User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত হয়েছে এই উপন্যাসটি। যে যুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিহত এবং দুই কোটি মানুষ আহত হয়েছিল। এই যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ২৮ জুলাই ১৯১৪-তে আর ১৯১৮ তে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনের এগারতম ঘণ্টায় এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়েছিল। যুদ্ধের ১০ বছর পর এ উপন্যাসে লেখক তার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে একজন জার্মান তরুন সৈনিকের জবানিতে যুদ্ধের অযৌক্তিকতা, ভয়াবহতা, সর্ব বিধ্বংসী রুপ নিপুন হাতে নিখুতভাবে বর্ণনা করেছেন। বইটি পড়ে যেকারো মনে হতে পারে রেমার্কের বর্ণনা কতটা জীবন্ত, যেন চোখের সামনে সব কিছু ঘটছে। লেখক তার জীবন দর্শন আর মানবতাবাদ প্রচার করেছেন এই বইটির ভেতর দিয়ে। সহজেই বুঝতে পারা যায় পল বোমার আসলে এরিক মারিয়া নিজে। এই বইটি এবং তার সাথে আরো বইয়ের জন্য কম ভুগতে হয়নি তাঁকে। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস এবং “অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট” এর সিক্যুায়াল The Road Back । নাৎসিদের অত্যাচারে তাঁকে ১৯৩২ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছে, সুইজারল্যান্ডে আশ্রয় নিতে হয়েছে, নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হয়েছে। যোগাযোগ রাখার কারণে তার স্বজনদের পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিনি অনেক জার্মান বিশিষ্টজনের মতো আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। হিটলার দায়িত্ব নেয়ার কিছুকাল পরে ১৯৩৩ সালে তাঁর বই নিষিদ্ধ করা হয় এবং বইয়ের সকল কপি পুড়িয়ে ফেলা হয়। ১৯৭০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।.
Was this review helpful to you?
or
প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত হয়েছে এই উপন্যাসটি। যে যুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিহত এবং দুই কোটি মানুষ আহত হয়েছিল। এই যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ২৮ জুলাই ১৯১৪-তে আর ১৯১৮ তে বছরের এগারতম মাসের এগারতম দিনের এগারতম ঘণ্টায় এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষিত হয়েছিল। যুদ্ধের ১০ বছর পর এ উপন্যাসে লেখক তার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে একজন জার্মান তরুন সৈনিকের জবানিতে যুদ্ধের অযৌক্তিকতা, ভয়াবহতা, সর্ব বিধ্বংসী রুপ নিপুন হাতে নিখুতভাবে বর্ণনা করেছেন। বইটি পড়ে যেকারো মনে হতে পারে রেমার্কের বর্ণনা কতটা জীবন্ত, যেন চোখের সামনে সব কিছু ঘটছে। লেখক তার জীবন দর্শন আর মানবতাবাদ প্রচার করেছেন এই বইটির ভেতর দিয়ে। সহজেই বুঝতে পারা যায় পল বোমার আসলে এরিক মারিয়া নিজে। এই বইটি এবং তার সাথে আরো বইয়ের জন্য কম ভুগতে হয়নি তাঁকে। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস এবং “অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট” এর সিক্যুায়াল The Road Back । নাৎসিদের অত্যাচারে তাঁকে ১৯৩২ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছে, সুইজারল্যান্ডে আশ্রয় নিতে হয়েছে, নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হয়েছে। যোগাযোগ রাখার কারণে তার স্বজনদের পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিনি অনেক জার্মান বিশিষ্টজনের মতো আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। হিটলার দায়িত্ব নেয়ার কিছুকাল পরে ১৯৩৩ সালে তাঁর বই নিষিদ্ধ করা হয় এবং বইয়ের সকল কপি পুড়িয়ে ফেলা হয়। ১৯৭০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।.
Was this review helpful to you?
or
পল বোমার। সতেরো বছরের এক জার্মান কিশোর। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে কেনা আর ধার নিয়ে ফেরত না দেয়া বই দিয়ে গড়ে তুলেছে ব্যক্তিগত লাইব্রেরী। গল্প, কবিতা, নাটক আর ম্যাগাজিনে ভরা তার জীবন। একদিন বদলে গেল তার স্কুল জীবন। ক্লাসের কুড়ি জনকেই নাম লেখাতে হলো যোদ্ধার তালিকায়। জার্মানীকে শক্তিশালী করতে তখন মুচি, পোস্ট মাস্টার, কৃষক, ছাত্র নির্বিশেষে সবাই যোগ দিচ্ছে যুদ্ধে। ট্রেনিং শেষে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয় সবাইকে। পল বোমারের সাথে তার চার সহপাঠী পড়ে একই গ্রুপে। এক শত ষাট জনকে নিয়ে গঠন করা হয় তাদের রেজিমেন্ট। ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ করে তারা। ফরাসী বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের খাদ্যহীন, রসদহীন লড়াই। একের পর এক বন্ধু এবং সহযোদ্ধাদের হারায় পল বোমার। অচিরেই তার রেজিমেন্টের সদস্য দাঁড়ায় বত্রিশ জনে। স্কুল থেকে বাচ্চাদের বিনা ট্রেনিং-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয় ফ্রন্টে। শুধুমাত্র মরবার জন্য। লাশের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য। বিমান, কামান, মেশিনগানের গুলি ছোঁড়ে ফ্রান্স, বৃটেন, আমেরিকা। বিষাক্ত গ্যাস ছোঁড়ে তারা। নবীন জার্মানরা জানে না পর্যন্ত কিভাবে গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। জার্মানদের চোখে তখন বিরাট স্বপ্ন। বেলজিয়াম দখল করতে হবে। ফ্রান্সের কয়লাখনি দখল করতে হবে। রাশিয়ার কিছু অংশ নিজেদের দখলে নিতে হবে। না খেয়ে, ময়লা পোষাক পরে, কাঁদা-মাটিতে ঘুমিয়ে যুদ্ধ করতে করতে পল বোমার, কাট, জাদেন, পোলার, হাই, ক্রপদের মনে প্রশ্ন জাগে, "কেন এই যুদ্ধ! কেন মানুষকে হত্যা করা!!" দু'পক্ষের যোদ্ধারাই বোঝে শুধু রাজাকে বিখ্যাত করার জন্যেই যুদ্ধ। যুদ্ধ না হলে রাজা বিখ্যাত হয় না। সেনাপ্রধান বিখ্যাত হয় না। তাই এ যুদ্ধ। তাতে দেশের মানুষের প্রাণ যাবে যাক। যুদ্ধের ময়দানে প্রতিটি সেকেন্ড মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও যোদ্ধারা মানবিকতার একেকটি উদাহরণ তৈরী করে। শত্রু পক্ষের বন্দীদের মাঝেও বিলিয়ে দেয় নিজের খাবার। আপন প্রাণ বাজি রেখে আহত সঙ্গীদের সরিয়ে আনে নিরাপদ স্থানে। একেকবার তারা প্রশ্ন করে নিজেদেরই কাছে, "আমরা কি বন জঙ্গলের অসভ্য মানুষের মত হয়ে গেছি। তা নাহলে মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করছি কেন!" নিজেরাই জবাব দেয়, " না, আমরা বন্য মানুষদের চাইতেও খারাপ। তারা তো চেষ্টা চালিয়েছিল সভ্য হতে। নিজেদের প্রচেষ্টায় সভ্যও হয়েছে। আমরা তো সভ্যতা থেকে অসভ্যতার দিকে ফিরে যাচ্ছি। আমরা নিশ্চয় বন্যদের চেয়েও খারাপ, অধিকতর বন্য।" এরিক মারিয়া রেমার্কের "অল কোয়ায়েট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট" পৃথিবীর সেরা বইগুলোর একটি। শ্বাসরুদ্ধকর যুদ্ধের বর্ণনায় ভরা একটি বই। মানবিকতা, লোভ, বর্বরতার দারুণ এক মিশ্রণ আছে বইটিতে। যুদ্ধের ঘৃণ্য দিক এবং অন্তসারশূণ্যতাকে জানতে হলে বইটি পড়তেই হবে।