User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এই দুইটা বই সবার অবশ্যই পড়া উচিত। সাতকাহন আমার চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। দীপাবলি 'র মত আত্নসম্মানবোধ প্রতিটা নারীর থাকা উচিত। আর বিষবৃক্ষ আমার পড়া সেরা ২টা বইয়ের একটা। সূর্যমমুখীর মত এত স্বার্থত্যাগ ব্যক্তিত্ব বিরল। একটা সংসার বাঁচানোর জন্য আর কি চাই?
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ বিষবৃক্ষ লেখকঃবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশনীঃঅ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স মূল্যঃ ৯০ টাকা মাত্র মানুষের জীবন জটিল। দুর্বোধ্য। তার চেয়েও বেশি রহস্যময় এবং ঠিক কতটা রহস্যময় তা রহস্যময় তা দেখিয়েছেন লেখক তার এই উপন্যাসে। সদ্য মেট্রিক পাশ করা অবসরের জীবনকে ঘিরে। রহস্য তার একমাত্র সঙ্গী চড়ুইপাখি। রহস্য তার দুলাভাই। যার আশ্রয়ে মাথাগোঁজার ঠাই মিলেছে বাবা মা হারানো অবসরের। এত রহস্য এত জটিলতারর মাঝেও ছোট ছোট আনন্দের খোঁজে অবসর ছুটে যায় তার শৈশব পার করা মফস্বল শহরে। আনন্দের অফুরান উৎস বাল্যবন্ধু ইদরিস, ভন্ড পীরের ভন্ড মুখোশ খুলে দিতে তাদের অ্যাডভেঞ্চার, নিমাদি, আর ইভা। ইভার পরিচয়টা না হয় নাই দিলাম। আনন্দ জুড়ে থাকে ম্যাজিক দেখানো ফিরোজ দাদা, আলুশাক, রাবেয়া আপা এবং তার ছোট্ট মেয়ে পরী।এত আনন্দ রহস্যময় অবসরের জীবনে বিষবৃক্ষ তবে কে? যে বৃক্ষময় কেবল বিষ আর বিষ। ছায়াও যার বিষাক্ত। অবসর কি পারবে? তার ছোট হাতে বিষবৃক্ষ উপ্রে ফেলতে? কে তাকে সাহায্য করবে? ইভা, ফিরোজ দাদু, ইদরিস নাকি চড়ুই পাখি? জানতে হলে পড়ে ফেলুন ঝটপট ইকবাল মাহমুদ ইকুর উপন্যাস 'বিষবৃক্ষ'। দারুন একটা উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
কিনে ফেলো
Was this review helpful to you?
or
নগেন্দ্র এর যেন কি হয়েছে! আজকাল কোন কাজেই মন নেই। সূর্যমুখীর কোন কথাও খেয়াল দিয়ে শোনেন না,অথচ এই মানুষটি একসময় কাজের প্রতি শতভাগ দায়িত্বশীল ছিলেন। বলছিলাম বিষবৃক্ষের নায়ক নগেন্দ্র দত্তের কথা। নগেন্দ্র, তার বউ সুর্যমুখী,কুন্দনন্দিনী,কমলমনি,হীরা এদের নিয়েই আবর্তিত বিষবৃক্ষ। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর চতুর্থ উপন্যাস বিষবৃক্ষ। এটা একটি সামাজিক উপন্যাস। সাহিত্যসম্রাট তার নিজস্ব ভঙ্গীতে সমাজের কিছু সমস্যা,প্রথা,কুসংস্কারকে তুলে ধরেছেন।তখনকার সময়ের সমাজব্যবস্থা ও একজন বিধবার সামাজিক অবস্থানকে বর্ননা করেছেন। বিষবৃক্ষ শুধু উপন্যাসের কয়েকটা মানুষের সুখ-দু:খের জীবনগাথা নয়,আমার-আপনার টানাপোড়নের গল্প। মানবমন গতিশীল, কখন কি চায় নিজেও জানেনা। চোখের ভালবাসা আর মনের ভালবাসার পার্থক্য বোঝেনা মন।যখন বোঝে, তখন বড় দেরি হয়ে যায়।কাউকে না কাউকে তার দাম দিতেই হয়। নগেন্দ্র একজন আদর্শ মানুষের উদাহরণ, অপরদিকে তার ভার্যা সূর্যমুখী পতিব্রতা, অমায়িক চরিত্রের মানুষ। কাজের প্রয়োজনে নগেন্দ্র গোবিন্দপুর তথা হরিপুর থেকে নৌকা করে রওয়ানা হলে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির কারণে এক অচেনা গ্রামে নোঙ্গর করাতে বাধ্য হয়, যেখানে তার সাথে পরিচয় হয় একাকীনি, সদ্য অভিভাবকহীন কুন্দনন্দিনীর। নগেন্দ্র কুন্দ উদ্ধার করে এবং তার বোন কমলমনিকে অনাথা মেয়েটিকে দেখার দায়ভার দেয়। ছোট বোন কমলমণি এবং সূর্যমুখী তাদের স্নেহের কুন্দকে বিবাহ দেয় সূর্যমুখীর পোষ্য ভাই তারাচরণের সাথে। এই ঘটনাকে বঙ্কিমবাবু তার উপন্যাসে উল্লেখ করেছেন ‘তিনজনে মিলিয়া বিষবীজ রোপণ করিলেন’। এরপরের ঘটনাগুলো বিষবীজ হতে বৃক্ষ ফলনের। বঙ্কিমের বই,একটু কঠিন ভাষায় লেখা তা অনুমেয়। তবুও পড়া শুরু করে দিন। একবার বিরক্তিটা কাটিয়ে উঠতে পারলে, ধীরে ধীরে পড়তে আনন্দ পাবেন। হ্যাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনী মূলত আবর্তিত হয় কিছু চরিত্রের সমন্বয়ে সামাজিক অথবা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন দুর্গেশনন্দিনীতে তিনি ঐতিহাসিক একটি প্রেক্ষাপট, কপালকুন্ডলাতে সামাজিক কিছু ভয়াবহ কুসংস্কারের প্রভাব তুলে ধরেছিলেন, ঠিক তেমনই বিষবৃক্ষতে সামাজিক কিছু প্রথার প্রতি তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিমাতে আলোকপাত করেছেন, যা হচ্ছে--বিধবা বিবাহ, বিধবা মেয়েটির উপর পারিপার্শ্বিকতা ও তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বহুবিবাহের প্রভাব । সাধারণত কোন উপন্যাসের সার্থকতা পরিগণিত হয় তার বিষয় এবং বৈচিত্র্যের আলোকে। বিষবৃক্ষ আপাতদৃষ্টিতে কয়েকটা চরিত্রের সমন্বয়ে তাদের জীবনগাঁথা শুধু নয়; এটা যেন আপনার আমার, আমাদের সকলের অভ্যন্তরের কিছু টানাপোড়েনের গল্পও। বিষবৃক্ষ বঙ্কিমচন্দ্রের চতুর্থ উপন্যাস এবং তারই সম্পাদিত বঙ্গদর্শন পত্রিকাতে এটি বারোটি কিস্তিতে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে এটি প্রকাশ হয়েছিল ১৮৭৩ সালে। পরবর্তীতে উপন্যাসটি অন্যান্য অনেক ভাষাতে অনূদিত হয়। ১৮৮৪ সালে মিরিয়াম এস. নাইট The Poison Tree নামে এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। বিষবৃক্ষ উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো হচ্ছে নগেন্দ্র দত্ত, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী, কমলমণি, হীরা ,দেবেন্দ্র প্রভৃতি। ঐশ্বর্য, প্রতিপত্তি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে নগেন্দ্র একজন আদর্শ মানুষের উদাহরণ, অপরদিকে তার ভার্যা সূর্যমুখী পতিব্রতা, অমায়িক চরিত্রের মানুষ। কাজের প্রয়োজনে নগেন্দ্র গোবিন্দপুর তথা হরিপুর থেকে নৌকা করে রওয়ানা হলে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির কারণে এক অচেনা গ্রামে নোঙ্গর করাতে বাধ্য হয়, যেখানে তার দেখা মিলে একাকীনি, সদ্য অভিভাবকহীন কুন্দনন্দিনীর। হ্যাঁ এই সেই কুন্দনন্দিনী...যাকে সাহিত্যসম্রাট আখ্যায়িত করেছেন ‘অনিন্দিতগৌরকান্তি স্নিগ্ধজ্যোতির্ম্ময়রূপিণী’ হিসেবে। ধারণা করা হয়, তিনি বিষবৃক্ষের অন্যতম প্রধান এই চরিত্রটিকে তার কনিষ্ঠ কন্যা ছায়ার অনুরূপে রচনা করেছিলেন। নগেন্দ্র দত্ত অনাথা এই বালিকার নিঃস্বার্থ অভিভাবকত্বের দায়ভার নেয়, নিজের আপনজনের মত। নগেন্দ্র, তার ছোট বোন কমলমণি এবং সূর্যমুখী স্নেহের কুন্দকে বিবাহ দেয় সূর্যমুখীর পোষ্য ভাই তারাচরণের সাথে। এই ঘটনাকে বঙ্কিমবাবু তার উপন্যাসে উল্লেখ করেছেন ‘তিনজনে মিলিয়া বিষবীজ রোপণ করিলেন’। এরপরের ঘটনাগুলো বিষবীজ হতে বৃক্ষ পরিস্ফুটনের। সাহিত্যসম্রাটের লেখনী পড়লেই একমাত্র বোঝা সম্ভব, কেন এবং কি কারণে তাকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। তার লেখনীর সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক তার ভাষার আভিজাত্য এবং চরিত্রের অলঙ্করণ। চরিত্রকে তিনি তার বলিষ্ঠ ভাষাগত দিক দিয়ে যেভাবে তুলে ধরেছেন তার প্রত্যেক সৃষ্টিতে, পড়ার সময় এবং পরবর্তীতে সেই চরিত্রের বৈশিষ্ট্যে শুধু মুগ্ধ হয়ে থাকতে হয়। রোহিণী থেকে কুন্দনন্দিনী, রজনী থেকে দেবী চৌধুরাণী...কেউ কারও সাথে মিলবে না, কিন্তু তারা নিজস্ব ধারায়, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে তার লেখনীতে অনন্যা হয়ে থাকবে- কখনও ভালো চরিত্রে, আবার কখনও সমালোচিত ভাবে। তিনি সবসময় চরিত্রকে ভিন্ন ধারায় তুলে ধরতে পছন্দ করতেন। যদি নারীসত্ত্বাকে বৃক্ষের শ্রেণীতে ভাগ করতে হয় তাহলে বিষবৃক্ষের সূর্যমুখী হবে এক দৃঢ় চরিত্রের বটবৃক্ষ স্বরূপ যে নিজের উপর প্রকৃতির হাজার অনাচার সহ্য করার পরেও তার আশ্রয়ে থাকা কাউকে সেটার প্রভাব পর্যন্ত বুঝতে দেয়না , তেমনভাবে কুন্দনন্দিনী কোমলমতি, একাকিনী লতানো গাছের মত, যে কাউকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়, কাউকে অবলম্বন করে নিজের লতা বিস্মৃত করতে চায়। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের বিশেষত্ব এটাই। সবশেষে, বিষবৃক্ষ নামকরণের কথা বলবো। ‘বিষবৃক্ষ’ এই উপন্যাসে কি কোন গাছ না রূপক ধরণের কিছু? বঙ্কিমচন্দ্র এই জিনিসটিরও অতি সাবলীল ব্যাখ্যা উপন্যাসটির ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদে দিয়ে দিয়েছেন। ‘এই বৃক্ষ মহাতেজস্বী; একবার ইহার পুষ্টি হইলে, আর নাশ নাই। এবং ইহার শোভা অতিশয় নয়নপ্রীতিকর; দূর হইতে ইহার বিবিধবর্ণ পল্লব ও সমুৎফল্ল মুকুলদাম দেখিতে অত্যন্ত রমণীয়। কিন্তু ইহার ফল বিষময়; যে খাই, সেই মরে।’ সাহিত্যপ্রেমী মানুষ যারা, তাদের প্রতি সাহিত্যসম্রাটের অসাধারণ এই সামাজিক উপন্যাসটি পড়ার অনুরোধ রইল।