User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।এক কথায় অসাধারণ একটি বই। কি নেই এতে। হাসি আছে, মজা আছে, রোমাঞ্চ আছে তার সাথে বেদনাও আছে। একটি দারুন সময় কাটানোর জন্য এই একটা বই যথেষ্ট। ধন্যবাদ আনিসুল হক স্যারকে আমাদের এ ধরনের বই উপহার দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
অনেক মজা পাইছিলাম বইটা পড়ে। ২০০৯ এর কথা...
Was this review helpful to you?
or
আনিসুল হকের 'মোটকু মামার গোয়েন্দা অভিযান' বেশ মজার একটা কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসটি বর্ণিত হয়েছে মোটকু মামার ভাগনে অয়নের বর্ণনায়। অয়ন ক্লাস সিক্সে পড়ে। মোটকু মামা তাদের সাথে তাদের বাসায়ই থাকে। হঠাৎ একদিন অয়নের ছোটখালার গাড়ি চুরি হয়। মোটকু মামা যেহেতু নিজেকে গোয়েন্দা বলে পরিচয় দেয়, তাই গাড়ি চুরি রহস্যের দায়িত্ব পড়ে তার উপর। অয়নকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে গোয়েন্দাগিরিতে। অয়নদের সাথে আরও থাকে অয়নের সমবয়সী বন্ধু টুটুল আর রিনিখালা। গোয়েন্দাগিরি করতে বেরিয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় পদে পদে মজার একেকটা ঘটনা ঘটতে থাকে মোটকু মামাকে কেন্দ্র করে। কখনো সে রিকশায় উঠলে চাকা বেঁকে যায় আবার বাসে উঠলে বাসের চাকা পাঙ্কচার হয়। নৌকায় উঠলে নৌকা ডুবে মোটকু মামা মরতেও বসে। রিনিখালা এসব দেখে আর হাসে। দার্শনিক টুটুল উচ্চমার্গের কথা বলে। এইসব হাসিমজার মাধ্যমে গাড়িচুরির রহস্যের তদন্ত চলতে থাকে। এক সময় জানা যায় গাড়ি নাকি আসলে চুরিই হয়নি। ব্যর্থ মনোরথে চার গোয়েন্দার দল যখন বাড়ি ফিরছে, কুকুর তাড়া করল মোটকু মামাকে। মোটকু মামা কুকুরের ভয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আটকা পড়ল এক দেয়ালের চিপায়। শুরু হল মোটকু মামাকে উদ্ধার অভিযান। তখনই প্রথম মোটকু মামা প্রকাশ করল, দেয়ালের ওপাশে স্মাগলাররা আছে। তারপর অয়ন আর টুটুলের চাতুর্যে পুলিশ মোটকু মামাকে উদ্ধারের পাশাপাশি স্মাগলারদেরও হাতেনাতে ধরতে পারল। এসব ঘটনা যখন হচ্ছিল, তখন রিনিখালা প্রেমে পড়ে গেছে মোটকু মামার। মোটকু মামার সাথে রিনিখালার বিয়ে যখন প্রায় পাকা, তখন রিনিখালা অয়ন আর টুটুলের কাছে এসে জানাল সে মোটকু মামার সম্পর্কে এক কঠিন সত্য জেনে ফেলেছে। মোটকু মামা নাকি বিবাহিত আর তার একটা মেয়ে আছে। এই ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব পেল অয়ন আর টুটুল। তদন্ত করতে গিয়ে তারা বুঝতে পারল, বিশাল শরীরের আড়ালে মোটকু মামার একটা কোমল হৃদয় আছে। কিন্তু কি দেখে তাদের এই ধারণা হল? এই নিয়েই 'মোটকু মামার গোয়েন্দা অভিযান' এর কাহিনী। ছোটদের উপযোগি কাহিনী তাই এর দোষ গুণ বিচার করতে যাওয়া বৃথা। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে মূল গল্প ক্ষুদে পাঠকদের ভাল না লাগলেও, নানাভাবে মোটকু মামার হেনস্তা হবার বর্ণনা তাদের মুখে হাসির খোরাক জোগাবে। আর কাহিনীর একেবারে শেষে মোটকু মামার সিক্রেটটার মাধ্যমে লেখক যে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন, তা ক্ষুদে পাঠকদের মনেও চিন্তার ঝড় তুলবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনেও বেশ প্রভাব ফেলবে।