User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****649

      21 Mar 2024 06:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটি

      By 880****973

      19 Feb 2024 01:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব আগ্রহ নিয়ে বসেছিলাম। এক্সপেকটেশন ফিল আপ হয় নি। তবে চেষ্টা ভালো লেখকের। আর একটা উপদেশ, পাঠক হিসেবে অপ্রয়োজনীয় বিষয় দিয়ে বই কে ভারী করবেন না। মেসেঞ্জারের আলাপের মতো ইনফরমেশন বই তে পড়তে কেউ চায় না। হ্যাপি রিডিং।

      By Yamin islam

      04 Aug 2023 09:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই ?

      By KM Bakhtiar Uddin Bishal

      18 Jan 2023 06:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল বই

      By SUMAIYA ISLAM

      04 Aug 2022 12:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অক্টারিন: যেমন এক্সপেক্টেশন নিয়ে বইটা কিনেছিলাম তেমন এক্সপেক্টেশন নিয়েই বইটা পড়া শুরু করি। দুর্ভাগ্যবশত এতটা ভালো লাগেনি কাহিনী টা শুরুতে অনেক স্ট্রেচ করেছে শেষে খুব ফাস্ট এন্ডিং দিয়ে দিয়েছে। তবে জ্বীন সম্পর্কে কম বেশি জানতে পেরেছি বইটি থেকে

      By Asif Talukder

      03 Feb 2023 06:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভালো একটি বই

      By Esham Khan

      22 Jan 2022 11:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নতুন লেখক হিসেবে ভালো বই।লেখা ও অনেকটা সহজ ও সাবলীল ভাষায় তাই বুঝতে তেমন অসুবিধা হই নাই।কোন রকম হাই এক্সপেকটেশানস নিয়ে পইড়েন নাহ আশা করি ভালো লাগবে।

      By mehedi raj

      08 Dec 2021 08:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যাদুর রঙ অক্টারিন। সব ছেলের মধ্যে একটা মেয়ে সত্তা থাকে যাদ নাম আ্যনিমা।বোতলের মধ্যে আইতুল কুরছি সুরা পরা পানি দিয়ে জীন কে আটকে রাখার চেষ্টা। জীন,যাদু,রহস্য,কিছু অনেক ক্ষমতাবান খলনায়ক,ভৌতিক,ছোট ছোট কিছু ভালবাসার গল্প। সব কিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি বই যা আমার মনে সারা জীবনের জন্য একটি জায়গা করে নিয়েছে।

      By Shakil Khan

      13 Sep 2021 12:30 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      দাঁত ভাঙা অনুবাদ পড়তে পড়তে হাপিয়ে গিয়েছিলাম, এর মাঝে সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটা মৌলিক বই পড়ে ভালো লেগেছে।

      By Fahmida Haque Protikkha

      10 Jun 2021 10:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তানজীম রহমানের লেখা অক্টারিন বইটি এককথায় অসাধারণ। বইটিতে সকল কিছুর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেবার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি থেকে এমন অনেক তথ্য জানতে পেরেছি যা হয়তো বইটি না পড়লে জানতে পারতাম না। বইটি পড়া যখন আমার শেষ হয়নি অর্থাৎ যখন আমি সমাধান খুঁজে পাইনি তখন খালি এদিক ওদিক তাকাতেই ভয় লাগতো। যাই হোক গল্পের শেষে সবটাই পরিষ্কার হয়ে যায়। বইটি আমি প্রথম পড়েছিলাম পিডিএফে। কিন্তু বইটি পড়ে আমার এতই ভালো লাগে যে হার্ডকপি না কেনা পর্যন্ত আমার শান্তি হচ্ছিলো না।পজেশন মিস্ট্রির এক অসাধারণ উপন্যাস অক্টারিন

      By Sabbir Shahriar

      14 Feb 2021 04:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় বলবো অসাধারণ বই

      By MD Sakib Hasan

      03 Aug 2020 11:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      I did not read hope will get a good flavor

      By Imrann Mahin Chowdhury

      23 Jan 2020 08:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      যদিও আমার পড়া প্রথম হরর থ্রিলার অক্টারিন। কিন্তুু সত্যি কথা বলতে চমৎকার লেগেছে বইটি। লেখক বইয়ের শুরুতেই বইটি কখন কখন পড়লে ভয় বেশি পাওয়া যাবে তা লিখে রেখেছেন। কতটা কার্যকরি বিষয়টা জানি না। উপন্যাসের প্লটটা সম্পূর্ন ভিন্নধর্মী। শুরুতে জ্বীনের উপদ্রব মনে করে কাহিনী পড়তে থাকলে শেষ পর্যন্ত যে আপনাকে লেখক কোথায় নিয়ে যাবে তা পুরোটা উপন্যাস না পড়লে বুঝতে পারবেন না। কাহিনীর শুরু থেকেই চমক। সবচেয়ে মজা পাবেন মুনিম আর অ্যানিমার অ্যাডভেঞ্চার অংশগুলো পড়লে। কীভাবে সাধারণ বিষয় খুজতে কেঁচো খুড়তে কেউটে বের করে ফেলে তার বর্ণনাও লেখক ভালোভাবে দিয়েছেন। তবে লেখক এ কথাটা না বললেও পারতেন যে সব থ্রিলার বইয়ে দেখা যায় ভিলেন পরিচিত কেউ হয় না। আসলে কথাটা কতটুকু সত্য লেখকই জানেন?? অনেক থ্রিলার বইয়ে পরিচিত মানুষই আসল ভিলেন থাকে। লেখকের এই ধরনের লাইন দ্বারা অবশ্য উপন্যাসে আপনার বইয়ের তখন পর্যন্ত যতগুলো চরিত্র পড়বেন সবার থেকে সন্দেহ উঠে যাবে। তাই লেখকের এই ধরণের কথা বলা ঠিক হয় নি। যাই হোক বইটা আসলেই অনেক ভালো। থ্রিলার বইয়ের ভেতর যা যা থাকা লাগবে লেখক সম্পূর্ণটাই ঢেলে দিয়েছেন। আপনি হয়তো পড়তে পড়তে মুনিম আর অ্যানিমার কোনো কেমেস্ট্রি চিন্তা করতে পারেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সত্যি বলছি বইয়ের আসল কাহিনীটা আপনার চিন্তারও বাইরে। বইটা সম্পূর্ণ না পড়ে সারাদিন চিন্তা করেও কিছু বের করতে পারবেন না। তাই বলছি বইটা পড়ুন সবাই।

      By Luna

      30 Dec 2019 12:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      A perfect horror thriller.Boi tar first interesting fact hocche it comes with some instructions j kon time e...and kemon environment e boi ta porle maximum enjoy kora jabe.Thats really interesting when you start to read a horror_thriller book.Secondly,The book starts with a really common horror storyline.But as the story goes along the things get more complex.Keu jodi black magic,magic circle esob bisoye jante pochondo koren then this book is awesome.The most important thing that i like about this book is the concept.....White magic ar amader traditional dowa kalam collaboration kore.....soman tale egiye niye jawa its quite unique.Puro boita porte sobcheye moja legeche amar jevabe ekta case solve korte giye duta controversal way eksathe kaj koreche..and most information in this book arent just imaginary or all made up by the writer.They have their logic.I was so into it j google e search kore koreo dekhechi :3 overall a really enjoyable book for horror genre lovers and as well as the believers

      By Nafiul Anan

      23 May 2022 03:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমfর প্রিয় একটি বই ।

      By Tamjid Shajol

      04 Oct 2019 06:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র মমিনুল ইসলাম মুমিন বড় হয়েছে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে।বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা শেষ করে একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড স্যার আজগর খাঁ ,মুমিন কে কল দিয়ে বললো মিসেস সৈয়দ কলিমুদ্দিন ম্যাম তার জন্য গাড়ি পাঠিয়েছেন তাকে ম্যামের বাসায় যেতে হবে।ম্যামের বাসায় গিয়ে মুমিন আকাশ থেকে পড়লো, ম্যামের মেয়েকে সুস্থ করতে হবে।সে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুমিয়ে আছে ডাক্টাররা সমাধান দিতে পারে নি।ম্যামের ধারনা তার মেয়ের উপর জ্বীনের প্রভাব পড়েছে ।মুমিন বুঝতে পেরেছে, হেডস্যার তার অতীতের গল্প জানায় তাকে এই অবস্তায় পড়তে হয়েছে।যে অতীত থেকে সে পালিয়ে বেড়াতে চেয়েছে আবার তা সামনে হাজির হয়েছে।অনিচ্ছাসত্তেও ঝামেলাটা ঘাড়ে নিতে হলো মুমিনের,ম্যাম এর ফান্ড করা স্কুলে চাকরি করে বলে কথা !দায়িত্ব নেবার ১ সপ্তাহ পরে ও সে কোন সমাধান করতে পারলো না,বাসার সবার সাথে ঘটতে থাকলো অদ্ভুত সব ঘটনা,যার কোনটার সাথে মুমিনের পূর্বপরিচয় ছিল না ।মুমিনের ধারনা ম্যামের মেয়ের উপর কেউ কালো জাদু করেছে।তাকে কোন জাদুকর এর কাছে যাবার পরামর্শ দিল সে কিন্তু ম্যাম চায় না ঘটনাটি জানাজানি হোক।তাই জাদুকর খোজার দায়িত্বটা পরলো মুনিমের কাঁধেই।অনেক কষ্টে অ্যানিমা নামের একজনকে খুজে পেল সে।অ্যানিমা জাদু বিদ্যাটা তার বাবার কাছ থেকে শিখেছে।এখন সে তার বাবার মত মানুষের উপকার করার জন্য বাংলাদেশে এসেছে।কিন্ত তারা দুজন ও কোন কুল কিনারা খুজে পেল না,তাদের দুজনের সাথে ও ঘটতে থাকলো ভয়ংকর ও অদ্ভুত সব ঘটনা। তারা দুজন কিভাবে সমাধান করবে এই সমস্যা? এদিক দিয়ে খুন হন বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী ও ভয়ংকর জাদুকর সুলেয়মান ,যার কাছে তারা দুজন সাহায্য চেয়েছিল।সুলেয়মান এমন এক জাদুকর যার সাথে টক্কর নেবার মত দুই জন জাদুকর আছে এ দেশে। এক জন ডাক্টার নামে পরিচিত, অন্যজন ইবনেসিনা।তবে কি তাদের কারো হাতে খুন হলো সুলেয়মান? তাদের ভাবনাকে জট পাকিয়ে দিল ডাক্টার নিজে তাদের দুজনের সাথে দেখা করে। ডাক্টার খুনের দোষ দিল হুজুর মুমিনকে। সে নির্দোষ দাবি করলে, আসল খুনিকে তার সামনে আনার জন্য সময় বেধে দিল ডাক্টার। একদিকে ম্যামের মেয়ের সমস্যা অন্যদিকে সুলেয়মানের খুন কিভাবে সামলাবে ওরা?? কিন্তু সুলেয়মান মারা যাবার আগে টেবিলে লিখে যায় ইয়াজুজ আর মাজুজ এর নাম।এই নামের তো কেয়ামত এর সাথে সম্পর্ক হবার কথা!কিন্তু খুনের সাথে এই নামের কি সম্পর্ক? কেনই বা লিখলো সে? আর ইবনেসিনা ২ মাস যাবত মালদ্বীপে, তবে কে খুন করলো সুলেয়মান কে? এই রহস্যের জট খুলতে হলে পড়তে হবে বইটি।অক্টারিন যার অর্থ বিশুদ্ধ জাদুর রঙ। অনুভুতিতে ভয়ের রঙ লাগাতে চাইলেও পড়তে পারেন বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়া :পজেশন মিষ্ট্রি, অক্টারিন বইটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে,।৩৮৪ পেইজ এর বই,পড়তে যদিও একটু সময় লেগেছে কিন্তু বিরক্ত লাগে নি।প্রতিটা অধ্যায় পড়ার সময় একটা উত্তেজনা কাজ করছে,তারপরে কি হবে সেটা জানার জন্য।আর এই তাড়নাটা আমাকে শেষ পেইজ প্রর্যন্ত নিয়ে গেছে। সব চেয়ে মজার ব্যাপার টা হল লেখক বই পড়ার আদর্শ সময় সূচি করে দিয়েছে।কোন অধ্যায় টা ১১ টার পরে পড়বে কোনটা ১২ টার পরে পড়বে ।এই ব্যাপারটাতে মজা পেয়েছি খুব। লেখকের লেখার ধরন ও ভালো লেগেছে।এটা আমার পড়া তার লেখা প্রথম বই।তবে আমার কাছে ভয়ের থেকে রহস্যটা বেশি ছিল বলে মনে হয়েছে। বাইন্ডিং প্রচ্ছেদ ২ টাই ভাল ছিল। আর ছাড় দেবার পরে মূল্য টা বেশি মনে হয় নি আমার কাছে। লেখকের সব থেকে বড় সার্থকতা হল,সে তার লেখার ভেতর আমার পাঠক হৃদয়ে, পরবর্তী ঘটনা জানার ক্ষুদা তৈরী করতে পেরেছে এবং লেখা শেষে ক্ষুদা নিবারনে সক্ষম হয়

      By Arif Shahriar

      01 Oct 2019 09:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ফ্যান্টাসি বলতে আমরা যা বুঝি ঠিক তেমনই প্লট পাবেন অক্টারিন নামক বইটিতে। মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর– সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়োগ করা হলো অদ্ভুত এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা । কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলো চোরাবালি আসলে কতোটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খোলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার। দরকার একজন রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা দু-জন মিলেও কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ–ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। আর্কন-খ্যাত তানজীম রহমানের হরর থৃলার অক্টারিন-এর পাতায় লুকিয়ে আছে খুন, জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের আশ্চর্য এক উপন্যাস যা চুম্বকের মতো আপনার মনোযোগকে আকর্ষণ করবে।পড়া হবে তো!

      By অভ্রনীল

      14 Sep 2019 10:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃঅক্টারিন লেখকঃতানজীম রহমান প্রকাশনীঃবাতিঘর প্রচ্ছদঃডিলান। মুদ্রিত মূল্যঃ৩৮০ টাকা পৃষ্ঠাঃ৩৮৪ প্রথম প্রকাশঃফেব্রুয়ারি,২০১৬ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র মমিনুল ইসলাম মুমিন বড় হয়েছে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে।বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা শেষ করে একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড স্যার আজগর খাঁ ,মুমিন কে কল দিয়ে বললো মিসেস সৈয়দ কলিমুদ্দিন ম্যাম তার জন্য গাড়ি পাঠিয়েছেন তাকে ম্যামের বাসায় যেতে হবে।ম্যামের বাসায় গিয়ে মুমিন আকাশ থেকে পড়লো, ম্যামের মেয়েকে সুস্থ করতে হবে।সে দুই সপ্তাহ ধরে ঘুমিয়ে আছে ডাক্টাররা সমাধান দিতে পারে নি।ম্যামের ধারনা তার মেয়ের উপর জ্বীনের প্রভাব পড়েছে ।মুমিন বুঝতে পেরেছে, হেডস্যার তার অতীতের গল্প জানায় তাকে এই অবস্তায় পড়তে হয়েছে।যে অতীত থেকে সে পালিয়ে বেড়াতে চেয়েছে আবার তা সামনে হাজির হয়েছে।অনিচ্ছাসত্তেও ঝামেলাটা ঘাড়ে নিতে হলো মুমিনের,ম্যাম এর ফান্ড করা স্কুলে চাকরি করে বলে কথা !দায়িত্ব নেবার ১ সপ্তাহ পরে ও সে কোন সমাধান করতে পারলো না,বাসার সবার সাথে ঘটতে থাকলো অদ্ভুত সব ঘটনা,যার কোনটার সাথে মুমিনের পূর্বপরিচয় ছিল না ।মুমিনের ধারনা ম্যামের মেয়ের উপর কেউ কালো জাদু করেছে।তাকে কোন জাদুকর এর কাছে যাবার পরামর্শ দিল সে কিন্তু ম্যাম চায় না ঘটনাটি জানাজানি হোক।তাই জাদুকর খোজার দায়িত্বটা পরলো মুনিমের কাঁধেই।অনেক কষ্টে অ্যানিমা নামের একজনকে খুজে পেল সে।অ্যানিমা জাদু বিদ্যাটা তার বাবার কাছ থেকে শিখেছে।এখন সে তার বাবার মত মানুষের উপকার করার জন্য বাংলাদেশে এসেছে।কিন্ত তারা দুজন ও কোন কুল কিনারা খুজে পেল না,তাদের দুজনের সাথে ও ঘটতে থাকলো ভয়ংকর ও অদ্ভুত সব ঘটনা। তারা দুজন কিভাবে সমাধান করবে এই সমস্যা? এদিক দিয়ে খুন হন বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী ও ভয়ংকর জাদুকর সুলেয়মান ,যার কাছে তারা দুজন সাহায্য চেয়েছিল।সুলেয়মান এমন এক জাদুকর যার সাথে টক্কর নেবার মত দুই জন জাদুকর আছে এ দেশে। এক জন ডাক্টার নামে পরিচিত, অন্যজন ইবনেসিনা।তবে কি তাদের কারো হাতে খুন হলো সুলেয়মান? তাদের ভাবনাকে জট পাকিয়ে দিল ডাক্টার নিজে তাদের দুজনের সাথে দেখা করে। ডাক্টার খুনের দোষ দিল হুজুর মুমিনকে। সে নির্দোষ দাবি করলে, আসল খুনিকে তার সামনে আনার জন্য সময় বেধে দিল ডাক্টার। একদিকে ম্যামের মেয়ের সমস্যা অন্যদিকে সুলেয়মানের খুন কিভাবে সামলাবে ওরা?? কিন্তু সুলেয়মান মারা যাবার আগে টেবিলে লিখে যায় ইয়াজুজ আর মাজুজ এর নাম।এই নামের তো কেয়ামত এর সাথে সম্পর্ক হবার কথা!কিন্তু খুনের সাথে এই নামের কি সম্পর্ক? কেনই বা লিখলো সে? আর ইবনেসিনা ২ মাস যাবত মালদ্বীপে, তবে কে খুন করলো সুলেয়মান কে? এই রহস্যের জট খুলতে হলে পড়তে হবে বইটি।অক্টারিন যার অর্থ বিশুদ্ধ জাদুর রঙ। অনুভুতিতে ভয়ের রঙ লাগাতে চাইলেও পড়তে পারেন বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়া :পজেশন মিষ্ট্রি, অক্টারিন বইটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে,।৩৮৪ পেইজ এর বই,পড়তে যদিও একটু সময় লেগেছে কিন্তু বিরক্ত লাগে নি।প্রতিটা অধ্যায় পড়ার সময় একটা উত্তেজনা কাজ করছে,তারপরে কি হবে সেটা জানার জন্য।আর এই তাড়নাটা আমাকে শেষ পেইজ প্রর্যন্ত নিয়ে গেছে। সব চেয়ে মজার ব্যাপার টা হল লেখক বই পড়ার আদর্শ সময় সূচি করে দিয়েছে।কোন অধ্যায় টা ১১ টার পরে পড়বে কোনটা ১২ টার পরে পড়বে ।এই ব্যাপারটাতে মজা পেয়েছি খুব। লেখকের লেখার ধরন ও ভালো লেগেছে।এটা আমার পড়া তার লেখা প্রথম বই।তবে আমার কাছে ভয়ের থেকে রহস্যটা বেশি ছিল বলে মনে হয়েছে। বাইন্ডিং প্রচ্ছেদ ২ টাই ভাল ছিল। আর ছাড় দেবার পরে মূল্য টা বেশি মনে হয় নি আমার কাছে। লেখকের সব থেকে বড় সার্থকতা হল,সে তার লেখার ভেতর আমার পাঠক হৃদয়ে, পরবর্তী ঘটনা জানার ক্ষুদা তৈরী করতে পেরেছে এবং লেখা শেষে ক্ষুদা নিবারনে সক্ষম হয়েছে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      পৃথিবী ধংসের কাছাকাছিতে মুমিনুল আর এনিমার উপর রয়েছে একটি মিথ্যে খুনের দায় পাশাপাশি পিচাশদের সাথে লড়াই করে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ ও পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে। অক্টারিন নতুন এক রঙের নাম যা দেখা যায় না, সবাই বুঝতেও পারে না শুধু মাত্র যাদুর দুনিয়ার জগতের যাদুকরদের কাছেই পরিচিত এই অক্টারিন নামের রঙটি। দেশের প্রথম শ্রেণীর ধনী পরিবারের মেয়ে আয়েশা। অস্বাভাবিক ভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে গত ৭ দিন ধরে, বাড়ির দারোয়ান নিখোঁজ, ছেলে জিহাদের পাগলাতে ভাব। পুরো বাড়িটি যেনো এক অদৃশ্য শক্তি দিয়ে আটকে রেখেছে। আয়েশা মা মেয়ের এই অস্বাভাবিক রোগের জন্য ডাকে আনলেন মুমিনুলকে। যেকিনা সাধারণ একজন শিক্ষক ও জ্বীন, ভূত ইত্যাদি ছাড়ানোর অজ্ঞ একজন তরুণ। মুমিনুল আয়েশাকে দেখে বুঝতে পারে এই রোগ ছাড়ানো তার ক্ষমতার বাহিরে তা সে অন্য কাউকে খোঁজতে বের হলো যে আয়েশাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে। এমনই করে মুমিনুল খোঁজে পায় তরুণী এনিমাকে। এনিমার দ্বারাও আয়েশাকে ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না তাই তারা দেশের অন্যতম শক্তিশালী যাদুকরে কাছে গেলো। অদৃশ্য,অশরীরী শক্তি দ্বারা হঠাৎ হত্যা হয় যাদুকরের আর সেই হত্যার দায় ভাব চলে আসে মুমিনুল আর এনিমার উপর .......... হরর, থ্রিলার, রহস্য ভরা গল্প নিয়ে লিখা হয়েছে অক্টারিন। এটি বাংলাদেশের মূল কাহিনী ভিত্তিতে লিখেছে তানজিম রহমান। বাংলাদেশে ছেলে ভুলানো হরর গল্প থেকে সুন্দর একটি আলাদা গল্প হচ্ছে এই অক্টারিন। আশা করি যারা এখনো বইটি পড়েনি তাদের কাছে বইটি নতুন কিছু খোঁজে পারেন এই বইটিতে।

      By Tasfia Promy

      04 Jun 2017 07:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অক্টারিন লেখকঃ তানজীম রহমান ধরনঃ হরর/থ্রিলার/সাসপেন্স পৃষ্ঠাঃ৩৮৪ মূল্যঃ২৬৬৳ প্রকাশনীঃবাতিঘর প্রকাশকাল ঃ ২০১৬ প্রচ্ছদঃ ডিলান সার-সংক্ষেপঃ প্রভাবশালী সৈয়দ বংশের মেয়ে আয়েশা বেশ ক’দিন ধরে অসুস্থ। কোন ডাক্তার তার এই রোগ সারাতে পারেননি। মেয়ের মা এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন এটি কোন স্বাভাবিক রোগ নয়, অস্বাভাবিক কিছু। তাই সে শরণাপন্ন হন মুমিনুল ইসলাম মুমিনের, বেশ শিক্ষিত এক যুবক, কিছু জ্ঞান তার আছে ধর্ম, জীন সম্পর্কে। এই মুমিনের আছে একটি কষ্টকর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীত, তার এই জীবনে আসা যার কারণে এই মানুষটিকে নিয়ে, জহুর চাচা।জহুর চাচার ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ, কিছুটা তথ্যবহুল ও। কিছু টা চাপে পড়ে মুমিন জাহানারা ম্যাডামের মেয়ে আয়েশাকে দেখতে আসে। আয়েশা ঘুমিয়ে আছে দশদিনের মতো কেবল তার চোখের মণি ঠিকই নড়াচড়া করছে। পরিচারিকা লিজা, সুলেখা কিছু অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হয়। দারোয়ান পুরান হাসেম নিখোঁজ।ঠিক প্রথম দিনেই মুমিনের সাথে দেখা হয় আয়েশার বড়ভাই জিহাদের যার আচরণ বেশ অস্বাভাবিক। নিজের মা কে মা বলে স্বীকার করেনা, মাছি পোষে। সে মুমিনের সাথে তাদের অদ্ভুত একটি অতীতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা বলে এবং জানায় আয়েশার স্বপ্নে নাকি ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা ছিলো। জিহাদ হুমকি দেয় মুমিনকে, মাত্র ৭ দিন সময় কয়েকদিন পর মুমিন নানাভাবে তদন্ত করার পর বুঝতে পারে পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে, তার জ্ঞানের বাইরে। মাডামের পরামর্শে খুঁজতে নামে এক জাদুকর কে যে তাকে সাহায্য করবে, স্কুলের এক ছাত্রের মাধ্যমে সে খুঁজে পাই অ্যানিমা কে। কে এই অদ্ভুত মেয়ে অ্যানিমা?? একটু আলাদা স্বভাবের মেয়ে অ্যানিমা মুমিনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। নানা কায়দা কানুন করে, তবে নানা ঘটনার পরে অ্যানিমা বুঝতে পারে এটা বিশাল কোন সমস্যা যা তার নিজের সাধ্যের বাইরে। সে যোগাযোগ করতে চায় তার বাবার বন্ধু ও দেশের সেরা একজন ডার্ক ম্যাজিশিয়ান শামস সুলায়মানের সাথে,লোকটির সাথে অ্যানিমার দ্বন্দ, যার কাছে আছে ৭২ জীন , তার কারখানা ঘিরে আছে জীন, সেখানে পৌঁছুতে হবে অ্যানিমা আর মুমিন কে। এরা কি পারবে ??? পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ অক্টারিন বইটা খুলতেই সম্পূর্ণ নতুন জিনিস চোখে পড়েছিল। লেখক বইয়ের সাথে পড়ার একটা সময়সূচী ঠিক করে দিয়েছিলেন। সেই সাথে বলে দিয়েছিলেন যে, সূচি না মানলে সমস্যা নেই, তবে সূচি মেনে পড়লেই বইটা পড়ে নাকি সর্বোচ্চ তৃপ্তি পাওয়া যাবে!বইটা আমি রাত ১২ টার পর শুরু করেছিলাম, পড়া শেষ করা পর্যন্ত আসলে কখন কোন টাইম হিসেবে পড়া হয়নি।। এমনি অভারঅল ভাল ছিল।অক্টারিন নামকরণের বিশেষ কারন আছে একটা, আমি বলব না।পাঠক পড়ে নেবেন। তবে এবার কিছু ত্রুটি বলব, প্রথম কথা জীন বানান “জিন” লেখা, প্রতি জায়গাতে, এটি মারাত্মক ভুল বলা চলে। ২য় “আয়াতুল কুরসি” কে সূরা বলা হয়েছে, আয়াতুল কুরসি তো কোন সূরা নয়, একটি সূরার অংশ, একটি আয়াত। এছাড়া আর সব ঠিকঠাক লেগেছে আমার কাছে। গল্পে থ্রিল ছিল, রহস্য/ সাসপেন্স সব ছিল, পিডিএফ পড়েছি, হার্ডকপি সংগ্রহের ইচ্ছা আছে। রেটিং- ৪/৫

      By Rashel

      22 Mar 2017 03:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ বই- অক্টারিন। লেখক- তানজীম রহমান। ধরন- হরর থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ৩৮৪। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- মুমিন, অ্যানিমা, আয়েশা, জিহাদ, লিজা, শামস সুলায়মান, সিকান্দার, জহুর চাচা, ডাক্তার সাহেব। আয়েশার অদ্ভুত রোগটি শুরু হবার পর থেকে অনেক ডাক্তারি চিকিৎসা তারওপর চালানো হয়। কিন্তু কিছুতেই এই রোগ ধরা পড়ে না। আয়েশা দেশের অন্যতম ধনী একটি পরিবারের মেয়ে। এমন মেয়ের জীবনের দাম বেশীই ধরা হয়। আয়েশার মা বুঝতে পারে মেয়ের সমস্যাটা স্বাভাবিক না। তাই সে ডেকে আনে মুমিনুল ইসলাম মুমিনকে। মুমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। ডার্কনলেজ সর্ম্পকে তার সামান্য জ্ঞান আছে। আর আছে একটি কষ্টকর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীত। যা জড়িত তার বাবার বন্ধু জহুর চাচার সাথে। অনেকটা বাধ্য হয়ে মুমিন ম্যাডামের মেয়ে আয়েশাকে দেখতে আসে। আয়েশা ঘুমিয়ে আছে দশদিনের মতো হলো। কিন্তু তার চোখের মণি ঠিকই নড়াচড়া করছে। সেখানেই আবার দেখা হয় আয়েশার বড়ভাই জিহাদের সাথে যে কিঞ্চিৎ পাগল টাইপের। সে মুমিনের সাথে তাদের অদ্ভুত একটি অতীত শেয়ার করে এবং জানায় আয়েশার স্বপ্নে ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা ছিলো। এছাড়া জিহাদ জানায় এই ম্যাডাম তার মা নয়। সে একটা ডাইনি। মুমিন ধারনা করে এটা কোন ফ্যাক্ট হতে পারে আয়েশার সমস্যার। এদিকে পাগলা জিহাদ একটা ধমকও দেয় মুমিনকে। জানায় যদি সে আয়েশাকে ঠিক করতে না পারে তাহলে তার খবর আছে। কিছুদিন তদন্ত করার পর মুমিন বুঝতে পারে পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে। অগত্যা সে খুজতে বের হয় এক ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানকে। এবং সে খোজ দিয়েই তার পরিচয় হয় অ্যানিমার সাথে। কিছুটা খেয়ালী স্বভাবের অ্যানিমা মুমিনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। আয়েশাকে ঘাটতে গিয়ে বুঝতে পারে এটা বিশাল কোন সমস্যা যা তার নিজের আয়ত্তের বাইরে। সে যোগাযোগ করতে চায় তার বাবার বন্ধু ও দেশের সেরা একজন ডার্ক ম্যাজিশিয়ান শামস সুলায়মানের সাথে যে জ্বীন দ্বারা তার প্রহরা বেষ্টনি করে রেখেছেন। পাশাপাশি তার জ্বীনদের ওপর অত্যাচার করে তাদের করে রেখেছেন ভয়ানক হিংস্র। সুলায়মান তাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করে। তবে পরদিনই বেচারাকে ভয়ানকভাবে কে যেনো মেরে ফেলে। তুলপা নামক এক কালোজাদু দিয়ে হামলা করা হয় অ্যানিমাকেও। মড়ার ওপর খাড়া ঘা মারতে হাজির হয় দেশের আরেক শীর্ষ ডার্ক ম্যাজিশিয়ান যিনি ডাক্তার সাহেব নামে পরিচিত। তিনি মুমিন ও অ্যানিমাকেই সুলায়মানের খুনের জন্য দায়ী করতে থাকেন এবং সময় বেধে দেন যদি তারা সঠিক খুনীকে হাজির না করে তাহলে তাদের খবর আছে। এতোসব ধমকের মুখে অ্যানিমা ও মুমিন অবশেষে একটি সত্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। এবার ওদের নিজের জীবন বাচাতেই ঠেকাতে হবে পিশাচকে। নাহলে এরা কেয়ামত ঘটিয়ে দিবে। হ্যা, কেয়ামত হবে। মারা যাবে পৃথিবীর সবাই। তানজীম রহমানের দ্বিতীয় মৌলিক উপন্যাস অক্টারিন। অক্টারিন নামকরণের বিশেষ কারন রয়েছে। সাধারনত দৃশ্যমান রংয়ের সংখ্যা সাতটি। কিন্তু এছাড়া আরেকটি অদৃশ্য রং রয়েছে যা ম্যাজিশিয়ানরা দেখতে পায়। সেটাকেই অক্টারিন বলে। তানজীম রহমান তার মেধার পরিচয় দিয়েছেন উপন্যাসে। হরর থৃলারে যা করতে হয় পাঠককে ভয় দেখানো তা তিনি সফলভাবে করতে পেরেছেন। বিশেষ করে শুরুতে বাতলে দেওয়া তার সময়সূচীটা বেশ ভালো হয়েছে। তবে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে উপন্যাসে। যেমন উপন্যাসের একটা পর্যায়ে আয়াতুল কুরসীকে সূরা বলে ফেলা হয়েছে। অথচ আয়াতুল কুরসী কোন সুরা নয়। এটি সুরা বাকারার ২৮৫নম্বর আয়াত যা অত্যন্ত বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। আয়াতটি স্পেশাল হওয়াতেই একে আলাদাভাবে আয়াতুল কুরসী বলা হয়েছে। এছাড়া জ্বীনদের সাথে মারামারির সময় মুমিনের মতো ধার্মিক ব্যাক্তিকে দেখা গেছে নিজ গ্রন্থে বলে দেওয়া পদ্ধতির চেয়ে কালোজাদুর ওপর নির্ভর করতে যা একজন পরহেজগার ব্যাক্তির আচরনের সাথে যায় না। সাধারনত কুরআন বিশেষজ্ঞদের মতে কোন অলৌকিক ঝামেলায় পড়লে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা। কিন্তু মুমিনকে এমনটি করতে দেখা যায়নি। এছাড়া সুলায়মানের ফ্যাক্টরিতে জ্বীনদের সাথে মুমিনের সংঘর্ষ দৃশ্য লেগেছে সিনেমাটিক। একই রকম সিনেমাটিক বর্ণনা এসেছে হিপনো কী ছুড়ে মারার ঘটনাতেও। আকর্ষনীয় দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে জহুর চাচার ঘটনাটা। রাতের বেলায় পড়লে এই অংশ মারাত্মক ভয় দেখাতে পারবে পাঠককে। এছাড়া এসেছে ব্ল্যাক ম্যাজিকের নানা ঘটনা ও ইতিহাস। জ্বীন জাতিকে নিয়ে আছে তথ্যবহুল অনেক ঘটনা। আর সবচেয়ে ভালোলাগা ব্যাপারগুলো হলো পৈশাচিক ঘটনাসমূহের বর্ণনা। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কাহিনীর মূল বিষয়বস্তু। অসাধারন একটি বিষয়কে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে যা পাঠকের মাথায় আসবেনা এবং সে চিন্তা করতেই পারবেনা। আর এই মূল বিষয়টি জানার জন্য তাকে গল্পের শেষ পর্যন্ত যেতেই হবে। তানজীম রহমানের ব্যাপারে বলা যায় তিনি পাঠক ধরে রাখতে জানেন। প্রথম উপন্যাস আর্কন খুব একটা ভালো না লাগলেও এটি চমৎকার লেগেছে। প্রতিটি মূল ঘটনার মাঝে ইতিহাস ও ছোটখাট অন্যান্য ঘটনাকে এমন সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়তে খুব ভালো লাগে। ছোট ছোট শাখা দিয়ে একটি বড় বৃক্ষ সৃষ্টি করেছেন তিনি। আশা করবো এই লেখক ভবিষ্যতে এমন আরো দারুন দারুন হরর থৃলার পাঠকদের উপহার দেবেন। তার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা। রেটিং- ৪.৯০/৫.০০

      By Shuvagoto Dip

      15 Jan 2017 02:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      || রিভিউ || বই : অক্টারিন লেখক : তানজীম রহমান প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ঘরানা : পজেশন মিস্ট্রি/হরর থ্রিলার পৃষ্ঠা : ৩৮৪ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ৩৬০ টাকা মুমিনুল ইসলাম মুমিন। অতি সাধারণ এক যুবক। অত্যন্ত ধার্মিক ও সৎ। সহজ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই যুবক কখনো ভাবতেও পারেনি কতোটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ওকে। আর সেই যাত্রাপথের প্রতিকূলতা সম্বন্ধেও কোন ধারণা ছিলোনা তার। মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত মুমিনকে তার জীবনে অর্জিত সমস্ত জ্ঞান কাজে লাগানোর সময় সমাগত, এমনটা ভাবতে পারার কথাও কিন্তু না। অ্যানিমা। একটু পাগলাটে গোছের এক তরুণী। বোহেমিয়ান জীবনযাপনে অভ্যস্ত অ্যানিমা স্বাভাবিক ভাবেই স্বাধীনচেতা। রক আর মেটালের সঙ্গীত স্বাদে মাতোয়ারা এই তরুণী'র আরেকটা গোপন পরিচয় আছে। সে একজন রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ান। অবাস্তব লাগছে? লাগতেই পারে। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের সহাবস্থানের এই যুগে কোনটা সম্ভব আর কোনটা অসম্ভব, তা যেমন আমি বা আপনি জোর গলায় বলতে পারবোনা তেমনি গল্পের চরিত্ররাও পারবেনা। এবার আসি মুমিন আর অ্যানিমা কিভাবে একজোট হলো সেই ব্যাপারে। দেশের প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ে আয়েশার ওপর নেমে এলো এক অচেনা বিপদ। সেই পরিবার থেকে সাযায্য চাওয়া হলো মুমিনের কাছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হলো, এটা সাধারণ একটা পজেশন কেস। যা সংঘটিত হয়েছে কোন দুষ্ট জ্বিন দ্বারা। কিন্তু পুরো ঘটনাটা তলিয়ে দেখতে গিয়ে মুমিন আবিষ্কার করলো, এর শেকড় প্রোথিত আছে আরো অনেক অনেক গভীরে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলো প্রচারবিমুখ রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ান অ্যানিমা। ঘটতে লাগলো একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা। যেন নরক থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক নারকীয় জীব। আতঙ্কের অন্ধকার জগতে ডুবিয়ে দিচ্ছে পার্থিব সবকিছুকে। আয়েশাকে সাহায্য করতে গিয়ে মরতে বসলো মুমিন ও অ্যানিমা। মুমিনের ধর্মীয় শিক্ষা আর অ্যানিমার জাদুর বলয় - কোনকিছুই যেন এই অজানা অশুভ শক্তির সাথে এঁটে উঠছেনা। অন্ধকারে হাতড়ে মরাই যেন সার হচ্ছে শুধু। এই অবস্থায় এক টুকরো সূত্র ধরে যদি এগোনোও যায়, মাঝপথেই আবার থেমে যেতে হয়। কারণ, অন্ধকার কোণে গুঁড়ি মেরে বসে আছে ভয়াবহ মৃত্যু! পার্থিব সমস্ত কিছু ছাপিয়ে জন্ম নেয়া এক অতিপ্রাকৃত সমস্যা'র সমাধানে ব্রতী হওয়া যে কতোটা জটিল, তা বেশ ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পারলো মুমিন ও অ্যানিমা। সবশেষে এমন এক সত্য ওদের সামনে উন্মোচিত হলো যা শুধুমাত্র অবিশ্বাস্যই না, চরম ভীতিকরও বটে। অনির্বচনীয় এক ভালো লাগা নিয়ে অক্টারিন শেষ করেছি। সেই সাথে পাঠক মনে জন্ম নিয়েছে এক চিলতে আফসোসের মেঘও। এমন অসাধারণ একটা গল্প এতো তাড়াতাড়ি উপসংহারে চলে এলো কেন! চিন্তাটা যদিও অনেকটাই অমূলক। কারণ, ৩৮৪ পৃষ্ঠা'র বিস্তৃত প্লটের এই হরর থ্রিলার আগ্রহী যেকোন পাঠককে পরিতৃপ্ত করার মতোই। তবুও, যেকোন 'ভালো জিনিস' আপেক্ষিকতা'র সূত্র মেনে একটু 'দ্রুত'-ই শেষ হয় আর জন্ম দেয় আপাত যুক্তিহীন আফসোসের অনুভূতি'র। তানজীম রহমান তাঁর দ্বিতীয় মৌলিক উপন্যাসেও নিজের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন নিঃসন্দেহে। কোন কিছুই বাহুল্য বলে মনে হয়নি। সাবলীল বক্তব্য আর তথ্যমূলক লেখনী অক্টারিনকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়। অ্যানিমা যখন প্রতিবার মুমিনকে তার পুরো নাম মুমিনুল ইসলাম মুমিন বলে ডাকছিলো, তখন বেশ আমোদ অনুভব করেছি। পাশাপাশি গল্পের ছলে লাভ করা জ্বিন সম্পর্কিত নানা জ্ঞানও ভালো ভাবে আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি। লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পরবর্তী কাজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তানজীম রহমানের প্রথম মৌলিক থ্রিলার আর্কনের মতো অক্টারিনের প্রচ্ছদটাও অসাধারণ লেগেছে। লালের আধিক্য বেশি থাকাটা বইয়ের মূল বিষয়বস্তু'র সাথে অনেকটাই মানিয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে। সেজন্য অবশ্য ডিলান সাহেব বেশ বড়সড় মাপের একটা ধন্যবাদ পাবেন। সর্বোপরি বাতিঘর প্রকাশনী'র প্রতি প্রত্যাশা আরো বেড়ে গেলো। রেটিং : ৪.৮/৫ তানজীম রহমানের অনুবাদ বই : ১. দ্য শাইনিং - স্টিফেন কিং (বাতিঘর) ২. কট - হারলান কোবেন (বাতিঘর) ৩. ডার্কফল - ডিন কুন্টজ (বাতিঘর) ৪. দ্য ড্রেসডেন ফাইলস : স্টর্ম ফ্রন্ট - জিম বুচার (বাতিঘর) মৌলিক বই : ১. আর্কন (বাতিঘর) ২. অক্টারিন (বাতিঘর) ৩. কেটজালকোয়াটল ও সৃষ্টিবিনাশ রহস্য - নভেলা (বাতিঘর) এছাড়াও রেডিও ফুর্তির জনপ্রিয় রেডিও সেগমেন্ট 'ভূত এফএমের কাহিনি গুলো নিয়ে প্রকাশ হওয়া দুটো বইয়ের সম্পাদক তিনি। হ্যাপি রিডিং… © শুভাগত দীপ

      By Shuvo Sarkar

      31 Oct 2016 11:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ অক্টারিন লেখকঃ তানজীম রহমান ধরণঃ পজেশন মিস্ট্রি প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ৩৮৪ মূল্যঃ ৩৬০ টাকা প্রিভিউঃ মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি? অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর- সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়োগ করা হলো অদ্ভুত এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষ্মতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরেই বুঝতে পারলো চোরাবালি আসলে কতটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খোলা সম্ভব নয়। দরকার একজন রিচ্যুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা কী পারবে এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে। প্রতি পদে পদে অপেক্ষা করছে বিপদ,- গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। আর্কনখ্যাত তানজীম রহমানের হরর-থৃলার অক্টারিন খুন,জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের এক উপন্যাস যা চুম্বকের মত আপনার মনোযোগকে আকর্ষণ করবে। নিজস্ব মতামতঃ তানজীম রহমানের “আর্কন” পড়ে দারুণ লেগেছিলো। পরবর্তীতে যখন অক্টারিন প্রকাশিত হলো, আগেভাগেই প্রিঅর্ডার করে ফেলেছিলাম। এই লেখক যে আধিভৌতিক, অপার্থিব বিষয়গুলো নিয়ে লেখায় ওস্তাদ, তা তার আর্কন পড়েই আঁচ করে ফেলেছিলাম। বলা বাহুল্য, অক্টারিন পড়েও হতাশ হইনি। লেখকের নতুন বই বের হলে, আবার প্রিঅর্ডার করতে হবে, অবস্থাসৃষ্টে যা মনে হচ্ছে। বইয়ের কিছু যুক্তি, তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে, তার পরিমাণ খুব বেশি না। বাকিটা দারুণ উপভোগ্য। আমার বেশি ভালো লেগেছিলো, লেখক বইটা পড়ার জন্যে নির্ধারিত একটা টাইমফ্রেম তৈরি করে দিয়েছেন, যে টাইমফ্রেম মেনে বই পড়লে বইটি বেশি উপভোগ করা যাবে। যদিও আমি সে টাইমফ্রেম অনুযায়ি পড়িনি, তবে চেষ্টা করছি রাতে রাতে পড়ার। এ কারণেই হয়তো মজা খুব একটা কম পাইনি টাইমফ্রেম না মেনে পড়ার কারণে। বইয়ের কিছু কিছু বর্ণনায় দারুণ ভয় পেয়েছি, নিখুঁত বর্ণনার কারণে মনে হচ্ছিলো, সব যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।হয়তো এ কারণেই, ঢাউস সাইজের এই বইটা শেষ হয়েছে চোখের পলকে। লেখার সাবলীলতার কারণে, বই রুদ্ধশ্বাসে পড়েছি। ভালো লেগেছে তানজীম রহমানের অক্টারিন। ছিমছাম, গোছানো, টানটান থ্রিলের বই হিশেবে এটি অবশ্যপাঠ্য। রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/110051/অক্টারিন

      By Muntasir Dhrubo

      11 Oct 2016 08:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ অক্টারিন লেখকঃ তানজীম রহমান জেনরঃ হরর থৃলার প্রকাশনাঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৬ রেটিংঃ ৪.৮/৫ কাহিনী সংক্ষেপঃ মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়োগ করা হলো অদ্ভুত এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলো চোরাবালি আসলে কতোটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খোলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার। দরকার একজন রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা দু-জন মিলেও কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ-ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। - পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেখকের প্রথম সাড়াজাগানো মৌলিক বই আর্কনের পর ২০১৬ সালের বইমেলায় আতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছিল অক্টারিন বইটি। বইটি লেখকের দ্বিতীয় মৌলিক বই। স্টিফেন কিং এর বিখ্যাত 'দ্য শাইনিং' এর অনুবাদের মাধ্যমে লেখকের লেখালেখির শুরু। অক্টারিনের বইয়ের শুরুতেই আমরা দেখতে পাব যে লেখক একটি সময়সূচি দিয়ে দিয়েছেন বইটি পড়ার জন্য। অবশ্য সময়সূচি না মানলে ক্ষতি নেই সেটা লেখক নিজেই বলে দিয়েছেন। তবে তাঁর মতে এই অনুযায়ী পড়লে বইটি উপভোগ্য হবে। অক্টারিনের কাহিনী শুরু হয় দেশের অন্যতম প্রভাবশালী একটি পরিবারের মেয়ে আয়েশা হঠাত একদিন ঘুমিয়ে পড়ার পর আর জাগে নি। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য ডাক পড়ে স্কুল শিক্ষক মুমিনুল ইসলামের। খুব সাধাসিধে চরিত্র এই মুমিন। কিন্তু অতিপ্রাকৃত জগতের সাথে তাঁর ছিল তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। আয়েশার সমস্যার সমাধানে অনিচ্ছাসত্ত্বেও মুমিন জড়িয়ে যায় এক চোরাবালির সমুদ্রে। সে বুঝতে পারে জ্বিন সম্পর্কিত কিছু নয়, আয়েশাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এমন কেউ যে তাঁর খুব কাছাকাছি আছে। কিন্তু, কে সে? মুমিনে যখন একা সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে না তখন সামনে আসে বইয়ের অন্যতম চরিত্র 'অ্যানিমা' । অ্যানিমা এবং মুমিন মিলে খুঁজতে থাকে আয়েশার এই জটিল অশুভ সমস্যার সমাধান। কিন্তু তাঁরা বুঝে যায় এর পেছনে এমন এক অশুভ শক্তি আছে যার কারনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী।এক অসম যুদ্ধে জড়িয়ে যায় তাঁরা দুজন যেখানে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাঁদের উপর। হ্যা পাঠক, পৃথিবী রক্ষার এই মিশনে আপনাদের নড়েচড়ে বসতে হবেই। একটু বলে নেই, লেখকের বইয়ের শুরুতে সময়সূচি দেয়াটা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। একটা ব্যাপার লক্ষ করলে দেখা যায় যে প্রতিটা ক্যারেক্টারই নিজের রোলকে প্রেজেন্ট করে । মানে , মুমিন যেমন সাধাসিধে একজন মানুষ তাঁর ক্যারেক্টারের রোল ও ছিল সাধাসিধে রকমের। আবার অ্যানিমা যেমন অগোছালো তাঁর রোল টাও ছিল একদম অগোছালো। এদিক থেকে বলা যায় চরিত্রগুলোর বর্ণনায় লেখক স্বার্থক। এছাড়াও প্রতিটি চরিত্রের এনট্রান্স ছিল প্রশংসা করার মতো। - অক্টারিন পড়ার পর আমি বেশ কিছুক্ষণ ভয়ের মধ্যে ছিলাম। যারা বইটি পড়েছেন কিংবা এখনো পড়েন নি অথবা পরে পড়বেন তাঁরা বুঝতে পারবেন লেখক বেশ কিছু জায়গায় এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেটা পড়ার পর আপনার ভয় পেতেই হবে। লেখকের লেখনীশক্তির প্রশংসা করতেই হবে। এর আগের কাজগুলোতে তিনি খুবই ভালো করেছেন। অক্টারিন এর লেখার স্টাইল কিছু কিছু পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে আটকে রাখবে। আমার কাছে মনে হয়েছে লেখক তাঁর কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে দৃশ্যগুলো এতো সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন যে চাইলেই তিনি যেকোন বিষয়েই মাস্টারপিস লেখা উপহার দিতে পারেন পাঠকদের। - কিছু কিছু জায়গায় আমার একটু অন্যরকম লেগেছে যেমন, মুমিনের স্টুডেন্ট এর এটিচিউড দেখে মনে হয় নি যে সে স্কুলে পড়ে। মনে হবে সে একটু অদ্ভূত টাইপের। তারপর আয়েশার ভাই জিহাদকে কেমন যেন উইয়ার্ড লেগেছে। - বইটার প্রতিটা লাইন পড়ে আপনার মনে হবে যে হলিউডের কোন মুভি দেখছেন যেখানে দৃশ্যগুলো একদম আপনার চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে। নিজস্ব মতামত হিসেবে বইটার কাহিনী নিয়ে কোন মুভি হলে খারাপ হওয়ার চান্স একদমই নেই। বইটি যদি ইংরেজীতে লেখা হতো তবে নিঃসন্দেহে তা বেস্ট সেলার হতো। - বইটি একটু বড় সাইজের হলেও কাহিনীর সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারলে মনে হবে এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল কেন? সত্যি বলতে আমার একবারের জন্যও বইটির সাইজ নিয়ে প্রশ্ন আসে নি মনে। বারবার মনে হচ্ছিল কাহিনীটা শেষ হয়ে যাচ্ছে কেন এতো আর্লি? - লেখকের প্রথম মৌলিক বই আর্কনের পরে অক্টারিন বইটির প্রচ্ছদ আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এই কৃতিত্বটুকু পাবে ডিলান ভাই। - এতোগুলো লাইন পড়ার পর হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে অক্টারিন কী জিনিস? কেন এই অদ্ভূত নাম? অক্টারিন হচ্ছে The 8th colour মানে অষ্টম কালার । যেটার ব্যাখ্যা অবশ্য বইটিতেই পাবেন। আমি শুধু একটু বলে নিচ্ছি এই কালারটা হচ্ছে ম্যাজিক কালার। - হরর বই খুব একটা পড়া হয়নি। কিন্রু এই বইটা আমাকে প্রচন্ড টেনেছে। সত্যি কথা বলতে এরকম প্লট নিয়ে যে এতো শক্তিশালী একটা গল্প তৈরি করা যেতে পারে সেটা কখনোও ভাবি নি। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে লেখকের কল্পনাশক্তির জন্য। আশা করছি তানজীম রহমান সামনে আরও বেশি বেশি হরর থৃলার বই বের করুক। - লাস্ট বাট নট লিস্টঃ অক্টারিনের সিকুয়েল বের হলে কিন্তু ব্যাপারটা বেশ জমজমাটই হবে। ;)

      By Sawon Ahmed

      18 Jul 2016 11:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা খুলতেই সম্পূর্ণ নতুন আর ভিন্নধর্মী একটা জিনিস চোখে পড়েছিল। লেখক বইয়ের সাথে পড়ার একটা সময়সূচী ঠিক করে দিয়েছিলেন। সেই সাথে এটাও বলে দিয়েছিলেন যে, সূচি না মানলে সমস্যা নেই, তবে সূচি মেনে পড়লেই বইটা পড়ে সর্বোচ্চ তৃপ্তি পাওয়া যাবে! আমার খুব ইচ্ছা ছিল লেখকের বেঁধে দেয়া সময়ানুযায়ী বইটা পড়তে। কিন্তু আমি ব্যস্ত মানুষ, চাকরি-পড়াশোনা অনেক কিছু সামলিয়ে তবেই আমার জন্য পড়ার সময় বের করতে হয়। লেখকের দেয়া সময়ানুযায়ী বইটি পড়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে আমি লেখককে আশ্বস্ত করতে চাই, এতে আমার তৃপ্তি বিন্দুমাত্রও কমেনি। অসাধারণ লিখেছেন আপনি। জীবনে খুব কম বই-ই আমাকে এতটা মজা দিতে পেরেছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ধনী পরিবারগুলোর মাঝে একটি হল সৈয়দ কলিমুদ্দিনদের পরিবার। স্বামীর অবর্তমানে মিসেস কলিমুদ্দিনই সবকিছু দেখাশোনা করেন। এই পরিবারের একমাত্র মেয়ে আয়েশা, একদিন হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়ে আর ঘুম থেকে জাগেনি। ডাক্তাররা অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও তার কোন সমস্যা ধরতে পারেনি। তার দেহের সকল কার্যক্রমই স্বাভাবিক, শুধু ঘুমটাই ভাঙ্গছে না। মিসেস কলিমুদ্দিন ভাবলেন তার মেয়ের পার্থিব কোন সমস্যা যেহেতু ডাক্তাররা ধরতে পারছেন না, তাহলে সমস্যাটা কি অপার্থিব? ডাক পড়ল গল্পের নায়ক মুমিনুল ইসলাম মুমিনের। মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সত্যি বলছি এত হাবাগোবা নায়ক আমি আমার জীবনে আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। বেচারাকে আরেকটু চালাক দেখালে কি এমন ক্ষতি হত লেখকের? বেচারারে সবাই খালি ধমকায়! থ্রেটের উপর রাখে! আর বেচারা কাউকে কিছু বলতেও পারেনা, সইতেও পারেনা! বলদা একটা... :p মুমিনের নিজের ছোটবেলার খুব ভয়ংকর একটা অভিজ্ঞতার কারণে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অপার্থিব জগতের বাসিন্দাদের কাজে আর কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। কিন্তু ম্যাডাম কলিমুদ্দিনের কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়ে তার নিজের কাছে করা প্রতিজ্ঞা তাকে ভাংতেই হল। কিন্তু কাজে নেমে দেখল অপার্থিবতার এই বিশাল জগতে সে এখনো শিশু, তার আরো অভিজ্ঞ কারো সাহায্য দরকার, একজন রিয়েল ম্যাজিশিয়ানের। মুমিনের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল গল্পের নায়িকা দূর্দান্ত স্মার্ট অ্যানিমা, যে কিনা নিজেই বলে বেড়ায় যে এটা তার আসল নাম নয়। হাবাগোবা নায়কের সাথে দূর্দান্ত স্মার্ট নায়িকা, অন্যদের কাছে কেমন লেগেছে জানি না, কিন্তু আমার কাছে অসাম লেগেছে! মজা পেয়েছি পুরো বইতে অ্যানিমা মুমিনকে যতবারই ডেকেছে তার পুরো নাম ধরে ডেকেছিল দেখে, আর মুমিন তাকে ডাকত আপা! নায়ক কখনো নায়িকাকে আপা ডাকে? বলদা -_- মুমিন আর অ্যানিমা কাজে নেমে দেখে ঘটনা তারা যেমন ভেবেছিল তার চেয়েও অনেক ভয়াবহ। শক্তিশালী কোন এক প্রতিপক্ষ অশুভ একটা শক্তিকে পৃথিবীতে ডেকে আনতে চাচ্ছে, চাচ্ছে পুরো পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিতে। পুরো পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ওদের দুজনের হাতে। পৃথিবীকে বাঁচানোর এক অসম লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে ওরা দুজন। সত্যি বলতে কি, বইটা যে থিম নিয়ে লেখা হয়েছে এই থিম নিয়ে যে আদৌ লেখা সম্ভব এমনটা কখনো ভাবতেও পারিনি। লেখক সত্যিই অসাধারণ একটা কাজ দেখিয়েছেন। প্লট নির্বাচন থেকে শুরু করে বর্ণনাভঙ্গি, সবকিছুই মারাত্মক ছিল। কাহিনী বর্ণনা এত নিখুঁত ছিল যে পুরো ঘটনাটা ভিজ্যুলাইজেশন করতে একটুও কষ্ট হয়নি, মনে হচ্ছিল বই পড়ছি না, কোন মুভি দেখছি। বইয়ের সবচেয়ে অসাধারণ পার্ট ছিল ম্যাজিক্যাল ফাইটগুলো। ছোটবেলায় আলিফ লায়লা দেখে যেমন শিউরে উঠতাম, ঠিক তেমনি শিউরেছি। আহ.... আর কবে এমন আরেকটা মাস্টারপিস পড়ার সৌভাগ্য হবে কে জানে। অনেকের কাছেই মনে হতে পারে যে বইয়ের কলেবর বাড়ানোর জন্য কাহিনীকে অযথা ঝুলানো হয়েছে। বিশেষ করে মুমিনের ছোটবেলার কাহিনী এত বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করতে গিয়ে। আমারও তেমনটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু ভুলটা ভেঙ্গে যায় কাহিনীতে মূল ভিলেনের আগমন ঘটার পর। ভিলেনকে দেখানোর জন্য পূর্বের কাহিনী বর্ণনার প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া মুমিন কেন এত হাবাগোবা, সেটাও তার পাস্ট না জানলে জানা যেত না! :p মজা লেগেছে বইয়ের একেবারে শেষ লাইনে এসে মুমিনকে অ্যানিমার আসল নাম বলা দেখে। আফসোস হয়েছে একসাথে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে আসার পরেও মুমিন আর অ্যানিমার মাঝে কিছু হতে হতে গিয়েও হল না দেখে। বোকাচোদা পাবলিক, আরেকটু স্মার্ট হলে ঠিকই অ্যানিমাকে পটিয়ে ফেলতে পারত। ইচ্ছা করছিল মুমিনের পাছায় একটা লাত্থি দিই! -_- গত বইমেলায় বের হওয়া আর্কন পড়ে লেখক তানজীম রহমানের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আর অক্টারিন পড়ার পর তার লেখনীর প্রতি আমার মুগ্ধতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। অন্যদের কথা জানি না, গত দশ বছরে আমার পড়া বইগুলোর মাঝে এটাই সবচেয়ে সেরা। ^_^ শুরুটা করেছিলাম আশরাফুল সুমন ভাইয়ের রিভিউর কথা দিয়ে। শেষটাও করি তার রিভিউর একটা কথা দিয়ে। তিনি লিখেছেন- 'এই বই যদি বাংলায় প্রকাশিত না হয়ে পশ্চিমা কোন দেশ থেকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হত, তবে এটা নিশ্চতভাবেই ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার হত।'- এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

      By murad

      28 May 2016 03:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি ? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-- সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়োগ করা হলো অদ্ভুত এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা । কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলো চোরাবালি আসলে কতোটা গভীর । একা একা সমস্যার জট খোলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার । দরকার একজন রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের । ওরা দু-জন মিলেও কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে ? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ--ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী । প্রচন্ড প্রভাবশালী জাহানারা মুনীর, অপ্রকৃতস্থ জিহাদ,পীরের মুরীদ রেহানা খালা , ঘুমন্ত আয়েশা প্রত্যেকটা চরিত্রই রীতিমত তাকে পাজলড করে তোলে,সপ্তাহান্তেই সে বুঝতে পারে এ কোন জীনের আছড় নয় , কেউ নিয়ন্ত্রন করছে মুনির ফ্যামিলির একমাত্র মেয়ে আয়েশার স্বপ্নকে ... হয়তোবা সে খুব কাছের কেউ ... ? কে সে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই পর্দায় আগমন ঘটে অন্যতম প্রধান চরিত্র ম্যাজিশিয়ান "অ্যানিমা"র ... ! তাও আবার যেন তেন ম্যাজিশিয়ান নাহ ,পুরোপুরি ড্রিগ্রীধারি ব্ল্য্যাক ম্যাজিশিয়ান !!! মুমিন আর অ্যানিমা মিলে যখন সব চেষ্টা করে ক্লান্ত , অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের সামনে এসে পরে ভয়ংকর সত্যটা ... এতোটাই ভয়ংকর যা ঘটতে দিতে থাকলে হুমকীর মুখে পড়বে পুরো মানবসভ্যতা,হয়তোবা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে পৃথিবী ... !!!! আর্কন-খ্যাত তানজীম রহমানের হরর থৃলার অক্টারিন-এর পাতায় লুকিয়ে আছে খুন, জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের আশ্চর্য এক উপন্যাস যা চুম্বকের মতো আপনার মনোযোগকে আকর্ষণ করবে ।

      By saifullah sayem fahim

      12 Aug 2021 02:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব রকমের একটি মাথা ঘুরিয়ে দৌয়ার মতো বই। মিস্ট্রিিএবং থ্রিলার দুটোর স্বাদই একসাথে পাওয়া যায়।

      By Ikram Ullah Sadman

      11 Mar 2021 01:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তানজীম রহমানের আর্কন পড়েই তার ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। অক্টারিনেও লেখক হতাশ করেন নি।অক্টারিনকে হরর থ্রিলার বলা হলেও ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট কম ছিল না বইটায়।পজেশন মিস্ট্রি হিসেবে প্লটটা ছিল দারুণ। প্রধান দুই চরিত্র মুমিন আর এনিমার ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ভালো ছিল।জ্বীন আর ম্যাজিকের কম্বিনেশনও সুন্দর হয়েছে। তবে শেষদিকে এসে সাদামাটা লেগেছে কিছুটা।বিশেষ করে ভিলেনের মোটিভটা।এইজন্য এক তারা খসালাম।তবে হরর আর ফ্যান্টাসি লাভারদের জন্য মাস্ট রিড অক্টারিন।

      By Pie

      21 Oct 2019 11:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বই পড়ে মানতে দ্বিধা নাই, অনেক কিছুই জানলাম। জ্বিন এর ব্যাপারে খুবই ইন ডেপথ তথ্য দেয়া। লেখকের লেখার স্টাইল দারুন। আটকাইয়া রাখসে আমারে। উইদাউট ব্রেক একটানে সাড়ে তিন ঘন্টায় পইড়া শেষ করলাম। বইয়ের নাম অন্যকিছু হইলে ভাল্লাগতো, যদিও অক্টারিন নামের মাজেজা বইয়ে দেয়া আছে - তাও। আর ভালো লাগে নাই বইয়ের শেষে অ্যানিমা-র আসল নাম বইলা দেয়াতে, এইখানে একটু ধ্রুপদী অস্পষ্টতা থাকলে ভাল্লাগতো। বইয়ের যেইটা বড় দোষ, প্রধান চরিত্র দূর্বল। মানে, মুমিন চরিত্রটা চোখে পড়ার মত না। সেই তুলনায় পরে প্রবেশ কইরাও দিন শেষে বইয়ের হিরোইন অ্যানিমাই মাধুরী দীক্ষিতের মতন একা টাইনা নিয়া গেছে বই। ভালো লাগসে কাহিনী। ঠাস বুনোটের। বিশাল পটভূমিরে একজায়গায় আইনা মিলানোটা অসাধারন ভাবে করা হইসে। ফকিরের ব্যাপারটা আগে ঠারে ঠারে বুঝছিলাম, কিন্তু আসলে তার নামটা কি সেইটা জাইনা চমকাইছি। অল্প উপস্থিতিতে দারুন লাগছে ইবনে সিনা-কে। সুলায়মান-এর মৃত্যুটা হতাশাজনক। একটা দেশের নাম্বার টু আর নাম্বার ওয়ান-এর শক্তিতে এতটাও তফাত থাকার কথা না, যেখানে নাম্বার থ্রি দারুন ফাইট দিসে। ডাক্তার-এর রহস্যময়তা ভাল্লাগসে, সেই সাথে দম্ভটাও। পাওয়ার ইজ ম্যাডেনিং ইউ নো। আর বইয়ের মূল কাহিনী - কেয়ামত আর এর সাথে সম্পর্কিত মিথ থেকে তুইলা আনা সেই ভয়ংকর জিনিসটা। অসাধারন। আরেকটা জিনিস যেইটা নিতান্তই ভাল্লাগসে না বইলা পারলাম না, সেইটা হইলো হিরো আর হিরোইনের মধ্যে আলগা পিরিতের ব্যাপারটা না আনা। এই জিনিস আর ভাল্লাগে না। সেইখানে এই আপা ডাকটা খারাপ লাগে নাই। আলাদা গতি আনসে বইয়ে। এক কথায়, বই না কিনলে আজকেই কিন্যা পড়েন।

      By Abdullah Al Mamun

      15 Nov 2017 02:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ অক্টারিন লেখকঃ তানজীম রহমান প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০১৬ প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ডিলান পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৮৪ মূল্যঃ ৩৬০ টাকা মাত্র অক্টারিন কি?অক্টারিন হচ্ছে বিশুদ্ধ জাদুর রং।যারা ম্যাজিক প্রাকটিস করে শুধু তারাই এটা দেখতে পায়।একেকজন ম্যাজিশিয়ান এটাকে একেক ভাবে দেখতে পায়। বইয়ের শুরুতেই একটা ধাক্কা খেলাম নতুনত্ব দেখে।লেখক বইটি পড়ার জন্য একটা উপযুক্ত সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।অক্টারিনের কাহিনির সূত্রপাত ঘটে একটি খুনের মধ্য দিয়ে যা খুবই ভৌতিক এবং অলৌকিক।তারপরই কাহিনিতে আগমন ঘটে কাহিনির প্রধান চরিত্রের প্রথমজন মুমিনুল ইসলাম মুমিন।তার উপর দায়িত্ব পড়ে ম্যাডামের মেয়ে আয়েশাকে ভালো করে দেয়ার যিনি এই কাহিনির ভিক্টিম।মুমিন কর্মজীবনে একজন শিক্ষক এবং ব্যাক্তিজীবনে কিছু অশরীরি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।কিন্তু মুমিন পুরোপুরি ব্যর্থ হয় মেয়েটার সমস্যার কারণ খুজে বের করতে।তখনই মুমিনকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে গল্পের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র অ্যানিমা।(আই হেভ আ ক্রাশ অন হার ওনেস্টলি স্পিকিং হা হা হা)।নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাহিনি আগাতে থাকে।কিন্তু দুইজনের মিলিত চেষ্টাও ব্যার্থ হয় রহস্য উদ্ঘাটনে।একটা পর্যায় আমার কাছে মনে হচ্ছিল পুরোটা একটা গোলকধাধা।বইয়ে জিনের আছরের কিছু ঘটনা মাঝে মাঝেই আমার রাতে ওয়াশরুম যাওয়ায় বিস্তর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় (হা হা হা )।তবে জিন তাড়ানোর কিছু উপায়ও জানা হয়ে গেল এই সাথে।কাহিনির শেষটা খুবই রোমাঞ্চকর।কে করেছে কেন করেছে তার কোন সুদত্তর পাওয়া যাবে না একদম শেষ পর্যন্ত।আসলে গল্পের ভিলেন বলুন আর যাই বলুন সে কতটা অপরাধী তা কম্পেয়ার করে বলা যাবে না।বাকিটা বলা যাচ্ছে না।স্পয়লার হয়ে যাবে। বিশাল কলেবরে এমন হরর থ্রিলার তাও আবার মৌলিক ভাবাই যায় না।যথার্থই পজেশন মিস্ট্রি।কোন গতানুগতিক ছেলেভুলানো ঠাকুমার ভূতের গল্প না।লেখকের ডান্ডা সম্পর্কিত ডার্ক হিউমারটি পড়ে লিটারেলি কিছুক্ষন হো হো করে হেসেছি।গল্পের কিছু কিছু ডার্ক ইনসিডেন্ট সত্যি সত্যি গায়ের রোম দাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।মুমিন আর অ্যানিমার মধ্যকার তুমি আপনি সম্পর্কটা আমার বেশ ভালো লেগেছে।আমি একবার দুইবার অবচেতন মনে ভেবেছিলাম এই বুঝি এখনকার রিলেশনগুলার মত তুমিতে এসে পড়লো।হা হা হা।মুমিন থেকে অ্যানিমাকেই আমার বেশি স্বক্রিয় লেগেছে প্রথম দিকে এবং গল্পের শেষটাও অ্যনিমার মাধ্যমেই।(মাই লেডি ) প্রচ্ছদের ব্যাপারে আলাদা করে বলতেই হবে।অসাধারণ প্রচ্ছদ বইটাকে আরো আকর্ষনীয় করেছ।প্রচ্ছদ দেখে আমার বলতে ইচ্ছা করেছে কি বানাইলি এটা ময়নার মা। অসাধারণ একটা গল্প।যারাই একটু আধটু ভয় পেতে চান তারাই বসে পড়ুন অক্টারিন নিয়ে।আশা করি অক্টারিন আপনাদের হতাশ করবে না।

      By Md. Raju Ahmed

      17 Oct 2019 07:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অক্টারিন বইটি হরর থ্রিলার ঘরানার একটি অসাধারণ বই। সুলেখক তানজীম রহমানের দ্বিতীয় মৌলিক থ্রিলার এটি। লেখক তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার "আর্কন" দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন। সেই রেশ ধরে রেখেছে "অক্টারিন" বইটি। আমার পড়া একমাত্র পজেশন মিস্ট্রি। এক কথায় অনবদ্য। ম্যাজিক ও ইসলামি মিথলজি বেইসড বইটি অসাধারণ আর শেষের দিকে অপেক্ষা করছে অসাধারণ এক ট্যুইস্ট। ব্যক্তিগত রেটিং : ৫/৫ :)

      By MD. Alamgir Kabir

      22 Sep 2019 11:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ বইটির নাম বা কভার পেজ দেখলে ভিঞ্চি কোড এর মত মনে হয়। বইটি এক কথায় অসাধারণ। ছোটবেলায় আমরা অনেকে ভৌতিক বই পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি, আবার বয়স বেড়ে যাবার পর ভৌতিক বই আরো পড়েছি কিন্তু তৃপ্তির পরিমাণ টা যেন কমে যায়। ভৌতিক রহস্যময়তাপ্রিয় যেকোন পাঠককে এই বই হারিয়ে যাওয়া প্রবল আনন্দ খুঁজে দেবে বলে মনে করছি। লেখক নতুন দেখে বইটি বাসায় পড়ে ছিল, আগ্রহবোধ করছিলাম না অনেকদিন, হটাৎ পড়া শুরু করে চার-ছয় পাতা পড়তেই দারুণ এক কাহিনীতে চলে গেলাম, ৪০০ পাতার বইটি মুগ্ধ করে দিলো। কাহিনীঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ সাবজেক্ট এর ছাত্র ও স্কুলের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক মুমিন প্রধান চরিত্র। সে ধার্মিক এবং শৈশবে গ্রামে জিনের আসর- এমন সমস্যা সে দেখেছে এবং পরে নিজেও অনেক তিক্ত ও ভীতিকর অভিজ্ঞতাসহ কিছু জিন দমনের কৌশল রপ্ত করেছে। সেই মুমিন এর ডাক আসে শহরের অভিজাত এলাকার এক ধনাঢ্যের বাগান বাড়ীতে। ওই বাড়ীর এক শিশুকন্যার সমস্যা, টানা কদিন ধরে শিশুটি ঘুমিয়ে থাকছে। ঘুম এর ঘোর কিছুতেই কাটছে না, যা ডাক্তাররা ঠিক ধরতে পারছে না, শুধু স্যালাইন দিয়ে রাখছে। পরে বাসাতেও অশুভদের আনাগোনা অনুভব হতে থাকে। মমিন তার রপ্ত বিদ্যা প্রয়োগ করে কোন পরিবর্তনই পায় না। সে বুঝতে পারে প্রচলিত কোন জিনভূতের ব্যাপার নয় এটি বরং অন্য কোন জটিল পরিকল্পনা নিয়েছে কেউ। ( পরিকল্পনাটাহল ইয়াজুজ মাজুজ কেয়ামতের পূর্বে নির্ধারিত সময়ে পৃথিবীতে দেখা দেবে, কেউ পরিকল্পনা করছে এখনই ইয়াজুজ মাজুজদের পৃথিবীতে আনতে, মেয়েটি মাধ্যম)। মুমিন বুঝতে পারে তার জানা দোয়া দরূদ দিয়ে সে কিছুই করতে পারবে না। মমিন পথ খুঁজতে থাকে শিশুটিকে বাঁচিয়ে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে। আর কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে...... বইটির কাহিনী এমন যে বিশ্বাস হবে বাস্তব এর মতকরে, আর ভাষা খুব সতেজ ও সহজ। আশা করছি পাঠকরা দ্রুত বইটি পড়ে এখানে নিজের তৃপ্তির অনুভূতি লিখবেন...

    • Was this review helpful to you?

      or

      অক্টারিন লেখকঃ-তানজীম রহমান জনরাঃ- হরর থ্রিলার আমার রেটিং-৪/৫ হরর কোন গল্পের প্রতি আগ্রহ ক্লাস সেভেন/এইটের দিকে ছিলো ... তারপরে অতটা হররের দিকে ঝুঁকি নাই... আসলে সেই গৎবাঁধা হরর বই পড়তে ইচ্ছা করতো না আর কি ... এই "অক্টারিন" বইটা কেনা হইতো নাহ যদি মোড়কের পিছনের লাইনটা না থাকতো ... "মার্ডার মিস্ট্রি হয়তো পড়েছেন আগে,কিন্তু পজেশন মিস্ট্রি?" আর কি আটকানো যায় নিজেকে ? যাই হোক ঘটনার শুরু কোন এক অখ্যাত স্কুলের ধর্ম শিক্ষক মুমিনুল ইসলাম মুমিনকে নিয়ে... তার রুটিনবাধা লাইফ ভালোই চলছিলো...। এই রুটিন বাধা লাইফে হঠাৎ দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের অযাচিত অনুপ্রবেশ।কারন পরিবারটির ধারনা তাদের একমাত্র মেয়ের উপর জ্বীন ভর করেছে... নিজের অন্ধকার অতীত থেকে পালিয়ে বেড়ানো মমিনুল নিজের অজান্তেই জড়িয়ে যায় এক অশুভ চোরাবালির সমুদ্রে ... প্রচন্ড প্রভাবশালী জাহানারা মুনীর, অপ্রকৃতস্থ জিহাদ,পীরের মুরীদ রেহানা খালা , ঘুমন্ত আয়েশা প্রত্যেকটা চরিত্রই রীতিমত তাকে পাজলড করে তোলে,সপ্তাহান্তেই সে বুঝতে পারে এ কোন জীনের আছড় নয় , কেউ নিয়ন্ত্রন করছে মুনির ফ্যামিলির একমাত্র মেয়ে আয়েশার স্বপ্নকে ... হয়তোবা সে খুব কাছের কেউ ... ? কে সে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই পর্দায় আগমন ঘটে অন্যতম প্রধান চরিত্র ম্যাজিশিয়ান "অ্যানিমা"র ... ! তাও আবার যেন তেন ম্যাজিশিয়ান নাহ ,পুরোপুরি ড্রিগ্রীধারি ব্ল্য্যাক ম্যাজিশিয়ান !!! মুমিন আর অ্যানিমা মিলে যখন সব চেষ্টা করে ক্লান্ত , অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের সামনে এসে পরে ভয়ংকর সত্যটা ... এতোটাই ভয়ংকর যা ঘটতে দিতে থাকলে হুমকীর মুখে পড়বে পুরো মানবসভ্যতা,হয়তোবা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে পৃথিবী ... !!!! খুব কি বেশী বলে ফেললাম, হয়তোবা মিথলজির সি-ম্যান সত্যিই ছিলো...! যারা ছিলো মায়ানসহ আরো অনেক সমৃদ্ধ সভ্যতার ধ্বংসের মূল কারন... কারা আছে এই চক্রান্তের পিছনে? সবকিছু উত্তর মিলবে বইটির শেষ অবদি ... সত্যি কথা বলতে,এই বই অবলম্বনে রীতিমতো একটা হলিউড মুভিই বানানো যাবে... পড়তে পড়তে চোখের সামনে বোধহয় সেই দৃশ্যগুলোই ভাসছিলো... বইয়ের সামনে আদর্শ সময়সূচী থাকলেও আমি শিওর আপনি ততোদূর অপেক্ষা করতে পারবেন নাহ... আটকে রাখতে পারবেন নাহ নিজেকে... যাই হোক বেশ বড়ই রিভিউ লিখে ফেলছি ... এখানেই শেষ করছি ! নইলে লিখতে থাকলে পুরা স্পয়লারই দিয়া দিতে পারি , সেটা নিশ্চয়ই ভালো হবে নাহ!

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!