User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা ভ্রমণকাহিনি ??
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালোই ৷?
Was this review helpful to you?
or
বইটি বেশ কিছু অধ্যায় নিয়ে লেখা হয়ছে মহান চীন ও কিছু ড্রাগনঃ অন্য প্রকাশের সত্বাধিকারী মাজহারুলের মাথায় হাত। সামনে বইমেলা অথচ হুমায়ুন আহমেদ রাইটার্স ব্লকে!!! কি হবে??? সমাধান বের তো করতেই হবে! ভেবে চিন্তে বের করা হলো ভ্রমণের বিষয়টা। কিন্তু ভয় ছিলো লেখক ঘরকুনো মানুষ। যেতে চাইবে সে ভ্রমণে? প্রস্তাব পেশ করা হলো তার নিকট। রাজিও হলো। কিন্তু গোঁ-ধরলো চীনে যাবে! নিরুপায় মাজহারুল আয়োজন করলো চীন ভ্রমণের প্রয়োজনীয় সব কিছু। চলুন আমরাও ভ্রমণ করে আসি ড্রাগনের দেশ থেকে। প্রিয় পদরেখাঃ রবীন্দ্রনাথের প্রিয় অন্যতম প্রিয় ফুল নীলমণি। যাহা রবীন্দ্রনাথ আবিষ্কার করেন ত্রিপুরার মালঞ্চ নামক বাড়ীতে! একটুখানি ত্রিপুরা ভ্রমণ করার যায় হুমায়ুন আহমেদের সাথে! কি বলেন? স্বর্গ, না অন্য কিছুঃ সুইজারল্যান্ড অনেকের কাছে ভূ-স্বর্গ। নাটক ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ দুটো করতেই হুমাযুন আহমেদ পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে। চন্দ্রযাত্রাঃ আমেরিকা কে বলা হয়ে থাকে এক টুকরো বিশ্ব। সেখানে যেন সমগ্র বিশ্ববাসীর মিলনমেলা। আমেরিকা যাওয়া বড় দুষ্কর সাধারণ নাগরিকদের জন্য। তাই চলেননা স্যারের সাথেই ঘুরে আছি চাঁদের যাওয়ার মত আগ্রহ নিয়ে। এলেম শ্যামদেশেঃ থাইল্যান্ড কে বলা হয় message এর দেশ। শরীর মর্দন বিদ্যাটা কতটা শিল্পের অংশ এ দেশে না বেড়াতে গেলে বোঝায় যাবে না। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পকেটে টাকা কড়ি থাকলে এখনই বেড়িয়ে পড়তাম ভ্রমণে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই। বইটি বেশ কিছু অধ্যায় নিয়ে লেখা হয়ছে মহান চীন ও কিছু ড্রাগনঃ ।লেখক রাইটার্স ব্লকে। সমাধান বের তো করতেই হবে! ভেবে চিন্তে বের করা হলো ভ্রমণের বিষয়টা। লেখক ঘরকুনো মানুষ। যেতে চাইবে কিনা সন্দেহ। প্রস্তাব পেশ করার পর রাজি হলেন। কিন্তু চীনে যাবেন বলে জিদ ধরলেন। নিরুপায় মাজহারুল আয়োজন করলো চীন ভ্রমণের প্রয়োজনীয় সব কিছু। প্রিয় পদরেখাঃ রবীন্দ্রনাথের প্রিয় অন্যতম প্রিয় ফুল নীলমণি। যাহা রবীন্দ্রনাথ আবিষ্কার করেন ত্রিপুরার মালঞ্চ নামক বাড়ীতে! একটুখানি ত্রিপুরা ভ্রমণ করার যায় হুমায়ুন আহমেদের সাথে! কি বলেন? স্বর্গ, না অন্য কিছুঃ সুইজারল্যান্ড অনেকের কাছে ভূ-স্বর্গ। নাটক ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ দুটো করতেই হুমাযুন আহমেদ পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে। চন্দ্রযাত্রাঃ আমেরিকা কে বলা হয়ে থাকে এক টুকরো বিশ্ব। সেখানে যেন সমগ্র বিশ্ববাসীর মিলনমেলা। আমেরিকা যাওয়া বড় দুষ্কর সাধারণ নাগরিকদের জন্য। তাই চলেননা স্যারের সাথেই ঘুরে আছি চাঁদের যাওয়ার মত আগ্রহ নিয়ে। এলেম শ্যামদেশেঃ থাইল্যান্ড কে বলা হয় message এর দেশ। শরীর মর্দন বিদ্যাটা কতটা শিল্পের অংশ এ দেশে না বেড়াতে গেলে বোঝায় যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
বইটির উৎসর্গে ছিলো বাচ্চা 'নিশাদ হূমায়ুন' । কথা গুলো ছিলো এরকম, " তুমি যখন বাবার লেখা এই ভ্রমন কাহিনী পড়তে শুরু করবে, তখন আমি হয়তোবা অন্য এক ভ্রমনে বের হয়েছি। অদ্ভূত সেই ভ্রমনের অভিজ্ঞতা কাউকেই জানাতে পারব না। আফসোস!" আমিও মানুষ টার জীবন সমন্ধীয় লেখা গুলো পড়ার সময় ভাবি, এই রহস্যময় মানুষ টাকে কোন দিন ছুয়ে দেখতে পারব না। আফসোস!"দেখা না দেখা" বই একটা ভ্রমন কাহিনী, যেখানে লেখক তার কিছু ভ্রমনের গল্প পাঠক দের জন্য উল্লেখ করেছেন।১. মহান চীন এবং কিছু ড্রাগন - হঠাৎ করেই লেখক এর অসুখ হয়, তাহল "writer's block"। লেখক দের এরকম কিছু হলে তার কিছুই লিখতে পারে না। লেখকও কিছু লিখতে পারছিলেন না। অন্যপ্রকাশের মাজহার তখন লেখককে বললেন, "চলুন দেশের বাইরে থেকে ঘুরে আসি। আপনি লিখতে পারছেন না তাতে কি, সারাজীবন লিখতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। একজীবনে যা লিখেছেন তাই যথেষ্ট। আপনি যদি হ্যা বলেন আমি খুশি হই।" লেখক রাজি হলেন, মাজহার সাহেবের মুখ খুশি তে বেগুনি হয়ে গেল। তিনি দেশের নাম সিলেক্ট করতে বললেন। লেখক সব বাদ দিয়ে বললেন, তিনি চীন যাবেন এবং ড্রাগন দেখবেন। সঙ্গী হলেন, চ্যালেঞজার এবং উনার স্ত্রী , কমল উনার স্ত্রী ও কন্যা, মাজহার ও উনার স্ত্রী এবং পুত্র অমিয় ও টমিও, স্বাধীন খসরু, শাওন ও লীলাবতী, পুত্র নুহাশ। মজার ব্যাপার হচ্ছে টমিও ও লীলাবতী তখন তাদের নিজেদের মায়ের পেটে করে ঘুরে বেড়াতে গিয়েছিলো। অবাক করা ব্যাপার এটাও, হুমায়ুন এর দ্বিতীয় স্ত্রী এর সাথে অবশ্যই নুহাশ বেড়াতে বা ঘুরতে যেতে পারে না। সে গিয়েছিলো লেখক এর কল্পনায় সঙ্গী হয়ে। আর এই জায়গায় একটা গল্প আছে। আমি ঠিক আবেগপ্লুত হয়ে গিয়ে ছিলাম। পিতা পুত্রের ভালবাসার চিত্র দেখে। ঠিক কার যে পক্ষপাতিত্ব করব বুঝতে পারছিলাম না। ভ্রমনে আর যাই হউক লেখকের অসুখ কিন্তু সেরে গিয়েছিলো। তা কিভাবে..? আপনারা বইয়েই পাবেন।২.প্রিয় পদরেখা-এই ভ্রমন হয়েছিলো ভারতের ত্রিপুরা। সঙ্গী ছিলো বিরাট বাহিনী।বাসে করে বাংলাদেশ দেখতে দেখতে যাওয়ার চিত্র গুলো লেখার ভাষায় আমার চোখে ভাসিয়ে তুলেছেন।৩.স্বর্গ না অন্য কিছু- এবার যাত্রা সুইজারল্যান্ড অবশ্য সেখানে যাওয়ার কারন হলো খেলা। তা হলো নাটক নাটক খেলা। মূলত লেখক একটা নাটক এর দল নিয়ে সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলেন। অবশ্য এত উর্বর বুদ্ধি উনার মাথা থেকে আসে নি । তা ছিলো লেখক এর প্রাক্তন ছাত্র হাসানের কাজ।সঙ্গীরা ছিলেন রিয়াজ, শাওন,চ্যালেঞ্জার, স্বাধীন খসরু, ডাক্তার এজাজ,ফারুক আহমেদ, টুটুল, তানিয়া।৪.চন্দ্রযাত্রা-সফর ছিলো আ দিয়ে শুরু কা দিয়ে শেষ একটা দেশে। যে দেশের নাম শুনলে বাংলাদেশের মানুষের মতো অনেক দেশের মানুষের চোখ চকচক করতে থাকে। লেখক এর মতো আমিও ধাধা টা দিয়ে রাখলাম। এই জায়গাটার ব্যাপারে লোকের অনেক আগ্রহ থাকলেও লেখক এর ছিলো বেশ অতুক্ত্যির। কেন না দেশ টাতে ছয় বছর এর বেশি তিনি সময় কাটিয়েছেন। তবে তিনি এবার এর মতো গিয়েছিলেন একজনের তল্পিবাহক হয়ে। এবং তিনি হলেন, মেহের আফরোজ শাওন। কেন না তিনি চন্দ্রকথা ছবিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার পেয়েছেন। এবং সেটা বলিউড অ্যাওয়ার্ড।৫.এলেম শ্যামদেশে-লেখক এই দেশের নাম দিয়েছেন গা টেপাটেপির দেশ। কেন সেটা পড়লেই জানতে পারবেন। জায়গা টা হলো ব্যাংকক। এই জায়গার ব্যাপারে লেখককে ১ম আগ্রহী করেছিলেন লেখক এর ক্যামেরা ম্যান । যদিও খুব আগ্রহ ভরে তিনি বর্ননা করেছিলেন 'পাতায়া' এর কথা, তথাপি লেখক এর কোন উচ্ছ্বাস দেখা গেল না। তিনি অভদ্রতা জেনেও নিরস ভাবে বলেছেন, "গা টেপার দেশে আমি যাব না।" ২য় হলো শাওন । তার উচ্ছ্বাস হলো "ফুকেট"। ফুকেট এর নীল সমুদ্র ।যাই হউক শেষ পর্যন্ত লেখক রাজি হলেন সেখানে যাবেন।বলা চলে, পুরো বইটি পরে হাসির সাথে লেখক এর জীবনের কিছু অংশ নিজ চোখে দেখা যায়। আর প্রদর্শনীয় স্থান গুলোও।লেখক এর সঙ্গে কিছু সময় ঘুরে আসা বলা যায়। বইটা কয়েক বার পড়া হয়েছে। পেইজ দেখলেই বলে ফেলতে পারি লেখক কোথায় গিয়ে কি কি করেছেন। কাহিনীর সাথে লেখক খানিক টা বলার ছলে পাঠক এর সাথে গপ্পো করেছেন । আর তাই বই টা তো ভালো লাগবেই।বই টা খুব বেশি বড় বলা যায় না। মাঝে মাঝে ব্রেইন টা ওয়াশ দেওয়ার জন্য লেখক এর এই বই গুলো আমার জন্য ঔষুধ হিসেবে অতুলনীয়। লেখক সম্পর্কে বলতে গেলে, এখন পর্যন্ত কথা সাহিত্যিক এর শীর্ষে থাকা লোক টি তার তৈরি চরিত্র গুলোর থেকে আকর্ষনীয়। পছন্দের ব্যক্তি গুলোর মধ্যে তিনি অন্যতম। যদিও বরাবর ক্ষীন একটা জিদ বা রাগ পোষন করি সব সময়। তবুও লোকটার কর্মকান্ড গুলো সবসময়ই ভালো লাগে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের ভ্রমণকাহিনী গুলো পড়ার সবচেয়ে মজার দিক হল, অন্য সব লেখকের ভ্রমণকাহিনী পড়লে মন খারাপ হলেও তাঁর বই পড়লে মন খারাপ ভাবটা থাকে না। অন্যান্য বইয়ের ক্ষেত্রে মন খারাপ হয় এই ভেবে, সবাই ওইসব দেশের এত এত গুণ গায় যে তখন বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান গুলোকে খুবই নগণ্য মনে হয় কিন্তু স্যার তাঁর বইয়ে ভিনদেশের ভ্রমণের মনোমুগ্ধকর বর্ণনা দেয়া সত্তেও বাংলাদেশের দর্শনীয় জায়গাগুলোকেও এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে তখন মনে হয় ওইসব দেশ আর এমন কী! আমাদের দেশ কি কম সুন্দর!!!