User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
চমত্কার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ অব্দ থেকে ৩০ অব্দ পর্যন্ত প্রাচীন ইজিপ্টের বিভিন্ন রাজবংশের ১৭০ জন ফারাও এই দীর্ঘ সময় ইজিপ্ট শাসন করেছেন। আর তারা ছিলেন তাদের প্রজাদের নিকট ঈশ্বর। ঐতিহাসিক ও প্রাচীন ইজিপ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে ফারাও মেনেস ছিলেন ইজিপ্টের প্রথম ফারাও আর শেষ ফারাও ছিলেন ৭ম ক্লিওপেট্রা ডিনি মারা যান খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে আর তারপর ইজিপ্ট হয়ে যায়রোমের একটি প্রদেশ। প্রাচীন মিশরের ফারাও ও তাদের ঈশ্বর সবসময়ই ছিলো রহস্যময়। ফারাওয়ের যে সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে তাতে নারীদের ফারাও হওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না। তারপরও মিশরের কয়েকজন রানী ফারাও হওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। বইটির প্রথম অধ্যায়ে “ফারাও” এর সংজ্ঞা, পোশাক, সাজসজ্জা, প্রতীক ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এরপরের অধ্যায়ে সবচেয়ে বিখ্যাত দশজন ফারাওকে(তুতানখামুন, সপ্তম ক্লিওপেট্রা, দ্বিতীয় রামসেস, তৃতীয় রামসেস, হাতসেপসুত, আকহেনাতেন, ফারাও খুফু, জোসের, তৃতীয় থুতমোসে, ফারাও তৃতীয় আমেনহোতেপ, নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এরপর ফারাওদের জীবন, অভিষেক, কবর নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এরপরে চারজন নারী ফারাওয়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমেই হাতশেপসুত। হাতশেপসুত অর্থ হল "মহৎ নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ"! ১৮ শতকের প্রাচীন ঈজিপ্টে তিনি ছিলেন পঞ্চম ফারাও। তার জন্ম হয়েছিল সিংহের গুহায়। তিনি প্রথম থুতমোসের কন্যা এবং আহমেস এর স্ত্রী ছিলেন। শাসক হিসেবে তিনি ছিলেন চমৎকার। নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামে তার জন্য আলাদা একটি কক্ষই আছে যাখানে তুলে ধরা হয়েছে তার জীবন। যিশু খ্রীষ্টের জন্মের ১৫০০ বছর আগের প্রাচীন সময়ে তিনি ২২ বছর রাজ্য শাসন করেন। তার সময়ে অসাধারণ সব স্থাপত্য নির্মিত হয়েছে। তিনি পুরুষের পোশাক পরে সিংহাসনে বসতেন, এমনকি ফারাও এর নকল দাড়িও লাগাতেন। ঈজিপ্টোলজিস্ট জেমস হেনরির মতে, হাতশেপসুত ইতিহাসে উঠে আসা প্রথম মহৎ নারী। এরপরের অধায়ে রয়েছেন নেফারতিতি। আখামেননের সম্মানিত রানী ছিলেন ছিলেন নেফারতিতি। নেফারতিতির ছিল অনেক উপাধি, যেমন, “Hereditary Princess”, “Great of Praises”, ”Lady of Grace”, “Sweet of Love”, “Lady of The Two Lands” and “Mistress of Upper and Lower Egypt”। নেফারতিতি এবং তার স্বামী ধর্মীয় আমূল পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। তারা এক দেবতায় বিশ্বাসী ছিলেন। সূর্য দেবতা এটন। স্বামীর মৃত্যুর পর নেফারতিতি সাম্রাজ্যের ভার নেন। নেফারতিতির ছিল ৬ টি কন্যা সন্তান। আখামেননের উত্তরাধীকারী তুতখামেন জন্ম নেন তারই বোনের গর্ভে। নেফারনেফাররিউতেন নামে ক্ষমতায় বসেছিলেন তিনি। তিনি কীভাবে মারা যান তা জানা যায় না। তবে যতটুকু ইতিহাস তার পাওয়া যায়, তা ছিল গৌরবময়, উজ্জ্বল। এরপর ক্লিওপেট্রা। সপ্তম ক্লিওপেট্রা ফিলোপাটর, তিনি বহুল পরিচিত ক্লিওপেট্রা নামে। তিনি ঈজিপ্টের শেষ নারী ফারাও। ক্লিওপেট্রা একটি গ্রিক শব্দ, এর মানে 'বাবার গৌরব'। প্রকৃতপক্ষে, ক্লিওপেট্রা প্রথমে তার বাবা দ্বাদশ টলেমী এবং পরে ভাই ত্রয়োদশ টলেমী ও চতুর্দশ টলেমীর সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ভাইদের সরিয়ে একাই সাম্রাজ্যের ভার নেন। ভাইদের প্রতি জুলিয়াস সীজারের রাগকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে তিনি গভীর রাতে সীজারের প্রসাদে চলে যান। “Life of Julius Caesar” এ জানা যায়, কীভাবে তিনি নিজেকে কার্পেটে মুড়িয়ে সকল সেনার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করেন। সীজারের দত্তক পুত্র এবং সফল শাসক অক্টেভিয়ানের সাথে তার রাজনৈতিক এবং প্রেমের উভয় সম্পর্কই ছিল। তিনি ছিলেন চৌকশ, বুদ্ধিমতী এবং দূরদর্শী নারী শাসক। সবশেষে রয়েছেন মেরনেইথ। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০ অব্দে ইজিপ্টের শাসক ছিলেন তবে তাঁর শাসনামল ঠিক কত দিন ছিল তা জানা যায়নি। প্রচনি মিশরীয় খোদাই করা লেখনীর টুকরায় মেরনেইথের বর্ণনা পাওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
its really a nice book
Was this review helpful to you?
or
এইটা কোন উপন্যাস কিম্বা গল্প না, যাদের মিসর নিয়ে জানার ইচ্ছা আছে তারা পরতে পারেন, অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
সোজা কথায়, বইটি আমার ভাল লাগে নি বইটি। Nefertiti এর মমি খুঁজে বের করার একটা ডুকুমেন্টরি দেখে এই বইয়ের প্রতি ইন্টারেস্ট জাগে। কিন্তু আমি পুরোপুরি হতাশ হয়েছি। আমি কাউকে এটি রিকমেন্ড করতে চাই না। বই লেখাতে লেখকের যত্ন না থাকলে সেটা পড়ে মজা পাওয়া যায় না, ভেতরের ইনফরমেশন সম্পর্কে বিশ্বাস তৈরি হয় না। যখন বইটি পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল যেন কারো কোন ক্লাস লেকচার নোট পড়ছি। যেন বুঝে না বুঝে মুখস্থ কিছু ইনফরমেশন পড়ছি পরীক্ষায় খাতায় লেখার জন্য। তাছাড়া শুরুর দিকে একই কথা বার বার বলাটা খুবই বিরক্ত করেছে। মনে হয়েছে, লিখার সময় লেখক আগের পেইজগুলোতে কি লিখেছেন সেদিকে কোন খেয়াল রাখেননি। এছাড়া অনেক ভুল লক্ষ্য করা যায়। যেমন - পিরামিড অব 'গির্জা' ( পৃ - ২৬,৩৯,৪৪), Senusret কে তিনি বাংলায় লিখেছেন 'সেনসুরেত' ( পৃ ৩১) - বইট লেখায় লেখকের যত্ন নিয়ে এখানে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, ফলে বইটি পড়ার আগ্রহ নষ্ট হয়। বাক্যের অসামঞ্জস্যতা - " কি নারী কি পুরুষ সকল ফারাওগণ মেক আপ ব্যবহার করতেন এবং ফারাওগণও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।" মানে কি? এতবার "ফারাও" কেন? এরকম আরো অনেক ভুলভালে ভরপুর এই এসব দেখে মনে হয়েছে লেখক খুব উদাসীনভাবে লিখেছেন, জাস্ট লেখার জন্য লিখেছেন। বইটি পড়ার আগ্রহ এভাবে মরে যায়। খুবই মর্মাহত হয়েছি আমি। চিরায়ত গ্রন্থ পড়তে হলে আইজাক আসিমভই বেস্ট।