User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি তো নিঃসন্দেহে অনেক ভালো। কিন্তু এখানে যে বই দেখানো হয়েছে তা এখন আর নেই। বইতে হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. নাম নেই। অথচ তারই বই। এখানে পৃষ্ঠার সংখ্যা 207, কিন্তু কাগজের বইয়ের অনেক কম। সংস্করণ করে বই অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah!! A good book containing important dalil and requirement of tasawwuf
Was this review helpful to you?
or
(১) তাসাওউফের / সূফীদের পথটি কি আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সঃ) অনুসৃত পথ ??? সূফীদের পথটি / দার্শনিক পথটি / মানবীয় যুক্তি ভিত্তিক পথটি কুরআন এবং সহিহ হাদিস দিয়ে ক্রসচেক না করে এ পথে পরিচালিত হলে ভুল পথে যাওয়ার আশংকা আছে । আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। ********* আল্লাহ তায়ালা বলেন, اِتَّبِعُوۡا مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اَوۡلِیَآءَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ "তোমরা অনুসরণ করো তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে (কুরআন ও সুন্নাহ)। আর তাকে (আল্লাহ্কে ) বাদ দিয়ে কোন আওলিয়া -বুজুর্গ ( সূফী / মাওলানা / মুরুব্বি / পীর ) এর কথা মেনে চলো না । " (সূরা আল আরাফ, আয়াত নং ৩) ======= একজন মুমিনের জন্য সবচেয়ে সহজ, সরল এবং নিরাপদ পথ হল রাসুল (সঃ) অনুসৃত পথ, সাহাবীদের অনুসৃত পথ, সালফে সালেহীনদের অনুসৃত পথ । কারণ এ পথটি কুরআন এবং সুন্নাহ এর উপর সরাসরি নির্ভরশীল; কোনও যুক্তি, দর্শনের উপর নির্ভরশীল নয়। ***** এ পথে হাঁটা মুমিনদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ । ***** কুরআন হল আল্লাহ তায়ালার মুজেজা যেটা কিয়ামাত পর্যন্ত আল্লাহ দুনিয়ার বুকে রাখবেন মানুষ যাতে সঠিক পথ পায়। কুরআন, সহিহ হাদিস এর অনুসৃত পথ হল সঠিক পথ । আল্লাহ তায়ালা বলেন, اِتَّخَذُوۡۤا اَحۡبَارَهُمۡ وَ رُهۡبَانَهُمۡ اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে। (সূরা তাওবাহ, আয়াত নং ৩১) ( অর্থাৎ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সঃ) যেটাকে হারাম করেছেন আলিম আর দরবেশরা সেটাকে হালাল করে এবং মানুষ তাদের অনুসরণ করে) اِنَّ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَهُمۡ وَ کَانُوۡا شِیَعًا لَّسۡتَ مِنۡهُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ ؕ اِنَّمَاۤ اَمۡرُهُمۡ اِلَی اللّٰهِ ثُمَّ یُنَبِّئُهُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَفۡعَلُوۡنَ যারা নিজেদের (পূর্ণ পরিণত) দ্বীনকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করে নিয়েছে আর (আপন আপন অংশ নিয়ে) দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে তাদের কোন কাজের সাথে তোমার (রাসুল (সঃ) এর) কোন সম্পর্ক নেই। (সূরা আল-আন'আম, আয়াত নং ১৫৯) কুরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যার এবং মিথ্যে বলার কারণেই যুগে যুগে ধর্ম বিকৃত হয়েছে। এ কারণে মহান আল্লাহ বলেন : قُلۡ یٰۤاَهۡلَ الۡکِتٰبِ لَا تَغۡلُوۡا فِیۡ دِیۡنِکُمۡ غَیۡرَ الۡحَقِّ وَ لَا تَتَّبِعُوۡۤا اَهۡوَآءَ قَوۡمٍ قَدۡ ضَلُّوۡا مِنۡ قَبۡلُ وَ اَضَلُّوۡا کَثِیۡرًا وَّ ضَلُّوۡا عَنۡ سَوَآءِ السَّبِیۡلِ "বল হে কেতাবিগণ, তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে অন্যায় ভাবে বাড়াবাড়ি করও না ; এবং যে সম্প্রদায় পথভ্রষ্ট হয়েছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল্ পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না " (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত ৭৭) وَ مَا یُؤۡمِنُ اَکۡثَرُهُمۡ بِاللّٰهِ اِلَّا وَ هُمۡ مُّشۡرِکُوۡنَ অধিকাংশ মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাস করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। (সূরা ইউসুফ, আয়াত নং ১০৬) اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে অংশীদার (শিরক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন।" (সুরা নিসা, আয়াত নং ৪৮ ) ****************** (২) বিভিন্ন সুফীদের লেখা মানুষকে স্পষ্ট শিরকের এবং কুফরের দিকে ধাবিত করে যেমন, (ইবনু আরাবী, ফুসুসুল হিকাম , পৃষ্ঠা ৮৩) তে বলেন, "আল্লাহ আমার ইবাদত করে, আমিও আল্লাহর ইবাদত করে"। (নাউজুবিল্লাহ) (ইবনু আরাবী, আল ফুসুস, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯৫) তে বলেন, "পরিপূর্ণ সূফী হলেন সেই, যিনি প্রতিটি উপাসনার বস্তুতে আল্লাহর প্রকাশ দেখেন এবং এসবের বস্তুর নামের শেষে "ইলাহ" বলে ডাকে। " (নাউজুবিল্লাহ) **************** (৩ ) তাওহিদুল মাতলাব বা কোন বিশেষ শাইখের / ইমামের অন্ধ অনুকরণ ইসলামে জায়েজ নয় । তাফসির বিশেষজ্ঞ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, " রাসুল (সঃ) ছাড়া এমন কোন লোক নেই, যার কোন না কোন কথা সমালোচনা ও বর্জন যোগ্য হবে। " (তাবারানি, মুজমাউল কাবির, হাদিস নং ১১৭৭৩) **************** (৪) রাসুল (সঃ) বলেন, "আমার সর্বোত্তম উম্মাত হল তারাই যাদের (সাহাবীদের) যুগে আমি প্রেরিত হয়েছি। তারপর তাদের সাথে যারা মিলিত হবে তারাই (তাবেঈন)। এরপর যারা মিলিত হবে তারাই (তাবে - তাবেঈন) । তারপর মিথ্যা প্রসার লাভ করবে (দ্বীনের নামে ভিত্তিহীন আকিদা ও আমল পালন করা হবে)।" (তিরমিজি, কিতাবুল ফিতনা, হাদিস নং ২১৬৫, তাহকীক আলবানী সহিহ) রাসুল (সঃ) এর হাদিসই প্রমাণ করে পরবর্তী পথে / সূফীদের পথে / দার্শনিক পথে / মানবীয় যুক্তি ভিত্তিক পথটি মিথ্যা বা ভুল পথ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
Was this review helpful to you?
or
তাসাওউফের স্বরূপ নিয়ে বর্তমান সমাজে চরম ধরনের প্রান্তিকতা বিরাজ করছে। এক শ্রেণীর লোক তো এটাকে শরীয়ত স্বীকৃত কাজ বলে স্বীকারই করে না। আরেক শ্রেণীর লোক আবার তাসাওউফের নাম ব্যবহার করে নির্দ্ধিধায় শিরক বিদআতসহ হীন থেকে হীনতর কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তাসাওউফ সম্পর্কে সঠিক তত্ত্ব ও তথ্য মানুষের জানা প্রয়োজন। তখন যারা তাসাওউফকে এড়িয়ে চলতে চায়, তারা অবশ্যই এর কোলে ঠাঁই নিতে বাধ্য হবে। আর যারা তাসাওউফ নামের অপব্যবহার করে সরলমনা মানুষদের আকীদা বিশ্বাসও ধর্মীয় চেতনাকে বরবাদ করে দিচ্ছে তাদেরও গোমর ফাঁস হয়ে যাবে। সমাজের এই চাহিদাকে সামনে রেখেই মাওলানা মনযুর নোমানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উদ্যোগ নিয়ে রচনা করেছেন ‘তাসাওউফ ক্যায়া হায়’ নামের অনন্য সাধারণ একটি কিতাব। এ কিতাবের আরও দু’জন গুরুত্বপূর্ণ লেখক হচ্ছেন তাসাওউফ বিশেষজ্ঞ বিদগ্ধ আলেম মাওলানা ওয়ায়েস নদভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং এবং মুসলিম উম্মাহর অবিসংবাদিত রাহবার ও দরদী দাঈ সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ত্রিরত্নের বিস্ময়কর সমন্বয়ে কিতাবটি হয়ে ওঠেছে একটি অসাধারণ কীর্তি।