User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্রথা বিরোধী সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের উপর বর্বরোচিত সাম্প্রদায়িক হামলা মেনে নিতে পারেনি প্রতীক এবং তার বন্ধুরা। প্রতিবাদকে তারা করেছিলো নাটকের ভাষা। সেই সময়ের ক্যানভাসে দাঁড়িয়ে জীবনকে উপলব্ধি করেছে প্রতীক। প্রতীক, জীবনের কাছে নিরবচ্ছিন্ন শব্দচয়নের এক এপিটাফ। শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের ক্যানভাসে এসেও প্রতীক জীবনের সাথে হিসেব মেলাতে পারে না, ক্রমাগত পরাজিত হতে থাকে নিজস্ব বোধের কাছে এবং বোধের বারান্দায় শেষ পর্যন্ত সে আর বাঁচতে পারে না। অথবা সে বেঁচে থাকে; আমরা বুঝতে পারি না। প্রতীক- তার নিজস্ব দর্শন, সমাজের প্রতিটি স্তরের সাথে হৃদয়জ বোঝাপোড়া, অসম প্রেম, ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস, সমাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ মনোভাব, নারীর একান্ত দর্শনে নারীকে অবলোকন এবং শেষ পর্যন্ত নিজের ভেতরেই এক অপ্রতিরোধ্য ঈশ্বরকে জন্ম দেয়া- সব মিলিয়ে প্রতীক নিজেই স্বীকারোক্তি দেয়- আমিই আমার ঈশ্বর। কেবল ব্যক্তিগত জীবনাচরণের প্লাটফর্মে নয়; একটি বিরাট সম-সাময়িক সমাজকে উপলব্ধির চেষ্টা নিরন্তর প্রবহমানতার মতো বয়ে গেছে উপন্যাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আনন্দ-শৈশবস্মৃতি-মধুরতা-বিলীয়মান নক্ষত্রের শোক- শাশ্বত প্রেম- কামনার দীর্ঘশ্বাস, এ সবকিছু ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত বাস্তব হয়ে রয়েছে একখন্ড শূন্যতা। সেই শূন্যতার প্রাণময় উপস্থাপন ঘটেছে উপন্যাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়; এবং শেষে এসে তার উচ্ছ্বল ঢেউ, বিনোদ তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে- ব্যক্তি জীবনের বেলাভূমিতে।