে যখন লাইমলাইটে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলো, আরো ঘনীভূত হলো উদ্ভূত রহস্য। নাকানিচোবানি খেতে খেতে ডিটেকটিভ আসিফ ও জিয়া যখন এগোচ্ছে, ঠিক তখনই ওদের পা টেনে ধরার জন্য হাজির হলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডিটেকটিভ রেজা। আর উপরি হিসেবে নিজেদের লম্বা আর বেয়াড়া নাক গলিয়ে দিলো খোদ এফবিআই। এদিকে রাতের আঁধারে ঢাকার অন্ধকার অলিতেগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক ভ্যাম্পায়ার। শিকারের গলায় শ্বদন্ত বসিয়ে টেনে নিচ্ছে রক্ত। তারপর পৈশাচিকভাবে খুন করছে ওদেরকে। একবিংশ শতাব্দীতে ভ্যাম্পায়ার! এ-ও কি বিশ্বাসযোগ্য! কিন্তু কারো বিশ্বাস বা অবিশ্বাসে আমাদের এই ভ্যাম্পায়ার সাহেবের কিছু যায়-আসছেনা। নিজ লক্ষ্য পূরণে সে এগিয়ে যাচ্ছে স্টোকারের সেই কাউন্ট ড্রাকুলার মতোই। কালের ধুলোয় ঢাকা পড়া হাজার বছর পুরোনো গুপ্তসংঘ ফ্রি মেসনারি কি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে? অভিন্ন একটা জাতি ও অভিন্ন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা এই গুপ্তসংঘ নিজ অভীষ্ট পূরণের জন্য কতোদূর পর্যন্ত যাবে, প্রশ্ন এসেই যায়। বহুল বিতর্কিত ইলুমিনাতি ও প্রায় ভুলে যাওয়া মিথরাস সৃষ্টি করলো দারুন এক প্যারাডক্সের। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ছোট্ট দেশে সব মিলিয়ে এ যেন এক অদ্ভুত মিথস্ক্রিয়া! ব্যক্তিগত মতামত : কিশোর পাশা ইমনের প্রথম মৌলিক থ্রিলার 'মিথস্ক্রিয়া'-এর পূর্বে 'প্রথম' শব্দটার উপস্থিতি আছে বলেই একমাত্র এটাকে লেখকের প্রথম মৌলিক থ্রিলার হিসেবে মেনে নিয়েছি। অনলাইনে অসংখ্য উপভোগ্য গল্পের রচয়িতা এই প্রতিভাবান লেখক নিজের প্রথম মৌলিক থ্রিলারেও দারুন পরিণত। স্বভাবসুলভ গল্প বলার প্রাঞ্জল ভঙ্গি তো ছিলোই, আর তার সাথে 'মিথস্ক্রিয়া'-তে লেখক সমাবেশ ঘটিয়েছেন বিশ্বের প্রাচীন কিছু কাল্ট বা গুপ্তসংঘের তথ্যসমৃদ্ধ বর্ণনা। উপন্যাসে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে যথাসম্ভব অথেনটিক করে তোলার জন্য কিশোর পাশা ইমনকে যে রীতিমতো থিসিস করতে হয়েছে গুপ্তসংঘগুলোর ব্যাপারে, তা সহজেই বোধগম্য হয়। শুরুতেই ৩৫২ পৃষ্ঠার সুবিস্তৃত একটা প্লটের থ্রিলার দারুনভাবে শেষ করে পাঠকের সামনে তুলে ধরাটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। লেখালেখির প্রতি কিশোর পাশা ইমনের যে ভালোবাসা, পাঠক সেই ভালোবাসা শতগুণে তাকে ফিরিয়ে দেবে এই কামনাই করি। বাংলা মৌলিক থ্রিলার জগতে মিথস্ক্রিয়া দারুন এক সংযোজন নিঃসন্দেহে। 'মিথস্ক্রিয়া'-তে অল্প পরিমাণে টাইপিং মিসটেক লক্ষ্য করেছি। আর লেখক সম্ভবত বাংলা একাডেমীর নতুন বানানরীতি অনুসরণ করেছেন। তাই চিরচেনা 'ভূত' শব্দটা হয়ে গেছে 'ভুত'। সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা বানানরীতির ওপর আমার কোন অভিযোগ যেমন নেই, ভরসাও নেই। তাই এটাকে গুরুত্ব দিলামনা। ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদটা খুব একটা টানেনি আমাকে। একেবারেই সাদামাটা লেগেছে প্রচ্ছদটা। ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত 'মিথস্ক্রিয়া' চলতি বছরের আগস্ট মাসে পড়ে নিজের লেট লতিফ ইমেজ অক্ষুণ্ণ রাখলাম। ২০১৭ সালের বইমেলায় লেখকের আরো দ্বিতীয় মৌলিক থ্রিলার উপন্যাস 'মৃগতৃষা' প্রকাশিত হয়েছে। যথারীতি এটাও বিশাল কলেবরের। শীঘ্রই পড়ার আশা আছে। রেটিং : ৪.৫/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্ইঃ মিথস্ক্রিয়া লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন ধরণঃ থৃলার/ আলকেমি /রহস্য প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ৩৫২ মূল্যঃ২২৪৳ কাহিনীঃ গাজীপুরে বিশাল নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা নিজ বাসায় খুন হলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী তানভীর জালাল।ঠিক সেইদিন কিডন্যাপ হয় তার একমাত্র ছেলে। বাবা মারা গেলেন, ছেলে নিখোঁজ। তানভীর সাহেবের আংটি গায়েব। খুনটি তদন্তের দায়িত্ব পেল হোমিসাইডের ডিটেকটিভ আসিফ। সন্দেহের তীর বিজ্ঞানীর আরেক প্রতিদ্বন্দী বিজ্ঞানী ডক্টর খানের দিকে। আবার সহকারী রিয়াজুল করিম, আর আশ্রিতা কুক ডানা বাতশিভা সন্দেহের বাইরে না। ডক্টর খান অদ্ভুতুড়ে সব তথ্য দেন আসিফ কে।জানান আলকেমিস্ট, মেসনিক,ইলুমিনতি সহ নানা তথ্য। এদিকে জালালের পুত্র বিজয় কে যে বা যারা কিডন্যাপ করেছে তাদের কে সিসি টিভি ফুটেজ এ দেখা যায়। কিডন্যাপার "ফ্যান্টম" অরফে ইরফান। কেন কি স্বার্থ তার?? আবার গল্পে আগমন ঘটে এক ভ্যাম্পায়ারের,এক এর পর এক খুন করে যাচ্ছে সে। আবার এই ডক্টরের খুনের তদন্ত করার জন্য আমেরিকা থেকে এফবিআই এর দুজন এজেন্ট এল। তারা এসেই প্রথমে আসিফকে তার কেস থেকে সরিয়ে দিল। কেন??? অন্য একটা মার্ডার কেসের দায়িত্ব দেয়া হল তাকে। কিন্তু আসিফ আবার কোনোনাকোনো ভাবে এই কেস জড়িয়ে পড়ল। আবার নিজেকে বাঁচাতে আত্মগোপন করা লাগল তার। ভয়ংকর মানুষ ইরফান কে সাহায্য করে বা সাহায্য নিয়ে তদন্তে নামে সে। বের হতে থাকে ভয়ানক তথ্য। অনেক খুন,অনেক পাপ সামনে আসে। সবাই কি মুক্ত?? আসিফ কি পারবে স্বাভাবিক কাজে ফিরতে?? ইরফান কিসের নেশায় ঘুরছে??? আর বিজয় কে কেনই বা কিডন্যাপ করেছিল???জালালের খুনী কে? তার আংটি কই গেল??? পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ পাঠ প্রতিক্রিয়া তে বলার অনেক কিছু আছে। প্রথম কথা লেখার ধরণ সুন্দর। অনেক তথ্য দিয়েছে লেখক। কিন্তু অতিরিক্ত বড় করে ফেলেছে। এটা না করলেও বোধহয় চলত। এত বেশি তথ্য পাঠক সহজে হজম করতে পারবে না, এটা কেবল আমার মত। দ্বিতীয়ত, আব্রাহাম লিংকনকে বলা হয়েছে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট,কিনতি আমার জানাছিল যে, আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট-জর্জ ওয়াশিংটন। এরপরে একবার বলা যে, তানভীর জালালের মুখ দিয়ে বিষ যায়নি, আবার বলা ওষুধ খেতে গিয়ে বিষ গেছে। অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োগের কারনে উপন্যাস বিরক্তিকর লেগেছে। এত তথ্য কি আসলেও লাগত?? আলকেমি, মেসনিক, ইলুমিনতি নিয়ে আলাদা আলাদা উপন্যাস হতে পারত। আবার ভ্যাম্পায়ার চরিত্র কি খুব দরকার ছিল?? আলকেমি, মেসনিক জিনিস গুলো অনেক বড় বড়। এত তথ্য একবারে গেলাতে গেলে সেটা বদ হজম হয়ে যাবে। আবার বলা আছে ইসরাইলের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু ইসরাইল আর বাংলাদেশের যোগাযোগ কুটনৈতিক ভাবে নেই। আবার ডানা প্রফেসরের সাথে ঠিক কবে থেকে আছে, ডানার বয়েস ইত্যাদি একটু গোজামিল লেগেছে। ভ্যাম্পায়ার বয় সৈকত নিজের গলায় পাতলা ছুরি লুকিয়ে নিয়ে ঘুরত। এটা কেমন যেন লেগেছে। আরো প্রচুর টুকরো টুকরো ভুল আছে। তবু এত বড় থ্রিলার লেখার সাহস দেখিয়েছে এটা বড়। লেখক আমার চাইতে বয়সে ২ বছরের ছোট তাই আপনি আজ্ঞে করে লিখলাম না। রেটিং :৩/৫ রকমারি : https://www.rokomari.com/book/110502/মিথস্ক্রিয়া
Was this review helpful to you?
or
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী তানভীর জালাল খুন হলেন তার নিজের বাসায়। হোমিসাইডের সবচেয়ে তুখোড় অফিসার আসিফের হাতে কেসটি সমাধানের দায়িত্ব পড়লো। প্রথমেই সন্দেহের তালিকায় রাখা হয় তানভীর জালালের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ডক্টর খানকে কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বের হয়ে আসে ফ্রিমেসন সহ আরো কিছু ভয়ানক গুপ্ত সংঘের ইতিহাস। এদিকে আবার আসিফকে ডিপার্টমেন্ট এই কেসের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিলো।দায়িত্ব নিলো এফ বি আই। আসিফকে দেওয়া হলো অন্য একটি খুনের কেইস। কিন্তু সেই কেইস আবার আগেরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকায় আসিফকে এফ বি আইয়ের কাজে বাগড়া দিতে হলো। এরই মাঝে ঘটনাক্রমে আসিফ কিছু ভয়ানক সত্য জানতে পেরে যায় যার ফলে এফ বি আইও ওকে দেখামাত্র অ্যারেস্টের নির্দেশ দেয়। আসিফ এদিকে ভয়ানক বিপদে তার উপর আবার এই কেইস সমাধানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর মাঝে তানভীর জালালের ছেলে কিডন্যাপ হয়ে গেল। কিডন্যাপার ইরফানকে ধরে ফেলায় তাকে দিয়েই কেইসের অনেকটুকু সমাধান করে ফেললো আসিফ। কিন্তু যা জানতে পেলো তা অবিশ্বাস্য! রক্তচোষার রহস্য, হাজার বছর ধরে প্ল্যান করে আসা এক গোপন সংঘ, ইরফানের মতো ভয়ানক খুনিকে সাথে নিয়ে কেইস আগানো, ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষতা সব মিলিয়ে এক রোমহর্ষক কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ঢুকে যাবে পাঠক। তানভীর জালালকে কেন খুন করা হয়েছিল? খুনি কে? এর সাথে ফ্রিমেসনের মতো সংস্থারই বা সংশ্লিষ্টতা কোথায়? আসিফ কি নিজের প্রাণ আর মর্যাদা রক্ষা করে কেইস সলভ করতে পারবে? পারবে ডিপার্টমেন্টে ফিরে যেতে? ইরফানই বা আসলো কোথা থেকে? কেনই বা সে বিজয়জে কিডন্যাপ করলো? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই আপনি প্রবেশ করবেন অন্য এক দুনিয়ায়... পাঠ প্রতিক্রিয়া: ফিকশন হিসেবে আমি একে ১টা নাম্বারও দিবো না। ফ্রিমেসন এর উপর লেখক এত বেশি জ্ঞান দিয়েছেন যে উনি নন ফিকশন লিখলেই পারতেন। এই ব্যাপারটার উপর উনি ব্যাপক খাঁটলেও খাঁটনিটা যথাযথ জায়গায় প্রয়োগ করেননি। খুবই বিরক্ত লাগছিলো যখন ফ্রি মেসন সম্পর্কে অপ্রাসঙ্গিক ফ্যাক্টগুলো পড়ছিলাম। কেন জানি মনে হচ্ছিলো লেখক নিজেকে জাহির করতে চেয়েছেন। এইবার আসি অসংলগ্নতার ব্যাপারে। ডক্টর খান কেমিস্ট্রির অধ্যাপক হয়ে ধর্মতত্ত্বের উপরে ১৫বছর ধরে ব্যাপক ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন ব্যাপারটা হাস্যকরই বটে। তাছাড়া এফ বি আইয়ের মতো সংস্থার কাছ থেকে সে যেভাবে পালিয়ে বেড়ায় তাও অতি নাটকীয়.. আরো ছোটখাটো অনেক অসংলগ্নতা আছে যা লিখলে ১০টা রিভিউয়ের সমান হয়ে যাবে। তবে শেষ যেই খোঁচাটা লেগেছে সেটা হলো, খানের মতো বিজ্ঞ ব্যক্তির যেখানে ১৫বছর সময় লাগলো সেখানে আসিফ এত তাড়াতাড়ি ইন্টারনেট ঘেঁটেই যেন তার চেয়েও বেশি জেনে ফেলেছে। ত্রুটির কিছু নমুনা দেখাই আব্রাহাম লিংকনকে আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় বইটি তে। কিন্তু আমরা জানি, আমেরিকার জন্ম ১৭৭৬ এ আর লিংকনের জন্ম ১৮০৯ সালে। আবার একই পেইজে ২ বার আব্রাহাম লিংকনকে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেণ্ট বলার মতো মারাত্মক ভুল করে লেখক। যাই হোক, আরো হাজারো ভুল আছে যা পড়তে গেলেই পাঠকের চোখে পড়বে। তবে, তথ্যগত দিক দিয়ে এটি ফ্রিমেসন, ইলুমিনাতি, মিথরাজ, প্যাগান কাল্ট, খ্রিস্ট ধর্মের উৎপত্তিগত পটভূমি এবং বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় পরিবর্তন আর বিকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই বই রীতিমত বাংলার বাইবেল হিসেবে কাজ করবে বলে আমার মনে হয়। আর এইসব অজানা ব্যাপারগুলো জানতে ইচ্ছুক এরকম যেকোনো পাঠকের কাছে দীর্ঘ এই বইটিও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলে আমার মনে হয়। এডিশনাল ইনফো: বইটিতে তথ্যগুলোর নির্ভরযোগ্য সোর্স দেওয়া আছে। আর কেউ কৌতূহলী হলে সেগুলো ঘেঁটে দেখতে পারেন ব্যক্তিগত রেটিং: ২/৫
Was this review helpful to you?
or
বইঃ মিথস্ক্রিয়া লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন ধরণঃ থৃলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ৩৫২ মূল্যঃ ৩২০ টাকা প্রিভিউঃ খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। অনিসগচয়তার সাথে যুক্ত হলো একটি কিডন্যাপ কেস। তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পালটে যেতে গেলো ঘটনা প্রবাহ-রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে- কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্যের সমাধান লুকিয়ে আছে সামনে থাকা তথ্যগুলোর এক এবং কেবল একটিমাত্র অংশে। স্বভাবতই এলো বিপত্তি, বাধা আসছে অদৃশ্য কোন গুপ্তসংঘের ইশারায়। প্রতিঘন্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে সামনে থাকা সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়েও গলদ্ঘর্ম হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ। কিন্তু কারও ধারণাও নেই, সত্যটা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাদেশকে। কিশোর পাশা ইমনের প্রথম মৌলিক থৃলার উপন্যাস মিথস্ক্রিয়া, পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময় এক এক অতীত আর অজানা বাস্তবতাকে। নিজস্ব মতামতঃ প্রথমেই বলে রাখি, কাহিনী খুবই দারুণ। জমজমাট এই থ্রিলার কাহিনী দিয়ে কিন্তু খুব ভালো একটা সিনেমাও হতে পারে, পরিচালকেরা এটা ভেবে দেখতে পারেন ;) লেখকের প্রথম মৌলিক থৃলার, তাই তিনি যে প্রচুর পড়াশোনা করে বইটি লিখেছেন, তাতে নিঃসন্দেহ হওয়া গেছে। প্রচুর তথ্যে ভরপুর এ বইটি। কিন্তু... এখানে একটা কিন্তু আছে। লেখক পড়াশোনা করে যে তথ্যগুলো পেয়েছেন তার প্রায় পুরোটাই বোধহয় তিনি বইতে ঢুকিয়েছেন, ফলে যেটা হয়েছে, টান টান গতিতে শুরু হওয়া থৃলারটি মাঝপথে গতি হারিয়ে ফেলেছে, ঝুলে পড়েছে কোথাও কোথাও। বহু তথ্যের ভারে বইটা একটা সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে পরিণত হয়েছে। তবে, শেষে গিয়ে কাহিনী আবারও গতিশীল হয়েছিলো। ক্লাইম্যাক্সটাও ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে বলবো, অনবপদ্য কনসেপ্টের একটা বই “মিথস্ক্রিয়া”। তবে, লেখকের কাছে একটাই অনুরোধ, বইতে প্রয়োজনীয় তথ্যের বাইরে আর কিছু না দিলেই পাঠকের জন্যে ভাল হয়, পাঠকের বইটা বুঝতে সুবিধে হয়। বিষয়টি একটু বিবেচনা করবেন। শেষে এটুকুই বলার, মিথস্ক্রিয়া আমার মোটামুটি লেগেছে। লেখকের আগামী বইয়ের জন্যে শুভকামনা। রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/110502/মিথস্ক্রিয়া
Was this review helpful to you?
or
বিশ্বাসটাই মোটিভেশন। সুইসাইডাল অ্যাটাক করে টেররিস্টরা। সেটা আসে একটা বিশ্বাস থেকে। টেরটিস্টদের সাথে কাউন্টার-টেররিস্ট ফোর্সও সহজে পেরে উঠে না কেন জানেন? তারা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে চলে না। শৃঙ্খলা তাদের মূলমন্ত্র। আর যত দিন পর্যন্ত জীবনভর চলার মত একটা বিশ্বাস আপনার না থাকছে, শৃঙ্খলা-শিক্ষা এসব বিষয় ততটা ইফেক্টিভ না।" - এই বিশ্বাসে অন্ধ এক দল মানুষ পুরো পৃথিবীটাকে শাসন করতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার নামে বিশ্বব্যাপি একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারা জ্ঞান পিপাসু। অল্প সময়ে এত জ্ঞানার্জন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব না। ফলে শয়তানের সাহায্য তাদের একান্ত প্রয়োজন। তারা শয়তানকে ভক্তি করে, শ্রদ্ধা করে। বাংলাদেশকে করায়ত্ব করার মিশনে নামে তারা। Men, Mithras, Masons এই তিনের উদ্দেশ্য সফল করার অভিযানে সৃষ্টি হয় "মিথস্ক্রিয়া"। দারুন উপভোগ্য একটি প্লট। দারুণ এ্যাকশন। হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা একটি বিশ্বাস, ধর্ম, গুপ্তসংঘের বিপরীতে কুখ্যাত কিডন্যাপার, তুখোড় হোমিসাইড ডিটেক্টিভের অস্তিত্বের লড়াই। প্রথমদিকে হয়ত বোরিং লাগবে, আমারও লেগেছে। তবে একটা সময় ভালোই লাগবে আশা করি। হয়ত অতটা রোলার কোস্টার গতির নয়। তবে খারাপ না।
Was this review helpful to you?
or
নিজ বাসায় খুন হলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী তানভীর জালাল। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই আলোড়ন উঠল। সেনাবাহিনীর চীপ অব স্টাফের নির্দেশে খুনটি তদন্তের দায়িত্ব পেল হোমিসাইডের ডিটেকটিভ আসিফ। খুনের জন্য প্রথমেই সন্দেহ করা হল বিজ্ঞানীর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী বিজ্ঞানী ডক্টর খানকে। কিন্তু ডক্টর খানের সাথে কথা বলেই আসিফ জানতে পারল বিজ্ঞানী তানভীর জালালের আরেক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকের কথা, বিশ্বকে পায়ের তলায় এনে ফেলার শপথ নেয়া এক গুপ্ত সংঘের কথা। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে আসিফ যখন দুলছে, তখন সবাই খেয়াল করল খুনের পর থেকেই ডক্টর তানভীর জালালের ছেলে বিজয়কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। রেস্টুরেন্টের এক সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল, বিজয়কে কিডন্যাপ করেছে কুখ্যাত এক কিডন্যাপার ইরফান, ফ্যান্টম হিসেবেই যার বেশি খ্যাতি। আসিফ ভাবছে বিজয়কে কিডন্যাপ করার রহস্য কি? এতে কার স্বার্থ লুকিয়ে আছে? ভেবে কোন কূল কিনারা বের করতে পারছে না। এদিকে ডক্টরের খুনের তদন্ত করার জন্য আমেরিকা থেকে এফবিআই এর দুজন এজেন্ট এল। তারা এসেই প্রথমে আসিফকে তার কেস থেকে সরিয়ে দিল। অন্য একটা মার্ডার কেসের দায়িত্ব দেয়া হল তাকে। কিন্তু নিয়তি বলে একটা কথা আছে! আসিফের কেসটির ক্রস কানেকশন ঘটল ডক্টর তানভীর জালালের কেসটির সাথে। দৃশ্যপটে আবারও আগমন ঘটল আসিফের। কিন্তু সেটা ভাল চোখে দেখল না কেউই। যে চীপ অফ স্টাফের নির্দেশে আসিফ প্রথমে এই কেসের দায়িত্ব পেয়েছিল, তার নির্দেশেই অসিফকে রোগ এজেন্ট ঘোষণা করা হল। নির্দেশ দেয়া হল দেখা মাত্রই গুলি করার। সহকারী জিয়াকে নিয়ে ডুব দিতে বাধ্য হল আসিফ। বাধ্য হল কিডন্যাপার ইরফানের সঙ্গে একই সাথে কাজ করতে। ইরফানের সহয়তায় সে জানতে পারল বিশ্বকে কারায়ত্ব করার স্বপ্ন এই গোপন সংঘটনটির আজকের না, আরো হাজার বছর আগের। হাজার বছরের প্লান নিয়ে ওরা ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। বাংলাদেশে সফলতার দ্বারপ্রান্তে প্রায় পৌঁছেও গেছে ওরা। দাঁতে দাঁত চেপে আসিফ প্রতিজ্ঞা করল, যেভাবেই হোক এই বদ্ধ উন্মাদের গোষ্ঠীকে সে রুখবেই। কিন্তু যেখানে শত্রু/মিত্র কে- সেটাই আলাদা করা দায়, সেখানে কিভাবে সফল হবে সে? ছোট ভাই কিশোর পাশা ইমনের সাড়ে তিনশো পৃষ্ঠার বিশাল উপন্যাস মিথস্ক্রিয়া পড়ে শেষ করলাম। এর আগে তার বেশ কিছু ছোট গল্প পড়েছিলাম। যে দুইটি চরিত্র নিয়ে এই বইটার কাহিনী এগিয়ে গেছে, আসিফ এবং ইরফান, এই দুজনকে নিয়েও একাধিক গল্প পড়া হয়েছিল। এই দুজনকে একসাথে দেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। তবে এই দুজনের প্রথম মেলবন্ধন যে এই বিশাল প্রেক্ষাপটের উপন্যাসে হবে তা ধারণাতেও ছিল না। বইটি পড়তে বসলেই পাঠক বুঝতে পারবেন, এই বইটি লেখার জন্য ছেলেটাকে কি পরিমাণ খাটতে হয়েছে। হাজার বছরের ইতিহাসকে এক সুতোয় গাঁথা তো আর সহজ ব্যাপার নয়। তাও আবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেসবকে যৌক্তিক ভাবে উপস্থাপন করা- সহজ কাজ নয় মোটেও। তবে দুয়েকটা বিষয়ে আমার ছোটখাটো খটকা আছে। ডক্টর খান, যিনি কেমিস্ট্রির একজন প্রসিদ্ধ গবেষক, মেসন এবং মিথরাজের মত গোপন বিষয় নিয়ে এত কিছু জানলেন কিভাবে? তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে, ডক্টর খান যেখানে ১৫ বছর গবেষণা করার পর এইটুকু জানতে পেরেছেন, সেখানে মাত্র অল্প কয়েকদিনে ইরফান এতকিছু জানল কিভাবে, যেখানে পৃথিবীর খুব বেশি মানুষ এসব নিয়ে জানে না। এটা কি একটা অসংজ্ঞতি নয়? সব কথার শেষ কথা, বইটা পড়ে আমি মুগ্ধ। প্রথম মৌলিক থ্রিলার হিসেবে কেপি যথেষ্ট ভাল কাজ দেখিয়েছে। দোয়া করি, সামনে যেন এরচেয়েও ভাল কাজ পাই।
Was this review helpful to you?
or
শেষের কিছু অংশ ছাড়া আগা-গোড়া বিরক্তিকর এবং ভুলে ভরা একটা বই।অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ঠাসা,পড়তে গেলে মনে হয়েছে হয় ফ্রি-মেসনের উপরে পিএইচডি ডিগ্রী করছি বা লেখক নিজের জ্ঞান জাহির করার ধান্ধায় নেমেছেন।টেনে হিঁচড়ে কাহিনী বড় করা হয়েছে।পুরোপুরি ফালতু বলা যাচ্ছেনা,ফালতু থেকে এক রেটিং উপরে রাখা যায়। পজিটিভ দিক- যদিও আগেই বলেছি অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ঠাসা,তবুও বইয়ের একমাত্র পজিটিভ দিক এটাই।আপনি যদি জানতে চান,জানার প্রতি আগ্রহী হন,তাহলে বইটা আপনার জন্য ভালো একখানা সোর্স।বুঝাই যাচ্ছে এইসবের জন্য লেখককে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে,এজন্য উনাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।বেশকিছু নতুন জিনিস জেনেছি। নেগেটিভ দিক- প্রচুর পরিমাণ তথ্যই এই বইয়ের অন্যতম নেগেটিভ দিক।অযথা অনেক তথ্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে,পড়তে পড়তে বিরক্তি এসে গেছে,খেতে না পারলে মানুষ যেমন গিলে ফেলে,এটাকেও আমার গিলে ফেলতে হয়েছে,এখনো উগড়াইনি। ভুলের আধার বলা যায়।এতগুলো ভুল নোট করেছি,বুঝতেছিনা এতগুলো লেখব কীভাবে,তাই অল্প কয়েকটা দিয়েই কাজ চালাই-- পৃষ্ঠা-১৮ তোফায়েল আসিফকে বলছে, ‘সম্ভবত পয়জন,স্যার।তবে পয়জনটা মুখ দিয়ে প্রবেশ করেনি। সমস্যা হলো পরে আসিফ ডানা বাতশিভাকে প্রধানতম সাসপেক্ট করে সে তানভীর জালালের রাঁধুনী বলে!! পৃষ্টা ২০ এ আসিফের ভাবনা থেকেই বুঝা যেতে পারে মুখ দিয়ে বিষ প্রবেশের ধারণার কথা-- ‘’দ্বিতীয় সমস্যা ,প্রফেসর খুব সম্ভবত বিষ প্রয়োগে নিহত হয়েছেন।এটুকু জানা গেছে,জানা যায়নি বিষ।টা তার শরীরে কিভাবে ঢুকলো।কয়েকভাবেই সেটা করা যেতে পারে।রাতের কিংবা দুপুরের খাবারের সময় কিংবা প্রফেসরের দৈনন্দিন কোন মেডিকেশন নেয়ার অভ্যাস বা প্রয়োজন থাকলে সেই ছুতোতেও খাইয়ে দেওয়া সম্ভব।‘ তোফায়েল যখন আগেই বলে দিয়েছে মুখ দিয়ে বিষ প্রবেশ করেনি তখন আসিফ কেন এই কথা ভাবলো বুঝিনি।আমার বুঝার সমস্যা নাকি আসিফের মেমোরি লস?? পেইজ ৭৪- ‘আব্রাহাম লিংকন-যাকে আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা বলা চলে-............ ফ্যাক্ট-আমেরিকা স্বাধীনতা-প্রাপ্ত হয় ৪ জুলাই,১৭৭৬।আব্রাহাম লিংকনের জন্ম-১৮০৯ সাল। একই পেইজে,আব্রাহাম লিংকনকে বলা হয়েছে আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট,তাও একবার না,দুই দুই বার।যদিও আমরা জানি আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট-জর্জ ওয়াশিংটন। মাঝখানের ভুলগুলো নিয়ে আর লেখছিনা,রচনা হয়ে যাবে।আমরা চলে যাই শেষের দিকে- পেইজ ৩৩০- ‘মৃত অসপেক্স আর ধৃত রিয়াজুল করিমের ব্যাপারে সাথে সাথে ইজরায়েলের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ।‘ এরপর নিচেই আবার বলেছেন-- ‘ইজরায়েলের সাথে যেহেতু বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ করার সম্ভাবনা নেই.........’ যদ্দুর জানি ইজরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।লেখক যে সেটা জানেন সেটা ২য় কোটেশনেই বুঝা যায়।তারপরও কেন তিনি ১ম কোটেশনে যোগাযোগের কথা আনলেন বুঝলাম না। বইটার ৬৬ নং অধ্যায়টা চলেছে খুবই তাড়াহুড়োয়,যেন ম্যাজিকের মত ধাম ধাম করে সব কাজ হয়ে গেল!! সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র হলো-সৈকত।ভ্যাম্পায়ার হওয়ার জন্য প্রয়োজন এমন সব রোগই তারে ধরল??ব্যাপারটা খুব বেশি কাকতালীয় হয়ে গেলনা?? আর কিছু বললাম না,ব্যক্তিগত অভিমত দিলাম,কারো ভালো লাগতে পারে কারো নাও লাগতে পারে।আশা করি লেখকের সামনের লেখাগুলো আরো ভালো হবে।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপ: নিজ বাসায় খুন হলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী তানভীর জালাল। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই আলোড়ন উঠল। সেনাবাহিনীর চীপ অব স্টাফের নির্দেশে খুনটি তদন্তের দায়িত্ব পেল হোমিসাইডের ডিটেকটিভ আসিফ। খুনের জন্য প্রথমেই সন্দেহ করা হল বিজ্ঞানীর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী বিজ্ঞানী ডক্টর খানকে। কিন্তু ডক্টর খানের সাথে কথা বলেই আসিফ জানতে পারল বিজ্ঞানী তানভীর জালালের আরেক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকের কথা, বিশ্বকে পায়ের তলায় এনে ফেলার শপথ নেয়া এক গুপ্ত সংঘের কথা। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে আসিফ যখন দুলছে, তখন সবাই খেয়াল করল খুনের পর থেকেই ডক্টর তানভীর জালালের ছেলে বিজয়কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। রেস্টুরেন্টের এক সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল, বিজয়কে কিডন্যাপ করেছে কুখ্যাত এক কিডন্যাপার ইরফান, ফ্যান্টম হিসেবেই যার বেশি খ্যাতি। আসিফ ভাবছে বিজয়কে কিডন্যাপ করার রহস্য কি? এতে কার স্বার্থ লুকিয়ে আছে? ভেবে কোন কূল কিনারা বের করতে পারছে না। এদিকে ডক্টরের খুনের তদন্ত করার জন্য আমেরিকা থেকে এফবিআই এর দুজন এজেন্ট এল। তারা এসেই প্রথমে আসিফকে তার কেস থেকে সরিয়ে দিল। অন্য একটা মার্ডার কেসের দায়িত্ব দেয়া হল তাকে। কিন্তু নিয়তি বলে একটা কথা আছে! আসিফের কেসটির ক্রস কানেকশন ঘটল ডক্টর তানভীর জালালের কেসটির সাথে। দৃশ্যপটে আবারও আগমন ঘটল আসিফের। কিন্তু সেটা ভাল চোখে দেখল না কেউই। যে চীপ অফ স্টাফের নির্দেশে আসিফ প্রথমে এই কেসের দায়িত্ব পেয়েছিল, তার নির্দেশেই অসিফকে রোগ এজেন্ট ঘোষণা করা হল। নির্দেশ দেয়া হল দেখা মাত্রই গুলি করার। সহকারী জিয়াকে নিয়ে ডুব দিতে বাধ্য হল আসিফ। বাধ্য হল কিডন্যাপার ইরফানের সঙ্গে একই সাথে কাজ করতে। ইরফানের সহয়তায় সে জানতে পারল বিশ্বকে কারায়ত্ব করার স্বপ্ন এই গোপন সংঘটনটির আজকের না, আরো হাজার বছর আগের। হাজার বছরের প্লান নিয়ে ওরা ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। বাংলাদেশে সফলতার দ্বারপ্রান্তে প্রায় পৌঁছেও গেছে ওরা। দাঁতে দাঁত চেপে আসিফ প্রতিজ্ঞা করল, যেভাবেই হোক এই বদ্ধ উন্মাদের গোষ্ঠীকে সে রুখবেই। কিন্তু যেখানে শত্রু/মিত্র কে- সেটাই আলাদা করা দায়, সেখানে কিভাবে সফল হবে সে?
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে পড়া সবথেকে মজাদার বই।বইটা সবার পড়া উচিত ?
Was this review helpful to you?
or
মিথস্ক্রিয়া কাহিনি সংক্ষেপ কে যেন অদ্ভুত উপায়ে এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মেরে রেখে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিজ্ঞানী আত্মহত্যা করেছেন। ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের উপর দায়িত্ব দেওয়া হল এই কেসের। কিছুক্ষণ বাদে লক্ষ্য করে দেখা গেল, বিজ্ঞানীর ছেলেকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পাল্টে গেলো ঘটনা প্রবাহ। নিহত বিজ্ঞানির প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক বিজ্ঞানী শোনালেন অন্য এক গল্প। রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে-কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্য। কে বুঝবে, সমাধানটা ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছে? অন্যদিকে অদৃশ্য গুপ্তসঙ্ঘএর ইশারায় বাঁধা দিয়ে যাচ্ছে তাদের ভাড়া করা গুন্ডারা। প্রতিঘণ্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। চোখের সামনে দৃশ্যমান সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়ে হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ হিমসিম খেয়ে গেল। পাঠপ্রতিক্রিয়া অনেক সময় নিয়ে পড়ছি। এইটা ধরার পরই বুঝছি - খুব বেশি দ্রুত এইটা পড়াটা ঠিক হবে না। অ্যামেজিংলি ডিটেইলড! সবকিছুর বিশদ বর্ণনা দেওয়া। এত বর্ণনায় বিরক্ত লাগতে পারে অনেকেরই - কারণ, এত বর্ণনা সমেত লেখা খুব কমই বাংলাদেশে আছে। এটা বেশ ভাল লাগছে। তবে একটা নেগেটিভ দিকও আছে - সেইটা পরে লিখব। এই বইটা পড়লে, কেপির রিসার্চের প্রশংসা করতে বাধ্য হতেই হবে। সাধারণ খুনের ঘটনা থেকে প্রাচীন আলকেমির ইতিহাস ঘুরে কাল্টবেজড প্রাচীন ধর্ম থেকে ঘুরে আবার বর্তমানে আসা। আর, আলকেমি সম্পর্কে বিস্তারিত যা বলা যাছে - সেইটা পড়লে নেট ঘাটার অতটা দরকারও নাই। তবে, সবচেয়ে সেরা ব্যাপারটা হচ্ছে - প্রাচীন ধর্মগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানানো। বলতে গেলে ইন্টারনেট ঘাটলে এইগুলো জানতে অনেক কষ্ট করতে হবে একজনকে। কিন্তু এই বইটা পড়লে কম সময়েই সব জানা যাবে। এইদিক দিয়ে অনেক কিছু জানাও যাবে বইটা থেকে। এইটার জন্য বইটাকে অনেক উপরের দিকেই রাখতে হচ্ছে। অনেকদিন মনে থাকবে বইটার কথা। এখন আসি গল্পের কথায়, সত্যি বলতে - গল্পের আসল কাহিনী কিন্তু ছোটই, খুব আলাদাও লাগে নাই। শুধু ইলেমেন্টগুলোর জন্য গল্পটাকে আলাদা বলা যায়। বর্ণনার নেগেটিভ দিকটা লেগেছে এখানেই - খুব বেশি বর্ণনা থাকায় গল্পটা ধীরে ধীরে এগিয়েছে। দম বন্ধ অবস্থা টের পাওয়া যায়নি। সে জন্যেই টুইস্টগুলো খুব একটা টুইস্টেড মনে হয়নি। আস্তে ধীরে পড়লে আগে থেকে আন্দাজ করে ফেলা যাবে। (আন্দাজ করা যাবে বলেছি - বুঝা যাবে না। এইদিকে ভালই ক্যামাফ্লেজ ছিল। নিশ্চিতরূপে কিছুই বুঝা যাবে না পড়ার আগ পর্যন্ত) এই ধরণের গল্পে ইংরেজির ব্যবহারটা বেশি থাকাটা নেতিবাচক কিছু না। ঘটনার প্রয়োজনে থাকবেই। কিন্তু মাঝে মাঝে সাধারণভাবে বর্ণনার মাঝখানে ইংরেজি এসে পড়ায় হালকা একটু গড়মিল লেগেছে। তবে এটা যার যার পড়ার স্টাইলের উপর নির্ভর করে - একেকজনের এটা একেকরকম লাগবে। তবে, সংলাপের বাইরের জায়গায় ও বর্ণনা করার সময় ইংরেজি না থাকাই ভাল ছিল। কী এবং কি এর মাঝে ভাল প্যাচ লেগেছে। যেইখানে যেইটা দরকার ছিল উল্টাটা। বেশ কয়েকটা জায়গায় পেয়েছি। গল্পের শুরুর দিকটা আমি বলব - কিছুটা দ্রুততার সাথে লেখা। প্রমাণটা পাওয়া যায়, যখন আসিফের সাথে ডানার প্রথমবার কথায় - ডানা চমকে উঠে প্রশ্নে। এটার কোন প্রয়োজন ছিল না। এই চমকে উঠা বুঝাতে যেই ব্যাখ্যাটা আছে, তাতেও চমকে উঠাটা যুক্তিযুক্ত না। কারণ, তার সম্পর্কে আগে কে কী বলেছে সেইটা সে জানে এমন কিছুর উল্লেখ ছিল না। তবে ইরফানের জায়গা থেকে বর্ণনাটা জাস্ট অস্থির। অ্যাকশনটা ভাল ভাবেই ফুটে উঠেছে। এছাড়া - আরো কয়েকটা কথা বলাই যায়। তবে তা স্পয়লার ধারণ করবে। তাই বাদ। আর, প্রথম মৌলিক হিসেবে যেই কাজ কেপি দেখিয়েছে - সেইটার জন্য তাকে অ্যাপ্রেশিয়েট করতেই হবে। 'ড্যান ব্রাউন বাংলাদেশেও একজন আছে, তাকে আমরা কেপি হিসেবে চিনি' - এইটা ভবিষ্যতে বলা হবেই। আমার বিশ্বাস!
Was this review helpful to you?
or
খুবই আন্ডারেটেড একটা বই।আলকেমি,গুপ্ত সংঘ,মেসন,মিথরাস লজ সব মিলিয়ে কমপ্লিট একটা প্যাকেজ। টুইস্ট গুলাও দারুন ছিল।যারা ড্যান ব্রাউনের বইগুলো পছন্দ করেন তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য এই মৌলিক থ্রিলারটি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি থ্রিলার । বইটিতে অনেক সুন্দর করে কয়েকটা গল্প একসাথে চালিয়ে অনেক সুন্দরভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। ফ্রি মেসনারি সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করেছে এই বই। বইটি পড়লে অনেক অসাধারণ কিছু জিনিস জানতে পারবেন । পড়তে পারেন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
এখনকার বইগুলো হাতে নিলেই ভালো লাগে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চমৎকার দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদের উপস্থিতি। মিথস্ক্রিয়া উপন্যাসের প্রচ্ছদও এর ব্যতিক্রম নয়। সুন্দর প্রচ্ছদের জন্য প্রচ্ছদ শিল্পীকে ধন্যবাদ। ইতিহাসের কিছু সত্য ঘটনা, তার সাথে কিছু মিথ আর কিছু ফ্যান্টাসি যোগ করে উপন্যাস লেখার চল গতি পায় দ্যা ডা ভিঞ্চি কোড প্রকাশের পর থেকে। সেই থেকে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এই ঘরনার দু'টি উপন্যাস এর আগে পড়েছিলাম। হতাশ হয়েছিলাম পড়ে। কারণ শুরু সুন্দর হলেও উপন্যাসের শেষটা করতে পারেননি লেখকদ্বয়। মিথস্ক্রিয়া উপন্যাসে লেখক কিশোর পাশা ইমন একটা মার্ডার মিস্ট্রির সাথে থ্রিল, মিথ, ফ্যান্টাসি, ফ্যাক্টসের অপূর্ব ও ভারসাম্যপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া ঘটিয়েছেন। লেখক সার্থক। পাঠক হিসাবে আমি পরিতৃপ্ত। লেখককে ধন্যবাদ। পাঠকদের কাছে উপন্যাসটি পড়ার অনুরোধ থাকলো।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা একটা সময় ছিলো যখন অল্পতেই মুগ্ধতা কাজ করতো। এক বই একবার না বেশ কয়েকবার পড়তাম । বইয়ের মুগ্ধতার রেশ থাকতে থাকতে থাকতে সেই বইটির মাঝেই আরো একবার বুলিয়ে নিতাম সেই মুগ্ধতার লোভে । সেই পাট চুকে গেছে অনেক আগেই । এক বই দুইবার চেখে দেখার স্বাদ জাগে না আর । কিন্তু............... কিছু দিন যাবত একটা বই পড়ার জন্য আকুপাকু করছিল নিজের পাঠক স্বত্তা। ভাবতে দেরী করতে দেরী আর করিনি আর। ইচ্ছে থাকতে থাকতেই হাতে তুলে নিয়েছি ‘মিথস্ক্রিয়া’ । কিশোর পাশা ইমন পরিচালিত আর বাতিঘর নিবেদিত ‘মিথস্ক্রিয়া’ প্রথম পড়ি প্রায় এক বছর আগেই। ঐ সময়ে বইটি সম্পর্কে দু চার কলম লেখার সাহস টা আর হয়ে উঠে নি। আর এইবার আরেকবার বইটাকে পড়ে আর সেই হিনমন্যতা কাজ করে নি । আর তারই প্রেক্ষিতে আজকে নিজের কিছু অনুভুতিব্যাক্ত করার ব্যর্থ প্রায়স। ছোট্ট একটা ডেডবডি দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়ে যায় একটি শান্ত শিষ্ট পুকুরের মাঝে । কিন্তু পুকুরের জল ঘোলা হতে শুরু করে যখন দেখা যায় মৃত ব্যক্তিটি আর কেউ নয় খ্যাতনামা বাংলাদেশেরই এক বিজ্ঞানী। এর পর কিডন্যাপড হয়ে যায় সেই বিজ্ঞানীর যক্ষের ধন একমাত্র পুত্রও। ডিটেকটিভ আর তার এসিসটেন্টের কালো ঘাম ছুটানোর জন্য রঙ্গমঞ্চের পর্দার পেছনে একে একে আসতে থাকে কেমিস্ট্রি থেকে অ্যালকেমি। এখানেই শেষ কি ? যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও চার হাজার বছর আগেই যে ঘুরতে শুরু করেছে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি ঘটনার চাকা। হাজার হাজার বছর আগের সেই নীল নক্সা কি আজকের পৃথিবীতে খাপ খাপে বসে যাবে? আর সেই খাপের কোনো আগা মাথা খুজে পাচ্ছে না ডিটেকটিভ আসিফ। কিন্তু শত্রু পক্ষকে হেয় করে দেখার উপায় আছে কি ? নোপ , এরা মারিয়ানা ট্রেঞ্চের চেয়েও গভীর জলের মাছ। ঘটনার প্রহেলিকায় খেই হারিয়ে যাচ্ছে ডিটেকটিভ। এত বড় কলরবে এত কিছুকে এক সুতোতে আটকাতে হিমসিম খাচ্ছে বার বার। সত্যিটা এত বড় আর চোখের সামনে এমন ভাবে ছিলো যে মেনে নিতেও গলদ্ঘর্ম হয়ে উঠলো ও নিজেই। আর ......... খামার বাড়ি হয়ে ধানমন্ডি লেকের দিকে এগুনোর সময় একটু মুচকি হাসি হাসবেন ডান দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটাকে দেখার সময় ;) একটি বারের জন্য । বকরবকর করছিলাম কিশোর পাশা ইমনের প্রথম বড় কলরবের প্রথম লেখা ‘মিথস্ক্রিয়া’ বইটির কথা। একটা সময় ছিলো যখন অনলাইনে স্পেসিফিকলি বলতে গেলে এই ফেসবুকেই পরে থাকতাম বেশকয়েকজনের লেখা পড়ার জন্য। এই লেখকের লেখনীর সাথে পরিচয় ঘটে তখন থেকেই। মুগ্ধতার শুরুটা সেই থেকেই শুরু বলা যায়। পরিচয় হয় ডিটেকটিভ আসিফের সাথে। মিথস্ক্রিয়াকে ঠিক কোন জনরায় ফেলা যায় ? দ্বিতীয়বারের মত পড়েও এর উত্তর পাই নি আমি। কিন্তু আমাকে স্যাটিসফাই করতে সক্ষম হয়েছে বইটি।হাজার বছর না না যিশু খৃষ্টের চার হাজার বছর আগের ইতিহাসের ব্যাপ্তিকে বর্তমাননের সুতোয় গেঁথেছে লেখক তার সুনিপন লেখনীতে। তাও আবার দেশীয় প্রেক্ষাপট কে ঘিরেই আবার সেসবকে যৌক্তিক ভাবে পাঠকের চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলেছেন স্ব-ভঙ্গিমাতে। কিন্তু ............... মাঝে মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছি ইতিহাসের ক্লাসের মাঝখানে। হাত পা বাধা অবস্থায়। অপরদিকে আসিফ আর ইরফানের জন্য আলাদা আলাদা করে টাইমলাইন। যা একটু বিরক্তই করেছে। খেদেক্তি বলতে এইটুকুই। লেখকের ছোট্ট মৌলিকের সাথে পরিচয় থাকলেও বড় কলরবের সাথে প্রথমবারের মতই পরিচিত হই ‘মিথস্ক্রিয়া’র মাধ্যমে। কেমন লেগেছে বইটা ? আরেকবার পড়তে ইচ্ছে করছে বইটি। হয়ত পড়বো অন্য কোনোদিন অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো পরিস্থিতে । লেখকের নব্যপ্রকাশিত ‘মৃগতৃষা’র জন্য অগ্রীম শুভকামনা । একনজরে বইঃ মিথস্ক্রিয়া লেখকঃ কিশোর পাশা ইমন জনরাঃ আসলে ঠিক জানিনা নিজেই পৃষ্ঠাঃ৩৫০ মুদ্রিত মুল্যঃ৩২০ টাকা রকমারী লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/110502/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE
Was this review helpful to you?
or
‘মিথস্ক্রিয়া’ খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হলো একটি কিডন্যাপ কেস। তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পাল্টে গেলো ঘটনা প্রবাহ-রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে-কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্যের সমাধান লুকিয়ে আছে সামনে থাকা তথ্যগুলোর এক এবং কেবল একটিমাত্র অংশে। সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। স্বভাবতই এলো বিপত্তি। সার্বক্ষণিক বাধা আসছে অদৃশ্য কোন গুপ্তসঙ্ঘের ইশারায়। প্রধান সাসপেক্টকে হাতের নাগালে পেয়েও কেসটার মিমংসা করা গেলো না। প্রতিঘণ্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে থাকা সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়েও গলদঘর্ম হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ। কিন্তু কারও ধারণাও নেই, সত্যটা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাদেশকে। কিশোর পাশা ইমনের প্রথম মৌলিক থৃলার উপন্যাস ‘মিথস্ক্রিয়া’ পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময় এক অতীত আর অজানা বাস্তবতাকে।