User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
the condition of the book wasn’t so great but very fast delivery inside Dhaka city
Was this review helpful to you?
or
nice..Unbelievable writing. really amazing.
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের কাহিনি শুরু সদ্য বি.এ পাশ করে সংগ্রামী এক যুবক শৈলেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের এম.এ পড়ার স্বপ্ন ও না পড়তে পারার আশঙ্কা নিয়ে। উত্তম পুরুষে লিখিত এ উপন্যাসে বলা চলে লেখক নিজেকেই শৈলেন্দ্র বলে দাবি করেছেন। একরকম দৈবক্রমে শৈলেন লিন্ডসে ক্রেসেন্ট এ বসবাসরত ব্যারিস্টার কন্যা তরুর গৃহশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন তরুর বড়দি মীরার মাধ্যমে। প্রথম দর্শনেই মীরার সাথে কী এক বন্ধনে জড়িয়ে যায় সে। মীরা এক অদ্ভুত নারীসত্তা যা তাঁকে (শৈলেন) যদি কখনও দুই কদম এগিয়ে দেয় তবে পরক্ষণেই তার অবহেলা কিংবা উদাসীনতা পিছিয়ে দেয় সহস্র যোজনের দূরত্বে। মীরা সময়ের চাইতে অতিরিক্ত আধুনিকা, আবার বাঙ্গালিয়ানাকেও লাটে তোলেনি। মীরাকে নিয়ে লেখকরূপী শৈলেন যখন একটু একটু বিস্তার করে যাচ্ছিল তাঁর স্বপ্নজাল ঠিক তখনই মাঝখানে অযাচিতভাবেই সেই জালবুণনে ছেদ ঘটায় শৈলেন ও অনিলের বাল্যসখী সদু ওরফে সৌদামিনী। মীরা আর সদুকে নিয়ে এক আশ্চর্য দোলাচলবৃত্তিতে পড়ে যায় শৈলেন। কী করবে সে! একদিকে মীরার ভালোবাসা- যা বিষমিশ্রিত নিলার মত ; দামী, নিখাদ অথচ কোথায় যেন ক্ষতির আশঙ্কা অন্যদিকে সৌদামিনীর প্রতি অনিলের বর্তে দেওয়া দায়িত্ব। খুব এক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে শৈলেনের দিবারাত্রি। কী হয় জানতে হলে অনতিবিলম্বে পড়ে ফেলুন চমৎকার এই বইটি। যেমন লাগলোঃ বই পড়ার ক্ষেত্রে বাছবিছারের বাহুল্য কখনই ছিলো না আমার। যখন যা হাতের কাছে পেয়েছি একদম গোগ্রাসে (পড়ুন গোদৃষ্টিতে) গিলেছি (পড়ুন পড়েছি?)। শুরুতে ভূমিকা পড়ে অবগত হলাম এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। তখন খানিকটা যে দ্বিধান্বিত হইনি তা বললে নিজের সাথেই প্রবঞ্চনা করা হবে। তারপর যখন পড়া শুরু করলাম তখন বইয়ের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা লেখকের অনবদ্য মুন্সিয়ানা মুগ্ধ করে দিলো। কী সুন্দর ভাষার বাঁধুনি! কী দারুণ উপমার যথাযোগ্য ব্যবহার! চরিত্র চিত্রণে লেখক দক্ষতা দেখিয়েছেন বেশ। মীরা চরিত্রটি যুগ হিসেবে বিদ্রোহী হলেও কখনও সখনও- বলতে গেলে অধিকাংশ সময়েই প্রতিনিধিত্ব করেছে 'বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না' নারী সমাজের। অপর্ণা রায় চিরাচরিত মা- যিনি সন্তান বিয়োগে কাতরা। সরমা অপর্ণা রায়ের ভাবী পুত্রবধু যে হবু স্বামীর অপক্ষার প্রহর গুণে নষ্ট করছে বসন্তের পর বসন্ত, অনিল একজন দায়িত্ববান স্বামী-পুত্র-বাবা, অম্বুরী পতিব্রতা, শাশ্বতা নারী, নিশীথ বড়লোকের অহংকারী পুত্র, তরু ফুটফুটে এক খুকী। বাকি রাজু বেয়ারা, ইমানুয়েল মালী, বিলাস দাসী এমনকি অনিলের ছোট্ট খোকা সানু- প্রত্যেকটা চরিত্রকেই লেখক আলাদা আলাদাভাবে বিশেষ প্রযত্নে নির্মাণ করেছেন। এ উপন্যাসকে লেখক তিনটি পরিচ্ছেদে ভাগ করেছেন- যার প্রথম পরিচ্ছেদ মীরা, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ সৌদামিনী এবং তৃতীয় পরিচ্ছেদ মীরা-সৌদামিনী শিরোনামে লিখিত। এই জায়গায় এসে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের 'দিবারাত্রির কাব্যে'র মিল পেয়েছি। ওখানেও তিনটি পরিচ্ছেদ ছিল। এ্যাডর্ন প্রকাশনীর বেশ কয়েকটা বই পড়লাম। সব বইতেই তাদের যে গুণটা আমার কাছে অভিন্ন ও চমৎকার লেগেছে তা হলো শুদ্ধ বানানের ব্যবহার। এর আগে অনেক নামীদামী প্রকাশনীর বই পড়তে গিয়েও বানান বিভ্রাটের কারণে বেশ কয়েকবার কুঁচকে গেছে ভ্রু- কিন্তু এডর্নের ক্ষেত্রে মোটেও তা হয়নি?। যা হোক, কেন লেখক তার প্রথম উপন্যাসের নাম 'নীলাঙ্গুরীয়' দিলেন তা এক রহস্য। এ রহস্যের উন্মোচন করতে গেলে শেষ অব্দি পড়ে ফেলতে হবে বইটা। আমার দারুণ লেগেছে, বেশ দারুণ।
Was this review helpful to you?
or
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় হাস্যরসের ছোট গল্পের পশরা নিয়ে ১৯৩০ এর দশকে সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন। নীলাঙ্গুরীয় বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় এর প্রথম উপন্যাস । এর রচনা প্রনালী কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। উপন্যাসটির উপজীব্য প্রেম।কিন্তু উপন্যাসের প্রথমেই নায়কের জবানিতে লেখক প্রশ্ন উত্থাপ্ন করেন...ভালোবাসা কি সবসময় এই তাহার চিরন্তন রুপিহ্বলই দেখা দিবে...সেই আবেগ বিহ্বল কিনবা অশ্রুসজল। ঘৃণা কি সব সময়েই ঘৃণা ।তারপর কথক জানিয়ে দেন ... ভালোবাসায় গরল থাকতে পারে। অন্তত আমার বেলায় তো ছিল। উপ্ন্যাস্টি একটি গরল অমৃত এর কাহিনী।বস্তুত অন্যত্র ও বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় প্রেমকে দেখেছেন একটি জটিল বৃত্ত রুপে। তার সঙ্গে ঈর্ষা , বিদ্বেষ, ঘৃণা, পীড়নস্পৃহা সবই জড়িয়ে থাকতে পারে প্রায় সকল বিষয়ে উদাসীন ব্যারিস্টার রায়ের কন্যা তরুর গৃহশিক্ষক রুপে এই অভিজাত পরিবারে শৈলেন এর আশ্রয়লাভ ঘটে। তরুর দিদি মীরার ত্তবাবঢানের মধ্যে প্রভু ভৃত্যের সম্পর্ক আভাসিত হলে শৈলেনের মন বিদ্রোহ করে। কিন্তু অচিরেই সে মীরার রহস্যপরায়ণ আচরণের মধ্যে প্রেমের দ্যোতনা উপলব্ধি করে এবং মীরার প্রতি নিজের আকর্ষণ ও সবিস্ম্যে আবিস্কার করে। দুজনের সামাজিক অসমকক্ষতা সম্পর্কে দুজনেই সচেতন ।তার উপ্রে মীরার প্রকৃতির মধ্যে আছে আভিজাত্যের অভিমান আর শৈলেনের চারপাশে রয়েছে নিজের অবস্থাবোগুন্যজনিত আত্ম্রক্ষা প্রবৃত্তির স্বরচিত দেওয়াল। ফলে আবেগ ও উচ্ছ্বাসের জায়গা প্রায়ই নিয়েনেয় দ্বন্দ্ব ও সংঘাত ।নায়ক নায়িকার অসাধারণ সংযম ও আত্মদমন উভয়ের মধ্যে চির বিচ্ছেদ ঘটিয়ে উপ্ন্যাস্কে সম্পূর্ণ ভিন্নরুপ দান করে।মীরার সঙ্গে তার সম্পর্ককে শৈলেন বারংবার ঘৃণায় মেশানো ভালোবাসা ব্লে উল্লেখ করেছে। তা নীলকান্তমণির মতোই নীল তার মতোই খাটি। সে এই গরল অমৃত পান করেছে, জন্ম জন্মান্তর ধরে তাই পান করার কাম্নাই ব্যাক্ত করেছে। মীরার সঙ্গে মিলনের আকাঙ্খা প্রকাশ করেনি।